এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • নীল গাজন ও চড়কের আখ্যান 

    Somnath mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    ১২ এপ্রিল ২০২৫ | ৮৫ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • নীল ,গাজন ও চড়কের আখ্যান।
     
    চৈত্র , বাংলা দিনপঞ্জির অন্তিম মাস। শুকনো পাতার মতো এই মাসটি ঝরে যাবার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয়ে যাবে নতুন বছরের জাগর গান। বাইরে তীব্র খরতাপ,মাঠ ঘাট পুকুর ডোবা মায় নদী পর্যন্ত শুকিয়ে ফুটিফাটা। মানুষজনের চরম দুর্গতি। তাই বলে বারো মাসে তেরো পার্বণের বাঙলায় উৎসব থেমে থাকে ? না , থাকেনা। আম জনতার মতে চৈত্র মাস হলো ভগবান শিবের আরাধনার মাস। ইদানিং কর্পোরেট কায়দায় শিবকে ঘিরে উৎসব চলছে মহাসমারোহে। সেখানে হাজির থাকছেন দেশের মন্ত্রী সান্ত্রী থেকে শুরু করে সমাজের নানা ক্ষেত্রের মান্যগণ্য মানুষেরা। সেই সব জাঁকালো অনুষ্ঠানে সমাজের একেবারে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষের যোগদানের সুযোগ নেই। সেই সব, এককথায় ব্রাত্য অন্ত্যজ মানুষ সাগ্রহে অপেক্ষা করে থাকেন চৈত্র মাসের। কেমন নিদারুণ নিদাঘদগ্ধ দিনগুলোতে তাঁরা ব্যস্ত হয়ে উঠবেন সন্ন্যাসী সন্ন্যাসিনীর বেশ ধারণ করে উপবাসী জীবন যাপনের জন্য। চৈত্র মাসের শেষ দুটি দিনে বাংলার গ্রামে গ্রামে উদযাপিত হয় তিনটি জনপ্রিয় লোক উৎসব – নীল গাজন এবং চড়ক। প্রথমটি যদি হয় গৃহে গৃহে সন্তানদের মঙ্গল কামনায় মায়েদের প্রার্থনার উৎসব তাহলে বাকি দুটি হলো দৈব অনুগ্রহ লাভের আশায় কৃচ্ছসাধনের উৎসব। এই দুই অনুষ্ঠানের আয়োজনের মধ্য দিয়ে আসলে মানুষ এক নতুন জীবনবোধের স্তরে উন্নীত হতে চায়। চৈত্র তাই এক পরম তিতিক্ষার মাস।
    এই নিবন্ধে তার‌ই খোঁজ করার প্রয়াস।
     
    নীলের ঘরে দিয়া বাতি,
    জল খাওগো পুত্রবতী ।
     
    আমাদের ঘরের মায়েদের এক চিরন্তন প্রার্থনাকে স্মরণ করেই আজ বাঙলার ঘরে ঘরে নীলের ব্রত উদযাপন। দাবদগ্ধ চৈত্রের শেষ প্রহর মুখরিত হয়ে উঠবে সন্তানবতী মায়েদের মাঙ্গলিক শুভকামনায়। সারাদিন উপবাস যাপনের কৃচ্ছতা সাধনের পর ফলফলাদির আহার গ্রহণের মধ্য দিয়ে ব্রত ভঙ্গ। এ এক সংকল্প গ্রহণ করা, সন্তানের শুভার্থে। এই অবসরে জেনে নেওয়া যাক্ এই ব্রত পালনের পৌরাণিক প্রেক্ষাপট। 
     
    প্রত্যেক কন্যার মধ্যেই সুপ্ত থাকে এক সর্বগুণসম্পন্ন পতি লাভের গভীর অভীপ্সা । রাজা নীলধ্বজ দুহিতা নীলাবতীও মনে মনে এমন এক ইচ্ছে পোষণ করে আছেন – তাঁর ভাগ্যেও জুটবে এমন এক কন্দর্পকান্তি পতি যাঁর তুলনা হবেন কেবলমাত্র তিনিই । নীলাবতীর অবশ্য পছন্দ নীল , সে একাধারে যেমন সুঠামদেহী , তেমনই আত্মভোলা। সংসারে থেকেও তিনি সংসারের গোলোক ধাঁধায় নিজেকে জড়িয়ে রাখেননি। অদ্ভুত এক ঔদাসীন্য সদা বিরাজিত তাঁর মধ্যে। আর হয়তো তাই দেবলোকের অন্যান্য দেবতাদের কূটকচালি দ্বন্দ্বের মধ্যে নীল একেবারেই নেই। সারাদিন সাঙাৎদের সঙ্গে রসেবশে মাতোয়ারা হয়ে থাকতেই পছন্দ করেন নীলাবতীর স্বপ্ন পুরুষ সৌম্যকান্তি নীল। এজন্য কেউ কেউ তাঁকে বেজায় গালমন্দ করেন বটে, তবে সেসব কথায় কান দিতে বয়েই গেছে নীলাবতীর। সে আপন স্বপ্নপুরুষের ধ্যানেই সদা নিমগ্ন। 
     
    রাজাসনে বসেও নীলধ্বজ রাজার মন বড়ই উতলা। তিনি জানেন তাঁর আদরিণী আত্মজার পূর্ব জন্মের আখ্যান। রাজজ্যোতিষ তাঁকে জানিয়েছেন যে কন্যা নীলাবতী আসলে নীলাম্বর পত্নী মহাসাধিকা সতী, যাঁর পতিনিষ্ঠতার কাহিনি ত্রিলোক জুড়ে প্রচলিত। রাজজ্যোতিষের মুখ থেকে এমন কথা শোনা ইস্তক তাঁর মনের চাঞ্চল্য বেড়েছে কয়েকগুণ। স্ত্রী জ্বালাকে অবশ্য জানিয়েছেন এই কথা, তীক্ষ্ণ নজর রাখতে বলেছেন কন্যা নীলাবতীর ওপর, যাতে দক্ষরাজের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়। জ্বালা অবশ্য স্বামীর এসব কথায় বিশেষ ভয় পাননা । তিনি জানেন - জন্ম মৃত্যু বিয়ে, তিন বিধাতা নিয়ে। সতীর স্বয়ম্বর সভায় নীলাম্বর মহাদেবের প্রতি অমন তীব্র বিষোদ্গার করা মোটেও উচিত হয়নি দক্ষরাজের। নিজের কন্যার মনের গহীনে না ঢুকেই তিনি পূর্বকল্পিত ধারণার বশবর্তী হয়ে নীলাম্বরকে সবার সামনে তীব্রভাবে অপমান করেছেন। যাঁকে মনে মনে এতদিন ধরে পতি রূপে যাচনা করে এসেছেন, সর্বসম্মুখে তাঁর অপমান কেন স‌ইবেন সতী? আর তাছাড়া যেখানে নিজের পছন্দের মানুষকে বেছে নেবার স্বাধীনতা রয়েছে কন্যার, সেখানে কেবল অভিভাবকত্বের দোহাই দিয়ে বাধা দেওয়া হয় কোন্ যুক্তিতে ? এতো পিতৃতান্ত্রিক পৌরুষের আস্ফালনের নামান্তর। জ্বালা জানেন তাঁর আদরিণী দুহিতাটিও নীলাম্বর সোমদেবের প্রতি প্রেমে আচ্ছন্ন। এখন ভালোয় ভালোয় চারহাত এক করে দিতে পারলেই নিশ্চিন্ত হবেন নীলধ্বজ জায়া।
     
    সকালবেলা । অন্যান্য দিনের মতো স‌ইদের সঙ্গে একান্ত মনে খেলছিল নীলাবতী। চৈত্রের এমন তাপদগ্ধ দিনে বাইরে বেরোনোর উপায় থাকেনা,তাই ঘরে বসে থাকতে হয় । অত্যন্ত গুণী কন্যা নীলাবতী। রাজা নীলধ্বজ তাকে সর্বগুণসম্পন্না বিদূষী হিসেবেই গড়ে তুলতে চান। সঙ্গীত, নৃত্য, চিত্রকলা - এমন‌ই সব বিদ্যায় তাঁর কন্যা পারঙ্গমা হয়ে উঠেছে তাঁর আদরের নীলাবতী। এই মুহূর্তে একটা ভূর্জপত্রের ওপর তুলিতে রং নিয়ে একমনে চিত্রাঙ্কনে ব্যস্ত ছিল নীলাবতী। কিন্তু কি অবাক কান্ড! যতবার একটি বর্ণিল কল্পিত দৃশ্যপট ফুটিয়ে তুলতে যায় সে, ঠিক ততবারই তা বদলে যায় এক সৌম্যকান্তি পুরুষের মুখাবয়বে। বেশ অবাক হয় নীলাবতী । তবে কি তাঁর স্বপ্ন সফল হতে চলেছে? এসব কথা মনে হতেই লজ্জায় নিজের মধ্যে আরও যেন গুটিয়ে যায় নীলাবতী। 
     
    এদিকে রাজা নীলধ্বজ ব্যস্ত হয়ে পড়েন কন্যার বিবাহ অনুষ্ঠানের আয়োজনে। যেমন তেমন আয়োজন করলে তো চলবে না। রাজনন্দিনী নীলার বিয়ে বলে কথা! পাঁজি পুঁথি ঘাটাঘাটি করে রাজজ্যোতিষী বিধান দিয়েছেন আগামী চৈত্র সংক্রান্তির ঠিক আগের দিনটিতে বিবাহ অনুষ্ঠান সুসম্পন্ন হলে তা অত্যন্ত শুভ ফলদায়ক হবে নবদম্পতির পক্ষে। তবে এই বিয়ে তো আর পাঁচটা সাধারণ বিয়ের মতো হবেনা। এ হলো বিধাতা ঈপ্সিত এক মহতী বিবাহ অনুষ্ঠান। এরফলে ত্রিলোকের কল্যাণ হবে। তবুও মনে একটা খটকা লাগে রাজা নীলধ্বজের – চোত মাসে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা ঠিক হবে তো? এ মাসে তো বিবাহ বিধেয় নয়!
     
    দেখতে দেখতে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ আজ উপস্থিত। নীলধ্বজের প্রাসাদ আজ লোকে লোকারণ্য। নহবতের আসরে নীলের বিচিত্র একান্ত সঙ্গীরা বাদ্যযন্ত্রের সুতীব্র ঝঙ্কারে সব মাতিয়ে রেখেছে। দুটি বিশালদেহী আজব চেহারার বাদক নাগাড়ে শিঙায় ফুঁ দিয়ে যাচ্ছে, একদল ডম্বরু বাজাচ্ছে, বিশাল আকৃতির দুন্দুভি নাদে সবাই কম্পমান। বন্দিরা গান ধরেছে, বিয়ের গান। 
     
                    শোনো শোনো পুরবাসী,
                     আর থেকোনা নির্জনে, 
                  নীলের বিয়ে দেখতে এসো
                    তোমরা হেথায় সবজনে। 
                  বরের সাজে আজ সেজেছে 
                       মোদের প্রিয় নীল।
                   কন্যাটিও কম কিছু নয়।
                      নীলের প্রেমেই লীন।
                      মাটিতে আজ যুগল চাঁদের 
                        মহামিলন ক্ষণে ,
                    তোমরা আইসো সর্বজনে।
                    তোমরা আইসো সর্বজনে।। 
     
    চারিদিক অফুরান খুশির আনন্দে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। এই বিয়ের মধ্য দিয়েই রচিত হয় নীল পূজার পৌরাণিক আখ্যান।
     
    এমন এক ঈশ্বরীয় পৌরাণিক কাহিনির পাশাপাশি প্রচলিত রয়েছে অসংখ্য লোকায়ত আখ্যান। আজকের উত্তরাখণ্ডের মানুষজনের বিশ্বাস, নবরূপে শিব ও গৌরীর বিয়ের আসার পাতা হয়েছিল হিমালয়ের বুকে থাকা রুদ্রপ্রয়াগের ত্রিযুগীনারায়ণ গ্রামে। মন্দাকিনী ও শোনগঙ্গার পবিত্র সঙ্গমস্থলে পাতা হয়েছিল বিয়ের আসর। স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মা এই বিয়ের পৌরহিত্য করেছিলেন। আর কন্যা সম্প্রদান করেছিলেন ভগবান বিষ্ণু। এই বিবাহকে উপলক্ষ্য করেই সৃষ্টি - স্থিতি - লয় এর কারক হিসেবে কল্পিত তিন্ নাথের মহাসম্মিলন ঘটেছিল।
     
    বিয়ের ঠিক পরের দিনটিতেই পালন করা হয় গাজনের উৎসব হিসেবে। আসলে শিব হলেন অন্ত্যজ বর্গের মানুষের দেবতা । অভীষ্ট দেবতার আনুকূল্য লাভের আশায় দীর্ঘ একমাসের কঠোর কৃচ্ছসাধনের পর ভক্ত সন্ন্যাসী সন্ন্যাসিনীরা আরাধ্য দেবতার কাছে সকলের জন্য মঙ্গল কামনা করেন। নীলের দিন বাবা ভোলানাথের বিয়ের আনন্দে মত্ত থেকেছে ভক্তরা। এবার সংসারের ব্যস্ততার মাঝে ডুবে যাওয়া। গাজন সোমদেব শিব ও পার্বতীর বিবাহ উপলক্ষে সমাগত অবহেলিত প্রান্তিক শিব ভক্তদের ব্রত সমাপনের অনুষ্ঠান । বিপুল সংখ্যক ভক্তদের সমবেত গর্জনের উল্লাস ধ্বনি থেকেই সম্ভবত গাজন শব্দের উৎপত্তি। গাজনের সন্ন্যাসী সন্ন্যাসিনীরা হলেন এই বিয়ের শিবানুগামী বরযাত্রীর দল। 
     
    নীল ষষ্ঠী, গাজন ও চড়ক উৎসবের উদযাপন একে অপরের পরিপূরক। গ্রাম বাংলার একান্ত লোকোৎসব হলো এই নীল ও গাজন। গ্রামীণ জীবনের ব্যাপক রূপান্তর ঘটেছে বিগত কয়েক দশকের মধ্যে। তবুও কুলুঙ্গিতে রাখা গোপন ঐশ্বর্য্য হয়ে এইসব লোক উৎসব আজ‌ও স্বমহিমায় টিকে রয়েছে গ্রাম সমাজের অন্তরমহলে। কঠোর ব্রত পালনের মধ্য দিয়ে মানুষ নিজেদের চিত্তশুদ্ধির আয়োজন করে। নিজের একান্ত আত্মজনেদের জন্য মঙ্গল কামনা করে। এমন প্রার্থনার মধ্যেই নিহিত থাকে সকলের হিত কামনার মন্ত্র – ওঁম নম: শিবায়। সবাই সুখে শান্তিতে সুস্থ শরীর ও মনে আগামী দিনগুলো অতিবাহন করো । ভগবান মহাদেবের কাছে এই হলো বর্ষ শেষের অন্তিম প্রার্থনা। নীল , গাজন ও চড়কের মধ্য দিয়েই একরকম শেষ হয় বর্ষ বিদায়ের অনুষ্ঠান। আগামীকাল নতুন বাংলা বছরের শুভ সূচনা , নতুন আশাভরা জীবনের জয়যাত্রা।
     
     
     এখানে ক্লিক করুন। তারপর এক নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করুন।
     

     
    জবানবন্দি 
     অনুজপ্রতিম সুজন শ্রী প্রবীর বিশ্বাস তার দ্বারা নির্মিত তথ্যচিত্রটি আমার মতো মানুষের লেখার সঙ্গে ব্যবহার করার অনুমতি দিয়ে আমাকে অশেষ ঋণে ঋণী করেছেন। তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতার অন্ত নেই।
     
     
     
     
     
     
     
                         
     
     
     
     
     
                 
     
                   
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট মতামত দিন