মাত্র আট বছর বয়সে মায়ের প্রেমিক কর্তৃক ধর্ষিত হয়ে সকল ক্ষোভ সংহত করে অগ্নিশলাকা হয়ে জ্বলে উঠেছিলেন আফ্রিকান কবি মায়া এঞ্জেলো। তাঁর ক্ষোভ প্রাণ পেয়েছে শতধায় পঙ্ক্তির পর পঙ্ক্তিতে, কাব্যে, ভাষায়, শব্দে উপমায়
গ্রামের মাতব্বরদের দ্বারা ধর্ষিতা হয়ে দুধর্ষ ত্রাস দস্যু ফুলনদেবী বুঝি একজনই জাগতিক ইতিহাসে বিরলতায় জ্বলজ্বল করেন তাঁর সকল কুখ্যাতি কিংবা সুখ্যাতি নিয়ে।
কিন্তু এই আগ্নেয়গিরির মতো জ্বলে ওঠা সকল নারীর অন্তর্গত শক্তি নয়, সবাই পারে না। বরং অধিকাংশই মুখ লুকায় লজ্জা কিংবা গ্লানির দহনে। আত্মগোপন করে সমাজ-সংসার থেকে কিংবা জীবন থেকেই।
যে লজ্জা, যে গ্লানি তাকে পৌঁছে দেয় অমূল্য জীবনের অর্থহীনতার উপলব্ধিতে, এ গ্লানি এ লজ্জা কি তাঁর?
প্রশ্ন হয়ে এই বিশ্লেষণ যখন পথ আগলে দাঁড়ায় সমাজ-সভ্যতার। সকল সভ্যতার অর্জন মিথ্যে করে, অগ্রগতির উন্নত গ্রীবা নত করে দিয়ে তোমাকে কি লজ্জিত করে না মানুষ? তুমি কি অথই গ্লানিতে ডুবে কুড়াও না জীবনের অর্থহীনতা। সভ্যতার বড়াই করে তুমি কিনা প্রবৃত্তির নখরে রক্তাক্ত করো যাবতীয় অর্জন!
কেন এই প্রবৃত্তির অদম্য অসভ্যতা? তা কি কেবলই ব্যক্তিপুরুষের বিচ্ছিন্ন জৈবিক অবনমন? এ কি নারীর তথাকথিত বিপথগামিতার অবশ্যম্ভাবিতা! এ কি সামাজিক অবক্ষয়, রাজনীতি আর ধর্মের উদ্ধত আস্ফালনের বিষফল, ব্যর্থ শিক্ষার দায়? বিচারহীন কিংবা বিচারের দীর্ঘসূত্রিতার ফাঁক গলে বেড়ে ওঠা বিষবৃক্ষ?
কী করে সমাজ মুক্তি পাবে এই অক্টোপাসের বিষাক্ত পায়ের শৃঙখল থেকে?
নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলি, নিজের জীবনের সাধ-আহ্লাদগুলি বিসর্জন দিয়েছি নিষেধের যূপকাষ্ঠে, এই তো মাত্র বছর কুড়ি-পঁচিশ আগেও আমি ভাবতাম নিজের অবরুদ্ধতার শেকল আমি লাগাব না আত্মজার পায়ে৷ তাকে সাইকেল কিনে দিলাম, সাঁতার শিখতে নিয়ে গেলাম, তখনও তার গা থেকে যায়নি বালিকার গন্ধ। দু-একটা মাত্র বছর। আমি বিস্মিত আহত হয়ে নিজেকে আবিষ্কার করলাম এক অনস্বীকার্য প্রথাবদ্ধতায়, অসহায় এবং অক্ষম। মেয়ের গায়ে কিশোরীর আঁচ লাগতেই চারপাশ থেকে অর্জুনের বাণের মতো আমার বিদ্ধ করতে লাগল পড়শিদের সমালোচনা, বখাটেদের উৎপাত। আর স্বভাবতই তদজাত উৎকণ্ঠা আতঙ্ক। মেয়েকে বন্দি করলাম ঘরে। আজীবন নিজের লালিত স্বপ্ন এক হয়েছিল আত্মজার লালিত স্বপ্নে। অথচ শুরুতেই পিছু হটে, আত্মসমপর্ণে আমি ক্ষতবিক্ষত নিজের কাছে আর আত্মজা আহত, আশাহত বিক্ষুব্ধ।
খুবই ব্যক্তিগত তুচ্ছ এই বেদনা আর-একটু গভীরতর ক্ষরণ হয় পেশাগত অভিজ্ঞতায়। বারকয়েক এমন ঘটেছে, যে আমি অক্ষম বেদনায় ছাত্রীটির মাথায় রেখেছি কেবল অসীম আশিসের হাত, আর কিচ্ছু করতে পারিনি৷ ঘটনাগুলো এমন, উচ্চমাধ্যমিকে একই ক্লাসে পড়ে ভাইবোন। বোনটি অধিক ভালো ছাত্রী এবং ভালো ফলাফলের অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও পারিবারিক ভাবে উচ্চতর শিক্ষার জন্য ভাইটিকেই পাঠানো হয়েছে উচ্চশিক্ষার জন্য।
এই যে দহন আমার, পরাজয় আমার আমি আজ এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে যখন আমরা সকল নারীরা, সুবিধাপ্রাপ্ত কিংবা সুবিধাবঞ্চিত, কখনও কোথাও অপ্রিয় অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছি কিংবা হইনি সবাই অন্ধকারে ঢেকে দিয়েছি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রোফাইল পিকচার। তখন পক্ষে কিংবা বিপক্ষে তুমুল তর্ক, কেন ভিকটিমই লুকালো মুখ আঁধারের আড়ালে? এ কি কোনো সমাধান এই অব্যাহত সহিংসতার বিপক্ষে? মুখ তো লুকাবে অপরাধী অন্যায়কারী। কিংবা আদৌ কি এ কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ এই ক্রমবর্ধমান উদগ্র অব্যাহত অন্যায়ের মুখোমুখি?
কে জানে! কে জানে কোন্টা কতটা কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ! মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব তার বুদ্ধির বিকাশে, তার হাতিয়ারের আবিষ্কার আর ব্যবহারে৷ বুদ্ধির বিকাশেই মানুষের সভ্যতার সৃষ্টি। অগ্রগতি। বুদ্ধির সহায়তায় হাতিয়ারের ব্যবহারে মানুষের অগ্রযাত্রা। হাতিয়ার কি কেবলই আগ্নেয়াস্ত্র আর তলোয়ার? ৭১-এ স্বাধীন বাংলা বেতারে কণ্ঠ নিয়ে যুদ্ধ করেছে কণ্ঠযোদ্ধারা। গান গেয়ে যুদ্ধ করেছে শিল্পীরা। সহস্র সীমাবদ্ধতায় নারী যদি ঘরে বসে সবচেয়ে সহজলভ্য হাতিয়ারটি তুলে নেয় তার প্রতিবাদের ভাষা বানিয়ে তবে আমি নারী আছি তার পাশে। সম্মিলিতের শক্তির সাথে একাত্মতা প্রকাশে। যে যেখানে আছে, যে অবস্থানে, যার যতটা সামর্থ্য তাই নিয়ে উত্তাল হোক সে দুর্বিষহ এই মুহূর্তে।
নোয়াখালির বেগমগঞ্জে যে নারীর আর্তনাদ আমরা শুনলাম, যে আর্তনাদ অস্তিত্বের ভিত্তিমূল কাঁপিয়ে দিল আমাদের তা কেবলই দেখলাম বলে, শুনলাম বলে। অথচ প্রতিটি কোনায় প্রতিটি ধর্ষিতার একই আর্তনাদ, একই আকুতি। কেবল আমরা শুনতে পাই না। কখনও তারা মৃত প্রাণহীন হয়ে শুয়ে থাকে কালভার্টের নীচে, কখনও তারা নিষ্প্রাণ পচে গলে মিশে যায় লোকচক্ষুর অন্তরালে কোনো নির্জন ঝোপে। কেউ বা গ্লানির ভার বহনে অক্ষম আত্মঘাতী হয় সকল বেদনা থুথুর মতো বেঁচে থাকা বিবেকহীন সমাজের মুখে ছিটিয়ে দিয়ে।
এক নারীকে পুরোপুরি উলঙ্গ করে তার ওপর নির্যাতন করছে প্রভাবশালী মাস্তানরা।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বড়খাল এর পাশে দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার,বাদল ও কালামের নৃশংস নির্যাতনের শিকার এই নারী,বহু বার পায়ে ধরে বাবা ডাকলেও শেষ রক্ষা হয়নি এই নারীর।তারা খুব নারকীয়ভাবে এই নারীর যৌনাঙ্গ ও সমস্ত শরীরে নির্যাতন করে।
যেখানে এই নারীর যৌনাঙ্গে টর্চ লাইট ও হাত ঢুকিয়ে দিয়ে খুব খারাপভাবে নির্যাতন করা হয়েছে,যা ৭১এর বর্বরতাকেও হার মানায়। সম্পূর্ণ ভিডিওটি প্রশাসনের কাছে প্রেরণ করা হবে বলে উল্লেখ করেছেন পোস্টদাতা।
এই একটি ঘটনার বহুমাত্রিকতা আসুন একটু তলিয়ে দেখি, এই সদম্ভ উল্লাসকারী ধর্ষকগুলির বয়স কত? আঠারো থেকে ত্রিশ। পরপর দুটি প্রজন্ম। তারা কেন করেছে এই ঘৃণ্য অপরাধ? আমাদের বিশ্বাসযোগ্য বিশ্বাসকে ভেঙেচুরে, ভাবতে পারেন এই জেনারেশন কাজটি করেছে তাদের ‘পবিত্র দায়িত্ব’ ভেবে! ভাবতে পারেন, নারীটির প্রাক্তন স্বামী তার ঘরে এসেছিল বলে তাকে শায়েস্তা করার ‘পবিত্র দায়িত্ব’ তারা স্বেচ্ছায় তুলে নিয়েছে কাঁধে। ভাবুন, পড়শির বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়া স্বেচ্ছাসেবী প্রজন্মের বৌদ্ধিক পতন।
ঘটনা মাসাধিককাল আগের। আক্রান্ত নারী রাষ্ট্রীয় কোনো বিভাগের কাছে যায়নি বিচার চেয়ে। বরং সে-ই আত্মগোপন করেছে আতঙ্কে। আর অপরাধীরা তখনও উপলব্ধি করেনি তাদের অপরাধের মাত্রা। উল্লাসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে তাদের নৃশংস বর্বরতা।
আস্থাহীনতার আতঙ্ক কোন্ পর্যায়ে পৌঁছালে একজন আক্রান্ত নারী বিচার না চেয়ে আত্মগোপন করে? মূল্যবোধের কতটা অবক্ষয় ঘটলে মাসাধিককাল পরেও নির্বিকার থাকে প্রজন্ম, সদম্ভ উল্লাসে নারী নিপীড়নের এমন দুঃসহ ভিডিও ছড়িয়ে দেয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে?
কী এর সমাধান, কোথায় এর শেষ? সমাজতাত্ত্বিক, মনোবিশ্লেষকদের বিশ্লেষণে বহুধা শাখাপ্রশাখার বিস্তারে প্রকৃত সমাধান বিভ্রান্তির চোরাবালিতে পথ খুঁজে মরছে।
বছরের পর বছর ধরে এ দেশের শিক্ষাব্যবস্থা এবং রাজনীতিকে হত্যা করা হয়েছে অনেকটা সুপরিকল্পিতভাবে। শিক্ষার নামে তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছে দক্ষ রোবট। শিক্ষাক্রমে অন্তর্ভুক্ত হয়নি মানবিক বোধ জাগ্রত করার মতো কোনো বিষয়। রাজনৈতিক পচন সর্বগ্রাসী হয়ে গিলে খেয়েছে মানুষের আদর্শ আর নৈতিক বোধ। অর্থ, ক্ষমতা আর দাপট চিহ্নিত হয়েছে সর্বজনগ্রাহ্য সম্মান হিসাবে। রাতারাতি বিত্তের অধিকারী হওয়ার সম্মানও বেড়েছে রাতারাতি। রুদ্ধ হয়েছে প্রশ্ন করার মানসিকতা বরং অসুস্থ প্রতিযোগিতার জন্ম হয়েছে অবৈধ অনৈতিক পথে বিত্তবান হওয়ার। রাজনৈতিক আদর্শিক পতনে মাদক আর অস্ত্র হয়েছে সহজলভ্য। বিত্তবান হওয়ার সুগম এবং সংক্ষিপ্ত রাস্তা।
আর এসবের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে এই প্রজন্মের উদগ্র, নিয়ন্ত্রণহীন জৈবিক প্রবৃত্তির দাসত্বে। নারী যার অসহায় বলি।
বলছেন, অভিভাবকদের অসচেতনাকে দায়ী করছেন কেউ? অভিভাবকরাও তো এই সমাজ উপজাত। একটি ছেলে-সন্তানকে মানুষ হবার শিক্ষা দেওয়ার শিক্ষা তাদের নিজেদের কি আছে? করে দিয়েছে এই সমাজ? এই ব্যবস্থা?
বছরের পর বছর ধরে একটি ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে, মূল্যবোধ ধ্বংস করে গোড়া কেটে আগায় পানি ঢাললেই কি আজ সুফল মিলবে?
বেগমগঞ্জের ঘটনা, সিলেট এম সি কলেজের ঘটনা, পার্বত্য চট্টগ্রামের ঘটনা সর্বত্রই একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের কর্মীদের সম্পৃক্ততা মিলেছে। পরক্ষণেই আবিষ্কৃত হয়েছে এদের পিতা কিংবা পারিবারিকভাবে অন্য কোনো রাজনৈতিক দলেরও সম্পৃক্ততা। কেন এই রাজনৈতিক ডিগবাজির গিরিগিটি খেলা? কারণ প্রজন্ম দেখেছে, দেখে দেখে শিখেছে ক্ষমতার ছত্রছায়ায় থাকার অর্থ বিচার এবং শাস্তির আওতামুক্ত থাকা। ক্ষমতার দাপটে অন্যায় কর্মকে হজম করা। নিরীহের সমীহের দৃষ্টি, উৎসের প্রতি প্রশ্নহীন অর্থপ্রাপ্তি। আমি আপনি আমরা কেন শ্যাওড়া গাছে আম্রপালি আশা করছি? আমরা কেন আমাদের সম্মিলিত পাপ খালি এই কিশোরদের উপর চাপাচ্ছি? ধর্ষণ কি কেবলই কোনো জৈবিক প্রবৃত্তি? আধিপত্যের বিকৃত মানসিকতা নয়? যা মূলত জন্ম নেয় মস্তিষ্কে? ধর্ষণ কি কেবলই নারীর পোশাক কিংবা আচরণজাত প্রতিক্রিয়া? তবে কেন পর্দানশিন নারীটিও রক্ষা পায় না আমাদের দেশে অথচ পাশ্চাত্যে স্বল্পবসনাও নিশ্চিন্ত নিরাপদ যাপন করে জীবন?
আমাদের সমাজের উঁচু থেকে নীচু কেউ কি এর দায় অস্বীকার করতে পারেন? এর দায় অস্বীকার করতে পারে এই সমাজ, এই শিক্ষা এই রাষ্ট্রীয় বিভাগসমূহ কেউ?
কী হবে এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রতিবাদে, কী হবে এই মানববন্ধনে? প্রোফাইল কালো করে দেওয়ায়? আপাতত আসামীরা গ্রেফতার হয়েছে। হয়তো জনমতের চাপে বিচার অন্তর্ভুক্ত কিংবা বিচার বহির্ভূত হত্যায় তারা নিশ্চিহ্ন হবে।
কিন্তু চোখ মেলে তাকিয়ে দেখুন আপনার পাড়ায়, গলির মোড়ে এমন বোধ-মূল্যহীন প্রজন্ম দেখতে পাবেন প্রতিনিয়ত। দেখতে পাবেন আমার আপনার মেয়েরাও নিরাপদ নয়। আজ যারা ক্রসফায়ারে পড়ল, ব্যবস্থা পরিবর্তিত না হলে কাল সেই শূন্যতায় জাঁকিয়ে বসবে আর-একদল। ধর্ষণের মতো অপরাধ ঘটতেই থাকবে। চলতেই থাকবে।
ঠিক যেভাবে বছরের পর বছর ধরে এই সামাজিক ভারসাম্য নষ্ট করা হয়েছে, ঠিক এভাবেই দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টায় বছরের পর বছরের চেষ্টায় যদি শিক্ষা আর রাজনীতিতে আদর্শের পরশমণিতে জারিত না করা যায় তবে এই চক্র থেকে মুক্ত করা অসম্ভব।
আপাতভাবে এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের তীব্র প্রতিক্রিয়া, এই সর্বমহলের আড়মোড়া ভাঙা যদি সুনির্দিষ্ট আসামীদের বিচার নিশ্চিত করে সেটাই হবে প্রাপ্তি।
আর আমরা যারা নিজেদের সচেতন বলে দাবি করি, নিজ নিজ কন্যাদের ভেতর রোপণ করি বোধের ফলবান বৃক্ষ। যেন তাঁরা প্রত্যেকেই এক-একটি পরশপাথর হয়ে আশেপাশের নারীদের মধ্যে জাগাতে পারে আত্মবিশ্বাস আর আত্মরক্ষার বোধ। আর এসব ডামাডোলের অন্তরালে পড়ে থাকে যে আক্রান্ত নারীটি, আমরা প্রায়শই তাঁর পরবর্তী জীবনের লড়াইয়ের খবর রাখি না। আজ আমি এই লেখায় জোর গলায় দাবি জানাই এদেশের সংসদে ধর্ষণ ও নিপীড়নের শিকার নারীদের সর্বত দায়িত্ব নেবে রাষ্ট্র। যেন আর্থিক ও সামাজিক ভাবে তাঁকে কোনো অনাহুত জীবন কাটাতে না হয়। মাথা উঁচু করে সে যেন বলতে পারে, ধর্ষণের লজ্জা মোটেই আমার নয়। তার কণ্ঠের ঝলসানিতে যেন ঝলসে যায় আমাদের মরিচা পড়া প্রথাগত দৃষ্টিভঙ্গি।
বেগমগঞ্জই এখন বাংলাদেশ, ধর্ষিত, উলংগ।
মায়া এঞ্জেলো আফ্রিক্যান কবি???
কখনও শুনিনি রবার্ট ফ্রস্টকে কেউ স্কটিশ কবি বলে উল্লেখ করেছেন, বা এমিলি ডিকিনসন কে বলেছেন ইংলিশ পিউরিটন কবি।