এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ধারাবাহিক  ভ্রমণ  শনিবারবেলা

  • রাজারানি সংবাদ- চতুর্থ পর্ব

    সুপর্ণা দেব
    ধারাবাহিক | ভ্রমণ | ২৫ জুলাই ২০২১ | ২৬৬৪ বার পঠিত
  • চতুর্থ ধাপ।। নাটক শুরুঃ চাপান উতোর

    আলমুস্তাফা কেমন যেন ঘোরের মধ্যে বলে উঠলেন, “আমি এক আদিগন্ত আঙুর খেত। আমার ফলগুলোকে জমিয়ে জমিয়ে পিষে মদ বানানো হবে। আঙুর খেত থেকে মদ হয়ে যাব তখন। এক চিরকালীন আধারে ভরে রাখা হবে আমায়। শীতকালে যখন তুমি সেই মদ পান করবে, প্রতিটি চুমুকে সেই চিরকালীন গানে স্মৃতি হয়ে মিশে থাক সেই সব শরতের দিন, আঙুরের গুচ্ছ আর আঙুর মাড়া কলের পেষাই।”
    আলমিত্রা অধীর হয়ে বলল, “তারপর কী হল বলুন না? রানি তো পৌঁছে গেছে জেরুসালেমে। রাজা সলোমনের কাছে।”
    “ তাই বলছি আলমিত্রা। রানি এল রাজার কাছে। তাকে সমাদর করে রাজা প্রাসাদে নিয়ে গেলেন। এবার তবে শোনো।
    রানি তোমার মতই অধৈর্য, আলমিত্রা! দুনিয়ার সেরা রাজার কাছে এসে সে দাঁড়িয়েছে! তবে আর দেরি কেন? এখনিই প্রশ্নবাণ মগজের তূণীর থেকে বের করে নিক্ষেপ করি!
    কিন্তু রাজা তার সমস্ত অস্থিরতায় জল ঢেলে দিলেন।
    ধীরে, ধীরে রানি, কেন তুমি এতো অধীর?
    রানির সামনে একের পর এক খাবার রাখা হচ্ছে। কত রকমের মাংস, ভেড়া, পায়রা, মুরগি, কোয়েল, তিতির, হাঁস, চিত্রল হরিণ, কৃষ্ণসার হরিণ, ষাঁড়, বাছুর। ছানা, দুধ, দই। রুটি, সবজি, ফল। থরে থরে সাজানো বেদানা, ডুমুর, খেজুর, বাদাম।
    বিব্লিকাল ফিস্ট। হিব্রু বাইবেলের মনোলোভা বর্ণনা।
    রানি এই বিপুল খাদ্যসম্ভার দেখে আশ্চর্য হয়ে গেছে। এতো খাবার!
    সেই দিন থেকে প্রতিদিন সকালে আর সন্ধেবেলায় রানির কাছে খাবার যেত রাজপ্রাসাদ থেকে। মিহিন পেষাই দানা, মোটা গুঁড়ো দানা, রকমারি মাংস, জলপাই তেল, ঝোল বানাবার মশলা, পিপে পিপে মদ,যত পুরোনো তত দামি, মিষ্টি আর মধু। সে এক বিশাল যজ্ঞ বাড়ির খাবার। রানির চোখ ছানাবড়া!
    সঙ্গে যেত নাচিয়ে গাইয়ের দল। এখানেই শেষ নয়। প্রতিদিন রাজা পাঠাতেন এগারোটি জমকালো পোশাক। রানির বরতনু হয়ে উঠত অনিন্দ্য সুন্দর!
    রানি যেদিকে চায় শুধু অবাক হয়। এতো সম্পদ! এতোটা সে আশাই করেনি।
    সলোমনের সুন্দর পোশাক, সোনার পাদানিতে তার নকশা করা চপ্পল পরা পা দুখানি! প্রাসাদ জুড়ে বিস্ময়কর অলঙ্করণ! আবলুশ কাঠ, মেহগনি কাঠ। সোনার নকশা! হাতির দাঁতের নকশা! চন্দন কাঠ! কী মসৃণ মেঝে। কী পেলব দেওয়াল।এশিয়া আর আফ্রিকার যত মূল্যবান সামগ্রী জড়ো হয়েছে এক জায়গায়। এ যেন বৈভব আর সৌন্দর্যের এক অন্তহীন বিবাহসভা! বিস্ময় যেন প্রাসাদের কোণে কোণে রানির জন্য অপেক্ষা করে আছে!
    রানির মুখে রা টি নেই।
    বিশালের সংজ্ঞা, বিত্তের সংজ্ঞা, প্রাচুর্যের সংজ্ঞা তাহলে রাজা সলোমন!



    —এটা কী করলেন রাজা! অবাক কাণ্ড! আমি ভাবতেই পাচ্ছি না যে আপনি এমন কাজ করতে পারেন?
    — কেন? আমার কি কৌতূহল থাকতে নেই? তোমরা সব কী বলেছিলে? রানির খুরওয়ালা লোমশ পা! সেইজন্যই এই কাচের ঘর। রানি পা ফেললেই ছায়া পড়বে কাচে!
    — কিন্তু রানি ঘাবড়ে গেলেন। কাচের ঘরের স্বচ্ছতাকে ভাবলেন ঘরের মধ্যে জল। ঘরে ঢুকে তাই তিনি থতমত খেয়ে গেলেন। দু হাত দিয়ে পোশাক প্রান্ত তুলে ধরলেন। তখন তার পা দেখা গেল। লোমশ! কিন্তু আপনি রেগে গেলেন কেন?
    এ কী অসৌজন্য আপনার রাজা!
    — কই? রেগে যাই নি তো। আমি এক অশরীরীকে ডেকে পায়ের লোম ওঠানোর মলম তৈরি করতে বললাম শুধু। এইটুকুই তো!
    — তাই বলে আপনার দেশে সদ্য আসা এক রানির সঙ্গে এমন ব্যবহার করবেন! যিনি এতোটা পথ পাড়ি দিয়ে শুধু আপনার কাছেই এসেছেন, মনে রাখবেন।
    — আমি তাকে প্রথম থেকেই পর মনে করিনি, জানো। সে আমার আপনজন। রহস্যবিদ্যা তার আয়ত্তে আছে। আমি জানি। তাই বলেছি ভানহীন ভাবে।
    তুমি তো বহমান সময়। তোমার এসব কথা অজানা থাকার কথা নয়।

    “বিলকিস রানি পৃথিবীর ওই প্রান্তে থাকে
    কথা বলে প্রজাপতির সাথে, যেমন ভাবে তুমি মেতে ওঠ বন্ধুর সঙ্গে, ঠিক সেই ভাবে।
    এই পৃথিবীর আদি থেকে শুরু করে সলোমনের মত রাজা কি আর আছে?
    পরস্পরের সঙ্গে যেমন লোকে কথা বলে, সেও বলে তেমন কথা প্রজাপতির সাথে।”



    সভা বসেছে। শেবার রানি এসেছে। অপরূপ মুক্তোর সাজ তার কালো দেহে। স্নাত, দীপ্র, গভীর। রাজা সলোমন সব সময়েই সুন্দর থাকেন। রানি অনুমতি নিয়ে শুরু করল তার প্রশ্নবাণ। শুরু হল শেবার রানির পরখপর্ব। এতদিন ধরে সে অপেক্ষা করেছে এই সময়ের জন্যেই। ধাঁধাঁ, হেঁয়ালি বা রানির যাচাই সবই জীবনকে ঘিরে। সম্পর্ককে ঘিরে। যাপন, বিবাহ, প্রেম। ঠিক রাজনৈতিক ছিল না সেই সব প্রশ্ন। বা অর্থনৈতিক। জীবনকে ঘিরেই ছিল তার প্রশ্ন ও প্রত্যাশা।

    “বলুন রাজা, এরা কারা?
    ‘সাতজন বেরিয়ে গেল।
    ঢুকল এবার ন-জন।
    দুটি পরমধারা।
    পান করে একজন।‘”
    রাজা উত্তর দিলেন,
    “সাতদিনের রজঃস্বলা।
    ন-মাস গর্ভবাস।
    দুই স্তন্য ধারায়,
    শিশুর মেটে আশ। ”
    রানির মুগ্ধ চোখদুটি বলে ওঠে,
    “আপনি প্রাজ্ঞ রাজা।
    এবারে তবে শুনুন, একটি মহিলা বলছে তার ছেলেকে
    আমার আর তোর বাবা এক
    তোর দাদু আমার স্বামী।
    তুই আমার ছেলে হলি।
    আমি তোর ভগিনী।”
    “বাইবেলের জেনেসিসে উল্লিখিত লটের গল্প। লট তার দুই মেয়েকে বিয়ে করেছিল।
    সেই মেয়েরা এবং তাদের সন্তানকে ঘিরেই এমন ধাঁধার জন্ম, রানি।” সলোমন ভুরু নাচিয়ে বললেন।
    রানি এবারে একদল ছেলেমেয়েকে ডেকে আনল। তাদের সাজপোশাক, মুখ দেখে ছেলে বা মেয়ে তফাত করা যাচ্ছে না। রানি বলল, “রাজা বলুন এইদলে কারা ছেলে, কারাই বা মেয়ে ?”
    রাজা হাততালি দিয়ে ভৃত্যদের ডাকলেন। একটু পরে নিয়ে আসা হোল বাদাম আর ভুট্টার দানা। রাজা ছড়িয়ে দিলেন বাদাম আর ভুট্টা। দুমদাম খাবলিয়ে খাবলিয়ে একদল নিয়ে নিল বাদাম আর ভুট্টা। আরেকদল জামার ভেতর থেকে হাত বের করে সাবধানে খুঁটে খুঁটে কয়েক দানা তুলে নিল। রাজা দেখিয়ে দিলেন স্বভাবগত তফাত। মেয়েদের স্পষ্ট চিহ্ন, তদের ব্রীড়া। কুণ্ঠা! অনাগ্রাসী শরীরী ভাষা!
    রাজা মন পড়তে পারেন। মন বুঝতে পারেন।
    এদিকে আলমিত্রার মাথা ঝিমঝিম করে ওঠে। ঘরের চালে ঝিমঝিম বৃষ্টি পড়ে। ঝিমঝিম আগুনে লোবিয়া রান্না হচ্ছে। ঘরের ঝিমঝিমে আলোয় এক বৃদ্ধ আর এক কিশোরী কোন দূর ধূসর কুয়াশার ঝিমঝিমে গল্প শোনে, সমুদ্রের কাছে একটা ছোট্ট ঘরে বসে, এক রাজার আরেক রানির।
    আলমুস্তাফা বলে- এই ধাঁধাঁ বা হেঁয়ালি বলে বলে শেষ হবে না। নানাভাবে সলোমনকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে যাচাই করে তবে রানির শান্তি। রানি এবারে বলে, “রাজা বলুন,
    মাটি তার আধার
    মানুষ তাকে বানিয়েছে
    মাটির ফসল আহার- বলুন কী ?”
    জিহোভার মন্দিরে পুজো শুরু হবে। উঠে যেতে যেতে রাজা মধুর হেসে বলেন “প্রদীপের সলতে। ওই দেখুন কত প্রদীপ জ্বলে উঠেছে। পুজো সেরে আসি রানি, কাল সকালে আবার বসব। আপনি কি আসবেন আমার সঙ্গে একেশ্বর জিহোভার মন্দিরে?”
    এইভাবে চলল বেশ কিছুদিন। প্রশ্ন উত্তর। প্রশ্ন উত্তর।
    “তারপর?” আলমিত্রার তর সয় না।
    “বলবো তোমাকে সবই। চলে যাবার আগে গল্প তো শেষ করতেই হবে আলমিত্রা।”
    রাতের খাবার শেষ করে আলমুস্তাফা গুছিয়ে বসেছেন। সাদা লম্বা দাড়িতে তাকে একসন্তের মত দেখায়!
    “যুক্তি আর আবেগ কাকে বলে, আলমিত্রা? তোমার অন্তর, যুক্তিকে তুলে নিয়ে যাক উত্তুঙ্গ আবেগে। পাহাড়ের মধ্যে গাছের শান্ত ছায়ায় দূরের ওই নিবিড় বনবীথির দিকে চেয়ে হৃদয়ের নীরবতায় তুমি বলতে পারো এই তো ঈশ্বরের যুক্তি! শান্ত ও ছন্দোময়!
    কিন্তু যখন ঝড় আসে, বাজ পড়ে, বিদ্যুৎ চমকায়, বনের গাছগুলো কী ভীষণ দুলে ওঠে তখন অশান্ত আকাশের নিচে তোমার হৃদয় কেঁপে কেঁপে বলে ওঠে ঈশ্বর এখন আবেগে থরো থরো।
    চলো, দেখে আসি আলমিত্রা রানির যুক্তির খেলা কেমন চলছে?
    রানি সকালবেলা জুডিয়া পাহাড়ের খরশান হাওয়ায় প্রাসাদের ছাদে বসে ছুঁড়ে দিল আরেকটা প্রশ্নবাণ।
    ‘রাজা বলুন, একটা ঘেরাটোপের দশটি দরজা। প্রথমটা খোলা থাকলে বাকি ন'টা দরজা বন্ধ থাকে। আর ন‘টা দরজা খুলে গেলে ওই প্রথমটা বন্ধ হয়ে যায়।’
    রাজা সলোমন রানির চোখে দিকে স্থির তাকিয়ে বলেন, ‘ঘেরাটোপটি গর্ভাশয়। প্রথম দরজা হল নাভি। বাকি ন’টা দুই চোখ, দুই কান, দুটি নাসা রন্ধ্র, মুখ, পায়ু, মুত্রদ্বার।
    নাভি যখন জেগে থাকে বাকি নটা দ্বার গর্ভাশয়ে ঘুমায়। নাভি কেটে যেই প্রাণ বাইরে বেরিয়ে আসে তখন নাভি বন্ধ, জাগ্রত নয় দ্বার!’
    রানি এবারে নিয়ে এল দেওদার গাছের কাণ্ডের টুকরো। ‘বলুন রাজা, কোনটি গাছের শিকড়ের দিক, আর কোন দিকটি ডালপালা ছড়িয়েছিল?’
    রাজা গাছের টুকরোটিকে জলের মধ্যে চুবিয়ে দিলেন। ডুবে গেল একদিকের অংশ। বাকিটা ভেসে থাকল। ডুবে যাওয়া অংশটা দেখিয়ে রাজা বললেন এই অংশটাই ছিল মাটির গভীরে, জলসন্ধানে!
    রানি উঠে দাঁড়াল। মনের সব ঝঞ্ঝা তখন থেমে গেছে। যুক্তির ধারে নয়, আবেগে ভেসে ভেসে রানি দুহাত আকাশের দিকে তুলে কেঁপে কেঁপে বলে চলেছে, ‘রাজা, ঈশ্বর আপনাকে আশীর্বাদ করুন। আমি আপনার প্রজ্ঞার কথা শুনেছিলাম। কিন্তু আপনার সামনে এসে আমি আর কূলকিনারা দেখতে পাচ্ছি না। অথৈ জলে পড়ে গেছি আমি!’
    রাজা সলোমন সভা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন ধীরে ধীরে। সঙ্গে যাচ্ছে অনুচর সেবকের দল। ফ্রাঙ্কিনসেন্সের একরাশ সুগন্ধি ধোঁয়া তাকে ঘিরে রয়েছে। ওই হেঁয়ালির মত তাকে আবছা দেখাছে। দেখা যাচ্ছে কিন্তু যেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।
    শূন্য সভা। উদাস হাওয়া। একা রানি। বিহ্বল। বাক্যহারা।

    "তাকে ভালবেসেছি গোপনে
    আমার নিদ্রা ঘিরে বহ্নিশিখা বলয়।
    এখন সে চলে গেল।
    সঙ্গে নিয়ে গেল
    আমার অব্যক্ত কথা ।"


    কিপলিং ও খলিল জিব্রানের কবিতার অনুবাদ, লেখক।
    আলমুস্তাফা এবং আলমিত্রা চরিত্রদুটি খলিল জিব্রানের “দ্য প্রোফেট “ থেকে নেওয়া হয়েছে।
    ছবি ইন্টারনেট
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ধারাবাহিক | ২৫ জুলাই ২০২১ | ২৬৬৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ২৫ জুলাই ২০২১ ১২:৪৭496077
  • পড়ছি

  • শঙ্খ | 2402:3a80:aa3:420a:d0a7:f78:f5c7:***:*** | ২৫ জুলাই ২০২১ ১৩:৩০496080
  • পড়ছি। চলুক।

  • kk | 68.184.***.*** | ২৫ জুলাই ২০২১ ২০:৩৫496087
  • খুব ভালো লাগছে।

  • শর্মিষ্ঠা | 2401:4900:3a08:db8c:f662:b5b5:583b:***:*** | ২৮ জুলাই ২০২১ ২১:২৮496175
  • বাঃ


    অপূর্ব

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন