এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  খবর  খবর্নয়

  • সোনি সোরির কিছু প্রশ্ন

    খবরোলা লেখকের গ্রাহক হোন
    খবর | খবর্নয় | ১৬ আগস্ট ২০১২ | ১৩৭৪ বার পঠিত
  • 'সারাদিন অত্যাচার সহ্য করে গেলাম। প্রচণ্ড কষ্ট। কাউকে বলিনি, কাকেই বা বলতাম ? আমার নিজের কেউ তো ওখানে ছিল না !’ - সোনি সোরি।




    সোনি সোরি। নামটা কিছুটা চেনা চেনা লাগে কি? নানা খবরের আনাচে কানাচে নামটা হয়ত উঁকি দিয়ে গেছে এক দু’বার।

    সোনি সোরি কে? সে খবর আমরা জানি কি? দান্তেওয়াডার সরকারী আদিবাসী স্কুলের আদিবাসী শিক্ষিকা। বয়স ৩৫, আপাতত বন্দিনী, রায়পুর সেন্ট্রাল জেলে। এবং গুরুতরভাবে অসুস্থ, জেলের অত্যাচারে।

    সোনি সোরির ‘অপরাধ’ কী?  সেটা আমরা জানি কি? বোধহয় কেউই ঠিক জানে না। আদৌ কোন ‘অপরাধ’ করেছেন কিনা, তাও না। তবে রাষ্ট্র বলে দিয়েছে, সেটা ‘মাওবাদী’ সংক্রান্ত কিছুই হবে। অভদেশ গৌতম মামলা নিয়ে অন্য বুলবুলভাজায় বিস্তারিত আছে, তবে একথা বোধহয় না জানলেও চলে, যে, সোনির বাবাকে মাওবাদীরা গুলি করে যায়।

    সোনি সোরি কী বলছেন? তাঁর কথা আমরা শুনেছি কি? তাঁর ‘অপরাধ’ কী করে তৈরি হয়েছিল, সেসব কথা সোনিই জানিয়েছেন। জানিয়েছেন, জেলে তাঁর সাথে কী হয়েছিল। জানিয়েছেন, জেল থেকে লেখা তাঁর চিঠিগুলিতে। আন্তর্জাতিক নারীদিবসে সেই চিঠিগুলি থেকে অনেকেই পাঠ করেছেন। ‘খবর্নয়’ এ রইলো সেই কোলাজ আর বাকি কিছু চিঠির টুকরোটাকরা।

    রাষ্ট্র, অধিকার, স্বাধীনতা , কারাগার – কিছু টুকরোটাকরা।


     ------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------


    ‘সুপ্রীম কোর্টের মাননীয় উকিল মহাশয়,


    সেদিন রাতে শুয়ে ছিলাম। দুজন মহিলা পুলিশ কর্মী এসে আমাকে উঠিয়ে দিল, আমি জানতে চাইলাম, কেন ? বলল, এস পি অঙ্কিত গর্গ  এসেছেন, চলো।


    পাশের ঘরে নিয়ে গেল। সেখানে এস পি অঙ্কিত গর্গ ছাড়াও ছিলেন কিরন্দুল থানার এস ডি পি ও ছিলেন।


    ওই দুই মহিলা পুলিশকে ঘর থেকে  ওরা চলে যেতে বললো। এও বললো, যে, এই ঘরের কথা যেন ঘরের ভিতরেই থাকে, নইলে তাদের কপালে দুঃখ আছে।


    কন্সটেবল মানকর ও বসন্তকে ডাকা হয়েছিল। ‘মাগী, তুই জানিস নিশ্চয়, আমরা একসাথে এই পরিকল্পনাটা করেছি, আর মনে হচ্ছে, এটা সফল হতে চলেছে। ‘


    উনি মানকরকে বললেন, ‘তুমি খুব সাহসের সাথে কাজ করেছ, বেটা। আমি তোমার জন্য গর্বিত।‘


    মাগী, তুই জানিস, আমি কে ? আমি বিজাপুরের এস পি। আর খুব তাড়াতাড়িই আমি আরো বড় পদ পেতে চলেছি।‘ টেবিলে ঘুঁষি মেরে বললেন, ‘সব কিছু শুরু হতে চলেছে এখান থেকেই। আমরা যা বলব, তাই হবে। আমরাই এখানে প্রশাসন এবং সরকার। মাগী, তুই কোন সাহসে মানকরের অসম্মান করিস ? ওর তো এখন পদোন্নতি হবে !’


    কিছু কাগজে সই করতে বল্লো। আমি করবো না বলে যাচ্ছিলাম। আমাকে সমানে চাপ দেওয়া হচ্ছিল ও খুব কড়া ভাষায় বাজে কথা বলে যাওয়া হচ্ছিল। আমি তাও সই করতে চাইনি। তখন আমার পায়ে ইলেক্ট্রিক শক দেওয়া শুরু হয়।


    কাগজে লেখা ছিল, ‘হিমাংশু কুমার, প্রশান্ত ভূষণ , কোলিন মেধা পাটেকর, নন্দিনী সুন্দর, অরুন্ধতী রায়, কবিতা শ্রীবাস্তব, স্বামী অগ্নিবেশ, মনীশ কুমার, রমা সোধি, এসারের মালিক সবাই নকশাল সমর্থক। আমি দিল্লি গিয়েছিলাম, কারণ, ওরা আমাকে ডেকে পাঠিয়েছিল, টাকা দেবে বলে। এসার আমার, মনীশ আর রমা সোধির মাধ্যমে নকশালদের সবসময় টাকা পাঠাত। লিঙগা আর আমি দান্তেওয়াডার সব খবর দিল্লিতে নিয়ে যেতাম।এভাবেই আমরা নকশালদের সাহায্য করে গেছি।‘


    না, আমি এরকম কোন চিঠি লিখিনি। ওদের কোন কাগজে সইও করিনি। আমি বললাম, আমাকে মেরে ফ্যালো। কিন্তু এরকম কোন অপরাধ আমি কবুল করব না, আমি কোন অপরাধ করিনি।


    আমি মরতে চেয়েছিলাম। আমি বলেছিলাম এর থেকে আমাকে মেরে ফেল। কিন্তু সই আমি করব না, আমি কিছু লিখব না।


    অত্যাচার শুরু হল।


    বারেবারে ইলেকট্রিক শক দেবার পর, আমার জামাকাপড় খুলে আমাকে নগ্ন করা হল। এস পি অঙ্কিত গর্গ আমাকে দেখতে লাগলেন। আমার শরীরের দিকে তাকিয়ে জঘন্য ভাষায় গালি দিতে লাগলেন।তারপর তিনটে ছেলে এসে উল্টোপাল্টা কাজ শুরু করতে শুরু করল। আমাকে ধাক্কা মারল। আমি পড়ে গেলাম। তারপর আমার শরীরে পাথর ঢোকানো হল,  আমি প্রায় অজ্ঞান হয়ে গেলাম ...




    সোমবার, ১০ ই অক্টোবর, ২০১১


    সকালে ওরা এসে আমাকে বলল ফ্রেশ হয়ে নিতে, কোর্টে যেতে হবে। চা খেয়ে বাথরুমে গেছি, মাথা ঘুরতে শুরু করল, একটু বাদেই আমি পড়ে গেলাম, বাথরুমের মধ্যেই।পড়তেই জ্ঞান হারালাম। হুঁশ ফিরল যখন, তখন দান্তেওয়াড়া হাসপাতালে। তখন প্রচণ্ড ব্যথা টের পেতে শুরু করেছি, আমি দাঁড়াতে পারছিলাম না, বিছানা থেকে নামতেই পারছিলাম না।


     কাউকে বলিনি, ভয়ে। আমাকে ভয় দেখিয়ে রাখা হয়েছিল, বললে কী হতে পারে বলে। তাও আমি সুযোগ খুঁজছিলাম, আমার উপরে হওয়া অত্যাচারের কথা কোনভাবে জানানোর জন্য। কিন্তু সুযোগ পেলাম না। সবসময় পুলিশ ঘিরে ছিল আমাকে।


    দুটো নাগাদ পুলিশের গাড়িতে করে কোর্টে নিয়ে গেল, বহুক্ষণ ধরে কোর্টের বাইরে অপেক্ষা করিয়ে রাখল। ভিতর থেকে এস ডি পি কাগজ নিয়ে এসে বললেন, সাইন করো।


    কী করতাম ? এর থেকে তো জেলে গেলেই ভাল ছিল।


    বিচারক মহোদয়া কিছু না দেখে, আমাকে কিছু জিজ্ঞাসা না করে জেলে পাঠিয়ে দিলেন। ‘





    কিছু তথ্য।



    ১। ২৬ শে জানুয়ারী এস পি অঙ্কিত গর্গ দেশের সরকার বাহাদুরের কাছ থেকে বাহাদুরি ও সাহসিকতার জন্য পদক পেয়েছেন।

    ২ সোনি সোরিকে কোলকাতায় শারীরিক পরীক্ষার জন্য নিয়ে আসা হয় কোলকাতার এন আর এস মেডিক্যাল কলেজে। সেখানে এই রিপোর্ট দেওয়া হয়। আশ্চর্যের নয়, ছত্তিশগড়ের হাসপাতালের রিপোর্টে এসব কিছুই বলা হবে না।









     

    জেলখানা থেকে লেখা সোনি সোরি'র আরেকটি চিঠি। ৩রা ফেব্রুয়ারীর এই চিঠিতে উনি এই প্রশ্নগুলি করেছেন ভারতবর্ষের সমস্ত নাগরিকদেরই, তিনি উত্তর চান।






     "এটি সকলের জন্যই। যারা সমাজসেবী, এন জি ও, মানবতা অধিকার রক্ষার কর্মীরা, মহিলা কমিশন, সমস্ত ভারতীয় নাগরিকেরা -- এদের কাছে এক অত্যাচারিত আদিবাসী মহিলা চাইছেন তার প্রশ্নগুলির জবাব ও বিচার।


    ১।আমি জানতে চাই, আমাকে জোর করে নগ্ন করে ইলেকট্রিক শক দিয়ে, পায়ুদ্বারে পাথর ঢুকিয়ে কি নকশাল সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে? কেন মহিলাদের প্রতি এতো অনাচার? সকল দেশবাসীর কাছেই আমি এর জবাব চাই।


    ২।ভেবেছিলাম আমাকে যখন জোর করে নগ্ন করা হচ্ছে তখন কেউ একজন হয়তো আমাকে বাঁচাতে আসবে। মহাভারতে তো দ্রৌপদী পার পেয়ে গেলেন কৃষ্ণকে ডেকে, আর আমি কাকে ডাকবো?  আদালতের নির্দেশে আমাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিলো। আমার আর নতুন করে সম্মান হারানোর কোন ঠাঁই নেই আর আমাকে কে বাঁচাবে বেইজ্জতের  হাত থেকে?


    আপনাদের সকলের কাছ থেকেই এর জবাব চাইছি আমি। 


    ৩।পুলিশ অফিসার,  এস পি অঙ্কিত গর্গ আমাকে বললেন " শালী হারামী,কুত্তি। তুই তো একটা বেবুশ্যা। নকশাল লীডারদের কাছে তোর শরীর বেচিস তুই। ওরা আসেও তোর বাড়ীতে সারা দিনরাত ধরে। জানি,জানি, আমরা সব জানি।' আরো বল্লেন " তুই নিজেকে বলিস তুই একটা ভালো টিচার কিন্তু তুই তো দিল্লি গিয়েও তোর শরীর বেচে আসিস। তুই কি ভাবিস নিজেকে? তোর ধারনা তোর মতন একটা পাতি মেয়েছেলেকে  বাঁচাতে কোনো হোমড়া চোমড়ারা ছুটে আসবে? " কোন অধিকারে কোনো পুলিশ অফিসার ঐ কথা বলতে পারে? আজকের দিনে ইতিহাস ঘাঁটলেই দেখা যাবে সব দেশেই যুদ্ধের সময়ে সেই দেশের মেয়েরা স্বদেশের জন্য কতো আত্মত্যাগ করেছেন। ঝাঁসীর রাণী লক্ষ্মীবাইও তো বৃটিশের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন - তিনি তো নিজেকে বিক্রি করেন নি। ইন্দিরা গান্ধী ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন - তিনিও কি নিজেকে বিক্রি করেছিলেন? আর আজকের দুনিয়ায় যতো মহিলারা নিজের নিজের জায়গায় কাজ করছেন তারাও কি নিজেদের বেচে দিচ্ছেন? আমাদের সবারই তো একই সাথে থাকার কথা, কিন্তু আমাকে সাহায্য করতে কেন কেউ এগিয়ে আসছে না? আমি এর উত্তর চাই।


    ৪। কে জন্ম দিয়েছিলো এই দুনিয়াকে? কারা প্রসব করেছিলো বীর স্বাধীনতা সংগ্রামীদের? যদি মহিলারা না থাকত ভারত কি স্বাধীনতা পেতে পারত? বলুন ? তো আমিও তো একজন মহিলা, কেন আমার সাথে এমন ব্যবহার করা হোলো?


    ৫। আমার পড়াশুনা করাকেও টিটকারী দেওয়া হয়েছে। আমি ডিম্রিপালের গান্ধীবাদী স্কুল, রুক্মিনী কন্যা আশ্রমে লেখাপড়া শিখেছি। আমি খুব দৃঢ় ভাবে শিক্ষার সমর্থক। বিশ্বাস করি শিক্ষার ক্ষমতায়। এর জন্যেই আমি যেকোনো সমস্যার মোকাবিলা করতে পারি - সে নকশাল  বা অন্য যে কোনো সমস্যাই হোক না কেন। শিক্ষা আমার বেঁচে থাকার উপায় আর আমার কলমই আমার হাতিয়ার। অথচ আমাকেই এরা নকশাল সমর্থক হিসেবে জেলে ঢুকিয়ে দিলো। মহাত্মা গান্ধীও একই নীতিতে বিশ্বাস করতেন। যদি মহাত্মা আজও বেঁচে থাকতেন তাহলে কি তাঁকেও নকশাল সমর্থক হিসেবে জেলে বন্দী করা হোতো ? এর উত্তর আমি চাই।


    ৬।কেন শুধু গাঁয়ের মানুষ আর আদিবাসীদেরই মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে নকশাল নাম দিয়ে জেলে পাঠানো হচ্ছে? আরো তো কতো লোকেই নকশালদের সমর্থক হতে পারেন, কিন্তু শুধু কি নিরক্ষর,অশিক্ষিত সরল মানুষ বলেই আমাদের উপর এই অত্যাচার? আমরা বনে জঙ্গলে কুঁড়েঘরে থাকি,  আমাদের টাকা  পয়সা নেই, সেই জন্যই কি আমাদের বেছে নেওয়া হয়েছে ? না কি এরা ভাবেন যে আমাদের অত্যাচার সহ্য করবার ক্ষমতা আরো বেশী - তাই? এর জবাব দিন আপনারা।


    ৭।আমরা যারা আদিবাসী, আমাদের উপর চলছে অকথ্য অত্যাচার। মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে বলা হচ্ছে আমরা নাকি নকশালদের সমর্থক। একটা দুটো কেস দিয়েই পাঁচ বছর ছয় বছর জেলে আটকে রাখা হচ্ছে।


    ৮।আমাদের জন্য না আছে বিচার, না আছে জামিন না আছে মুক্তি। কেন? কেন?  আদিবাসীদের ক্ষমতা নেই সরকারের সাথে লড়াই করবার, তো সরকারও আর আদিবাসীদের মদত দেয় না। না কি আমরা তো আর বড় বড় রাজনৈতিক দলের নেতদের ছেলে মেয়ে স্বজন নই।আর কতোদিন আদিবাসীদের এই অনাচার সহ্য করে যেতে হবে? সমস্ত ভারতীয় নাগরিকদের কাছেই আমার এই প্রশ্ন, এর উত্তর দিন।


    ৯। জগদলপুর আর দান্তেওয়ালার জেলখানায় বন্দী করে নিয়ে আসা হয়েছিলো ১৫-১৬ বছরের ছেলে মেয়েদের। আজ তারা ২০-২১ বছর বয়সী। কিন্তু এখনো পর্যন্ত তাদের মামলার শুনানীই শুরু হয় নি। যদি এদের মামলাই শুরু না হয় শিগগির তাহলে এদের জন্যে কি রয়েছে ভবিষ্যতে? যত আছেন মানবতা অধিকার রক্ষা কমিটির সদস্য, এন জি ও'র সদস্য, বুদ্ধিজীবিরা - তাদেরকে আবেদন করছি,  এইটা নিয়ে একটু ভাবুন।


    ১০। আর এই নকশালেরা আমার বাবার বাড়ী লুটে নিয়েছিলো আর পায়ে গুলি মেরে পঙ্গু করে দিয়েছিলো বাবাকে। কেন এটা তারা করেছিলো?  কারণ তারা ভেবেছিলো আমার বাবা একজন পুলিশের চর। সেই বাদে বিদেমা গাঁয়ের অন্তত ২০-২৫ জন মানুষ  নকশাল সমর্থক সন্দেহে এখনো জেলবন্দী। আর তাদের বন্দীর হওয়ার অপরাধেই নকশালেরা  আমার বাবাকে শাস্তি দিয়েছিল। আমি আপনাদের কাছে জানতে চাই কারা এর জন্যে দায়ী? সরকার না পুলিশ না আমার বাবা? আমার বাবার জন্য কোনো সাহায্য নেই, বরং, তাঁরই মেয়েকে পুলিশ আজ ধরে লাঞ্ছনা করছে। আমার বাবা যদি রাজনীতি করতেন তো তাহলে আমরা এতোদিনে অনেক সাহায্য পেতাম, কিন্তু আমরা তো সামান্য গ্রামবাসী, তায় আদিবাসী, সরকার আমাদেরকে সাহায্য করবে কেন?


    বলুন আমায়। জবাব দিন। 




    নাঃ, এখানেই শেষ নয়। কিছু লোকজন, মানবাধিকার কমিশন এই নিয়ে হইচই করার পরে সুপ্রীম কোর্ট থেকে সোনিকে AIIMSএ রেখে চিকিৎসার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু সে সৌভাগ্য বেশি দিন সয় নি। আবার সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ছত্তিশগড়ে,  জেলে। AIIMSএ একের পর একবার চিকিৎসা ও ভর্তির কথা হয়েও শেষ মুহূর্তে প্রত্যাখান করা হয়েছে। জেলে কেমন আছেন সোনি? সেখান থেকে কী বলছেন?






    ২৮ শে জুলাই লেখা এক চিঠির থেকে কিছু অংশ,


    “১। আমাকে ‘নগ্ন’ করিয়ে মাটিতে বসিয়ে রাখা হয়।

    ২। আমি খিদের চোটে কাতর

    ৩। আমাকে নিয়ে টানাটানি চলতে থাকে, শরীরের সমস্ত অংশ ধরে ধরে

    ৪। আমাকে নকশাল আর দেশদ্রোহী বলে গালাগাল আর অত্যাচার চলতে থাকে।


    আমার জামাকাপড়, সাবান সব এরা কেড়ে নিয়েছে। আমার নামে নিত্যনতুন অভিযোগ আনে এরা।


    কতদিন, আর কতদিন ছত্তিশগড় সরকার প্রশাসন আমাকে এভাবে নগ্ন করে চলবে ? আর কতদিন ? আমি একজন ভারতীয় আদিবাসী মহিলা। আমারও তো আব্রু আছে, সম্মান আছে। ...আমাকে বরং মৃত্যুদণ্ডাজ্ঞা দেওয়া হোক, সেও ভাল। নইলে তো আমাকে এভাবেই জেলের মধ্যে অত্যাচার করে মারা হবে। সেটাই বোধহয় সরকার চায়। কিন্তু কী অপরাধে? কী অপরাধ করেছি আমি, যার জন্য এই অত্যাচার আমাকে সইতে হবে ?"





    কী অপরাধ করেছেন সোনি সোরি ? কার কাছে উত্তর আছে ?



    সোনি সোরি প্রশ্ন করেছেন, দেশের সুপ্রীম কোর্টকে। প্রশ্ন করেছেন স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকে, রাষ্ট্রের নাগরিকদের - আমাদের।




    আমাদের কাছে উত্তর আছে ?

     

    চিঠিগুলির হিন্দি ও ইংরাজী বয়ান আছে এখানে, http://sonisori.wordpress.com/, http://kafila.org/2012/08/07/it-would-have-been-better-if-you-had-given-me-death-penalty-soni-sori/


    আন্তর্জাতিক নারীদিবসের ভিডিওঃ 



    অনুবাদ করেছেন দীপ্তেন, ঈপ্সিতা। সংকলনন ঃ ঈপ্সিতা 





     


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • খবর | ১৬ আগস্ট ২০১২ | ১৩৭৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aranya | ***:*** | ১৭ আগস্ট ২০১২ ০৫:২২90096
  • এই প্রতিবেদন-টা, এটা, সহ্য করা মুশকিল, কিছুটা জানতাম, তবুও, নেওয়া কঠিন।
    ভয়াবহ বললে কিছুই বলা হয় না।
  • শুদ্ধ | ***:*** | ১৭ আগস্ট ২০১২ ০৬:২১90097
  • হ্যাঁ অরণ্য, কিছু লিখতেই ঘৃণা বোধ হচ্ছে। বোধ হয়। আপাদমস্তক মধ্যবিত্ততায় ভরপুর, মধ্যমেধায় জর্জরিত আমার মতন ভারতীয়ের শিক্ষিত স্পেসে এ সব প্রশ্নের মানে কি? উত্তর লিখতে গেলে কলম কাঁপবে না?

    যে শ্রেণীটিতে থাকার সুবাদে আজ মাথায় চড়ে নাচছি তা তো ব্রিটিশের হাতে তৈরী হওয়া শিক্ষাব্যবস্থায় সমর্থ আর অসমর্থ উঁচু আর নীচু নানা রকম কেরানী সমৃদ্ধ, সাম্রাজ্যের সেবাদাস হওয়াই একমাত্র ধ্যানজ্ঞান। আমি বড় বড় আষাঢ়ে উন্নয়ণের বুলিতে মহানগরের রাজপথ থেকে প্রাসাদ কাঁপিয়ে দিতে দক্ষ, আর ভারতের কোণায় কোণায় মানুষ পশুজীবন যাপনের সুযোগও পায় না তার খবর রাখতেও ভয় পাই, পাছে খবর রাখলেও রাষ্ট্র বিরোধী বলে ভাবে। মাইনের থলিতে যেন টান না পরে এই আমার ইহকাল আর পরকালের একমাত্র চিন্তা। আমার কাছে সোনি সোরির প্রশ্নের মানে কি? আমার মেরুদন্ডে এত জোর কোথায় যে মানতে পারবো আমি বেঁচে আছি ও মেদবহুল হচ্ছি কেন না অজস্র মানুষ অবমাননাকর মৃত্যুবরণ করছে বলে?

    নিজের সামর্থ্য নেই আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে দেখার ও চেনার, আমি করবো বিচার? আমি দেব প্রতিকার? পড়বো, কখনো পড়বোও না, এড়িয়ে যাব। পালিয়ে যাব। এবং অরণ্য আমি এতই শেয়ানা যে পাগলা মেহের আলিও হব না কখনো, যে পাড়ায় পাড়ায় চেঁচিয়ে বলবো সব ঝুট হ্যায়! সত্যিই সহ্য করা মুশকিল এই অবস্থা!
  • aranya | ***:*** | ২৪ আগস্ট ২০১২ ০৯:৪০90098
  • এই লেখাটা কিছুতেই মাথা থেকে বেরোচ্ছে না।

    ঘুরছি, ফিরছি, কাজকম্মো করছি, মানে যা যা করতে হয় সবই করছি - আর লেখাটা জ্বালিয়েই যাচ্ছে, একগুঁয়ে ভোমরার মত।

    শুদ্ধ, ভাল থাকুন। ভাল থাকুন দীপ্তেন, ঈপ্সিতা - যারা লেখাটি অনুবাদ করেছেন।

    সোনি সোরি-কে ভাল থাকতে বলি, সে স্পর্ধা বা অধিকার আমার নেই।
  • a x | ***:*** | ১০ নভেম্বর ২০১৩ ০৬:২৬90100
  • এটা অনেক পুরোন লেখা না?
  • achintyarup | ***:*** | ১০ নভেম্বর ২০১৩ ০৬:২৭90101
  • parhaar subidhaar janya:

    Soni’s Story
    Ashutosh Bhardwaj
    Sun Aug 05 2012

    Amnesty International calls her a "prisoner of conscience". Noam Chomsky and Jean Dreze have written to Prime Minister Manmohan Singh protesting against the "brutal treatment meted out" to her in jail. But for the Chhattisgarh police, she is a Maoist supporter, booked for several offences, including sedition. Her cousin and neighbours talk of her Maoist connections and of her role as a police informer. So who is Soni Sori? An educated tribal woman, a social worker framed by the police or a woman who flirted dangerously with both sides of this war—the police and the Naxals?
    The truth lies somewhere in between, often falling through the gaps. Sori's story over the past two years is that of a woman who was exploited both by the police and the Maoists—some would say she let them use her—and now by her activist friends. "Samaj sevika (activist)? Aisa to kuch nahi tha...woh apna kaam nikaal rahi thi, bas (She was just getting her work done)," says Sori's sister-in-law Jyoti.

    Sori was arrested in Delhi on October 4, 2011, a month after the Chhattisgarh police allegedly caught Essar contractor B K Lala trying to pay protection money to Maoists through Lingaram Kodapi, a "Maoist conduit" and Sori's nephew. Sori too was allegedly present at the spot but gave police the slip.

    After her arrest, Sori was brought to Dantewada jail, where she sustained injuries in custody. This led to frenzied campaigns in the media, among human rights activists and lawyers who called for her immediate release and petitioned the Supreme Court. Meanwhile, letters purportedly written by Sori in jail reached her mentor Himanshu Kumar in Delhi. These letters detailed the 'torture' she had been subjected to in police custody and how SP Ankit Garg allegedly stripped her and forcibly inserted stones into her body. The letters triggered global outrage. Her lawyers filed an additional petition in the Supreme Court, which then directed that she be taken to AIIMS for a check-up. She returned to Chhattisgarh in June and is now in a Raipur jail.
    Meanwhile, the campaign in her support has picked up—a candlelight vigil will be held in New York on October 4, the day Sori was arrested.

    Sori, the police and the Maoists

    A school teacher in Jabeli village of Dantewada, Sori, in her early 30s, extrovert and outgoing, stood out among tribals. The Soris have large landholdings and her father Mundra Ram was Congress sarpanch of Bade Bedma for over a decade. Sori's estranged brother Sukhdev and his wife too have held positions in the panchayat representing the Congress. Two of her uncles were MLAs and Sori's cousin Amrita Sori, is DSP in Jagdalpur (Bastar).

    Sori lived with her husband Anil Futane and their three children in Sameli village. Futane's family, originally from Maharashtra, had settled in Gidam town in Dantewada. But he fell in love with Sori and left his family to stay with her. Now with both Futane and Sori in jail—held in separate cases—their three children are with her father and brother at Palnar in Dantewada.

    Villagers in Palnar say Sori was not a Maoist, but like most people in these parts, she had links with the rebels. She stood out, they say, because she was educated, and more vocal than most of her fellow villagers.

    Sori's cousin Shankar Kunjam says, "We are forced to help Naxals. If they come asking for food, we have to feed them. But Sori went a few steps further. While the Naxals were tough with us, they were never hostile to her. But still, she was not a Naxal."
    The Maoists recently issued a diktat forbidding her relatives in Palnar and Bade Bedma from cultivating their land for three years. Last June, Maoists attacked her father Mundra's home and shot him in the leg. But Sori was spared.

    Himanshu Kumar, in whose ashram in Dantewada Sori is said to have studied and who is now campaigning for her release, says Sori has no Naxal links. "Police arrested and tortured Sori as they do not want an educated tribal woman in the area who works for locals and makes them aware about their rights. It's a usual case in Chhattisgarh—police force tribals to become informers and when they refuse, they are framed under false Naxal charges and tortured in jails."

    "Madam was a bridge between Maoists and the local company contractors. She helped them levy taxes and was also close to the police," says a Palnar-based journalist, who didn't want to be named and who has been her "family friend" for years.

    It was SRP Kalluri, who took over as Dantewada SSP in June 2010, who spotted Sori. Kalluri, with a reputation for being a successful anti-Maoist cop who built his network of informers, decided Sori and her father Mundra would be useful in his anti-Maoist strategy.

    While Mundra agreed to be a police informer—out of compulsion, he says—Kalluri allegedly framed Sori and her husband Futane in a July 8, 2010 case when around 200 Maoists attacked the home of Congress leader Awdhesh Kumar Gautam.
    Evidence suggests both Sori and Futane were not involved in the attack. But curiously, while Futane was arrested and continues to be in jail, Sori remained free. She was slapped with several offences in a series of cases from July to September 2010—all false, say her lawyer and even the police. Arrest warrants were issued against her but she travelled freely to the Dantewada district headquarters, continued with her job at the school in Jabeli and would often visit the collectorate and police stations. Clearly, SSP Kalluri had plans for her.

    A betrayed Futane would later write to Sori from jail, "I told you to get out of this. While you are free, I got trapped."

    "A top police officer told me she is kept free as she has promised a major haul of Maoists," says Gautam, the Congress leader whose house the Naxals attacked in July 2010. "She was playing to both sides. She could not have managed it for long."

    In March 2011, Ankit Garg replaced Kalluri as Dantewada SP. A few months later, on September 10, Garg announced the arrests of Essar contractor

    B K Lala and "Maoist conduit" Lingaram Kodapi (Sori's nephew). The police, Garg said, nabbed them on September 9 when Lala was handing over Rs 15 lakh to Kodapi at Palnar market, while Sori and Maoist commanders Vinod and Bhadru "escaped" from the spot. Garg also arrested Essar GM DVCS Verma.

    Relatives of the accused termed the arrests a police concoction—they said Kodapi had been picked up from Mundra's home on September 9 and Lala from his Kirandul office.
    Fearing for her life, Sori escaped to Delhi soon after. It was clear that with Garg's arrival, Sori's equation with the Dantewada police had changed.

    Sori and the activists

    Sori was arrested in Delhi on October 4, 2011. She was brought to the Dantewada police station on October 8. On October 10, she "fell in the bathroom" and sustained injuries.

    Rights activists swiftly moved a petition in the Supreme Court, got her examined at the NRS Medical College and Hospital in Kolkata from October 26-28. It was around this time that a series of her "letters from jail" emerged. The letters spoke of how Garg had allegedly tortured her in custody on October 8 and that he had forcibly inserted stones in her body. This was followed by a leak of selective portions of the Kolkata hospital report—"Two foreign bodies recovered of sizes 2.5 x 1.5 x 1.0 cm each from the vagina and one foreign body of size 2 x 1.5 x 1.5 cm was removed from the rectum."

    While the four-page confidential report, submitted to the SC, a copy of which is with The Sunday Express, recorded in detail her medical condition and did not confirm the torture charges, only a sentence about the "foreign bodies" was leaked.

    Before being examined at the Kolkata hospital, Sori was examined in Dantewada and Raipur. A spinal X-ray in Dantewada on October 10, less than 48 hours after the alleged torture of October 8, did not find any foreign body "in the part of X-ray film in which vagina and rectum region are included", neither did a CT scan in Raipur soon after.
    While activists trashed these findings since they were by government doctors, The Sunday Express approached a private practitioner, Rakesh Gupta, state president of the Naagrik Sangharsh Samiti who supports "social and economic causes of Maoists". "This Kolkata medical college report is contradictory. The complainant mentioned forcible introduction of foreign objects in her private parts, but there is no sign of scar or tear or injury. There is no sign of any scar or mark due to electric current as she alleged. She complained of head pain but the doctors did not find any tenderness. The report does not mention any abnormal vaginal discharge which seems unlikely if there were foreign bodies lodged inside her private parts for nearly 20 days. These are reasons why the Supreme Court probably wanted her to be reexamined at AIIMS."

    Incidentally, Sori and her lawyers in Delhi raised the issue of stones around 45 days after the alleged torture on October 8. The Supreme Court heard her writ petition on several occasions in October, applications were filed on October 14 and 20, but there was no mention of stones.

    On October 11, a day after she "slipped in a bathroom" and was shifted to a Jagdalpur hospital, several mediapersons interviewed her, including The Indian Express. There were no policemen around her then. She denied any torture and said she had slipped on her own.

    Later, rights activist Himanshu Kumar and Sori's lawyer Colin Gonsalves filed a petition in the Supreme Court on October 18 that "she told her relative she was electrocuted at the Kuankonda police station (on October 8 night)". Sori has always maintained that she was tortured at Dantewada police station. Kuankonda and Dantewada are around 25 km apart.

    Sori subsequently changed her stance. "The police had threatened to kill my brother. That's why I could not speak that day (October 11)," she said later.
    The case of the letters

    On October 28, Himanshu Kumar forwarded a letter to this reporter saying he received it from Dantewada. Himanshu ran an NGO in Dantewada for nearly 20 years till the police evicted him for allegedly supporting Maoists a few years ago. He has since been living in Delhi.

    Addressed to the SC, the letter, reportedly signed by Sori from 'Jagdalpur central jail', reads: "Dantewada SP (Garg) called me to a thana room, administered electric shocks, made me undress and severely tortured me from midnight to 2.30 a.m. on October 8." The letter made no mention of the 'stones'.

    "It's not clear whether the handwriting is hers. I do not even know who sent this," Himanshu said on October 28. But he circulated the letter anyway.

    More letters reached Himanshu. On November 10, he spoke of receiving another letter that carried Sori's name and, for the first time, talked about "certain things" being inserted in her body. Himanshu was again non-committal if it was Sori's handwriting. But the next day, on November 11, her advocate filed an additional affidavit before the SC, mentioning how the police had forcibly inserted stones in her body.

    Himanshu kept circulating the letters as "Soni Sori's shocking letters from jail". "Earlier, I could not recognise the handwriting, now I do," he said later.
    So, where were these letters coming from? Himanshu says Sori gave these letters to her relatives who visited her in jail and they posted them to him. On May 9, Sori told The Sunday Express: "I gave these letters to my advocate." But her lawyer K K Dubey denied having ever received any letter from her. Her brother Ramdev, who usually goes to meet her in jail, denied that she had ever passed on a letter to him.

    The waiting family

    Sori's family wants her to be shifted from Raipur to Jagdalpur jail, closer to their home. Ramdev says, "Didi asked me to get her shifted to Jagdalpur." But government advocate Atul Jha says Sori's lawyers got her shifted from Jagdalpur to Raipur jail without her consent. As her cases are in Dantewada, Sori has to travel for eight hours for every hearing.

    Gautam, the Congress leader whose house was attacked in July 2010, says he feels sorry for her. "Earlier, it was the police but now people in Delhi (the activists) are using her. They have made the case more complex," he says.

    Himanshu Kumar denies the charge. "How can we aggravate the case? We are only trying to help the victim," he says.

    Muskan, Deependra and Ashu—Sori's three kids await her. "I saw yayo (Gondi for mother) on TV," says the youngest, Ashu. "Did you meet her? Do you have yayo's photographs?" they ask.
  • aranya | ***:*** | ১১ নভেম্বর ২০১৩ ০৭:২২90108
  • সোনি সোরি এখনও জেলে, আরও বহু আদিবাসী ভুয়ো অভিযোগে বিনাবিচারে জেলে পচছে, কিছু অ্যাকটিভিস্ট ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ান, এদের একটু আধটু সাহায্যের চেষ্টা করেন, তাদের ওপরেও আক্রমণ আসে, আক্রমণ আসে সোনি সোরি-দের ওপর, চরিত্রহনন হয়, কনস্পিরেসি থিয়োরী নামে বাজারে ...
  • π | ***:*** | ১১ নভেম্বর ২০১৩ ১২:৩৯90105
  • ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের রিপোর্টে অভদেশ গৌতমের উপর হামলার কথা রয়েছে।

    তো, এই লেখাটির মুখবন্ধে ছিল, 'সোনি সোরির ‘অপরাধ’ কী? সেটা আমরা জানি কি? বোধহয় কেউই ঠিক জানে না। আদৌ কোন ‘অপরাধ’ করেছেন কিনা, তাও না। তবে রাষ্ট্র বলে দিয়েছে, সেটা ‘মাওবাদী’ সংক্রান্ত কিছুই হবে। অভদেশ গৌতম মামলা নিয়ে অন্য বুলবুলভাজায় বিস্তারিত আছে, তবে একথা বোধহয় না জানলেও চলে, যে, সোনির বাবাকে মাওবাদীরা গুলি করে যায়।'

    সেই অভদেশ গৌতম মামলা নিয়ে অন্য বুবুভা টি ঃ
    http://www.guruchandali.com/default/2012/08/16/1345116600000.html#.UoAkR_nUBMs
  • π | ***:*** | ১১ নভেম্বর ২০১৩ ১২:৪২90106
  • পড়ার সুবিধের জন্য লেখাটা এখানে দেওয়া হল। ইণ্ডিয়ান এক্সপ্রেসের উপরোক্ত লেখার রেফারেন্সে লেখা।

    অভ্‌দেশ গৌতমের মামলা
    সিদ্ধার্থ মিত্র
    ------------------
    কিছুদিন আগে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে সোনি সোরিকে নিয়ে একটা প্রবন্ধ ছাপা হয়েছিলো। সোনি বস্তার জেলার দান্তেওয়াড়ার একজন আদিবাসী মহিলা। ছত্তিশগড়ের বস্তার জেলার এই দান্তেওয়াড়া খবরে বহুবার এসেছে। মাওবাদী আর ভারতীয় আরক্ষা বিভাগের সংঘর্ষের জের এই এলাকাতেই সবচেয়ে বেশি পড়েছে। সোনি প্রায় একবছর ধরে জেলে আছেন, জেলের ভেতরে ওঁর ওপর অকথ্য নির্যাতনও করা হয়েছে। কিন্তু ঠিক কোন অপরাধে ওঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা একবারও খতিয়ে দেখা হয়নি। আরক্ষাবিভাগ ওঁর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এনে চার্জশীট তৈরী করেছিলো তার সত্যতা কেউই যাচাই করেনি। সোনির স্বামী ফুটানি আর তুতো ভাই লিঙ্গরাম কোদোপীকেও জেলে দেওয়া হয়েছে। লিঙ্গরাম একজন আদিবাসী সাংবাদিক, দিল্লি থেকে জার্নালিজম এর ডিগ্রী করেছেন। ফুটানি ও লিঙ্গ নাকি অভ্‌দেশ গৌতম বলে কারুর বাড়িতে চড়াও হয়ে হাঙ্গামা করেছিলেন বলে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনাটা নিয়ে ছত্তিশগড়ে অনেক তোলপাড় হয়েছে। কিন্তু কে এই অভ্‌দেশ গৌতম? আর কেনই বা এই মামলা এত গুরুত্বপূর্ণ?

    অভ্‌দেশ কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত একজন কন্ট্র্যাক্টর। আদতে তিনি উত্তরভারতের লোক, তবে এখন দান্তেওয়াড়ায় এসে থিতু হয়েছেন। সামাজিক আর আর্থিক দিক দিয়ে অভ্‌দেশ রীতিমত প্রভাবশালী। কিন্তু এই অঞ্চলের স্থানীয় লোকদের সাথে ওঁর সম্পর্কটা খুব একটা ভালো নয়। এর পেছনে কয়েকটা কারণ রয়েছে। প্রথমতঃ অভ্‌দেশ এখানে এসেই স্থানীয় রাজনীতিকদের ওপর প্রভাব খাটিয়ে এখানকার 'পাব্লিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম'এর কলকাঠি নিজের হাতে তুলে নেবার চেষ্টা করেছেন। এমনকি এই ব্যবস্থাও করেছেন যাতে ঐ এলাকার সমস্ত র‌্যাশন শুধু ওঁর বাড়ির কাছের একটা কেন্দ্র থেকেই সরবরাহ করা হবে। কোথায় কতখানি র‌্যাশন পাঠানো হবে তাও ওঁরই হাতে থাকবে। স্বভাবতই এতে স্থানীয় লোকেরা খুশি হননি। এই ব্যবস্থার মধ্যে অনেক খানি দুর্নীতি আছে বলেই তাঁদের মনে হয়েছে। দ্বিতীয়ত নিজে 'উঁচু জাত'এর বলে অভ্‌দেশ নীচুজাতীয় সব আদিবাসীদের দূরে সরিয়ে রাখতে চেয়েছেন। সেটাও সম্পর্ক ভালো না হবার একটা বড় কারণ।

    ২০১০ সালের এক রাত্রে অভ্‌দেশের বাড়িতে নকশালরা হানা দিয়েছিলো। হতে পারে এই খারাপ সম্পর্কের জেরেই ঘটনাটা ঘটে। সেরাত্রে অভ্‌দেশ ও তাঁর দেহরক্ষীদের সাথে হানাদারদের জোর লড়াই হয়, সারা রাত ধরে অনেক গোলাগুলি চলে। অভ্‌দেশ, তাঁর স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে বাড়ির একদিকে লুকিয়ে পড়েন কিন্তু গুলির লড়াইয়ে ওঁর শ্যালক আর একজন কাজের লোক মারা যান।

    পরদিন অভ্‌দেশ থানায় এফ আই আর লেখান। গতরাত্রের হামলায় জড়িত থাকতে পারে এমন লোকেদের নামের একটা তালিকাও উনি পুলিশকে দিয়েছিলেন। তাতে সাতষট্টি জন আদিবাসীর নাম ছিলো। পুলিশকে অভ্‌দেশ জানান যে গুলির লড়াইয়ের সময় এই লোকগুলির মুখ দেখে উনি চিনতে পেরেছিলেন। তালিকার সবকটি নামই স্থানীয় আদিবাসী রাজনীতির সক্রিয় যুবসভ্যদের।

    পুলিশের কাছে অভ্‌দেশ গৌতমের স্ত্রী, মেয়ে, ছেলে ও আরেকজন কাজের লোক আলাদা আলাদা ভাবে ঐ তালিকার লোকগুলির নামই জানিয়ে আসে। সোনি সোরি ও তাঁর স্বামীর নামও তার মধ্যে ছিলো। সত্যি বলতে কি, যে কেউই ওখানকার সরকারী 'মাথা'দের কখনো বিরাগভাজন হয়েছেন সেই সবার নামই ঐ তালিকায় ছিলো। এমনকি তিনজন এমন লোকের নামও ছিলো যাঁরা সেরাত্রে জেলে ছিলেন, কোনোভাবেই ঐ হামলায় সশরীরে উপস্থিত থাকা তাঁদের পক্ষে সম্ভব ছিলোনা। অবশ্য লিঙ্গ কোদোপীর নামে কোনো এফ আই আর করা হয়নি। দান্তেওয়াড়ার পুলিশ কর্তা এস আর পি কাল্লুরি পরের দিন প্রেস কনফারেন্স ডেকে জানান যে ছত্তিশগড় পুলিশ এতদিনে 'মাওবাদীদের মাথা'কে খুঁজে বার করেছে --তার নাম লিঙ্গরাম কোদোপী। উনি এও বলেন কিছুদিন আগে 'আজাদ' নামে যে দুর্ধর্ষ মাওবাদী নেতা মারা গেলেন তাঁরই উত্তরসুরী এই লিঙ্গ কোদোপী। শুধু তাই নয়, মাওপন্থী লোকজন যেমন হিমাংশু কুমার, মেধা পাটকর, অরুন্ধতী রায়, নন্দিনী সুন্দর ইত্যাদির সাথে কোদোপীর রীতিমতো যোগাযোগ আছে। ছত্তিশগড় পুলিশ দিল্লি গিয়ে কোদোপীকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দান্তেওয়াড়ায় নিয়ে আসবে বলে পুলিশকর্তা জানান। ঐ সময়ে লিঙ্গরাম দিল্লির কাছে নয়ডায় থেকে জার্নালিজম পড়ছিলেন।

    দিল্লিতে এই নিয়ে আপত্তির ঝড় ওঠে। সেখানে এক সাংবাদিক সন্মেলনে এই ধরণের ভিত্তিহীণ, জঘন্য অভিযোগের বিরুদ্ধে অনেকেই সোচ্চার হয়ে ওঠেন। প্রশান্ত ভূষণও এই সন্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। স্বামী অগ্নিবেশ সবার সামনে বলেন যে তিনি এর বিরোধিতা তো করবেনই, যেকোনো উপায়ে লিঙ্গকে গ্রেপ্তার হওয়া থেকেও রক্ষা করার চেষ্টা করবেন। এমন গুরুতর অভিযোগে বিচলিত লিঙ্গ নিজেও সন্মেলনে ছিলেন। তিনি ন্যায়বিচারের জন্য আবেদন জানান। দিল্লিতে এতখানি শোরগোল হওয়ায় ছত্তিশগড় পুলিশ অবশ্য এসে ওঁকে গ্রেপ্তার করতে সাহস করেনি। ছত্তিশগড়ের ডিজিপি সাংবাদিকদের প্রশ্নের ঝড়ের মুখে স্বীকার করেছিলেন যে লিঙ্গর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তার কোনো প্রমাণ ওঁদের কাছে সত্যিই নেই। এই নিয়ে তখনও ওঁরা অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন বলেই উনি জানান।

    অবশ্য ঐ সাতষট্টি জন আদিবাসীর নামে যে অভিযোগ আনা হয়েছিলো তা পুলিশ বদলায়নি। সোনি সোরির স্বামীকে পুলিশ তুলে নিয়ে যায়। উনি যে ভাড়ার গাড়ি চালাতেন সেটাও বাজেয়াপ্ত করে। পরে সোনিকে পুলিশ একটা ঘরে পুরো একদিন আটকে রেখে প্রচুর অত্যাচার করে এবং জোর জবরদস্তি করে ওঁকে দিয়ে স্বীকার করাতে চায় যে লিঙ্গরাম মাওবাদীদের সাথে যুক্ত। এইভাবে চাপ দিয়ে ওঁকে একটি কাগজে সই করিয়ে নেওয়া হয় যাতে এই সমস্ত স্বীকারোক্তি লেখা ছিলো। তাতে আরো ছিলো যে লিঙ্গ অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে সন্ত্রাসবাদী শিক্ষা নিয়েছেন। মুক্তি পাবার পরে পরেই সোনি তেহেলকার নেওয়া সাক্ষাতকারে খোলাখুলি ভাবে জানান যে কিভাবে জোর খাটিয়ে ওঁকে দিয়ে এই স্বীকারোক্তিতে সই করানো হয়েছে। ছত্তিশগড় সরকার অবশ্য ঐ জোর করে আদায় করা স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে লিঙ্গকে গ্রেপ্তার করার আদেশ দিতে পারেননি। কিন্তু সোনি ও লিঙ্গর ওপরে পুলিশ কড়া নজর রাখতে শুরু করে।

    এর মধ্যেই আবার মাওবাদীরা দান্তেওয়াড়ায় সোনির বাবা মায়ের বাড়িতে হামলা করে। লিঙ্গর ঠাকুরদাদার বাড়িতেও চড়াও হয়ে তাঁর পায়ে গুলি করে। ওঁদের সবাইকে মাওবাদীরা শাসিয়ে যায় যে আগামী তিনবছরের মধ্যে ওঁরা কোনো চাষ-আবাদ করতে পারবেন না। অন্যদিকে, অভ্‌দেশ গৌতমের আনা সমস্ত অভিযোগই বজায় থাকে। অভ্‌দেশের মেয়েকে মাওবাদী হানার মধ্যে দারুণ সাহস দেখানোর জন্য 'রাষ্ট্রপতির সাহসিকতা পদক' দেওয়া হয়।

    এরপরই ঘটলো কালুরির নেতৃত্বে মোরাপল্লী আর তিম্মাপুরম গ্রাম পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা। পুড়ে গেলো তিনশো ঘর, মারা গেলেন কিছু মানুষ, ধর্ষিতাও কয়েকজনে। খুব চেঁচামিচি হোলো মিডিয়ায়, রমন সিং বাধ্য হলেন ঐ সব গ্রামে আসতে, বিলালেন কিছু সাহায্য সামগ্রী (তা, সে-ও, তিনি চলে গেলেই স্থানীয় পুলিশে আবার কেড়েকুড়ে নেয়)।স্বামী অগ্নিবেশ একটি এইড কনভয় নিয়ে যেতে গেলে কোনটা-সুখমা রোডে তাকে আটকে দেয় কর্তাম সুরাইয়া (সে-ও আবার খুব রহস্যজনক ভাবে খুন হয়ে যায় এর কিছুদিন পরেই)। খবর শুনে দিল্লি থেকে ছুটে আসেন লিঙ্গরাম, সেই সব গ্রামে গিয়ে তুলে আনেন প্রত্যক্ষদর্শীর ভিডিও আর সেগুলো তুলে দেন ইন্টারনেটে। এর পর পরই পুলিশ এসে লিঙ্গকে গ্রেফতার করে তার ঠাকুর্দার বাড়ী থেকে, মানে সোনি সোরির বাড়ী থেকে।

    লিঙ্গরামের গ্রেফতারের সময় সেখানে সোনি সোরি উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানতে চান কারা এই পুলিশ যারা লিঙ্গকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে কিন্তু তারা কোনো উত্তর দেয় নি বা এটাও জানায় নি যে লিঙ্গকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সোনি সারা সন্ধ্যা ও রাত্রে লিঙ্গকে খুঁজতে ব্যস্ত থাকেন, এমন কি স্থানীয় পুলিশ থানাতেও যান। সেখানেই জানতে পারেন লিঙ্গকে স্থানীয় পুলিশ ধরে নিয়ে যায় নি। এর পরের দিনে সোনি খবর পান দান্তেওয়ারা পুলিশ স্টেশনে লিঙ্গকে ধরে রাখা হয়েছে আর সোনিকেও গ্রেফতার করতে পুলিশ শিগগিরই আসবে। এটা শুনে সোনি পালাতে চেষ্টা করেন কিন্তু সিজি ফোর্সের গুলিতে আহত হয়ে পড়েন জঙ্গলের মধ্যে। যা হোক, ঐ ভাবেই তিনি কোনোক্রমে দিল্লি পৌঁছন। পুলিশ তাঁর খোঁজ পেয়ে ঐ দিল্লি থেকেই তাঁকে অ্যারেস্ট করে।

    আর তারপরে সোনি সোরির কপালে কী ঘটেছিল, সে তো আমরা সকলেই জানি।

    লিঙ্গকে এস্‌সার মামলার একজন আসামী হিসেবে দেখায় পুলিশ, এ ছাড়াও তাকে অভদেশ গৌতম মামলাতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়(যদিও সেই ঘটনাটি ঘটেছিল প্রায় এক বছর আগে)। চার্জশীট যখন দাখিল করা হল তখন বোঝা গেল যে সাক্ষ্য প্রমাণের উপর নির্ভর করে লিঙ্গের বিরুদ্ধে মামলা আনা হয়েছে সেটি একটি টাইপ করা কাগজ যেটাতে নাকি অভ্‌দেশ গৌতমের সই রয়েছে। তো, ঐ বয়ানে লেখা আছে তার বাড়ীতে হামলা হবার কিছুদিন পরে তিনি নাকি "শুনতে" পান যে কিছু পার্টিকর্মী, যারা আরো দূরের গাঁয়ে থাকে, তারাও নাকি কোথাও শুনেছে যে ঐ হামলার মুল মাথা ছিল লিঙ্গ। এবং এই লিঙ্গই নাকি হবে মাও পার্টীর ভবিষ্যত মুখপাত্র। শুধুমাত্র এই একটিই "প্রমাণ" রয়েছে পুলিশের কাছে। একটি টাইপ করা কাগজ। এবং সেটি যদি জেনুইন বলেই ধরে নেওয়া যায়, তাহলেও একেবারেই কোনো মামলায় ফাঁসানোর জন্য গ্রাহ্য হতেই পারে না। কারন খালি একটা "গুজবে"র কথাই বলা হয়েছে এতে।

    এই অভদেশ গৌতমের মামলা নিয়ে একটু খুঁটিয়ে জানতে গেলেই এটা স্পষ্টই বোঝা যায় যে পুলিশ শুধু আদিবাসীদের প্রতিবাদকে বুজিয়ে রাখার বাহানাই খোঁজে। অন্যায়ের বিচার করা ও দোষীকে শাস্তি দেওয়াটা নয়, উদ্দেশ্য শুধু আদিবাসীদের কণ্ঠস্বর যেন বাইরে না পৌঁছয় সেটা বহাল রাখা।

    (অনুবাদঃ কৃষ্ণকলি রায়, দীপ্তেন)
  • π | ***:*** | ১১ নভেম্বর ২০১৩ ১২:৪৭90107
  • ঋদ্ধি ঐ প্রতিবেদনের দুটো কাউণ্টার দিয়েছে।
    আরো একটা রইলো।
    http://sanhati.com/articles/5417/

    পড়ার সুবিধের জন্য ওটাও এখানে দেওয়া রইলোঃ

    “ANYTHING BUT THE TRUTH”
    We are deeply shocked and dismayed at Ashutosh Bhardwaj’s (AB) report “Soni’s Story” published in the Sunday Express on 5th August. The reporter has not bothered to cross-check any of the “facts” given to him by his unnamed sources, and relies entirely on innuendo and unproven assertions to discredit a woman who is currently imprisoned and in no position to clarify and defend herself. AB employs dubious techniques to gain access to sensitive information, yet ends up completely missing out on the real story unfolding in Dantewada, where a dysfunctional criminal justice system, coupled with a vicious law enforcement machinery, is criminalizing an entire community and generation of adivasis.
    Factual Inaccuracies
    The reporter takes great pains to cast doubts over Soni Sori’s claims of custodial sexual torture at the hands of Chhattisgarh police. And this is done without having talked to the victim herself.
    1) First, he suggests that the X-ray images taken in Chhattisgarh hospitals right after her torture show that there were no stones in her vagina or rectum. It should be noted that the State of Chhattisgarh itself makes far more modest claims in its defense before the Supreme Court than these clumsy ones made by AB. Quoting the Head of the Radio-diagnosis of the Raipur Hospital where these tests were conducted, the State has admitted before the apex court that “In the CT scan, the vaginal part is not included…” All the Chhattisgarh state has claimed in court is that “No foreign body is visible for the part of the rectum for which the CT scan was done.” [Annexure 5, Submission on behalf of the Respondent State of Chhattisgarh in Writ Petition 206 of 2011, Supreme Court of India]. Elementary knowledge of human anatomy would suffice to illustrate that CT spinal scans do not cover the majority of the rectum; they leave out the lower rectum.
    2) AB deliberately downplays the horror of the discovery of stones in Ms. Sori’s private parts by the NRS Hospital in Kolkata by suggesting that the report sent by the hospital, described as “four-page confidential report, a copy of which is with The Sunday Express,” does not confirm torture charges. It may interest AB to know that hospital did not file a 4-page report, but a 39-page report, which was made available to Ms. Sori’s lawyers by the Supreme Court. Which 4 pages of this report were read by AB is impossible to guess, but his conclusion that the hospital did not confirm the torture charges is absurd. The medical board not only conducted a thorough gynecological and rectal examination – the first since Soni Sori was taken into police custody – but uncovered physical evidence in the form of stones from her private parts, which were physically sent to the Supreme Court along with the report. Shoving of stones into one’s private parts may not conform to Mr. Bhardwaj’s definition of “torture”, but it does seem to satisfy the Supreme Court of India.
    3) Mr. Bhardwaj then seeks to discredit the Kolkata hospital’s report further by suggesting that even the Supreme Court entertains doubts about the accuracy of this report, and hence has ordered Soni Sori’s re-examination at AIIMS. Again, if he had only bothered to read the Supreme Court order of 2nd May 2012, publicly available on its website, he would have easily learned that the examination and treatment at AIIMS was ordered by the apex court to provide Soni Sori with medical treatment that was deliberately being withheld from her by the Chhattisgarh authorities. It was not at all to “re-examine” the torture evidence. In any case, what medical evidence of torture does AB imagine would still be present in the body eight months after the incident?! The problems of abnormal vaginal discharge and other associated gynecological, urological problems, raised by a private practitioner whom AB has talked to, which AB insinuates in his article as being mysteriously absent, have all been painstakingly documented before the Supreme Court, if only Mr. Bhardwaj had bothered to acquaint himself with the documents of this case. In fact, it was on the basis of these that urgent medical treatment was being repeatedly requested by Ms. Soni’s counsel in three different interim applications to the Supreme Court, and it is this prayer of Ms. Sori’s counsel which the Supreme Court answered in its May 2nd order.
    4) What is perhaps most distasteful in the report is the zeal with which AB attacks the authenticity of Soni’s letters from prison. Again, he has no tangible argument to show any kind of discrepancy, and indeed, even the State of Chhattisgarh has not challenged the authenticity of these letters filed before the Supreme Court. When AB confronts Soni herself with these letters, she also affirms that she is indeed sending them from prison. Undeterred, AB tells the reader that he is unable confirm that these letters are indeed in Soni Sori’s handwriting, and he cannot find how they are being sent from prison. One wonders whether this has more to do with Mr. Bhardwaj’s competence as an investigative journalist, rather than the authenticity of letters. For instance, did he try to get a handwriting sample of Soni to compare the various letters? Did he know that on 5/10/2011, the day after being arrested in Delhi, Soni Sori had submitted IN PERSON a handwritten letter to the Saket Courts, which is now an integral part of the court record and a public document, which can be easily used for the purpose of comparing handwritings? If AB had only bothered to do some primary research, maybe his investigative abilities would have improved dramatically. Further, it is unclear why he expects either Soni or anyone else to give him specific information about how the letters are being sent to Delhi. Does he not know what happened to Dr. Binayak Sen charged with similar allegations of carrying letters for an alleged Naxalite?
    Questionable Ethics of this “Journalism of Courage”
    It has been brought to our notice that in his zeal to find out how these letters are being sent from the prison, AB accosted her young children and badgered them to find out whether they could recognize Soni’s handwriting in the letters, whether Soni was passing off the letters to them when they visited her, and whether they knew how she was sending these letters to Delhi. AB never once approached either Soni’s lawyers in Delhi, or any of the doctors who examined her, or the women’s rights and civil liberties activists, who he insinuates are “using her” (to what ends and purpose only he can shed light on). Instead, he tried to obtain sensitive information out of children, clearly violating all ethical boundaries of “investigative journalism”. Considering that the youngest of Soni’s children is only 6 years old, we strongly protest at this highly questionable and rather “courageous” way of trying to elicit information from children about their mother.
    It is common knowledge that most instances of custodial torture, especially sexual torture, go unpunished and unrecorded simply because it is nearly impossible to establish the claims. This is what makes it all the more shameful for The Sunday Express to go out of its way to discredit the one solitary instance of brutal torture that has actually been corroborated by hard, incontrovertible medical evidence – by employing the dubious techniques of innuendos and mis-statement of facts. By questioning the sexual torture claims, this report ends up giving credence to the similar line of arguments of the State. Is it really that difficult for IE’s editors and journalists to understand why an imprisoned adivasi woman, from a conflict-ridden region, whose husband and nephew are also imprisoned by the police, and who has herself been threatened with even more dire consequences to her family, may take a few days to overcome her fear and the trauma of her brutal sexual torture, and only then be able to talk of the gory details?
    (Ir)Responsible Journalism?
    While appalling factual inaccuracies and selective presenting of pieces information does great damage to the reporter’s credibility, what is perhaps most worrisome and reprehensible in this story is the story he chooses to ignore, to not to report on.
    AB mentions in an off-hand manner that there is evidence to show that neither Soni, nor her husband (who has been in jail for over two years now) were involved in the attack on Mr. Avadhesh Gautam’s house, in which both of them are charged. He also reports that even the police admit that the other cases against Soni (eight of them altogether) are all false cases. But then does not highlight or discuss the grave implications of this explosive piece of information.
    He probably knows that the FIR lodged by Mr. Avadhesh Gautam after the attack on his house, in which he named Soni and her husband, also named 65 other adivasis of the local villages. As in the case of Soni and her husband, it is open knowledge in the villages that the other 65 names are also figments of someone’s overactive imagination. Yet dozens of them continue to be in jail even today, as their trial drags on endlessly and they are unable to obtain bail. But somehow, AB, in possession of all these facts, could not be bothered less in reporting on this epidemic of coerced criminality that seems to be sweeping across the adivasi belt.
    AB also fails to inform the readers that in this case, the reason why so many adivasis are languishing in jail in an admittedly fabricated case is that for over a year Mr. Avadhesh Gautam, the main complainant, has not answered his summons to appear in court to give testimony. For over a year, the court has been making (half-hearted) attempts to get him to come so that the trial can proceed. But for over a year, the deliverer of summons simply cannot find Avadhesh Gautam in the village. But Avadhesh Gautam is not in hiding– he lives in his house, attends to his business, everyone in the village knows his whereabouts, and even AB had no problem nailing him down for this story. Only the court cannot seem to find him to deliver summons to him.
    But this does not seem to bother Mr. Bhardwaj. In his enthusiasm to get Mr. Gautam’s opinion on Ms. Sori’s character, he conveniently lays aside the *real* story–that so many adivasis continue to languish in jail for over two years simply because Mr Gautam cannot take the trouble to appear in the court to give his testimony, What makes Mr. Avadhesh Gautam, who has admittedly falsely implicated Soni and her family in a criminal case, the ideal person to provide insights into Ms. Soni’s condition escapes us. But what is even more distressing is that AB does not find it worthwhile to investigate why a whole generation of adivasis is being put behind bars on the basis of such false cases, why it is taking years and their entire family’s savings to get them out. Instead, his way of “responsible journalism” leads him to cast aspersions and doubts on the custodial torture of one woman, who has dared to question this dismal state of affairs in a constitutional democracy, and on the concerns being raised by democratic rights activists.
    Indira, Kalpana, Kavita S, Nidhi, Vani, on behalf of Saheli and WSS
  • aranya | ***:*** | ১২ নভেম্বর ২০১৩ ০৩:৩৬90111
  • ফাইনালি। খুব ভাল খবর
  • aranya | ***:*** | ১২ নভেম্বর ২০১৩ ০৪:০৮90112
  • সুপ্রিম কোর্ট অনেক ক্ষেত্রেই ভাল রায় দিয়েছে, তবে অদ্দুর পৌঁছনো মুশকিল। সোনি-র জন্য মানবাধিকার কর্মীরা অনেক লড়েছেন, সবার তো সেই ভাগ্য হয় না। এখনও ছত্তিশগড়ের জেলে কত নির্দোষ আদিবাসী কত বছর ধরে বন্দী, অল্প বয়েসী ছেলে মেয়ে, কৈশোর-যৌবনের শ্রেষ্ঠ সময় কাটছে জেলের ভেতর
  • aranya | ***:*** | ১২ নভেম্বর ২০১৩ ০৪:২৬90113
  • পঃ বঙ্গের জেলেও অবশ্য বন্দীর কমতি নেই। মমতা একটা বন্দীমুক্তির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সিএম হওয়ার আগে, কাজ-কম্মের ব্যস্ততায় ভুলে গেছেন মনে হয়
  • pi | ***:*** | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০২:৩৪90114
  • এতক্ষণে সবাই জেনে গেছেন নিশ্চয় খবরটা, যদিও কোথাও সেরকম হাইলাইটেড হতে দেখছি না, আলোচনাও না।

    এটা রইলো।
    http://scroll.in/article/803914/why-is-chhattisgarh-afraid-of-soni-sori

    আর এটাও পেলাম। কিছু করা যায় ?
    The contact details of the local authorities is provided, please call and pressurise the administration to take effective steps to ensure her safety, police protection and proper treatment of Soni

    Dantewada SP - 07856 - 252224; 9479194300

    Dantewada DM - 07856-252455; 7587700111

    Amit Kataria , Bastar collector, 094 25 580306

    RN Dash, SP, Bastar, +91 94 79 194003
  • pi | ***:*** | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১২:০৬90115
  • কেউ আগ্রহী থাকলে যেতে পারেন। আগের বার ও সোনি সোরিকে নিয়ে এখান থেকে ভাল ইনিশিয়েটিভ নেওয়া হয়েছিল।

    'We all know about the brutal attack on Soni Sori. In this backdrop, Durbar as a core part Soni Sori Mukto Morcha, is calling a general meeting to protest this attack on Soni Sori on 1st March 2016, Tuesday from 5pm onwards at Durbar's office(12/5 Nilmoni Mitra Street, Kolkata-700006, in between Girish park and Shovabazar Metro Station, landmark Recovery Nursing Home) .

    The agenda of the meeting is to build solidarity among the like minded organization to decide future course activities.''
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন