এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • সত্য ও জীবনের কঠিন সংঘাত

    SHANKAR BHATTACHARYA লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৮ নভেম্বর ২০২৫ | ৩৭ বার পঠিত
  •  
    এই আর্টিকল #: 33520
    সত্য ও জীবনের কঠিন সংঘাত
    —- শংকর ভট্টাচার্য্য ✍️ ০৮/১১/২৫
     
    সত্য ও জীবনের কঠিন সংঘাত –
    জীবন চলতে চায় সত্য এড়িয়ে 
    কিন্তু সত্য জড়িয়ে রাখে জীবনকে।
     
    ক্ষমতা লোভী অগ্রসর হয় জীবন ও সত্যকে মাড়িয়ে।
    নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দেয়,
    সহিংসতার আশ্রয় নেয়। 
    তাই দেখে সত্য থেকে বুদ্ধিজীবী সরে যায় 
    তার জীবন বাঁচানোর চেষ্টায়
    মত পাল্টায়,
    সত্য ও জীবন – দুই তখন বেকায়দায়, 
    বুদ্ধিজীবীর এই দুরাবস্থাই ক্ষমতা লোভী চায়।
     
    সহিংসতার হুমকিতে 
    সাধারণ মানুষ সরে না সত্য থেকে।
    ক্ষমতা লোভীর হিংস্রতা ক্রমশ যখন বৃদ্ধি পায়
    সত্য-কে নিজের মধ্যে আত্মগোপনে সাহায্য করে থাকে সাধারণ মানুষেরা 
    তাদের চেতনায় থাকে সত্যের জন্য সুরক্ষিত ঘর
    সত্যের জন্য দাম দর কষাকষি বুদ্ধিজীবীদের মতো করে না।
     
    পৃথিবীতে রাষ্ট্র জন্ম থেকেই অস্ত্রধারী,
    সমাজের কোনো স্তরে অহিংস শাসক নেই,
    রাষ্ট্র শাসক চিরকাল কাজ করে আসছে 
    অস্ত্র ধরে প্রকৃতির বিপরীতে — 
    মাটি, জল, গাছপালা, আকাশ, বাতাস, খনিজ সম্পদ, মানুষ ও প্রাণিসম্পদ সব তার, 
    এই সব কথাগুলোর প্রচার চালিয়ে যায়।
    ধর্মের নামে রাখে সশস্ত্র বাহিনী গোলাগুলি বন্দুক,
    সত্য-কে সবার আগে কারাবন্দি করতে মাথার দাম হাঁকায়,
    রঙ চঙে পোশাক পরিয়ে মিথ্যাকে নীতিতে ঢোকায়,
    রাষ্ট্র তার জন্ম থেকেই পাক্কা গুণে গুণান্বিত – আদিম জিঘাংসা নিয়ে শাসন ক্ষমতার ধারক,
    সর্বাগ্রে সত্য ও জীবনকে দ্বিখণ্ডিত লাশ বানাতে চায়।
     
    সত্য ও জীবনের কঠিন সংঘাত — পালিয়ে বাঁচার নেই উপায়,
    পশু থেকে পৃথক করে মানুষ করার জন্য মানুষের মধ্যে আছে প্রকৃতিদত্ত উপাদান—
    সত্যের প্রতি কৌতূহল, জীবন জিজ্ঞাসা, মনন, চিন্তন, উদ্ভাবন সব মিলিয়ে আকার পেয়েছে সভ্যতা। 
    যাতে রাষ্ট্র না পারে অচল অকেজো করে রাখতে সভ্যতার উন্নতি,
    চলমান সংগ্রাম একেই বলে — সাধারণ মানুষ চালিয়ে যান মেলবন্ধন,
    সত্য ও জীবনকে এক সূত্রে গেঁথে। 
    কোনো অস্ত্র পারে না সত্যের শিরোচ্ছেদ করতে, 
    কোনো অস্ত্র পারে না মানুষের কলিজা বাতিল করে প্রভু শাসকের স্বেচ্ছাচার প্রতিস্থাপন,
    এই সত্যের ধারক আমাদের প্রাচীন সভ্যতা,
    সাধারণ মানুষের মধ্যে চিরস্থায়ী করার প্রচেষ্টা অব্যাহত,
    শহীদ অগণিত সাধারণ মানুষ,
    বুদ্ধিজীবীরা পলায়ণ পর, ভীত,
    শাসকের স্বেচ্ছাচারের কাছে নত হয়— সহজেই প্রতিস্থাপন করে নেয় “স্পেশমেকার”,
    শুনতে পায় মৃত্যু ভয়ে কম্পিত হৃদস্পন্দন,
    সত্য ও জীবনের কঠিন সংঘাত –
    জীবন চলতে চায় সত্য এড়িয়ে 
    কিন্তু সত্য জড়িয়ে রাখে জীবনকে।
    —--
    সাধারণ মানুষকে ভাতে মারার চক্রান্ত চালিয়ে যেতে ধর্মের ধ্বজাধারী শাসক পিছপা হয় না – জানে বিচার প্রক্রিয়া চলতে চলতে দু- চার বছর সময় নেবে, ভন্ড ধার্মিক শাসক মামলা ঠোকে, তখন আয়েস করে বুদ্ধিজীবীরা তামাক ফোকে
     
    সত্য ও জীবনের কঠিন সংঘাত –
     
    জীবন চলতে চায় সত্য এড়িয়ে কিন্তু সত্য জড়িয়ে রাখে জীবনকে। ক্ষমতা লোভী অগ্রসর হয় জীবন ও সত্যকে মাড়িয়ে। নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দেয়, সহিংসতার আশ্রয় নেয়। তাই দেখে সত্য থেকে বুদ্ধিজীবী সরে যায় তার জীবন বাঁচানোর চেষ্টায় মত পাল্টায়, সত্য ও জীবন – দুই তখন বেকায়দায়, বুদ্ধিজীবীর এই দুরাবস্থাই ক্ষমতা লোভী চায়। সহিংসতার হুমকিতে সাধারণ মানুষ সরে না সত্য থেকে। ক্ষমতা লোভীর হিংস্রতা ক্রমশ যখন বৃদ্ধি পায় সত্য-কে নিজের মধ্যে আত্মগোপনে সাহায্য করে থাকে সাধারণ মানুষেরা, তাদের চেতনায় থাকে সত্যের জন্য সুরক্ষিত ঘর, সত্যের জন্য দাম দর কষাকষি বুদ্ধিজীবীদের মতো করে না।
     
    পৃথিবীতে রাষ্ট্র জন্ম থেকেই অস্ত্রধারী, সমাজের কোনো স্তরে অহিংস শাসক নেই, শাসক চিরকাল কাজ করে আসছে অস্ত্র ধরে প্রকৃতির বিপরীতে — মাটি, জল, গাছপালা, আকাশ, বাতাস, খনিজ সম্পদ, মানুষ ও প্রাণিসম্পদ সব তার, এই সব কথাগুলোর প্রচার চালিয়ে যায়। ধর্মের নামে রাখে সশস্ত্র বাহিনী গোলাগুলি বন্দুক, সত্য-কে সবার আগে কারাবন্দি করতে মাথার দাম হাঁকায়, রঙ চঙে পোশাক পরিয়ে মিথ্যাকে নীতিতে ঢোকায়, রাষ্ট্র তার জন্ম থেকেই পাক্কা গুণে গুণান্বিত – আদিম জিঘাংসা নিয়ে শাসন ক্ষমতার ধারক, সর্বাগ্রে সত্য ও জীবনকে দ্বিখণ্ডিত লাশ বানাতে চায়।
     
    সত্য হচ্ছে সবচেয়ে ধারালো অস্ত্র। এটি শুধু শব্দ নয়, বাস্তব শক্তি। কোনো রাষ্ট্রই এই সত্য — যা প্রকৃতপক্ষে অস্ত্র — তাকে কখনো সম্পূর্ণভাবে নিরস্ত্র করতে পারবে না। অসংখ্য মানুষের মধ্যে প্রকৃতি এই অস্ত্রকে হাতিয়ার হিসেবে রেখে দিয়েছে। শেষ করে ফেলা তার দুঃসাধ্য — যতই রাষ্ট্র সহিংসতার পথে অগ্রসর হয়ে সাধারণ মানুষকে দমন-পীড়ন করতে রাজনীতির ধর্মে বিশ্বাসী হোক।
     
    সত্য ও জীবনের কঠিন সংঘাত — পালিয়ে বাঁচার নেই উপায়, পশু থেকে পৃথক করে মানুষ করার জন্য মানুষের মধ্যে আছে প্রকৃতিদত্ত উপাদান — সত্যের প্রতি কৌতূহল, জীবন জিজ্ঞাসা, মনন, চিন্তন, উদ্ভাবন সব মিলিয়ে আকার পেয়েছে সভ্যতা। যাতে রাষ্ট্র না পারে অচল অকেজো করে রাখতে সভ্যতার উন্নতি, চলমান সংগ্রাম একেই বলে — সাধারণ মানুষ চালিয়ে যান মেলবন্ধন, সত্য ও জীবনকে এক সূত্রে গেঁথে। কোনো অস্ত্র পারে না সত্যের শিরোচ্ছেদ করতে, কোনো অস্ত্র পারে না মানুষের কলিজা বাতিল করে প্রভু শাসকের স্বেচ্ছাচার প্রতিস্থাপন, এই সত্যের ধারক আমাদের প্রাচীন সভ্যতা, সাধারণ মানুষের মধ্যে চিরস্থায়ী করার প্রচেষ্টা অব্যাহত, শহীদ অগণিত সাধারণ মানুষ, বুদ্ধিজীবীরা পলায়ণ পর, ভীত শাসকের স্বেচ্ছাচারে — সহজেই প্রতিস্থাপন করে নেয় “স্পেশমেকার”, শুনতে পায় মৃত্যু ভয়ে কম্পিত হৃদস্পন্দন,
    সত্য ও জীবনের কঠিন সংঘাত – জীবন চলতে চায় সত্য এড়িয়ে কিন্তু সত্য জড়িয়ে রাখে জীবনকে।
     
    —--
    #সত্যওজীবনেরসংঘাত #মানুষওরাষ্ট্র #সাধারণমানুষেরসত্য #সহিংসতারবিরুদ্ধে #বুদ্ধিজীবীরদুরবস্থা #সভ্যতারসংগ্রাম #চেতনারঅস্ত্র #প্রকৃতিএবংসত্য #সবিতাEunoiaworldviews
    #TruthAndLifeConflict #PowerAndConsciousness #PeopleAndState #StruggleForTruth #VoiceOfTheCommonPeople #ResistanceAgainstViolence #IntellectualsAndFear #CivilizationalStruggle #WeaponOfConsciousness #SabitaEunoiaWorldviews
    —--
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন