এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ধারাবাহিক  বিবিধ

  • খাম্মামের হারিয়ে যাওয়া মানুষজন - চতুর্থ ও শেষ কিস্তি

    সিদ্ধার্থ মিত্র লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | বিবিধ | ১২ অক্টোবর ২০১২ | ১২৪৩ বার পঠিত

  • ফসলের ঝাঁকি, আর ঘুমন্ত শিশু (সুনিতা)

    আমি মুগ্ধ হয়ে দেখছিলাম কেমন ক’রে পাতার পর পাতা বুনে চলেছে ছেলেটা। আমি নিজের হাতে একটা বুনতে গিয়ে দেখলাম ব্যাপারটা আদপেই অত সোজা নয়। বোনা শেষ হতে দেখলাম ঝাঁকিটা বেশ শক্তপোক্ত, দেড় কিলোর মত ফসল ভালোভাবে ধরে যাবে। দেখলাম ফসল ভরে রাখার আগে কিছুটা ছাই আর শুকনো পাতাও মিশিয়ে রাখা হচ্ছে। একটা অর্জুন গাছের ডাল (barir bhitore chaad theke) থেকে ঝাঁকিগুলো ঝুলিয়ে রাখা হচ্ছিল। উল্লেখ্য, ঝাঁকির পাতাগুলোও ওই গাছেরই। এই ঝাঁকিগুলোয় শস্যের দানা প্রায় দু’বছর ঠিকঠাক মজুত থাকবে।

    পাঠক, স্মরণ করুন, কখনও ভেবেছেন যে এভাবে খাবার প্লাস্টিক নয়, স্টীল নয়, বিপিএ অথবা লেড-ফ্রী – এমন কোনও জায়গায় রাখা যেতে পারে? শুধুমাত্র ঠিকমত সঞ্চয় করা হয় না বলে প্রতি বছর টন টন খাদ্যশস্য কতো আড়তে, আমার আপনার বাড়িতে পচে নষ্ট হয়। খাবার রাখবার এই নেচার-ফ্রেন্ডলি পদ্ধতিতে কোনও ইলেকট্রিসিটি লাগে না; পাতায় তৈরী এই বাক্স পুনরুৎপাদনযোগ্য।

    এর কোনও জবাব আছে কি, আমাদের সো-কল্‌ড আধুনিক, উন্নত টেকনোলজির কাছে?

    আপনি তর্ক করতেই পারেন, মাস স্কেলে এর উৎপাদন কোথায়। কিন্তু ভেবে দেখুন, এই সামান্য লোকগুলোর কাছে এটা কতো বড়ো একটা সুরাহা। শুধু তাই নয়, অন্যান্য বহু গ্রাম যেখানে (eit dhoroner gaach aache, jar pata theke egulo banano – orjun gaach noi. Tobe jani na eta orjun gaacher pata kina) অর্জুন গাছ আছে, সেখানে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে। দেশোয়ালি এই লোকগুলোর কাছ থেকে শেখার মত আমাদের আরও অনেক কিছুই আছে। গ্রামীন পদ্ধতিতে জলের সঞ্চয় এবং কৃষির জন্য তার সঠিক বন্টন পদ্ধতি তার মধ্যে অন্যতম। হিমালয় অঞ্চলে বসবাসকারী কিছু উপজাতির কৃষিকাজে জল সংবহন পদ্ধতির কাছে আমাদের পিভিসি পাইপে করে জল বয়ে নিয়ে যাওয়া হার মেনে যায়। দেশের, মাটির, গ্রামের এই জনসাধারণ আমাদের সংস্কৃতির ধারক ও বাহক। তাদের সব প্রথাই, যেমন জঙ্গল পুড়িয়ে চাষের জমি তৈরী করা ইত্যাদিগুলো ঠিক নয় এবং একমাত্র শিক্ষাই পারে তাদের সেটা বোঝাতে। তাদের ও আমাদের পদ্ধতির লেন-দেন চলতে পারে। কিন্তু আমাদের এটা বোঝা উচিত যে এই প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে সমস্যা সমাধানগুলো আমরা অবহেলা করলে আখেরে আমাদের, শহুরে ভারতবর্ষেরই ক্ষতি। পরিবেশের জন্যও এই ক্ষতি অপূরণীয়।

    আমরা ওদের থেকে শিখতে পারি না কি? ওদের থেকে প্রতিটা ব্যাপারে আমরা অনেক উন্নত – আমাদের এই ঔদ্ধত্য কেন? আমি দোলনাটা তাকিয়ে দেখি। যদি এটা প্লাস্টিকের তৈরী একটা ব্যাটারি আর মোটর চালিত ডিভাইস হত, আর দুলত যান্ত্রিক একঘেয়ে একটা কন্ঠস্বরে ঘুমপাড়ানি গানের তালে তালে... ভালো লাগত কি?

    অনেক মানুষ মনে করে, এই জঙ্গলের আদিবাসী লোকগুলো কোনওরকম পরিবর্তন চায় না। এটা ভুল ধারণা। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পানীয় জল – জীবনের অনেক ক্ষেত্রে এরা আমাদের সাহায্য চায়। সবার আগে, অন্য যে কোনও মানুষের মত এরাও নিজেদের প্রাপ্য মর্যাদাটুকু চায়। ভদ্রবোধসম্পন্ন মানুষের নিজেদের এক্তিয়ারে স্বাধীনভাবে বাঁচার অধিকার। উচ্ছেদের পরে আমরা এদের নতুন যে জীবনদান করতে চাইছি, কোনওরকম পুঁথিগত শিক্ষা ছাড়াই এই লোকগুলোর বোঝার ক্ষমতা আছে যে সেই জীবনে মর্যাদাবোধ নেই – এমনই বিচক্ষণ এরা। যতদিন না আমরা এদের সেই অধিকারবোধ দিচ্ছি, এরা নিজেদের জীবন এবং অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রাম জারি রাখবে, সে যত স্বল্প পরিসরেই হোক না কেন।

    ওদের সাথে আরও এটা ওটা কথা, আর সময় কাটানোর পর আমি আমার সকাল যেই গ্রাম থেকে শুরু করেছিলাম, সেখানে ফিরে এলাম। একমাত্র স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি উপচে পড়ছিল ভীড়ে। কিছু অভিজ্ঞ নার্সের সঙ্গে একজন ডাক্তার রোগী দেখছিলেন... শিশু, মহিলা, পুরুষ।

    ডাক্তারের কাছে জানতে চাই, এখানে লোকেদের বেশীরভাগের সমস্যা কী। সেরিব্র্যাল ম্যালেরিয়া, এখানে আর আশেপাশের ক্যাম্পে – উনি জবাব দেন। তারপরেই রয়েছে স্বাস্থ্যহীনতার জন্য হওয়া নানারকম চর্মরোগের প্রকোপ। নিজেদের বসতভিটের আকাশ, বাতাস, খোলামেলা পরিবেশহীন ঘিঞ্জি অস্বাস্থ্যকর ঘরবাড়ি আর পানীয়জলের অভাব, আমি বুঝে পাই না লোকগুলোর চূড়ান্ত শারীরিক অবনতির জন্য এগুলোকেই দায়ী করবো কিনা।

    সেই সন্ধ্যেয় আমি ASDS এসে ফেরার জন্য রাতের গাড়ি ধরি। বাস রেখাপল্লি ছাড়িয়ে চলতে থাকে। ঘন হতে থাকা জঙ্গলের মাথায় সূর্য অস্তগামী। ডুবে যাবার ঠিক আগে নিজের শেষ কয়েক ছটা লাল রশ্মিতে কাছেপিঠের পাহাড়গুলোর মাথা রাঙিয়ে লাল করেছে। অন্ধকার ঘনাতে পূর্ণিমার থালা চাঁদ ভুস করে জেগে ওঠে। রাতের কালো ওড়নায় জ্যোৎস্না মাখিয়ে ডুবস্নান করছিল চরাচর। জমির ঠান্ডা ঘাসের বুকে চাঁদের মুক্তদ্যূতি ঝিলমিলিয়ে একাকার। দূরে ক্রমশ হারিয়ে যেতে থাকা পাহাড়গুলো নক্ষত্রভরা আকাশের শিল্যুয়েটে নীরব, অতন্দ্র প্রহরী। চারদিকে এত ঔজ্জ্বল্য নিয়েও উপত্যকার গহীনে কালো জঙ্গল দূর্ভেদ্য আর প্রাচীন লাগে। আমি বিন্দু বিন্দু আলো দেখছিলাম, একটা দু’টো মিলিয়ে যেতে থাকা আলো, আগুন, অন্ধকারের বুক চিরে টিমটিমিয়ে জ্বলে প্রাণের ইশারা হয়ে। আমি জানি, ওই আলোর নীচে আছে ওখানে বসবাসকারী একটা দু’টো প্রাণ।

    আমার মন পড়ে থাকে ওই ক্যাম্পগুলোয়। কী কথা বলে এখন ওরা! ক্যাম্প ঢাকা ঘন জঙ্গল। হয়ত ওরা সবাই মিলে আগুন জ্বালিয়েছে। হয়ত সবাই ওই আগুন ঘিরে গোল হয়ে বসে; হয়ত সম্ভাবনাময় নৈশাহারের আয়োজনে ব্যস্ত। না কি ওরা উষ্ণতা খোঁজে এক অপরের কাছে... অথবা হয়ত এসব কিছুই নয়, ওরা হয়ত অপেক্ষা করে আছে আরেকটা দিনের, একটা নতুন সূর্যোদয়ের। আশা বাঁধে, সুবিচার হবে। আমি ভাবি, অবাস্তব আশা।

    ট্যাক্সপেয়ারদের টাকা নয়ছয় করা নিয়ে অনেক কেচ্ছা শোনা যাচ্ছে আজকাল – 2G স্ক্যাম, কমনওয়েল্‌থ স্ক্যাম, আদর্শ হাইজিং স্ক্যাম...। ধনাধ্যক্ষের টাকা ড্রেইন দিয়ে বয়ে যায়, সেই দিয়ে নিয়ম মেনে চলে ঘোলা জলে মাছ ধরা। কিন্তু গরীবের বসত যখন বলপ্রয়োগ করে ডেভেলাপমেন্টের নামে কেড়ে নেওয়া হয়, সর্বত্র এক অদ্ভূত শ্মশানের নীরবতা বিরাজ করে। শুধু বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল বা SEZ গঠনের জন্যই নির্ধারিত মূল্য প্রায় ১৬০০০০ কোটি টাকা, যা 2G স্পেকট্রামে নষ্ট হওয়া টাকার সমতুল। গরীর আদিবাসী আর কৃষকদের কাছ থেকে উন্নতি আর পরিকাঠামোর নামে কেড়ে নেওয়া জমির নামে সমতুল্য টাকা কি এই সব স্ক্যামে নয়ছয় হওয়া টাকার তুলনায় আরও বেশী নয়? কেমন উন্নতি, না যা তাদের বলপূর্বক উচ্ছেদ করেছে, তাদের পূর্বপুরুষের জমিবাড়িমাঠঘাট এক ধাক্কায় কেড়ে নিয়েছে তাদের থেকে। কৃষক ও আদিবাসীদের উচ্ছেদ করে POSCO প্রজেক্টের রাজ্যের কাছে ক্ষতির পরিমাণ ২০০০০ কোটি টাকা। এসবের মধ্যে অনেক মূল্য অনির্ধারিত রয়ে গেছে। যেমন প্রিয়জনের বিচ্ছেদ, মানুষের মৃত্যু, সংসার পরিবারের ভেঙে খানখান হয়ে যাওয়া। এগুলোর অপূরণীয় দাম কেউ হিসেবের মধ্যে ধরেনি। উচ্চ আর মধ্যবিত্ত শ্রেণীর তবু টনক নড়ে না। গরীব আদিবাসীদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া ভূমি-জল-জঙ্গল এদের কাছে চৌর্য্যবৃত্তি নয়। এরাও অন্যান্য সবার মত এই একই দেশের নাগরিক।

    সময় এসেছে। এবার এই চুরি-খুন-লুঠতরাজ বন্ধ হোক। বন্ধ হোক বৃহত্তর ভারতীয়ের নিজেদের জীবন থেকে নিজেদেরই বঞ্চিত করা।

    মাদিয়া গোন্ড উপজাতির একটা বহুল প্রচলিত উপকথা অনুযায়ী, মহাবলশালী প্রচণ্ড শক্তিতে একটা লোহার নেহাই ভূমিতে আছড়ে মারেন, আর পৃথিবী সৃষ্টি হয়। অনেক আলোড়নের পর যখন সব শান্ত হলে পর্বতে পাহাড়ে জন্ম নেয় প্রাণ, শাখা নদী তার প্রশাখা ভরে জল বয়ে নিয়ে চলে, বন্য পশুরা নিজের নিজের বাসস্থান খুঁজে নেয়, মানুষ সমাজ তৈরী করে – এভাবে শ্বাসময়, স্পন্দনশীল প্রাণজগৎ গড়ে ওঠে। আজ ওই লোকগুলির অন্তিম দশা আগতপ্রায়। একদিন যেই নেহাই ছুঁড়ে সব তৈরী হয়েছিল, তাদের জীবন, জগৎ আর জন্মভূমি থেকে আজ তা ছিঁড়ে উপড়ে ফেলা হচ্ছে। তাদের বিনাশের সাথে সাথে শেষ নিঃশ্বাস নিচ্ছে তাদের এতযুগের গড়ে তোলা প্রাণ, আশা, ইচ্ছা। সৃষ্টিকালীন বিনাশের চাইতে অনেক শক্তিশালী এই ধ্বংসের প্লাবন, আজ তাদের শিয়রে শমন হয়ে দাঁড়িয়ে। পৃথিবীর বুকে এটা একটা বিরাট ফাটল। এই ফাটলের বুক চিরে উঠে আসা আগুনের লকলকে শিখা দেখা যায়। আর অনেক দূরে, আমাদের সুরক্ষিত গন্ডীর মধ্যে দাঁড়িয়ে আমরা এই সব দেখবো নিষ্প্রাণের মত; অনেক দূরের জঙ্গল, ওই নিষিদ্ধ অথচ কত শত উপকথার ছায়ানিবিড় জমি, কালো সোনার দেশ যেখানে গোটা রাতের বুকে আগুন জ্বলে ইতিউতি। আমরা সবাই হামলে পড়েছি সেই অমূল্য প্রাইজ হস্তগত করতে, তবু আগুন দেখে ছ্যাঁকা লাগার ভয়ে হাত সরিয়ে নিই। এই আগুন নেভানো খুব দরকার। নইলে এই সর্বগ্রাসী আগুন একদিন সবটা খেয়ে শুধু ছাই রেখে যাবে।


    মূল লেখা ঃ http://sanhati.com/excerpted/3377/ 


    অনুবাদ ঃ সায়ন্তন দে


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ধারাবাহিক | ১২ অক্টোবর ২০১২ | ১২৪৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aranya | ***:*** | ১৪ অক্টোবর ২০১২ ০৫:২১90697
  • এমন সব লেখা যদি মেন স্ট্রীম মিডিয়ায় বেরোত, বহু লোকের কাছে পৌঁছত - হয়ত এই আদ্যন্ত করাপ্ট সরকারের ওপর একটু চাপ সৃষ্টি হত।
    সব কটা পর্ব-ই পড়লাম, বড় ভাল লেখা, বড় প্রয়োজনীয় লেখা। জঙ্গলের অধিকার ফিরে পাক জঙ্গলের ভূমিপুত্ররা, এই কামনা।
  • তাতিন | ***:*** | ১৭ অক্টোবর ২০১২ ০২:১৪90698
  • ভারতে স্বাধীনতার পর উন্নয়নের নামে প্রায় ৫ কোটি লোক উদ্বাস্তু হয়েছেন।
    তুলনা করে দেখলে, দেশভাগের সময়ে তিনপার মিলিয়ে ১.৫ কোটি আর বাংলাদেশযুদ্ধে ১.৫ কোটি মানুষ উদ্বাস্তু হয়েছেন।
    ইসরায়েল দেশটা বানানো হয় ৬ লক্ষ ইহুদিকে জায়গা দিতে - নর্মদা নদীবাঁধের জন্য ৫ লক্ষ লোক বাস্তুচ্যুত হন।
    ভারতে উন্নয়নের জন্য মৃত্যুর সংখ্যা সম্ভবতঃ হলোকাস্টের ডেথ টল ছাড়িয়ে যাবে
    http://www.uni-bielefeld.de/tdrc/ag_comcad/downloads/workingpaper_103_negi_ganguly.pdf
  • aranya | ***:*** | ১৮ অক্টোবর ২০১২ ০২:৫০90699
  • তাতিনের মন্তব্য ভাল লাগল। দেশের নীতি নির্ধারকরাও যদি একটু এই লাইনে ভাবতেন ...
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি প্রতিক্রিয়া দিন