পর্ব চার – উপসংহার
১৯।
এই লেখাও তো এক আখ্যান। সব মিলিয়ে এর নাম অসঙ্গতির উপাখ্যান। সরকারি এবং আদালত-স্বীকৃত আখ্যানে উপেক্ষিত অসঙ্গতিগুলিকে এখানে খুঁড়ে বার করা হয়েছে (এই লেখার বিগত তিনটি পরিচ্ছেদে যা বলা হয়েছে, ধনঞ্জয়ের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত প্রমাণ মোটামুটি সেইকটিই -- এই কটির উপর দাঁড়িয়েই ধনঞ্জয়কে সাজা দেওয়া হয়।)। কিন্তু এই অসঙ্গতির উপাখ্যানের শেষে বিষয়টা কি দাঁড়ায়? ধনঞ্জয় কি অপরাধী? এর উত্তর এই আখ্যানের জানা নেই। কিন্তু তার মানে এই নয়, এই লেখাটি উপসংহার বা সিদ্ধান্তবিহীন। “অপরাধী” কিংবা “অপরাধী নয়” সেটা এই উপাখ্যান থেকে বলা সম্ভব নয়। সেটা এর উদ্দেশ্যও নয়। কিন্তু পুরো আইনী প্রক্রিয়া খুঁটিয়ে দেখে পুরো প্রক্রিয়াটির একটা সাধারণ চলন এই উপাখ্যানে পাওয়া যায়। সেটা নিয়ে কিছু সিদ্ধান্তেও পৌঁছনো যায়। পুরো প্রক্রিয়াটি দেখলে দেখা যায়, ধনঞ্জয়ের খুনের সরকারি আখ্যান একটি হাইপোথিসিস। তার মধ্যে কয়েকটি অনু আখ্যান আছে। প্রতিটি অনু আখ্যানেই রয়েছে কিছু অসঙ্গতি। এর মধ্যে যেকোনো একটি অনু আখ্যানকে যদি আলাদা করে দেখা হয়, এবং খুঁটিয়ে নজর করা হয়, তবে এই অসঙ্গতিগুলি প্রবল হয়ে ওঠে। অনেক ক্ষেত্রে এতটাই বড়ো হয়ে ওঠে, যে, সে অনু আখ্যানটিকে ভেঙে ফেলারই উপক্রম করে।
এই অসঙ্গতির কারণ হল, প্রতিটি অনু আখ্যানই আসলে নানা বয়ানের সমাহার। এই বয়ানগুলির মধ্যে কেউ কেউ, অন্তত এই মামলায় আখ্যানটিকে আমূল বদলে ফেলার ক্ষমতা রাখে, যেমন হয়েছিল আকিরা কুরোসাওয়ার সুবিখ্যাত ক্লাসিক রশোমনে। সেও এরকমই এক বিচারের কাহিনী। একটি ঘটনারই বিবরণ, যা সম্পূর্ণ বদলে যেতে থাকে প্রতিটি প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানে। এক আখ্যানের খুনি ডাকাত অন্য আখ্যানে হয় বীর যোদ্ধা, এক আখ্যানের খুন অন্য আখ্যানে আত্মহত্যায় পর্যবসিত হয়।
ধনঞ্জয়ের মামলা অবশ্যই রশোমন নয়, যেখানে, কোনো সন্দেহ নেই, শিল্পের প্রয়োজনে তৈরি হয়েছিল আখ্যানের তুমুল বদলে যাওয়া। কিন্তু তারপরেও, এ নিয়েও কোনো সন্দেহ নেই, যে, ধনঞ্জয় মামলাতেও কিছু বয়ান আদালত-স্বীকৃত কাহিনীটিকে সম্পূর্ণ বা কিয়ংদংশে বদলে দেবার ক্ষমতা রাখে। তারা শেষ পর্যন্ত আলাদাই হয়ে যাবে, না একটি নির্দিষ্ট পরিণতির দিকে অঙ্গুলীনির্দেশ করবে, সেই সিদ্ধান্ত, ওই আখ্যান থেকে নেওয়া যায়না। কাহিনীর প্রতিটি অনু আখ্যান সম্পর্কেই এটি কমবেশি সত্য। সামগ্রিকভাবে, এক কথায় বললে, ধনঞ্জয় অপরাধী কিনা, এক লাইনে সেই সিদ্ধান্ত, প্রাপ্ত সাক্ষ্য থেকে নেওয়া মুশকিল। কারণ, সেখানে সঙ্গতির চেয়ে অসঙ্গতিই বেশি।
তাহলে আদালত-স্বীকৃত আখ্যানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হল কি করে? সেটাও আমরা অনুসন্ধান করে দেখেছি। আমরা দেখেছি যে, দেখার ভঙ্গীটা যদি বদলে ফেলা যায়, যদি কোনো একটি নির্দিষ্ট অনু আখ্যান দেখার সময় ভেবে নেওয়া হয়, যে, বাকি অনু আখ্যানগুলি অসঙ্গতিহীন, তাহলে বাকি আখ্যানগুলির সঙ্গতির চাপে(একে আমরা চালু লব্জ অনুযায়ী পিয়ার প্রেশার বলতে পারি) এই নির্দিষ্ট অনু আখ্যানের অসঙ্গতিগুলি উপেক্ষণীয় হয়ে দাঁড়ায়। ওই নির্দিষ্ট অনু আখ্যানের অসঙ্গতিগুলিকে উপেক্ষা বা সম্পাদনা করে তৈরি হয় সামান্য পরিবর্তিত একটি অনু আখ্যান। এবং প্রতিটি অনু আখ্যানের ক্ষেত্রেই এই পদ্ধতিটি অবলম্বন করলে সবশেষে আমরা পাই নিটোল একটি কাহিনী। আপাতভাবে অসঙ্গতিহীন একটি খুনের কাহিনী। সরকারি আখ্যান হয়ে ওঠে আদালত-স্বীকৃত আখ্যান।
কিন্তু আমরা সবাই জানি, পিয়ার প্রেশার তখনই তৈরি হয়, যখন পিয়ার তৈরির আগেই তৈরি হয় একটি গল্প। (“বন্ধুরা সবাই রোগা আমি মোটা”, এটা রোগা হবার পিয়ার প্রেশার তখনই তৈরি করতে পারে, যদি “রোগা হওয়া মোটা হবার চেয়ে ভালো/স্বাস্থকর/স্মার্ট” এরকম একটি গল্প আগেই তৈরি থাকে, যে গল্পটি প্রশ্নের ঊর্ধ্বে, গিভন বা প্রদত্ত)। একই ভাবে একটি অনু আখ্যানের উপর বাকিগুলি “বাকি সবাই অসঙ্গতিহীন, তুমি কিন্তু নও” বলে চাপ তখনই তৈরি করতে পারে, যদি এ বিষয়েও আগেই একটি গল্প তৈরি থাকে। তৈরি গল্প মানে, বলাবাহুল্য, এখানে ম্যানুফ্যাকচার্ড স্টোরি নয়, বরং গিভন বা প্রদত্ত। অর্থাৎ যা পূর্বসত্য। নতুন করে প্রমাণিত হবার দায় নেই। বা হবার প্রয়োজন নেই। খুব সংক্ষেপে, “পালিয়ে পালিয়ে থাকার পর ধরা যখন পড়েছে দোষটি স্বতঃসিদ্ধ, বিচার শুধু শাস্তিদানের জন্য” এরকম, বা এইজাতীয় একটা পূর্বসত্যের উপস্থিতি এখানে প্রয়োজন।
অবিকল এরকম পূর্বসত্যসহ একটি বিচারের বর্ণনা আমরা পাই ফ্রানৎস কাফকার লেখা “ট্রায়াল”এ, যেখানে জনৈক ব্যাঙ্ক অফিসার যোসেফ কে কে তার তিরিশ বছরের জন্মদিনে দুজন অজানা লোক এসে গ্রেপ্তার করে কোনো এক অনুল্লেখিত অপরাধের জন্য। এরপর পুরো আখ্যানটিই জোসেফ কের বিচারপ্রক্রিয়ার বিবরণ, যেখানে অপরাধটিই থেকে যায় অনুল্লেখিত, যেন সেটি একটি পূর্বসত্য, যা উল্লেখেরই অপেক্ষা রাখেনা। পুরো বিচারপদ্ধতিটিই হয়ে দাঁড়ায় কেবলমাত্র শাস্তিদানের একটি প্রক্রিয়া, যেখানে অপরাধটি একটি পূর্বসত্য, গিভন বা প্রদত্ত। অবশেষে, বিচার প্রক্রিয়ার শেষে দুজন ঘাতক এসে জোসেফ কে কে “কুকুরের মতো” হত্যা করে তার পরবর্তী জন্মদিনে।
ট্রায়াল একটি গল্পকথা, গল্প হিসেবেই, এই আখ্যানটি আমাদের পূর্বতন রশোমন নামক আখ্যানটির উল্টোদিকে দাঁড়িয়ে থাকে। বিচারপ্রক্রিয়ার বর্ণনা হিসেবে এরা যেন দুটি আলাদা মেরু, দুই বিপরীত পদ্ধতির দুটি চরমতম উদাহরণ। এবং, বলতে দ্বিধা নেই, যে, ধনঞ্জয়ের বিচারপ্রক্রিয়ার আখ্যানটি, এই দুই বিপরীত মেরুর মধ্যে দ্বিতীয়টি, অর্থাৎ ট্রায়ালেরই বেশি কাছাকাছি। এখানেও, আখ্যানের পূর্বসত্যটি বিরাজমান, বিচারের প্রক্রিয়াটি যেন শুধু শাস্তিদানের প্রক্রিয়া, যেখানে “অপরাধ” নামক পূর্বসত্যটি অন্য কোনো আখ্যানের দ্বারা ইতিমধ্যেই নির্ধারিত। সেই পুর্বসত্যটি ঠিক কী, এখানেও জানার কোনো উপায় নেই, কারণ তা আখ্যানের বাইরে।
২০।
কিন্তু এটা তো ঠিক ফিকশন নয়, যে, আমাদের সতত টেক্সটের মধ্যেই বিরাজ করতে হবে। তাই ধনঞ্জয় “অপরাধী”, এই পূর্বসত্যটি কীভাবে বেড়ে উঠল সেটা, আমাদের আয়ত্ত্বের সম্পূর্ণ বাইরে নয়। আদালতের প্রক্রিয়ার বাইরে, আমরা লক্ষ্য করেছি, “পলাতক ধনঞ্জয়”এর আখ্যানটি তৈরি হয় প্রায় তাৎক্ষণিকভাবেই। খুন জানাজানির কয়েকঘন্টার মধ্যেই। তার আগেও হতে পারে, কিন্তু সেটা আমাদের জানা নেই। এই প্রাথমিক কাহিনীটি ঠিক কীভাবে তৈরি হল, সেটা নিয়ে এই লেখায় আলাদা করে কিছু বলা সম্ভব নয়, তার জন্য পৃথক অনুসন্ধান প্রয়োজন, আলাদা করে করা যেতে পারে, কিন্তু তার ফলশ্রুতিটি জ্বাজ্জ্বল্যমান। গণমাধ্যমে, সংবাদপত্রে ছাপা হয়ে যায় নৃশংস খুন ও ধর্ষণের বিবরণ, সঙ্গে সম্ভাব্য অপরাধী ও পলাতক ধনঞ্জয়ের বৃত্তান্ত। চাপ তৈরি হয় পুলিশের উপরে। ধনঞ্জয়ের খুনের ঘটনার রাতেই ফ্ল্যাটবাড়িতে উপস্থিত হন স্বয়ং ডিসিডিডি। মামলার দ্রুত ফয়সালার জন্য দরকার হয়ে পড়ে একটি কাহিনীসূত্র। পলাতক ধনঞ্জয়ের আখ্যানটি প্রাথমিকভাবে সর্বত্রই গৃহীত হয়।
এর পরের প্রক্রিয়াটি প্রায় স্বনিয়ন্ত্রিত। “নৃশংস খুন ও ধর্ষণ”এর বিবরণ যখন আসে জনসমাজে, তখন সেটা আর নির্দিষ্ট একটি অপরাধের ঘটনা থাকেনা। সেটি সামাজিক চেহারা নেয়। একটি “খুন ও ধর্ষণ” আর একটিমাত্র খুন বা ধর্ষণ থাকেনা, সমাজের যাবতীয় খুন ও ধর্ষণের প্রতীকে পরিণত হয়। নির্দিষ্টতা বা স্পেসিফিসিটি নষ্ট হবার ফলে, একটি ঘটনাই বহন করতে থাকে অনুরূপ সমস্ত ঘটনার সামাজিক চাপ। সামাজিকভাবে যেহেতু “খুন ও ধর্ষণ” আলাদা করে প্রমাণ করার কিছু নেই, ওসব যে ঘটে তা স্বতঃসিদ্ধ, সেই স্বতঃসিদ্ধের ছায়া এসে পড়ে প্রতীক হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করা এই নির্দিষ্ট ঘটনাটির ক্ষেত্রেও। সামাজিকভাবে পুরো প্রক্রিয়াটাই হয়ে দাঁড়ায় “খুন ও ধর্ষণ” নামক পূর্বসত্যকে শাস্তিদানের প্রক্রিয়া। এই প্রতিনিধিত্বমূলক ঘটনাটিকে দেখার প্রক্রিয়া হয়ে দাঁড়ায় কেবলমাত্র একটি “দৃষ্টান্তমূলক” শাস্তি চাইবার ও দেবার প্রক্রিয়া। দৃষ্টান্তমূলক শব্দটি নিজেই এখানে দেখিয়ে দেয়, শাস্তি আর একটিমাত্র শাস্তি নয়, সমাজের সামনে তার দৃষ্টান্ত হয়ে ওঠার চাপ আছে। এই চাপে “সম্ভাব্য অপরাধী”র আখ্যানে “সম্ভাব্য” শব্দটির গুরুত্ব ক্রমে কমতে থাকে। চাপ যত বাড়ে আখ্যানে সম্ভাব্য অপরাধী ততই অপরাধী হয়ে দাঁড়ায়, যার অপরাধ আর প্রমাণের অপেক্ষা রাখেনা, বরং অপরাধটাই পূর্বসত্য, বিচারটা আসলে কেবলমাত্র শাস্তিদানের, এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিদানের।
এই প্রক্রিয়ায় আদালত হয়ে ওঠে একটি সামাজিক শাস্তিদানের মঞ্চ। আদালতের রায়েও বিষয়টি সুস্পষ্ট। ধনঞ্জয় আপিল মামলায় ভারতের সর্বোচ্চ আদালত তার মৃত্যুদন্ডকে বহাল রাখার রায়ের শেষ অংশে জানায়, “In recent years, the rising crime rate particularly violent crime against women has made the criminal sentencing by the courtsa subject of concern.” অর্থাৎ শুধু এই অপরাধটুকুই নয়, সামগ্রিক নারী-নির্যাতন এবং নারীর উপর হিংস্র অপরাধের বৃদ্ধির গোটা চালচিত্রটিই এখানে বিবেচ্য। এবং মৃত্যদন্ড বহাল রাখার সিদ্ধান্ত জানানোর ঠিক আগের অনুচ্ছেদে সর্বোচ্চ আদালত আরও জানায়ঃ “Imposition of appropriate punishment isthe manner in which the courts respond to the society's cry for justice against the criminals.Justice demands that courts should impose punishment befitting the crime so that the courts reflect public abhorrence of the crime. The courts must not only keep in view the rights of the criminal but also the rights of the victim of crime and the society at large while considering imposition of appropriate punishment.”
এইভাবেই গোটা বিষয়টিই নির্দিষ্টতা হারিয়ে হয়ে ওঠে এক সামাজিক শাস্তিদানের প্রকল্প। সমাজের দাবী, সমাজের চাহিদা, এসবের আকারে জন্ম হয় এক বিপুল ও শক্তিশালী পূর্বনির্ধারিত আখ্যানের। ব্যক্তি অপরাধী এই শক্তিশালী আখ্যানের সামনে ছোট্টো এক খড়কুটো মাত্র।
২১।
এখানেই এই উপাখ্যান শেষ হতে পারত। কিন্তু মানুষের মৃত্যর পরও তার ছায়া থেকে যায়, আর উপসংহারের পরেও থেকে যায় পরিশিষ্ট। ২০১৩ সালে শঙ্কর কিষ্ণরাও খাড়ে বনাম স্টেট অফ মহারাষ্ট্র মামলায় রায় দিতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্ট তার পূর্বতন মৃত্যুদন্ডের সিদ্ধান্তগুলি খতিয়ে দেখে। ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় মামলা সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে সেই মামলার রায়ের কিয়দংশ উদ্ধৃত করা হয়। এটা কোনো আপতিক ঘটনা নয়, যে, আমরা আগের পরিচ্ছেদে ওই মামলার যেদুটি অনুচ্ছেদ থেকে উদ্ধৃতি দিয়েছি, সুপ্রিম কোর্টও উদ্ধৃত করে সেই দুটি অনুচ্ছেদ থেকেই। এবং তারপর এক লাইনে মন্তব্য করা হয়, “Prima facie, it is seen that criminal test has not been satisfied, since there was not much discussion on the mitigating circumstances to satisfy the ‘criminal test’.”
খুব ছোটো করে এর মানে এইরকম, যে, ধনঞ্জয়ের শাস্তিদানের ক্ষেত্রে কেবলমাত্র সেই পারিপার্শ্বিকতাগুলিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, যারা দন্ডদানের পরিমাপ বাড়ায় (অ্যাগ্রাভেটিং সারকমস্ট্যানসেস)। যাতে দন্ডদানের পরিমাপ কমে, সেই পারিপার্শ্বিকতা (মিটিগেটিং সারকমস্ট্যানসেস) কে দেখা হয়নি। দার্শনিকভাবে দেখলে, এও এক পূর্বনির্ধারিত আখ্যানের একরকম স্বীকৃতি, যার চাপে কিছু পারিপার্শ্বিকতাকে উপেক্ষা করা হয়, আর কিছু পারিপার্শ্বিকতাকে দেওয়া হয় অধিকতর গুরুত্ব।
এই স্বীকৃতির অবশ্য আলাদা করে কোনো মানে নেই। কারণ এই রায় আসে ২০১৩ সালে। সেভাবে দেখলে এই লেখারও আর কোনো মানে নেই। কারণ ধনঞ্জয় ফাঁসিকাঠে ঝুলে পড়েছে আজ থেকে বহুদিন আগে, ২০০৪ সালের আগস্ট মাসের এক দিনে। শোনা যায়, সেটাই ছিল তার উনচল্লিশতম জন্মদিন।
(সমাপ্ত)