এমনিতে রবীন্দ্রকবিতা আজ বহুকাল হল তেমন করে পড়া হয় না। তেমন টানে না বলে পড়ি না, নাকি পড়া হয় না বলেই টানে না-জানি না। তিনজোড়া লাথির ঘায়ে রবীন্দ্র রচনাবলী তো কবেই লুটায় পাপোষে, আর এই ২০১৩তে এত আভাঁ গার্দ ছেড়ে রবীন্দ্রনাথ পড়বার তেমন কারণই বা কী আছে-এইসব হয়তো আবছা করে ভেতরের মন ভাবে।
কিন্তু এমন দিন তো হয়, যেমন আজকের এই দিন-খুব গরমের পর হঠাৎ করে মেঘ ঘনিয়ে আসার মত কালো দিন, ভেজা। যখন ঐ জাব্বাজোব্বা-আলখাল্লা-দাড়িগোঁফের ভেতরের প্রবল প্রতাপী, প্রেমিক ও দুঃখী মানুষটি হঠাৎ করে সামনে এসে দাঁড়ান। গান নিয়ে নয়, গান তো হামেশাই আসে,- কবিতা হাতে নিয়ে দুঃস্বপ্নের মধ্যে চমকে দিয়ে বুকে হাত রাখেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আজকে যেমন।
স্কুলে পড়তে আমাদের প্রিয় শিক্ষক ছিলেন দেববাবু। সেই দেববাবু, একদিন সকালে স্কুলে গিয়ে শুনলাম -মারা গেছেন। খুব হঠাৎ করে। মানে আছে দেববাবুর স্মরণসভায় আমাদের আর এক জন শিক্ষক এই রবীন্দ্রকবিতাটি আবৃত্তি করেছিলেন-দ্বিধা। সেদিন থেকে "দ্বিধা'' আমার সঙ্গে সঙ্গেই থাকে, মনের ঘুমের মধ্যে। আজকে এই ভেজা দিনে সে আবার জেগে উঠল। ঋতুপর্ণ ঘোষের শেষ যাওয়া দেখতে দেখতে। মাথায় খয়েরি পাগড়ি, গায়ে কালো আলখাল্লার মত পোষাক পরিয়ে ভালো করে সাজিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেমন করে সাজতেন আজকাল ঋতুপর্ণ। কে তোমারে এ বেশভুষা/পরাইয়া দিল শুনি-লালন গেয়েছিলেন। কিন্তু সে তো জ্যান্তে মড়া মানুষজনকে নিয়ে। আমাদের ঋতুপর্ণ ঘোষ আর জীবিত নেই। জ্যান্তে মড়া ছিলেন কি না, থাকা ওঁর পক্ষে সম্ভব কিনা, লালনের গান ওঁর বেঁচে থাকাকে বিদ্ধ করত কিনা জানি না। লালনের এই গান, ওঁর মৃত্যুকে অন্ততঃ বিদ্ধ করল না। ঋতুপর্ণর সকালবেলার মৃত্যু, আর এই সেজেগুজে চলে যাওয়ার পথের ধারে এসে দাঁড়িয়েছেন লালন নন, রবীন্দ্রনাথ । ঋতুপর্ণ'র পরম সুহৃদ ছিলেন। নানান ইন্টারভিউয়ে শুনেছি।
বাহিরে যার বেশভূষার ছিল না প্রয়োজন
হৃদয়্তলে আছিল যার বাস
পরের দ্বারে পাঠাতে তারে দ্বিধায় ভরে মন
কিছুতে হায়, পায় না আশ্বাস......
.....চন্দনের গন্ধজলে মুছালো মুখখানি
নয়নপাতে কাজল দিল আঁকি
ওষ্ঠাধরে যত্নে দিল রক্তরেখা টানি
কবরী দিল করবীমালে ঢাকি
ভূষণ যত পরালো দেহে
তাহারি সাথে ব্যাকুল স্নেহে
মিলিল দ্বিধা, মিলিল কত ভয়
প্রাণে যে ছিল সুপরিচিত
তাহারে নিয়ে ব্যাকুল চিত
রচনা করে চোখের পরিচয় ।
--
প্রথম উনিশে এপ্রিল দেখা। প্রথম দেখায় চমকে ওঠা। এই যে, সত্যজিত রায়ের ঝাণ্ডা বয়ে নিয়ে যাওয়ার লোক এসে গিয়েছে। তারও বেশ কিছুকাল পরে হীরের আংটি দেখলাম। ভালোই লেগেছিল। ডেবিউ ফিল্ম হিসেবে যথেষ্ট ভালো। মনে আছে আমরা এন আর এসের বন্ধুরা অনেকে মিলে হই হই করতে করতে ছবিঘর-এ গিয়ে উনিশে এপ্রিল দেখে এসেছিলাম। ঋতুপর্ণ'র প্রিয় সার্কিট প্রিয়া-মিত্রা'য় ছবি মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরী হতে তখনো অনেক দূর। এর অনেক পরে টিভিতে সম্প্রচারিত অপর্ণা সেনের সঙ্গে আলাপের সময় শুনেছিলাম সেসময়কার ঋতুপর্ণ নাকি বলেছিলেন-যেসব দর্শক আমার সিনেমা দেখতে আসবেন, তাঁদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাসন মেজে দিয়ে আসতেও রাজী। কিন্তু এতটা দুর্ভাবনার কিছু ছিল না। দর্শক প্রচুর এলেন। বুদ্ধিমান নাগরিক যুবতী ও যুবকরা আবার বাংলা সিনেমা দেখতে ফিরে এলেন। যদিও তখনো বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত রয়েছেন, মৃণাল সেন আরো ফিল্ম বানাবেন। কিন্তু সে জৌলুষ ফিকে হয়ে আসছে। গৌতম ঘোষ মধ্যমানে আটকে গেছেন। উৎপলেন্দু বেঁচে আছেন কিনা তাই মনে পড়ছে না।
তারপর এক সময় মধুচন্দ্রিমা শেষ হয়। আমরা ধীরে ধীরে ঋতুপর্ণ'য় অভ্যস্ত হয়ে উঠি। ঋতুপর্ণ সত্যজিত রায় নন, এই কথাটা ভারী পাথরের মত মনের ঘোলাজলে একটু একটু করে সিংক ইন করে। অজস্র ফিল্ম তৈরী হতে থাকে। কুড়ি বছরের ডিরেকটোরিয়াল কেরিয়ারে কুড়িখানা ফিল্ম, গড়ে বছরে একটা। খুব খুঁতখুঁতে ও যত্নবান পরিচালকের পক্ষেও এতগুলো ফিল্মের প্রতি সমান জাস্টিস করা সম্ভব নয়। কিছু ফিল্ম ভালো লাগে, কিছু মাঝারি, কিছু বেশ খারাপ। কোনো ফিল্ম দেখে আবার চমকে উঠে বসি-চেনা ঋতুপর্ণ আবার ফিরে এসেছেন। ইস্পাত আবার জং ঝেড়ে ফেলে তার নীল ফিরে পেয়েছে। এক্ষুণি মনে পড়ে যাচ্ছে বাড়িওয়ালী ফিল্মের সেই শুরুর মনসার গীতি। কোমল গান্ধারের আমের তলায় ঝামুর ঝুমুর মনে করিয়ে দিয়েছিল। উৎসব মনে থাকে। তিতলি। শুভ মহরত।শুভ মহরতে সুমন্তর মুখের খিস্তি আর রাখীর মুখে-ফের যদি চোপা করবি... শুনে আশা হয় , একটু যদি ঘুরে দাঁড়ান ! একটু যদি অন্যরকম হয় চেনা ঋতুপর্ণর মধ্যবিত্ত-উচ্চ-মধ্যবিত্ত'র গণ্ডী কাটা সিনেমার জগৎ !
সব ফিল্ম তো দেখাও হয় না, অসুখ কিম্বা অন্তরমহল যেমন। চোখের বালি দেখতে দেখতে ঘুম পেয়ে যায়। হল ছেড়ে বেরিয়ে আসতে ইচ্ছে করে। কিন্তু তার মধ্যেও গান নিয়ে ঐসব যাদুর ছোঁয়া- ও জীবন রে, ছাড়িয়া যাস না মোরে; কিম্বা শেষে দুই রবীন্দ্রগানকে মিশিয়ে ঐরকম মারাত্মক নির্মাণ-এরা সুখের লাগি চাহে প্রেম আর আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে। হয়তো মুকুটটা দেবজ্যোতি মিশ্ররই প্রাপ্য, কিন্তু কোথাও ভাবতে ভালো লাগে, এর একটুখানি ভাগীদার ঋতুপর্ণ ঘোষও। হয়তো পার্শিয়ালিটি। কৃতজ্ঞতাবোধ।
মনে হয়, আর একটু যদি কম গল্প বলতেন ! যদি আর একটু পরাবাস্তবের দিকে ঝুঁকে যেত ওঁর সিনেমা ! যদি চেনা সেটের বাইরে , ইনডোরের বাইরে বিশাল নীল আকাশের নীচে, বিশাল মাঠের মধ্য দিয়ে দিগন্তের দিকে হেঁটে যেত ওঁর সিনেমা ! পর্দাজোড়া নদীর মধ্যে বিশাল জালের ফাঁক দিয়ে চিক চিক করে উঠত জলের রূপোলী শস্য,আর পাগলের ভাঙা মুখ! যদি কেউ বলে উঠত-কে মা ! মুখখান তো দ্যাখলাম না ! এত রক্ত ঝরে যাচ্ছে দান্তেওয়ারা-বস্তার-জঙ্গলমহলে, এত লাঠি উঁচিয়ে উঠছে নিয়মগিরি-কন্ধমাল-পারাদ্বীপে, সে সব কোথায় ওঁর সিনেমায় ! কিম্বা এই যে কাছের কলকাতা কেমন রাগী আর অন্তর্ঘাতী হয়ে উঠছে আমাদের নিশ্চিন্ত ঘুমের ঠিক নিচে, হাইরাইজের নিচে-কোথায় তারা? কোথায় স্থানীয় সংবাদ? ফ্যাতাড়ুরা কোথায়?
আসলে সব উইশফুলফিলমেন্ট। আমরা এই যারা অনেক কাল হল কাজের মাসি আর বাজারের দোকানী ছাড়া আর কোনো ছোটলোকের সঙ্গে মিশি না, আমরা যারা এককালে রাস্তায় দুয়েকপা ঝাণ্ডা হাতে মিছিলে হাঁটতাম, যারা পাহাড়ে চড়ার স্বপ্ন দেখেই কাটিয়ে দিলাম আর বচ্ছরান্তে এক হপ্তার ছুটি নিয়ে দার্জিলিং-কালিম্পং-নেওড়া ভ্যালির ইকো হাটে ঘুরে বেড়িয়ে এলাম,তারা কি একজন রেনম্যান চেয়েছিলাম ? ঋতুপর্ণ'র কি দায় রয়েছে নিজের জীবনটাকে -ও সেই সঙ্গে সিনেমাকে-উল্টে দিয়ে নতুন রাস্তা খুঁড়ে চলবার? ঋতুপর্ণর কি দায় ছিল কোনো আমাদের কাছে?
হয়তো ছিল। দর্শকের কাছে না হলেও, নিজের কাছে। হয়তো ক্লান্ত লাগছিল খুব। সেইজন্যেই নিজেকে লেখা চিঠিতে নিজেকে নিয়ে ঐরকম বিরক্তি। ঋতুপর্ণ'র সিনেমায় রোদ্দুর বলতে পর্দার আড়াল কিম্বা চিকের ফাঁক দিয়ে এক চিলতে আলো, সেখানে সারাক্ষণ মানুষেরা গম্ভীর চিন্তা করে , কাঁদে, ঝগড়া করে উঁচু গলায় অথবা মনে মনে; প্রাণের হুল্লোড় নেই কোনো; ঋতুপর্ণ পালিয়ে যেতে চাইছিল,পর্দায় রুমাল বের করবার খসখস অথবা কান্নার শব্দ থেকে,ঋতুপর্ণ পালিয়ে যেতে চাইছিল ঋতুপর্ণ'র থেকে।
কিম্বা ফার্স্ট পার্সন-এর কলামে। এতগুলো পুরস্কার, আলোর ঝলকানি আর গাদা গাদা সিনেমার মাঝখানে সার্থক পরিচালক ভাবছেন-জীবন বয়ে গেল। সময় পেরিয়ে গেল। যে সিনেমাটা করার কথা ছিল, সে আর হল না। সময়ের অভাব নয়। অক্ষমতা।
---
তারপর ধীরে ধীরে বাঁক নিতে থাকে ওঁর জীবন ও শিল্প। শুরুর সেই রোগাটে মুখের সুদর্শন যুবক, একমাথা কোঁকড়া চুল, তাঁর বয়স বাড়ে। চুল কমে আসে। মেদ জমে মুখে ও শরীরে। কথায় ও ভঙ্গিতে মেয়েলীভাব বাড়ে। পোষাকে মেয়েলীভাব বাড়ে। আমরা যারা বদল চেয়েছিলাম, ঘাবড়ে যাই। আমাদের মধ্যবিত্ততা আর চেনা বিপ্লবীয়ানা দিয়ে এই বদলকে অ্যাকোমোডেট করতে পারা যাবে না, জানা কথা।কিন্তু সব জানা উত্তরই তো সহজ নয়। আমরা মানুষটাকে নিয়ে অস্বস্তিতে পড়ি,ইন্টেলেকচুয়াল পরিচালক আবার এমনি হয় নাকি! সে হয় গাদা গাদা বইয়ের মধ্যে ডুবে থাকবে, পাইপ চিবোবে, নয়তো পর্দায় মদ ঢেলে দেবে। এ কেন মাথায় পাগড়ি পরে, ভ্রু প্লাক করে, এত চড়া প্রসাধন করে,কানে দুল পরে। অস্বস্তি ঢাকতে আমরা হাসাহাসি করি কিম্বা রেগে যাই। আমাদের সাংবাদিক লেখেন- জয়া বচ্চন মঞ্চে উঠে একটু হেসে ঋতুপর্ণকে বললেন-বটুয়াটা ধর ! লিখে মুখ টিপে হাসেন। আমরা , খবরের কাগজ পড়ুয়ারা মনে মনে কিম্বা সোচ্চারে হাসি। আমাদের ক্যারিকেচার শিল্পী ছুরির ধারের মত ক্যারিকেচার করে দেখান। আমরা চিত্রাঙ্গদা'র পোস্টারে ঐ রূপান্তরকামী তৃতীয় যৌনতার মানুষকে দেখে মুখ বেঁকিয়ে নিই। আমরা, হ্যাঁ হ্যাঁ, আমরা মৃত্যুর দিনেও বলাবলি করি-আচ্ছা, ও কবে থেকে ছক্কা হল , বলো তো ! ঋতুপর্ণ প্রমাণ করে দেন, আমাদের চোখের চামড়া টেনে তুলে প্রমাণ করে দেন- সম্মান-যশ-প্রতিপত্তি-সাফল্য এই সব অর্জনকে ঢেউয়ে ঢেউয়ে মরা আগাছার মত, মৃত জলজন্তুর মত পাড়ে ফেলে রেখে জীবনের সমুদ্র দূরে চলে যায়। বহুদূরে। প্রান্তিকের জন্যে, ছক ভাঙা বিদ্রোহীর জন্যে তার সহানুভূতি নেই এক ফোঁটাও। কাঙাল ও একলা তৃতীয় মানুষটি বিকেলবেলার সমুদ্রের পাড়ে বসে থাকেন। একা। সামনে তাঁর ঝুড়ি ভর্তি বাতিল খেলনা।তাদের নাম সাফল্য। আর খ্যাতি।
----
সব চরিত্র কাল্পনিক দেখে এক সময় আমায় বোঙায় ধরেছিল। সে কথা এই মায়াপাতার লোকজন কিছু কিছু জানেন। তারও আগে রেইনকোটের ভেজা বিষাদ। কিম্বা দোসর-এর সেই সাদা -কালোর নিষ্ঠুর মায়া। মৃত্যু-অপ্রেম আর ভালোবাসার বেঁচে থাকার গিঁট-পড়া কাটাকুটির মধ্যে বিষাদ তার থাবা নামাচ্ছে। বিষাদ, স্নেহময় , তার নখ বসাচ্ছে।কর্তব্য,পূর্বনির্ধারিত। পৃথিবীর কোনো গানের সুর-কোনো জলের স্বাদ,পাতালের কোনো ভোগবতীর ধারা, ফলের রসালতা, পৃথিবীর কোনো ওষুধ, কোনো অ্যালপ্রাজোলাম-ফ্লুওক্সেটিন-সিটালোপ্রাম এই মহৎ বিষণ্ণতার শালপ্রাংশুমহাভুজ শরীরে একটি আঁচড়ও কাটতে পারে না। এই বিষণ্ণতার রাস্তা ধরে ঐ তৃতীয় মানুষটি হেঁটে হেঁটে চলে যাচ্ছেন। পাহাড়ী রাস্তার মেঘ-কুয়াশা-তিস্তাজলের মধ্য দিয়ে। সখী হাম মোহন অভিসারে যাঁউ...
শুধু আমরা যারা পড়ে থাকি, যাদের পালাবার রাস্তা অথবা সাহস নেই কোনো, যাদের পরদিন সকালে উঠে রোগী দেখতে যেতে হয় কিম্বা কোড লিখতে, রাতে ক্লান্ত হয়ে ধুঁকতে ধুঁকতে ফিরে আসতে হয়, সন্তানের সঙ্গে যাদের স্নেহময় কথকতার দিনগুলি সীমিত, নারীর সঙ্গে ভালোবাসার কথা বলা যাদের অনেক কাল হল ফুরিয়ে গেছে, সব জল যাদের শুকিয়ে আসছে, তারা আজকের এই কয়েকটা ঘন্টা থম মেরে বসে থাকি। যেন মৃত্যু এসে সজোরে পাঞ্চ করেছে নাকের ওপরে। তারপর নাম্বনেস কেটে গেলে পুরনো জল ফিরে আসতে থাকে আবার। রবীন্দ্রনাথ ফিরে আসেন আবার। প্রবল, প্রেমিক ও দুঃখী।
শ্রাবণের মেঘ কালো হয়ে নামে বনের শিরে,
খর বিদ্যুৎ রাতের বক্ষ দিতেছে চিরে,
দূর হতে শুনি বারুণী নদীর তরল রব-
মন শুধু বলে অসম্ভব, এ অসম্ভব।
আসলে তো ঋতুপর্ণ দের নিজের থেকে পালিয়ে বেড়াতে হয়। নইলে "মরিয়া প্রমাণ করিতে হয় ঋতুপর্ণ বাঁচিয়া আছে "
লেখাটা আবার তুলে আনার জন্য অনেক ধন্যবাদ, পাইদিদি।
ডাক্তার-এর এই লেখাটার জন্য কোন প্রশংসাই যথেষ্ট নয়।
আবার পড়লাম। একরকম অনুভূতিই হল।