দীর্ঘ পনেরো বছর বিজেপির শাসনের পর ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে ভূপেশ বাঘেলের নেতৃত্বে কংগ্রেস যখন ছত্তিসগড়ে ক্ষমতায় এসেছিলো রাজ্যের আদিবাসীরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিলেন। গত দেড় দশক তাঁদের কাছে ছিল একটা বিভীষিকা। মাওবাদীদের মোকাবিলা করার নামে রাজ্যের রমন সিং সরকার বস্তার, দান্তেওয়াড়া, বিজাপুর, সুকমা জেলা এবং সন্নিহিত অঞ্চলে এক নির্মম দমনপীড়নমূলক শাসন কায়েম করেছিল। উন্নয়নের নামে ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়ে তাঁদের উৎখাত করা হয়েছে, জঙ্গল জমিন বেদখল হয়ে গেছে। আদিবাসী মহিলাদের যত্রতত্র ধর্ষণ, খুন করা হয়েছে। সামান্য অজুহাতে ভুয়ো সংঘর্ষে হত্যা করা হয়েছে। প্রতিবাদ করলে মাওবাদী তকমা সেঁটে দেওয়া হয়েছে এবং কোনও প্রমাণ ছাড়াই বিনা বিচারে তাঁদের দীর্ঘ দিন ধরে জেলে বন্দি করে রাখা হয়েছে। এমনকি গণতান্ত্রিক প্রতিবাদ আন্দোলনের সমস্ত উপায় রুদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যে সমাজকর্মী ও মানবাধিকার কর্মীরা এই অত্যাচারের প্রতিবাদ করেছেন নৃশংস কায়দায় তাঁদের কন্ঠরোধ করা হয়েছে। বিশিষ্ট গান্ধিবাদী হিমাংশু কুমার প্রায় আঠেরো বছর ধরে দান্তেওয়াড়ায় একটি আশ্রম চালাতেন। তিনি একাধারে হিংসার যেমন বিরোধিতা করতেন তেমনি আদিবাসীদের ওপর কোনও অত্যাচার হলে প্রতিবাদে সরব হতেন। তাঁকে চরম হেনস্থা করে রাজ্য ছেড়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। বরেণ্য মানবাধিকার কর্মী ডাক্তার বিনায়ক সেনকে মাওবাদী তকমা দিয়ে বছরের পর বছর কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। সোনি সোরি, যিনি নিরবচ্ছিন্ন ভাবে এই লাঞ্ছনা, জোরজুলুম, শোষণের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তাঁকে জেলে নৃশংস ভাবে নির্যাতন করা হয়েছে।
মানুষ ভেবেছিলেন কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর এইসব জুলুম বোধহয় বন্ধ হবে, তাঁদের জীবনে শান্তি ফিরে আসবে। নতুন সরকারের প্রায় অর্ধেক মেয়াদ সম্পূর্ণ হয়ে এসেছে কিন্তু আদিবাসীদের অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি। গত ১৭ মে বিজাপুর সুকমা জেলার সীমান্তে সিলগর গ্রামের কাছে পুলিশের গুলিতে তিনজন আদিবাসীর মৃত্যু হয়। ঐ এলাকায় গ্রামবাসীদের সম্পূর্ণ অগোচরে, তাঁদের বিনা অনুমতিতে একটি সিআরপিএফ ক্যাম্প তৈরি করা হচ্ছিলো। আদিবাসীরা প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ঐ নির্মাণের বিরোধিতা করছিলেন। ঐ দিন তাঁরা একটি সমাবেশের আয়োজন করেন। পুলিশ এই জয়ায়েতকে মাওবাদী আখ্যা দেয় এবং শান্তিপূর্ণ জনতার ওপর গুলি চালায়। জাঁ দ্রেজ এবং বেলা ভাটিয়া, যাঁরা বহু দিন ধরে ঐ এলাকায় নিবিড় ভাবে কাজ করছেন তাঁরা এই ঘটনার ওপর একটি তদন্ত রিপোর্ট প্রস্তুত করেছেন। তাঁরা বলছেন গত দু বছর ধরে মানুষ বিভিন্ন এলাকায় গজিয়ে ওঠা আধাসামরিক বাহিনীর এই ক্যাম্পগুলির বিরোধিতা করে চলেছেন, তিনজন মারা যাওয়ার কারণে এখন এই ঘটনা মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। বিজাপুর থেকে সিলগরের রাস্তা এই ধরনের ক্যাম্পে ছেয়ে গেছে। ১২ই মে গভীর রাতে গ্রামবাসীদের না জানিয়ে, চুপিসাড়ে এই ক্যাম্পের নির্মাণ শুরু করে দেওয়া হয়। দুদিন বাদে পাঁচটি পঞ্চায়েতের মানুষ এর বিরুদ্ধে সমাবেশ করেন যাতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। ১৭ই মে প্রায় ১০০০০ মানুষ সমাবেশিত হন এবং তাঁরা শান্তিপূর্ণ ভাবে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশ লাঠি চালায়, জনতাও পাল্টা ইটপাটকেল ছোড়ে। পুলিশ জনতাকে ঘিরে ফেলে ও গুলি চালায়। তিনজনের মৃত্যু ছাড়াও, চল্লিশ জন আহত হন। পুলিশ দাবি করে জনতা সশস্ত্র ও হিংস্র ছিল এবং সন্দেহ প্রকাশ করে যে জমায়েতের পিছনে অন্য কোনও ইন্ধন আছে। গ্রামবাসীরা পাল্টা অভিযোগ দায়ের করতে থানায় যায় এবং এই সমাজকর্মীরা জানাচ্ছেন যে বাস্তব অবস্থা এতোটাই সাধারণ মানুষের প্রতিকূল যে শুধুমাত্র ঐ অভিযোগ গ্রহণ করাতে তাঁদের বিস্তর কাঠখড় পোড়াতে হয়।
এই ধরনের ক্যাম্পগুলি গ্রামবাসীদের কাছে আতঙ্ক। এঁরা যে কোনও অছিলায় যখন তখন তল্লাশি করে, মারধোর, ধর্ষণ করে, মাওবাদী বলে হত্যাও করে দেয়। প্রমাণ, ২২ মে অন্য একটি ক্যাম্পের কাছে মিদিয়াম মাসা নামে এক যুবক যিনি আম পাড়ছিলেন তিনি বাহিনীর গুলিতে মারা যান। গত বছর ১৯ মে বাদ্রু মাদ্রি মহুয়া ফুল কুড়াতে গিয়ে বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছিলেন। গ্রামবাসীরা এটা যে হত্যা তা প্রমাণ করার জন্য দীর্ঘ দিন তাঁর দেহ সংরক্ষণ করে রেখেছিলেন। তাই আন্দোলন এখনো অব্যাহত এবং তা শান্তিপূর্ণ। মুখ্যমন্ত্রী ঘটনার তদন্তের জন্য কমিটি তৈরি করেছেন, যা সবাই করে থাকেন। লক্ষ্যণীয় ভাবে তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্য রবীন্দ্র চৌবে বলেছেন যে এলাকায় উন্নয়ন প্রয়োজন, তাই রাস্তা এবং ক্যাম্প করাও প্রয়োজন। স্পষ্টতই বিভিন্ন ভাষ্য প্রকাশ করে কংগ্রেস মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। বেলা ভাটিয়া এই করোনার সময়ে হিংসা বর্জন করে শান্তির আহ্বান করেছেন।
কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় আসার ফলে আদিবাসীদের সমস্যার কি কোনও সুরাহা হয়েছে? নতুন সরকার ২০১২ সালের একটি হত্যাকাণ্ডের রিপোর্ট প্রকাশ করে যেটি আগের বিব্জেপি চেপে রেখেছিল। ঐ বছর ২৮ জুন বিজাপুর জেলায় সারকেগুড়া নামে একটি জায়গায় বাহিনীর গুলিতে সতেরো জন মানুষের মৃত্যু হয়। বাহিনী তাঁদের বিজ্ঞপ্তিতে বলে যে মৃতেরা সবাই মাওবাদী ছিলেন। গ্রামবাসীরা এবং সুধা ভরদ্বাজের (যিনি নিজে ভীমা কোরেগাঁও মামলায় ভুয়ো অভিযোগে কারাবন্দি) নেতৃত্বে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন, এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র বিরোধিতা করেন এবং দাবি করেন যে মৃতরা কেউ মাওবাদী ছিলেন না। চাপে পড়ে সরকার অবসরপ্রাপ্ত বিচারক বিজয় কুমার আগরওয়ালের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করে। প্রায় সাত বছর বাদে কমিশন তাঁরা রিপোর্ট পেশ করেন এবং প্রমাণিত হয় যে মৃতরা কেউ মাওবাদী ছিলেন না। কংগ্রেস সরকার যদিও এই রিপোর্ট সর্বসমক্ষে আনে কিন্তু যে সতেরো জন নিহত হন এবং দশ জন আহত হন তাঁদের কোনও ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকার করে। একই ভাবে যারা এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী ছিল তাদেরও হয়নি। কংগ্রেস সরকারে আসার তিন মাস বাদে সোনি সোরিকে গ্রাউন্ড জিরো পোর্টালে একটি সাক্ষাৎকারে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিলো রাজ্যে পট পরিবর্তনের ফলে আদিবাসীদের সমস্যার কোনও সুরাহা হয়েছে কি না? তিনি বলেন টাটারা যে জমি অধিগ্রহণ করেছিলো তা ফেরত দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও বিজেপি এটা নিয়ে টালবাহানা করছিল। এছাড়া এখন কোনও সমস্যা হলে বিধায়ক বা মন্ত্রীদের কাছে অভিযোগ জানানো যায় যেটা আগে ভাবাই যেত না। সঙ্গে তিনি যোগ করেন যে এর ফলে সমস্যার কোনও সমাধান হয় এমনটা নয়। তিনি ২০১৯-এর দোসরা ফেব্রুয়ারির একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করেন। ঐ দিন বাহিনী একটি গ্রামে রেইড করে ও তিন মহিলাকে ধর্ষণ করে খুন করে। লাকমা কাওয়াসি, তখন কংগ্রেস সরকারের মন্ত্রী যিনি নিজে একজন আদিবাসী। সোনি তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। তিনি মন্ত্রীকে ঘটনাস্থলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন এবং তদন্ত করার জন্য আদেশ জারি করতে বলেন। মন্ত্রী কোনটাই করেননি। তিনি মৃতের জন্য পাঁচ লাখ এবং আহতদের জন্য এক লাখ দিয়ে দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলেন। ‘সালওয়া জুড়ুম’ তো কংগ্রেসই তৈরি করেছিলো , সোনি বলেন। এখন সেই সন্ত্রাসবাদী, ঝটিকা বাহিনী ‘ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড’ নামে আধাসামরিক বাহিনী ও সরকারের প্রচ্ছন্ন মদতে গ্রামেগঞ্জে তাদের দৌরাত্ম্য চালিয়ে যাচ্ছে।
কংগ্রেস সরকারের কাছে অন্যতম দাবি ছিল বন্দি মুক্তি। বিজেপি শাসনের দীর্ঘ দেড় দশকে প্রায় ৬০০০ গ্রামবাসীকে সন্ত্রাসবাদী আখ্যা দিয়ে, বিভিন্ন ভুয়ো মামলায় ফাঁসিয়ে বিনা বিচারে কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল। এঁদের মুক্তির জন্য সোনি সোরি, হিড়মে মার্কম এবং অন্যান্য কর্মীরা ‘জেলবন্দি রিহাই মঞ্চ’ গঠন করেন। মুখ্যমন্ত্রী বাঘেল অবসরপ্রাপ্ত বিচারক এ.কে.পট্টনায়েককে শীর্ষে রেখে একটি কমিটি তৈরি করেন। এই কমিটির দায়িত্ব ছিল বিভিন্ন মামলা যাচাই করে বন্দিদের মুক্তির জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করবেন। তিনি এও বলেন যে ‘মঞ্চ’ জেল বন্দিদের তালিকা তৈরি করতে এই কমিটিকে সাহায্য করবে। সেই মতো হিড়মে মার্কম অঞ্চলের গ্রামে গ্রামে ঘুরে বন্দিদের তালিকা প্রস্তুত করা শুরু করেন। কিন্তু বছর গড়িয়ে যায় কমিটির কাজ আর এগোয় না। ২০২০র ১৭ সেপ্টেম্বর ‘মঞ্চ’ বন্দিমুক্তির দাবিতে দান্তেওয়াড়ায় একটি বড় জমায়েতের ডাক দেয়। সোনি সোরি বলছেন যাঁরা সমাবেশে আসছিলেন কুখ্যাত ডিআরজি তাঁদের নানা জায়গায় আটকে দেয়, মারধোর করে এবং এমন সন্ত্রাস সৃষ্টি করে যাতে জমায়েত ব্যর্থ হয়। পুলিশও করোনা বিধির অজুহাত তুলে জমায়েত করতে বাধা দেয়। ঐ সময় অরবিন্দ নেতম, ভুতপূর্ব কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আদিবাসীদের দাবী সমর্থন করেন। তিনি বলেন অনেকেই যাঁরা জেলে তাঁরা যুবক এবং তাঁদের পরিবারের একমাত্র রোজগেরে মানুষ। কংগ্রেস ৩০০ জনকে মুক্তি দেয়। সোনি এঁদের মুক্তিকে স্বাগত জানান, সঙ্গে এও জানান যে এঁদের অন্য অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো, ‘নক্সাল’ অভিযোগে নয়।
এই বছর ৯ মার্চ মার্কম আন্তর্জাতিক মহিলা দিবস উদযাপনের জন্য মহিলাদের একটি সমাবেশ করেন। সেখানে বন্দি মুক্তির দাবিও উত্থাপন করা হয়। আধাসামরিক বাহিনী এই সমাবেশ ভেঙে দেয়, মার্কমকে গ্রেপ্তার করে এবং তাঁকে ইউএপিএ আইনে অভিযুক্ত করে। প্রসঙ্গত একই সময়ে তিনি বাইলাডিলা পাহাড়ে একটি লোহার আকর খনন প্রকল্পের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালাচ্ছিলেন। হিড়মে মার্কম গ্রেপ্তার হওয়ার ফলে কারাবন্দিদের তালিকা প্রস্তুত করার প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। এখন সরকার এই ‘মঞ্চ’কেই মাওবাদী স্ট্যাম্প মারা শুরু করে দিয়েছে। সংগঠনের সম্পাদক সুজিত কর্মাকে চূড়ান্ত হেনস্থা করা হচ্ছে। পুলিশ খোলাখুলি বলছে হিড়মে মার্কম আর কোনও দিনও জেলের বাইরে আসতে পারবেন না, তাঁকে একটার পর একটা মামলায় অভিযুক্ত করা হবে। অদম্য সোনি সোরির ওপরেও সরকারের চাপ অব্যাহত। ভিমা কোরেগাঁও মামলাতেও তাঁর ওপর পুলিশের কড়া নজর। কংগ্রেস সরকারের প্রায় আড়াই বছর অতিক্রান্ত। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে আদিবাসীদের মূল সমস্যাগুলি এখনো অধরা রয়ে গেছে। শুধুমাত্র সন্ত্রাসবাদী সন্দেহ বেলাগাম খুন, ধর্ষণ, ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া এখনো অব্যাহত। উন্নয়নের নামে আদিবাসীদের গ্রামের জায়গা বেদখল হয়ে যাচ্ছে। কোনও প্রকল্পের আগে সরকার জনশুনানি বা গ্রামসভা ডাকারও প্রয়োজন বোধ করছে না। ডিআরজি নামক বেআইনি ভিজিল্যান্ট বাহিনীর বেপরোয়া অত্যাচারে এখনো মানুষ রীতিমতো সন্ত্রস্ত। আজ যদি আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ দলে দলে মাওবাদীদের সমর্থন করে তবে তার দায় কার ওপর বর্তাবে?
""""হে ভারত তুমি আমায় কমিউনিস্ট করেছো """, এই বাক্য দিয়ে শুরু করে বলা যায় যে , কংগ্রেস আর বিজেপি ।..বা যে কোনো ডান /বাম /মধ্য /উত্তম পার্টি এদের চরিত্র এক !!শোষণের ব্যাপারে জুলুমের ব্যাপারে নির্যাতনের ব্যাপারে এদের কোনো পার্থক্য নেই , মুক্তির প্রশ্ন , ন্যায় বিচারের প্রশ্ন বেঁচে থাকার প্রশ্ন এদের কাছে করা বৃথা !!চাই সংঘবদ্ধ প্রতিরোধ সমবেত আন্দোলন , ভিতরে - বাইরে সব খানে !!আর সেটা পারেএকমাত্র আপামর জনতা তবে হাল ধরবে কে সেটাই প্রশ্ন !!কিন্তু এই আশা করা ভুল যে আগামীকাল স্বয়ং যীশু বা কোনো ভগবান এটাকরেদেবেন !!এই সংসদীয় গণতন্ত্রে কেউ কোনো সুবিচার পেতে পারে না , পুরো ব্যবস্থা টা পাল্টে দেয়া চাই !!!!