এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • কাশ্মীর - ঝাঁকিদর্শন

    সোমনাথ রায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ১৫ আগস্ট ২০১১ | ১০৩৩ বার পঠিত
  • স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে কাশ্মীর সমস্যাকে আরেকবার ঝাঁকি মেরে দেখতে চাইলাম। গত কয়েক দশকের বাস্তবতা ক্রমশ: ভাবতে শেখাচ্ছে যে এই সমস্যার সূত্রটি লুকিয়ে রয়েছে কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ কিনা সেই প্রশ্নে। কিম্বা, প্রশ্নটিকে একটু অন্যভাবে ঘুরিয়ে জানতে চাওয়া যায় যে, কাশ্মীরীরা নিজেদের ভারতবাসী হিসেবে মনে করেন কিনা! সেই প্রসঙ্গেই হাতে এলো কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড: শেখ শওকত হুসেন-এর "Support Yes, Assimilation No' নামক প্রবন্ধটি। ড: হুসেন কাশ্মীরের স্বাধীনতার পক্ষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সরকারের বিরাগভাজন হয়েছেন অরুন্ধতী রায়, গিলানির পাশাপাশি তাঁর নামেও দেশদ্রোহিতার অভিযোগ এসেছে। দেখা যাক কী বলছেন এই স্বাধীন কাশ্মীরের প্রবক্তা?

    ড: হুসেন প্রবন্ধটির শুরুতেই বলছেন: "কাশ্মীর কোনদিনই নিজেকে ভারতের অংশ বলে মনে করেনি। সেই ১৯৪৭ সাল থেকে শুরু করে আজ অব্দি না । সরকারী ভাবে যে তার জন্য কোন চেষ্টা হয়নি তা বললে ভুল হবে। তবে সমস্ত সরকারী আলাপ আলোচনায় স্থানীয় লোকেদের মতামতকে পুরোপুরি ধামাচাপা দিয়ে দেওয়া হয়েছিলো।' এ ব্যাপারে তিনি অভিযোগ আনছেন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার দিকেও যারা তাঁর মতে "বেশির ভাগই হয় আসল খবর জানতেই পারলোনা, নয়তো ঘুষ খেয়ে স্রেফ সরকারের ধামাধরা লেখা ছেপে বার করলো।' কাশ্মীর ইস্যুতে আলোচনায় ধর্মীয় বা সাম্প্রদায়িক আঙ্গিকটি প্রায়শ:ই টানা হয়ে থাকে। ড: হুসেন ধর্মীয় আঙ্গিকের মধ্যেও কাশ্মীরের পৃথক থাকার ভিত্তি খুঁজে দেখাচ্ছেন: "এখানকার মুসলিমদের সংস্কৃতি দেখবেন মধ্য এশিয়ায় চালু ধরণধারণ মেনে চলে, দক্ষিণ এশিয়ার নয়। পাল-পার্বণ সবই হয়, কিন্তু সে ভারতের মুসলিম পরবের তারিখ মেনে নয়।' এমনকি দেওবান্দের মৌলবিরা, যাঁরা সম্প্রতি ভারতে থাকবার পক্ষে সওয়াল করেছেন, তাঁদের ভারত-আনুগত্যের ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখছেন যে কাশ্মীরের সাধারণ মুসলিমদের অ্যাস্পিরেশনের জায়গাটি বেশ খানিকটা আলাদা। এ প্রসঙ্গে প্রবন্ধে তিনি লিখছেন: -

    "এই ব্যপার নিয়ে হালফিলে দেওবান্দের কয়েকজন মৌলবী যে সমাবেশ করেছিলেন তাই নিয়ে দু-চার কথা না বললেই নয়। এঁরা যে পুরো দেওবান্দের প্রতিনিধি তা অবশ্য নয়, তবে দেওবান্দি মতধারার যে শাখাটা ভারতীয় জাতীয়তাবাদের ওপর বিশ্বাস রাখে সেটা এঁরা মেনে চলেন। সমাবেশের মদনি আয়োজকদের যিনি ঠাকুরদাদা স্বরূপ সেই হুসেন আহমদ মদনি ওঁর "মুত্তাহিদা কওমিয়ৎ অওর ইসলাম' বইয়ে লিখেছিলেন যে "এ তো সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণ হয়ে গেছে যে কংগেস যে জাতীয়তাবাদের কথা বলছে তা আমাদের মদিনার নবীজি'র (সাল্লালাহু আলেহি আস্‌সালাম) বলা রাস্তার থেকে কোন ভাবেই আলাদা নয়।' কথাটা একবার নয়,বইটার তিন তিন জায়গায় লেখা আছে। এই লাইনটা কবি আল্লামা ইকবাল (আর.এ) এর অত্যন্ত অপছন্দ হয়েছিলো। ওঁর "রামগান-এ-হিজাজ' কাব্যসংকলণে "হুসেন আহমদ' কবিতাটা পড়লেই বোঝা যায়। অবশ্য শুধু ইকবাল কেন, আরো অনেক উলেমারা, যেমন মৌলানা আনওয়ার শাহ কাশ্মীরি, মৌলানা আশরফ আলি তনভী, মৌলানা সাবির আহমদ উসমানি, কারি মোহাম্মদ তইয়ব কেউই হুসেন আহমদের ঐ দৃষ্টিভঙ্গীর সাথে একমত হতে পারেননি। এই যে "মদনি' গোষ্ঠী এখন এই সমাবেশের আয়োজন করলো, এটা শুধু ঐ "ঠাকুরদাদা'র মতানুযায়ী ভারতীয় জাতীয়তাবাদ কেমনটি তার ওপর জোর দেবার জন্যেই।

    দেওবান্দ সমাবেশের শেষে মদনিরা এই মতটা প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন যে কাশ্মীরের মুসলমানরা আসলে সারা ভারতের মুসলিম গোষ্ঠীরই অন্তর্ভুক্ত। কাজেই এদের পরিনতি তাদের থেকে আলাদা কিছু হবেনা।'

    ১৯৬৪ সালে ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা শেখ আবদুল্লাকে নেহেরু জেল থেকে মুক্তি দ্যান আর ভারতের হয়ে পাকিস্তানে দৌত্যে পাঠান। এই পর্যায়েই ভারতীয় সংবিধানের ৩৫৬,৩৫৭ ধারা পুনর্বর্ধিত করা হয় এবং ৩৭০ ধারায় কাশ্মীরকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং কাশ্মীরীদের ভারতীয় হিসেবে সরকারিভাবে প্রতিপন্ন করবার উদ্যোগ শুরু হয়। অথচ রাজনৈতিকভাবেও কাশ্মীরীদের সঙ্গে ভারতীয় মূলধারার দলগুলির প্রভেদ ছিল এবং থেকেও গেছে: "মূল ভারতের সাথে এখানকার ধর্মীয় বা রাজনৈতিক আন্দোলনগুলোর মধ্যে আদর্শগত মিল অনেক, তবু যেন কোথায় তফাৎ থেকেই গেছে। "মুসলীম লীগ' আর "মুসলিম কনফারেন্স' একই নীতি মেনে চলে, কিন্তু দুটো দল ঠিক "এক' আর হয়ে উঠতে পারেনি। আবার "কংগ্রেস' আর "ন্যাশনাল কনফারেন্স' এরাও দেশভাগের আগে একই আদর্শ নিয়ে শুরু হয়েছিলো, কিন্তু এখন দেখুন দুটো দল পুরোপুরি একে অন্যের থেকে আলাদা। এমনকি ক্যাডারদের দল "জামাত-এ-ইসলামি'র কথাও যদি ধরেন, দেখবেন ভারতবর্ষে এর মতো যেসব পার্টি আছে তাদের সবার পরিকাঠামো, রীতিনীতি সব এক হওয়া সত্বেও এ দল আর সে দল কোনদিন একসাথে মিললো না।' ড: হুসেনের মতে ৬৪ সালে থেকে শুরু করে যতবারই কাশ্মীরকে জোর করে ভারত বানানোর চেষ্টা করা হয়েছে রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়েছে: "এই রকম এক সংকটের সময়ে শেখ আবদুল্লা "মাহাজ-এ-রাইশুমারী' দল গড়েছিলেন, "ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস'এ যারা নাম লিখিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলন করেছিলেন। ভারতের এই কাশ্মীরকে কব্জা করার চেষ্টার বিরুদ্ধে উনি প্রতিবাদ করেছিলেন।

    দিল্লীর গদিতে বসে যাঁরা পলিসি বানান তাঁদের হয়তো মনে হয়েছিলো এই ১৯৬৪ সালটা জাতীয় ঐক্যের খাতায় দারুণ কিছু একটা নজির তৈরী করবে, কিন্তু সত্যি বলতে কি ঐ সময় থেকেই কাশ্মীরি সাধারণ মানুষ ভারতকে একেবারে "পর' বলে ভাবতে শুরু করলো।'

    দেওবান্দ সমাবেশের শেষে মদনিরা কাশ্মীরীদের সারা ভারতের মুসলিমদের সঙ্গে এক হয়ে সাম্প্রদায়িক বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে বলেছেন। ড: হুসেনের মতে, গত পঞ্চাশ বছরের ইতিহাসে, ভারতে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টার ফলে, প্রতিবাদ আন্দোলনগুলিকে নির্মমভাবে দমন করবার ফলে সাধারণ কাশ্মীরীদের মনে "বিদ্বেষ আর প্রতিবাদ জমা হতে হতে এমন হয়েছিলো যে ভারতকে আর কোনদিনই "আপন' মনে করে নেবে সে সম্ভাবনা খুব কমই ছিলো। তা সত্ত্বেও দেখি কাশ্মীরের মানুষ এখন আরেকবার চেষ্টা করছে। সামাজিক আর সাম্প্রদায়িক দাবি নিয়ে ভারতের যেসব রাজ্যগুলো প্রতিবাদী গলা তুলছে তাদের সাথে কাশ্মীর জোট বাঁধতে চাইছে।' কিন্তু তবু তাঁরা এটাই বিশ্বাস করেন "যে আমরা সবাই অত্যাচারিত গোষ্ঠী ঠিকই কিন্তু তাদের আর আমাদের মধ্যে পার্থক্য আছে। আমরা "আমরাই', ওঁরা "ওঁরা'।' ভারতের বাকি নিপীড়ীত গোষ্ঠীগুলি ভারতেরই অংশ, অন্তত তাঁরা তাই মনে করেন। তাই, রাষ্ট্রীয় বঞ্চনা ও অত্যাচারকে তাঁরা সরকার বা রাজণৈতিক দলগুলির তরফে আইন-বহির্ভূত কাজ মনে করেন এবং তাঁদের লড়াইগুলি ভারত রাষ্ট্রের হয়ে আইনি শাসন প্রতিষ্ঠার লড়াই, কিন্তু কাশ্মীরীদের প্রসঙ্গে বিষয়টি আলাদা: "ভারতের মধ্যে কোন সম্প্রদায়ের ওপর এই ধরণের অত্যাচার করার আইন নেই। কিন্তু আমাদের ওপর অত্যাচার কি আইনী ভাবেই হয়নি? "আর্মড ফোর্স স্পেশ্যাল পাওয়ার অ্যাক্ট (AFSPA)', "ডিস্টার্বড এরিয়া অ্যাক্ট', "পাব্লিক সেফটি অ্যাক্ট (PSA)', "এনিমি এজেন্ট অ্যাক্ট' এগুলো তাহলে কী? ভারতে যেগুলো চলে সেগুলোকে কেউ স্বাভাবিক উচিৎ কাজ বলে মনে করেনা, কিন্তু কাশ্মীরিদের ওপরে সেই একই জিনিষ তো রীতিমতো সরকারি ভাবেই করা হচ্ছে। ভারতের বুদ্ধিমান ভাইবোনেরা বরাবর মনে করেন যে ফৌজী শক্তি বাইরের শত্রুর সাথে লড়ার জন্য, জনগণের গায়ে তাদের হাত দেবার কোন অনুমতি নেই। কিন্তু সেই ফৌজকেই কাশ্মীরের আমজনতার ওপরে লেলিয়ে দিলে তখন তো ওঁদের কিছু আপত্তি হয়না!'

    ড: হুসেনের মতে রাজনৈতিক উপাদানের দিক থেকে লড়াইগুলি এতটাই ভিন্ন-ভারতীয় মুসলিম বা বঞ্চিত রাজ্যগুলির লড়াই সংবিধান কাঠামোর মধ্যে থেকে তাকে উন্নত করার, আইনের উন্নত প্রয়োগের মাধ্যমে সমস্ত ভারতীয়কে সুশাসন এনে দেওয়ার লড়াই। কিন্তু কাশ্মীরের লড়াই "বিশ্বের কাছে নিজেদের আইনী পরিচয়ের অধিকারের জন্য... লড়াইটা একটা দেশের জাতীয়তার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং আন্তর্জাতিক দুনিয়ার দরবারের সামনে।' এবং এখানেই তাঁর দ্বিধা বাকি ভারতীয় গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে এক মঞ্চ শেয়ার করতে- সেক্ষেত্রে কাশ্মীরীদের লড়াই ভারতের অধ্যে থেকে সুশাসনের দাবিদাওয়ার লড়াইয়ে পর্যবসিত হতে পারে। "আমাদের এই লড়াই এর সময়ে পাশে কারুকে পাওয়ার দরকার আমাদের নিশ্চয়ই আছে। কিন্তু সমর্থনের নামে যদি সেটা কাশ্মীরকে ভারতে ঢোকানোর একটা বেসরকারী প্রচেষ্টাই হয়ে দাঁড়ায় তাহলে কি লাভ? এ'কথা আমরা কি করে ভুলি বলুন যে এই জিনিষটাই ঠেকিয়ে রাখার জন্য আমাদের বাপ-দাদারা কত লড়াই করেছেন?'

    প্রবন্ধের উপসংহারে তিনি বলছেন: "দেখুন, আমরা যে কি নিয়ে লড়ছি তা আমাদের কাছে খুব পরিষ্কার। এই নিয়ে আমরা কারুর কাছ থেকে কোনো উপদেশ শুনতে রাজী নই। উপদেশ যদি দিতেই হয় তাহলে ভারতের সব জাতি-ধর্ম-ভাষার লোকেদের দেওয়া উচিৎ যাতে তাঁরা এই প্রতিবাদী কাশ্মীরের দাবিগুলো সত্যি করে বুঝতে পারেন, তা মেটানোর জন্য কোন উপায় ভাবতে পারেন। আমাদের যাঁরা "সমর্থন' করতে চাইছেন তাঁদের এই দিকটা বুঝতে হবে বইকি? আমেরিকার সাধারণ মানুষের দাবিতেই কিন্তু ভিয়েতনাম থেকে মার্কিন সেনা সরে যেতে বাধ্য হয়েছিলো। আবার পরেও আমেরিকান প্রচার মাধ্যম আর জনগণের প্রবল চাহিদাতেই ইরাক থেকেও মার্কিন সরকার ফৌজ সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন। কাশ্মীরের ক্ষেত্রেও আজ সেটাই দরকার। এটাই আসল "সমর্থন'।'

    স্বাধীনতা দিবসের আলোচনায় এইখানেই উঠে আসে আসল বিতর্কটা। ভারতের বাকি বঞ্চিত জনজাতি ও সম্প্রদায়গুলির সমস্যার সঙ্গে কাশ্মীরীদের আর্থ-সামাজিক সমস্যার মিল থাকলেও, সেই সমস্যাগুলির সূত্র কি পৃথক? পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্রের বিকাশের সুযোগ কি কাশ্মীরকে নিজের অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত অংশ ধরে নিয়ে তার সার্বিক উন্নয়নে নাকি পৃথক হতে চাওয়া জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারকে সম্মান জানিয়ে তাঁদের প্রকৃত গণতান্ত্রিক আকাঙ্খাকে স্বীকার করে নেওয়ায়?


    The Parallel Post, Issue II, (First E-zine from J&K) থেকে ড: শেখ শওকত হুসেন-এর "Support Yes, Assimilation No' নামক প্রবন্ধটির যে অংশগুলি এই লেখায় ব্যবহৃত হয়েছে, সেগুলি অনুবাদ করেছেন কৃষ্ণকলি রায়।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১৫ আগস্ট ২০১১ | ১০৩৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • tj | 37.***.*** | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০২:৩২97274
  • ২০ ১১  ১৬৩৪৪ 

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন