ভারত বনধ হলো সুপ্রিম কোর্টের এস সি এস টি এক্ট( প্রিভেনশন অব এট্রোসিটিস এগেইন্সট এস সি এস টি) সংক্রান্ত রুলিং এর বিরুদ্ধে। অপ্রত্যাশিত হিংসা ছড়িয়ে এই বনধ সেই শক্তিগুলির চক্রান্ত ফাঁস করল যারা সমাজকে ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের আগে বহুধাবিভক্ত করতে চায়। এগারটা প্রাণ গেল, হাইওয়েগুলো অবরুদ্ধ, দোকান পুড়িয়ে,ট্রেণ আটকে আদালতের আদেশ অমান্য করা হচ্ছে, যে আদেশের রিভিউ কেন্দ্রীয় সরকার নিজেই চেয়েছে।
...এটা আর কি হতে পারে দলিত এবং মুসলমানের ঐক্যবিধানের একটা মরীয়া চেষ্টা ছাড়া, যাতে বৃহত্তর হিন্দু সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করা যায় দলিত জনগোষ্ঠীকে ? এটা কি ইংরাজের ডিভাইড এন্ড রুলের পুনরাবৃত্তি নয় ? দলিতেরা এই হীন চক্রান্ত সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল, কারণ মোদীজীর জমানায় দলিতের উন্নতিসাধন যতো হয়েছে পূর্ববর্তী কোন জমানায় তা হয় নি।
উপরিউক্ত বক্তব্য ডঃ বালাশংকরের, মাননীয় সদস্য বিজ্জেপি আই টি সেল এবং অরগানাইজারের ভূতপূর্ব সম্পাদক।
এই বক্তব্যে কিছু সমস্যা আছে। ভারত বন্ধের ডাক প্রথামাফিক কোন বিশেষ দল বা কয়েকটি দল মিলে দিয়েছে এরকম কিছু চোখে পড়েনি। বালাশংকর যতই মায়াবতীকে ষড়যন্ত্রী বলে দুষুন না কেন বেশিরভাগের মতে এই বন্ধ স্বতঃস্ফূর্ত। কোর্টের রায় বেরোনোর পর বিক্ষুব্ধ দলিতরা দশটি বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে অবরোধ এবং বিক্ষোভসমাবেশে ফেটে পড়ে। প্রকাশ আম্বেদকর ঠিকই বলেছেন, এই কারণে বিশেষ কোন নেতা এই বন্ধের হোতা সেটা এক বাক্যে বলে দেওয়া যাচ্ছে না।
রিভিউ চেয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ? এটিও অর্ধসত্য।
তফশিলি জাতি-জনজাতি নিপীড়ন প্রতিরোধ আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে দেশজোড়া বিরূপ প্রতিক্রিয়া সরকারকে তড়িঘড়ি রিভিউ চাইতে বাধ্য করেছে।
কিন্তু অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই রায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট, নিপীড়নকারীর আগাম জামিন, এইটার বিরোধিতা করতে সরকার ইচ্ছাকৃত ভাবে ভুলে গেছে। ১৯৮৯ সালের পুরোন আইনে আগাম জামিন বস্তুটি ছিলো না, কারণ আদালতের মনে হয়েছিল যে জামিনপ্রাপ্ত সন্দেহভাজন ভিক্টিমকে আতঙ্কিত করার অন্যায্য সুযোগ পাবে। আর কে না জানে, এ দেশে গরীবগুর্বোকে ভয় দেখালেই অর্ধেক কাজ হাসিল হয়ে যায়।
একে দলিত, তায় গরীবের ন্যায় পাওয়া একেবারেই সহজ নয়। সময়, অর্থ, পরিবেশ কোন কিছুই তার অনুকূলে থাকে না। তাই এই আগাম জামিনের অপব্যবহার হবে এইটা বিক্ষোভকারীদের বড় আশঙ্কা। আশ্চর্যজনক,
সেটিকেই বাদ রেখে এই আইনে আরো দুই পরিবর্তন, নিপীড়নকারীর গ্রেফতারির আগে প্রাথমিক তদন্ত ও এমপ্লয়ারের অনুমতির রিভিউ চেয়ে সরকার পক্ষের পিটিশন জমা পড়েছে।
আদালতের ভাষায় যা শুধু "গ্রেফতারির এক পদ্ধতি " তা তৈরি করবার এই প্রচেষ্টায় কেন বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন দলিতরা ? আদালতের অন্যতম যুক্তি, দলিতদের বিরুদ্ধে ঘটা অপরাধের বিরুদ্ধতায় এফ আই আর দায়ের করার তো কোন বাধা নেই।কেন তবে দলিতদের মনে হল তাদের ওপর খুন, ধর্ষণ, মারধরের মতো অপরাধের প্রতিকারে যে আইন বলবৎ রয়েছে তাকে লঘু করেছে সুপ্রিমকোর্টের এই রায় ? কেন তাদের মনে হল প্রাথমিক তদন্তের ব্যবস্থা অপরাধীর শাস্তিকে প্রলম্বিত করবে ?
এই প্রশ্নগুলির জবাব লুকিয়ে আছে NCRB, ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর পরিসংখ্যানে। পুরোনো শাস্তির ব্যবস্থা চালু থাকতেই, অর্থাৎ দলিতের ওপর হিংসাত্মক আক্রমণে তড়িঘড়ি অপরাধীকে আগাম জামিন, প্রাথমিক তদন্ত এবং নিয়োগকর্তার অনুমতি ছাড়াই সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করার আইনি অনুমোদন থাকতেই এই পরিসংখ্যান যে ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরে তাতে এগুলি না থাকলে সমস্যা আরো মারাত্মক আকার নেবে এইরকম আশঙ্কা অত্যাচারিতদের মনে হওয়া খুবই স্বাভাবিক।
২০০৯ সালে দলিতের বিরুদ্ধে উচ্চবর্ণকৃত অপরাধের সংখ্যা যেখানে ছিল ৩৩,৫৯৪, সেখানে ২০১৪ সালেই তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৭,০৬৪ টিতে। দলিত রমণীর ধর্ষণ ২০০৯ সালে ঘটেছে ১৩৪৬ টি। ২০১৪ তে সেটা দাঁড়ায় ২২৩৩ এ। ২০০৪ এ খুন হয়েছে ৬২৪ জন দলিত, ২০১৪ তে ৭৪৪ জন। এই পরিপ্রেক্ষিতে শাস্তি লঘু হলে চিন্তা বাড়ে বৈকি। অপরাধের সংখ্যা কেমন লাফিয়ে বেড়েছে তা বোঝার জন্য প্রথম তথ্যটি আরো বিশদে দিয়ে রাখি। ২০১০এ বেড়েছে ১০০০ হাজারের কিছু বেশি, মোট সংখ্যা ৩২,৭১২। ২০১১তে হাজারেরও কম, ৩৩,৭১৯। ২০১২ তে অনেক কম - ৩৩,৬৫৫। তারপরেকার ডামাডোল অপরাধীদের নিশ্চয় সাহসী করে, রাজনৈতিক পালাবদলের আঁচে সংখ্যাটি হয় ৩৯,৪০৮। তারপরই চোদ্দো সালের বিরাট উল্লফন - ৪৭,০৬৪। বোধহয় অনুকূল প্রতিবেশে বিষ বৃক্ষের বৃদ্ধি সবচেয়ে দ্রুত ঘটে।
আইনকে থোড়াই কেয়ার করে, রাজনৈতিক আনুগত্যকে তুচ্ছ বিবেচনা করে কিভাবে জাতের গর্বে গর্বিতরা প্রান্তিক মানুষের ওপর যে কোন অছিলায় নামিয়ে আনে আক্রমণ তার জলজ্যান্ত উদাহরণ রাজস্থানে এই ভারত বনধ পরবর্তী ঘটনাবলী। কারাউলি জেলার হিন্দাউন টাউনে দুই দলিত নেতার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে তেসরা এপ্রিল। তাদের অপরাধ তারা দলিত। নাহলে রাজকুমারী জাটভ বিজেপির বর্তমান বিধায়ক। আর ভরোসি লাল জাটভ কংগ্রেস নেতা। তাহলে জাতিসত্তার কাছে ফিকে হয়ে যাচ্ছে রাজনীতির রঙ। আর শুধু রাজনৈতিক নেতাই নয়, আক্রান্ত হয়েছে দলিত মহল্লা। পাথর ছোঁড়া, লুঠতরাজ সবই চলেছে যতক্ষণ অব্দি না পুলিশ ব্যবহার করেছে রাবার বুলেট, টিয়ারগ্যাস শেল। যে চল্লিশ জন ' উচ্চ' বর্ণের দাঙ্গাবাজকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়েছে তাদের কি ছেড়ে রাখা হবে যতক্ষণ না সম্পূর্ণ হচ্ছে প্রাথমিক তদন্ত, পাওয়া যাচ্ছে নিয়োগকর্তার অনুমতি ! এতো কড়া আইনকেই যারা রেয়াৎ করেনি, সে আইনের শৈথিল্য তারা কাজে লাগাবে এটাই স্বাভাবিক।
দলিতের বিরুদ্ধে অন্যায় এই মহান দেশে জলভাত। বহু বছরের এই পুরোন অভ্যাস বর্ণবাদীরা ত্যাগ করতে পারে না এবং নতুন বোতলে পুরোন মদের মতো তার নতুন নতুন তারিকা উদ্ভাবন করেই চলে। বেগার খাটাতে না পারলে চাকুরী স্থলের হেনস্থা হাতে রইল। দলিত ছেলে ঘোড়ায় চড়বে, মোবাইলে বাবুর ছেলেদের মতো নাচগান দেখবে এখনো তা চিন্তার অতীত। আর তাদের মেয়ে তো দলিতেরও দলিত, তাকে মনুষ্য জ্ঞান করবার প্রথা এখনো চালুই হয়নি। ফলে দলিতকে বিয়ে করলে অনার কিলিংয়ের যাথার্থ্য নিয়ে গলা ফাটাবার লোকও অনেক মিলে যায়।
যেটুকু বুঝেছি, বাবু ডঃ সুভাষ কাশিনাথ মহাজন ভার্সেস স্টেট অব মহারাষ্ট্র মামলাটি শুধু সুপ্রিম কোর্টের রুলিং নয়, নিজস্ব গতিপ্রকৃতির কারণেও খুব কৌতূহলদ্দীপক। দলিত চাকুরের কনফিডেনসিয়াল রিপোর্টে ভিত্তিহীন খারাপ কথা লেখার অপমান সহ্য করতে না পেরে দলিত মানুষটি যখন দলিত নিপীড়ন আইনের সাহায্যে মামলা দাখিল করতে চায় তখন তার বড় সাহেব সুভাষ মহাজন সেই অনুমতি দিতে অস্বীকার করে দিনের পর দিন। তখন মহাজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়, অথচ তার কিন্তু আগাম জামিন পেতে কোন অসুবিধে হয়না। আগাম জামিনের প্রসঙ্গ মহাজনের আবেদনে ছিলই না, সে চেয়েছিল কেবল মামলা প্রত্যাহার। কোথাকার জল কোথায় গড়ায়, শেষ অব্দি এই মামলা যায় সুপ্রিম কোর্টে। সেখানে আদালত আর্টিকেল ২১, যা কিনা ব্যক্তি স্বাধীনতার কথা বলে, সেই ধারা বিচার করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছয় যে দুমদাম গ্রেপ্তারির আগে সবারই আগাম জামিনের অধিকার থাকা উচিৎ। সরকারের সরবরাহ করা তথ্য নাকি দেখিয়েছে দলিত ক্লেশ নিবারণী আইনেরও অনেক অপব্যবহার হয়। তাই সুপ্রিম কোর্টের মতে, প্রথমে দলিত অভিযোগের একটি প্রাথমিক তদন্ত জরুরী, তারপর এফ, আই,আর এবং চাকুরীজীবীদের ক্ষেত্রে শেষে দরকার নিয়োগকর্তার অনুমতি। সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে এই অনুমতি আসবে পুলিশের সিনিয়র সুপারিন্টেনডেন্ট (SSP)কাছ থেকে। এরপর আদালতে মামলা উঠবে। ভারতীয় বিচারব্যবস্থা দীর্ঘসূত্রিতার কারণে এখনই জগদ্বিখ্যাত। এরপর সে খ্যাতি অন্য গ্রহেও পৌঁছবে এই আশঙ্কা কি সত্যিই অলৌকিক ?
মহামান্য আদালত দেশজোড়া বিক্ষোভের পর রিভিউ পিটিশনের শুনানিতে রাজি হয়েছেন। দেশের অগণিত দলিত এবং প্রান্তিক মানুষের কাছে বিভ্রান্তিকর বা যে কথা যাবার ছিল তার বিপরীত বার্তা যাওয়া খুব সুখের কথা নয়। কিন্তু সরকারের ভূমিকা সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদেরও বিস্ময়ের উদ্রেক করেছে।
গত ৩রা এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট সরকারকে সরাসরি প্রশ্ন করে জানতে চায় কেনই বা প্রথমে সরকারী স্ট্যান্ড ছিল এই, যে দলিতদের দ্বারা ১৯৮৯সালের এই আইনের অপব্যবহার হচ্ছে ? আর কেনই বা গত ২০শে মার্চ রায় বেরুবার পর তারা রিভিউ পিটিশন ফাইল করছে ? জাস্টিস গোয়েল বিস্ময় প্রকাশ করেন, দি ইউনিয়ন ইটসেল্ফ হ্যাড সেইড দেয়ার ওয়াজ এবিউজ ! (দা হিন্দু, ৪ঠা এপ্রিল, ২০১৮)। আদালত-বান্ধব(amicus curiae) অমরেন্দ্র শরণ একই মত দেন যে, সরকারের দেওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে, তার আবেদনে সাড়া দিয়েই এই মামলার রায়। এখন সরকারই এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করছে ! এ তো গোড়া কেটে আগায় জল ঢালা !
আর একটি কথা আমার কাছে কিছুতেই স্পষ্ট হচ্ছে না যে অতর্কিত গ্রেপ্তারি এড়াবার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা কেন কেবল দলিতদের ক্ষেত্রেই নিতে হবে।
এই প্রসঙ্গে এটর্নি জেনেরেল কে কে বেণুগোপাল খুব যুক্তিপূর্ণ কথা বলেছেন। তিনি বলেন, দা ডেঞ্জার অব আরবিট্রারি এরেস্ট ইস স্প্রেড এক্রস দা পেনাল ল' স্পেকট্রাম, এন্ড সো, দা ম্যান্ডেট অব এ প্রিলিমিনারি এনকোয়ারি শূড নট বি কনফাইন্ড টু এ কমপ্লেইন্ট ফাইলড বাই এ দলিত, বাট এক্সটেন্ডেড টু অল স্ট্যাটিউট।
সত্যিই তো দুমদাম এরেস্টের ভয় আইনি জগতে এতোই বেশি যে প্রাথমিক তদন্ত শুধু দলিতের অভিযোগের ক্ষেত্রে কেন হবে বোঝা দায়। প্রত্যেকটি অভিযোগেরেই তাহলে এই "পদ্ধতি"র মধ্য দিয়ে যাওয়া উচিৎ।
এডিশনাল সলিসিটর মনিন্দর সিংয়ের সুপ্রিম কোর্টে সাবমিশনের রেকর্ডে পরিষ্কার বলা আছে যে ১৯৮৯এক্টের অপব্যবহার ছাড়াও কেন্দ্র চায় দলিতের বিরুদ্ধে অপরাধীদের আগাম জামিনের ব্যবস্থা হোক। অথচ রিভিউ পিটিশনে পুরো ডিগবাজি খেয়ে বলা হল, আগাম জামিন ব্যক্তিস্বাধীনতার পরিপন্থী নয় এটাই সরকারী মত। এই মামলা চলাকালীন কেন্দ্র পরিসংখ্যান দিয়ে দেখিয়েছে দলিত ক্লেশ নিবারণী আইনের কতরকম অপব্যবহার হয়। যেমন, সরকার বলেছিল ২০১৫ সালে এইরকম কেসের ১৫-১৬% পুলিশ ক্লোজ করতে বাধ্য হয় আর প্রায় ৭৫% কেস শেষ হয় সন্দেহভাজনের খালাসে অথবা মামলা প্রত্যাহারে।
সেই একই কেন্দ্রীয় সরকার এখন রিভিউ পিটিশনে ২০১৬ সালের তথ্য দিয়ে দেখিয়েছে ১৯৮৯সালের আইনের প্রয়োগ করা হয় কত দুর্বলভাবে এবং তার ফাঁক গলে কিভাবে ছাড়া পায় অপরাধী। দেশজোড়া ৪৭,৩৩৮ টি কেসের মধ্যে আদালত অব্দি গড়িয়েছে কেবলমাত্র শতকরা ২৪.৯%। আর বাদবাকি ৮৯.৩% ঝুলে রয়েছে অনিশ্চয়তার অন্ধকারে।
বালাশঙ্কর মশাইয়ের বক্তব্য শুনলে তাই মনে হয় একেই বলে সাপ হয়ে কাটা আর ওঝা হয়ে বিষ ঝাড়া !
মনে হয় এই ক্ষোভের বিস্ফোরণ হবারই ছিল। দলিতের ক্ষোভ ন্যায্য। তার প্রতিষেধক নিহিত নেই কোন আইনে। সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তন না হলে এই ক্ষোভ প্রশমনের কোন সুযোগ নেই। আদালতের রায় এক্ষেত্রে অনুঘটকের কাজ করেছে মাত্র। যদি কোন সমাজব্যবস্থায় সংখ্যাগুরু
ও প্রশাসন কোন বিশেষ সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধতায় খোলাখুলি কাজ করতে থাকে তাহলে যা হবার তাইই হয়েছে। হাজার হাজার বছরের বঞ্চনার ভার যাদের মাথায় সেই নিগৃহীত শ্রেণীর অধিকার ও মর্যাদারক্ষা এবং কোনো আইনের অপব্যবহারের কারণে নির্দোষ সাধারণ মানুষের হয়রানি- এই দুইয়ের মধ্যে একটি সেতুবন্ধন প্রাজ্ঞ বিচারব্যবস্থায় নানা তথ্যালোচনা ও পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে হয়ত ঠিকই বেরিয়ে আসবে।
অচ্ছেদিনের মতো সেই সুদিন মরিচীকা হয়ে গেলে দেশের ও দশের বড়ই অমঙ্গল।