এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • ইসমায়েল ক্যাডারের লেখায় জাদুবাস্তবতা

    পাপাঙ্গুল লেখকের গ্রাহক হোন
    ১২ জানুয়ারি ২০২৫ | ২৫৩ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • "Their nature required war. In peace, the Albanian becomes sluggish and only half alive, like a snake in winter."
     
    সাহিত্যের জাদুবাস্তবতা ধারার সঙ্গে স্বৈরতন্ত্রের গভীর সম্পর্ক আছে। নানা রূপকথার মত রূপকের আড়ালে জাদুবাস্তব লেখাতে ইতিহাসকে লিখে রাখা হয়। পশ্চিম ইউরোপে এই ধারা প্রায় বিরল হলেও ঠান্ডা যুদ্ধের সময় সোভিয়েত প্রভাবিত পূর্ব ইউরোপের লেখায় এরকম জাদুবাস্তবতা দেখা যায়। ইসমায়েল ক্যাডার ছিলেন বলকান প্রদেশের আলবেনিয়ার লেখক। গ্রিসের উত্তরে তিনদিকে পাহাড় এবং একদিকে আড্রিয়াটিক সমুদ্র ঘেরা আলবানিয়া ঈগলদের দেশ বলে পুরাকালে পরিচিত। জাতীয় পতাকাও সেরকম -
     


    মধ্যযুগে অটোমান তুর্কিরা যখন বলকান প্রদেশ আক্রমণ শুরু করে আলবেনিয়ার স্কান্দের্বের্গ অটোমানদের বিরুদ্ধে অধুনা সমগ্র আলবেনিয়া , উত্তর ম্যাসিডোনিয়া , গ্রিস, কসোভো , মন্টেনেগ্রো , সার্বিয়া জুড়ে বিদ্রোহ করেছিলেন কিন্তু সফল হননি।  প্রায় পাঁচশো বছর অটোমান সাম্রাজ্যের অধীনে থাকার পর আলবেনিয়া স্বাধীনতা পেয়েছিল ১৯১২ সালে। প্রথম জগ রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সেসময়ের আলবেনিয়ার ছায়া আছে টিনটিনের ওটোকারের রাজদণ্ডর মত অনেক গল্পের সিলদাভিয়া দেশটির ওপর
     
    টিনটিনে সিলদাভিয়ার পতাকা ,  যাদের চিরশত্রু কাল্পনিক প্রতিবেশী দেশ 'বর্দুরিয়া'
     
    "Evil, like a monster always emerged from the sea"
     
    সমুদ্র থেকেই বারবার শত্রুরা এই দেশে এসেছে , যেমন ১৯৩৯ সালে মুসোলিনির ইতালি আলবেনিয়া আক্রমণ এবং দখল করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এনভার হোজা আলবেনিয়াতে সাম্যবাদভিত্তিক স্বৈরতন্ত্র চালু করেন। সোভিয়েত রাশিয়ার সঙ্গে একসময় ভাল সম্পর্ক থাকলেও য়ুগোস্লাভিয়াকে কেন্দ্র করে USSR আলবেনিয়াতে অর্থনৈতিক অবরোধ চালু করে। ক্যাডার ১৯৬০ সালে মস্কোয় গোর্কি ইনসিটিউটে পড়া থেকে দেশে তিরানা শহরে ফিরে আসেন। দ্রুত আলবেনিয়া উত্তর কোরিয়ার মত বাকি সমস্ত বিশ্ব থেকে , এমনকি রাশিয়া এবং চীনের মত কমিউনিস্ট রাষ্ট্র থেকেও  বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। যুদ্ধ পরিস্থিতির আশংকায় হোজা পুরো দেশ জুড়ে হাজার হাজার কংক্রিটের বাঙ্কার গড়ে তোলেন।
     
     
    এই বইতে , যা ক্যাডারের প্রথম উপন্যাস , দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কুড়ি বছর পর একজন ইতালীয় জেনারেলকে আলবেনিয়াতে পাঠানো হয়েছে। মধ্যযুগীয় তীর্থ যাত্রীদের মত তার সঙ্গে গ্রামে গ্রামে ঘুরছেন এক পাদ্রী। পায়ের নিচে একই কালো মাটি, পাথর তবু জেনারেলের কাছে তা বিদেশ। স্থানীয় আলবেনীয় শ্রমিকদের টাকা দিয়ে সেই বৃষ্টিভেজা মাটি খোঁড়ানো হচ্ছে ইতালীয় সৈনিকদের হাড়গোড়ের সন্ধানে। তাদের শেষ জানা অবস্থান হয়ত শেষ পাঠানো টেলিগ্রাম বা মানচিত্রে একটা দাগ। অনেকে নিখোঁজ। দেশে মায়েরা জেগে আছেন তাদের ছেলেদের শেষকৃত্যের জন্য। সৈন্যদের কঙ্কাল শনাক্ত করা যাবে গলার নাম লেখা মেডালিয়ন দেখে [ মার্কিনরা যাকে ডগ ট্যাগ বলে ]
     
    জেনারেল মাঝে মাঝে সেই ইতালীয় সৈন্যদল ছেড়ে পালানো সৈন্যদের সাধারণ খাতায় লেখা ,  গ্রামের মানুষের কাছে থেকে যাওয়া ডায়েরি খুঁজে পান। এতদিন বাদে ইতালীয় জেনারেলকে মাটি খোঁড়াতে দেখে গ্রামের বাড়ির দেওয়ালের গায়ে কাঠকয়লা দিয়ে হয়ত কোনো আলবেনিয় বাচ্চা লিখে রাখে - "Such is the fate of our enemies"। জেনারেল খুঁজে বেড়ান ব্লু ব্যাটালিয়ন আর তার প্রধান ছ ফিট এক ইঞ্চি লম্বা কর্নেল Zর কঙ্কাল। কুড়ি বছর আগে তারা গ্রামের রাস্তার ধারে টেলিগ্রাফ পোস্ট থেকে ফাঁসি দিত আলবেনীয় কমরেডদের। অথবা যারা সেনাবাহিনী ছেড়ে পালিয়ে যেত। যুদ্ধ যখন শেষ হয়ে গেল , বাচ্চারা তাদের ফেলে যাওয়া গ্রেনেড নিয়ে খেলত।
     
     
    এই বইয়ের প্রধান চরিত্র আলবেনিয়ার প্রভাবশালী কোপরুলু পরিবারের সদস্য , ১৬৬৬ থেকে ১৭১০ এর মধ্যে অটোমান সাম্রাজ্যকে পাঁচজন উজির উপহার দিয়েছে। সে কাজ করে অটোমান সুলতানের তৈরী করা ঘুম আর স্বপ্নের মন্ত্রক Tabir sarrail এ। ডেলফির ওরাকেলের মত এখন স্বপ্নে নজরদারি রাষ্ট্রের প্রধান স্তম্ভগুলির মধ্যে একটি। সেখানে নাগরিকরা নিজেরাই স্বপ্ন জমা দেন , স্বপ্নের মানে বোঝার জন্য আর জিপসীদের কাছে যাবার প্রয়োজন নেই। অপ্রয়োজনীয় স্বপ্নগুলিকে ফাইলবদ্ধ করা হয়না। সবার থেকে বেছে একটি সেরা স্বপ্ন প্রতি শুক্রবার সুলতানের সামনে পরিবেশনা করা হয়। উদা -
     
    a black cat with a moon in its teeth was running along pursued by a mob of people, leaving a trail of blood from the wounded moon in its wake…
     
    অথচ দেশে কিছু মানুষ নিদ্রাহীনতায় ভোগে। অনেকসময় অবোধ্য স্বপ্ন হলে তাদেরকে সেই মন্ত্রকের প্রাসাদের কিছু ঘরে বন্দী করে রাখা হয়। প্রাসাদের স্বপ্নের মহাফেজখানায় সুলতানদের স্বপ্নের ফাইলও রাখা থাকে , যেগুলি রাজার অনুমতি ছাড়া খুললে মাথা কেটে নেওয়া নিয়ম। সেই মহাফেজখানায় চরিত্র ১৩৮৯ সালে কসোভোর যুদ্ধে সৈনিকদের দেখা স্বপ্ন খুঁজে বেড়ায়।
     
    ১৯৮১ সালে এই বই বেরোনোর সঙ্গে সঙ্গে আলবেনিয়াতে নিষিদ্ধ হয়। ১৯৯০ সালে ক্যাডারে স্বেচ্ছা নির্বাসনে চলে যান পাঁরিতে। পূর্ব জার্মানির একজন ঔপন্যাসিকের লেখা অনুবাদ করছেন , এই অজুহাতে সেসবের পাণ্ডুলিপি দুটি উপন্যাসিকা একটি গল্প ও কিছু কবিতা রাষ্ট্রযন্ত্রের লাল চোখ লুকিয়ে নিয়ে আসেন। পাঁরিতে ব্যাংকের লকারে সেসব পান্ডুলিপি রেখে দেওয়া হয়েছিল। প্রকাশকের অনুমতি ছিল কোনো কারণে তার মৃত্যু হলে ছাপানোর। কয়েকবছর বাদেই অবশ্য ক্যাডারে সেগুলি প্রকাশ করতে শুরু করেন।  ২০২৪ সালে ক্যাডারে মারা গেছেন। 
     
     
    মিশরে পিরামিড বানানো হত সৎকারের পর সম্রাটের মমি রাখার জন্য। চেওপস সম্রাট হবার পর হঠাৎ বেঁকে বসলেন যে তিনি পিরামিড বানাবেন না। সঙ্গে সঙ্গে সভাসদদের মধ্যে ঢি ঢি পড়ে গেল। কারণ পিরামিড বানানো আসলে প্রজাদের ব্যস্ত রাখার উপায়। শেষে চেওপস আদেশ দিলেন , সর্বোচ্চ পিরামিড বানাতে হবে যাতে এখন থেকে সেই পিরামিডের জন্যই মিশর পৃথিবী বিখ্যাত হয়ে ওঠে। এই পিরামিড বানানো চলবে সম্রাটের জীবনভর , যাতে পিরামিড তৈরীও শেষ হয় আর সম্রাটকে সমাধিও দেওয়া যায়। পাথর আনা হতে থাকে আসওয়ান , কার্নাক , সাক্কারার খনি থেকে। মাঝে মাঝেই শ্রমিকরা পাথর চাপা পড়ে মরে। পিরামিড দেখে দেশবিদেশের রাষ্ট্রদূতরা খবর ছড়াতে থাকেন। সুমেরের রাষ্ট্রদূত যেমন পোড়ামাটির টালিতে লিখে পাঠান। পিরামিডের নকল করে লুক্সরের যৌনকর্মীরা পোশাকের বিশেষ জায়গায় ছাপিয়ে নেয় উল্টোনো ত্রিভুজ, তাদের পিরামিড অপমানের দায়ে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
     
    চেওপস মারা যাবার পরেও এই উঁচু পিরামিড বানানোর প্রক্রিয়া চলতে থাকে। স্ফীনক্স সমেত তৈরী হয় তার ছেলে শেফরেনের পিরামিড, মেয়ে দিদুফরির অসমাপ্ত পিরামিড ইত্যাদি।
     
    There will be no PostPyramidal era as the pyramid will always be there.
     
    কিছু বছর পর আসলে জয়স্তম্ভ মূঢ় সম এই সব পিরামিডদের সিঁধ কেটে ঢুকে চোরেরা মালপত্র সাফ করে দেয়। পিরামিড বানানোর প্রক্রিয়াই লোকে ভুলে গেল , যতদিন না আরো কয়েক হাজার বছর বাদে খোঁড়া তিমুর আরেকটি পিরামিড গড়ে তুললেন মধ্য এশিয়ায় , ইস্ফাহান স্তেপে , মৃত শত্রুদের খুলি দিয়ে তৈরী সেই ছোট পিরামিড।
     
     
    গ্রিক পুরাণে দেবী আর্টেমিস আগামেননের ওপর ক্রুদ্ধ হয়ে গ্রীকদের ট্রয় যেতে দিচ্ছিলেন না। ক্যালকাস বলেন তার মেয়ে ইফিজেনিয়াকে বলি দেবার কথা। নিজের মেয়েকে উৎসর্গ করার পর গ্রিক জাহাজের পালে হাওয়া বইতে শুরু করে যা তাদের ট্রয়ের যুদ্ধক্ষেত্রে বয়ে নিয়ে যায়। 
     
    স্তালিন যেরকম নিজের ছেলেকে বলি দিয়েছিলেন। তিনি নিশ্চিত করেছিলেন আর্টিলারি অফিসার হিসেবে তার ছেলে ইয়াকভ যেন যুদ্ধক্ষত্রের ফ্রন্ট লাইনে যায়। স্মলেনস্কির যুদ্ধে ইয়াকভ আটক হন জার্মান সেনাদের হাতে। স্তালিন ক্রুদ্ধ হয়েছিলেন ছেলের ধরা দেওয়ার খবরে কারণ নির্দেশ ছিল কেউ যেন যুদ্ধে আত্মসমর্পণ না করে। স্তালিনগ্রাদের পর জার্মানদের বন্দি বিনিময়ের চুক্তিতে সুযোগ থাকলেও তিনি ইয়াকভকে ফেরত নেননি। কারণ তিনি দেশবাসীর কাছে দেখাতে চেয়েছিলেন সমস্ত রুশ যুদ্ধবন্দীই তার ছেলের মত, তার ছেলে আলাদা কোনো অগ্রাধিকার পাবে না। যেভাবে স্বৈরতন্ত্রের মিথ নির্মিত হয়। । জার্মান ক্যাম্পেই ইয়াকভের মৃত্যু হয়েছিল। 
     
    ২৮০০ বছর বাদে সেই দুই ঘটনা ক্যাডারে এই বইতে মিলিয়ে দেন এবং তৃতীয় আরেকটি উদাহরণ লিখে রাখেন।  এনভার হোজার উত্তরাধিকারী মেহমেত শেহু তার মেয়ে সুজানের বিয়ে ঠিক করে ফেলেছেন রাষ্ট্রীয় টিভির ব্রডকাস্টারের সঙ্গে।
     
     
    লিন বিয়াও যেমন ছিলেন মাও সে তুংয়ের উত্তরাধিকারী। বইয়ের পরের পর্বে এই ক্ষমতার উত্তরাধিকারী হঠাৎ আত্মহত্যা করেন। তদন্ত শুরু হবার পর কানাঘুষো শোনা যায় , আত্মহত্যা নয়। শেহু খুন হয়েছেন। ময়নাতদন্তের জন্য বারবার তাকে কবর খুড়ে তুলে আনা হয়। এই বই দুটিতে ক্যাডারে বেশ সাহসী হয়ে উঠেছেন , জাদুবাস্তবতা ছেড়ে বেরিয়ে এসে হোজা বা শেহুর নাম সরাসরি না নিলেও বারবার সেন্ট্রাল কমিটি , পলিটব্যুরো , গোপন পুলিশ বাহিনীর বার বার পরিচয়পত্র দেখতে চাওয়া এইসব উঠে এসেছে। 
      
    The Architect murdered the successor. Regimes change but Crimes remain the same.
     
     
    এই 'দ্য ব্লাইন্ডিং অর্ডার' ছোট উপন্যাসে ক্যাডারে বলেছেন পুরোনো সুলতান মারা যাবার পর নতুন সুলতান হঠাৎ ফরমান জারি করেন , আগের আমলে যারা শক্তিশালী ছিল তাদের অন্ধ করে দেবার। মধ্যযুগীয় ইউরোপে অন্ধ করার যেমন চালু প্রথা ছিল কাউকে বহুদিন অন্ধকার কুঠুরিতে রেখে হঠাৎ আলোর সামনে নিয়ে আসা। অথবা রোমক - কার্থেজীয় প্রথা ছিল চোখে ভারী কিছু ঠুকে দেওয়া। 

    আর একটি গল্প এখানে পড়া যাচ্ছে - 
    https://granta.com/The-Great-Wall/
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • | ১২ জানুয়ারি ২০২৫ ১৩:৪৯540612
  •  খুব খুবই জরুরী আলোচনা। ভাল লাগল। Three arched bridge, Chronicle in Stone, General of Dead Army এই বইকটা মারাত্মক লেগেছিল। 
    কাদারে বা কাডারেকে নিয়ে আমার লেখার কথা ছিল ১৩ বছর আগে। সে লিবযেন, যেডলিবের আগের হার্ডকপি পড়ার জমানা।  সে লেখা  আর হয় নি। 
     
    অনেক ধন্যবাদ পাপাঙ্গুল। 
  • পাপাঙ্গুল | 182.69.***.*** | ১২ জানুয়ারি ২০২৫ ২১:২১540623
  • @দ দি yes​ ওই দুটো আর পড়া হয়ে ওঠেনি ,  পরে দেখি ...
  • Naresh Jana | ১৩ জানুয়ারি ২০২৫ ১৫:১৩540638
  • বাঃ! খুবই সমৃদ্ধ হলাম।
  • পাপাঙ্গুল | 182.69.***.*** | ১৩ জানুয়ারি ২০২৫ ১৭:৩০540641
  • নরেশবাবু , আপনাকে ধন্যবাদ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ মতামত দিন