এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  বাকিসব  নেট-ঠেক-কড়চা

  • ইতি রবীন্দ্রনাথ

    তির্যক লেখকের গ্রাহক হোন
    বাকিসব | নেট-ঠেক-কড়চা | ১৬ মে ২০১১ | ৮৩১ বার পঠিত
  • প্রিয় পাঠক-পাঠিকা এবং অনুরাগীবৃন্দ সমীপেষু,

    শত বর্ষ পূর্বে যখন লিখেছিলেম "আজি হতে শত বর্ষ পরে...........' তখন সত্যই যে খুব গভীরভাবে বিশ্বাস করেছিলেম যে আমার রচনা শত বৎসর পরেও কেউ পাঠ করবে, এমন নয় । ওটা আমার মধুর কল্পনা এবং মনোবাসনারই প্রকাশ। দেখতে দেখতে বহু বৎসর হয়ে গেল তোমাদের সান্নিধ্য থেকে সরে এসেছি । কিন্তু এখনও পর্যন্ত আমাকে নিয়ে তোমাদের চিন্তা-ভাবনা, বিশ্লেষণ, ভালবাসা এমনকি বিরাগ-বিড়ম্বনাও প্রবলভাবে বিদ্যমান । একজন কবি বা সাহিত্যিক হিসাবে এমনকি একজন মানুষ হিসাবেও এতে আমার যারপরনাই আনন্দিত হওয়া উচিৎ। আমার প্রতি তোমাদের এই প্রবল আগ্রহে আমি যে যথার্থই আপ্লুত সে কথা অস্বীকার করারও কারণ দেখি না। কিন্তু তোমাদের এই বিপুল আগ্রহ এবং উৎসাহের যথার্থ সম্মান দিতে গেলে কেবলমাত্র আত্মপ্রসাদে রজ্ঞিত হলেই চলে না। আমার পক্ষ থেকে আমার প্রকৃত প্রতিক্রিয়াও জানাবার দায়িত্ব স্বীকার করতে হয়। তাই আজ এই পত্রলেখন।

    তোমরা যদি ভালোবেসে আমার রচনা পাঠ কর আমার কাছে তার চেয়ে বড়ো স্বীকৃতি আর কিছু হয় না। কিন্তু আমাকে নিয়ে তোমাদের একাংশের মধ্যে যে অন্ধ আনুগত্য, যে যুক্তিহীন উন্মাদনা লক্ষ্য করি তাতে আমি অত্যন্ত বিব্রত ও লজ্জিত বোধ করি। আমি একজন সাহিত্যিক, আমার ভাবনা এবং অনুভব আমি আমার ভাষায় প্রকাশ করেছি। তার কিছু কিছু তোমাদের ভাল লেগেছে, নিজেদের কথা বলে মনে হয়েছে, কিছু কিছু ভাল লাগেনি। আমি আমার সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে যা সত্য বলে অনুভব করেছি, বর্তমানের পরিবর্তিত পটভ¨মিতে তা আর সত্য বলে বোধ নাও হতে পারে। আরও যত দিন যাবে মানুষের জীবনধারা বদলাবে, আমার রচনার প্রাসঙ্গিকতাও হয়তো ক্ষীণ হয়ে আসবে। এটাই সত্য এবং এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমার কোন রচনা এমনকি আমার প্রাসঙ্গিকতা নিয়েও কেউ বিরুদ্ধ মন্তব্য করলে তোমরা যে ভাবে উত্তেজিত হয়ে পড়ো তাকে সাহিত্য বা সাহিত্যিকের প্রতি ভালবাসা বলে চেনা যায় না, ধর্মান্ধের উন্মাদনা বলে ভ্রম হয়। তোমাদের সঙ্গে যোগাযোগের পথ থাকলে আজ আমি নিজেই নিজের যে মন্তব্য…লি পরিবর্তন করে নিতেম, আমার সেই মতামত …লি তোমরা এখনও চিরকলীন বলে দাবী কর। এটা আমার প্রতি ভালোবাসা নয়, এ হল অন্ধ আনুগত্য। এর ফলে আমার মূর্তিতে অচলায়তনের তকমা দৃঢ় হয়ে বসে যায়। এ আমার লজ্জা !

    তোমরা যারা আমার চিন্তা-ভাবনা-মতামতের সমালোচনা কর, তাদের বলি যে বিভিন্ন বিষয়ে আমার নিজের মতামতও বয়সের সঙ্গে পরিবর্তিত হয়েছে। তাই আমার যে কোন বয়সের যে কোন উক্তিকে উদ্ধৃত করে তোমরা যখন তাকে তোমাদের নিজেদের বক্তব্যের সমর্থনে বা আমার বিরুদ্ধে যুক্তি হিসাবে দাঁড় করাও তখনও আমি অত্যন্ত বিব্রত বোধ করি। কিশোর বয়সে বাংলা সাহিত্যের দুই দিকপাল সাহিত্যিকের সম্বন্ধে যে ভ্রান্ত বিশ্লেষণ ও বিরূপ মন্তব্য করেছিলেম, তোমরা আজও নানা প্রসঙ্গে সেই উক্তিকে উদ্ধৃত কর যার অর্থ হল ওই অপরিণত বয়সের উক্তি…লিকেই আমার পূর্ণাঙ্গ মতামত হিসাবে প্রতিষ্ঠা করা। এতে শুধু আমার অবমাননাই হয় না তোমাদের বিচারবুদ্ধির গৌরবও খর্ব হয়। তেমনই আমার বিভিন্ন রচনায় যে অসংখ্য চরিত্র ছড়িয়ে আছে তাদের সমস্ত বক্তব্যই আমার নিজস্ব মতামত নয়। কাহিনীর প্রয়োজনেই নানারকম চরিত্র সৃষ্টি করতে হয়েছে, তাদের মুখে নানারকম সংলাপ বসাতে হয়েছে, না হলে খুব সীমিত পরিধির মধ্যেই লেখালেখি শেষ করে দিতে হত। তাই আমার সৃষ্ট যেকোন চরিত্রদের মুখের কথাকে আমারই বক্তব্য, আমারই বোধ বা বিশ্বাস বলে প্রতিষ্ঠা করা আমার প্রতি একধরনের অবিচার।

    আমার সৃষ্ট সু¤রকে নতুন নতুন আঙ্গিকে, নতুন নতুন যন্ত্রানুসঙ্গের সাহায্যে নবরূপায়নের চেষ্টা করছে নতুন প্রজন্মের শিল্পীরা। এতে তোমাদের কারুর কারুর ঘোর আপত্তি। আপত্তি একসময় আমারও ছিল। কিন্তু ওই যে বল্লেম, বয়সের সঙ্গে অনেক ভাবনা পরিবর্তিত হয়। নিজের জীবনে আমি ছন্দ ও আঙ্গিক নিয়ে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছি। এখন আমার মনে হয় সর্ব ক্ষেত্রেই এই সব পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন আছে। আমার গান আজকের প্রজন্মকে যদি স্পর্শ করে, তাদের যদি ইচ্ছে হয় তাদের মনন কে সেই গানের সঙ্গে যুক্ত করে একটা নতুন রূপ দিতে, তাতে ক্ষতি কিছু নেই। তাদের সব প্রচেষ্টাই যে সফল হবে এমন নয়, যেটা ভালো হবে না, মানুষের মনে যেটা অনুরণন তুলবে না, সেটা এমনিই বিলুপ্ত হবে। সেটা নিয়ে আলোচনা চলতে পারে, বিতর্কও চলতে পারে, কিন্তু পরীক্ষার রাস্তাটা বন্ধ করে দিলে আমার সৃষ্টির নবরূপায়ণও বন্ধ হয়ে যাবে। প্রতি ২৫ শে বৈশাখ তোমরা আমাকে স্মরণ করো, এই প্রখর রৌদ্রতাপ উপেক্ষা করে ভীড় করো নানা প্রাঙ্গনে। আমার ছবিতে মালা পরাও। কিন্তু এই সবকিছুর মধ্যে দিয়ে আমার প্রকৃত পরিচয়টা হারিয়ে যাচ্ছে বা গেছে। কবি থেকে আমি ক্রমে কবি…রু বা …রুদেব হয়ে যাচ্ছি, ধর্ম…রুর সঙ্গে তার তফাৎ সামান্যই। আমার পদবীটা ঠাকুর হয়ে এই সমস্যাটা প্রকট হয়েছে ; ভয় হয় তোমরা হয়তো একসময় আমাকে ঠাকুরঘরের দেওয়ালে নির্বাসন দেবে। আবার অনেকের কাছে আমি ঘর সাজাবার সামগ্রী, সংস্কৃতিমনস্কতার প্রতীক হয়ে পড়েছি। আমার লেখা যারা পড়েনি বা পড়েনা এমন লোকের বসার ঘরের দেওয়ালেও আমার ছবি ঝোলানো থাকে। কিন্তু তোমরা বিশ্বাস করো একজন কবির পক্ষে এইভাবে পরিবর্তিত পরিচয়ে বেঁচে থাকার চেয়ে মৃত্যু ভালো। ২৫ শে বৈশাখ তোমরা আমাকে ফুলে-মালায় ভরিয়ে দাও ; কিন্তু তোমরা জানো না যে কখনও ওই ফুলের আড়াল থেকে আমার বলতে ইচ্ছে করে "ফুল…লো সরিয়ে নাও, আমার লাগছে......'।

    তোমরা বিস্মিত হচ্ছ ; আমি আমার নিজের কথা পরের প্রজন্মের এক কবির ভাষায় বলছি বলে। কিন্তু এটিও একটি মধুর সত্য। তোমরা যেমন আমার কবিতায়, গানে নিজেদের কথা শুনতে পাও, তেমন কবিরাও (যদিও তোমরা কেউ কেউ আমাকে "লেখক' বলতেই পছন্দ কর) অন্য কবির কণ্ঠে নিজের কথা শুনতে পায়, শুনতে পেয়ে খুশী হয়। কাব্যে যেমন মনে করো, কবি তো সত্যিই তেমন নয়। কবিও ভালোমন্দ মিশিয়ে একজন মানুষ, সে তোমাদেরই লোক। সে যেসব কথা লেখে, নিজের জীবনে সব করে উঠতে পারে না। একজন ভীরু পিতা হিসাবে সে কন্যার বাল্যবিবাহ দেয়, অপদার্থ জামাতার পৃষ্ঠপোষকতা করে, প্রৌঢ়ত্বের সীমায় এসেও ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হয়, আবার সন্তানের বিয়োগব্যথায় ভারাক্রান্ত হয়েও লিখতে পারে জ্যোৎসÀ¡রাতের গান। তোমরা আমাকে কবি হিসাবে গ্রহণ করো বা বর্জন করো, সমালোচনা করো বা সমাদর করো, সবই সহ্য হয়, কিন্তু "…রুত্বে'র জগতে নির্বাসন দিলে বড় কষ্ট হয়। এইসব অভিযোগ, অভিমানের কথা বাদ দিলে বলতে পারি এখনও আমি প্রকৃত ভালোবাসা পাই অনেক মানুষের কাছ থেকে, যারা আমার কাজকে বিচার করে নির্মোহ দৃষ্টিতে। তারা আমার লেখার দূর্বলতাকে আক্রমণ করে, আবার আমার লেখার মাধুরীটুকুও স্বীকার করে, উপভোগ করে। আমার জন্মের সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষে তোমরা উৎসবে মেতেছ; এই একটি বৎসর ধরে আমি সাগ্রহে লক্ষ্য করেছি তোমাদের নতুন যুগের ভাবনায় আমার সৃষ্টিকে তোমরা কিভাবে নবকলেবর দান করেছ । কোথাওবা তোমরা আমাকে ছাড়িয়ে চলে গেছ বহুদুর । এই সব কিছুর মধ্যেই আমি একটা পরম আনন্দের, সার্থকতার স্বাদ পাই । এইভাবে তোমাদের মধ্যে বেঁচে থাকাটা আমি আজও প্রবলভাবে উপভোগ করি। সব কবি এবং লেখকই এইভাবে বেঁচে থাকতে চায়। ইচ্ছে করে আবার যদি লিখতে পারতেম, কত নতুনভাবে প্রকাশ করতে পারতেম নিজেকে। তা আর সম্ভব নয় এবং সেজন্য আমার কোন আক্ষেপও নেই। শুধু আমার পক্ষ হতে এই কটি কথা তোমাদের জানানোর ছিল। তোমাদের নব্যপ্রযুক্তির সহায়তায় এই কথা…লি আজ এইভাবে জানাতে পেরে বড় স্বস্তি পেলেম।

    আবারও জানাই আমার প্রতি তোমাদের স্বতস্ফ¨র্ত ভালোবাসায় আমি আপ্লুত ও ধন্য । তোমাদের সকলপ্রকার সৃষ্টিকর্মের প্রতি আমার উৎসাহ ও আন্তরিক অভিনন্দন জেনো ।

    ইতি
    তোমাদের রবীন্দÊনাথ
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • বাকিসব | ১৬ মে ২০১১ | ৮৩১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু মতামত দিন