

পরীমণির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অপরাধটি আমি খুঁজে পেয়েছি। এবং সম্ভবত এর জন্য তাঁর শাস্তি অবশ্যম্ভাবী।
পরীমণি নির্দোষ নয়। তার কয়েকটি অপরাধ ইতোমধ্যে চিহ্নিত হয়েছে। যদিও তার সবকটিই সবার জানা এবং বহুল আলোচিত। তবু আবার বলি, সে যে হাজার কোটি টাকা লোপাট করেনি। খুন, হত্যা,গুমের মতো অপরাধ করেনি, মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে তা ইতোমধ্যেই সবাই জেনে গেছেন।
তাঁর অপরাধ তাঁর বনানীর বাসায় ১৮ লিটার মদ, এল এস ডি সহ আরো কয়েক ধরনের মাদক দ্রব্যের সন্ধান মিলেছে। দেশের প্রচলিত আইনে এটি যে অপরাধের পর্যায়ে পড়ে এ নিয়ে কারো দ্বিমত নেই। যদিও তার বাসায় বিপুল পরিমাণ মাদক দ্রব্য, যার মধ্যে কিছু আবার নিষিদ্ধ মাদক এর উৎস এবং কনজিউম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তার একটি মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্স রয়েছে বটে কিন্তু মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্সের জোরে এতো বিপুল পরিমাণ মাদক তিনি সংরক্ষণ করতে পারেন না। এটি ফৌজদারি অপরাধ। এজন্য প্রচলিত আইন অনুযায়ী তার দণ্ড এবং শাস্তি প্রাপ্য।
তবে আমাদের মনে আছে নিকট অতীতে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ কে গ্রেফতার করা হয়েছিলো দু বোতল মদ রাখার অপরাধে। আর পরীমণির বাসায় তো উদ্ধার হলো পুরো খনি। গ্রেফতারের জন্য, কারো বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক মামলা দেয়ার জন্য এর চেয়ে কার্যকরী হাতিয়ার এই ব্যবস্থায় আর নেই। কিন্তু পরীমণির ক্ষেত্রে যে প্রশ্নটি সমাধানহীন এবং রহস্য জনক কারণে অনুচ্চারিত, তা হলো এই বিপুল পরিমাণ মাদকের খদ্দের কারা ছিলো? কাদের এই মাদক কিনে খাওয়ার মতো সামর্থ্য রয়েছে? তারা সমাজের কোন শ্রেণি থেকে এসেছেন, যারা এসব গ্রহনের জন্য পরীমণির বাসায় ভিড় করতেন? এই প্রশ্নের উত্তরও এখনো মিলেনি। আদৌ কোনদিন মিলবে কিনা সন্দেহ।
পরীমণির অপরাধ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নাসিরের বিরুদ্ধে তিনি ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ এনেছেন। যদি অভিযোগ সত্যি হয়, তবে অপরাধ নাসিরের, পরীমণির নয়। এই অভিযোগে নাসির গ্রেফতার হয়েছেন। কিন্তু পরবর্তীতে কিছু আপাত সাক্ষী প্রমাণ বলছে, অভিযোগ মিথ্যা। অভিযোগ মিথ্যা হলে পরীমণির অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য। কিন্তু আমাদের অধিকাংশই অভিযোগের এই সত্য/অসত্য উভয় পিঠের বিবেচনা উহ্য রেখে বরং পশ্চাৎপদ দৃষ্টিতেই আবদ্ধ থেকেছি এবং ভেবেছি, একটা "বেশ্যা"(?) মেয়ের আবার অভিযোগ কিসের।
আমরা অনেকেই ধর্ষণ ইস্যুতে পরীমণির পক্ষ নিয়েছিলাম। সাদা চোখে তাৎক্ষণিক ভাবে আমরা পরীমণিকে বিশ্বাস করেছিলাম। এবং এই বিশ্বাস এবং পক্ষাবলম্বনের জন্য আমি অনুতপ্ত নই। একজন ভিক্টিমের পক্ষাবলম্বন আমার বিবেক নির্দেশিত দায়িত্ব। এবং সে যদি দেহ ব্যবসায়ীও হয়, তাঁর 'না' মানে 'না'।
পরীমণি যদি মিথ্যা অভিযোগ করে থাকেন তবে সেই দায় একান্তই তার। কিন্তু যে ভিডিও ক্লিপস দিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা হচ্ছে পরীমণিই সেদিন নুইসেন্স করেছেন। এই নুইসেন্স করাটাও নিঃসন্দেহে তার অপরাধ হিসাবেই বিবেচিত হয়।
কিন্তু সন্দেহর অবকাশ তৈরি হয় সেখানে, যেখানে সেই ভিডিওটি খণ্ডিত। এখন মোটামুটি সর্বজন বলছেন যে পরীমণি উঁচু দরের দেহোপজীবিনী। তার এই বিত্ত বৈভব সবই এভাবেই অর্জিত। প্রশ্নটা এখানেই। দেহ বিক্রি যার পেশা(?) । হরহামেশা যিনি ডিলিংসে যান, সেদিন ব্যবসায়ী নাসিরের সাথে এমন কী ঘটলো যে তা মামলা, সংবাদ সম্মেলন, গ্রেফতার পর্যন্ত গড়ালো? এর উত্তর কিন্তু এখনও আসেনি।
তার বিরুদ্ধে আর একটি গুরুতর অভিযোগ, সে পর্নোগ্রাফি করতো। কিন্তু তা প্রমাণে দুয়েকটা অর্ধউলঙ্গ, আন অফিসিয়াল নাচ ছাড়া এখনো আর কোন প্রমাণ আইন শৃঙ্খলাবাহিনী হাজির করতে পারেনি। হতে পারে সেটি সিক্রেট। সাধারণের কাছে সঙ্গত কারণেই প্রকাশযোগ্য নয়। এমনটি ঘটে থাকলে প্রচলিত আইনে শ্রদ্ধা রেখে আমরা একেও অপরাধ হিসাবেই চিহ্নিত করবো।
এইসব অপরাধ চিহ্নিত পূর্বক বিচার এবং শাস্তি দাবি করার আগে আমরা একটু অতীতের দিকে তাকাই। ইন্টারনেটের সেই প্রাথমিক যুগ। প্রায় ২০-২৫ বছর আগের কথা। তখন ইন্টারনেট মানেই পর্ন। হাতে হাতে ঘুরতো এসব পর্ন। কাদের? সব চেনাজানা মডেল অভিনেত্রী, গায়িকা। এর ওর তার অনেকের নগ্ন ভিডিও, একান্ত মুহূর্তের ভিডিও ছিলো এই ভার্চুয়াল জগতের মূল আকর্ষণ। যার অধিকাংশ তাদের অজান্তে করা হয়েছে এবং সুপরিকল্পিত ভাবে অন্তর্জালে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সেই মডেল,শিল্পী, অভিনেত্রীদের এবিউজড করে নিয়মিত এসব ভিডিও ইন্টারনেটে আপলোড করতো তারা সমাজের সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, ইন্ড্রাস্ট্রিয়ালিস্ট। লোভ কিংবা মোহে উঠতি মডেল নায়িকারা ইন্ড্রাস্ট্রিয়ালিস্টদের ফাঁদে পড়তো এবং প্রতারিত হয়ে মুখ লুকিয়ে প্রাণ রক্ষা করতো। তাদের কাউকেই এখন আর আমরা মিডিয়ায় দেখিনা। তারা প্রায় সবাই হারিয়ে গেছেন।
যেসব অভিযোগে রাষ্ট্রের বিশাল বহর নিয়ে পরীমণি কে গ্রেফতার করা হলো, পুনঃপুন রিমান্ডে নেয়া হয়েছে এবং অবশেষে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে, সেসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা আম জনতা প্রথমদিকে শুনলাম পরীমণি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং নাম ধাম দিচ্ছে। সে অনুযায়ী তালিকা করা হচ্ছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কাল দেখলাম ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে তারা বলছেন, তালিকা করা সম্ভব নয়।
উপরোক্ত দোষগুলি কিংবা অপরাধ গুলি যদি সত্যি পরীমণির বিরুদ্ধে প্রমাণিত হয়, পরীমণির শাস্তি প্রাপ্য। পরীমণি নারী বলে, পরীমণি চলচ্চিত্র শিল্পী বলে, সাব অল্টার্ণ সমাজ থেকে উঠে আসা হোমড়া চোমড়া ফাদার কিংবা গডফাদারহীন বলে, সুন্দরী বলে কোনভাবেই সে ক্ষমা পেতে পারেনা। অপরাধীকে ক্ষমার জন্য কোন অজুহাত গ্রহণযোগ্য নয়, দাবিও করা অনুচিত।
কিন্তু এখনো পর্যন্ত যে অপরাধ গুলি তার বিরুদ্ধে আনীত হয়েছে সব কয়টি প্রমাণ সাপেক্ষ। প্রমাণের আগে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করে এই যে মিডিয়া ট্রায়াল, জনতার আদালতে তাকে পদে পদে হেনস্থা করা প্রচলিত আইনের শাস্তির চেয়েও ভয়ংকর। পরীমণি এই ভয়ংকর শাস্তির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন।
পরীমণি কোন পারিবারিক ট্রমা কাটিয়ে এসেছেন, তাতে তার অপরাধ লঘু হয়ে যাওয়ার মতো মানবিক রাষ্ট্র এবং সমাজ আমাদের নয়। এই দাবিও আমি করবো না।
কিন্তু আমার কিছু প্রশ্ন রয়েছে। পরীমণি যে আবেদন নিয়ে চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে এসেছিলেন, একজন উঁচু দরের অভিনয় শিল্পী হয়ে নিজের ক্যারিয়ার তৈরি করার সব গুণাবলী ছিলো তার। আমাদের চলচ্চিত্র ইন্ড্রাস্ট্রি তার কতোটুকু ব্যবহার করেছে? বা ব্যবহার করার মতো অবস্থায় আমাদের ইন্ড্রাস্ট্রি আদৌ আছে কী?
আজ যে পরীমণির সাথে তুলনায় বারবার শাবানা ববিতার প্রসঙ্গ তুলে আনেন, তাঁরা যৌবনে চলচ্চিত্রে পেশাদারিত্বের সাথে চুটিয়ে অভিনয় করেছেন, আয় করেছেন এবং বার্ধক্যের পর্যায়ে অনেকেই সময়মত নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন। সেদিন শিল্পাঙ্গনের একজন কর্তা স্থানীয় ব্যক্তিত্ব আক্ষেপ করে বলছিলেন, চলচ্চিত্রের এই মুরুব্বিস্থানীয় অভিনেত্রীদের তিনি ডেকেও কোন অনুষ্ঠানে আনতে পারেন না। তাঁরা তাঁদের পূর্বের গৌরবময় অতীত ধুয়ে মুছে সাফ করে দিতে চান, পারলে অস্বীকার করেন। নামী এবং প্রভাবশালী পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু বারবার ধর্মীয় অনুষঙ্গ এনে তুলনা করছিলেন আর বলছিলেন, আমি আর কিছু পারিনা বলে চলচ্চিত্র বানাই। তাঁদের এটিচুয়েডে স্পষ্ট যে তাঁরা তাঁদের কর্মজীবনের জন্য গর্বিত তো নয়ই বরং তাঁরা এই পরিচয় দিতে কুণ্ঠিত। তাঁরা যা করেছেন, তার প্রতি বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধা তাঁদের মধ্যে কাজ করে না। এই ভঙ্গুর উত্তুঙ্গু প্রৌঢ়প্রজন্মের জন্যই আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পের আজ এই দুরবস্থা।
তাঁদের তৈরি করা পরম্পরায় পরীমণির চলচ্চিত্রাভিনেত্রী হওয়ার সব গুণাবলী থাকা সত্ত্বেও সে চাইলেই কাঙ্ক্ষিত সিনেমা করতে পারতো? আমাদের চলচ্চিত্র ইন্ড্রাস্ট্রি কী সেইভাবে আদৌ দাঁড়িয়েছে, বরং অন্যভাবে বলি যে অমিত সম্ভাবনা ছিল ৭০/৮০/৯০ এর দশকে আজ সেই অবস্থান আদৌ ধরে রাখতে পেরেছে? ইদ মৌসুমে যে আমরা আমাদের অগ্রবর্তী কয়েকটি প্রজন্ম অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করতাম কয়টি ছবি মুক্তি পাবে, কোন কোন হলে মুক্তি পাবে? সেই হলগুলো এখন কই? চলচ্চিত্রে শাবানার মতো ববিতার মতো শাবনুর পপির মতো ক্রেজ এখন কই? হলের সামনে টিকেটের লম্বা লাইন কিংবা টিকেটের কালোবাজার এখন এই প্রজন্মের কাছে রূপকথার গল্প।
যাত্রা, চলচ্চিত্র সব ধ্বংস করে দিয়ে আমরা পরীমণির কাছে আশা রাখছি সে ছ্যাঁচোরের মতো দু চার পয়সা রোজগার করে কোনরকমে চেয়েচিন্তে জীবন কাটিয়ে সতীত্বের পরকাষ্ঠা দেখাবে। সব দায় পরীমণির। যখন তার সামান্য চোখের ইশারায় সে বুভুক্ষু পুরুষকে বাগে নিতে পারে, তুড়ি মেরে আয় করে নিতে পারে অঢেল অর্থ, বিলাসী জীবন। শরীরের বিনিময়ে যে অর্থ বিত্ত সহজলভ্য, তা গ্রহন না করে নিজেকে সতী সাধ্বী রাখার দায় কেবল পরীমণির। এর সব দোষও হয়তো পরীমণির।
কিন্তু পরীমণির আসল দোষ অন্যকিছু,আমি যা খুঁজে পেয়েছি, আর তা হলো তার 'চির উন্নত শির'। একটা প্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে, যা করে কিংবা করেছে তার দায় তার একার নয় কোনভাবেই। আর পুরো রাষ্ট্র যন্ত্র, মিডিয়া, প্রচলিত জনমানস এবং তার সঙ্গলাভকারীরা পর্যন্ত যেভাবে তাকে তিলে তিলে পিষে মারার চেষ্টা করছে, পরীমণি সেই ভণ্ডদের মুখে একটা তীব্র চপেটাঘাত।
ধরা পড়ার পর পরীমণি যদি লজ্জায় কপট আঁচলে মুখ ঢাকতো, তাঁর তর্জনী আমাদের সো-কল্ড ভদ্র সমাজের দিকে না তুলতো বোধহয় আমরা তার অপরাধ কিছু লঘু করে দেখতাম। তাঁর এই ঔদ্ধত্য আমাদের অভ্যস্ত চোখে বড়ই বেমানান লাগছে। আমরা তাঁর ঝাঝ সহ্য করতে পারছি না, আবার সহ্য যে করতে পারছি না তা স্বীকারেরও সৎ সাহস আমাদের নাই।
এতএব আমাদের এই অসততা আর ভণ্ডামির মাসুল পরিমণি কতোটা দেয় তাই এখন দেখার বিষয়। সময়ের চেয়ে অগ্রসর নারীকে কবে কোন সমাজ ধিক্কার না দিয়ে, শাস্তি না দিয়ে গ্রহন করার দুঃসাহস দেখাতে পেরেছে?
12 | 49.207.***.*** | ১৪ আগস্ট ২০২১ ২৩:০৪496768২০-২৫ বছর আগে ইন্টারনেট মানেই পর্ন
12 | 49.207.***.*** | ১৪ আগস্ট ২০২১ ২৩:০৭496769এই সব তথ্য ইন্টারনেট সম্বন্ধে কোথায় পেলেন?
:|: | 174.255.***.*** | ১৪ আগস্ট ২০২১ ২৩:১৬496770৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে তো একই বিন্দুতে পৌঁছাবে। আপনি নিশ্চয় ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে উল্টো অবস্থানে পৌঁছাবার কথা বলতে চেয়েছেন, তাই না?
rhishin sinha | ১৫ আগস্ট ২০২১ ০০:২৯496775আমরা যারা নিরীহ মানুষ কাজের শেষে রোজ রাত্তিরে দুটো পেগ মেরে অভ্যস্ত আর বাড়িতে দু চারটে বোতল মজুতও রাখি তাদের তো কোনো bail নেই আপনাদের দেশে !!
১
"কিন্তু পরিমণির আসল দোষ অন্যকিছু,আমি যা খুঁজে পেয়েছি, আর তা হলো তার 'চির উন্নত শির'।"
এতো সুন্দর পায়েসটা তলানিতে এসে ধরে গেল! :/
২
আসলে বিনা ভোটের ১৫ বছরের সরকারের ক্ষমতা নির্বিঘ্ন রাখতে, বেসামাল করোনা ও লাগামহীন বাজার পরিস্থিতি থেকে জনতার মন ভোলাতে এই সব গ্ল্যামারাস নাটক, সেক্স এন্ড ক্রাইম ড্রামা দরকার, যাতে প্রচুর রগরগে বিনোদন থাকে, জনতা যেন টিভির অনর্গল লাইভ থেকে এই সব গিলে গিলে খায় ও সুখী থাকে!
৩
নইলে শত শত টিভি ক্যামেরার আগাম উপস্থিতিতে এক উঠতি চিত্রনায়িকার বাসায় জঙ্গি ধরার কায়দায় সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত এলিট ফোর্স রেবের ব্যয়বহুল সশস্ত্র অভিযান চালাতে হবে কেন?
বড়জোর একজন ছোট দারোগার (এএসআই) নেতৃত্বে অষ্টম শ্রেণী পাস কয়েকজন সাদা পোশাকের মহিলা পুলিশই যথেষ্ট ছিল না কি?
৪
এছাড়া বোট ক্লাবের ক্ষমতাধর কয়েক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষন ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগের পাল্টা প্রতিহিংসা চরিতার্থ করাও পরীমনি কাণ্ডের নেপথ্য নাটক হলেও হতে পারে।
৫
এইসব ঈদ উত্তর দুর্বল চিত্রনাট্যের নাটকের থিম সং সমৃদ্ধ হতে পারতো লালন সাঁইয়ের গানে,
"চোর দিয়া চোর ধরাধরি, একি কারখানা!"
পুনশ্চ : লেখার শিরোনাম থেকে শুরু করে সর্বত্র বানানটি বোধহয় "পরিমণি" র বদলে "পরীমণি" হবে।
রুমা এপারে পরিচিত লেখক, তার কাছ থেকে আরো শক্তিশালী লেখা আশা করি। শুভ
"rhishin sinha | ১৫ আগস্ট ২০২১ ০০:২৯496775
আমরা যারা নিরীহ মানুষ কাজের শেষে রোজ রাত্তিরে দুটো পেগ মেরে অভ্যস্ত আর বাড়িতে দু চারটে বোতল মজুতও রাখি তাদের তো কোনো bail নেই আপনাদের দেশে !!"
বালাই ষাট! ভরসা রাখুন নৌকায়