এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • পুলওয়ামা বিস্ফোরণ, সর্বভারতীয় মব আর যুদ্ধ পরিস্থিতি

    মিঠুন ভৌমিক লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | ২২৯৭ বার পঠিত
  • কাশ্মীর নিয়ে গুরুচন্ডা৯'র আলোচনাচক্রের একেবারে শেষে কথা ওঠায় বলেছিলাম কাশ্মীরের মানুষ মূলত ব্যবসায়ী। পৃথিবীর নানাপ্রান্তে ছড়িয়ে থাকা যেসব প্রাচীন জনপদ ভৌগোলিক অবস্থানের কল্যাণে একদা নানা সংস্কৃতির "মেল্টিং পট" ছিলো, তারই একটা কাশ্মীর। এইরকম অঞ্চলের মানুষদের কয়েকটা বৈশিষ্ট্য থাকে। তাঁরা ভালো কথা বলতে পারেন, মজার হন, ব্যবসায় সফল হন এবং অত্যন্ত অতিথিবৎসল হন। পুলোয়ামার কথায় এসব মনে পড়লো। কেন, সেকথায় পরে আসছি।

    পুলওয়ামা নিয়ে আবহাওয়া খুব ভারি। অন্যের যুদ্ধ লড়তে লড়তে আরো কিছু জওয়ান মারা গেলেন। বিজেপি সরকার পাকিস্তানকে যথাযথ জবাব দেবে বলে আস্ফালন করছে। পাকিস্তান সরকার সমস্ত অস্বীকার করছে, মায় মাসুদ আজহারের বিরুদ্ধে নাশকতামূলক কাজের প্রমাণ নেই, এখনও নেই, এরকমও বলছে। চীন অতীতের মতই আবারও ঢাল হয়ে দাঁড়িয়ে পড়বে কয়েকদিনের মধ্যেই। যুদ্ধ হবে বা হবেনা, সার্জিকাল স্ট্রাইকের মত অবিশ্বাস্য চাপানউতোর চলবে আরো কয়েকদিন পরে। দেশশুদ্ধ মানুষ জয়ধ্বণি দেবে। পাকিস্তানের সংবাদপত্র "দ্য ডন" লিখেছে ক্রস বর্ডার সন্ত্রাসবাদ অতি বিষম বস্তু, যৌথভাবে মোকাবিলা করা উচিত। ইরানে, ভারতে পরপর কনভয়ে হামলা হওয়ার পর তাদের একমাত্র বক্তব্য পাকিস্তানের কোন দায় নেই। প্রতিটি বিস্ফোরণ, প্রতিবার একদল করে মানুষ মারা যাওয়ার পর যে ফর্মে তারিখ বসিয়ে স্টেটমেন্ট দেওয়া হয় পাকিস্তানের তরফ থেকে সেই টেমপ্লেট সমানে চলছে।

    এসবের মধ্যেই আরো কিছু কাশ্মীরী শালওয়ালা মার খেয়ে যাবেন। স্মৃতি নিয়ে আদিখ্যেতা করার জায়গা নেই, লোকে স্রেফ একটা রাজ্যের অধিবাসী হওয়ার জন্য মার খেয়ে যাচ্ছে এ ভারতে নতুন না। শিখদের সাথে হয়েছে। এবার কাশ্মীরের পালা। পুলওয়ামার আফটারম্যাথে শালওয়ালা মার খেলে যে ধরণের সুবিচার হয় ---ভারত এখন সেই ধরণের সুবিচারের তীর্থক্ষেত্র। মব ভায়োলেন্স খুব স্মার্ট কথা। আধুনিক ভারতের শপিং মল আর মাল্টিপ্লেক্সের মতই ঝকঝকে সেই শব্দবন্ধে ধরা আছে বিপুল মানুষের মনোভাব। এ নিয়ে লেখাপত্রও নয় নয় করে কম হলোনা। গুরুচন্ডা৯তেই সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন মব কীভাবে ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে। মোদ্দা কথা সবই যেমনটা হওয়া কথা ছিলো তেমনই হচ্ছে ও হবে। আর কদিন পরেই ক্রিকেট শুরু হয়ে যাবে।

    পুলওয়ামা বিস্ফোরণ পরবর্তী সময়ে দাঁড়িয়ে দেশজুড়ে যে জিঙ্গৈজমের রবরবা, তা যে মব মানসিকতা সেকথা বলার অপেক্ষা রাখেনা। যে চারাগাছে গত কয়েকবছর সারজল পড়েছিলো নিয়মিত, আজ তা মহীরূহে পরিণত। সেই একই রেটরিক, যুদ্ধ চাই যুদ্ধ চাই চিৎকার, সেই ইশকুল-কলেজ-অফিস ফেরত ভারতবাসীর আইপিএলসুলভ আবাল মস্তি নিয়ে যুদ্ধের গজল্লা ---কিচ্ছু পাল্টায় নি। যেমন পাল্টায়নি কাশ্মীর নিয়ে মানুষের সীমাহীন অজ্ঞতা, যদিও গুরুচন্ডা৯ প্রকাশিত কাশ্মীরের প্রথম সংস্করণ প্রায় শেষ হয়ে গেছে। এই অবস্থায় কীই বা লেখা যায়? আমার জানা নেই কোন ভাষায় লিখলে, কোন শব্দ ব্যবহার করলে মানুষকে অন্য মানুষ সম্পর্কে সচেতন করা যায়। তার ওপরে দেশপ্রেমের জোয়ারে অন্য কথা বলাই যাচ্ছেনা।

    বহু কিছু বলা যাচ্ছেনা। বলা যাচ্ছেনা ভারতের ইন্টেলিজেন্স ব্যর্থ হয়েছে, বলা যাচ্ছেনা আহত জওয়ানদের হেলিকপ্টার না পাওয়ার কথা। বলা যাচ্ছে না প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতায় দেখে আসা যে সেনা কনভয় কাশ্মীরে যখন বেরোয়, সেই রাস্তায় পাহাড়ার প্রচন্ড কড়াকড়ির কথা। কোনরকম অন্য সম্ভাবনার কথা বলা যাচ্ছেনা, বলা যাচ্ছেনা যে অন্তর্ঘাত হয়ে থাকতে পারে। বলা যাচ্ছেনা যে বিজেপি সরকার পাতি চুয়াল্লিশ জন জওয়ানকে বলি দিয়ে দিলো ভোট এসে গেছে বলে। এসব বলা যাচ্ছেনা, প্রশ্ন তোলা যাচ্ছেনা কারণ মব ঘুরছে। আমার আপনার সবার মাথার পেছনে সারসার রক্তপিপাসু মানুষ অপেক্ষায় --বেচাল দেখলেই হলো।

    পরিস্থিতি অনেকটা দেশভাগের সময়ের মত । ভারতের জেলে বন্দী এক পাকিস্তানের নাগরিককে অন্য কয়েদিরা মেরে ফেলেছে। পাকিস্তানে একটা স্কুলে বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি নিয়ে অনুষ্ঠানে হিন্দি গান বাজানোর জন্য স্কুলের রেজিস্ট্রেশনই বাতিল হয়েছে। একে একে স্টেডিয়াম থেকে সরে যাচ্ছে ক্রিকেটারের ছবি। যদিও এখনও কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের, মন্ত্রীদের ছবি সরিয়ে ফেলার খবর নেই। খবর নেই প্রধানমন্ত্রীর দাবিদাওয়ার, নোটবন্দী থেকে সার্জিকাল স্ট্রাইক পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় কার্য্যক্রমে যে সন্ত্রাসবাদের ধ্বংস হয়ে যাওয়ার কথা সেই জিনিসই বিপুলভাবে ফিরে আসে কিকরে সে জবাবদিহির। কৈফিয়ৎ চাইতে কেউ রাজি নয় - কিছু সিকুলার লিবটার্ড বামপন্থী আর কাশ্মীরীদের বাদ দিলে।

    মুষ্টিমেয় যাঁরা খবর রাখেন তাঁরা সৌদি আরব থেকে পেট্রোডলার ঢোকার কথা বলছেন। অজিত দোভালের নাম এ প্রসঙ্গে উঠে আসছে, শৌর্য্য দোভালের নামও। কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট নিয়ে হইচইয়ের মধ্যে একটা ব্যাপার তেমনভাবে উঠে আসছেনা। সেটা হলো অজিত দোভালের কাউন্টার ইন্সার্জেন্সি নীতি। দোভাল ডক্ট্রিন বলে পরিচিত এই নীতিতে কোন কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেই। এই নীতি বলে "অফেন্সিভ-ডিফেন্সিভ" নামে একধরণের স্ট্র্যাটেজি, যার মূল কথা হলো আক্রমণ করে যাও কোল্যাটেরাল ড্যামেজের কথা না ভেবে। মিজোরামে, কাশ্মীরে -দুই জায়গাতেই দোভালের স্ট্র্যাটেজি একই - অস্থিরতার মোকাবিলায় মিলিটারি অফেন্সিভ চালিয়ে যাওয়া। দোভালের মতে এইভাবে অগ্রাসন চালিয়ে গেলে একটা সময় প্রতিরোধ করার শক্তি হারিয়ে ফেলবে উল্টোদিকের লোক। বলা বাহুল্য, এই উল্টোদিকের লোক ভারতবাসী। দোভাল ডক্ট্রিনের আরো একটি মহামূল্যবাণ কথা - ব্যক্তিগত নৈতিকতার ওপরে দেশের ভালোকে জায়গা দিতে হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে "গ্রেটার গুড' এর ছবি দেখিয়ে ড্রোন আক্রমণে সিভিলিয়ান মেরে মেডেল পায়, দোভাল নেতৃত্বাধীন কাউন্টার-ইন্সার্জেন্সিও একই পথের পথিক। শুধু তফাৎ হলো দোভাল এটা করেন নিজের দেশের মানুষের ওপর।

    পরের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন আরো কঠিন। অজিত দোভালের মত দুঁদে লোকের হাতে ইন্টেলিজেন্স, যিনি নিজেই নাকি সাত বছর পাকিস্তানে আন্ডারকভার এজেন্ট হিসেবে কাজ করে এসেছেন, গিলানি থেকে ইয়াসিন মালিক সবার সঙ্গে আলাপ আছে যাঁর ---তাঁর ইন্টেল বলতে পারলোনা এত বড়ো পরিকল্পনার কথা? জিতলে মেডেল, ব্যর্থ হলে পদত্যাগ কেন নয়? বিশেষ করে এতবড় ব্যর্থতার? যদিও যুদ্ধ যুদ্ধ করে লাফানো মানুষেরা কেউ কৈফিয়ৎ চাইছে বলে খবর নেই।

    শুরুতেই লিখেছিলাম কাশ্মীরের মানুষের ব্যবসা বোঝার কথা। কাশ্মীর নিয়ে একেবারে হালে যা হচ্ছে তা হলো একটা সুপরিকল্পিত ব্যবসায়িক পদক্ষেপ। পুলওয়ামা পরবর্তী কাশ্মীরে সবথেকে বড়ো আঘাত আসছে ব্যবসার ওপর। ইতিমধ্যেই কাগজে প্রতিবেদন হচ্ছে ট্যুর বাতিল নিয়ে ---পর্যটকেরা ভয় পেয়েছেন স্বাভাবিকভাবেই। অন্য রাজ্যে গিয়ে যাতে ব্যবসা না করা যায় তার ব্যবস্থা হচ্ছে সুরভিত মব লেলিয়ে দিয়ে। ছাত্ররা বা কর্মসূত্রে অন্যত্র থাকা কাশ্মীরীদের সুযোগ পেলেই মারধরেরও খবর আসছে। একটা রাজ্যকে, তার সিংহভাগ মানুষসমেত চুলোর দুয়ারে পাঠানোর ব্যবস্থা সম্পূর্ণ। কাশ্মীর, তার ইতিহাস, মানুষ ও সম্ভাবনা সমেত আসন্ন ভোটের কোল্যাটেরাল ড্যামেজ হতে চলেছে। ২০১৮ সালেই ব্যবসাপত্রের যা অবস্থা ছিলো, এরপর ওদের কেউ বাঁচাতে পারবেনা।

    এখন প্রশ্ন হলো, আমরা কী করতে পারি ? এই মুহূর্তে যা করতে পারি, তা হলো না জেনে কথা বলা বন্ধ করতে পারি। চুয়াল্লিশ জন জওয়ান মারা গেলেন চাকরি করতে গিয়ে। একটু ভেবে দেখতে পারি আমাদের মধ্যে কে কে আছে যারা ঐ মাইনেয় চাকরি করতে গিয়ে রুটিন ট্রান্সপোর্টেশনের সময় মরে যেতে প্রস্তুত। যুদ্ধ যুদ্ধ বলে চিৎকার করার আগে আয়নায় নিজেকে জিগ্যেস করতে পারি যুদ্ধ সম্পর্কে কতটা অভিজ্ঞতা আমার আছে? নিজের সন্তানকে যুদ্ধে পাঠানোর এবং হারানোর প্রস্তুতি আছে কিনা জানতে চাইতে পারি নিজের কাছে, সন্তানের কাছেও। এই সহজ সত্যিটুকু স্বীকার করতে পারি - যেসব পরিবারে অকস্মাৎ মৃত্যু আসে সেসব পরিবারের কাছে ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথের থেকেও, জঙ্গীদের শায়েস্তা করার থেকেও ঘরের লোকটা অক্ষত থাকা বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকতে পারে। সময় পেলে প্রিভিলেজের বেড়া দেওয়া নিজের জীবন নিয়েও ভাবতে পারি। নানা প্রান্ত থেকে যারা যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব করছে তাদের অনেকেই প্রিভিলেজড মানুষ, অনেক আগেই ভালনারেবিলিটির সেই বেড়া পার করে নিরাপদ দূরত্বে পৌঁছে গেছে যেখানে যুদ্ধ পৌঁছয় না। না পৌঁছতে পারলেও কি এ যুদ্ধ চাইতাম, এবং যাদের এ প্রিভিলেজ নেই তারা কি সত্যিই চাইছে --- এই প্রশ্নগুলো নিয়েও ভাবা যেতে পারে, বিশেষত ফস করে কাশ্মীরে ডিপ্লয়েড হয়ে মরে না যাবার প্রিভিলেজ যখন আপাতত মজুত।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | ২২৯৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • দেব | ***:*** | ০৩ মার্চ ২০১৯ ০৮:২৭79360
  • পাল্টা আক্রমণের সময় পাকিস্তান যে এফ-১৬ ব্যবহার করেছিল সেটার পাকা প্রমাণ আছে। ধ্বংস হওয়ার কোন পাকা খবর নেই। বায়ুসেনা বলছে যে হয়েছে।

    স্যাটেলাইট ছবিতে বাড়িটাতে একটু ক্ষতি হয়েছে বলে মনে হচ্ছে (Wireএর রিপোর্টতে)। কিন্তু এতই ঝাপসা ছবি যে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। এমনকি ঐ বাড়িটাই যে আদৌ লক্ষ্য ছিল সেটাও নিশ্চিত নয়। নাও হতে পারে। অন্য কোন বাড়িও হতে পারে। তবে ৮০% সম্ভাবনা যে ঐ বাড়িটাই।

    বায়ুসেনা বলছে যে বোমা ব্যবহার হয়েছিল সেগুলো ধাক্কা খেলেই সঙ্গে সঙ্গে ফাটে না। ছাদ ফুটো করে ভেতরে ঢুকে তারপরে ফাটে। এরকম বোমা সত্যিই হয়। কিন্তু এরকম হলে ওপর থেকে দেখলে ছাদে শুধু একটা ছোট গর্ত দেখা যাবে। সেটা সাধারণ স্যাটেলাইটে ধরা পড়বে না।

    সবমিলিয়ে আমি এখনই মোদিকে উড়িয়ে দিচ্ছি না। বোমাগুলো অত্যাধুনিক। বাড়িটার পাশেই ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন রয়েছে। পাকিস্তান স্বীকারও করেছে। সবকটা বোমাই ফেল মারল, একটাও লাগল না এটা একটু অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে আমার। যদিও তাতে আদৌ কেউ মরেছে কি না সে প্রশ্ন নিজের জায়গায়।

    মিডিয়া হ্যান্ডলিংএ ভারত ১০ এ ০ পেল অবশ্য। ভারতীয় মিডিয়ার নিজস্ব দায়দায়িত্ব কিছু আছে কি না সে প্রশ্ন নিজের জায়্গায়। কিন্তু ন্যূনতম বোধবুদ্ধি থাকলে সরকারের উচিত ছিল স্বতঃপ্রনোদিত হয়ে এইসব বালবিচি দাবীদাওয়াগুলোকে কাউন্টার করা। অবশ্য কার থেকেই বা আশা করছি। বিজেপির লোকজন নিজেরাই এগুলো ছড়িয়েছে।

    হামলার পরের ২৪ ঘন্টা মতন ভালই বগল বাজানো চলছিল, কিন্তু পাকিস্তান যে পরের দিনেই এরকম একটা চাল দেবে সেটা কেউই ধর্তব্যের মধ্যে আনেনি। কেন আনেনি, এগেইন সেই প্রশ্ন করবেন না, ছেড়ে দিন। কিন্তু ভারত পোঙায় ক্যাঁত করে লাথিটা খেল পরের দিনই। সুরটা একদম চোঁ করে তলায় নেমে গেল। আশা করছি এর থেকে শিক্ষা নেবে কিছু (হাহাহা)।
  • amit | ***:*** | ০৩ মার্চ ২০১৯ ১০:০৭79361
  • লাথি খেয়ে চাড্ডিরা ঠিক ২-৩ দিন চুপ চাপ বসেছিল, মেমে বানাচ্ছিল আর কি। আবার নেমে গেছে বাজারে। এখন সুর হচ্ছে মোদির ভয় না থাকলে পাকিস্তান পাইলট কে কখনোই ফেরত দিতো না, এ রকম আইরন- ম্যান- ই চাই ইন্ডিয়াকে আবার জগৎ সভা---- ইত্যাদি ইত্যাদি।
  • Biplob Rahman | ***:*** | ০৩ মার্চ ২০১৯ ১২:২১79357
  • এই সুতোয় সৈকত দার এক টুকরো ছড়া থাকঃ

    "Saikat Bandyopadhyay লিখেছেন:

    "পরের ছেলে হোক জওয়ান
    খাক না বুলেট দিকে না প্রাণ।
    লজঝড়ে প্লেন, যুদ্ধযান
    তাই নিয়ে যাক পাকিস্তান।
    আমার ছেলে সাভারকার
    মুচলেকা দেয় দুচারবার।
    যুদ্ধ যুদ্ধ হাঁক পাড়ে
    ফেসবুক আর টুইটারে।
    আমার ছেলে দেশপ্রেমে
    শত্রু মারে ভিডিওগেমে।
    গুলি-বন্দুক? ভারত-পাক?
    পরের ছেলেই যুদ্ধে যাক।"
  • dc | ***:*** | ০৬ মার্চ ২০১৯ ০২:১৩79363
  • মাইরি কতো হাঁটু খাটিয়ে এসব বের করতে হয়! :d

    চাকরি বাকরি, কৃষি ইত্যাদি নিয়ে কিছু বলার তো ধক নেই, এসব দিয়েই যদি বৈতরনী পার হওয়া যায়
  • | ***:*** | ০৬ মার্চ ২০১৯ ০২:৪৯79364
  • ইদিকে গভমেন্ট কাস্টডি থেকে ডিফেন্সের ডকুমেন চুরি হয়ে যাচ্ছে এরা নাকি আবার দেশ রক্ষা করবে!?
  • ফেক | ***:*** | ০৬ মার্চ ২০১৯ ০৯:৫৩79362
  • 2001- Parliament Attack
    2008- Mumbai Attack
    2016- Pathankot Attack
    2016- Uri Attack
    2017- Amarnath Yatra Attack
    2019- Pulwama Attack

    Pakistan: Give us proof.

    2016- Surgical Strike
    2019- Balakot Strike

    Congress: Give us proof.
  • amit | ***:*** | ০৬ মার্চ ২০১৯ ১০:২৪79365
  • দেশ রক্ষা কে করছে আবার ? ভোট রক্ষা করতে পারলেই হলো :) ওটাই মোক্ষ।
  • amit | ***:*** | ০৬ মার্চ ২০১৯ ১০:২৯79366
  • আকাট গুলোর এটুকু বুদ্ধিও নেই যে ডকুমেন্ট চুরি নিয়ে হল্লা গুল্লা করলে এটাই আদতে প্রমান হচ্ছে যে দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ আসছে, সেগুলো সত্যি। তাই বোধহয় এখন এদিক সেদিক আগুন লাগাতে হচ্ছে।
  • sei | ***:*** | ০৭ মার্চ ২০১৯ ০৫:৪৬79367
  • ভক্তদের বড়োই দুর্দশা। ফেকুর মুখ দিয়ে গু গোবর যা বেরোয় তাকেই মহিমামণ্ডিত করতে প্রাণপাত করতে হয় বেচারাদের। উপর থেকে খিল্লি আর খিস্তি ফাউ।
  • ফেক | ***:*** | ০৯ মার্চ ২০১৯ ০৫:৩০79370
  • সত্যিকারের স্কুল হলে কি আর পাকিস্তান ঢুকতে বাধা দিত?
  • S | ***:*** | ০৯ মার্চ ২০১৯ ০৭:৪৪79369
  • ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্স স্কুলে বম্বিং করেছে বলছেন?
  • ফেক | ***:*** | ১০ মার্চ ২০১৯ ০৯:৫৫79371
  • dc | ***:*** | ১০ মার্চ ২০১৯ ১০:০১79372
  • আরে ইকি ফেক দাদা এখনো লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন দেখি! এদিকে চৌকিদারের নাকের ডগার ওপর দিয়ে যে নথিপত্র চুরি হয়ে যাচ্ছে! ইটা কিরকম চৌকিদার বটেক?
  • Tim | ***:*** | ১১ মার্চ ২০১৯ ০২:৫২79376
  • চাড্ডি কিনা সময়ই বলবে। আপাতত যে ইচ্ছে করে অর্ধসত্য প্রতিবেদন করছে তা স্পষ্ট। করছে তো অন্য বিদেশি কাগজের থেকে টুকলি। সেটাও পুরো করলে বোঝা যেত সদিচ্ছা কত।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল মতামত দিন