প্রাচীন রেশমপথ, ভারত চীন ও পশ্চিমের ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য হিমালয় পর্বত ভেদ করে যে রাস্তা চলে গেছে তার প্রতি আমার বেশ অনেককাল ধরেই একটা চোখ গোলগোল করা মুগ্ধতা আছে। তাই মাস দুই আগে দেবাশীস যখন সিল্ক্রুটে যাবার প্ল্যান দিল, তখন ঝটপট দিন তারিখ দেখে নিলাম, গুড ফ্রাইডের দিন রওনা হলে সঙ্গের সপ্তাহান্ত আর ইস্টার মানডে ধরে আর দিন দুয়েক ছুটি নিলেই হবে। অতএব ঝটপট বাগডোগরার ফ্লাইট খোঁজা। তা সেও পেয়ে গেলাম বেশ সস্তায় সকাল ন'টার ফ্লাইট। 6 তারিখ যদিও আমরা উপর থেকে নামছি তবু সেদিনের ফ্লাইট নিলাম না। বাগডোগরায় অনেকসময় বিকেলের দিকের ফ্লাইট ক্যান্সেল হয়। অতঃপর ছুটির ব্যবস্থা। ক্লায়েন্ট ম্যানেজার ছেলেটি হাঙ্গেরিয়ান, মাঝে সাঝেই এদিক সেদিক চলে যায় ক্যাম্পিং বা ছোটখাট ট্রেক করতে। তার সাথে সাপ্তাহিক ওয়ান ট্যু ওয়ানের দিন বললাম এবং দুজনে মিলে একসাথে এম এস টিমসে স্ক্রিন শেয়ার করে চাট্টি ছবি দেখলাম ইতিহাস পড়লাম। ফলে পরের সপ্তাহে বি ইউ হেডের সাথে মিটিঙের দিন সে নিজে থেকেই বলে আরে ফেরেন্সকে কী সব বুঝিয়েছ সে একেবারে স্টারি আইজ হয়ে আছে!' অতএব ১লা এপ্রিল বিকেল সাড়ে ছ'টাতেই আউট অফ অফিস অন করে আমি অফ্ফ হয়ে গেলাম।
এয়ার এশিয়ার ফ্লাইটে সবচেয়ে ভাল ব্যপার হচ্ছে ওয়েব চেক-ইনের সময় সীট বেছে নিলে অতিরিক্ত টাকা নেয় না। কাজেই বেশ সামনে বাঁদিকের উইন্ডো নিয়েছিলাম, নামার আগে ঐ কয়েক ঝলক কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার আশায়। সকাল সকাল দমদমে যেমন হয় সাধারণত, যথেষ্ট ক্যাওস। আমার পেছনের এক ভদ্রমহিলা পারলে আমাকে ঠেলে ব্যাগেজ ড্রপের কাউন্টারে গুঁতিয়ে ঢুকিয়ে দেন, আগেরজন কাউন্টার ছাড়ার আগেই। এর আগে একদল বাচ্চা মেয়েকে যাচ্ছেতাই বলেছেন। তো এঁকে আগে থেকে ওয়েব চেক-ইন করে সীট ঠিক করে রাখার সুপরামর্শ দিয়ে ওঁর ছেলের জ্বলন্ত দৃষ্টির সামনে দিয়ে ড্যাঙ্ড্যাঙিয়ে চললাম ব্যাগ জমা করতে। ভদ্রলোক প্রায় চেঁচিয়েই জানিয়ে দিলেন সবই করে রাখা আছে। তবুও মাতৃদেবীটি এমন অধৈর্য্য কেন? লীলা মজুমদার শুনলে বলতেন 'ওব্যেস'। সিকিউরিটি চেকিঙেও হরেক মজা। একটাই স্ক্যানার চলছে। সমস্ত ব্যাগগুলো সাঁ সাঁ করে চেক হয়ে কতগুলো যাত্রীদের দিকে চলে আসছে আর কতগুলো আরেকদিকে ম্যানুয়াল চেকিঙের জন্য চলে যাচ্ছে। পড়বি তো পড় আমার ব্যাকপ্যাকটা গেল ঐদিকে বেঁকে। সামনে গুণে দেখলাম ১১ টা ব্যাগ, একজন চেকার। তিনি একটা একটা করে তুলে খুলে দেখাতে বলছেন। ব্যাঙ্গালোর যাত্রী একজনের ব্যাগ থেকে বেরোল ঘী আর রসগোল্লার কৌটো। দুটিরই মুখ শক্ত করে আটকানো কিন্তু সীলড নয়, অতএব হ্যান্ডব্যাগে নেয়া যাবে না। কৌটোদুটো সরিয়ে নেবার উদ্যোগ করতেই ছেলেটি প্রায় ডাক ছেড়ে কেঁদে উঠল। 5 কিলো ঘী আর ১০০ পিস রসগোল্লার মায়া ত্যাগ করা নেহাৎ সহজ ব্যপার নয়। ভবি অবশ্য তাতে ভুলল না, ঐদুটো চলে গেল কনফিসকেটেড আইটেমের বাক্সে।
এয়ার এশিয়ার ফ্লাইট অবশ্য ঠিক দশটা দশে নামিয়ে দিল। তবে কাঞ্চনজঙ্ঘা বা মাকালু কেউই মুখ দেখাল না, ঘোলাটে লেপ মুড়ি দিয়ে ঘুমিয়ে রইল। বাইরে বেরিয়ে দেবাশীসের খোঁজ, সেও এসে দাঁড়িয়ে আছে। শোনা গেল আরো দুজন আসছেনএই একই ফ্লাইটে। কিন্তু তাঁদের ফোন নেটওয়ার্কের বাইরে। ভোডাফোনের মরণদশার সেই শুরু। আমার ভোডাফোন তখনও কাজ করছে, ভাগ্যিস! তা তাদের দেবাশীস আগে থেকেই চিনত, তাই এয়ারপোর্টের বাইরে ইতিউতি ঘুরতে দেখে খপাৎ করে ধরে এনেছে। এঁরা দুজন সপ্তক ও রোমা অত্যন্ত মিশুকে আমুদে ছেলেমেয়ে। সপ্তক, বুনুর সহকর্মী, নিজের পরিচয় দিল তাকে নাকি বুনুরা 'বাপ' ডাকে। আমার এই দীর্ঘ চাকরিজীবনে বিবিধ বিচিত্র সম্পর্ক দেখেছি সহকর্মীদের মধ্যে, কিন্তু মাইরি কোনোদিন কাউকে বাপ বা মা পাতাতে দেখি নি। এই প্রথম দেখে চক্ষু সার্থক করলাম। একটু এগিয়ে এক রেস্টুরেন্টে অল্প কিছু খেয়ে নিয়ে শুরু হল আমাদের চলা। আমি খেলাম টোস্ট, দেবু আর সপ্তক ডিম টোস্ট, রোমা শুধুই থামস আপ। রংলিতে সিকিমের ট্রাভেল কার্ড আর সিল্ক্রুটের পার্মিট করাতে হবে। কাজেই রংপো, রোরথাং, রিনক হয়ে রংলির দিকে চলা। সেই ডিসেম্বরে দার্জিলিঙের পরে এই আসা। সেই ঘন সবুজ গাছের সারির মধ্যে দিয়ে সোজা চলে গেছে পথ। একটু পরেই এঁকেবেঁকে ঘুরে ঘুরে উঠতে শুরু করে আর অফিস, ভোট, হাজারো ক্যাঁওম্যাও মুছে গিয়ে হিমালয় চোখ মন জুড়ে বসতে থাকে।
পেটে তেমন খাবার না থাকার জন্যই হোক বা রাত তিনটে থেকে জেগে থাকার জন্যই হোক দেবু ছাড়া বাকী তিনজনেরই অল্প্স্বল্প শরীর খারাপ লাগতে থাকে। সুনীল, আমাদের সারথি জানায় তেল ভরতে হবে তার স্কর্পিওতে, পাম্পে দাঁড়াতে সপ্তক আমাদের জোয়ান বের করে দেয়। তা চিবিয়ে একটু ভাল লাগে। রংলি বাজারে গাড়ি দাঁড়াতে সুনীল আর দেবু নেমে যায় কাগজপত্র বানাতে। আমরা ইতিউতি দেখি, একটু আধটু হাঁটি। সুনীল ফিরে গাড়িতে বোঝাই করে কেক বিস্কুট, কোক চানাচুর ইত্যাদি। দেবু আর সপ্তক তোলে বিয়ার, রাম, পীচ ওয়াইন। এরপর সোজা লিংতাম। আমাদের রাত্রিবাসের ব্যবস্থা হয়েছে ফিনাসা রেজোর্টে। দোতলার দুটি চমৎকার ঘর আমি আর সপ্তকরা দখল করি। সামনে বারান্দা দিয়ে তাকালে সবুজ গাছের পরদা। রান্না খাবার ব্যবস্থা একটু নীচে, ওঁদের বলা ছিল মধ্যাহ্নভোজনের কথা। কাজেই দ্রুত হাত্মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে অপরাহ্ন সাড়ে চারটেয় আমরা মধ্যাহ্নভোজ সারি ভাত আলুর তরকারি, ডাল, বেগুনী আর মাছের ঝোল দিয়ে। মাছটা চালানে মাছ, গাব্দা বড় কিন্তু স্বাদহীন। হোটেল পরিচালক বাঙালি, তাই মাছভাতের ব্যবস্থা করেছেন। অত বেলায় খেয়ে দু'চোখ লেগে আসতে চায়। হোটেলের পেছন দিকে একট বয়ে চলা নদীর ঝরঝর আওয়াজ পাওয়া যায় আর দেখা যায় একটা ব্রীজ। অতএব আমরা চলি নদীর খোঁজে, জলের খোঁজে।
সিকিমে ছোটখাট নদীর নাম জিগ্যেস করলে সাধারণত শুনতে হয় জায়গার নামেই নদী। লাচেনের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীর নাম স্থানীয় দোকানি বলেন লাচেন নদী। তেমনি লিংতামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীর নাম লিংতাম নদীই হওয়া উচিৎ। সারথী সুনীল বললোও তাই। কিন্তু গুগলকাকু বলছে নদীর নাম বখুতেরখোলা। এদিকে সুনীলের বাড়ি লিংতাম থেকে দশ কিলোমিটর দূরের এক গ্রামে, সে গ্রামের নাম নাকি বখখুতের। অর্থাৎ হরেদরে সেই গ্রাম বা গঞ্জের নামেই নদীর নাম। তা আমাদের নামিয়ে দিয়ে সেইসব বাজারসদাই নিয়ে সুনীল চলে গেছে তার গ্রামে। আমার ভোডাফোনের নেটোয়ার্ক রংলিতে ঢোকার আগে থেকেই হাওয়া। সপ্তককে তো বাগডোগরা এয়ারপোর্ট থেকেই ভোডা টা টা করে দিয়েছে। এয়ারটেল অবশ্য চলছে, দিব্বি চলছে। তা আমি ছাড়া আর কারো কাছেই এয়ারটেল নেই। আমারটাকেও সাইলেন্ট করে দিয়ে বাইরের পৃথিবী থেকে সম্পূর্ণ বিযুক্ত হয়ে আমরা চললাম নদীর ধারে।
.
এমনিতে এই এপ্রিল মাসে জলের ধারা অতি ক্ষীণ, ছোটবড় পাথরই বেশী। তবে স্রোত আছে, বিশেষত বড়সড় বোল্ডারের আশেপাশে বিক্ষুন্ধ নদী তীব্র স্রোতে পথ করে নিয়ে চলছে। অনেক উঁচু পর্যন্ত ছিটকে উঠছে জলকণা। এদিকে আকাশে অল্পস্বল্প কালো মেঘ, সূর্য্যও অস্ত যাবার মুখে। বখুতেরখোলা নদীর উপরে একটা ঝুলন্ত ব্রীজ আছে বহুকাল ধরে। সম্প্রতি একটা নতুন পাকা ব্রীজও উদ্বোধন হয়েছে গত ডিসেম্বরে। পাকা ব্রীজটা যথেষ্ট উঁচু এবং সহজগম্য। তাপমাত্রা তখন মাইনাস ৩ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড, নদীর জল কনকনে ঠান্ডা। আমাদের কিন্তু তেমন একটা ঠান্ডা লাগছে না, বরং পাতলা ফ্লিস গায়ে দিয়ে বেশ আরামই লাগছে। আমরা যতক্ষণ নদীর সাথে আলাপ পরিচয় করছি ততক্ষণ ঐপারে একজন নদীতে উবু হয়ে কিছু একটা করছিলেন, মনে হল মাছজাতীয় কিছু ধরছেন। আমরা যদিও মাছ টাছ দেখতে পাই নি। সূর্য্য অস্ত গিয়ে হালকা অন্ধকার হতেই উনি নদীর গোড়ালিডোবা জলে পা ডুবিয়ে ছপছপ করে এপারে আসেন। আমি হাঁ করে ওঁর কটকটে হলদে রঙের গামবুটটা দেখি, এমন রঙীন গামবুট দেখি নি কখনো।
.
দেবাশীস ইতিমধ্যে ধরেছে ওঁকে। জানা গেল নদীতে মাছ আছে, ভালই আছে। উনি ভারী খুশী হয়ে দুটি মাছ বের করে দেখান। আঙুলের চেয়ে অল্প লম্বা চকচকে কালো সরুমত মাছ, বলেন ক্যাটফিশ। কিন্তু দেখতে তো ঠিক মাগুরের মত লাগছে না। মাথাটা মাগুরের মত অমন গোল নয় আর মাগুরের গায়ে কালো ছাড়া এমন অন্য রংও থাকে না। এর গায়ে বেশ দিব্বি আরো দুই তিনটে রং। উনি কিন্তু জোর দিয়েই বলেন হ্যাঁ ক্যাটফিশ, 'মাগুর' নামটাও চিনতে পারেন। নতুন ব্রীজ পেরিয়ে আমরা ডানদিকে ঝুলন্ত ব্রীজের দিকে এগোতে চাই, দেবাশীস চায় বাঁদিকে অনেক উঁচুতে পাহাড়ের গায়ে আলোজ্বলা বাড়িটার দরজায় কড়া নেড়ে চা খেতে চাইতে। এমন সময় গায়ে পড়ে দুই একফোঁটা বৃষ্টি, ব্যাসস শহুরে রোমান্টিসিজম ফুটুশ। আমরা তড়িঘড়ি হোতেলের দিকে ফিরি, ছাতাফাতা নেই সঙ্গে আর মাঝে কোথাও কোনও চালাফালা নেই। না ভুল বললাম, একটা ছোট চালা আছে অবশ্য, তবে তাতে খান সাত আট ছাগল দাঁড়িয়ে বসে রয়েছে (ব্ল্যাংকি দেখলেই লাফাত মাটন মাটন বলে)। তা ছাগলগুলো জায়গা দেবে বলে মনে হয় না।
.
হোটেলে পৌঁছেই দেবাশীস অর্ডার করে চা আর পকোড়া। আমি দেখি সন্ধ্যের পকোড়া তো দূরস্থান রাতের মাটন ভাতও আমার গলা দিয়ে নামার জায়গা নেই। অতএব আমি গরমজলে স্নান করে ঘুমিয়ে পড়ি। মাঝে অবশ্য সপ্তক খুবই ডাকাডাকি করেছিল, এমনকি একবাটি মাটন ঘরে পাঠিয়ে দেবার ব্যবস্থাও করতে চেয়েছিল। মাটনটা নাকি দুর্দান্ত হয়েছিল খেতে। কিন্তু আমার ঘুমটা যে তার চেয়েও জম্পেশ হয়েছিল সে আর ওরা কিছুতেই বুঝতে চাইল না। ৩রা এপ্রিলের সকাল একেবারে ঝকমকে, খবরের কাগজের ভাষায় রৌদ্রকরোজ্জ্বল। রাতে তাপমাত্রা নেমেছিল -৭ পর্যন্ত। তবে খান দুই কম্বল গায়ে চাপিয়ে বেশ আরামেই ঘুম হয়েছে। সকাল ছ'টায় ঘুম ভেঙে যায় বারান্দার কোণে এক জ্ঞানদা বক্তিয়ার খিলজির গাঁকগাঁকে ফোনের গুঁতোয়। তিনি ফিরছেন নাথাং ভ্যালি থেকে, সেখানে নাকি রাস্তাঘাট সব বরফে ঢাকা আর তিনি খালি পায়ে সেই বরফের উপর দিয়ে হেঁটে কীর্তি স্থাপন করেছেন। তাঁর গলার আওয়াজ নব্বই ডেসিবেল হবেই, এদিকে চারিদিকে পাখীর ডাক আর নদীর ঝরঝর ছাড়া কোনও শব্দ নেই, তার মধ্যে এঁর বরফবিজয় শুনে শুনে বিরক্ত হয়ে উঠে পড়ি। স্নান টান করে তৈরী হই। সাড়ে আটটা নাগাদ সুনীলও চলে আসে গাড়ি নিয়ে। সকালের জলখাবারে ছিল গোল গোল ফুলকো লুচি আর আলুরদম। রান্না চমৎকার। খেয়েদেয়ে নাথাঙ ভ্যালীর উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ি আমরা, ঘড়িতে তখন সকাল সোয়া ন'টা।
পড়ছি।
হ্যাঁগা কর্তৃপক্ষ, সম্পাদনা করতে গেলেই ছবি উটিয়ে দিচ্ছে এ কেমন কথা? আবার ছবি যোগ করতে হচ্ছে!
পড়ছি।
আমিও পড়ছি। রঙীন গামবুটের ছবি নেই?
সাগ্রহে পড়ছি, এই রুটটায় যাবার ইচ্ছে আছে মেহুলকে নিয়ে। টিপস চেয়ে বিরক্ত করব হয়ত একটু ভবিষ্যতে।
হ্যাঁ`হ্যাঁ`আমিও বিরক্ত করব।
ভারি ভালো লাগল। আর বুনুর পিতা পাতানো শুনে বড়ই প্রীত হলাম।
হলুদ গামবুট এখানেও দেখেছি।
কেকে, না গো ছবি তোলার কথা মাথায়ই আসে নি। তাছাড়াও হঠাৎ জুতোর ছবি নিতে চাওয়া ঠিক হত কিনা কে জানে!.
সুকি, বি, সানন্দে। আমি গেছিলাম ক্রেজি নেচারের হয়ে রেইকি করতে। পরের ট্রিপে স্পেশ্যাল কিছু যোগ করার ইচ্ছে আছে।
নভেম্বরে প্ল্যান কোরো / করবেন, তাহলে ওয়েদার ভাল পাবেন।
অভ্যু, টাইপো ঠিক কত্তে গেলে ছবি উড়ে যাচ্ছে আবার ছবি যোগ করতএ গিয়ে নেট ঝুলে যাচ্ছে। পরের পর্ব থেকে একটু খেয়াল করে নেব আগে।