(প্রথম কিস্তির পরে)
ছকের বাইরে র্যাডিক্যাল ভাবনাঃ এক এক করে দেখা যাক, ওবামার নতুন আইনের পরেও সম্ভাব্য সমস্যা আর প্রস্তাবিত সমাধানগুলো। সমস্যার শিকড় মূলতঃ একটি জায়গাতেই বলে মনে করছেন অনেকে। বেসরকারি বিমা প্রকল্প। নতুন আইনেও তো সেই পুরানো মদ, সেই বাজারি বেসরকারি বিমা প্রকল্পই। শুধু তাই না, তাদের রমরমা আরো বাড়বে। এই আইনের ফলে তাদের আওতায় বাধ্যতামূলক ভাবে চলে আসবেন আরো ১.৬ কোটি বেশি মানুষ। এই আইনের ফলে বিমা দেওয়া/নেওয়া বাধ্যতামূলক হয়ে যাচ্ছে, নইলে দণ্ডলাভ। যাঁদের রোজগার দারিদ্র্যসীমার খুব ওপরে নেই, ১৩১% থেকে ৪০০% এর মধ্যে, তাঁদের জন্য থাকতে পারে সরকারি ভর্তুকিপ্রাপ্ত বেসরকারি বিমা। এটা একদিকে বিমা-করা মানুষের সংখ্যা বাড়াবে ঠিকই কিন্তু মূল লাভটা হবে বেসরকারি বিমা কোম্পানিগুলোর। বেসরকারি বিমা কোম্পানিগুলোর পিছনে সরকারি টাকা ঢালা হচ্ছে। আর সরকারি টাকার পরিমাণটা নেহাত কম না। ৪৪৭ বিলিয়ন ডলার।
এবার বেসরকারি বিমা মানেই তো সেই অনেক ক্ষেত্রেই প্রচুর পরিমাণে প্রিমিয়াম, কো পে ইত্যাদির খরচ তো থেকেই যাবে! থেকে যাবে আরো অনেক কিছু। বিমা এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম, যাতে নানাবিধ বেসরকারি প্ল্যানের মধ্যে তুলনা করার সুযোগ থাকে, তাতে খরচ কমবে কিনা এখনি বলা যাচ্ছে না। কোনভাবে চাকরি চলে গেলে কোবরা প্ল্যান আছে বটে কিন্তু তাতে মাসে মাসে পুরো প্রিমিয়াম নিজেকে দিতে হবে, যা অনেক বেশি ব্যয়সাধ্য হয়ে যাবে। বিমা এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম আছে বটে কিন্তু ভর্তুকি দেওয়া প্রিমিয়াম দেবার সাধ্যও যাঁদের থাকবেনা, তাঁদের কী হবে? চাকরি হারিয়ে রোজগার খুইয়ে বসলে মেডিকেইড প্রোগ্রাম আছে বটে, কিন্তু এখানে একটা বড়সড় কিন্তু রয়ে গেছে। সম্প্রসারিত মেডিকেইড প্রোগ্রামে যদি রাজ্য অংশ না নেয়, এবং অনেক রাজ্যই ( সঙ্খ্যাটি ২৬ এর কাছাকাছি) এখন অব্দি নেবেনা বলেছে, তাহলে তো হাতে হ্যারিকেন!
প্রি এক্সিস্টিং কন্ডিশনের অজুহাতে এখন কাউকে বিমা দেওয়া আটকানো যাবেনা বটে কিন্তু এরকম কোন নিশ্চয়তা নেই যে তার জন্য প্রদেয় প্রিমিয়াম বেড়ে যাবেনা। তাছাড়া, চাকুরিদাতাদের কর্মীদের জন্য বিমা করে দিতেই হবে, এই নিয়মকে কিছু বড় কোম্পানি বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখাতে পারে, নিয়মের নানা ফাঁকফোঁকর বের ক’রে। ৫০ জনের বেশি কর্মী হলে চাকুরিদাতাকে বিমা দিতেই হবে, এই নিয়মের ফোঁকর ও বের করা যেতে পারে, কর্মীসংখ্যার হিসেবে গরমিল দেখিয়ে। ৫০ জনের কম কর্মী হলে তো কথাই নেই।
অবশ্য, এঁদের সবচেয়ে বড় আপত্তির জায়গা অন্য, এঁদের হিসাবে বেসরকারি বিমা মানেই প্রচুর পরিমাণে পরিচালনা (অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) খাতে খরচ। নানাবিধ অনর্থক পেপারওয়ার্ক আর তাতেই নাকি সমস্ত খরচের ৩১% চলে যায়! পুঙ্খানুপুঙ্খ স্টাডি করে দেখানো হয়েছে এই হিসেব। হাজার হাজার বিমা কোম্পানী, তাদের প্রত্যেকের অগুনতি আলাদা আলাদা প্ল্যান, প্রত্যেকের নিজস্ব মার্কেটিং প্রোগ্রাম, এনরোলমেন্ট প্রসেস, প্রত্যেকটির জন্য নিজস্ব পেপারওয়ার্ক, পলিসি, সিইও-দের মাইনে, সেলস কমিশন ইত্যাদি নানাবিধ চিকিৎসার সঙ্গে সম্পর্কহীন খরচ। আর তার সাথে আছে মুনাফা অর্জন। বেসরকারি বিমার মূল মন্ত্র, মুনাফা। ‘হেলথ সিইও’ দের বছরে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার ‘রোজগার’। মূলে যার মুনাফা অর্জন, সে তো পরিষেবাকে কমিয়ে মুনাফা বাড়ানোর চেষ্টা করবেই। এবং তা-ই করে, করে চলবেও।
সরকারি বিধিনিষেধ আনার চেষ্টা হচ্ছে বটে, কিন্তু তার পরেও তারা কী করতে পারে, তার উদাহরণ অজস্র। তাই এই পথে চলিলে খরচ ও খারাপ ফলাফলের হাত থেক ক্রমমুক্তি তো নেই-ই, উলটে এই চোরাবালিতে আরো তলিয়ে যেতে হবে, এরকম আশঙ্কা করছেন অনেকে।
ওঁরা বলছেন, এর বাইরে গিয়ে ভাবতে হবে। বলছেন আমরা স্বাস্থ্যকে পণ্য হিসেবে দেখে ‘ওয়াল স্ট্রীট হেলথ কেয়ার’ চাইনা । স্বাস্থ্য ও একটি মানবিক অধিকার, এই অধিকারের জায়গা থেকে পরিষেবা চাই। বলছেন, চালু করতে হবে জাতীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা (ন্যাশানাল হেলথ প্রোগ্রাম)। একজনের কাছ থেকেই সব খরচ আসবে - ‘সিঙ্গল পেয়ার বিমা’, আর এই একজন হবে সরকার। কানাডার মডেলে। সোজা কথায়, দেশে ইতিমধ্যেই বৃদ্ধদের জন্য যে ‘মেডিকেয়ার’ চালু আছে, সেটাই দেশের সবার জন্য চালু করতে বলা হচ্ছে। দেশের জনগণের উপর ২% ট্যাক্স বা চাকুরিদাতাদের উপর ৭% পে-রোল ট্যাক্স বসালেই এই ব্যবস্থার টাকা উঠে আসবে। প্রোগ্রেসিভ পেরোল ট্যাক্সের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। এই টাকার পরিমাণটা এখনকার প্রদেয় প্রিমিয়াম বা কো পে র খরচের চেয়ে অনেক কম। আর এর ফলে আসবে প্রকৃত সর্বজনীন স্বাস্থ্য পরিষেবা। এই ব্যবস্থার দাবি অনেকদিনের। একাধিক স্টাডিতে দেখানো হয়েছে, বেসরকারি বিমা উঠিয়ে একটামাত্র জাতীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা করলে শুধু পরিচালনাখাতে খরচ কমানো যাবে প্রতি বছরে ৪০০ বিলিয়ন ডলার, অর্থাৎ স্বাস্থ্যখাতে খরচের এক-চতুর্থাংশ জমানো যাবে। এটা সবার জন্য স্বাস্থ্যের খাতে ব্যয় করা যেতে পারে। এছাড়া তো আছেই মুনাফাজনিত লাভ কমানো।
এই ব্যবস্থায় গেলে বিমা কোম্পানী, পরিচালনা-সংক্রান্ত কাজে জড়িত লোকজনের চাকরি যাবে? উঁহু, ঁরা বলছেন, অনেক বেশি চাকরি তৈরি হতে পারে স্বাস্থ্য-পরিষেবা সংক্রান্ত ক্ষেত্রে। লং টার্ম কেয়ার, হোম হেলথ কেয়ার, পাবলিক হেলথ, এই সব ক্ষেত্র প্রসারিত হবে এবং আরো চাকরির সু্যোগ করে দেবে বলে মনে করছেন এঁরা। বর্তমান সিস্টেমের বাড়তি খরচের মধ্যে আর এক বড় অংশের জন্য দায়ী ডাক্তার, হাসপাতাল। পি এন এইচ পি র বক্তব্য, এঁরা খরচ বেশি রাখতে বাধ্য হন বিমার নানা প্ল্যানের সাথে ‘ডিল’ করার জন্য। কানাডার মত সিঙ্গল পেয়ার সিস্টেম হলে সরকার (যা কিনা ‘ননপ্রফিট পেয়ার’) একটা রেট বেঁধে দিতে পারবে, যা এখনকার খরচের থেকে অনেক কম হবে। নানা বিমা কোম্পানীর সাথে নানারকম সাত-সতেরো ডিল না করে শুধু সরকারের সাথেই বিল নিয়ে বসতে হবে।
সরকার সিঙ্গল পেয়ার হলে ড্রাগ কোম্পানীগুলোকেও ড্রাগের দাম কমে রাখার জন্য চাপে রাখা যাবে বলে মনে করেন এঁরা, আর সেই কারণেই কি ড্রাগ কোম্পানীগুলো এই সরকারি সিংগল পেয়ার স্কিমের এত বিরোধী ?
তবে, এঁদের প্রস্তাবেও সেভাবে ছুঁয়ে দেখা হয়নি বেশ কিছু দিক। যেমন ওভার মেডিকেলাইজেশন অর্থাৎ প্রয়োজনের অতিরিক্ত মেডিক্যাল ইন্টারভেনশনের সমস্যা নিয়ে বিশেষ কিছু বলা হয়নি। ওবামার হেলথ রিফর্মে তো বলা হয়ইনি। এক স্টাডিতে দেখানো হয়েছে, এই বাবদ অতিরিক্ত খরচের পরিমাণ ৭৭ বিলিয়নেরও বেশি! আর শুধু টাকার অঙ্ক দিয়ে তো এর পরিমাপও হয় না। এতে মানুষের ক্ষতিও হয়ে যেতে পারে, হয়ে যায়। কেউ কেউ এর নাম দিয়েছেন, ‘সফট ফ্রড’। ওবামার রিফর্মে শুধু সেই মেডিক্যাল ‘ফ্রড’ সঙ্ক্রান্ত শাস্তির কথা বলা হয়েছে, যেখানে কোন সার্ভিস না দিয়ে বা ভুল সার্ভিস দিয়ে রোগীর থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে। যা প্রয়োজন নেই, সেই সার্ভিস দিয়ে ক্ষতি করা নিয়ে কোন কথা নেই সেখানে বা অন্য প্রস্তাবে। অথচ ‘অপ্রয়োজনীয় চিকিৎসা’ নামক অসুখের চিকিৎসার আশু প্রয়োজন। শুধু টাকা বাঁচাতে নয়, মানুষকে বাঁচাতে, আর এই ওভার-মেডিক্যালাইজেশনের অতি ক্ষতিকর দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের জন্যেও। এর সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে স্বাস্থ্যের কর্পোরেটাইজেশনের দিকটি।
নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রাপক ডাক্তার ও হার্ভার্ডের অধ্যাপক বার্নার্ড লাউনের কয়েকটা কথা এখানে দেবার লোভ সামলাতে পারলাম না --
“আমেরিকার স্বাস্থ্য-পরিষেবা এখন মহা সংকটে। একটি গণ-ব্যবস্থ্যাকে মুনাফা-অভিমুখী উদ্যোগে রূপান্তরিত করা হয়েছে, যেখানে চিকিৎসক হয়ে উঠেছেন স্বাস্থ্য-পরিষেবা প্রদানকারী, রোগী হয়েছেন ক্রেতা, আর এ-ব্যাপারটা করপোরেট স্বার্থকেই দেখভাল করছে। ফলে চিকিৎসা ব্যবসায় পরিণত হয়েছে, চিকিৎসকেরা আর [নির্ভরযোগ্য] পেশাদার নন, আর সবথেকে খারাপ, রোগী তাঁর মানবসত্ত্বা হারিয়েছেন।
চিকিৎসক হিসেবে আমার যে ৫০ বছর কাটল তাতে আমি এক বিশাল রূপান্তরের সাক্ষী রইলাম। রোগ-সারাবার নির্ভরযোগ্য পেশাদারদের হাত থেকে চিকিৎসা-ব্যবস্থা ক্রমে বেশি বেশি করে ‘প্রযুক্তিবিদ চালিত পণ্যোৎপাদন পদ্ধতি’-তে পরিণত হল।
স্বাস্থ্য-পরিষেবার ভেঙ্গে পড়ার পিছনে গভীরতর পরিঘটনা লুকিয়ে আছে – সমস্ত মানবিক আদান-প্রদানের ক্রমাগত বাজারীকরণ ...”
বলা হয়নি চিকিৎসার পাঠক্রমের বিশাল ব্যয়ভার এবং পরবর্তীকালে কিছুটা তারই ফলস্বরূপ চিকিৎসকদের বিশাল পরিমাণের ফি ধার্য করা নিয়েও। এঁদের প্রস্তাবে বেসরকারি প্রোভাইডার বা বেসরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়েও সেরকম কিছু বলা নেই। এই প্রসঙ্গে সম্প্রতি টাইম ম্যাগাজিনে প্রকাশিত একটি স্টিভেন ব্রিলের একটি প্রবন্ধ থেকে কিছু হিসেবনিকেশ তুলে ধরা যেতে পারে। দেশের প্রথম সারির ক্যান্সার হাসপাতাল, এম ডি আন্ডারসনে একজনের ক্যান্সার চিকিৎসার খরচের যেসব নমুনা উনি পেশ করেছেন, তা এককথায় ভয়াবহ। ক্যান্সার মানে প্রায় মিলিয়ন ডলারের খরচা, গ্যাস অম্বল থেকে হওয়া বুকে ব্যথা হয়ে এমারজেন্সি রুমে যেতে হল তো খরচ যা হবে, তাতে কলেজের এক সেমিস্টারের খরচ ( যা নিজেই কিনা রীতিমতন বেশি রকমের বেশি) হয়ে যায়, ল্যাবরেটরি পরীক্ষা নিরীক্ষার খরচ গাড়ি কেনার খরচকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। খরচের কারণ অবশ্য স্পষ্ট হয়ে ওঠে এইসব ‘ননপ্রফিট’ সংস্থাগুলির ৫০০ মিলিয়নের বেশি ‘প্রফিট’ আর এদের সিইও, কেষ্টবিষ্টুদের মিলিয়ানাধিক মাইনের হিসেব দেখলেই। কিন্তু পরিষেবাপ্রদানকারীদের, যার মধ্যে ফার্মা ইন্ডাস্ট্রি, ডাক্তার, হাসপাতাল, সবাই রয়েছে, তাদের এই বিশাল অঙ্ক চার্জ করা নিয়ে কবি নীরব।
অর্থাৎ কানাডার স্বাস্থ্য মডেল আনার কথা বলছেন এঁরা, গ্রেট ব্রিটেনের ন্যাশানাল হেলথ সিস্টেম নয়, যেখানে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা – হাসপাতাল, ডাক্তার, সবই – পুরোই সরকারি। ন্যাশানাল হেলথ সিস্টেমের কথা উঠলেই অনেকে সোস্যালিজমের ভূত দেখতে পান ও রীতিমতন আঁতকে ওঠার মত আতঙ্ক হিসেবে তাকে দেখিয়ে প্রচার চলছে বহু দিন ধরেই। এমনকি কানাডিয়ান সিস্টেম, মানে এই ন্যাশানাল সিঙ্গল পেয়ার হেলথ বিমা মডেলেও তার ছায়া দেখছেন বিরোধীরা। এমনিতেও এই সরকারি সিস্টেমগুলিতে চিকিৎসা পাবার জন্য বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয় কিনা, তাই নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা বিতর্ক আছে। তাই এসব প্রস্তাব আদৌ কোনোদিন বাস্তবায়িত হবে কিনা সে নিয়ে ঘোরতর সন্দেহের অবকাশ আছে। ওবামার প্রস্তাবিত আইনই পদে পদে বাধার সম্মুখীন। এই মুহূর্তে ওবামাকেয়ার নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। সরকারি ‘শাট ডাউন’ এর ভয়, কী হয় কী হয় !
জনস্বাস্থ্যে চলছে বাজেট কাট। খাঁড়া ঝুলছে মেডিকেইড, মেডিকেয়ারের উপরেও – বিরোধীদের চাপে যে কোন মুহুর্তে কোপ পড়তে পারে। রাজ্যগুলির হাতে যেগুলি চালাবার ভার, সেগুলির ভবিষ্যতও অনিশ্চিত। এই রকম অবস্থায় ওবামার প্রস্তাবিত সংস্কারগুলির মধ্যে কিছু কিছু কার্যকর হলে সেটা কানামামা হিসেবে ভালই হবে নাকি বেসরকারি বিমাকোম্পানির দুষ্টু গরু আনার চাইতে না-বিমার শূন্য গোয়ালই ভাল ছিল, সে তর্ক এখন চলতেই থাকবে।
তবে আমাদের ভারতবর্ষের মতন দেশে, যেখানে এখন স্বাস্থ্যব্যবস্থায় মেডিকেলাইজেশন-বাণিজ্যিকীকরণ আর বেসরকারি বিমা, এইসবে নতুন জোয়ার লাগতে শুরু করেছে, আমেরিকায় এগুলোর কুফল এবং নতুন প্রস্তাবগুলির সুফল থেকে কিছু শিক্ষা নিলে আর ভাল বই মন্দ বোধহয় হবেনা।
(এই লেখায় ব্যবহৃত তথ্যাবলী http://www.pnhp.org/ ও অন্যান্য সূত্র থেকে প্রাপ্ত।)
('স্বাস্থ্যের বৃত্তে' পত্রিকায় প্রকাশিত লেখার পরিমার্জিত ও পরিবর্ধিত রূপ)