এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বই

  • "চাঁপাফুলের গন্ধে"   ----------গ্রন্থ আলোচনা 

    এস এস অরুন্ধতী লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বই | ২১ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৩৬ বার পঠিত
  • লিখলেন কবি সোনালী মিত্র 
     
    "চাঁপাফুলের গন্ধে"   ----------গ্রন্থ আলোচনা 
     
     

    জীবন থেকে জীবনচর্চা পর্যন্ত বহুমাত্রিক যাত্রা, কিছু ক্ষণভঙ্গুর মুহূর্ত কিছু দীর্ঘস্থায়ী দ্যোতনা আসলে গল্প বলার আধার। মানুষের একান্ত সময় বড্ড কমে আসছে। দৈনন্দিন বাস্তবতা সনাতন প্রবৃত্তিগুলি খেয়ে নিচ্ছে। অথচ শব্দরা থামতে জানে না বলেই ভাঙাচোরা পথকেও সেতু বানিয়ে পৌঁছে যায় গন্তব্যে। ছোট গল্প নিয়ে আর এন রায় বলেছেন- "ছোট গল্প লঘু পক্ষ প্রজাপতি, তার পাখায় পাখায় দ্রুত লয়ের ছন্দ, সে ভার মুক্ত লঘু ছন্দ, অনাবশ্যকের বোঝা তার নেই।"... ছোট গল্পের আস্বাদনে থাকে অন্তহীন জিজ্ঞাসা এবং অতৃপ্ত পিপাসা। আসলে ছোট ছোট গল্পকথা অনেকটা বালুর মতো এই মুঠোয় ধরেছি ভেবে উল্লাসিত হয়ে উঠলেই পরক্ষণেই মনে হয় আঙুলের ফাঁক গলে অধরা সে সম্ভবনা।
    এবার কথা হলো ছোটগল্প সম্পর্কে এতো গল্পসল্প টেনে আনছি কেন! সম্প্রতি এস এস অরুন্ধতী'র লেখা "চাঁপা ফুলের গন্ধে" বইটি দিল্লি বইমেলায় সংগ্রহ করে এক শ্বাসে শেষ করে ফেল্লুম এবং উদ্দেশ্য, সেটি নিয়েই দু চার লাইন আমার ক্ষুদ্র বুদ্ধিতে যেটুকু রেখাপাত করে গেলো ততটাই কলমে আবদ্ধ করা।
    চোখ বন্ধ করে অরণ্য ভাবতে গেলেই বোধে জন্ম নেয়- অরণ্যর বুকে লেখা কলকল নদীকথা, পাখিসভ্যতা। ঠিক তেমনই যেকোন গ্রন্থের শুরুর গল্পটা প্রচ্ছদই নিয়ে আসে। তাই প্রথমেই আসি প্রচ্ছদে - বইটিকে পাঠক যখন হাতে নিয়ে নাড়িয়ে চাড়িয়ে দেখেন তখন তার কভার পেজটির রুচি সম্মত মান আকর্ষণীয় করে তোলে। সেক্ষেত্রে লেখিকার বইটির প্রচ্ছদ যথেষ্ট মানসম্মত। পিছনের কভার পেজের ভিতর দিকে যথারীতি লেখিকার ছবিসহ পরিচয় দেওয়া, আর সেখানেই চোখ আটকে গেলো কারণ এঁনার শিক্ষাগত যোগ্যতা - এবং যথেষ্ট পড়াশোনা করেই ইনি যে কলম ধরেছেন তার পরিচয় পাই ভিতরে পাতায় ছাপার অক্ষরে লেখনীর মাদকতায়।
    বইটিতে মোট ১০টি গল্প গ্রন্থিত হয়েছে, প্রতিটি গল্পের রঙ-স্বাদ এবং গন্ধ ভিন্ন, আর যে বিষয়টি পাঠককে টেনে রাখতে সিদ্ধহস্ত সেটি হলো লেখিকার চালচিত্র নির্মাণ কৌশল। যে বিষয়টি না বললেই নয় সেটি হলো , তাঁর লেখনশৈলীটি বড় মায়াময়। কিছু ঘটনার ঘনঘটা সফেদ চাদরের বুকে ঘষেমেজে ছড়িয়ে দিলে হতে না চেয়েও তারা কিছু না কিছু গল্প বলেই যাবে, তবে সেই ঘষামাজা শব্দের ভিড়ে যখন পরতে পরতে রসের আস্বাদ পাঠক গ্রহণ করেন তখন সে গল্প কেবল গল্প নয় কানের পাশে চরিত্রদের ফিসফাস এবং ভাতে-ঘুমে-কর্মে-কান্ডে তাদের চলাফেরার ঝনক জীবন্ত হয়ে ওঠে। এস এস অরুন্ধতী'র গল্পগুলোর মধ্যেও সেই সমমাত্রিক রস, কখনো প্রশান্তির আশ্রয়ে চোখ বন্ধ করে দুমিনিট ভাবতে বসয়েছে কখনো লেলিহান আগুনে পুড়িয়ে সোনা করে তুলেছেন। আসলে লিখতে বসে কলমের ও চরিত্রদের সঙ্গে নিজেকে না ধূপের মতো পোড়াতে পারলে সান্ত্বনার স্পর্শ শীতল হয়ে ওঠে না। এই সংলাপটি -
    "ঠিক হো যায়েগা বেহেন, আরাম হো যায়েগা বেহেন, ঠিক হো যায়েগা বেহেন"
    -- অববক্তির মতো উৎসারিত হতে পারেনা। অরুন্ধতী'র লেখনীর সাথে আলাপ বেশ কয়েকটা বছর পিছনে আমার পত্রিকা মায়াজম'এর হাত ধরে। তাঁর বইয়ের মুদ্রিত প্রথম গল্প 'চাঁপা ফুলের গন্ধে" যতদূর মনে পড়ছে প্রথম মায়াজম ই - পত্রিকায় প্রকাশ পায়। গল্পটি পড়ে চমকে উঠেছিলাম। শব সাধনায় বিপরীত বিহার -- অরুন্ধতী'র গল্পটায় যেন সেই আভাস। আসুন গল্পটার কিছুটা আংশ দেখে নিই -
    “ওষুধ নিয়ে আসে কালোবৌ।
    গলার মটর মালাটা খুলে দিয়ে আসে বুড়িকে। বুড়ির চোখ চকচক করে, বলে, “ওষুধ তা একটু তিতকুটে, তেতো তরকারির সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হবে। বিটা হলে মিষ্টি খাইয়ে যাস নাতিন।”
    তা সে আর যাওয়া হয় নি।
    এরপর থেকেই তো, মাঝেমাঝেই সুশান্ত সিঁড়ির ধাপ গুলিয়ে ফেলতে লাগল।
    চশমা হল সুশান্তর। ভারি চশমায় সুশান্তর লম্বাটে মুখটা আরও সুন্দর লাগে কবিতার কাছে।
    ক্রমশ কেবল সিঁড়ি নয়, পায়ের তলার মাটি টালুমালু হতে থাকে, কাগজের লেখা হিজিবিজি হয়ে যায়। সুশান্ত হাওয়ায় হাত বাড়ায়। এবার সুশান্তর কাউকে একটা প্রয়োজন হয়।
    কালোবৌ ধারে কাছেই থাকে, এগিয়ে এসে সুশান্তর হাতটা ধরে।"
    স্রোতস্বিনী পয়োধরা, বুকে পাষাণ ধরে ছুটে চলে এক পাড় ভেঙে ভিন্নপাড় গড়তে চেয়ে তখন খুনি দস্যুটি হত্যার যাবতীয় পাপ ধুয়েমুছে গাছ তলে ধ্যানমুদ্রায় আগামীর তীর্থঙ্কর। পাপ-পূন্যের মধ্যে দোলাচল উড়ন্ত মেঘেদের চেয়েও উর্বর। অরুন্ধতী'র গল্পগুলো যেন তেমন শুদ্ধতায় নাইয়ে আশার আঁচড়ে ধনী করে তোলে। ছোটগল্পের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো শেষ হতে হতে পাঠক হৃদয়ে একটা মোক্ষম মোচড় দিয়ে যাবে। লেখিকার গল্পগুলোয় বিচরণ করে কিন্তু সেই অপ্রত্যাশিত মোচড় পাঠক অনুভব করবেন। 'সুইট রিভেঞ্জ' তার কলমে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে, তাই দেখি গল্পের কালোবৌ(চাঁপা ফুলের গন্ধে), সুষমা (পাপ হে) গল্পে নারীত্বের জয় ঘোষণা করে। মার খেতে খেতে বা অবহেলিত হয়ে ঘুরে দাঁড়ায় তারা চরম প্রতিশোধ স্পৃহায়। মনোস্তত্ত্ব বিষয়টিকে লেখিকা এগিয়ে রেখেছেন চরিত্রদের সঠিকভাবে চিত্রায়ণের তাগিদে, অদ্ভুতভাবে সেটি নিজেই কখনো সখনো গল্পের ভিত শক্ত করেছে তাই শুধু নয় নিজেই চালচিত্র হয়ে উঠেছে। পরের গল্পটিকে দেখে নেওয়া যাক -
    "বোকা, বোকা। মেয়েগুলো এক্কেবারে হদ্দ বোকার ধাড়ি। গোটা জীবনটা ধনে, জিরে, জোয়ানের, গন্ধে সেঁকে নিতে নিতে জীবনের আসল মানেটাই ভুলে বসে থাকে। আহা! মেয়েমানুষের কাছে ধনে, জিরে মানে কি শুধুই মশলা? আলু, বেগুন, বড়ি, ট্যাংরা দিয়ে হালকা করে ধনে জিরে বাটা দিয়ে ঝোল খেয়ে ছেলেমেয়ের চোখেমুখে যে তৃপ্তি খেলা করে সেটাও কি ঐ মশলার কৌটোয় মায়েরা ভরে রাখেনা? "
    আটপৌরে গল্পগুলির মধ্যে দিয়ে এক আকাশ জীবনকে স্পর্শ করা গল্পের জন্ম আজকাল খুব একটা ঘটে না। চাঁপা ফুলের গন্ধে' সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মেয়েদেরজীবনকথা ব্যথা-আনন্দ-আশা-নিরাশা এবং আত্মমগ্নতা একাধারে যেমন তুলে ধরেছেন তেমন মূলচরিত্রের ধী শক্তিকে যে সব সময় জিতিয়ে দিতেই হবে সেই মূলমন্ত্রে বোধিত হয়ে কলমকে ছুটিয়ে মারেননি ন্যায় বিচারের আশায়। তাই 'করুণা' যার বাবা ঠাকুমা থেকে আত্মীয় কিছু জনেরা গলায় দড়ি দিয়ে মরলে তার কপালে দেগে দেওয়া হয় সে দড়িবাড়ির মেয়ে আবার বিয়ের পরে সে ল্যাংড়া অনন্তের বউ। মেয়েদের ভিন্ন কোন অস্তিত্ব হয়না বা থাকতে নেই তাই করুণা শাড়ি গহনা চায় নি স্বামীরূপী সমাজের থেকে, চেয়েছিলো কেবল আলোর মা হতে। তাই তো করুণার মুখ দিয়ে বলিয়েছেন
    " করুণা বলে - “সে আছে বটে একটা রেশন কার্ডে, ভোটের কাগজে। আর কোথাও ঐ নাম শুনেছ? কেউ ডাকে? মেয়েছেলেদের কোন নাম হয় না।”(গল্প- কোন নাম নেই) ।
    চোখ বন্ধ করে প্রার্থনা করেছি জিতে যাক মেয়েটা কিন্তু শেষ পর্যন্ত লেখিকা পাঠকের ভয়কে সত্যি করে দিয়েই জীবন যুদ্ধে পরাজয় ঘটিয়ে দেন। তেমনই "ক্ষত" গল্পে নিরুচ্চারে নিজেকে বাঁচাতে শরীরে তাল তাল আঘাত নিয়ে ফিরে যেতে দেখেছি অলৌকিক সুন্দরী বড় জা পুনমকে। লেখিকার এখানে কোন ছুৎমার্গ নেই আলোকে আলো আর অন্ধকারকে অন্ধকার বলার। আশেপাশে অহরহ যা ঘটে চলেছে সেটা সে রূপেই চিনিয়েছেন পাঠককে, এখানে না আছে ভড়ং না আছে অবাস্তবতা। এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো রূপকথার গল্প পড়া পাঠক এখানে আশাহত হবেন। ডিমের কুসুম ধোয়া প্রথমআলো ঋষিকন্যার সুন্দর বিভঙ্গটির কাছে মাথা নত করে নিজেকে সমর্পণ করছে। সেদিকে মন নেই কুঞ্চিতকেশী,তন্বী যৌবনার। কচি ঘাস পরম মমতায় সোনামৃগটির মুখে তুলে ধরেছেন। ঠিক এমনতর আবেশ ছড়িয়ে দিয়েই বাস্তবতার কঠিন পাথরে নিমেষে আছড়ে ফেলেছেন এস এস অরুন্ধতী। আর এই কলাটি যে তার নিপুণ অস্ত্র আমরা প্রমাণ পাই বারে বারে।
    সম্পূর্ণ গ্রন্থটির মধ্যে ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে "সর্দি বেদর্দি" গল্পটি।
    পাঞ্জাবের শিখ বিরোধী দাঙ্গা এবং নির্মমতার টুকরো চিত্র অতিবাস্তবতার সাথে চিত্রিত হয়েছে। তবে পাঠকের চিন্তাশক্তিকে নিয়ে লেখিকা যখন আগুনের তিনবল খেলতে থাকেন বুক কেঁপে উঠতে বাধ্য। দেখে নাওয়া যাক গল্পের কিছু অংশ -
    "আত্মীয়স্বজন পড়সিরা বলেছিল বটে আর একটি সন্তানের কথা। তাহলে হয়তো রাজবীরের এই থম ধরে থাকা ভাবটা কাটবে। একটি সন্তানকে বুকে জড়িয়ে ধরে আরেকটির দুঃখ ভুলবে।
    কিন্তু রাজবীরের দুঃখের গোলকধাঁধায় তো আটকে আছে সুখবিন্দরও ।
    রাজবীর কি সন্তানহীনা? না কি বিধবা? রাতে চমক ভেঙ্গে উঠে যে রাজবীর সুখবিন্দরকে জড়িয়ে ধরে সে তো আসলে সুখদেবকে খোঁজে।"
    ভাসানের সামনে দাঁড়িয়ে প্রতিমা একবার পৃথিবীর দিকে ফিরে রেখে যান ফিরে আসার প্রতিশ্রুতি।
    শ্রীমতী অরুন্ধতীর গল্পগুলোয় অবাঙালি শহুরে ফ্ল্যাট ইট কংক্রিটের জীবন হোক বা গ্রামের হাঁস চৈ চৈ চরৈবতি পাশাপাশি সহবস্থান ঘটেছে । বস্তত শহরজীবন হোক বা গ্রাম্য বাঙালি হোক, বাংলা বা না-বাংলা, মেয়েদের সুখ-দুঃখ-অবহেলা-ইচ্ছে গুলো বিনিসুতোয় মালা হয়ে নির্দিষ্ট অবস্থানেই বসে থাকে। তাই তো শহুরে মহুয়া হোক বা গ্রামের কল্যাণী সকলেই কিন্তু নক্সীকাঁথায় কল্কা তোলে ইচ্ছেঘুড়ি উড়িয়ে পুড়িয়ে। আদিম এবং প্রকৃতি একে অপরের পরিপূরক। তুমি জল হও আমি দিলাম পাত্র, যেমন যেমন মাপে মাপি তুমি তেমন আকার নিও। হায় রে অসহায় প্রকৃতি! সুর সর্বদা পুরুষের সুরেই বাজবে তা নস্যাৎ করে দেখিয়েছেন লেখিকা।
    প্রথম পাতে লেবুলঙ্কা, ফ্রায়েড়রাইস- চিলিচিকেনের পর চাটনি এবং পাপড় খাবার হজম করায় কারণ এর পর মিষ্টি আর আইসক্রিম বাকি। হ্যাঁ এই পাপড় আর চাটনির কাজটা করেছে লেখিকার "তেমন কোন ভয়ের গল্প নয়"। গা ছমছমে মুহূর্ত অথচ এই আছে এই নেই। গুরুপাকের পর একটা রিফ্রেসমেন্ট। তারপরের গল্প অবশ্য দাস্তান এ কিসসা। আসলেও কি তা কিসসা!
    "ছোট ছোট কাঠের পুতুল নিয়ে সাজপোশাক পড়িয়ে, সুতো দিয়ে তাদের নাচিয়ে নাচিয়ে ওরা গল্প বলে। হুরী, পরী, জিন, দৈত্য দানোর দাস্তান নয়, ওরা বলে মানুষেরই জীবনের টুকরো টুকরো গল্প। ওদের ঘরবসতের আশেপাশে যেসব ছোট ছোট খুশি, আনন্দ, কান্না, বেদনার ছবিগুলো ঘুরে ঘুরে বেড়ায়, সেগুলোকেই সুতো দিয়ে জুড়ে জুড়ে গল্প বানায়।"
    একটা গোচর থেকে ভিন্ন গোচরে যাত্রা, সুখের পয়মন্ত শরীরে তবুও অচেনা অসুখের বীজ। গল্পগুলোর শ্রেষ্ঠ দিক থেকে উৎসারিত হয় উৎসব।আশা থেকেই প্রত্যাশা বৃদ্ধি পায়। আগামী গ্রন্থের গল্পগুলোয় আমরা আরও পরিণত অরুন্ধতীকে পাবো আশা রাখি।
    পাঠকের উদ্দেশ্যে বলতে পারি, গুরুচন্ডালী প্রকাশনী সর্বদা ভিন্ন স্বাদের বিষয়বস্তু নির্বাচন করেন প্রকাশনার ক্ষেত্রে। শ্রীমতী অরুন্ধতীর গল্পগ্রন্থটিও বাজার চলতি থোড়বড়িখাড়ার থেকে ভিন্নমাত্রার। পরিণত মনস্ক পাঠকের ভালোবাসা অবশ্যই পাবে "চাঁপাফুলের গন্ধে " বইটি এই শুভকামনা জানিয়ে আলোচনা শেষ করলাম।

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ২১ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৩৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন