এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • রূপকথার শেকড়বাকড়

    পরিমল ভট্টাচার্য লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২০ আগস্ট ২০১৩ | ১৪৬৬ বার পঠিত
  • লেখক আগে এই লেখাটি লিখেছিলেন। রইলো আরো কিছু কথা।

    ------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

    পূর্বঘাট পর্বতমালায় এক আশ্চর্য পাহাড়, সেখানে শত শত বছর ধরে বসবাস করছে এক বর্ণময় “আদিম” জনজাতি। ওই পাহাড় তাদের দেবতা, অন্নদাতাও। একদিন এল এক মহাশক্তিধর খনি কোম্পানি, খাদান খোঁড়ার তোড়জোড় শুরু করল পাহাড়ের মাথায়। জনজাতির মানুষেরা বাধা দিল, শুরু হল লড়াই – টিকে থাকার, ওই পাহাড়ের অতুলনীয় জীববৈচিত্র্য টিকিয়ে রাখার।  একুশ শতকের ভারতবর্ষে এ যেন এক ঘটমান রূপকথা।
    এই রূপকথার টানে গিয়েছিলাম নিয়মগিরিতে,  ২০১০ সালের নভেম্বরে। ফেরার পথে ভবানীপাটনায় (কলাহান্ডির জেলা সদর) পরিচয় হল প্রবীণ গান্ধিবাদী সাংবাদিক জীবননাথ পাধির সঙ্গে।  তিনি বললেন – “ ওড়িশার উপজাতি মানুষের বাঁচা-মরার হদিশ নিতে এত দূর থেকে কষ্ট করে এসেছেন, দেখে সত্যি খুব ভাল লাগছে। কিন্তু কিছু মনে করবেন না, আপনি একটা কাহিনী মাঝখান থেকে পড়তে শুরু করেছেন। নিয়মগিরিতে উন্নয়নের নামে পরিবেশ ধ্বংসের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের যে লড়াই দেখলেন, সেটা এই রাজ্যে শুরু হয়েছিল  তিরিশ বছর আগে, গন্ধমার্দন পাহাড়ে।  বালকো-র (BALCO) বক্সাইট খনির বিরুদ্ধে সফল প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তুলেছিল স্থানীয় জনজাতির মানুষ। যদি গল্পের শুরুটা পড়তে চান তো সেখানে যান একবার। সেই সময়কার মানুষদের কেউ কেউ এখনও বেঁচে আছে, পাহাড়টাও আছে।“
    রামায়ণের গন্ধমার্দন বিশল্যকরণীর পাহাড়, যা হনুমান হিমালয় থেকে উপড়ে নিয়ে উড়ে গিয়েছিল লঙ্কায়। বাস্তবের গন্ধমার্দন পূর্বঘাট পর্বতমালার একটি শিরা, বরগড় আর বোলাঙ্গির জেলার সীমান্তে, সম্বলপুর থেকে ১৬৪ কিলোমিটার দূরে। দেড় শতাধিক ঝর্ণা আছে এই পাহাড়ে। নিয়মগিরির মতো চাষবাস বা মানুষের বসতি নেই, তার বদলে রয়েছে গভীর ক্রান্তীয় অরণ্য – প্রায় ২২ হাজার প্রজাতির অ্যাঞ্জিওস্পার্ম বা পুষ্পল উদ্ভিদ, যার মধ্যে কয়েকশো প্রজাতি দুস্প্রাপ্য ওষধি গুণসম্পন্ন। আর রয়েছে দুটি প্রাচীন মন্দির; একটি শিবের, অন্যটি নৃসিংহনাথ বিষ্ণুর।  নৃসিংহনাথ মন্দিরটি ছশো বছরের পুরনো, স্থানীয় হিন্দু ও জনজাতির মানুষের পবিত্র তীর্থস্থান। এছাড়া রয়েছে হাজার বছর আগের এক বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষ, যার বর্ণনা আছে হিউ এন সাঙের বৃত্তান্তে। এও এক ঘটমান রূপকথা, যার সাম্প্রতিকতম অধ্যায়টি লেখা হয়েছে মাত্র তিন দশক আগে,  স্থানীয় আদিবাসীদের সংগ্রামের ভেতর দিয়ে। স্বাধীন ভারতে পরিবেশবাদী আন্দোলনের ইতিহাসে গন্ধমার্দন একটি সার্থক ও ব্যতিক্রমী অধ্যায়।
    নিয়মগিরির গল্পের শিকড়বাকড়ের সন্ধানে এরপর গিয়েছি গন্ধমার্দনে, দর্শন পেয়েছি এক বিনঝল নারীরঃ নিরক্ষর এক বৃদ্ধা, তিরিশ বছর আগে পুলিশ সুপারের জিপের সামনে দুটি চাকার নীচে শুইয়ে দিয়েছিলেন  কোলের দুই শিশুকে। 
    -    নিজের বাচ্চার প্রাণের মায়া নেই তোমার? পুলিশকর্তা বলেছিল।
    -    এই পাহাড়ের জলে আমাদের চাষ হয়, বনের গাছগাছড়ায় অসুখ সারে, ওখানে আমাদের দেবতা নরসিংনাথ থাকেন।  পাহাড়ে খাদান হলে আমরা সবাই  মরব। আর আমি মরলে তো আমার বাচ্চারাও মরবে। তাই ওদের কথা ভেবেই এটা করছি। চালাও, চালিয়ে দাও! বলেছিলেন সেই নারী।
    বক্সাইটের সন্ধানে গন্ধমার্দনের মাথায় ব্লাস্টিং হয়, প্রাচীন মন্দিরে চিড় ধরে, প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। স্থানীয় কন্ধ আর বিনঝলরা রাতারাতি পাহাড়ে বালকো-র ট্রাক যাবার রাস্তায় পাথর পুঁতে মন্দির বানিয়ে পুজো শুরু করে দেয়।  নাম হয় বালকো-খাই দেবীর মন্দির। সেই মন্দির আজও আছে। রোজ সকালবেলায় এক আদিবাসী রমণী এসে বাবুই ঘাসের ঝাড়ু দিয়ে ঝাঁট দিয়ে যায়। কখনও কেউ এসে লাল সুতো জড়িয়ে দিয়ে যায় অবয়বহীন পাথরে। এছাড়া সারাদিন নির্জন পড়ে থাকে। পুরনো একটা মেহগনি গাছ থেকে বাদামি পাতার বৃষ্টি ঝরে।
    এইসব জীবন্ত গল্পগুলো নিয়ে ফিরে এসে একটি বই লিখেছিলাম বছর দুয়েক আগে, নাম – “সত্যি রূপকথা ঃ সভ্যতা, উন্নয়ন ও ওড়িশার এক উপজাতির জীবনসংগ্রাম”। কিন্তু তারপরেও গল্পগুলো তাড়া করে ফিরছে আমায়, তার কারণ তারা লেখা হয়ে চলেছে আজও, স্থানীয় মানুষের হাতে। সন্দেহ নেই, আজকের এই অদ্ভুত আঁধারময় সময়ের উজ্জ্বলতম ইতিহাস লেখা হচ্ছে। ( দেশের মিডিয়া আশ্চর্য নীরব, কিন্তু আজকের সংযোগ প্রযুক্তির যুগে তার হালহদিশ রাখা কিছু কঠিন নয় আর।)
    সেই সূত্রেই গুরুচণ্ডালীর সম্পাদকের নির্দেশমত লিখে ফেললাম “রূপকথার নটেগাছ মুড়োয় না”। মন্তব্যের সুতোয় পাঠকেরা সমর্থনে সমালোচনায়  আমায় অনুপ্রাণিত কৃতজ্ঞ করেছেন, ফেসবুকে বার্তাও পাঠিয়েছেন।  সব্বাইকে ধন্যবাদ।  কেউ কেউ হয়তো মনে করেছেন লেখাটি ধারাবাহিক, চলবে। কিন্তু সত্যি বলতে কি, এই বিষয়ে নতুন কিছু বলার মতো রসদ আমার অভিজ্ঞতার ঝুলিতে জমেনি।  এতদূর থেকে তাত্ত্বিক বিশ্লেষণাত্মক কিছু লেখা হয়তো যায়, কিন্তু আমার মনে হয় নিয়মগিরির (কিম্বা গন্ধমার্দনের) কাহিনির অনুপম বিশিষ্টতা ধরা  যায় কেবলমাত্র তার দৃশ্য শব্দ গন্ধের ভেতর দিয়ে। “সত্যি রূপকথা” বইতে সেই চেষ্টাই করেছি।  একদল মেধাবী নিবেদিতপ্রাণ সাংবাদিক ও তথ্যচিত্রনির্মাতা  কাজ করে চলেছেন নিরলস। উৎসাহীরা Save Niyamgiri  নামে একটি ফেসবুক গ্রুপে তার কিছু হদিশ পাবেন, নিয়মগিরির চিত্ররূপময় পৃথিবীর একটা আভাস পাবেন।
    বর্ণ গন্ধ ধ্বনির এই ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য প্রেক্ষাপটটা  জরুরি। না হলে সব উন্নয়ন বিতর্কই শেষ পর্যন্ত মাথা কোটে অসার নাগরিক তাত্ত্বিকতার আবর্তে,  “কিছু পেতে গেলে কিছু হারাতেই হয়” জাতীয় বুলিতে।  যারা পাচ্ছে, তাদের যে কিছুই হারাতে হচ্ছে না, আর যারা হারাচ্ছে তারা যে পাচ্ছে না কিছুই – আবহমান এই নির্মম সত্যিটা খোদাই হয়ে থাকে একটি যন্ত্রণাক্লিষ্ট মুখে, একটি নীরব চোখের ভাষায়, একটি ঠোঁটের কুঞ্চনে।  তেমন এক মুখের সামনে এসে মুখোমুখি বসতে হয়। ঠিক তেমনই একটি পাহাড়ের মাথায় এক স্বচ্ছ শীত অপরাহ্ণে, মাথার ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়া বনটিয়ার ঝাঁক আর কাঠঠোকরার ঠক ঠক শব্দে, আর্দ্র বনজ গন্ধে তিরতিরে ঝর্নার ধ্বনিতে, প্রতিভাত হয় ধর্মস্থানের সংজ্ঞা। পুরাণকথার নায়কের আঁতুড়ঘরের হালহদিশ নিয়ে যখন দেশ পোড়ে, সাম্প্রদায়িকতার দাঁতনখ শানিয়ে ওঠে, তখন এক কন্ধ রমণীর বাচন – “ তুমো মন্দির ইটা বালি রে তিয়ারি, আমো মন্দির গাছা লতা পাথরো ঝরনা জন্তু রে!” -  ঝোড়ো হাওয়ার মতো আমাদের  সনাতন দেবালয়ের পোড়ো দরজাটা সমূলে নাড়িয়ে দেয়।
    সেই দরজায় প্রবল করাঘাত হয়ে চলেছে -  নিয়মগিরি থেকে নন্দীগ্রাম, কলিঙ্গনগর থেকে কুডনকুলমে। সাড়া না দেবার জন্য অন্ধ বধির রাষ্ট্রকে খেসারত দিতেই হবে, দিতে হচ্ছে নিত্যদিন। ইতিহাস লেখা হয়ে চলেছে। এই লেখাটি লিখতে লিখতেই জানতে পারলাম, নিয়মগিরিতে জরপা গ্রামে আজ, ১৯ শে আগস্ট ২০১৩ দুপুরবেলা, দ্বাদশ এবং শেষ গ্রামসভা তাদের রায় জানিয়েছে – না! খনি চাই না!
    নিয়মগিরির গল্পের একটি অধ্যায় শেষ হল। নতুন অধ্যায় শুরু হতে চলেছে। আমার এই গল্প অবশ্য এখানেই শেষ।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২০ আগস্ট ২০১৩ | ১৪৬৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aranya | ***:*** | ২০ আগস্ট ২০১৩ ০৮:২৫77166
  • 'আজকের এই অদ্ভুত আঁধারময় সময়ের উজ্জ্বলতম ইতিহাস লেখা হচ্ছে। ' - এগ্রিড। সেই ইতিহাস যারা লিখছেন - স্থানীয় আদিবাসী মানুষ, তাদের সাথ দিচ্ছেন যারা - 'নিবেদিতপ্রাণ সাংবাদিক ও তথ্যচিত্রনির্মাতা'-রা, পরিমল ভট্টাচার্যের মত মানুষেরা - সবার জন্য ভালবাসা। পোশাকী কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই না, 'বর্ণ গন্ধ ধ্বনির' এই দুনিয়ায় যেতে ইচ্ছে করে, এই মানুষগুলিকে বুকে জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে করে।
    ভাল থাকুন সবাই, আরও অনেক রূপকথা লেখা হোক।

    গুরুচণ্ডালীর সম্পাদক-রা খুবই জরুরী কাজ করছেন, এমন সব লেখা প্রকাশ করে।
  • I | ***:*** | ২১ আগস্ট ২০১৩ ০৬:২৬77167
  • পরিমলদার লেখাগুলি যেখানে পাবেন, পড়ুন। পড়ে ফেলুন। ড্যাঞ্চিনামা পড়ুন, দার্জিলিং ঃ স্মৃতি-সমাজ-ভবিষ্যৎ তো এখন খুবই প্রাসঙ্গিক, সত্যি রূপকথা পড়ুন, ড্যাঞ্চিনামা-একটি আখ্যানে ভ্রমণ পড়ুন।
    শেষ সৃষ্টির প্রতি মানুষের একটু বেশী ভালোবাসা থাকে, পরিমলদা বলেওছেন নতুন ড্যাঞ্চিনামা নিয়ে তাঁর উচ্চাভিলাষের ( জানিনা শব্দটা পছন্দ করবেন কিনা) কথা; তবে আমার কিন্তু সবচেয়ে ভালো লাগে ওঁর দার্জিলিং বইটি। এমন একটা বই লিখতে পারা যে কারো স্বপ্নের প্রজেক্ট।
  • I | ***:*** | ২১ আগস্ট ২০১৩ ০৬:৩৬77168
  • সবচেয়ে ভালো লাগে ওঁর লেখা সম্বন্ধে - একটি স্ট্রং ভিস্যুয়াল ইমেজারির উপস্থিতি। শুধু ভিস্যুয়াল নয়, গোটা একটা অ্যাম্বিয়েন্স উঠে আসে ঃ ঝরনার তিরতির, রাতপাখীর ডাক,বর্ষাঝোরায় ভেজা সবুজ এলাচ পাতা থেকে গড়িয়ে পড়া জলশব্দ ও তার সবুজতা,আদিম স্যালামাণ্ডারের স্লাইমি গা, জ্যোৎস্না রাতে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার অনুপম বিস্ময়, ভেজা গাছগাছালিলতাফুলশিকড়বাকড়ের উদ্ভিজ্জ গন্ধ, গেরুয়া মাটি জলের টানে হড়হড়িয়ে গড়িয়ে নামছে-এইসব।

    ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের সেরার সেরা ডকুমেন্টারি যেন। আমার দেশের বুক খুঁদে তুলে আনা। আমরা টের পাইনি এই যা।
  • বিপ্লব রহমান | ***:*** | ২১ আগস্ট ২০১৩ ০৭:১৭77169
  • ফেবুতে নোটটি অসংখ্যবার শেয়ার হয়েছে। আদিবাসী আমার কাজের ক্ষেত্র হওয়ায় নোটটি কয়েকবার খুব আগ্রহ নিয়ে খুঁটিয়ে পড়েছি। পুরো বইটি পড়ার আগ্রহ হচ্ছে।

    পাহাড় বা সমতলে সব শোষণের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড প্রতিরোধ যুদ্ধ ছাড়া আদিবাসীর সম্মুখে সমূহ বিপদ। আমার বরাবরই মনে হয়েছে, সিধুঁ-কানহু, বীরসা মুন্ডা, এমএন লারমা, কল্পনা চাকমা, আলফ্রেড সরেন, পিরেন স্নাল, চলেশ রিছিল প্রমুখ’র সংগ্রামী পথই আদিবাসীর মুক্তির পথ।

    ভাবনাটিকে খুঁচিয়ে তোলায় পরিমল ভট্টাচার্যকে সবিশেষ ধন্যবাদ। নোটের সঙ্গে দু-একটি ফটোগ্রাফ আদিবাসীর বাস্তব জীবন-সংগ্রামকে আরো বাস্তব করে তুলতে পারে।

    চলুক।
  • আন্দোলন | ***:*** | ২২ আগস্ট ২০১৩ ১০:০৬77170
  • এই লেখাটাও এখানে থাক, বিষয় একইঃ

    http://www.livemint.com/Opinion/HZ5MhH6v2UfixcTXnqKPQI/Four-letters-India-needs-to-learn-by-heart-FPIC.html

    হয়তো একদিন আসবে যেদিন সুপ্রীমকোর্টের নির্দেশেই হোক, বা অন্য কারণেই হোক, স্থানীয় অধিবাসীদের মতামতকে গুরুত্ত্ব দেওয়া হবে, সরকার FPIC মেনে চলবে। নিয়্মগিরি, কুদানকুলাম, গোবিন্দপুরের আন্দোলন বিফল হবেনা।
  • Pradip Kumar Ray | ***:*** | ২৩ আগস্ট ২০১৩ ০৩:৪৪77171
  • I am highly impressed. dont know how to encourage such movrments .There are many similar stories spreaded all across India. DVC ,Narmada,Goa-Mangalore-Bellari region,Koraput et al. I read them as and when I get them. But not sure how we urban people could be of any practical help. Chttisgarh-Dandakaranya are still vivid in my memory. Thank u very much
  • Ishe | ***:*** | ২৫ আগস্ট ২০১৩ ০৮:০২77172
  • বাঃ এসিতে বসে পিসিতে আঙ্গুল বাজাচ্ছেন, কপার অয়লুমিনিআম ছাড়া চলবে আপনার আমার জীবন? সবুজ পাতার আড়ালে টিয়াপাখি ডেকে ডেকে ক্লান্ত হয়ে গেলেও কি তাতে চলবে - পিসি, এসি, আলো, পাখা, মাইক্রো আভেন? নাকি ইমপোর্ট করেই চলবেন ঐ সব দরকারী মেটাল? এমনিতেই তো আপনার আমার বাহনের পেট্রলের ঠেলায় ডলারে টান।
    তাহলে? চল কাপড় জামা ছেড়ে সবাই জঙ্গলে বেড়াই?
  • ni | ***:*** | ২৬ আগস্ট ২০১৩ ১০:৩৩77173
  • .
  • Pradip Ray | ***:*** | ২৮ আগস্ট ২০১৩ ০৫:৩১77174
  • In continuation of an opinion :
    Fair enuf. Do we have a NGO sort of organisation ? Modality of protesting is important. i was a bit involved in Singur / Nandigram project from the opposite of the table. Now after retirement and being under code of conduct rules,I can not reveal every thing.I do not know every thing either. Particularly in India it is very complex and complicated. Of late Bauxite is raising its head. So is sand,Manganeese,Forestry etc. The opinion about balance of flora and fauna is divided.The tribals' story is not very well documented. A regular back office research is necessary. My little one penny thought.
  • Nurul Islam | ***:*** | ২৮ আগস্ট ২০১৩ ০৫:৩৬77175
  • বেদান্ত-র এই প্রজেক্টের একটি ফাইনান্সির ছিল ইউরোপের একটি চার্চ। তারা এই প্রজেক্ট থেকে উইথড্র করে। ফলে আমেরিকা-ইউরোপে এই ঘটনাটা ভালো ইন্টারন্যাশনাল কভারেজ পেয়েছে। যেহেতু এটা ইন্টারন্যাশনাল কভারেজ পেয়েছে, তাই এটাকে ছেড়ে দিলে ইউরো-মার্কিন লিবারেল-অ্যাকাডেমিক সার্কেলে 'ভারত গণতান্ত্রিক দেশ' দেখানো যাবে। এই ছাগলটাকে দেখিয়ে এর আড়ালে হাজার হাজার জনবিক্ষোভকে গুঁড়িয়ে দিলেও কিছু যায় আসে না। মনে হয়, এটাই রুলিং ক্লাসের পরিকল্পনা। সেই মোতাবেকই কাজ হচ্ছে। তবে আমাদের কাজ হওয়া উচিত, অন্যান্য সমস্ত জায়গায় যেখানেই কর্পোরেট প্রজেক্ট হচ্ছে, সেখানে গ্রামবাসীদের মধ্যে গণভোটের যে রুলিং সুপ্রিম কোর্ট দিয়েছে, তার রেফারেন্স টেনে এনে সবজায়গায় গণভোট দাবি করা।
  • siki | ***:*** | ২৮ আগস্ট ২০১৩ ০৫:৪০77176
  • প্রদীপবাবু, সেকী? রিটায়ারমেন্টের পরেও কোড অফ কনডাক্ট লাগু হয় নাকি?
  • sch | ***:*** | ২৮ আগস্ট ২০১৩ ০৬:৩৯77177
  • Nurul বাবু, Church of England প্রতিবাদ হিসেবে তাদের ভেদান্তের শেয়ার ছেড়ে দেয়। তার মূল্য ছিল 5.9 million USD. আপনার কি মনে হয় এটা একটা উল্লেখযোগ্য আমাউন্ট বেদান্তের কাছে? মোটেই না। চার্চ তার টাকা খাটাতো বেদান্তে, তাদের অর্থনোইতিক পরামর্শদাতা উপদেশ দেন এই ধরণের মানবাধিকার লঙ্ঘকারী সংস্থায় টাকা খাটানো চার্চের উচিত নয় - তারা শেয়ার বেচে দেয়। ব্যস।
    এখানে সুপ্রীম কোর্ট রুলিং দিয়েছে কেন? তার কারণ ওই বিশেষ উপজাতিটি একটি প্রায় অবলুপ্ত উপজাতি আর প্রস্তাবিত খনি অঞ্চলের জীবচক্রের ওপর ওদের জীবন সম্পূর্ণ ভাবে নির্ভরশীল। ওই খনি তৈরী হলে উপজাতিটির অস্তিত্ব বিপন্ন হবে। এটাকে বোধহয় সব জায়গায় উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না গণভোট দাবী করার জন্যে।
  • Nurul Islam | ***:*** | ২৯ আগস্ট ২০১৩ ০৬:২০77178
  • আমি বলতে চেয়েছি যে ইন্টারন্যাশনাল কাভারেজ পাওয়ার পেছনে কারণ, মরালিটি গ্রাউন্ড এ Church of ইংল্যান্ড এর বেদান্ত প্রজেক্ট থেকে উইথড্র করে নেওয়া, শেয়ার এর মুল্য টা গুরুত্বপূর্ণ কিছু নয় । তবে সুপ্রীম কোর্ট এর রুলিং যে প্রভাবিত হয়না, বিচারক রা যে সবকিছু objectively দেখেন - এটা মানতে কেমন কষ্ট হয়। স্টেট, রুলিং ক্লাস - এদের যে কতখানি ক্ষমতা তার একটা আবছা ধারণা আমাদের আছে । সেই ক্ষমতার ধারণা মাথায় রেখেই আমি আমার "মনে হওয়া" জানিয়েছি (সুপ্রীম কোর্ট এর এই রুলিং এর কিছুদিন আগেই রাহুল গান্ধী এসে বলেছিলেন যে আদিবাসী দের অধিকার রক্ষা করা হবে)।
  • Pradip Ray | ***:*** | ৩০ আগস্ট ২০১৩ ০৬:৫০77179
  • Yes ! There are certain Code of Ethics that u maintain all thru unless u start an opposite movement. Besides, 2 yrs of non-revealing (I am told;not sure about any GO) is usually prescribed norm. My 2 yrs is over though.But certain papers which have not been published,file notes etc could only come via journalistic / reporters' glean. Do we know the kind of benefits given to Sesa Goa in Mining rights.;DLF in terms of Land Rights; Jai balaji in Coal Rights? How much out of the way benefits given to whom -say South City in place of Jay Engr,Diamond City in place of Siemens; "Whatever" city in Bata land,Hind Motor Land etc. It is pretty difficult to know. More to understand them as Techno-Economic-Administrative journalism is in its nascent stage. I am a bit cynic in this regard. Excuse me. I stop here.
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন