এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  আলোচনা  সমাজ

  • বাংলাদেশের দুর্গাপূজা!!!

    দীপ
    আলোচনা | সমাজ | ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ৫৭২ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের অবস্থা ও দুর্গাপূজা নিয়ে লিখলেন লেখক ও সমাজবিজ্ঞানী ইমতিয়াজ মাহমুদ। কেউ আগ্রহী হলে পড়তে পারেন।
    ------------------

    সারা দেশে দুর্গা পূজা উপলক্ষ্যে পূজামণ্ডপগুলি নাকি পাহারা দেওয়া হবে। মোল্লারা বলে আমরা পাহারা দিব। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে পুলিস ও আনসার থাকবে পাহারায়। বিএনপির একজন নেতা বক্তৃতায় ওদের কর্মীদেরকে আহ্বান করেছেন ওরা যেন পূজা মণ্ডপ পাহারা দেয়। সেনাপ্রধানও বলেছেন যে তিনি তাঁর বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন পূজা উপলক্ষে পাহারা দেওয়ার জন্যে।

    এইসব দেখেশুনে আমার হাসি পায়। কেন? কেননা এইসব লোকেরাই আবার সুযোগ পেলেই ঝেড়ে দেন যে বাংলাদেশ নাকি একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। ও ভাই, আপনারা সবাই পূর্বানুমান করছেন নিপুণভাবে যে পূজা মণ্ডপে হামলা যেন একটি প্রায় অনিবার্য ঘটনা। সম্প্রীতিই যদি থাকবে তাইলে হামলা কেন অনিবার্য হবে। সেই শঙ্কা দূর করেন- হামলার আশঙ্কা না থাকলে তাইলে তো এতো পাহারা ইত্যাদি দরকার হয় না।

    শঙ্কা দূর করবেন কিভাবে? দুইটা পদক্ষেপ নিয়ে দেখেন। প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে যে রাষ্ট্রের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র উদ্ধার করেন। রাষ্ট্র সরকার রাজনীতি শিক্ষাঙ্গন এইসব থেকে ধর্মকে আলাদা করে ফেলেন। সাম্প্রদায়িকতা যে মন্দ সেইটা সেখান বাচ্চাদের। আর দ্বিতীয় পদক্ষেপ হচ্ছে সমস্যাটা স্বীকার করা ও শক্তহাতে আইন প্রয়োগ করা। সমস্যা স্বিকার করা মানে সৎ ভাবে স্বীকার করা আর শক্ত হাতে মানে শক্ত হাতে। ধানাই পানাই নয়।

    সাম্প্রদায়িক হামলা হলে আপনারা বলতে শুরু করেন আওয়ামী লীগ করেছে বা বিএনপি করেছে। কেউ কেউ আবার জ্ঞানগর্ভ বানি দিতে থাকেন, হিন্দুরা নৌকায় ভোট দেয় বলে হামলা হয় এইরকম কত তর্ক। ভাইসাহেব, যারা মূর্তি ভাঙে ওরা আওয়ামী লীগ কি বিএনপি সেটা তো অপ্রাসঙ্গিক আলোচনা- দায়িত্ব এড়ানোর কথা। এইভাবে যদি কোন গোষ্ঠীকে চিহ্নিত করতেই হয় তাইলে তস্করদের প্রাসঙ্গিক পরিচয়টা বলেন, মূর্তি ভাঙে মুসলমানরা।

    প্রতিদিন মূর্তি ভাঙা হচ্ছে, পাহারা দিয়ে আপনারা কি যে ঘণ্টাটা বাজাবেন!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • দীপ | 2402:3a80:1979:ce96:778:5634:1232:***:*** | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৬:৫৩745825
  • ধর্মের নামে যারা সন্ত্রাস করে, ওদের উত্থানে যদি আমি উদ্বিগ্ন হই তখন আপনারা আমাকে 'ইস্লামফোব' না কি যেন এইরকম একটা শব্দ আছে সেটা বলে গালি দিবেন। আবার পূজার সময় যখন কিছু লোক পূজামণ্ডপে হামলা করতে থাকে তখন মিনমিন করে বলবেন যে এটা তো ঠিক না, প্যাঁ প্যাঁ। ওরা যখন হুমকি দিতে থাকে যে আমাদের স্কুলগুলিতে সঙ্গীত শেখানো যাবে না, তখন কিছু বলেন না। ঐ লোকেরাই আবার যখন মাজারে হামলা করে, কবর থেকে মৃতদেহ তুলে জ্বালিয়ে দেয় তখনও ঐ ঐরকম মিনমিন করবেন। তো আপনাদেরকে আমি সাম্প্রদায়িক বলব না তো কি বলব? উদার? অসাম্প্রদায়িক? আধুনিক? 
     
    মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা একটা আধুনিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছি। স্বাধীনতার চেতনাই হচ্ছে যে আমার এই প্রিয় মাতৃভূমি একটা অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হবে। অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র মানে কি? মানেটা খুব সোজা- আপনি আপনার ধর্ম পালন করতে চান, সেটাও আপনার স্বাধীনতা, আর কেউ যদি ধর্ম পালন করতে না যায় সেটাও তার স্বাধীনতা, রাষ্ট্র সবার অধিকার রক্ষা করবে। রাষ্ট্রের কোন ধর্ম থাকবে না বা ধর্ম নিধর্ম বা বিশ্বাস অবিশ্বাস এইসব কোনটাতেই রাষ্ট্রের কোন পক্ষপাতিত্ব থাকবে না। এখন লোকে নানারকম সব হুমকি দিতে থাকে ধর্মীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে, বলে কিনা নব্বই পারসেন্ট মুসলিমের দেশে এটা হবে না সেটা হবে না। আর আমি তাতে শঙ্কা প্রকাশ করলে আমি মন্দ হয়ে গেলাম? 
     
    আমি আপনাদেরকে সাম্প্রদায়িকই বলবো। সাম্প্রদায়িকতার উত্থানে কেউ শঙ্কিত হলে আপনি তাঁকে 'দাঁতভাঙ্গা' জবাব দিতে চান, আপনি সাম্প্রদায়িক নয় তো কি? এক ব্যাটা থারুর শিবিরের উত্থানে শঙ্কা প্রকাশ করেছে, তাতে এক চাল্লু টাইপ বাচাল ছোকরা কি একটা প্রতিবাদ নাকি করেছে, সেটার কোন গুরুত্ব দিলাম না। ঠিক আছে, পোলাপান মানুষ, ইগ্নোর করেন। ওমা, বুড়ো ধাড়ি কিছু নেতা দেখি ঐটা নিয়ে আবার সে কি উল্লাস! বলে কিনা, দিয়েছে দিয়েছে, দাঁতভাঙ্গা জবাব দিয়েছে। কেন ভাই? ভারতের কোন রাজনৈতিক ঘটনা নিয়ে আমরা কি কখনো শঙ্কা উদ্বেগ বা উৎকণ্ঠা প্রকাশ করি না? আপনিও করেন আমিও করি। 
     
    এটা তো খুবই সভ্য একটা রীতি। ভেনেজুয়ালার ঘটনা নিয়ে আপনি উদ্বেগ বা শঙ্কা প্রকাশ করেন না? ইংল্যান্ডের ঘটনা, বা আমেরিকার ঘটনা? কেন করবেন না। আমাদের দেশের অভ্যন্তরে ঘটা ঘটনা নিয়েও অন্য দেশের লোকজন উদ্বেগ উৎকণ্ঠা শঙ্কা প্রকাশ করে। কোন কোন সময় সেসব প্রতিক্রিয়া ভুলও হয়। ভুল হলে আবার সেটার নিন্দাও হয়। একজন বুদ্ধিজীবী এই দেশে সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থানে শঙ্কা প্রকাশ করেছে তাতে এতো ইয়ে হওয়ার কি হয়েছে যে তাঁর দাঁত ভেঙে দিতে হবে? আপনি নিজে কি শিবিরের উত্থানে আনন্দিত? হতে পারেন, আপনি আনন্দিত হলে হবেন। আমি কি তখন আপনাকেও সাম্প্রদায়িক বলবো না! 
     
    কি অবাক ধরণের যে বামপন্থী গজিয়েছে! বলিহারি আরকি।
     
    ইমতিয়াজ মাহমুদ 
  • দীপ | 2402:3a80:1979:ce96:778:5634:1232:***:*** | ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৬:৫৫745826
  • পশ্চিমবঙ্গেও এধরনের দুকানকাটা মাকু (এদের বামপন্থী বলতে ঘৃণা হয়) দেখা যায়।
    এরা নির্লজ্জভাবে বলে বেড়ায়, আটাত্তর বছরে কোনোকিছুই ঘটেনি! 
    বেইমান মীরজাফর!
  • দীপ | 2402:3a80:1971:9a48:578:5634:1232:***:*** | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৩:১৯745851
  • বিষয়টা অনেকেই জানেন না। গত বছরের এই দিনে (২৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় ‘ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-জনতা’র ব্যানারে দুর্গাপূজা উপলক্ষে ১৬ দফা দাবি জানানো হয়েছিল।
     
    তাদের দাবিসমূহ ছিল–
     
    ১। ধর্ম যার যার, উৎসবও তার তার। পূজা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের নিজস্ব ধর্মীয় অনুষ্ঠান। এটা সার্বজনীন অনুষ্ঠান নয়। দুর্গা পূজাকে সার্বজনীন দাবী করা অন্য ধর্মের অবমাননা। তাই কোন মন্দিরে দুর্গা পূজাকে সার্বজনীন উল্লেখ করে সাইনবোর্ড ঝুলানো যাবে না। (কথাটা হবে সর্বজনীন—কিন্তু মোল্লাদের পড়াশোনার বিবেচনায় এটুকু ভুল মেনে নেওয়াই যায়!)
     
    ২। রাস্তা বন্ধ করে যত্রতত্র পূজা করা চলবে না। মন্দিরের ভেতরেই পূজা করতে হবে, মন্দিরের বাইরে রাস্তায় মণ্ডপ বানিয়ে কিংবা পূজার মিছিল করে যানজট তৈরি কিংবা জনগণের চলাচলের অধিকারে বাধা প্রদান করা চলবে না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও মণ্ডপ তৈরি করা যাবে না, পূজাও করা যাবেনা।
     
    ৩। জনবিরক্তি তৈরি করে এমন কোন কাজ করা যাবে না। মন্দিরে জোরে মাইক বাজানো, ডেক সেট বাজানো, ডিজে পার্টি করে শব্দ দূষণ করা যাবে না। যত্রতত্র পূজার ব্যানার-পোস্টার লাগানো চলবে না।
     
    ৪। মদ বাংলাদেশের আইনে নিষিদ্ধ। তাই পূজাকে কেন্দ্র করে কোন মন্দিরে মদ খাওয়া চলবে না।
     
    ৫। কোনো মন্দিরে প্রয়োজনের অতিরিক্ত সংখ্যক মূর্তি বানানো কিংবা মূর্তির ইচ্ছামত উচ্চতা দেয়া চলবে না।
     
    ৬। মূর্তিতে এমন কোন উপাদান ব্যবহার করা যাবে না, যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। মূর্তিতে পরিবেশ দূষণকারী কোন উপদান ব্যবহার করা হচ্ছে কি না, তা তদাকরীর জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে।
     
    ৭। পানি দূষণ হয় বিধায় ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিশ্বের কোথাও উন্মুক্ত পানিতে পূজা শেষে মূর্তি ডুবাতে দেয়া হয় না। খোদ ভারতেও অনেক রাজ্যে উন্মুক্ত পানিতে মূর্তি ডুবনো নিষিদ্ধ। অথচ বাংলাদেশে যত্রযত্র নদী, পুকুর, খাল, বিলে পূজার মূর্তি ডুবিয়ে মারাত্মক পরিবেশ দূষণ করা হয়। মূর্তির উপাদান পঁচে গিয়ে পানি দূষণ করে, মাছসহ বিভিন্ন প্রাণী মারা যায়। অনেকসময় এই বিষাক্ত মাছ খেয়ে মানুষও মারা যায়। পানিদূষণ রোধ করতে তাই উন্মুক্ত পানিতে পূজার মূর্তি ডুবানো নিষিদ্ধ করতে হবে।
     
    ৮। ত্রাণের টাকা দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ব্যবহৃত হবে, পূজার জন্য নয়। অথচ আওয়ামীলীগের আমলে ত্রাণ তহবিলের টাকা হতে মণ্ডপ প্রতি ৫০০ কেজি করে প্রায় ৩২ হাজার মণ্ডপে চাল দেয়া হতো। এটা বন্ধ করতে হবে। ত্রাণের টাকা ত্রাণের জন্য রাখতে হবে, কোনোমতেই ত্রাণের অর্থ পূজায় দেয়া চলবে না।
     
    ৯। দুর্গাপূজার ছুটি সাধারণ নয়, বরং ঐচ্ছিক করতে হবে। জনসংখ্যার মাত্র শতকরা ২ ভাগের কম হিন্দু ধর্মাবলম্বীর জন্য শতকরা ৯৮ ভাগ মুসলিম জনগোষ্ঠীকে কর্ম থেকে দূরে রেখে দেশের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করা চলবে না।
     
    ১০। পূজা উপলক্ষে কোনরূপ চাঁদাবাজি করা চলবে না। পূজার জন্য কোন মুসলমান থেকে সাহায্য-সহযোগিতা নেয়া যাবে না, কারণ মুসলমানদের জন্য হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পূজায় আর্থিক অংশগ্রহণ করা শরীয়তে নিষিদ্ধ।
     
    ১১। রাস্তায় পূজার তোরণ নির্মাণ করা যাবে না। কারণ পূজার তোরনে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দেব-দেবীর ছবি থাকে। সেই দেব-দেবীর ছবির নিচ দিয়ে মুসলমানদের যাতায়াত করা মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত।
     
    ১২। পূজা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের নিজস্ব অনুষ্ঠান। তাই সেই অনুষ্ঠানে যেন কোন মুসলমান ব্যক্তি প্রবেশ না করতে পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। পূজার প্রসাদ মুসলমানদের খাওয়া হারাম। তাই পূজার প্রসাদ দেয়া যাবে না। পূজার পোস্টারে মুসলমানদের দিয়ে পূজার শুভেচ্ছা জানানোর মত ধর্মীয় অবমাননামূলক কাজ বন্ধ করতে হবে।
     
    ১৩। বাংলাদেশে রপ্তানি নীতি ২০২১-২৪ অনুসারে ইলিশ রফতানিযোগ্য কোন মাছ নয়। কিন্তু তারপরও সেই নীতিমালা ভেঙ্গে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ভারতে পূজা উপলক্ষে ৩ হাজার টন ইলিশ রফতানির ঘোষণা দিয়েছে। রাষ্ট্রীয় নীতিমালা বিরোধী এ সিদ্ধান্ত থেকে অবিলম্বে সরকারকে সরে আসতে হবে এবং রপ্তানি বন্ধ করতে হবে। জনবিরোধী এ সিদ্ধান্তকে অন্যায় স্বীকার করে সরকারকে দেশের জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
     
    ১৪। বাংলাদেশের অনেক খাস জমি দখল করে মন্দির বানানো হয়েছে। খাস জমি থেকে সেই সকল মন্দির অপসারণ করে দ্রুত খাস জমি মুক্ত করতে হবে।
     
    ১৫। অনেক মন্দিরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিরোধী ‘অখণ্ড ভারত’ প্রতিষ্ঠায় উগ্রবাদীরা মিটিং করে বলে খবর পাওয়া যায়। কোন মন্দির এ ধরনের ‘রাষ্ট্রদ্রোহী’ অভিযোগে অভিযুক্ত হলে সেই মন্দির বন্ধ ঘোষণা করতে হবে। যে সকল হিন্দু ধর্মীয় নেতা অখণ্ড ভারত প্রতিষ্ঠার ‘রাষ্ট্রদ্রোহী’ বক্তব্য দিয়েছে তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে শাস্তি প্রদান করতে হবে।
     
    ১৬। ‘হিন্দু মানেই ভারতের দালাল’ বাংলাদেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদেরই এ অপবাদ ঘুচাতে হবে। যেহেতু ভারত বাংলাদেশের জাতীয় শত্রু, তাই বাংলাদেশের হিন্দু নাগরিকদেরও ভারত বিরোধীতায় সম্মতি দিতে হবে। এজন্য মন্দিরগুলোতে ভারত বিরোধী ব্যানার ও পূজার আলোচনায় ভারতবিরোধী শ্লোগান রাখতে হবে। বিশেষ করে সম্প্রতি ভারতে আখেরী নবী হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মানহানী করে হিন্দু উগ্রবাদীরা বক্তব্য দিয়ে উস্কানিমূলক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। দূর্গা পূজার সময় মন্দিরগুলোতে ভারতীয় উগ্রবাদীদের এই অপকর্মের নিন্দা জানিয়ে বক্তব্য প্রচার করতে হবে। দায়ীদের শাস্তি চাইতে হবে।
     
    ইনসাফ কায়েমকারীদের এই দাবি জানানোর বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সকল মোল্লাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি এবং তাদের পারলৌকিক শান্তি কামনা করছি।
     
    লিখেছেন ব্রত রায়।
  • দীপ | 2401:4900:3bf4:1ac8:1364:e324:36c0:***:*** | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০১:১৩745857
  • জাতিসংঘে ইউনুস সাহেব গাজার মুসলিমদের জন্য কেঁদেছেন এবং রোহিঙ্গা মুসলিমদের জন্য ভিক্ষে চেয়েছেন। বাংলাদেশের অধিকাংশ মুসলিম যে তাঁকে বিদেয় নিতে বলছে, তাঁকে যে মব সন্ত্রাসের জন্য আর দেশ জুড়ে বিরাজমান ভয়াবহ অরাজকতার জন্য দায়ী করছে, সে সম্পর্কে কিছু বলেননি। জাতিসংঘের সামনেই যে বাংলাদেশের হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টানসহ মুসলিমরাও ইউনুসের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে, ইউনুসকে খুনী বলছে, এ ব্যাপারেও তিনি নীরব ছিলেন। 
     
    সরকারি অর্থ শাহেনশাহ'র মতো ব্যয় করছেন ইউনুস। কিছু নারীবিদ্বেষী আর হিন্দুবৌদ্ধখ্রিস্টানইহুদিবিদ্বেষী জামায়াতি কুলাঙ্গার নিয়ে জাতিসঙ্ঘে ঢুকেছেন। একটা চুল খোলা তরুণীকেও নিয়ে গেছেন ব্যালেন্স করার জন্য। তাঁর তো উচিত ছিল জিহাদি পুরুষগুলোর সঙ্গে কোনও নারীকে না নেওয়া, অথবা নিলেও একটা বোরখাওয়ালী বা হিজাবি নেওয়া। 
     
    বাংলাদেশে বাড়ি ঘর জমি জমা ফেলে ইউনুসবাহিনীর ভয়ে নির্যাতিত যে হিন্দুরা গত এক বছরে ভারতে চলে এসেছে, তাদের মধ্যে কয়েকজনকে দেখলাম দুর্গাপূজার জন্য অসুরের মূর্তি গড়ার সময় অসুরের মুখে বসিয়েছে ইউনুসের মুখ।
     
    তসলিমা নাসরিন
  • দীপ | 2402:3a80:1975:c733:678:5634:1232:***:*** | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:১৭745870
  • অসুরের মুখে দাড়ি থাকলে যীশু, নানক, মুসার দাড়ির কথা কেউ মিন করে না। খালি একটা বিশেষ দল মনে করে আমাগো অসুরের মত দেখতে লাগে! 
     
    শুনছি বাংলাদেশের বিভিন্ন মন্ডপে দাড়িওয়ালা অসুরের বিরুদ্ধে অলিখিত ফরমান জারি হয়েছে। ফলে সেই দাড়ি চেঁছে ফেলতে হচ্ছে কিংবা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে হচ্ছে।
     
    ধারণা করি অসুরের দাড়ি দেখে যারা নিজেদের দাড়িতে হাত বুলিয়ে নিজেদের ভেতরের অসুরসত্ত্বাকে অনুভব করতে পারছে তারাই অসুরের দাড়ির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে। কারা এই জীবন্ত অসুর? অসুর নামের মধ্যেই তাদের পরিচয় নিহিত। যারা সুর পছন্দ করে না, জীবনের সমস্ত সৌন্দর্য ও শিল্পকলাকে নিষিদ্ধ করে মানুষের জীবনকে সংগীত, নৃত্য, চিত্রকলামুক্ত সুরহীন কঠোর কঠিন অনুশাসনযুক্ত গদ্যে পরিণত করতে চায় তারাই সেই অসুর।
     
    অতঃপর মাটির অসুরের দাড়ি থাকতে পারবে না। তাতে রক্তমাংসের অসুরের সমস্যা হয়। অসুর হতে হবে দাড়িমুক্ত। 
     
    আমাদের চারপাশে যারা মহামানবের মুখোশ পরে দানব হয়ে উঠেছে, তাদের অনেকেরই দাড়ি নেই। সুতরাং দাড়িমুক্ত অসুর অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে তারাও যদি বেঁকে বসে, দাড়িমুক্ত অসুরের মধ্যে নিজেকে খুঁজে পেয়ে অসুর দাড়িমুক্ত হতে পারবে না এমন অলিখিত ফরমান জারি করে তখন দুর্গাপূজার অসুর বানানোই মুশকিল হয়ে যাবে।
     
    ফেসবুক
  • দীপ | 2402:3a80:198d:3f1b:778:5634:1232:***:*** | ০১ অক্টোবর ২০২৫ ১২:৩১745874
  • পণ্ডিতেরা অবশ্য কিছুই বুঝতে পারেননা!
     
     
    https://fb.watch/CsyJKsQ1jw/?mibextid=Nif5oz
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে মতামত দিন