এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • কঠোর বিকল্পের পরিশ্রম নেই

    পরিমল ভট্টাচার্য লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ১২ এপ্রিল ২০১৬ | ৪০৩৪ বার পঠিত
  • একটি বৃহৎ পরিবারে অনেকটা কনিষ্ঠতম হওয়ার সুবাদে প্রচুর স্বাধীনতা আর ছড়ানো নির্জন এক বাড়িতে বেড়ে উঠেছি আমি। চা ছাড়া অন্য নেশার চল ছিল না সেখানে। তবে কলেজজীবন থেকেই ইতস্তত মদ্যপানে রপ্ত হয়েছি (অবশ্যই নিজের টিউশানির পয়সায়)। আমাদের বাড়ির দোতলাটা ছিল আমার একান্ত সবান্ধব সাম্রাজ্য। একবার কী এক বিরল কারণে আমার মা দোতলায় উঠে একটি শূন্য হুইস্কির বোতল পেয়েছিলেন। রাতে খেতে বসার আগে বাবার আড়ালে ডেকে থমথমে মুখে আমার সরলা পুরনো প্রজন্মের মা বলেছিলেন – “হুইস্কি খাচ্ছিস, এবার দেখব কোনদিন মদও ধরেছিস!”

    আমাকে যিনি বিয়ে করেন তাঁর বাড়িতে আবার চায়েরও পাট ছিল না। আমার এই “অফ- অ্যান্ড-অন” মদ্যপানের ব্যাপারে তাঁর একটা অসন্তোষ ছিল বিয়ের আগে থেকেই। সেটা কেটে যায় দার্জিলিঙে গিয়ে, যখন বাড়িওয়ালা নেপালী দাজু ও তাঁর স্ত্রী তরুণ দম্পতিকে নিজের ভাই-ভ্রাতৃবধূর মতো ভালবাসা দিয়ে আপন করে নেন, পরিবারে সামিল করে নেন। ঘরে গুড়াস (রডোডেনড্রন ফুলের মদ)তৈরি হলে, কিম্বা ভালো স্কচ উপহার পেলে ডেকে নিতেন, এবং ওঁদের ছোট ছেলেমেয়ে মা পিসি পরিবৃত হয়ে হাসি আড্ডায় কখন যে সন্ধ্যা গড়িয়ে যেত রাতে। আমার মেয়েও এই পরিবেশে জন্মায় ও বড় হয়, আমাদের জনাকয় উজ্জ্বল বন্ধু-বন্ধুনিদের উষ্ণ সান্নিধ্যে। মদ সম্পর্কে আলাদা করে কোনও রহস্য তৈরি হয়নি তার মনে। একবার ছেলেবেলায় তার মাতামহকে গ্লাসে লিকার চা পান করতে দেখে সরল প্রশ্ন করেছিল - “দাদু তুমি রাম খাচ্ছ?” 

    শশুরমশাই বিষম–টিষম খেয়ে একশা।

    সপরিবার বন্ধুবান্ধবের খোলামেলা পানভোজনের আসরে কাউকেই তেমন বেচাল হতে দেখিনি কখনও। যে পুরুষেরা মদ খেয়ে বেচাল হয়, বা বলা ভালো বেচাল হবে বলে মদ খায়, তারা সাধারণত পরিবার-বহির্ভূত একান্ত পুরুষ স্পেস খোঁজে। সমাজও মদের দোকানে জেলখানার গারদ বসিয়ে, পানশালায় নারীদের প্রবেশের অলিখিত নিষেধাজ্ঞা ঝুলিয়ে সেই স্পেস করে দেয়।

    আমার কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের একটি মূল্যবান অংশ কেটেছে এইসব স্পেসে, মূলত সস্তা বাংলার ঠেকে। বলাবাহুল্য, আমার সাহিত্যানুরাগের বীজতলা ছিল সেগুলি। এছাড়াও সেখানে এমন সব শ্রমজীবী নিম্ন আয়ের মানুষের সান্নিধ্যে এসেছি, যা অন্য কোথাও সম্ভবই ছিল না। তাঁরা বেশিরভাগই স্বাভাবিক সৎ্‌ সামাজিক সংসারী মানুষ, দায়িত্ববান পিতা ও স্বামী। অনেকেই প্রবীণ।

    এতখানি ব্যক্তিগত প্রসঙ্গের অবতারণা করার কারণ একটাই - মদ্যপানে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যে কথাটা বলতে চাইছি, তার সঙ্গে আর যাই হোক কোনো নৈর্ব্যক্তিক দূরত্ব নেই আমার। এবং একটি শিল্পাঞ্চল-কেন্দ্রিক জনপদে বড় হবার সুবাদে মদ্যপানের অভ্যাস কীভাবে বিবিধ সামাজিক ব্যাধি, পুরুষতন্ত্র ও দারিদ্র্যের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধে সেটা খুব কাছ থেকে দেখেছি। আইন করে মদ্যপান শাস্তিযোগ্য অপরাধ করে দিলেই কারখানায় খাদানে শ্রমিক পুরুষেরা তাদের পুরো হপ্তার আয় নিয়ে ঘরে ফিরবে, আর বউ পেটাবে না, আরও সুবোধ এবং উৎপাদনক্ষম হয়ে উঠবে – এইধরণের মোটা সরলীকরণ আজগুবি গল্পের মতোই মনে হয়।

    বরং এই সমস্যাগুলো অনেক বেশি ওতপ্রোত দারিদ্র্যজনিত বিচারবোধের জড়তার সঙ্গে (অতিসম্প্রতি অর্থনীতিতে এই নিয়ে কাজও হচ্ছে যতদূর জানি), সক্ষমতা ও বিকল্প জীবনধারার অভাবের সঙ্গে, নিরক্ষরতার সঙ্গে, জীবনের অনিশ্চয়তার সঙ্গে। এইসব অভাব ও অপ্রাপ্তি মানুষকে যেমন লাগামহীন নেশায় ঠেলে, তেমনই ভুয়ো চিটফান্ডেও ঠেলে। আরও কিছু কিছু সামাজিক ও মানসিক ব্যাধিতে ঠেলে। মদকে যত-দোষ–নন্দ-ঘোষ ঠাওরালে সস্তা হাততালি যেমন জোটে, আসল সমস্যা থেকেও চোখ ফিরিয়ে থাকা যায়।

    হ্যাঁ, ছত্তিশগড়ে মদ্যপান নিবারণ নিয়ে সফল আন্দোলন করেছিলেন শঙ্কর গুহ নিয়োগী, যেজন্য তাঁর হত্যার পেছনে ভাঁটিখানার মালিকদের হাত ছিল। কিন্তু ওঁর সেই আন্দোলনের নাম ছিল ‘সংঘর্ষ আউর নির্মাণ’ ... নিবারণের পাশাপাশি স্কুল, হাসপাতাল, বিনোদনমঞ্চ ইত্যাদি তৈরিতে ব্রতী ছিলেন তিনি, অর্থাৎ মানুষের সক্ষমতা, বিকল্প জীবনধারার নির্মাণ। আমাদের রাষ্ট্রের জ্যাঠামশাইরা নিষিদ্ধকরণে খুব দড়ো, তা সেই বই হোক বা ফিল্ম। অথবা গোমাংস। তাঁদের নির্মাণ রাষ্ট্র নামক এক গভীর কুয়ো, যেখানে ব্যাঙের চাষ হয়।

    মদে আইনি নিষেধাজ্ঞার অবাস্তবতা নিয়ে, তার ফলশ্রুতি প্রাণঘাতী চোলাই মদ নিয়ে অনেক চর্চা হয়েছে ও হবে। আমার কেবল জানতে ইচ্ছে করে, এর ফলে বিহারের বিস্তীর্ণ আদিবাসী অঞ্চলে কী প্রভাব পড়বে?

    বর্তমান ভারতে খাদের কিনারে এসে দাঁড়ানো জনজাতি মানুষের জীবনধারা ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হল মদ (এবং মাংস, বিভিন্ন পশুর), যা ঘরে প্রস্তুত হয় বিভিন্ন ধরণের ফুল বীজ ও শস্য থেকে। সেসব প্রস্তুতের ঋতু, পদ্ধতি প্রকরণ ভিন্ন, অ্যালকোহলের মাত্রাও ভিন্ন। জানতে ইচ্ছে করে, এই আইনের ফলে বনবাসী গ্রামগুলোর শান্তি কীভাবে চুরমার হবে আবগারি নাকাদারদের হাতে? বিগত কুড়ি বছরেরও বেশি এমন অসংখ্য গ্রাম দেখেছি, থেকেছি, কাছে যাবার চেষ্টা করেছি ... দুর্লঙ্ঘ্য সামাজিক শ্রেণীগত বাধা ডিঙিয়ে যতটা যাওয়া যায়।

    ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘকাল মদ নিষিদ্ধ সম্ভবত গুজরাটে। সেখানকার প্রায় ১৫% আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জীবনধারায় সংস্কৃতিতে এর কী দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব, সেই নিয়ে কোনও কাজ হয়েছে কী না জানিনা। তবে ২০০২ সালের দাঙ্গার হিংসালীলায় জনজাতির মানুষদের সামিল করা গিয়েছিল, সেটা জানি।

    বিহারে কী হবে কে জানে? হয়তো সরেজমিনে আর জানা হয়ে উঠবে না আমার। সন্ধ্যার পর নিজের ঘরে বসে স্বজন বন্ধুদের মেধাবী সাহচর্যে, কিম্বা একাকী গান শুনতে শুনতে বই পড়তে পড়তে, মানুষ কী করবে কী খাবে, সেটা ঠিক করে দেয় যে রাজ্যের সরকার, সেই রাজ্যে আর যাবার রুচি নেই। 

    ...

    নীচে মহুয়া ফুলের ছবিটা গত সপ্তাহে সম্বলপুরের কাছে ডেব্রিগড়ের জঙ্গলে তোলা। এই সময় সারাদিন টুপটাপ ঝরা ফুলে ফুলে বিছিয়ে আছে মাইল মাইল মহুয়ার বন, মাটি দেখা যায় না। স্থানীয় জনজাতির মানুষেরা ঝুড়ি বোঝাই করে তুলে নিয়ে যাচ্ছে দেখলাম। এই ফুল টনটনে রোদে শুকিয়ে পাতনক্রিয়ায় তৈরি হবে স্বাদু মদ, যার স্থানীয় নাম ইরপি বা মেল।

    নিয়মগিরির এক প্রবীণ কন্ধ একবার আমায় জিজ্ঞেস করেছিলেন, স্বর্গ কি বল তো? আর নরক? তারপর নিজেই উত্তরটা দিয়েছিলেনঃ

    স্বর্গ হল মাইল মাইল মহুয়ার বন, খালি মহুয়ার বন। আর নরক হল মাইল মাইল মহুয়ার বন, খালি মহুয়ার বন, কেবল সেই বনে আছে এক লাঠিধারী ফরেস্টার।

    তাঁর কথা মনে পড়ল মধু রামনাথের এই বইটা পড়তে পড়তে –Woodsmoke and Leafcups: Autobiographical Footnotes to the Anthropologyof the Durwa People. আমার মতো শখের পর্যটক সেজে নয়, বস্তারের এক জংলি আদিবাসী গ্রামে তিরিশ বছর কাটিয়েছেন এই উদ্ভিদবিদ লেখক। এখনও সেখানেই থাকেন। তাঁর এই দিনলিপির পাতায় পাতায় ফুটে উঠেছে ঘরে প্রস্তুত নানান ধরণের মদ ও তার পানের আচারের সঙ্গে কী নিবিড় সম্পৃক্ত দারোয়াদের নিত্যকার জীবনছন্দ। আর ফুটে উঠেছে তাদের এক আশ্চর্য জীবনদর্শন, যা আমার খুব প্রিয় বুদ্ধের একটি বাণী ধার করে নিয়ে বললে – 

    In the end only three things matter: how much you have loved, how gently you have lived, and how gracefully you have let go of things not meant for you। 

     


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১২ এপ্রিল ২০১৬ | ৪০৩৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কান্তবাবু | ***:*** | ১৪ এপ্রিল ২০১৬ ০৭:৩৫80617
  • হুঁ, এক্সিস্টিং আইনগুলোকে প্রয়োগ করার দিকে মন দিলে অনেক ভালো হতো।
    বেআইনী মদ, ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স বিরোধী কড়া অবস্থান ইত্যাদি।
  • lcm | ***:*** | ১৪ এপ্রিল ২০১৬ ০৭:৪৪80618
  • এই নতুন অ্যালকোহল ব্যান আইনও কতদূর প্রয়োগ হবে বলা মুশকিল।
  • S | ***:*** | ১৪ এপ্রিল ২০১৬ ০৭:৫৫80619
  • আমার স্বল্প বিদ্যে ভয়ন্করী থেকেই লিখছিঃ

    ১) ভাট্টি (ব্রিউয়ারি) বা ঠেক (বার) ভাঙ্গা হয় দুটো কারণে - ইল্লিগাল (লাইসেন্স নেই এবং/বা ইল্লিগাল মদ বিক্কিরি করে) আর পুলিশকে টাকা দেয়না বলে।
    এগুলো চলেই পুলিশকে ঘুষ দিয়ে। খুব সস্তা বলেই মনে হয়। অতেব বুঝে দেখুন কারা খায়। বিষাক্ত মদ্যপানের কেস গুলো বেশিরভাগ এখান থেকেই।

    ২) এছাড়া অনেক দেশি মদ লিগালি তৈরী করার কোম্পানি আছে, যেগুলোর এক বা একাধিক রাজ্যে ডিস্ট্রিবিউশনের লাইসেন্স থাকে। এগুলো খারাপ কোয়ালিটির জিনিস (মানে ইমিডিয়েটলি হয়তো স্বাস্থ্যের তেমন ক্ষতি করবেনা)। এগুলো-ও সস্তা - ৫০ টাকায় ছোটো বোতল (নিপ আর হাফ পাইঁট বলে মনে হয় - ৩৭৫ এমেল বা আরো কম) হয়। এগুলো থেকে সরকার ট্যাক্সো পায়।

    ৩) দামি বিয়ার, হুইস্কি, রাম, থেকে ওয়াইন ইত্যাদি আছে। দেশি/বিদেশি কোম্পানির বিয়ারের দামও ১০০ টাকার আশে পাশে (৭৫০ এমেল)। এগুলো পয়সা ওয়ালারা খায়। ট্যাক্সো আছে।

    প্রথমটা ভাঙ্গার জন্য চাই সদিচ্ছা আর পুলিশের সততা। বলাই বাহুল্য প্রথমটা ভাঙ্গলেও অনেকেই সেকেন্ডটাতে শিফট করবে - হয়তো একটু কম খাবে বা বেশি পয়সা উড়াবে। সেক্ষেত্রে হেলথ প্রবলেম হয়তো একটু কমবে কিন্তু সামাজিক বা অর্থনৈতীক সমস্যাটা থেকেই যাবে। এইবারে অ্যালকোহলকে পুরোপুরি ভাবে ব্যান করলে আপনি যে প্রবলেমটা বলেছেন সেইটা গৌণ (মানে অন্য রাজ্যে গিয়ে পয়সাওয়ালারা ছাড়া খুব কম লোকই মদ খাবে)। এমনকি চোরাবাজারও তেমন প্রবলেম নয় (গুজরাত)। কারণ সাধারণত সোসাইটিতে এই নিয়ে খুব সেনসিটিভিটি থাকে (যে কারণে নীতিশজি এতো আশির্বাদ পেলেন)। ফলে তারাই পুলিশএর কাছে বা লোকাল চাড্ডীদের কাছে নালিশ করে দেয়। আসল প্রবলেম হলো রাজস্ব আর মানুষের (বড়লোকেদের?) স্বাধিনতায় হস্তক্ষেপ।
  • lcm | ***:*** | ১৪ এপ্রিল ২০১৬ ০৮:১৮80620
  • হ্যাঁ, S-এর লাস্ট লাইনের লাস্ট পয়েন্টটা - ব্যক্তিস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ - এটাই হল পয়েন্ট। ঐ যে লিখেছেন, যে দিনের শেষে ঘরে বসে আমরা কি করব সেটা কেন আইন দিয়ে ঠিক করা হবে। ভ্যালিড পয়েন্ট।

    মুশকিল হল, সোশাল ড্রিংকিং ব্যাপারটা সেভাবে চালু নয়। মানে খাবারের শেষে একটু সাদা মদ - এই যদি হত তাইলে এত প্রবলেম হত না। অ্যাডিকশন টু স্ট্রং অ্যালকোহলিক কনটেন্ট, এবং, একসাথে প্রচুর পরিমানে খাওয়া (বিংজ্‌ ড্রিংকিং) -- এই দুটি জিনিস এখন অনেক দেশেই একটি কনসার্ন। ডেভলপ্‌ড্‌ কান্ট্রিগুলোতে অ্যালকোহল কনসাম্পশন অনেক বেশি।
  • pi | ***:*** | ১৭ আগস্ট ২০১৬ ০৫:২৪80621
  • এখানে অনেকদিন ধরেই লিখবো ভাবছিলাম। বিহারে মদ আপিশিয়ালি বন্ধের পর কীরকম কী হচ্ছে, কোন ইভ্যালুয়েশন হয়েছে কিনা।

    আজ বিষাক্ত মদে মারা যাওয়ার খবর পড়লাম। মদ বিক্রি বন্ধ করে কি ইল্লিগান ভাটির রমরমা, বিষাক্ত মদ বাড়ছে ? নাকি ওগুলোর উপরে নজরদারিও কড়া করা হয়েছে ?

    ক'দিন আগে এটা পড়লাম।
    ...Bihar Chief Minister Nitish Kumar thinks he can use alcohol prohibition as a plank to make the jump from regional satrap to national leader. But he's run into a problem: Prohibition doesn't really work. India has tried time and again to prevent its citizens from drinking liquor and most of those efforts have gone nowhere. Determined not to give up though, Kumar had his state assembly pass draconian new amendments to the prohibition law to scare citizens into following it.

    On Wednesday, in an op-ed on NDTV.com, Kumar explained why he felt the need to do so.

    "What sets the liquor prohibition apart is that no one in the past has been able to deliver it totally. The liquor lobby cheers to this one fact more than anything else. I am determined to change this track record of public policy."

    How is he going about changing it? By turning to collective punishment, making entire families guilty for the offences of one person and flipping the general presumption of innocence. In amendments introduced late last month, Kumar changed the law to frighten the people even further into following prohibition.....

    http://scroll.in/article/813641/nitish-kumar-admits-prohibition-hasnt-worked-so-he-wants-to-punish-people-until-it-does
  • শুভময় ভট্টাচার্য্য | ***:*** | ১৭ আগস্ট ২০১৬ ১২:৪৩80622
  • লেখাটার সাথে সহমত রেখে আরো যোগ করতে চাইছি যে বিহারে মদ বন্ধ হবার পর ফেভিকল, বিভিন্ন কাপ সিরাপ ইত্যাদির বিক্রি কি বেড়েছে? যদি না বাড়ে তাহলে ভালো আর যদি বাড়ে তাহলে নীতিশ সরকারের তকদিরে কষ্ট আছে, আর কিছু সস্তার জনপ্রিয়তা অর্জন করার ফান্ডাগুলির মধ্যে যেমন ডাক্তার ক্যালানো,পাড়াতুতো প্রেমে নাক গলানো ইত্যাদির মতো, মদ বিরোধিতা করাও একটি কঠিন বিকল্প যাতে সহজ পরিশ্রম থাকে, আমার বিহারি সহকর্মী রা কোলকাতায় এলে পা ধকে মাথা অবধি বিয়ার খায়, আমি জানতে চাইলাম, যে হোয়াই অনলি বিয়ার? তারা বল্লে বিহারে সবই ঘরে বসে ফোন করলে বেশি দাম দিয়ে মেলে কিন্তু ঠান্ডা বিয়ার,নেহি মিলতা....
  • শুভময় ভট্টাচার্য্য | ***:*** | ১৭ আগস্ট ২০১৬ ১২:৪৩80623
  • লেখাটার সাথে সহমত রেখে আরো যোগ করতে চাইছি যে বিহারে মদ বন্ধ হবার পর ফেভিকল, বিভিন্ন কাপ সিরাপ ইত্যাদির বিক্রি কি বেড়েছে? যদি না বাড়ে তাহলে ভালো আর যদি বাড়ে তাহলে নীতিশ সরকারের তকদিরে কষ্ট আছে, আর কিছু সস্তার জনপ্রিয়তা অর্জন করার ফান্ডাগুলির মধ্যে যেমন ডাক্তার ক্যালানো,পাড়াতুতো প্রেমে নাক গলানো ইত্যাদির মতো, মদ বিরোধিতা করাও একটি কঠিন বিকল্প যাতে সহজ পরিশ্রম থাকে, আমার বিহারি সহকর্মী রা কোলকাতায় এলে পা ধকে মাথা অবধি বিয়ার খায়, আমি জানতে চাইলাম, যে হোয়াই অনলি বিয়ার? তারা বল্লে বিহারে সবই ঘরে বসে ফোন করলে বেশি দাম দিয়ে মেলে কিন্তু ঠান্ডা বিয়ার,নেহি মিলতা....
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন