এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • সোদি সাম্বোর অদ্ভুত কাহিনী

    সিদ্ধার্থ মিত্র লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ১৮ জানুয়ারি ২০১০ | ১০৩৯ বার পঠিত
  • The strange case of Sodi Sambo

    Is there any point to which you would wish to draw my attention?"
    "To the curious incident of the dog in the night-time."
    "The dog did nothing in the night-time."
    "That was the curious incident," remarked Sherlock Holmes.

    আমি সোদি সাম্বোকে প্রথম দেখি ট্রেনে, আরাকু ভ্যালি যাবার পথে। আরাকুতে থামার পরে কিরান্ডুল নামে ঐ ট্রেন পাড়ি দেবে ছত্তিসগড়ের গহনে, অনেক দূরের শহর দান্তেওয়ারার দিকে। নাকি ওর নাম অন্য কিছু ছিল? গাম্বো? ধোমলা? গান্তেলা? ঐ যেমন ভাবে অমরেশ মিশ্র হাত নেড়ে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন সাম্বোর হঠাৎ গজিয়ে ওঠা সব আত্মীয় স্বজন - বাবা, মা, কিম্বা অভিভাবক, অথবা, মাসি, মেসো - কি আসে যায়? এক আদিবাসী মহিলা এই বলেই ভেবে নিন ওকে। নাম একটা হলেই হল। কতটুকু বা আর মানুষ ওরা?

    বাথরুমের দরজার কাছে চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিল ও। ভয় পাওয়া চোখদুটো ঠিক নির্দিষ্ট কিছু দেখছিলনা, হয়তবা কামরার খোলা দরজা দিয়ে বাইরে দেখছিল। ট্রেনটা তখন এঁকে বেঁকে চলছে ঘন জঙ্গলে ঢাকা অপরূপ সুন্দর পাহাড়ের খাঁজ ঘুরে। হয়ত সে ভাবছিল - বাড়ির কথা, কতক্ষণে পৌঁছবে সেই কথা। কতক্ষণে ঘর যাবে এই অচেনা পৃথিবী থেকে, যেখানে আসতে বাধ্য করা হয়েছে, সেখান থেকে কতক্ষণে পারবে ফিরতে? এক গাড়ি ভর্তি শহুরে মানুষের মাঝে, যারা বড়দিনের ছুটি কাটাতে জনপ্রিয় ট্যুরিস্ট স্পট আরাকু ভ্যালির দিকে যাচ্ছে - এদের থেকে একেবারে আলাদা সে। শান্ত লম্বাটে মুখ, কোঁচকানো মাটি রং চামড়া, লাল পাড় সবুজ সাধারণ শাড়ি, পরার ধরনটা অন্যরকম, নিরালংকার খালি পা। আর ছিল ভীতু, সরল দৃষ্টি। আমার মত বা বাকি সবার মত ওরও নিশ্চয়ই একটা টিকিট ছিল, কিন্তু এই একই গাড়ির মধ্যে মার্জিত শহুরে মানুষের পাশে বসার কথা সে স্বপ্নেও ভাবতে পারেনা। তাকে যে গাড়িতে চড়তে কেউ আটকায়নি তাতেই যেন সে কৃতজ্ঞ। এর বেশি সে চাইতেই পারেনা। এই একই কৃতজ্ঞতা আমি দেখেছিলাম সাম্বোর মুখে যখন তাকে দান্তেওয়ারার হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। ওর পায়ের চিকিৎসার জন্য। সেই দৃষ্টি এড়ানো চোখ, ভাগ্যকে মেনে নেওয়া, চিকিৎসা ও সেবার জন্য কৃতজ্ঞতা। আমাকে শুধু থাকতে দাও, তোমার মত আমিও মানুষ। আর কিছু আমি চাই না। তোমার পথে আমি আসবনা।

    কিন্তু তুমি তো ঠিক আমার পথেই। আমি যা চাই, তার ওপরেই তুমি বসে আছ। ধাতু। খনিজ। সেই ধাতু যা দিয়ে এই ট্রেন তৈরি। সেই একই ধাতু যা দিয়ে তোমার ক্রাচ তৈরি। সেই একই ধাতু যা দিয়ে তৈরি করা বুলেট তোমার পা চিরে দিয়েছিল।

    তোমাকে আর আমার কাছে আসতে হবেনা। আমিই আসব। বাইরের এই বিশাল পৃথিবীটা তুমি আর এড়িয়ে যেতে পারবেনা। সে তোমার কাছে এসেছে। এসেছে এমনকি ঐ সিআরপিএফ জওয়ানের বেশ ধরে। তোমার নিজেরই বাড়ির মাটির দেওয়ালে পিঠ দিয়ে দাঁড় করিয়ে যে সিআরপিএফ জওয়ান তোমায় গুলি করেছিল। পৃথিবী বদলেছে, তোমাকে এবার মেনে নিতে হবে।

    আর ঐ জওয়ানটি তো তোমাকে বাঁচতে দিয়েছিল, নাকি? হয়ত কোনো মানবিক বোধ তার হাত ধরে আটকে দেয়, সোজাসুজি খুন করতে দেয় না? কিম্বা যখন তোমার ছোট বাচ্চা চিৎকার করে কেঁদে তোমার রক্তে ভেজা, মাটিতে শুয়ে থাকা শরীরের ওপর উপুড় হয়ে পড়ে, তখনও তো সে পারেনা কাজটা একেবারে শেষ করে দিতে? অকর্মণ্য, বোকা, অপদার্থ জওয়ান, হয়ত সেও পুরোপুরি "উন্নয়নে' বিশ্বাস করেনা? এমন একজন যে এখনও বুঝতে পারেনি যে এই উন্নত পৃথিবী আর তুমি একই সাথে থাকতে পারনা? ঐ লোকটাকেই গুলি করে মারা উচিৎ!

    এবারে আসল রহস্য।

    কে তোমায় গুলি করেছিল?

    অবশ্যই ছত্তিস্‌গড়ি পুলিশ না। এসপি দান্তেওয়াড়া, অমরেশ মিশ্রকে দেখ। অত্যন্ত ভালো লোক। কিভাবে সহৃদয়ভাবে তিনি তোমার কথা শুনতে রাজি হয়েছেন। তোমার বয়ান লিখতে রাজি হয়েছেন, তাও সামনাসামনি। কত দয়ালু, বিবেচক মানুষ। এরাই তোমাকে সুরক্ষা দেবে। ওদের নেতা, সেই বিশ্বরঞ্জন, তিনি আমাকে বুঝিয়ে এও বললেন যে, ছত্তিসগড়ে পুলিশ কাউকে পেটায় পর্যন্ত না, আর মানুষ সহজে নিরুপদ্রবে কোর্টে গিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনেই বয়ান দিতে পারে। না, এই মেহেরবানরাও নিশ্চয়ই না।

    তাহলে কি সিআরপিএফ? মিলিটারি?

    এটা আলাদা প্রশ্ন। কিন্তু, তাও, ওরা করবেই বা কেন? অবশ্যই যদিনা তুমি নকশাল হও? তুমি তো অন্তত একটা রাইফেল কখনও দেখেছ, দেখনি?
    তবে, মনে হয়না। ছোট বাচ্চা কাঁদতে কাঁদতে বাঁচানোর চেষ্টা করছে বন্দুকের মুখে দাঁড়ানো নকশালকে, এরকমটা দেখা যায়না। এই নিয়ে অন্তত কেউ কোনো তর্ক করবেনা। তাছাড়া, শতচেষ্টাতেও তোমাকে একেবারেই ওদের মত দেখতে লাগছেনা। আর সিআরপিএফ তো এখানে এসেছে শান্তিরক্ষা করতে, ঠিক ঐ কর্মনিষ্ঠ রাজ্যপুলিশের মত।

    আর এসপিওরা?

    হ্যাঁ ওরা হতে পারে। কিন্তু ওদের দেখ। ওরা তো অহিংস ভাবে প্রতিবাদ করে, আর কেবলমাত্র নিজেদের আত্মরক্ষার তাগিদেই লড়াই করে। ঠিক যেমন ঐ গন্ডগোল পাকানো হিমাংশুকুমারের বিরুদ্ধে ওরা করেছিল। মিশ্রবাবুকে নিজে লাঠি চালাতে হল ঐ ক্ষেপে যাওয়া এসপিওদের নিয়ন্ত্রণে আনতে। গুলি চালানো? সেসব ওরা করেনা। ওরা তো কেবলমাত্র তীর ধনুকওয়ালা আদিবাসী! হ্যাঁ কেউ কেউ বন্দুক কাঁধে ঘোরে, সে তো নকশালদের আক্রমণের ভয়ে, নিরীহ গ্রামবাসীকে গুলি করার জন্য না!

    তাহলে, কে মারল? আর তুমিই বা এই অভিযোগ দায়ের করলে কেন? বিশেষ করে যখন রাজ্য প্রশাসন স্থানীয় কোর্টে কোনো সাড়া দিলনা, তখন একেবারে সুপ্রীম কোর্ট অবধি নিয়েই বা গেলে কেন এই ব্যপারটাকে? আমরা কি নকশালদের সামলাতে যথেষ্ট ব্যস্ত নই রাজ্যে?
    হয়ত এ সবই সংবাদ মাধ্যমের কারসাজি? কিম্বা NGO গুলোর? কি করেছে ওরা তোমার জন্য? এই লোকগুলোকে তুমি চেন? এদের তুমি বিশ্বাস করছ কেন? হয়ত আগে এরা তোমাকে সাহায্য করেছে, কিন্তু তুমি কি করে জান যে এরা তোমাকে ফাঁসায়নি যাতে এদের নিজেদের একটু প্রচার হয়? কিম্বা এদের হয়ত অন্য কোনো কুমতলব আছে? বস্তারের এই জটিল জগতে, সবই সম্ভব। আমরা ধরে নিতে পারতাম যে এরা তোমাকে গুলি করেছে, কিন্তু এরা তো সবাই ঘটনাস্থল থেকে অনেক দূরে ছিল। দুর্ভাগ্যক্রমে, এদের পক্ষে তোমাকে গুলি করা অসম্ভব।

    দেখ ওদের। এই এখনি তুমি কত আত্মীয়স্বজনকে দেখলে, যাদের কথা তুমি আগে জানতেই না, যারা তোমার জন্য কত ভাবছে, আর তখনই এই সাংবাদিকরা আর এই NGO রা তোমার সাথে কথা বলতে চায়, তোমাকে বিরক্ত করতে চায়? কি ধরণের মানুষ এরা?

    চিন্তা কোরোনা, এখন তুমি আমাদের আশ্রয়ে। এখানে তুমি নিরাপদ। এ নিয়ে আমাদের কোনোই সন্দেহ নেই যে ঐ বদমাশ লোকগুলোর সাথে থাকতে তুমি বাধ্য হয়েছিলে, বাধ্য হয়েছিল বানিয়ে স্বীকারোক্তি দিতে, মানুষ খুন হতে দেখার গল্প বানিয়ে বলতে। কিন্তু এই রাজ্যে আইন কানুন আছে। ছত্তিসগড়ে কেউ এরকম করতে পারেনা। ওরা তোমাকে প্রায় মেরে এনেছিল, ভাগ্যিস আমরা সময়মত তোমাকে বাঁচাতে পেরেছিলাম। তোমার অনেক যত্ন নেব আমরা। সব কিছু পাবে তুমি। বেঁচে থাকাই তো অনেক এখন আদিবাসী মহিলাদের কাছে। তুমি শুধু বেঁচেই নেই, আমরা তোমার যত্নও নিচ্ছি। তোমার নতুন আত্মীয়রা, জেলের ডাক্তার যে তোমাকে দেখেছে, আমি নিজে, আমরা সবাই তোমাকে নিরাপদে রাখব। তুমি এখন বিখ্যাত। এমনকি বিশ্ব, মানে স্বয়ং ডিআইজি হয়ত তোমাকে স্বাগত জানাতে আসবে।

    দেখ, এটা রেলের কামরার ভেতর। খুব একটা খারাপ না, তাই না? তোমার কামরার বাইরে ঐ জঙ্গলের দিকে অমন শূন্যদৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকনা, ওখানে তুমি আর ফিরে যাবেনা। বিপদ ছাড়া কিই বা আর আছে ওখানে? এখানে তুমি অনেক ভালো থাকবে। আমরা একটা একেবারে নতুন অতিথিকেন্দ্র বানাব। আরে ঐ যে জাপানী শিল্পপতিরা আসছে খনিজ লোহা কিনতে, ওদের জন্য। প্রতি টন ৪০০টাকা হিসেবে, যা বাজারদরের অতি ক্ষুদ্র ভগ্নাংশ, তাতেও একেবারে বিনামূল্যে তো না! হয়ত ওরা যখন আসবে তুমি ওদের জন্য একটু আদিবাসি গোন্ডি নাচ দেখাবে? যখন তোমার পা ঠিক হয়ে যাবে? অন্তত একটা গোন্ডি গান তো গাইতেই হবে, কিম্বা ওদের তুমি লুপ্ত হয়ে যাওয়া জনজাতির ভাষা শেখাতে পারবে,, ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া অল্পসংখ্যক মানুষদের একজন যখন তুমি?

    তুমি বোধহয় সোজাসুজি ইংরেজি শিখে নিলেই পার, হিন্দি শেখার বদলে। নতুন জীবন শুরু করতে সেটাই সবচেয়ে ভালো। আর তাহলে তুমি চিরকৃত থাকবে সেই মানুষদের প্রতি যারা তোমাকে বাঁচিয়েছিল। আওয়ার বেদান্ত, মাই টাটা, ফ্রম এসার, উইথ লাভ।

    কিন্তু কই ঐ ঘ্যানঘেনে প্রশ্নটার তো উত্তর পেলাম না। কে তোমাকে গুলি করেছিল?

    সেইযে হোমস বলে গেছিলেন - " যখন সব অসম্ভব বাতিল হয়ে গেছে, তখন যা পড়ে আছে, তা যতই আজগুবি হোক, সেটাই নিশ্চয়ই সত্যি।"

    তোমাকে কি বাস্তবিক গুলি করা হয়েছিল? হয়ত তোমাকে গুলিই করা হয়নি। সেই অন্ধকার রাতের কুকুরের মত, হয়ত আমরা যা নেই, তাকেই খুঁজে বেড়াচ্ছি।

    কেস ক্লোসড্‌! পড়ে গিয়ে ফ্রাকচার! আমাদের সার্টিফায়েড ডাক্তার সাক্ষী দেবে। আরে আমরা তো গোড়া থেকেই জানতাম। এরমানে তোমার পিটিশনের কোনো দাম নেই। ওটা আসলে ঐ বদমাশ লোকগুলো যারা তোমাকে তুলে নিয়ে গেছিল, তারাই জোর করে তোমাকে দিয়ে লিখিয়েছিল। ওদের ব্যবস্থা আমরা করছি। ওরা বুঝবে যে বস্তারে এখনও আইন কানুন বলে কিছু আছে। দেখ সব কিছু কেমন সুন্দর ভাবে হয়ে গেল। তুমি খুশি তো, এইভাবে সব মিটে গেল বলে?

    কিছুই আমার চোখ এড়ায় না। আমি জানি সারাজীবন তুমি কি খুঁজেছ। আমি ভীষণ খুশি হয়েছি যে আমরা তোমাকে তা দিতে পেরেছি। ঐ জঙ্গলের জীবন ছেড়ে তুমি বেরিয়ে আসতে চেয়েছিল, তাই না? ঐ NGO আর সংবাদমাধ্যম যাই বলুক, তুমি চেয়েছিলে উন্নয়ন, তাই কি না, বল? বিখ্যাত হওয়া, গৃহীত হবার স্বপ্ন? দেখ, সব কেমন সত্যি হল!

    কি অদ্ভুত লীলা!

    লেখাটি অনুবাদ করেছেন, আত্রেয়ী দাশগুপ্ত
    মূল লেখাটি প্রকাশিত হয়েছিল, আউটলুক ও সংহতিতে।

    ১৮ই জানুয়ারি, ২০১০
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১৮ জানুয়ারি ২০১০ | ১০৩৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে প্রতিক্রিয়া দিন