তো, প্রতিশ্রুতি মতন চলে এল, সমকামিতার অসুখ সারাতে বাইরের কী কী ছোঁয়াচ বাঁচিয়ে চলবেন, সেসবের ফর্দাবলী।
খ। নট টু ডু লিস্টি
কী অ্যাভয়েড করবেনঃ
এক বিশেষ শ্রেণীর জনতার ভাটকে। চিনে নিন এইসব লিবারেল হোমো কিম্বা হোমোপ্রেমী নব্য আঁতেলগণকে। লিবারেল লেবেল লাগানোর জন্য কমিউনিস্ট,ফেমিনিস্ট হলে এককালে চলত,আজকাল এসব ব্যাকডেটেড। প্রগতিশীলতার শিলমোহর জোটানোর জন্য হিউম্যান রাইটস , উওম্যান রাইটজ নিয়ে মিছিল করা, প্রবন্ধ লেখা আর যথেষ্ট নয়। ম্যান উওম্যানের ঘণ্ট পাকানো গে লেসবিয়ানদের রাইটস নিয়ে কিছু না বললে আজকাল আঁতেল সমাজে কল্কে মেলা দায় ।
চিনে নিন এঁদের।
এঁরা যত্র তত্র হোমোফোবিয়ার ভূত দর্শন করেন এবং যেন তেন প্রকারেণ নিজভিন্ন জগতের জনতাকে হোমোফোবিক তকমাবিদ্ধ করে নিজেদের অত্যুচ্চকোটির লিবারেল প্রগতিশীল হনু মনে করার আত্মপ্রসাদে টইটম্বুর হয়ে থাকেন। আরে,হোমোরা কি কোনো ভাটির মত চোখ, কুলোর মত কান, মুলোর মত নাক বিশিষ্ট কোনো গ্রহান্তরীয় আজব জীব যে তাদের আপনি ভয় পেতে যাবেন? ফোবিয়া টোবিয়া আবার কি, কিন্তু তাই বলে অস্বাভাবিকতাকে অসুস্থতা বলতে পারবেন না? আচ্ছা আবদার!
এক বিশিষ্ট চিন্তাবিদ সঠিকভাবেই মন্তব্য করেছেন, এই সমকামিতার ট্রেণ্ড 'পাশ্চাত্যের অবুঝ হনুকরণ' ব্যতীত আর কিছু না। উদারতা দেখানোর নামে সমাজ আদতে উদ্ভ্রান্ত। আসলে আইডেণ্টইটি ক্রাইসিসে ভোগা পাব্লিক এরা সব। মনুষ্য চরিত্রের আমাকে দেখুন সিণ্ড্রোম এবং নিজেকে ‘অন্য’রকম দেখানোর অনাদি অনন্তকালের অতৃপ্ত আকাঙ্খায় অন্য কিছু না পেলে, অন্তত 'অন্য' যৌনতা নিয়ে যদি ভোকাল হওয়া যায়! হিডেন ইউএসপি টা অবিশ্যি হল, 'যৌনতা'। সেটা আছে যখন, তখন আম আদমির কাছেও পপুলার হয়ে যাবার একটা ফাউ চান্স থাকছে। মিডিয়ার একাংশ ও ঠিক এই ব্যাপারটাকেই এন্ক্যাশ করে সেক্সের এই নতুন প্যাকেজটাকে ফ্যাশন ট্রেন্ড বলে চালানোর তালে আছে। এনাদের ভাটের কিছু নমুনা আর কেন তা পাত্তা দেবেন না, আপনার সুবিধার্থে নিবেদিত সেই লিস্টি ।
ভাট নং ১ ঃ সমকামিতা মানসিক অসুখ নয়
----------------------------------------------
সমকামিতা একটি মানসিক অসুখ, শোনামাত্র ঝাঁপিয়ে পড়বেন এনারা। বলবেন, এসব ই নাকি সাজানো, চক্রান্ত, অপপ্রচার ! আমেরিক্যান সাইকিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশন নাকি কবে সেই ১৯৭৩-এই এই মর্মে রায় দিয়ে দিয়েছেন আর লগে লগে আমাদের ভারতীয় সাইকিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশনও নাকি একই কথা বলেছেন, টেবিল চাপড়ে দেখিয়ে দেবেন সব তথ্য প্রমাণাদি। মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের জার্নাল থেকে ধরাদ্ধর কোট করে দেবেনঃ
“In 1998, the American Psychiatric Association issued a statement opposing any treatment which is based upon the assumption that homosexuality is a mental disorder or that a person should change their orientation, but did not have a formal position on other treatments that attempt to change a person’s sexual orientation. In 2000, they augmented that statement by saying that as a general principle, a therapist should not determine the goal of treatment, but recommends that ethical practitioners refrain from attempts to change clients’ sexual orientation until more research is available. “
তাহলে?
আরে, যারা এসব বলে, তাদের পাল্টা প্রশ্ন করুন, ইগো সিন্টোনিক , ইগো ডিস্টোনিক সেক্সুয়ল ওরিয়েন্টেশনের তফাত বোঝেন তাঁরা? প্রথমটি, মানে, যেখানে রোগী তার সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশন নিয়ে খুশি, WHO র মতে সেইটিকে না হয় মানসিক অসুখ বলা যাবে না , কিন্তু ইগো ডিস্টোনিক হলে, মানে, যেখানে সমকামী ওরিয়েন্টেশন নিয়ে কেউ নিজে খুশি নন, সেক্ষেত্রে এটিকে অসুখের তালিকায় ফেলা যাবে। এই নিন, আপনার হাতে তুলে দেওয়া হল পালটা কোটের অস্ত্র, ঘচাং ফু করুন প্রতিপক্ষকে।
"The World Health Organization lists egodystonic sexual orientation in the ICD-10, as a disorder of sexual development and orientation. The WHO diagnosis covers when gender identity or sexual orientation is clear, yet a patient has another behavioural or psychological disorder which makes that patient want to change it”
http://apps.who.int/classifications/apps/icd/icd10online/?gf60.htm+f661
মনোবিদ ডঃ পি ই র মন্তব্য এ বিষয়ে বিশেষরূপে প্রণিধানযোগ্য। তিনি বলছেন,'ইগো-ডিস্টোনিসিটি একটি ফ্রয়েডিয়ান টার্ম এবং নিজের সত্তার সাথে একধরণের দ্বান্দ্বিক বৈষম্য থেকেই এই অবস্থার উৎপত্তি। ডিস্টোনিক রোগী বেশিরভাগ সময়ই খুবই মানসিক টানাপোড়েন ও চাপের মধ্যে থাকেন। একজন মনস্তাত্বিক চিকিৎসক হিসেবে আমি এই চাপের গুরুত্বকে অস্বীকার করতে পারি না। যে এই চাপটি ভোগ করছে, সেটি তার রোগ। চিকিৎসক হিসেবে আমার দায়িত্ব এটা নয়, যে তাকে বলবো, সমকামিতা স্বাভাবিক অবস্থা, এই নিয়ে কোনো চাপ নেবার দরকার নেই, বরং আমার কর্তব্য তার সেই চাপ দূর করার জন্য সমকামিতা দূর করা যায়, এরকম চিকিৎসা করা। রোগীকে সাহায্য করার জন্যই এটি করা দরকার।‘ *
সমকামিতা মানসিক অসুখ। কী, এবার কনভিন্সড তো?
ভাট নং ২ ঃ এইসব মনোবিদরাই সমকামিতাকে অসুখ বানিয়েছেন
-----------------------------------------------------------------------
আরে!তেএঁটে তার্কিকগেঁড়ের দল তবু মচকায় না! উল্টে রে রে করে তেড়ে আসে, বলে, পি ই র মত এই মনোবিদদের মনোভাবই নাকি মনোরোগের এবং সেটা না সারার মূলে ! বুঝুন একবার। রোগী নিজে আসছে চিকিৎসা করাতে, তাও নাকি মনোবিদদের দোষ। কেন? না, এই যে, এই কথাটি, 'চিকিৎসক হিসেবে আমার দায়িত্ব এটা নয়, যে তাকে বলবো, সমকামিতা স্বাভাবিক অবস্থা, এই নিয়ে কোনো চাপ নেবার দরকার নেই', এটিই নাকি সব সমস্যার কারণ! বেশিরভাগ থেরাপিস্ট তো আবার এটাই ভাল করে বুঝিয়ে দেন, যে, এই সমকামী আকর্ষণের জন্য যখন তাদের এই নানবিধ সামাজিক ট্যাবুর সম্মুখীন হতে হচ্ছে, সেই কারণটা মাথায় রেখেই এই আকর্ষণকে অস্বীকার করা উচিত। অর্থাৎ কিনা, তাঁরাই এই ডিস্টোনিসিটির গোড়ায় আরো ভাল করে জল ঢেলে চারা থেকে গাছ বানান।সর্ষের মধ্যেই ভূত ইত্যাদি ইত্যাদি।আর সেটাই তাঁদের থেরাপির উপায়। কারণ, থেরাপিটা আসলে মানসিক সমস্যা দূরীকরণের জন্য নয়, সমকামিতাকে, না সারানোও নয়, সরানোর জন্য।
তা, এতে অসুবিধাটা কী ? আপনি তো সেটাই চান।
‘আমার কর্তব্য তার সেই চাপ দূর করার জন্য সমকামিতা দূর করা যায়, এরকম চিকিৎসা করা।‘
এই মাথা কেটে দিয়ে মাথা ব্যথার চিকিৎসা নিয়ে যারা আপত্তি তোলে তারা ভাট দিচ্ছে ছাড়া আর কী !
তবে, ইয়ে একটু সাবধান। মানে, যে মনোবিদদের কাছে যাচ্ছেন, তাঁদের এসব একটু লুকিয়ে চুরিয়ে বুঝে সুঝে বলতে বলবেন। এখন আবার এই এক স্টিং অপারেশন ইন থিং। সদ্য সদ্য এই মাসে, বিলেতে এ নিয়ে ভারি হইচই হয়ে গেল কিনা। ডঃ পিকলিংটন নাম্নী এরকম কোন থেরাপিস্টের এরকম কথাবার্তা রেকর্ড করে প্রকাশ করতেই এখন ব্রিটেনের মনোবিদদের সবচে বড় সংস্থা ঐ ডাক্তারকে ব্যান করে দিয়েছেন। সমকামিতা অসুখ, এই পূর্ব নির্ধারিত ধারণা নিয়ে চিকিৎসা করাই নাকি অপরাধ !
“Was it, the BACP panel asked, her belief that homosexuality was wrong, sinful or unnatural? “Oh yes,” she replied. “There’s no question about that . . . but there’s a way out.”
“Mrs Pilkington had allowed her personal preconceived views about gay lifestyle and sexual orientation to affect her professional relationship in a way that was prejudicial,” concluded the BACP’s investigation report.
http://queeringthechurch.com/2012/05/26/british-christian-gay-cure-therapist/
ভাট নং ৩ঃ সমকামীদের কাছে সমকামিতাকে মানসিক অসুখ বানিয়েছে সমাজ
-----------------------------------------------------------------------------------
এই ডিস্টোনিসিটির, মানে যেখানে সমকামী নিজেই মনে করছেন, তিনি সমকামিতা নিয়ে সুখী নন আর সেই থেকে আসছে অবসাদ, তার আসলি কালপ্রিট নাকি আমাদের সমাজ, যা সকলকেই ভাবতে শেখায় সমকামিতা অসুখ। কারণ, সুস্থ, স্বাভাবিক, সুন্দর, এই তিন স এর সাথে আমাদের সমাজে সমকামিতা যায় না। কারণ, এই সমাজে সমকামিতার গ্রহণযোগ্যতা নেই, স্বীকার করলে পদে পদে হাস্যাস্পদ হতে হয়, লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়। একজন সমকামী তাঁর সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশন নিয়ে অস্বস্তিতে ভুগবেন, এই সমাজে সম্মানের সাথে বাঁচার জন্য পরিবর্তন চাইবেন, মনে করবেন এটা একটি অস্বাভাবিক ব্যাপার, অর্থাৎ তিনি মনে করবেন, তিনি অসুস্থ, এবং নিজের ‘অসুখ’ নিয়ে তিনি অসুখী থাকবেন, তাতে আর আশ্চর্যের কী ! তাই এই ইগো ডিস্টনিক সমকামিতা মানেই অসুখ, তা আদৌ না। চিকিৎসকের নাকি সবার আগে এটি জানিয়ে, বুঝিয়ে কনভিন্স করিয়ে দেওয়া দরকার,সমকামিতার মধ্যে ভুল কিছু নেই। এবং সেই সাথে সবার।যারা অসুখ মনে করছেন, উলটে নাকি তাঁদেরই কাউন্সেলিং দরকার !
কী দরকার এসব নিয়ে তক্কো করে? বুঝতেই তো পারছেন, সব পিওর ভাট, অতঃ বর্জনীয়।
এইসব আকাউণ্টও হয়তো পড়তে দেবে আপনাকে ঃ ‘By the time I reached my freshman year in high school, I tried to kill myself. I was a teenager and the message that I received for so many years by my friends, my family, my classmates and myself, was that I was not acceptable because I was gay. I looked in the mirror and I hated that guy. So I wanted to die . . . .
I was tired of feeling rejected. I was tired of feeling different. I was tired of feeling like no one really knew who I was because there was a part of me that had to stay a secret. The closet is a lonely place.
I was 14 years old when I cupped both my hands together, filled them with pills (asprin, Tylenol, and such), swallowed every one, and washed them down with water. Then I fell asleep....This was a culture that valued heterosexuality as prime and superior. To come out as anything but straight would have been social suicide. And I was a part of this culture. For over 12 years, I believed, taught, and advocated that it was a sin to be gay. My only outlets of expressing my sexuality were limited to those things done in secrecy. This further fractured my sense of self as I maintained a dualistic life – one lived in public light and the other lived in private darkness.
I had pleaded with God to change me. I had pleaded with God to forgive me.”
এসব শুনে একেবারে বিচলিত, বিভ্রান্ত ও আপনার কর্তব্যের পথ থেকে বিচ্যুত হবেন না। ওরম হয়। পোলাপান।
ভাট নং ৪ ঃ নার্থ, এক্স-গে, এক্সোডাসের চিকিতসা অকার্যকর ও ক্ষতিকর
----------------------------------------------------------------------------
ঐ আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সিদ্ধান্ত পছন্দ না হওয়াতে কতজন ডাক্তার মিলে তৈরি করেছেন নার্থ,হাতে হাত মিলিয়ে এগিয়ে এসেছেন এক্সোডাসের মতন ধর্মীয় সোসাইটি, এক্স-গে র মত প্রাক্তন গে-দের তৈরি সংস্থা। ইগো সি¾ন্টিনিক হলেও, অর্থাৎ সমকামী মানুষ নিজের সমকামিতা নিয়ে খুশি থাকলেও এটি মানসিক অসুখ, মনে করেন নার্থের মত প্রচুর মনোবিদ, গবেষকরাই। কথাটায় দম আছে, ভেবে দেখুন না, কোনো পাগলে কি আর স্বীকার করে, সে পাগল?
কিন্তু তাও দেখবেন কাতারে কাতারে আর্টিকলে পালে পালে লোকজন দাবি করে গেছে, এদের সাফল্যের সব ক্লেইম নাকি ভুয়ো !
অনেক ব্যক্তিই হাজার হাজার ডলার খরচ করেও এই চিকিৎসায় সুফল তো পান ই নি, উল্টে এই যৌনতা পরিবর্তন করার মানসিক চাপ নিতে না পেরে কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, এমনকি আত্মহত্যাও করেছেন বলে শোনা যায়।
এদের ভুল ভ্রান্তি বিবিধ তথ্য নিয়েও আবার তৈরি করা হয়েছে রীতিমতন সব ওয়েবসাইটঃ
http://www.truthwinsout.org/, http://www.exgaywatch.com/wp/, http://www.skeptictank.org/hs/exodus.htm#Section1
এক্সোডাস ইন্টারনাশানালের প্রেসিডেন্ট আলান চেম্বারস নাকি কিছুদিন আগে স্বীকার করেছেন , এই পদ্ধতি আদৌ কার্যকর ছিল না। তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে হইচই এর তো অন্ত নাই !
‘The majority of people that I have met, and I would say the majority meaning 99.9% of them have not experienced a change in their orientation or have gotten to a place where they could say that they could never be tempted or are not tempted in some way or experience some level of same-sex attraction.’
আরেকজন, পিটারসন টোসকানো তো আবার এখন বেরিয়ে এসে ‘এক্স-গে সারভাইভর’ দের নিয়ে বানিয়ে ফেলেছেন 'বিয়ণ্ড এক্স- গে ' ।
তা মশায়, সেতো পুরানো কোম্পানীর উপর খারবশতঃ আপনিও কত কিছু বলে থাকেন, সব কি আর সত্যি নাকি! এসবও নির্ঘাত অম্নি কিছু ব্যক্তিগত খারাখারি কেস হবে।
কী? এক্স গে র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা জন ইভানস,তাঁর সমকামী বন্ধু বিষমকামী হতে গিয়ে আত্মহত্যা করার পর তিনি এসব ছেড়ে দিয়েছেন ?
এক্সোডাসের প্রতিষ্ঠাতা মাইকেল বাসে ক্ষমা চেয়েছেন, এই সংস্থা শুরু করার জন্য?
ধুর মশায় ! উফফ ম্যাডাম ! এসব নিয়ে, why so serious?
কী? এসব থেরাপির অনেক কিছুই নাকি ঘোমটার তলায় ... এই নার্থ আর এক্সোডাসের অনেক থেরাপিস্টের বিরুদ্ধেই এখন শ্লীলতাহানি, ধর্ষণ ইত্যাদি নানা প্রকার যৌন অত্যাচারের মামলা দায়ের হয়েছে ?
শুনবেন না। নিন্দুকে কী না বলে !
আর ইদানিং তো এসব নিন্দুকদের ভাটবাজির বোলবোলাও আরো বেড়েছেই। ঐ যে, এদ্দিন, প্রফেসর রবার্ট স্পিতজারের ( যিনি, খুব আশ্চর্যজনক ভাবে, সমকামিতা অসুখ নয়, সেই ১৯৭৩ এ এই প্রমাণকারীদের পুরোধা ছিলেন !) যে পেপারটিতে বলা হয়েছিল, এই রিপারেটিভ থেরাপিতে কাজ হবার সম্ভাবনা আছে, এবং নিন্দুকেরা বলতেন, সেটিই নাকি একমাত্র, সবেধন নীলমণি, একমাত্র প্রামাণ্য জার্নালের পেপার ছিল, আর সমকামিতা সারানেওয়ালারা কুমীরছানার মত নাকি কেবল ওটিকেই কোট করে চলতেন, সেই পেপারের বহু বহু সমালোচনা গুলোকে সযত্নে বর্জন করে, সেই স্পিতজারও কিন শেষে এমন মীরজাফর হলেন ! ঐ পেপার ভুল ছিল বলে এখন রিট্র্যাক্ট করতে চেয়েছেন, বলেছেন, এই থেরাপিতে কাজ হয়, এমন কোন কথাই ঐ স্টাডি দিয়ে আদৌ বলা যায় না!
Psychiatry Giant Sorry for Backing Gay ‘Cure’, Psychiatrist-admits-gay-cure-study-flawed।
পাত্তা দেবেন না। বুড়োবয়সে প্রফ সাহেবের ভীমরতি ধরেছে আর কি !
বাকি ক্রমে আসিতেছে। সঙ্গে থাকুন।
* এই লেখায় ব্যবহৃত কিছু মনোবিদের বক্তব্য অরভিন্দ নারায়ণ ও বিনয় চন্দ্র লিখিত 'It’s not my job to tell you it’s okay to be gay ‘ -Medicalisation of homosexuality: a queer critique' থেকে নেওয়া