এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ইস্পেশাল  পুজো ২০০৬

  • মাকোন্দোয় দুর্গাপূজা

    ইন্দ্রনীল ঘোষদস্তিদার
    ইস্পেশাল | পুজো ২০০৬ | ০১ অক্টোবর ২০০৬ | ২০৫৬ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • দুগ্গাপূজা নিয়ে অত বলাবলির বা কি আছে, অত আনন্দেরই বা কি আছে। সেসব বলবে পাল্লিনের মত কচিকাঁচারা। আমায় কেন, বৃদ্ধ মানুষ !

    শুধু ছোটবেলায় একবার লাল জামা কিনে দেওয়া হয় নি বলে গড়িয়ে গড়িয়ে কেঁদেছিলাম। নালেঝোলে মেখে, মাটি চেটে, মেঝের শানে ঠাঁই ঠাঁই করে মাথা ঠুকে গুগলু বানিয়ে তবে ক্ষান্ত দিইছি। আর ক্যাপ ফোটানোর একটা ব্যাপার ছিল। ক্যাটকেটে কালো পিস্তলগুলো সব, নারকেল তেলের গন্ধমাখা। তায় আবার রোল ক্যাপগুলো কিছুতেই ফাটতে চাইত না। আর সেবার কে যেন একটা ঝিনচ্যাক রূপোলী পিস্তল কিনে দিল। দেবদূত-ফেবদূত কিছু একটা ভেবেছিলাম, লোকটাকে।

    গুল মারলাম বোধ হয়। দেবদূত কি, তখন কি বুঝতাম কিছু? মরুকগে। কিন্তু লোকটার নাম কিছুতেই মনে পড়ছে না। আমার বাবাও হতে পারে।

    পিস্তল এলে যুদ্ধ তো আসবেই। মারণাস্ত্র বলে কথা। স্বয়ং দুগ্গা ঠাকুর যুদ্ধু কচ্ছেন। একবার বেপাড়ার কিছু বাচ্চার দলের সঙ্গে ভয়ানক মারপিট হল আমাদের। গুলি ফুরিয়ে গেলে ঘুষি-লাথি। কুং ফু স্টাইল। রক্ত মেখে, ঘেমে বাড়ি ফিরলাম। সব মিছিমিছি। কিছুদিন আগেই পদ্মা হলে "রিটার্ণ দ্য ড্রাগন" এসে ফিরে গেছে।

    দাঁড়াও, আরো মনে করি। আর একবার পাড়ার ঠাকুরের ছবি আঁকতে বসেছিলাম কাগজ-পেন্সিল-বোর্ড-বোর্ড ক্লিপ নিয়ে। লাইন ড্রয়িং, শ্যালদা স্টেশনে করতে দেখেছি আঁকার কলেজের মেয়ে-ছেলেদের। সবাই গোল হয়ে ঘিরে দেখছে, বিজ্ঞ খোকা বলে এমনিতেই বহুত সম্ভ্রম করত। আমারো বেশ বেলুন-বেলুন ভাব, অল্প লজ্জা। ওদিকে দুগ্গার মুন্ডিটা শরীরের তুলনায় বড় হয়ে যাচ্ছে, কাত্তিকের মৌরের ন্যাজ কাগজ ছাড়িয়ে দু ইঞ্চি বেরিয়ে গেল। ভিড় দেখে পাড়ার জ্ঞানদা বুড়ো এসে স্নেহভরে জ্ঞান দিতে বসে গেল। "কমার্শিয়াল আর্ট কাকে বলে জানো?'' কাগজ-পেন্সিল টেনে নিয়ে বুড়ো তিনটে আঁকিবুকি কেটে দিতে দিতে বলছে - "এই যে কত কম লাইনে একটা হাঁস এঁকে দিলাম। এইরকম। কমার্শিয়াল আর্ট।''

    এরকম কেলেঙ্কারি আর একটা মনে আছে, ছোটমাপের। ফি সন অষ্টমীতে যাদবপুর বিজয়গড় যেতাম বাড়িশুদ্ধ সবাই, মেজোপিসির বাড়ি; ওটা রিচ্যুয়াল ছিল। বিজয়গড়ে ভারতমাতার একটা পূজো হয়, জানো বোধহয়। পূজোটা নমো নমো করে, কিন্তু বিকেল হলেই বিরাট ফাংশন। আমি তো শিশুকাল থেকেই বিশাল পেছনপাকা, গম্ভীরভাবে বলেছিলাম-একদম শব্দ বাই শব্দ মনে আছে - "লক্ষ্যটাকে উপলক্ষ্য যে কতদূর ছাড়িয়ে যেতে পারে !'' কেলাশ ফোর-ফাইভে পড়ি তখন। পিসতুতো দাদা-দিদিরা হেসে খুন। বাজে খোরাক হয়েছিলাম।

    এছাড়া বাদবাকি সব গতের। বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র, শিউলিফুল, সতীশ পালের ঠাকুর। আরেকটু বড় হলে লাল শালুতে মোড়া বইয়ের স্টল, তাতে "কমিউনিস্ট ইস্তেহার", "কি করিতে হইবে", "রাষ্ট্র ও বিপ্লব"-এর পাশাপাশি "চলো সোভিয়েত দেশ বেড়িয়ে আসি", "ইস্পাত", "জয়া-শুরার কথা"। মাঝখানে "মেঘে ঢাকা তারা''-র আগমনী গান ঢুকে পড়ে একটু ঘেঁটে দিল। "আয় লো উমা কোলে লই''। মন খারাপের একটা ফ্যাক্টর চলে এল। সন্ধ্যেয় ছাতিম ফুল ফুটলে গা গুলোনো বিষাদ ছড়াত।

    এসবই কমনপ্লেস। আমি খুব সুশীল আমজনতার মত নিয়ম মেনে দুগ্গাপূজা দেখি। বাবা-মা-বৌ নিয়ে কলকাতায় ঠাকুর দেখতে বেরোই, এবার হয়তো ছেলেও যাবে। পাটের মন্ডপ, ছোলার দড়ি, কুলো, হাত-পাখা, গাঁজার কল্কে, আয়নাভাঙ্গা-এসবের মন্ডপ দেখি। শালবনী, ময়ূরভঞ্জ, ঢেংকানল, গের্নিকার ঠাকুর। এশিয়ান পেন্টস এসে পূজোটাকে বদলে দিয়েছে। পূজোটা শীতকালে হলে ভালো হত।

    গৎ চলছে, চলবে। আমি উত্তর কলকাতার ঘিঞ্জি সরু গলি দিয়ে বাগবাজার-আহিরীটোলার ঠাকুর দেখতে যাই; বিকাশ ভটচাজের ছবির বিষণ্ন বয়স্থা কুমারী মেয়েরা উত্তর কলকাতার বিষণ্ন ছাদে শুকনো কাপড় তুলতে যায় হয়তো, চিলেকোঠার ফোকড় দিয়ে রাস্তা দেখে নিশ্চয়ই। আমি তাদের দেখতে পাই না। জিনস-টিশার্ট পরা ঝলমলে মেয়েদের কপালে তিন নম্বর চোখ থাকে হয়তো মুদিয়ালি-শোভাবাজারে; আমি দেখি নি কখনো। একবার পূজোয় উল্টোদিকের ট্রেনে চেপে বসেছিলাম আমি আর সোনালী-ভোরবেলা। সোনালীর কাঁধে ক্যামেরার ব্যাগ, ও ফটোগ্রাফার। আমরা পছন্দসই কোনো একটা দূরের গেঁয়ো স্টেশনে নেমে পড়ব - সেখানে একটা না একটা রাজবাড়ী কিংবা জমিদারবাড়ি কি আর থাকবে না, যাদের উঁচু উঁচু সাদা সাদা থাম-খিলান আর কড়িবরগার নাটমন্দির-খুব ধূমধাম করে পারিবারিক দুর্গাপূজা হচ্ছে,পূজোর অ্যাডে যেমন দেখায়। সোনালী ছবি তুলবে। সন্ধিপূজার, কলাবৌ স্নান করানোর, সন্ধের আরতির, ধুনুচির আঁকাবাঁকা ধোঁয়ায় ব্লার্ড হয়ে যাওয়া প্রতিমার। ধুনুচিনাচিয়ের আঁকাবাঁকা শরীরের শিল্যুয়েট। হাসিমুখ অনাবাসী মানুষের চিকণ সাজগোজ, পাটভাঙা ধুতি-পাঞ্জাবি, গরদ-জামদানী। সিঁদুরখেলা। ঢাকীর তামাটে প্রোফাইল। ঢাকের বাহারী পালকের সাজ, টেলিতে।
    গেলামও। গোয়াড়ি কৃষ্ণনগর না কি যেন নাম, ভুলে গেছি। কিন্তু সেই নাটমন্দির আর খুঁজে পেলাম না।

    আসলে আপাদমস্তক ঢপবাজি। আমরা কোনোদিনই ওরকম কোনো ভোরের ট্রেনে উঠে বসিনি। অথচ কতবার ভেবেছি, যাবো। যাবো ই। হয়তো খোঁজ নিলে দেখা যেত, ওরকম কোনো ভোরের ট্রেনই ছাড়ে না, পূজোর কলকাতা শহর ছেড়ে। উল্টোদিকে।

    গৎটা ফেটে গেল গতবার। এটা সত্যিকথা, ঢপ নয়। পূজোর সময় বার্নলে ছিলাম। পুরো শরৎকালটাই। আমরা কয়েকজন একটা ভাড়াবাড়িতে থাকতাম। আমরা ভারতের নানান জায়গা থেকে গিয়ে জুটেছি। আমাদের মেজাজ খুব খারাপ থাকত, একে অন্যের সঙ্গে তেড়ে ঝগড়া করতাম। আমাদের চাকরি হয় নি, পয়সা ফুরিয়ে আসছে হুড়মুড়িয়ে। ছাদ দিয়ে জল পড়ছে; কার্পেটে জমাট ময়লা। ব্যাঙ্গালোরের খচ্চর ছেলেটা ভোর হতে না হতেই তেড়েফুঁড়ে অসহ্য সব হিন্দি গান চালিয়ে দেয়।

    রেগেমেগে আমি চাকরির দরখাস্তগুলি বগলে নিয়ে পোস্ট অফিসের দিকে হাঁটা দিই। পোস্ট অফিস দূরে, হেঁটে যেতে মিনিট কুড়ি লাগে। একটা জায়গায় সরু বনপথের মত আছে, দুপাশে অজস্র নাম-না-জানা ফুল। গুচ্ছ গুচ্ছ লাল-কালো-নীলচে বেরির মত ফল ধরে আছে। ঐ পথটা পেরোলে ঘাসফুলে ঢাকা একটা সবুজ মেডো। শালিখের মত দেখতে পাখিরা গলার শির ফুলিয়ে ঝগড়া করছে।

    মেডোটা পুরো শেষ হওয়ার আগেই দেখতে পাই। লাল রংয়ের বাড়িটার পাশে মলিন সাদা অথবা ছাই ছাই রংয়ের অজস্র ফুল ফুটেছে। ঠিক কাশ নয়। কাশের মত।

    "অরেলিয়ানো" - কোনো এক অগাস্ট-বিকেলে টেলিগ্রাফের মাকোন্দো-প্রান্তে বসে বিষণ্ন কর্নেল গেরিনেল্ডো মার্কেজ মেসেজ পাঠাচ্ছিল - "মাকোন্দোয় এখন বৃষ্টি পড়ছে"।

    আমরা সবাই যে যার নিজস্ব মাকোন্দো বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছি আজীবন। যেখানে বারোমাস বৃষ্টি পড়ে। অথবা শিউলিফুল। কাশবন। সবুজ নালিঘাস।

    মাকোন্দোর নিয়ম এইরকম।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ইস্পেশাল | ০১ অক্টোবর ২০০৬ | ২০৫৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kk | 2607:fb90:ea0c:cd31:fc71:213d:589b:***:*** | ১৭ নভেম্বর ২০২৩ ০০:০৪526156
  • এই লোকটা এমন অদ্ভুত ভালো লিখতো। এখন আর পড়তে পাইনা বলে খুব দুঃখ হয়। খুব। দুঃখ। হয়।
  • &/ | 151.14.***.*** | ১৭ নভেম্বর ২০২৩ ০৫:২৪526170
  • খুব খুব খুব ভালো লাগত। এঁর এর সব লেখাই বড্ড সুন্দর। 'আমার উন্মন বাদ্যকর' লেখাটার মত আর একটা লেখার অপেক্ষায় থাকতাম। বড়াই ভাটে এলেই চেপে ধরতাম, আ উ বা? আ উ বা? বড়াই আর ভাটেও আসে না। ধিঙ্গিপদও আসে না। হুনপঁচাশও আর ধিঙ্গিপদকে কিছু অনুরোধ করতে পারে না।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট মতামত দিন