এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • সতী

    Prosenjit Bose লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | ২৪৯৬ বার পঠিত
  • সতী : শেষ পর্ব
    প্ৰসেনজিৎ বসু

    [ ঠিক এই সময়েই, বাংলার ঘোরেই কিনা কে জানে, বিরু বলেই ফেলল কথাটা। "একবার চান্স নিয়ে দেখবি ?" ]

    -- "যাঃ ! পাগল নাকি শালা ! পাড়ার ব্যাপার। জানাজানি হলে কেলো হয়ে যাবে।"

    --"কেলো করতে আছেটা কে বে ? তিনকুলে কেউ আসে ? একা মাল। তিনজনের ঠাপ খেলে বাপ বলার জোর থাকবে না।"

    --"ঠাপের লোভ দেখাস না ওয়াড়া। একেই চড়ে আছে। ভালমন্দ করে দেব কিছু একটা।"

    --"ভালমন্দ করতেই তো বলছি শালা। তিনজন আছি। ঠিক সাল্টে নেব। কী ? ঠিক কিনা ?"

    প্রথমে সম্মতি। তারপর পরিকল্পনা। সমস্যা হল, রাত্তির সাড়ে ন'টার রাস্তাটা ট্রেলারের পক্ষে যতই ভাল হোক, ফুল মুভির পক্ষে যুৎসই নয়। বাড়িতে এই ছমিয়ারানি একাই থাকে। কিন্তু এতদিন রাস্তায় যারা হয়রান করার তালে আছে, তাদের কেউ দরজা খুলে পিঁড়ি পেতে দেবে কেন ? দরজা ভাঙাভাঙিটা আবার বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে যায়। যতটা চুপিচুপি তলপেটের কপাট ভাঙা যায়, দরজার কপাট নয়।

    ফাইনাল বুদ্ধিটা বিষ্টুর। "এই নে, আমাদের নাইট শোয়ের পাস" বলে এক বান্ডিল কাগজ ফেলল বিড়ি-বাংলার ঠেকের বেঞ্চিতে।

    --"টাকা নাকি ?" ভোলা হাতে নিয়ে দেখে। "ধুস্সালা ! এ দিয়ে কী হবে ? এ তো কোথাকার জগোধাত্রী পুজোর বিলবই !"

    --"আরে ট্রাই মারতে ক্ষতি কী ? বেল বাজানোর একটা বাহানা তো থাকবে ! এতে কাজ হলে হল, না হয় ভোলো।"

    অগত্যা। সামনে জগদ্ধাত্রী পুজো আসছে। পাড়া-বেপাড়ার চ্যাংড়া ছেলেরা চাঁদা চাইতে আসতেই পারে। বেল বাজাতেই পারে। ভিতরে একটু ঢুকতেই পারে। আর যদি প্রথমেই মুখ চিনে দরজা বন্ধ করে দেয় -- সেটারই সম্ভাবনা সাড়ে পনেরো আনা -- তাহলে গল্প শেষ।

    ।। ৩ ।।

    গলির ভিতরে বাড়ি। এটা একটা সুবিধে। আরেকটা সুবিধে হল, একতলা। আরও বড় সুবিধে হল, বাড়িওলার বাড়ি লাগোয়া নয়। আর আপাতত সবথেকে বড় সুবিধে হল, কলিং বেল আছে। চেনা গলায় "দিদি/বৌদি" হাঁকলে গোড়াতেই সব কেলো। দরজার ধারেকাছেও আসবে না। খোলা তো পরের কথা।

    টিংটং টিংটং। নভেম্বরে ঠাণ্ডা তেমন-একটা পড়ে না, তাও তিনজনেই একটা করে সস্তার মাফলার জড়িয়েছে। খানিকটা মুখ অন্তত ঢাকা পড়ে। প্রয়োজনে অন্য কাজেও লাগে। হাত-পা-মুখ বাঁধতে গুনে-গুনে ঠিক তিনটেই চাই।

    টিংটং টিংটং। রাত সোয়া দশটা। ভিতরে টিভি চলছে। টিভি আছে ? আরও ভাল। ভলিউমটা খালি বাড়াতে হবে।

    টিংটং টিংটং। "কী রে সালা ? তবে কি...?"

    তিনজনকেই চমকে দিয়ে ছোট্ট বাসার ছোট্ট দরজাটা হাট করে খুলে দেয় মেয়েটি এবং ঠিক মাঝখানটায় দাঁড়ায়। নাইটি। হাতকাটা নাইটি। অন্ধকারে কামানো বগলদুটো অবশ্য ঠাওর করা যাচ্ছে না। হাতে নেলপালিশের একটা ছোট্ট শিশি। ( উ-লা-লা ! এই করা হচ্ছিল তাহলে ! )

    -- "কী চাই, বলুন।"

    ( সাল্লা ! চাম্পু আওয়াজ তো মালটার ! এই গলার গোঙানি তো সারেগামাপা হবে পুরো ! )

    --"ইয়ে, বৌদি, মিলনপল্লীর সরস্বতী... ইয়ে.. জগোধাত্রী পুজোর চাঁদা কাটতে এসেছি। চাঁদাটা..."

    --"কত দেব, বলুন ?"

    ( সাল্লা ! তুই দিবি কী রে মাগী ! দেব তো আমরা। তুই নিবি খালি। একসাথে তিনটে। )

    --"ইয়ে, একান্ন টাকা বৌদি। বেশি নিই না। হেঁ হেঁ।"

    --"দাঁড়ান, আনছি।"

    ( সাল্লা ! দাঁড়ান মানে ! দাঁড়িয়ে তো গেছে যা দাঁড়ানোর ! )

    --"বলছি বৌদি, ইয়ে, এক গ্লাস জল যদি একটু পাওয়া যেত..."

    মেয়েটি ভিতরে যেতে-যেতে ঘুরে তাকায় ও তৎক্ষণাৎ বলে, "ভিতরে আসুন।"

    ( কী রে সালা ! এ মেয়ে নিজেই লাইনের মাল নয়তো ! তাহলে তো আজ পুরো থ্রি এক্স ! অবশ্য পড়া-আম খাওয়ার থেকে পাড়া-আম খাওয়ার মস্তি বেশি। )

    তিনজনেই ভিতরে ঢোকে। আগে বিরু। মাঝে বিষ্টু। শেষে ভোলা। মোক্ষম সময়ে ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করার দায়িত্ব ভোলার -- ঠিক হয়েই আছে।

    এক চিলতে দুটো ঘর, পাশে এক ফালি রান্নাঘর, বাথরুম-পায়খানা বোধহয় ভিতরে। প্লাস্টিকের বোতল থেকে স্টিলের গ্লাসে জল ঢালছে মেয়েটি আর বাংলা খবরের চ্যানেলে একদল লোক বসেছে নবজাত শিশুমৃত্যুর ঘটনা কেন এত বেড়ে গেল, খুঁজে বের করতে। কে এক চোদনা মাল বিজ্ঞের মতো মাথা নেড়ে বলছে, ধর্ষণ বাড়ার সাথে এর সম্পর্ক আছে।

    কথা চাই, কথা। "আপনার নামটা, বৌদি ?" বিরুর হাতে চাঁদার বই আর কলম।

    "অনসূয়া মাইতি। এই নিন, জল। বিস্কুট নেবেন একটু। শুধু জল দিতে নেই।"

    --"হেঁ হেঁ। থ্যাংকিউ। আর ইয়ে, দাদার নামটা ?"

    --"অত্রি। কিন্তু দাদার নাম লাগবে কেন ? চাঁদা তো আমি দেব।"

    --"ছত্রি ? সে আবার কী নাম ? যাক গে, আপনার নামটাই ভাল। টাইটেলটাও। মাইতি। মাই-তি। মাই-তি। মাই-তি। ভাল না ?"

    ব্যাস ! বাঁশি বাজানো হয়ে গেছে। এবার দৌড় শুরু। ভোলা পায়ে-পায়ে পিছিয়ে যায়। দরজাটা বন্ধ করতে হবে। বিষ্টু পায়ে-পায়ে এগিয়ে আসে। মাফলারটা গলা থেকে খুলে নেয়।

    --"হ্যাঁ, ভাল। মাইতি ভাল পদবী।" মেয়েটির সাবলীল উত্তর।

    --"হ্যাঁ, বৌদি। মাই-তি শুনতেও ভাল। দেখতেও ভাল। খেতেও ভাল। কী বলেন ? হেঁ হেঁ।"

    বিষ্টু বিরুর পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। দরজা বন্ধ হয়ে গেছে। ভোলা এগিয়ে আসছে।

    মেয়েটি নিরুত্তর। নিরুত্তাপ।

    --"কই, বৌদি ? চুপ কেন ? আচ্ছা, আমরাই বলে দিচ্ছি। আপনার মাই-তি দেখতে ভাল। হেব্বি ! আর দেখতে ভাল জিনিস দেখানোও ভাল। ও বৌদি, দেখাবেন নাকি একটু ? হেঁ হেঁ।"

    তিনজনকেই ভড়কে দিয়ে মেয়েটিও হেসে ফেলে। সাল্লা ! অন্য কেউ হলে এতক্ষণে মুতে নাইটি ভিজিয়ে দিত ! শিওর লাইনের মাল। পড়া-আমই খেতে হবে আজ।

    --"কী মাই-তি বৌদি ? হাসছেন যে বড় ? দাদাও এসব দুষ্টু-দুষ্টু কথা বলত বুঝি ? উমম ?"

    -- "না। আপনাদের দাদা অন্য কথা বলত। সেটা ভেবেই হাসছি। বলত, "হে অনসূয়ে ! নারী কেবল দুই প্রকার পুরুষের নিকট উলঙ্গ হইতে পারে। এক তাহার স্বামী। দ্বিতীয়ত, সন্তান। ইহার ব্যত্যয় হইলে সতীর সতীত্ব বিনষ্ট হয়।" ওর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে ঠিকই, কিন্তু কথাটা এখনও মেনে চলি।" মেয়েটি হাসিমুখেই কথা শেষ করে।

    ভোলা এতক্ষণ কথা বলার সুযোগ পায়নি। এবারে মুখ খোলে। "কীসব ডায়লগ মাইরি ! কিন্তু তাতে কী হয়েছে, বৌদি ? আমাদের অনেক জিনিসই বেশ বড় হয়েছে, কিন্তু দিল তো বাচ্চা হ্যায় জি ! বাচ্চা ভেবেই আপনার ওই মাদার ডেয়ারি ভরপেট খাইয়ে দিন না। কী বলিস ?"

    হাস্যম্ সম্মতি লক্ষণম্। তিনজনেই দাঁত বের করে হাসে। হাসে মেয়েটিও। নবমীর জ্যোৎস্নার মতো মায়াবী হাসি। যেন এমন হাসি সে বহুযুগ ধরে এমনি করেই হেসে আসছে।

    --"ঠিক তো ? তাহলে বাচ্চা হতে আপত্তি নেই ? বেশ বেশ।" মেয়েটির কণ্ঠ গাঢ় হয়। হাত পৌঁছায় নাইটির উপর দিকের বোতামে।

    তিনজন পাশাপাশি দাঁড়িয়ে। বিরু তার গোলগলা গেঞ্জিটা টান মেরে খুলে ফেলে। বিষ্টু জামার তিন নম্বর বোতামটা খুলছে। ভোলার হাত কোমরের বেল্টে।

    নাইটির বোতামগুলো খুলে নাইটিটা নামিয়ে আনে মেয়েটি। "সাল্লা ! কী জিনিস বানিয়েছ ডার্লিং ! জলভরা বেলুন তো পুরো !" এগোয় তিন জন।

    অনসূয়া টিভির ভলিউমটা একটু বাড়িয়ে দেয়।

    ।। ৪ ।।

    পরদিন সকাল। কালভার্টের সামনে ভিড় থিকথিক করছে। পুলিশ, কাউন্সিলর, ডাক্তার, রিপোর্টার, পাবলিক। খচাক খচাক ছবি। ফেসবুক লাইভে সরাসরি সম্প্রচার। তারই মাঝে এ পাড়ার গিন্নি ও পাড়ার গিন্নিকে হাতমুখ নেড়ে শোনাচ্ছিলেন --

    "মানুষ কোথায় নেমেছে একবার ভাবো দিদি ! সেবার একটা ছিল। এবার তিন তিনটে বাচ্চা ! আর কেমন রাক্ষুসী মা একবার দেখো ! ডাক্তার বলছে, উপুড়-চাপুড় করে বুকের দুধ খাইয়ে-খাইয়ে নাকি মেরেছে বাচ্চাগুলোকে ! পেট ফুলে ঢোল ! মুখের কষ দিয়ে দুধ বেরোচ্ছে। আহা গো ! কোন ডাইনির পেটে এসেছিলি রে বাবারা !"

    তিনটি ফুটফুটে লাশকে সাদা কাপড়ে মুড়ে মর্গের ভ্যান রওনা দিল।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | ২৪৯৬ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    সতী - Prosenjit Bose
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বিপ্লব রহমান | ***:*** | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১২:২৩62048
  • কি কাণ্ড!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে প্রতিক্রিয়া দিন