এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  পড়াবই  কাঁটাতার

  • ৫০ বছরে বাংলাদেশ যা পারে, ভারত পাকিস্তান এবং পশ্চিমবঙ্গ ৭৫ বছরে তা কেন পারে না?

    ইমানুল হক
    পড়াবই | কাঁটাতার | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ১৯৫৯১ বার পঠিত | রেটিং ৪.৩ (৯ জন)
  • ১৯৪৭ উত্তর ভারতবর্ষ জন্ম দিয়েছিল নতুন কিছু শব্দবন্ধের। এই প্রবীণরা কখনও স্বাধীনতা বলেননি, বলেছেন পার্টিশন, তৃতীয় বিশ্বের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে যে শব্দ ভারতের অবদান। পার্টিশনের হাত ধরে এসেছে উদ্বাস্তু। রিফিউজি কলোনি। তারও পরে এসেছে অনুপ্রবেশ। বসেছে কাঁটাতার। এসেছে এনআরসি, নতুন নাগরিকত্ব আইন। শুরু হয়েছে "বৈধ-অবৈধ" বিচার। শোনা যাচ্ছে, নতুন শব্দবন্ধ, "অবৈধ অনুপ্রবেশ"। যাঁরা বিচার করছেন, তাঁদের বিচার কে করে। এসব শব্দের, আখ্যানের জন্ম হচ্ছে প্রতিনিয়ত। দেশভাগের এই আদি পাপ, মুছে দেবার আপ্রাণ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, এভাবেই থেকে গেছে বেদনায়, ভাষায়, আখ্যানে। থেকে গেছে, এবং এখনও যাচ্ছে। সেই আখ্যানসমূহের সামান্য কিছু অংশ, থাকল পড়াবই এর 'কাঁটাতার্' বিভাগের দ্বিতীয় সংখ্যায়।


    লেখা।

    দু অক্ষরের শব্দ।
    কিন্তু ব্যাপ্তি বিশাল।
    লেখার কোনো মূল্য নেই যদি না তাতে দর্শন থাকে। দর্শন মানে ভিন্ন চোখে দেখা ও একটি জীবন দর্শন। যে জীবন দর্শন না দেখাকে দেখতে বলে, অথবা দেখাকে ভিন্ন চোখে দেখতে শেখায়।

    অমল সরকার পেশায় সাংবাদিক, নেশায় জীবনপড়ুয়া।
    তিন দশকের বেশি সাংবাদিক জীবন। রাজনীতি অর্থনীতি সমাজের গভীরে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। ভারতের দুই তৃতীয়াংশ রাজ্য নির্বাচন ইত্যাদি কাজে গেছেন। গেছেন একাধিকবার বাংলাদেশ। পাকিস্তানে যান নি। কিন্তু পাকিস্তান নিয়ে পড়াশোনা করেছেন মনস্ক ভাবে।

    অমল সরকার একটা বই লিখেছেন, আমার দেশ আমার দ্যাশ
    দেশভাগ ও পরবর্তী কুফল সুফল-- দুই আছে তাঁর আলোচনায়। ভারত পাকিস্তান বাংলাদেশ এবং অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গ আছে তার আলোচনায়।

    স্বাধীনতার পরও পশ্চিমবঙ্গ শিল্প, শিক্ষা  ও কর্মসংস্থানে অন্য অনেক রাজ্যের চেয়ে এগিয়েছিল। পিছিয়ে পড়ল। কেন? মূলত, কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি। যে সরকারই দিল্লিতে এসেছে, কংগ্রেস, জনতা বা বিজেপি-- কেউই পশ্চিমবঙ্গের ভালো চায় নি। মাশুল সমীকরণ নীতি, লাইসেন্স দিতে গড়িমসি, প্রাপ্য টাকা না দেওয়া, ভারি শিল্প দুর্গাপুর ছাড়া আর কোথাও সেভাবে না গড়া, পশ্চিমবঙ্গের কয়লা দূরে গেলে সস্তা হবে, আর তুলো দূর থেকে পশ্চিমবঙ্গে আনলে দামি হবে-- এইসব কারণে পশ্চিমবঙ্গ মার খেয়েছে। এটা শুধু শ্রমিক অসন্তোষ বা বাম আন্দোলনের দায় নয়। শুধু ৩৪ বছরকে দোষ দেওয়া ঠিকনয়,মনে করেন লেখক।

    আর রাজ্যের যে-সব নেতারা কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী হয়েছেন তাঁদের মধ্যে গণি খান চৌধুরী, অজিত পাঁজা ও  মমতা  বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া রাজ্যের জন্য কেউ তেমন কাজ করেন নি। এবং আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়  ছাড়া বাকি দলের বড় নেতারা সর্বভারতীয় হতে চেয়ে গায়ে যাতে বাঙালি ও প্রাদেশিক ছাপ না লাগে তার দিকে নজর  রাখতে গিয়ে বাংলার ক্ষতি করেছেন। ১৯৭৭-১৯৮৬ বামফ্রন্ট বিশেষত, অশোক মিত্র বাংলার তপথা রাজ্যের অধিকারের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন। তিনি সরকার ছাড়লেন।পরে কম্ল। ১৮৮৪-এ ন্তুন শিল্পনীতি। নতুন ভাবনা।

    অশোক মিত্র পশ্চিমবঙ্গকে বঞ্চনার জন্য যাঁর বিরুদ্ধে সবচেয়ে সরব  ছিলেন, সেই প্রণব মুখার্জি রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন। কিন্তু তিনিই তো আটকে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের টাকা, প্রক্রিয়া। গুজরাট ও রিলায়েন্সের স্বার্থে হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালসের লাইসেন্স প্রাপ্তি ২০ বছর আটকে রেখেছিল কে এবং কারা? কটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন রাজ্যের প্রভাবশালী কংগ্রেস বা বিজেপি নেতারা-- নিজের এলাকায়। পশ্চিমবঙ্গের একটা নেতিবাচক প্রবণতা হল, প্রাকৃতিক বিপর্যয় অন্য রাজ্যে সব দল কেন্দ্রীয় সহযোগিতা চেয়ে দিল্লিতে দরবার করে। এ-রাজ্যে সরকারি দলকে বিপদে ফেলতে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে থাকা দল সবসময়ই বিরোধিতা করে। বলে, টাকা দিও না।

    রণজিৎ রায়ের পর সাংবাদিক  অমল সরকার বই লিখে চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর চেষ্টা করেছেন, কীভাবে বাংলা বঞ্চিত। অশোক মিত্র, তপন মিত্র, অশোক দাশগুপ্তরাও বাংলার বঞ্চনা নিয়ে লিখেছেন। অমল সরকার একটা আস্ত বই লিখে ফেলেছেন বাংলার বঞ্চনা নিয়ে।

    তিনি দেখিয়েছেন, ১৯৭৭ এর অবস্থা থেকে বামফ্রন্ট সরকার অনেকটা এগিয়েছিল রাজ্যকে। কিন্তু অসীম দাশগুপ্তের ঘাটতি শূন্য বাজেট নীতি, দিল্লিতে বছর বছর টাকা ফেরৎ যাওয়া, এই খাতের টাকা ওই খাতে খরচ করা, বেতন পেনশন ও ঋণশোধে  সিংহভাগ ব্যয়, কেন্দ্র থেকে প্রাপ্য ঠিক মতো ও সময়ে না পাওয়া, ভোটের ভয়ে কর না বসানো, বিক্রয়কর আদায়ে ঢিলেঢালা ভাব, কেন্দ্রীয় বিনিয়োগ ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ কম আসা, সর্বোপরি স্থিতবস্থার রাজনীতি -- রাজ্যের উন্নয়নের বাধা।  ২০১৩ তে একটা আন্তর্জাতিক সমীক্ষা হয়, তাতে ৮১টি বিষয়ে তুলনামূলক বিচার করে ভারতের ৩৪ টি রাজ্যের একটা পর্যায়ক্রম করা হয়। তাতে পশ্চিমবঙ্গের স্থান দাঁড়ায় ২১।

    ২০১১ তেও তাই ছিল। তবে ২০২০তে অনেক  এগিয়েছে রাজ্য। লেখক জানাচ্ছেন, 'ইন্ডিয়া টুডে'-র সমীক্ষা অনুযায়ী বেস্ট পারফরমিং স্টেটের বিচারে পশ্চিমবঙ্গের স্থান এখন ১০। এবং বেস্ট ইমপ্রুভড স্টেটের বিচারে চতুর্থ। 

    বইটিতে অজস্র তথ্য, পরিসংখ্যান আছে। আগ্রহী পাঠক দেখতে পারেন। ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং পশ্চিমবঙ্গের সামাজিক রাজনৈতিক অর্থনৈতিক মানদণ্ডের বিচিত্র পরিসংখ্যান মিলবে  বইয়ে।

    লেখক লিখেছেন: বর্তমানকে জানতে, বুঝতে সুদূর এবং নিকট দুই অতীতকেই জানা জরুরি। সেই জানতে ও জানাতে লিখেছেন আটটি লেখা। এক জাতি, দুই দেশ, ধর্মনিরপেক্ষতা-স্বাধিকার-সাম্য এবং বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু ও রক্তাক্ত বাংলা, অনুপ্রবেশ-তোষণ-এনআরসি-সিএএ এবং বিভাজনের রাজনীতি, বাংলা-বাংলাদেশ-পশ্চিমবঙ্গ, সোনার বাংলা ও এক বাবা ও মেয়ের কাহিনি, সোনার বাংলা সোনার পাথরবাটি, বাংলাদেশ: আমরা যা শিখতে পারি ।

    অমল সরকারের পূর্বপুরুষ পূর্ব বঙ্গের মানুষ। দেশভাগের আগেই চলে আসা। এই ধরনের পরিবারের সদস্যদের লেখায় অনেক সময় নস্টালজিয়া বা হা-হুতাশ বড় হয়ে দেখা দেয়। ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে।

    কিন্তু অমল সরকার এই ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমের ব্যতিক্রমী।

    দেশভাগের পর পশ্চিমবঙ্গ ৭৫ বছর পার করল। আর বাংলাদেশ দুটো দেশভাগ দেখেছে। দ্বিতীয় দফায় তারা সম্পূর্ণ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। নতুন রাষ্ট্র। সমস্যা লাখ লাখ। কারখানা নেই তেমন। ভারি শিল্প নেই। বিপুল খনিজসম্পদ নেই। সোনার ভাণ্ডার নেই। বিদেশি মুদ্রা আসে দান হিসেবে। সেই দেশ  বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন, আত্মত্যাগ ও তাঁর কন্যার শাসনকালে এবং সবচেয়ে বড় সম্পদ মানবসম্পদ নিয়ে কীভাবে এশিয়ার সবচেয়ে বেশি জিডিপি প্রবৃদ্ধি হারের দেশ হয়ে উঠল -- এটা দেখিয়েছেন অমল সরকার।

    দু পাড়েই বাংলা ও বাঙালি।
    বাংলাদেশ পারল পশ্চিমবঙ্গ  কেন পারল না?
    জানতে বুঝতে পড়তে হবে 'আমার দেশ আমার দ্যাশ'।

    ভারতের উন্নতি কেন থেমে গেল? পাকিস্তানে কেন মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্ম হল না, আর মধ্যবিত্ত শ্রেণির বিকাশ না ঘটলে বাজার ও শিল্পের বিকাশ ঘটে না।
    অর্থনৈতিক উন্নয়ন অসম্ভব। দেখিয়েছেন অমল সরকার।
    বাংলাদেশ যে যে সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তানে। বঞ্চনা, অবকাঠামো, অনুন্নয়ন, বিমাতৃসুলভ মনোভাব-- সবকটির শিকার ভারতে পশ্চিমবঙ্গ।
    তাহলে পূর্ব পাকিস্তান  কেন পূর্ব বঙ্গ থেকে বাংলাদেশ হতে পারল?
    কারণ তাঁরা মেনে নেয় নি, এবং মনে নেয় নি।

    পশ্চিমবঙ্গের নেতাদের বড় অংশ দিল্লির কাছে সর্বভারতীয় হয়ে ওঠার দায় দেখাতে হয়েছে। ফলে বিধানচন্দ্র রায় থেকে জ্যোতি বসু বঞ্চনার কথা বলেও চুপ করে আপোস করতে হয়েছে।

    মুজিবুর রহমান 'বঙ্গবন্ধু' হয়ে ওঠার আগেই ছয় দফা দাবি তোলেন। তোলেন পূর্ববঙ্গের নিজস্ব মুদ্রা, মুদ্রাভাণ্ডার ও  নিজস্ব রিজার্ভ ব্যাংকের কথা। কেন্দ্রীয় সরকারের কেন অর্থমন্ত্রী থাকবে? এগুলো তো থাকবে প্রাদেশিক সরকারের হাতে। সোভিয়েত ইউনিয়নে তো তাই হয়েছে। তাই উন্নতি করতে পেরেছে। চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন মুজিবুর রহমান। অমল সরকার মুজিবুর রহমানের সংসদ ভাষণ, ছয় দফার দাবি অনুপুঙ্খভাবে তুলে এনে দেখিয়েছেন পূর্ব বঙ্গ কীভাবে বঞ্চিত।

    'আমার দেশ আমার দ্যাশ' বইয়ের পৃষ্ঠা সংখ্যা ২৭২।
    লেখা মাত্র  আটটি। কিন্তু প্রতিটি লেখায় অজস্র উপপ্রসঙ্গ, স্মৃতিচারণ, অভিজ্ঞতা, পাঠ, মত বিনিময়, রাজনৈতিক বিশ্লেষণ, সমাজদর্শন, ভিন্নতর বীক্ষা ও দিশার বিপুল হদিস মিলবে। এই বইয়ের সব লেখার সঙ্গে আপনি একমত নাও হতে পারেন, বিশেষ করে, আপনার নিজের মত তৈরি থাকলে তো বটেই, কিন্তু বইটি পাঠ শেষ করে আপনাকে ভাবতে হবে-- আগের ভাবনায় কতটা দাঁড়িয়ে থাকতে পারবেন। বা পারা উচিত নাকি আরেকবার পড়তে শুরু করবেন তর্ক করবেন বা তুলবেন বলে। এ বই তর্ক তোলার, তর্ক থামানোর নয়।

    বইটির উৎসর্গ পত্রে নাম আছে রণজিৎ রায়, দেবাশিস ভট্টাচার্য, পরিমল সরকারের।

    রণজিৎ রায় অতীতের নামী সাংবাদিক। পশ্চিমবাংলা কীভাবে বঞ্চিত হচ্ছে দিল্লির মসনদীদের হাতে, ধ্বংসের পথে বাংলা, বলে জানিয়েছিলেন তিনি। মাশুল সমীকরণ নীতি, লাইসেন্স রাজ, পশ্চিমবঙ্গ থেকে বেশি টাকা নিয়ে গিয়ে কম টাকা ফেরৎ দেওয়া, বিমাতাসুলভ আচরণ-- অনুপুঙ্খভাবে দেখিয়ে দিয়েছিলেন রণজিৎ রায়। বাঙালি তাঁকে মনে রাখে নি। একদিন দিল্লির বাড়ি থেকে বের হয়ে গিয়েছিলেন। আর কোনো খবর পাওয়া পায় নি। তিনি স্মৃতিভ্রষ্ট না বাঙালি-- প্রশ্ন ওঠে। রণজিৎ রায়ের উত্তরসূরী হিসেবে কাজ করেছেন অনেকটাই অমল সরকার। যদিও আরো অনেক তথ্য দরকার। আরো বিস্তারিত আলোচনা। এই বিষয়ে আরেকটি পৃথক বই লেখার দাবি রইল।

    সাংবাদিকতার বিশ্বকোষ দেবাশিস ভট্টাচার্য। অমল সরকার এবং দুজনেই তাঁর সহকর্মী ছিলাম। তখন এবং পরে বহু বিষয়ে তিনি দিক নির্দেশনা দেন। এই বইয়ে দেবাশিস ভট্টাচার্যের সহকর্মের ও সহমর্মের পরিচয় কিছুটা মিলবে।।

    বইয়ের প্রথম লেখা শুরু স্মৃতিচারণ দিয়ে। উদ্বাস্তু কলোনির অভিজ্ঞতা। কিন্তু এখানে চোরা মুসলিম বিদ্বেষ নেই। দেশভাগ নিয়ে বহু লেখাতেই যা অনিবার্য বিষয়।
    ভালভভরা রেডিও ছিল কলোনির প্রধান আকর্ষণ। পাকা বাড়ি বলতে স্কুল। সালমান রুশদির  'স্যাটানিক ভার্সেস' এবং 'হ্যারি পটার'-এর প্রকাশক রিচার্ড চারকিন ঢাকা ক্লাবে এক সকালের প্রাতরাশে বলেছিলেন, উদ্বাস্তু কোনো দেশের বিপদ নয়, দেশের সম্পদ।
    তাঁরা নতুন বসতির উন্নয়ন ও দেশের অগ্রগতিতে যথেষ্ট সহায়তা করেন।
    ইউরোপ থেকে শুরু করে সব দেশের ক্ষেত্রেই এটা সত্য।
    আমাদের বাংলায় শিক্ষা সংস্কৃতির বিকাশে উদ্বাস্তু পরিবারের সদস্যদের ভূমিকা অপরিসীম।
    যেকোনো কলোনি এলাকা দেখবেন, বিদ্যালয় পাবেন একাধিক। নাটক খেলার সংস্থাও চলে জোর কদমে।
    এবং এঁরা এটা করে থাকেন মানসিক শক্তির জোরে।

    নিজের মায়ের উদাহরণ দিয়েছেন লেখক। আজকের দিনে 'সমাদৃত' কেন্দ্রীয় বাহিনী পুলিশের সহযোগিতায় নকশাল আন্দোলনের সময় ঘর থেকে যুবকদের রাতে তুলে নিয়ে যেত। এঁরা অনেকেই ফিরতেন না।
    মেজদার খাতায় লেখা ছিল কেমিস্ট্রির ফর্মুলা, তাকে বোমা বানানোর ফর্মুলা ধরে তরুণ সুবিমল সরকারকে ধরে নিয়ে যাবে উল্লসিত বাহিনী। শিকার পাওয়া গেছে।
    মায়ের অসাধারণ সাহস আর জেদের কাছে হার মানতে হয়।

    এই উদ্বাস্তু কলোনির কাছে মুক্তিযুদ্ধ এক নতুন বার্তা নিয়ে আসে। ঘরে ঘরে উচ্চারিত হয় মুজিবুর রহমানের নাম।
    তারপর বাংলাদেশ ও ভারতে পরিবর্তন এল। মুজিবুর রহমান নিহত হলেন।
    ইন্দিরা গান্ধী পরাজিত হলেন ভারতে।
    কলেজ বা বিভিন্ন বাড়ির দেওয়ালগুলো উঠল রাজনীতি ও অর্থনীতির বুলেটিন। দেওয়াল লিখন তখন নিছক ভোট দিন আর সম্মেলন সমাবেশের বিজ্ঞপ্তিতে পরিণত হয় নি‌।

    কেন্দ্র রাজ্যের পুনর্বিন্যাসের দাবিতে রাজ্যে গড়ে উঠল আন্দোলন। জ্যোতি বসু  প্রমোদ দাশগুপ্ত অশোক মিত্র তাকে অন্য ভাষা দিলেন। জ্যোতি বসু বললেন, খানিকটা যেন মুজিবের স্বরেই, কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে টাকা ছাপানোর মেশিন আছে। ওদের যখন ইচ্ছে টাকা ছাপিয়ে নেয়। রাজ্য সরকারকে ভাগ দেয় না। আর রাজ্য সরকারের হাতে টাকা ছাপানোর মেশিনও নেই।'
    স্বর আরেকটু উঁচু পর্দায় যেতে পারত। গেলে দেশের মঙ্গল হতো। গেল না। কারণ সর্বভারতীয় হতে চাওয়ার দায়।

    অমল সরকার লিখেছেন: কংগ্রেস, বিজেপি যখন যে দল ক্ষমতায় থেকেছে, রাজ্যগুলিকে শোষণ করেছে। রাজ্যগুলিকে একদিকে রাজস্বের ভাগ কমিয়ে দিয়ে বাজার থেকে ঋণ নেওয়ার সীমা স্থির করে দেওয়ার পাশাপাশি নানা শর্ত চাপিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার যে হাজার হাজার কোটি টাকা ( এখন লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা; গত সাত বছরে কেন্দ্রীয় সরকারের ঋণ বেড়েছে ৪৯ লাখ কোটি থেকে বেড়ে এক কোটি দুই লাখ  কোটি টাকা)  ঋণ নিচ্ছে তা নিয়ে জবাবদিহির বালাই নেই।

    রেডিওর সামনে সত্তর দশকে মুজিবুর রহমানের কথা শুনে লেখকের মনে পড়েছে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর বীরত্বের কথা। 
    সাংবাদিকতা করতে এসে আরো বেশি করে চেনেন বাংলাদেশকে, এবং বাংলাদেশ সম্পর্কে এ-দেশের মানুষের অজ্ঞতা ও নির্দিষ্ট ধারণা কে।
    যে ধারণা আসলে অনুকম্পা এবং বিদ্বেষজাত । তার বাইরে যে বাংলাদেশ, আসল বাংলাদেশ-- তাকে ছুঁতে পারেন এক বাংলাদেশি সাংবাদিকের কথায়:
    'আপনি ক্যাবল ইসসা লন।' আপনি কেবল ইচ্ছা করুন। থাকা খাওয়া ফ্রি।  অতিথি হয়ে থাকবেন।

    বাংলাদেশের পাশাপাশি এসেছে এই বাংলার কথা।
    সত্তর দশকে বামফ্রন্টের নেতৃত্বে মাতৃভাষায় শিক্ষাদান আন্দোলন নয়ের দশকের শেষে উল্টোপথে হাঁটতে থাকে। প্রতিক্রিয়ায় জন্ম নেয় 'ভাষা ও চেতনা সমিতি'। অশোক মিত্রসহ বহু প্রতিষ্ঠিত বামপন্থী বুদ্ধিজীবী বামফ্রন্ট সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই সরব হলেন। বাংলা ভাষা আন্দোলন গড়ে উঠল। সারাদিন নববর্ষ উৎসব, সারা বাংলা ভাষা উৎসব পালন শুরু হল। এরপর সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে 'ভাষা শহিদ স্মারক সমিতি' ও অশোক দাশগুপ্তের নেতৃত্বে 'নবজাগরণ'। কলকাতায় হল বাংলায় নামফলক লেখা অভিযান।

    এর আগেই নয়ের দশকের শুরুতেই পশ্চিমবঙ্গ দেখেছে অযোধ্যায় বাঙালি করসেবক, ইটপূজা। আর লেখক তখনকার অতি শক্তিশালী বিশ্বহিন্দু পরিষদ নেতা অশোক সিঙ্ঘলের মুখে শুনেছেন ভিন্নকথা: আমি তো শুনেছি বাঙালিরা ভগবানে বিশ্বাসী নয়। বাংলা দেখেছে রামনারায়ণ রাম থেকে বাম, রাম সত্য হ্যায়, শুনেছে জয় শ্রীরাম।

    এর পটভূমি যে তৈরি ছিলি তার একাধিক উদাহরণ দিয়েছেন লেখক।
    মুসলিম বৃদ্ধসহ মুসলিমরা  ভোট দিচ্ছেন ১৯৯৮-এ দমদম কেন্দ্রে পদ্মের পক্ষে, আসলে সিপিএমের বিরুদ্ধে-- বাবরি মসজিদ ওখানে ভেঙেছে এখানে তো মসজিদ ভাঙেনি।

    দ্বিতীয় উদাহরণ ট্রেনের। ১৯৯৪-এর।
    নৈহাটি লোকালে দুই তরুণীকে বিরক্ত করছে কিছু অবাঙালি তরুণ। যাত্রীদের কারো কারো প্রতিক্রিয়া: এদের ঘাড় ধরে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়া উচিত'। কথাকাটাকাটি। গণধোলাইয়ের জোগাড়। তখন তরুণরা বলে উঠল, 'আপলোগ কেয়া সোচতে হ্যায়, হামভি হিন্দু হ্যায়'।
    'বদলে গেল পরিবেশ। ছেড়ে দিন ছেড়ে দিন। এসব বয়সকালের অসুখ।' একটু আগেই তরুণদের মুসলিম ভেবে পাকিস্তান পাঠিয়ে দিতে চাওয়া লোকের গলায় ভিন্ন সুর।

    মনোজগৎ বদলেছে আগে। তারপর রাজনীতির দুনিয়া। উপলব্ধি লেখকের। লেখক আক্ষেপ করেছেন:
    লোকসভা উপনির্বাচনে অন্ধ্র থেকে প্রার্থী হলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেসের নেতা নরসিংহ রাও। অন্ধ্রপ্রদেশে তখন কংগ্রেস বিরোধী এন টি রামা রাও। তিনি বললেন, নরসিংহ রাও তেলেগু জনতার গরিব। আমরা প্রার্থী দেব না। জিতলেন নরসিংহ রাও।
    আর জ্যোতি বসুকে যখন বিজেপি বাদে কংগ্রেসসহ সব বিরোধী দল সাধাসাধি করছে বাংলার সংখ্যাগরিষ্ঠ সিপিএম নেতা কেন্দ্রীয় কমিটিতে জ্যোতি বসুকে প্রধানমন্ত্রী হতে না দিতে ভোট দিলেন।

    বিজেপির সদর দপ্তরে সেদিন উল্লাস দেখেছিলেন বহু সাংবাদিক।
    বিজেপির সেই প্রথম কেন্দ্রীয় সরকার গড়া। আজ তাঁরা দেশের প্রধান নিয়ন্ত্রক শক্তি।

    ##

    ভারতের বাংলা ও বাঙালির পিছিয়ে পড়া লেখকের আক্ষেপ ও যন্ত্রণার বিষয়। কলকাতায় বাঙালি সংখ্যালঘু হতে দেখেছেন তিনি, রামমোহন রায়ের গ্রামে দেখেছেন তপশিলি জাতির জন্য শ্মশান আলাদা। 
    লক্ষ্য করেছেন, করাচ্ছেন, ১৯৯১ থেকে ২০০১ থেকে বাংলায় হিন্দু মুসলমান দুই সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উপাসনালয়, শনি মন্দির থেকে নানা মন্দির ও মসজিদ দ্বিগুণ বেড়েছে।

    আর এখন তো হনুমান মন্দির ক্রমবর্ধমান।
    বর্ধমান গির্জা ও মসজিদও।

    #

    লেখক ভারতের বাঙালি ও বাংলাদেশের বাঙালিকে পরস্পরের থেকে শিক্ষা নিতে বলছেন।
    পশ্চিমবঙ্গে নকশাল আন্দোলন, বাংলাদেশে বাকশাল--নিয়ে লেখকের সিদ্ধান্ত:
    নকশালবাড়ির রাজনীতির মতো এক সকালে উঠে চলো গ্রামে তাই বলে বিপ্লবের ডাক দিলে বিপ্লব হয় না।
    আবার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ৫০ বছরে তাঁরা অর্থনীতি সংস্কৃতি স্বাস্থ্য সমাজকল্যাণে এতোটা এগোল স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও ভারত কেন তা পারল না।
    শিশুদের মৃত্যুহার বাংলাদেশে কম,  প্রসূতি মায়ের মৃত্যু কম, গড় আয়ু বেশি, গড় আয় বেশি-- কেন পারলো বাংলাদেশ।
    ইচ্ছাশক্তি ও মনের জোর এবং সদিচ্ছা এবং নিজস্ব জীবনাদর্শ। যা হারিয়ে যাচ্ছে।

    ###

    'বঙ্গবন্ধু ও রক্তাক্ত বাংলা' অধ্যায়ে লেখক বলেছেন: শেখ মুজিব শুধু রক্তাক্ত বাংলার নায়ক নন, তিনি গোটা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রক্তাক্ত যুগসন্ধিক্ষণের নব নায়ক। নতুন ইতিহাসের নির্মাতা। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ গোটা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ইতিহাস ও ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে সন্দেহ নেই।

    আবার 'সোনার বাংলা এবং এক বাবা ও মেয়ের কাহিনি' অধ্যায়ে ' ইন্দিরা গান্ধী, বেনজির ভুট্টোদের মতো শেখ হাসিনা মৌলবাদী ও উগ্রপন্থী শক্তির নিশানায় রয়েছেন'  এই মন্তব্য করে লেখক বলেছেন, হাসিনাকে লড়াই করে ক্ষমতায় আসতে হয়েছে বিরুদ্ধ পরিস্থিতিতে। ইন্দিরা গান্ধীর সরকারি উন্নয়ন ও হাসিনার উন্নয়নের মধ্যে মিল খুঁজে পেয়েছেন তিনি।

    বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সহায়তার পাশাপাশি ব্যাঙ্ক জাতীয়করণ, খনি জাতীয়করণ একাধিক শিল্পের রাষ্ট্রায়ত্তকরণের মতো সাহসী পদক্ষেপ এই উপমহাদেশের ইতিহাসে তাঁকে চিরস্থায়ী আসন দিয়েছে।
    অন্যদিকে হাসিনার সময় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রগতি বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় ভালো। ভারতের তুলনায় তো যথেষ্ট ভালো। 

    ২০২১ এ উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় চলে এসেছে বাংলাদেশ। কেবল ঢাকা নয় তৃণমূল স্তরে উন্নয়ন হয়েছে। গোটা দেশ জুড়ে হাইওয়ে সম্প্রসারণ ঘটেছে, ঢাকা মেট্রোসহ রেলের একাধিক প্রকল্পের সুবাদে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে।
    একের পর এক নদী সেতু নির্মাণ হয়েছে, আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ বাড়ছে। মাথাপিছু আয় বাড়ায় চীন, জাপান, আমেরিকা বাংলাদেশের বাজার ধরতে আগ্রহী। 

    উল্টোদিকে পাকিস্তান পিছনে পড়েছে। পিছিয়ে পড়ছে ভারতও। বিশ্বব্যাঙ্ক, ইউএনডিপি, এশিয়ান ডেভেলাপমেন্ট ব্যাঙ্কসহ নানা প্রতিষ্ঠানের পরিসংখ্যান বলছে, 'বাংলাদেশ দারিদ্র্য দূরীকরণ, সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণ, আর্থিক উন্নতির মতো বিষয়গুলিতে উপমহাদেশের অনেক দেশ এমনকী ভারতের থেকেও এগিয়ে।। বাংলাদেশের মহিলাদের আর্থিক স্বনির্ভরতা বৃদ্ধি পেয়েছে লক্ষ্যণীয় হারে'।

    মায়ানমার থেকে নিপীড়িত অত্যাচারিত ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বিশ্বে নিজের ও দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন শেখ হাসিনা। 
    রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে স্যানিটারি প্যাড বিতরণের গল্প বলেছেন লেখক। বলেছেন রিলিফ নির্ভর দেশ আজ রিলিফ দিচ্ছে। 

    খোকা ইলিশ তথা জাটকা ধরতে না দেওয়ার হাসিনা সরকারের কঠোর নীতির প্রশংসা করেছেন লেখক। এতে ইলিশ উৎপাদন বেড়েছে। ১৬ হাজার কোটি টাকা আসছে ইলিশ থেকে। সামগ্রিক ভাবে মাছ উৎপাদনে উন্নতি চোখে পড়ার মতো। এর মধ্যে ১২-১৩ শতাংশ  ইংলিশ। প্রতিষ্ঠানের পরিসংখ্যান বলছে, 'বাংলাদেশ দারিদ্র্য দূরীকরণ, সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণ, আর্থিক উন্নতির মতো বিষয়গুলিতে উপমহাদেশের অনেক দেশ এমনকী ভারতের থেকেও এগিয়ে।। বাংলাদেশের মহিলাদের আর্থিক স্বনির্ভরতা বৃদ্ধি পেয়েছে লক্ষ্যণীয় হারে'।

    ###

    'অনুপ্রবেশ' শব্দটা সত্তর দশকে শোনেননি লেখক। লোকে গর্ব করে বলতেন, বরিশাল আমার দ্যাশ।  ১৯৯০-এর পর শব্দটিকে সুকৌশলে ব্যবহার করা হতো লাগল। ১৯৯৬-এর নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন সক্রিয় হল,নাম বাদ দিতে।লেখক দেখেছেন, বনগাঁ-তে বস্তা বস্তা নাগরিকত্বের  দরখাস্ত। রেশন কার্ড, ছেলে-মেয়ের জন্ম অশক্ষার প্রমাণপত্র। কিন্তু ভোটাধিকার মিলছে না।    ১৯৯৮ থেকে ' অনুপ্রবেশকারী' আর 'শরণার্থী' বলে বাংলাদেশ থেকে আসাদের ধর্মীয় পরিচয় বড় করে তোলা হল। তাতে কেন্দ্রের উপ্প্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আদবানি  ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একসুর।
    মতুয়া রাজনীতি, সিএএ--সব বিষয়েই আলোকপাত করেছেন লেখক।

    এসেছে সংখ্যালঘু তোষণের প্রসঙ্গ।লেখক মুজিবুর রহমানের পাকিস্তান সংসদে বক্তৃতা দীর্ঘভাবে উদ্ধৃত করে দেখিয়ে দিয়েছেন,হিন্দু মুসলিমের স্বার্থ অভিন্ন। মানুষ হিসেবে তাঁরা এক। জাতি হিসেবেও। পশ্চিমবঙ্গে 'সংখ্যালঘু তোষণ' চলের কথাটা মিথ--লেখক তথ্যসহ প্রমাণ করেছেন। সরকারি চাকরির ২০ ভাগ মাত্র মেয়ে। তার মধ্যে  মুসলিম মেয়ে অতি নগণ্য। বিজেপি নেতারা অন্য রাজ্যে লক ডাউনের মাঝে রাম মন্দিরের ঘটা করে উদ্বোধন করলেও কোনো রাজনৈতিক দল বা বড় সংবাদমাধ্যম প্রতিবাদ করতে পারে না। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে মমতা মুসলিমদের কোনো অনুষ্ঠানে গেলে অনেকেই লাফিয়ে ওঠেন। লেখক বলছেন, এর পিছনে আছে মুসলিমদের নিয়ে অনীহা।

    এবং বহুদিন ধরে চলে আসা পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক সংস্কৃতি। লেখকের বক্তব্য, দুর্গাপুজা কালীপূজা ইদ মহরম  কোনো কিছুতেই শুভেচ্ছা জানানো্র রীতি পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে ছিলনা।এবং মন্দিরে দরগায় যাওয়া। যেটা এখন হচ্ছে। এবং চোখে পড়ছে।  অবশ্যই বামনেতারা ব্যতিক্রম।

    পাকিস্তান নিয়ে অমল সরকারের সাফ কথা মধ্যবিত্ত শ্রেণির বিকাশ নেই। যারা জোতদার তারাই শিল্প-কারখানার মালিক,ব্যাংক বীমার মালিক, তারাই আমদানি-রফতানির মালিক, আবার তারাই সেনাবাহিনী এবং তারাই অসামরিক আমলা।

    ভারতেও সেদিকে আস্তে আস্তে চলে যাচ্ছে।
    এ বই সতর্কতার। এ বই সময়ের। 
    এ বই একজন গবেষক ও সাংবাদিকের।

    কিছু মুদ্রণপ্রমাদ আছে। অল্প পুনরুক্তি আছে। উপেক্ষণীয়। তবু লেখক ও প্রকাশক নজর দিতে পারেন। প্রচ্ছদ, ছাপা,  বাঁধাই ভালো।


    আমার দেশ আমার দ্যাশ
    অমল সরকার
    দে'জ পাবলিশিং, কলকাতা-৭৩
    মুদ্রিত মূল্য - ৩৯৯ টাকা


    বাড়িতে বসে বইটি পেতে হোয়াটসঅ্যাপে বা ফোনে অর্ডার করুন +919330308043 নম্বরে।



    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • পড়াবই | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ | ১৯৫৯১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • দীপ | 42.106.***.*** | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৪:০৯512343
  • জনৈক মাতব্বর আমাকে স্প্যাম বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বোধহয় ভুলে গেছেন আমি বেনামে কিছু লিখিনি।  আর প্রত্যেক ক্ষেত্রে তথ্যসূত্র দেওয়া হয়েছে, একাধিকবার বাংলাদেশের লেখক ও সংবাদপত্রের তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাৎ মাতব্বরের যুক্তি অনুযায়ী এঁরা সবাই স্প্যাম।
    যুক্তি দিয়ে আলোচনা যখন সম্ভব হয়না, তখন এইসব ব্যক্তিগত আক্রমণ শুরু হয়।
  • মাথামোটা গবেট | 2405:8100:8000:5ca1::200:***:*** | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৪:২৯512344
  • ধুর! মাথামোটা গবেট পাবলিক যত।  শতকরা হিসেব দিয়ে কি হবে ? ভারতেও তো শতকরা হিসেবে হিন্দু কমেছে - তো আমরা কি বলব যে ভারতে মোট হিন্দু জনসংখ্যা কমে যাচ্ছে ?
    মোট জনসংখ্যা বাড়ছে কিনা সেটাই আসল। Number speaks । বাংলাদেশে হিন্দু জনসংখ্যা বাড়ছে - ১৯৫০ সালে ৯ মিলিয়ন থেকে ২০২২ সালে ২৮ মিলিয়ন, তিনগুণ বেড়েছে। হিন্দুর সংখ্যা বাড়ছে। 
  • দীপ | 42.106.***.*** | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৪:৪৬512346
  • ১৯৫১ সালে একটি দেশে হিন্দুদের জনসংখ্যা মোট জনসংখ্যার কুড়ি শতাংশের বেশি। ২০১১ সালে সেই অনুপাত নয় শতাংশের কম। তবুও বলতে হবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বাংলাদেশে নিরাপদে আছে। চমৎকার!
  • দীপ | 42.106.***.*** | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৪:৫৪512350
  • নিরাপদ পরিবেশের কিছু সামান্য নমুনা!
  • দীপ | 42.106.***.*** | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৭:৫৫512355
  • পূর্ব পাকিস্তান ও বর্তমান বাংলাদেশে দাঙ্গা হয়নি, হয়েছে ethnic cleansing । বিবেকানন্দ মুখোপাধ্যায়, শাহরিয়ার কবীর, হুমায়ুন আজাদ এটা খুব স্পষ্টভাবে বলেছেন। এই কথাগুলো লেখার জন্য হুমায়ুন আজাদের উপর হামলা চালানো হয়, ভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে যান। 
    তারপর জার্মানিতে পালিয়ে যান, সেখানেই প্রয়াত হয়েছেন। আর তসলিমাও বাইরে জীবনযাপন করছেন, দেশে ফিরে আসতে পারেননি! 
    এই কথাগুলো লিখলেই সে আইটি সেল!
  • দীপ | 42.106.***.*** | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৮:৩৩512356
  • পোষ্য সারমেয়দের খুব সমস্যা হচ্ছে! আইনি ব্যবস্থা নিন! কোনো সমস্যা নেই!
  • দীপ | 2401:4900:16ce:3da0:98ed:434d:f625:***:*** | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৮:৪৩512357
  • এই সারমেয়কুল আবার গণতন্ত্র, ব্যক্তিস্বাধীনতা নিয়ে বড়ো বড়ো বুলি কপচায়! তথ্য ছাড়া ব্যক্তিগত আক্রমণ করে বেড়ায়!
  • দীপ | 42.***.*** | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৯:৫৪512372
  • প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে তথ্যসূত্র দিয়ে আলোচনা করা হবে। আগ্রহী ব্যক্তিরা দেখে নিতে পারেন।
    আর চাইলে‌ আমার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারেন!
    কোনো সমস্যা নেই।
  • আসলে | 43.239.***.*** | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৫:০১512375
  •  দীপ্তাংশু চক্রবর্তী স্যরের মুসলিম কানেকশনে কোনো ব্যক্তিগত স্মৃতিক্ষত রয়েছে। গুরুর প্রতিও ব্যক্তিগত অপমানবোধ-জাত প্রতিশোধস্পৃহা রয়েছে। সম্ভবত কোনো টই বা ভাটে প্রতিযুক্তিতে শোচনীয় বিড়ম্বনা বা অবমাননার ফল। স্যর তো ছেড়ে দেওয়ার লোক নন। সাইটটাকে বিবমিশাক্ষম না করে কি করেই বা আর মনস্কাম চরিতার্থ হবে?
    ক্লাবের সামনে বা ক্লাবঘরে কেউ প্রতিদিন বর্জ্যত্যাগ করে গেলে বা বাড়ির নোংরা পুটলি ফেলে গেলে কী করণীয়? ক্লাবের মেম্বাররা মিলে আড়ং ধোলাই কিনা? একেও সেরকম বাড়ি বয়ে গিয়ে কেলিয়ে আসতে হবে। ভার্চুয়ালে হবে না।
  • দীপ | 2402:3a80:196b:86ef:790a:812b:5e61:***:*** | ০৬ নভেম্বর ২০২২ ১৫:০৩513516
  • গোলাম সারোয়ার নামে তৎকালীন একজন এম-এল-এ ঐ জেহাদের ডাক দেন। গোলাম সারোয়ারের ডাকের অনুলিপি পাওয়া যায়নি, কিন্তু জর্জ সিমসন রায়টের যে বিবরণ দিয়েছেন তার এক জায়গায়া আছে- "জোর করিয়া ব্যপক ভাবে দলে দলে হিন্দুদের ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করিবার বিবরণ প্রত্যেক গ্রামেই পাওয়া গিয়েছে। অনেক স্থানে পুরুষেরা আপত্তি করিলে তাহাদের স্ত্রীদের আটক করিয়া তাহাদেরকে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করিতে বাধ্য করা হইয়াছে।" (রমেশচন্দ্র মজুমদার, বাংলাদেশের ইতিহাস, ৩য় খন্ড)

    তখনকার কংগ্রেস সভাপতি আচার্য্য যে বি ক্ৃপানলী সে সময় নোয়াখালী ঘুরে যা দেখেছিলেন তা তিনি প্রকাশ করেছেন এই ভাষায়, "নোয়াখালী এবং ত্রিপুরার জন উন্মত্ততার সব কিছুই ছিল প্রশিক্ষিত নেতৃত্বের অধীনে ব্যপকভাবে পরিকল্পিত। রাশ্তাঘাট কেটে দেওয়া হয়েছিল, যত্র তত্র বন্দুকের ব্যবহার হয়েছিল এবং প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত গুণ্ডাদের বাইরে থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল। হাজার হাজার হিন্দু নারীকে অপহরণ করা হয়েছে অথবা জোর পূর্বক বিবাহ করা হয়েছে। তাদের পূজার স্থানকে অপবিত্র করা হয়েছে। এমনকি শিশুদের প্রতিও কোন রকম করুণা দেখানো হয়নি। (অমৃত বাজার পত্রিকা, ২২/১০/১৯৪৬)
  • দীপ | 2402:3a80:196b:86ef:790a:812b:5e61:***:*** | ০৬ নভেম্বর ২০২২ ১৫:১৬513520
  • উপমহাদেশের অন্যতম কুৎসিত ঘটনা নোয়াখালী দাঙ্গা নিয়ে সামান্য আলোচনা। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে উপযুক্ত তথ্যসূত্র দেওয়া হয়েছে।
     
    এই ঘটনার অভিঘাতে স্বয়ং মহাত্মা গান্ধীকে নোয়াখালী ছুটে আসতে হয়েছিল, যদিও তিনি এই দুর্বৃত্তদের সংযত করতে সফল হননি। মহাত্মাজী নিশ্চয় বুঝতে পেরেছিলেন অহিংসার মহৎ আদর্শ সভ্যসমাজে চলে, বর্বরদের সাথে নয়।
  • অখণ্ড ভারত | 5.226.***.*** | ০৬ নভেম্বর ২০২২ ১৭:৩১513524
  • পাকিস্তানের মত বাংলাদেশেরও হিন্দুনিধনের জন্য বিশেষ প্রাইজ পাওয়া উচিত। আমি তো এটা ভেবেই অবাক যে ওরা হিন্দুদের এখনও zero করে দিতে পারেনি। এবিষয়ে ভারতের কমিউনিস্ট এবং আরো যেসব কলোনাইজড হিন্দুবিদ্বেষী আছে, তাদের আন্দোলন শুরু করা উচিত.... কেন ওখানে যথেষ্ট হিন্দুকে মারা হচ্ছে না এই জন্য।
  • অখণ্ড ভারত | 212.102.***.*** | ০৬ নভেম্বর ২০২২ ১৮:৩৯513527
  • বাংলাদেশের কাছ থেকে আমাদের যেটা শেখার আছে সেটা হল কি করে সংখ্যালঘুদের সংখ্যাশূন্য করে দিতে হয়। আমাদের কমিউনিস্ট বন্ধুদের উচিত এটা নিয়ে কিছু সেমিনার করা, যাতে আমরাও এই অসাধারণ ক্ষমতার একটু ভাগ পাই।
  • Observer | 2405:8100:8000:5ca1::6f:***:*** | ০৬ নভেম্বর ২০২২ ১৯:২০513528
  • খুব হিসেব কষে দাঙ্গা পরিস্থিতি তৈরী করার জন্যই ইমানুলের লেখা বেছে বেছে দীপচাড্ডি স্বনামে ও বেনামে পোস্ট করছে। ৪৬ এর হিন্দুহত্যাগুলো এখনকার বাংলাদেশের লেখার ন্যিচে রেখে উস্কাচ্ছে কিন্তু  সেই সময়ের মুসল্মান হত্যার লেখা কপি করছে না। চাড্ডিরা করবেও না। এদিকে বাংলাদেশ যে ৭১ এ তৈরী আর ৪৬ এ পুরোটাই ভারত ছিল এটা আবার গরুরবাচ্চাগুলো ঠিকমত জানেও না।
     
    দীপচাড্ডিকে নির্দিষ্টভাবে সাম্প্রদায়িকতা প্রচার করতে দেখেও ব্যবস্থা না নিলে দাঙ্গা লাগানোর দায় গুরুচন্ডা৯র উপরে বর্তায়।
  • জয় বাংলা | 2405:8100:8000:5ca1::90:***:*** | ০৬ নভেম্বর ২০২২ ১৯:৩৯513529
  • নোয়াখালির দাঙ্গাও দীপচাড্ডিই লাগিয়েছিল। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের সংখ্যা নিয়মিত ভাবে কমিয়ে এনেছে এই লোক। গুরুচণ্ডা৯ এর প্রতিকার না করলে পুলিশে ধরবে।
  • এলেবেলে | ০৬ নভেম্বর ২০২২ ২০:১৬513531
  • অনেক দিন আগেই এই টইটা মায়ের ভোগে গেছে। তাই লিখব লিখব করেও কিছু লিখিনি। গুচ্ছের নোটির বন্যার ভাসতে হবে জেনেও আজ লগিন করে লিখতে বাধ্য হলাম।
     
    যুগান্তরের রিপোর্ট দেখিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা হচ্ছে নোয়াখালির দাঙ্গায় নাকি ৫ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। জানতে পেরেছিল যুগান্তর-অমৃতবাজারের তুষারকান্তি এবং সেই কারণেই মালটা অমৃতবাজারে গ্যালপ পোল করিয়েছিল।
     
    নোয়াখালিতে দাঙ্গা শুরু হয় ১০ অক্টোবর। তার ৭ দিন পরেই নাকি মৃত্যুর সংখ্যা পাঁচ সহস্রাধিক। মাজাকি হচ্ছে? ১৯৪৭ সালের পয়লা মে অ্যাসেম্বলিতে কংগ্রেসের ডেপুটি লিডার ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্র সচিবের পার্লামেন্টারি সেক্রেটারি কে নসরুল্লা জানান যে দাঙ্গার কারণে নোয়াখালি ও ত্রিপুরা (কুমিল্লা)-য় মারা গিয়েছিলেন মোট ২৮৫ জন - তার মধ্যে মিলিটারি ও পুলিশের গুলিতে ৬৭ জন এবং নোয়াখালি ও কুমিল্লাতে যথাক্রমে ১৭৮ ও ৪০ জন।
     
    তর্কের খাতিরে যদি ধরে নিই যে সরকার পক্ষ মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন, তাহলে সুরঞ্জন দাস এ ব্যাপারে কী লিখেছেন দেখে নেওয়া যেতে পারে। তিনি লিখেছেন --- According to an official estimate deaths from the clashes numbered only a few hundred, but non-official Hindu sources placed the figure at 5,000.
     
    একই কথা বলেছেন সুমিত সরকারও। তাঁর কথা অনুযায়ী --- নোয়াখালি ও ত্রিপুরা পূর্ববঙ্গের এই দুটি জেলায় কৃষিজীবনে অস্থিরতার একটা ঐতিহ্য ছিল। সেখানে কৃষকরা ছিলেন প্রধানত মুসলমান আর হিন্দুরা ছিলেন মূলত ভূস্বামী ব্যবসায়ী ও অন্যান্য পেশাদার গোষ্ঠী। তাই দাঙ্গার মধ্যে বিকৃত সামাজিক উপাদানও চোখে পড়ে। অক্টোবরের হাঙ্গামায় উত্তর-পশ্চিম কোণে খুনোখুনির চেয়ে সম্পত্তির ওপর চড়াও হওয়া আর ধর্ষণের ঘটনাই ছিল প্রধান। এটা ছিল কলকাতা দাঙ্গার ঠিক উল্টো। নিহতের সংখ্যা ছিল মোটামুটিভাবে ৩০০; কিন্তু সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল কোটি কোটি টাকার।
     
    এই নোংরা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যাচার অবিলম্বে বন্ধ হওয়া দরকার।
  • দীপ | 2402:3a80:196b:86ef:1243:63d8:8e4c:***:*** | ০৬ নভেম্বর ২০২২ ২০:৫৬513532
  • হুম, স্টেটসম্যান, অমৃতবাজার, রমেশ মজুমদার সব মিথ্যে- সত্য একমাত্র পাঁঠার নাচ! 
    নোয়াখালীতে কিছু হয়নি! গান্ধীজি ওখানে পিকনিক করতে গিয়েছিলেন!
     
    আর নোয়াখালির দাঙ্গা নিয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য আছে। সরকারী মতে মৃত্যু তিনশো, বেসরকারি মতে পাঁচ হাজার! 
    তবে সরকার তো সত্যবাদী যুধিষ্ঠির , কে না জানে!
  • এলেবেলে | ০৬ নভেম্বর ২০২২ ২১:০৩513533
  • গান্ধী বলেছিলেন যতদিন না নোয়াখালি শান্ত হচ্ছে ততদিন তিনি সেখানে থাকবেন। থেকেছিলেন? সুরঞ্জন দাস আর সুমিত সরকার পাঁঠার নাচ নাচার লোক তো। 
     
    স্টেটসম্যান, অমৃতবাজার, যুগান্তর আর রমেশ মজুমদার যাদের কাছে ধ্রুবসত্য মনে হয় তারা যে কেন কলকাতা আর বিহারটা এড়িয়ে গিয়ে নোয়াখালিতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে, সেটা স্পষ্ট বোঝা যায়।
  • দীপ | 2402:3a80:196b:86ef:1243:63d8:8e4c:***:*** | ০৬ নভেম্বর ২০২২ ২১:০৫513534
  • সুচেতা কৃপালনী এই সময় হাজারের‌ও বেশি নির্যাতিতা ও ধর্মান্তরিতা মহিলাকে উদ্ধার করেন। সব মিথ্যে, সত্য একমাত্র পাঁঠার নাচ!
     
    বিজেপি যেমন গুজরাট দাঙ্গার কথা শুনলে ক্ষেপে ওঠে, এরাও তেমনি নোয়াখালীর নাম শুনেই ক্ষেপে উঠেছে!
  • দীপ | 2402:3a80:196b:86ef:1243:63d8:8e4c:***:*** | ০৬ নভেম্বর ২০২২ ২১:০৬513535
  • কেউ হুমড়ি খায়নি, সবকিছু নিয়েই আলোচনা প্রয়োজন! 
    তবে কোনো কোনো মাতব্বর খুব  খেপে গেছে! 
     
    নিজেই তো সেমসাইড গোল দিচ্ছেন!
  • এলেবেলে | ০৬ নভেম্বর ২০২২ ২১:০৮513536
  • মারা গিয়েছিলেন কতজন? সুচেতা কৃপালনীর যে সংখ্যাটা দেওয়া হচ্ছে সেটাও ভুলভাল। আর নোয়াখালি নিয়ে বীণা দাসও কিছু লিখেছেন। ওটা পড়লে এই স্টেটসম্যান-অমৃতবাজারের অমৃত বচনের আড়ালে লুকিয়ে থাকা হারামিগিরিটা বুঝতে সুবিধে হবে।
  • এলেবেলে | ০৬ নভেম্বর ২০২২ ২১:১১513537
  • কলকাতায় মৃত্যু পাঁচ হাজার। সেই নিয়ে প্যাটেলের সন্তুষ্টি কারণ মুসলমান নিধনের সংখ্যাটা সন্তোষজনক। বিহারে মারা যান প্রায় ৭ হাজার জন। সেগুলো উবে গিয়ে নোয়াখালি নিয়ে চুলকুনি? আর তার সোর্স যুগান্তর?
  • দীপ | 2402:3a80:196b:86ef:1243:63d8:8e4c:***:*** | ০৬ নভেম্বর ২০২২ ২১:১২513538
  • একমাত্র সোর্স ছাগল! ছাগলের কথাই বেদবাক্য!
  • এলেবেলে | ০৬ নভেম্বর ২০২২ ২১:১২513539
  • শালা ৭ দিনে ৫ হাজার মানুষকে খুন করা হচ্ছে? পার ডে ৭০০-র ওপরে? ফাজলামি হচ্ছে? 
  • এলেবেলে | ০৬ নভেম্বর ২০২২ ২১:১৪513540
  • ছাগল যে নিজের সোর্স ছাড়া আর কোনও সোর্সকেই বেদবাক্য মনে করে না সেটা সোর্সের ছাগলপনা থেকেই পরিষ্কার। সুরঞ্জন দাস ছেড়ে দিয়ে রমেশ মজুমদার! সুমিত সরকার এড়িয়ে যুগান্তর!!
  • দীপ | 2402:3a80:196b:86ef:1243:63d8:8e4c:***:*** | ০৬ নভেম্বর ২০২২ ২১:১৬513541
  • রমেশ মজুমদার তো ছাগলের জন্য লেখেননি! 
  • noakhali | 2405:8100:8000:5ca1::1d7:***:*** | ০৬ নভেম্বর ২০২২ ২১:১৯513542
  • এলবো বিভিন্ন সরকারে অচল আস্থা না রেখে ইয়াসিম খানের বই পড়লে পারে তো।
  • এলেবেলে | ০৬ নভেম্বর ২০২২ ২১:২১513543
  • বোঝাই যাচ্ছে সুরঞ্জন দাস পড়া নেই। থাকলে বিনা চশমাতেই দেখা যেত তিনি স্পষ্ট লিখেছেন --- No serious incident was reported from Noakhali after 16 October with the exception of two outbreaks on the island of Sandwip. The situation in Tippera became ‘quieter’ from 20 October.
     
    তার মানে দাঁড়াচ্ছে ১০ তারিখ থেকে ১৫ তারিখের মধ্যেই ৫ হাজারেরও বেশি মৃত্যু। এই নির্লজ্জ মিথ্যাচার তার পরেও থামবে না।
  • অখণ্ড ভারত | 212.102.***.*** | ০৬ নভেম্বর ২০২২ ২১:২২513544
  • এত চুল চেরা বিচারের কোন দরকার নেই।
    বিষয়টা খুব সহজ।
    ভারতবর্ষ হিন্দুদের দেশ, আর অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের দেশ, যাদের ধর্ম এখানকার সনাতন, যেমন জৈন , শিখ, বৌদ্ধ, ইত্যাদি।
    ইসলাম আর খ্রিস্টান ধর্ম হল বাইরে থেকে লুঠেরা, হানাদার আর নারীধর্ষকদের ধর্ম। অখণ্ড ভারতে তাদের কোন জায়গা নেই।
    এদের কেউ যেচে এদেশে নেমন্তন্ন করে আনেনি। তারা এসেছে এদেশকে ধ্বংস করতে।
    এদের না তাড়ালে ভারত বলে কিছু থাকবে না।
    এটা আমাদের অস্তিত্বের প্রশ্ন।
  • এলেবেলে | ০৬ নভেম্বর ২০২২ ২১:২৩513545
  • ইয়াসিম খান আছে। তাতে ন্যারেটিভটা ফিট করবে বুঝি? আর সুরঞ্জন-সুমিতে হবে না? কেন সেটা ভেস্তে যাবে? ওই বালের রমেশ মজুমদার আজকাল অচল হয়ে গেছে। বীণা দাস নিয়ে বাক্যি সরছে না কেন?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ মতামত দিন