এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • মাননীয় ‘ভাইরোলজিস্ট’ অমিতাভ নন্দী, এবং তাঁর ভ্যাকসিন-প্রতিরোধী মাস্ক

    Debasis Bhattacharya লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৯ জানুয়ারি ২০২২ | ৯৫১৫ বার পঠিত
  • চিকিৎসক ও গবেষক অমিতাভ নন্দীর একটি ভিডিও গত কয়েক দিন ধরে সোশাল মিডিয়াতে ব্যাপকভাবে ছড়ানো হচ্ছে (লিঙ্ক পাবেন এ লেখার শেষে)। তাতে তিনি বলছেন, কোভিড আসলে সাধারণ ফ্লু ছাড়া আর তেমন কিছুই নয়, এবং তা আটকাবার জন্য যে ভ্যাকসিনটা দেওয়া হচ্ছে সেটাও অকেজো, কাজেই কোভিড এবং তার ভ্যাকসিন --- কোনওটিকেই নাকি বিশেষ পাত্তা দেবার দরকার নেই। তাঁর মতে, ভ্যাকসিন বানিয়ে ভাইরাস-জাত ব্যাধিকে আটকাবার দাবি করা নাকি আসলে এক রকমের প্রকৃতি-বিরোধী দম্ভ (আবার একেবারে শেষে যদিও বলেছেন, তিনি নাকি ‘সত্যি ভ্যাকসিন’ এর জন্য অপেক্ষা করছেন)। তিনি আরও বলেন, রোগ হয়ে শরীরে ‘স্বাভাবিক’ প্রতিরোধ তৈরি হতে দেওয়াটাই রোগ প্রতিরোধের সবচেয়ে ভাল পন্থা, এবং টিকাকরণের চেয়ে তা অনেক ভাল। সেইহেতু তাঁর সুদৃঢ় পরামর্শ, রোগটিকে অবাধে ছড়াতে দেওয়া দরকার, যাতে করে প্রতিটি ব্যক্তি রোগাক্রান্ত হবার মাধ্যমে ‘স্বাভাবিক’ প্রতিরোধ-ক্ষমতা অর্জন করতে পারেন। আবার, যদিও ভ্যাকসিন জিনিসটাকেই তিনি ভালবাসেন না, তবুও একেবারে শেষে গিয়ে বলেছেন, যে ভ্যাকসিনগুলো দেওয়া হচ্ছে সেগুলো নাকি সত্যিকারের নয়, এত তাড়াতাড়ি ভ্যাকসিন হয়না ---  বছর দশেক অপেক্ষা করলে সত্যিকারের ভ্যাকসিন পাওয়া যেত। বছর দশেক পরে ভ্যাকসিন বানালে কেন যে সেটা আর প্রকৃতি-বিরোধী দম্ভ বলে গণ্য হতে পারত না, সেটা তিনি এ ভিডিও-তে ব্যাখ্যা করে বলেন নি।

    ভিডিও-টি আগে দেখেছি, আজ আরও কয়েকবার মন দিয়ে দেখলাম। এবং, একজন বর্ষীয়ান দায়িত্বশীল চিকিৎসক কীভাবে এমন বলতে পারেন, তা দেখে স্তম্ভিত হলাম। হ্যাঁ, তিনি এখানে যা যা বলেছেন, তার সবই ভুল। নিচে ভুলগুলোর একটা তালিকা বানাই বরং।

    (১) কোভিড রোগের ভাইরাসটি ‘ফ্লু ভাইরাস’-এর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ই বটে, কিন্তু দুটো কোনও মতেই এক না --- কোভিড অনেক বেশি ভয়ঙ্কর। ঠিক যেমনটি, বিগত দুই দশকে যে সমস্ত ছোট ছোট রোগ-সংক্রমণের ঢেউ এসেছে এবং গেছে যেমন ‘সার্স’ ও ‘মার্স’, যাদের মারণ-ক্ষমতা কোভিড-এর চেয়ে বেশি কিন্তু সংক্রমণ-ক্ষমতা অপেক্ষাকৃত কম, তারাও সাধারণ ফ্লু-র আত্মীয় কিন্তু অনেক বেশি মারাত্মক। সম্ভাব্য সমস্ত মাপকাঠিতেই, অর্থাৎ রোগ-লক্ষণ, সংক্রমণ-ক্ষমতা, মারণ-ক্ষমতা, জিন-এর গঠন --- এই সব কিছুতেই সাধারণ ফ্লু-র থেকে কোভিড-এর তফাত পরিষ্কার, এবং বিষয়টি গবেষণায় সুপ্রতিষ্ঠিত। [১]

    (২) কোভিড-এর ভ্যাকসিন কোভিড-১৯ রোগটিকে আটকাতে যথেষ্ট সফল, এবং ভ্যাকসিনের সুফল নিয়ে বিস্তর প্রামাণ্য গবেষণা আছে। আন্তর্জালে সে নিয়ে তথ্য অতিশয় সুলভ। [২]

    (৩) রোগ-সংক্রমণজাত ‘স্বাভাবিক’ প্রতিরোধের চেয়ে এই ভ্যাকসিন-গুলো যে অন্তত পাঁচগুণ বেশি কার্যকর, সেটাও উচ্চমানের গবেষণায় আজ সুপ্রতিষ্ঠিত। [৩]

    একজন বর্ষীয়ান চিকিৎসক ও গবেষক হিসেবে শ্রীনন্দীর নিশ্চয়ই এ সব জানা থাকার কথা। তিনি যদি তা জেনে থাকেন, তাহলে প্রশ্ন ওঠে, জেনেশুনে আমাদেরকে বিভ্রান্ত করার কারণ কী হতে পারে? যদি না তা জেনে থাকেন, তাহলে জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত এমন একটি জরুরি বিষয়ে না জেনে কথা বলাটা বোধহয় তাঁর পক্ষে ঠিক হচ্ছে না। আর, যদি এমনটাই হয়ে থাকে যে, তিনি সবই জানেন, কিন্তু সে সব গবেষণার দাবিকে ভুল বলে মনে করেন, তাহলে সোচ্চারে তা বলতেই পারেন --- সেক্ষেত্রে সেটা বলাটা তো তাঁর কর্তব্যই। কিন্তু, সেক্ষেত্রে তিনি তাদের তথ্য-যুক্তিকে বিস্তারিতভাবে খণ্ডন করে রিসার্চ পেপার লিখুন, সারা পৃথিবীর পণ্ডিতদের সামনে নিজের যুক্তিতর্ককে হাজির করুন, এবং সাধারণ মানুষের কাছেও তাঁর বক্তব্যকে সহজবোধ্যভাবে হাজির করে প্রবন্ধ লিখুন। কিন্তু, এভাবে লোকের আস্থার সুযোগ নিয়ে ভিডিও-তে দুটো উড়ো কথা বলে লোককে বিভ্রান্ত করাটা কী ধরনের দায়িত্বপালননের দৃষ্টান্ত?

    অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হচ্ছে, শ্রীনন্দী যেভাবে ওই ভিডিও-সাক্ষাৎকারে ভ্যাকসিন বাদ দিয়ে স্রেফ স্বাভাবিক প্রতিরোধ-ক্ষমতার ওপর ভরসা রাখতে বলছেন, সেটা শুধু ভুল না, রীতিমত বর্বরোচিত। প্রথমত, স্বাভাবিক প্রতিরোধ ভ্যাকসিনের চেয়ে ভাল --- এই কথাটাই পুরো মিথ্যে, তা যদি হত তাহলে তো আর কোনও ভ্যাকসিনই লাগত না কোনও দিনই। দ্বিতীয়ত, রোগকে প্রতিরোধ না করে চুপচাপ বসে বসে রোগীদের সংক্রমিত হতে দেওয়ার ওই ধরনের প্রস্তাব অতিশয় উন্মত্ত ও অনৈতিক। তৃতীয়ত, ওইভাবে স্বাভাবিক প্রতিরোধের আশায় বিনা চিকিৎসায় মানুষকে ফেলে রাখলে সম্পূর্ণ প্রতিরোধ কবে অর্জন করা যাবে সেটা কেউ জানে না, কিন্তু তার আগে বেশ কয়েক কোটি লোক যে লোপাট হয়ে যাবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। [৪] সেটা যদি ঘটে, তো তার দায়িত্ব কি তিনি নেবেন?

    যেভাবে তিনি বললেন, মরা জীবাণু ঢুকিয়ে ভ্যাকসিন তৈরি হয়, এবং বছর দশেক না হলে কিছুতেই ‘সত্যিকারের ভ্যাকসিন’ তৈরি হয়না (এবং সেইহেতু দ্রুত-আবিষ্কৃত সমস্ত কোভিড ভ্যাকসিনই অকেজো), তাতে প্রশ্ন জাগে, তিনি কি তবে ভ্যাকসিন তৈরির আধুনিক প্রযুক্তি, যেমন ‘mRNA’ প্রযুক্তি, এ সবের কথা কিছুই শোনেন নি? [৫] ভ্যাকসিন কীভাবে অত দ্রুত বানানো গেল, সেটা অনেকের কাছেই পরিষ্কার না। অথচ আসলে এর মধ্যে বিরাট কিছু ধাঁধা নেই, বরং অনেকগুলো বাস্তব কারণ আছে, সেগুলো মোটামুটি এই রকম। (ক) সার্স, মার্স, সাধারণ ফ্লু এবং আরও নানা ধরনের রোগ নিয়ে দীর্ঘদিনের গবেষণার ফলে এই ধরনের ভাইরাস নিয়ে বিপুল তথ্য আগে থেকেই ছিল, সেটা ব্যবহার করায় সময় বেঁচেছে। (খ) সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে সারা পৃথিবীর বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা নিজস্ব 'ট্রেড সিক্রেট'-এর কথা ভুলে গিয়ে অবাধে তথ্য আদান-প্রদান করেছেন, ফলে গবেষণার গতি বেড়েছে বহুগুণ। (গ) সারা পৃথিবীর সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এসে গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ জুগিয়েছে অকাতরে। (ঘ) লাখো মানুষ সারা পৃথিবীর কল্যাণের স্বার্থে স্বেচ্ছায় এগিয়ে এসে পরীক্ষার গিনিপিগ হতে চেয়েছেন, ফলে পরীক্ষাও হয়েছে দ্রুত, এবং ফলাফলও হয়েছে নির্ভরযোগ্য। (ঙ) দ্রুত নিরাপদ এবং কার্যকরী ভ্যাকসিন তৈরির জন‌্য আবিষ্কৃত হয়েছে 'mRNA' প্রযুক্তি। এতে গোটা জীবাণু-টির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে হয়না, শুধু আমাদের শরীরকে জীবাণুর 'স্পাইক প্রোটিন'-টিকে চিনিয়ে দিলেই চলে।

    আর, তিনি 'সত্যি ভ্যাকসিন'-এর জন্য অপেক্ষা করছেন --- এইটা জেনেও খুব অবাক হলাম। উনি তো ভ্যাকসিন ব্যাপারটারই বিরুদ্ধে, তার সত্যি-মিথ্যে নিয়ে মাথাই বা ঘামাচ্ছেন কেন খামোখা? কিছুই বুঝিনি। পাঠকরা কেউ বুঝে থাকলে, অনুগ্রহ করে বোঝাবেন।

    ফেসবুকে এই ভিডিও-টি প্রচার করা হচ্ছে শ্রীনন্দীকে ‘ভাইরোলজিস্ট’ বলে দাবি করে। তিনি কোন প্রতিষ্ঠানে ভাইরোলজি-সংক্রান্ত গবেষণা করেন সেটা জানার অনেক চেষ্টা করেও জানতে পারিনি। তিনি কয়েকটি সংক্রামক এককোষী প্রাণি ও তজ্জাত ব্যাধি নিয়ে গবেষণা করেছেন, সে তথ্য আন্তর্জালে পাওয়া যায়, কিন্তু ভাইরাস নিয়ে আলাদা করে তাঁর কোনও গবেষণার সন্ধান আমি পাইনি, কারুর যদি জানা থাকে অনুগ্রহ করে আমাকে জানাবেন। আমি জানি, এ প্রশ্ন তুললেই তাঁর সমর্থকেরা এসে বলবেন, শ্রীনন্দী আসলে ভাইরোলজিস্ট কিনা সে প্রশ্নের থেকে তাঁর বক্তব্যে যৌক্তিকতা বা সারবত্তা আছে কিনা এইটা বেশি জরুরি প্রশ্ন। এবং, এক্ষেত্রে অন্তত আমি তাঁদের সঙ্গে একমতই হব (তাঁর বক্তব্যে আদৌ যৌক্তিকতা বা সারবত্তা পাইনি যদিও)। কিন্তু আমার প্রশ্নটা হচ্ছে, যাঁরা তাঁর বক্তব্য প্রচার করছেন তাঁরা তাহলে সেটাই বলুন --- উনি ভাইরোলজিস্ট কিনা সেটা বড় কথা না, বরং উনি যে সঠিক কথা বলছেন এটাই বড় কথা। কিন্তু, ওঁরা তো তা করছেন না, বাড়তি গ্রহণযোগ্যতা সৃষ্টি করার জন্য ওঁকে ভাইরোলজিস্ট বলে হাজির করছেন। যদি ভাইরোলজি নিয়ে তাঁর তেমন কোনও গবেষণা না থেকে থাকে, তাহলে ব্যাপারটা নৈতিকভাবে খুব একটা গ্রহণযোগ্য হচ্ছে কি?

    কিন্তু, ভিডিও-টিতে একটি মজার ব্যাপারও আছে। এখানে যে বিষয়টি সবচেয়ে লক্ষণীয় সেটা হচ্ছে এই যে, সারাক্ষণই তিনি সাক্ষাৎকারটি দিলেন মুখে একটি জবরদস্ত মুখোশ ভাল করে এঁটে রেখে। মুখোশ কেন? আইনের ভয়ে, নাকি ‘সাধারণ ফ্লু’-এর ভয়ে? আরও প্রশ্ন জাগে, আইন এবং/অথবা ‘সাধারণ ফ্লু’-এর ভয়ে যদি তিনি মুখোশ পরে থাকেন, তবে কি তিনি ওই একই ভয়ে ভ্যাকসিনের দুটি ডোজও নিয়ে নিয়েছেন ইতিমধ্যে? যদি নিয়ে থাকেন, তাতে আমাদের অত্যন্ত খুশি হওয়া উচিত --- তাঁর মত স্বনামধন্য বর্ষীয়ান চিকিৎসক কোভিডের কবলমুক্ত থাকুন, এটা তো সকলেই চাইবেন।

    কিন্তু, নাঃ! ভিডিও দেখে অন্তত সে ব্যাপারে নিশ্চিত হবার কোনও উপায় নেই! ক্যামেরায় শুধু মুখোশটাই দেখা যায়, অন্য কিছু নয়। আমরা চাইব, তিনি যদি ইতিমধ্যে ভ্যাকসিন না নিয়ে থাকেন, তো এবারে নিয়ে নিন। তিনি ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন।
     
     

    ভিডিও-র লিঙ্ক রইল এখানে। [ https://www.facebook.com/debasis.bhattacharya.79/posts/5174408019250198 ] 
     
     
     
     
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৯ জানুয়ারি ২০২২ | ৯৫১৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • গৌতম সরকার, মালদা, ৩১.০১.২০২২ | 45.249.***.*** | ৩১ জানুয়ারি ২০২২ ২১:১৬503373
  • ভ্যাকসিন এবং কোভিড সংক্রমনের ভয়াবহতা - সবটাই অমিতাভ বাবু বিরুদ্ধে মতামত দিয়েছেন - mRNA নিয়ে কিছু কথা নেই। তাহলে মাস্ক পরে বক্তব্যের কারন? এত যে মানুষের প্রান গেল - সবটাই এতো হালকা? শুধুমাত্র আমাদের রাজ্যেই এতো ডাক্তার স্বাস্থ্যকর্মী অসময়ে চলে গেলেন কোভিড আক্রমনে - সবটাই মূল্যহীন? হতে পারে কোভিডের ভয়াবহতা এই মুহুর্তে কম তাই বলে সবটাই হালকা ভাবে গ্ৰহন করতে হবে? দেবাশীষ বাবু আপনার এই লেখাটা কার কাছে কি বার্তা দেবে আমার জানা নেই - আমার সত্যি ইভালো এবং প্রয়োজনীয় মনে হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
  • জয় | ৩১ জানুয়ারি ২০২২ ২২:২১503378
  • @গৌতম
    এই প্রশ্নটার মীমাংসা হওয়া কেন দরকার? আপনি কি কন্সপিরেসি দেখছেন? আপনি জানেন এদুটির ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হয়নি। তাতে কি প্রমান হয়? আপনি RNA ভাইরাস উল্লেখ করেছেন। এটা কতটা ঠিক RNA ভাইরাসের জিনোম, DNA ভাইরাসের তুলনায় বেশী আনস্টেবল (HPV ভাইরাস DNA ভাইরাস- এর জিনোম খুব স্টেবল, মানুষ এ পৃথিবীতে যতদিন তারও বেশী সময় এই জিনোমের কোন মিউটেশন হয়নি- তাই এর ভ্যাকসিন এত সফল হবে বলে আশা, সে কারনেই সারভাইক্যাল ক্যানসার , এই প্রথমবার কোন ক্যানসার এরাডিকেশনের সুযোগ এসেছে) বেশী মিউটেশন হয়, সেকারণে ভ্যাকসিন বানানো কঠিন কিন্তু অসম্ভব নয়।
    ১) HIV ভ্যাকসিন রিসার্চ চলছে। আশা আছে হয়ত বেরিয়ে যাবে। খান তিনেক বেরিয়েছিল- দুটো তিনটে ট্রায়াল চলছে এখন। করোনা প্যান্ডেমিকের সময় অনেক ল্যাব HIV রিসার্চ থেকে কোভিড ভ্যাকসিনে চলে এসেছে। প্যান্ডেমিকের চাহিদা। অবশ্যই পয়সা একটা বড় ব্যাপার। আজ কোভিড ইউরোপ আমেরিকাকে কাবু না করলে কোভিড ভ্যাকসিনও হয়ত এত তাড়াতাড়ি বেরত না। ইবোলা, জিকা এ সব ভাইরাসের ভ্যাকসিন বানানো সম্ভব, কিন্তু প্যান্ডেমিক নেই বলে, কেউ টাকা ঢালছে না বলে ভ্যাকসিন বানানো যাচ্ছে না।
    ২) যেহেতু HIV খুব মিউটেট করে, এর ভ্যাকসিন রিসার্চটা খুব শিক্ষনীয়, অন্যান্য মিউটেবল ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারে।
    ৩) অ্যান্টি রেট্রোভাইরাল থেরাপী (ART) খুবই এফেক্টিভ। ভাইরাল লোড কমায় সাকসেসফুলি। ইমিউনিটির পক্ষে উপকারী cd4 কাউন্ট বাড়ায়। ভ্যাকসিন বানানোর ড্রাইভ কমতে বাধ্য। একই যুক্তি hepatitis C এর ক্ষেত্রে। 
    ৪) HIV, hepatitis C দুয়েরই ট্রান্সমিসন কিভাবে হয় আমরা জানি, তাই প্রিকশন নেওয়া সুবিধে ট্রান্সমিসন কমাতে। কমছেও।
    কোভিড ভ্যাকসিন শেষ কথা নয়। এটা একটা টুল। লক ডাউন না করার। ইকোনমি খুলে দেবার। হসপিটালের ওপর চাপ কমাবার। 
    একই ভাবে মাস্ক, স্যানিটাইসার, সোসাল ডিস্টান্সিং, ইনফেকসনের রাপিড টেস্টিং, কোয়ারান্টাইন এবং কনট্যাক্ট ট্রেসিং অন্যান্য পাবলিক হেল্থ মেজারস।
    কিছু এফেকটিভ সাপোর্টিভ ট্রিটমেন্ট, অ্যান্টিভাইরাল ট্রিটমেন্ট বেরিয়েছে। ভবিষ্যতে আরো ট্রিটমেন্ট আসবে। ভ্যাকসিনও ইভল্ভ করবে। 
    হয়ত সরকার স্বাস্হ্য নিয়ে হয়ত বেশী ভাববে/ যুদ্ধ নিয়ে কম। 
    হয়ত মানুষ বিজ্ঞানে বিশ্বাস করবে বেশী/ গোমূত্র-রামদেবে কম। 
    প্রশ্ন করা অবশ্যই উচিত। সেটা অল্প সংখ্যক মানুষের হলেও। সংখ্যাগরিষ্ঠের ভাবনা চ্যালেন্জ করার জন্যই আজ আমরা জানি পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘোরে, জার্ম থিওরি বলে ব্যাকটেরিয়ার জন্য রোগ হয়, DNA জেনেটিক কোড বয়। তবে মনটাকে খোলা রাখা দরকার- প্রিকনসিভড কোন নোশন থাকলে সত্য ধরা দেবেনা।
  • জয় | ৩১ জানুয়ারি ২০২২ ২২:২৫503379
  • hepatitis C নিয়ে s আগেই লিখেছেন।
     
    @s- ধন্যবাদ।
  • Somenath Guha | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০০:৪৪503388
  • কিছু মনে করবেন না, আপনি কি ভাইরোলজিস্ট? আমার এবার জ্বর হলো, ক্যালপল আর এনটি বায়োটিক খেয়েই তো সাত দিনে সেরে গেল। সাধারণ ফ্লুই তো মনে হলো?
  • Commie cockroaches | 217.138.***.*** | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০০:৪৯503389
  • To Somnath Guha,
    না, এরা ভাইরোলজিস্ট-টজিস্ট কিচ্ছু না। এরা just low grade এর দালাল। উপর থেকে যা বলতে বলা হয়, এরা সেটাই আউড়ে দেয়।
  • জয় | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০১:৩৬503390
  • @ সোমনাথবাবু
    সুস্থ হয়েছেন শুনে খুব খুশী হলাম। আমি ভাইরোলজিস্ট নই। আমি লো লেভেলের দালাল আর অবসর পেলে ক্যানসার সার্জারি করি। ভাইরোলজিস্ট হবার দরকার কি? আপনি আমি সবাই জানি বেশীর ভাগ সুস্হলোকের ক্ষেত্রে কোভিড ফ্লুএর মতো। আমি জানি না আপনার বয়স কত  ওজন বা কোন কোমরবিডিটি আছে কিনা। অ্যান্টিবায়োটিকও লাগা উচিত নয়। তা আপনি ভ্যাকসিন কেন নেবেন? ভাইরোলজিস্ট না হয়ে আমি আপনি জানি ভ্যাকসিন নিলে আপনার যদি কোন রিস্ক ফ্যাক্টর থাকে তাহলে বাড়াবাড়ি হওয়ার চান্স কম হত। আপনি আপনার অসুস্থ বয়স্ক আত্মীয়কে ভাইরাস ট্রান্সমিট করবেন না। ভাইরোলজিস্ট না হলেও আপনি আমি জানি ভ্যাকসিন নেওয়ায় আপনি কোরনা ভাইরাসকে মিউটেট হবার জন্য আরো কম সুযোগ দেবেন। শুধু নিজের জন্য নয়, এই লো লেভেল দালাল এবং আরো সবার জন্য পৃথিবীটাকে আরেকটু নিরাপদ করবেন। যাতে আর লকডাউন না হয়। যারা দিন আনে দিন খায় তাদের পেটে লাথি না পড়ে।
     
    না ভাইরোলজিস্ট নই। আমি আমার ডাক্তারির বাইরে বহু ভ্যাকসিন ক্যাম্প করেছি। দেখুন এ প্যান্ডেমিক কেটে যাবে। আমি যদি বেঁচে থাকি (আমার নিজের বাওয়েল ক্যানসার কেমোথেরাপী চলছে)  তাহলে আমার মেয়েকে গর্ব করে বলতে পারব মানুষের বিপদের সময় আমি আমার দায়িত্বটুকু পালন করেছিলাম।
  • Abhyu | 47.39.***.*** | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০১:৫৮503391
    • Somenath Guha | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০০:৪৪503388
    • কিছু মনে করবেন না, আপনি কি ভাইরোলজিস্ট? আমার এবার জ্বর হলো, ক্যালপল আর এনটি বায়োটিক খেয়েই তো সাত দিনে সেরে গেল। সাধারণ ফ্লুই তো মনে হলো?
    অন্য প্রসঙ্গ। লেখার ধরণে মনে হচ্ছে ডাক্তার না দেখিয়ে (কারণ ডাক্তার দেখালে নিশ্চয়ই কোভিড টেস্ট করাতে হত) নিজে নিজেই অ্যান্টিবায়োটিক খেয়েছেন। এটা ঠিক না। 
  • Cockroaches | 82.102.***.*** | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০২:০৩503392
  • "আপনি আপনার অসুস্থ বয়স্ক আত্মীয়কে ভাইরাস ট্রান্সমিট করবেন না। ভাইরোলজিস্ট না হলেও আপনি আমি জানি ভ্যাকসিন নেওয়ায় আপনি কোরনা ভাইরাসকে মিউটেট হবার জন্য আরো কম সুযোগ দেবেন। শুধু নিজের জন্য নয়, এই লো লেভেল দালাল এবং আরো সবার জন্য পৃথিবীটাকে আরেকটু নিরাপদ করবেন।"
     
    এই সব মিথ্যে কথাগুলো আর কতদিন বলবেন?
     
    এই নিন, Lancet এ published হওয়া paper: https://www.thelancet.com/journals/laninf/article/PIIS1473-3099(21)00768-4/fulltext
     
    এই নিন, আপনার সুবিধের জন্য quote করে দিলাম: "This study showed that the impact of vaccination on community transmission of circulating variants of SARS-CoV-2 appeared to be NOT significantly different from the impact among unvaccinated people."
  • lcm | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০২:২৪503393
  • আহা! ওরকম দুম করে মাঝখান থেকে একটা লাইন পড়লে বোঝা যায় নাকি! ঠান্ডা মাথায় পড়তে হবে।

    ল্যান্সেটের আর্টিকল এর এই যে লিংকটা দিলেন তার প্রথম বাক্যটি পড়ুন -

    Vaccine effectiveness studies have conclusively demonstrated the benefit of COVID-19 vaccines in reducing individual symptomatic and severe disease, resulting in reduced hospitalisations and intensive care unit admissions.

    দেখুন তাহলে কি বলছে প্রথম লাইনে?

    বলছে "conclusively demonstrated the benefit ... " - তার মানে কি? তার মানে ভ্যাক্সিনের উপকারিতা নিয়ে এই আর্টিকলে কোনো সন্দেহ নেই। ভ্যাক্সিন নিলে হাসপাতালে ভর্তি হবার বা পটল তোলার চান্স যে অনেক কম সে নিয়ে এই আর্টিকল নিশ্চিত।

    তার কিছু পরে লিখেছে আপনি যে বাক্যটি কাট-পেস্ট করেছেন।

    সেটির মানে কি? তার মানে, ভাইরাস ছড়ানো, অর্থাৎ স্প্রেড থ্রু ট্রান্সমিশন - সেটি যারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন আর যারা ভ্যাক্সিন নেন নি - তাদের মধ্যে বিশেষ তফাৎ দেখা যাচ্ছে না।

    ভাইরাস আসতে পারে শরীরে, এক শরীর থেকে অন্যের শরীরে যেতে পারে, ভাইরাস স্প্রেড করতে পারে, কিন্তু ভ্যাকসিন নিলে ভাইরাস আক্রমণে কাবু হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হবার সম্ভাবনা কম। যেটা এখন হচ্ছে। লক্ষ লক্ষ মানুষের ওমিক্রন হয়েছে, কিন্তু ভ্যাক্সিন নিয়ে থাকার দরুন, তাদের সেরকম অবস্থা হয় নি যে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। কয়েকদিনের মধ্যে সেরে যাচ্ছে।

    এবং অন্য সমীক্ষায় দেখা (ইউএসএ) গেছে, ওমিক্রনে যারা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ক্রিটিকাল কন্ডিশনে রয়েছেন তাদের ৯১% ভ্যাকসিন নেন নি।

    তাহলে কি বোঝা যাচ্ছে?

    বোঝা যাচ্ছে যে ভ্যাকসিন নেওয়ার মানে এই নয় যে ভাইরাস শরীরে আসবে না বা ছড়াবে না, ভাইরাস আসতে পারে, কিন্তু শরীরকে সাংঘাতিক রকমের কাবু করতে পারবে না। যেমন ফ্লু ভ্যাকসিন এর ক্ষেত্রে বা অন্যান্য ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে হয়।

    ভাইরাস ছড়ানো আটকাতে গেলে অন্য জিনিসগুলো করতে হবে - হাত ধোয়া, মুখে মাস্ক, দূরত্ব বজায় রাখা ইত্যাদি।

    তো এই বেসিক ব্যাপারগুলো তো একটু বুঝতে হবে। মন দিয়ে ঠান্ডা মাথায় কোথায় কি বলছে পড়তে হবে। নইলে একটি দুটি লাইন এদিক ওদিক থেকে নিলে তো বোঝা যাবে না।
  • জয় | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০২:৩১503394
  • @ যুক্তি বাদ বাবু
    আপনি এটা আপনি কি করলেন? যুক্তিটাই বাদ দিয়ে দিলেন? দেখুন আপনি যুক্তিবাদী মানুষ। FDAকে ভরসা করেন। আপনি ভ্যাকসিন সাপোর্ট করবেন  কেন? 
    ১) পলিটিকোর যে লিঙ্ক আপনার তথাকথিত বন্ধুরা আপনাকে না পড়েই ফরোয়ার্ড করেছে তা কি ঘাপলা আছে। ১৭ই সেপ্টেম্বর রবিবার- পলিটিকো বলেছে FDA৬৫বছেরের ওপরে সবার জন্য সিঙ্গল সট ফাইজার বা মডার্না ভ্যাকসিন বুস্টার অ্যাপ্রুভ করেছে। ঠিক বলছি? এতে আপনার আপত্তি নেই তাহলে।
    ২) পলিটিকো আরো বলছে FDAবুস্টার অ্যাপ্রুভ করেছে ১৮-৬৫ বছর বয়সীদের জন্য যারা হাই রিস্ক তাদের জন্য। ঠিক? 
    ৩) পলিটিকো একবারও বলেছে ঘাপলা হয়েছে। ওটা আপনার কল্পনাবিলাসী বন্ধুদের ঢপ। পলিটিকো লিখেছে এর ফলে বাইডেনের ইউনিভার্সাল বুস্টারের প্ল্যান ধাক্কা খাবে।
    ৪) FDAর ১৭ই সেপ্টেম্বরের অ্যাডভাইস দেখুন। একদম সেই কথা। নো ঘাপলা। https://www.fda.gov/news-events/press-announcements/coronavirus-covid-19-update-september-17-2021
    CDCর ২৪ সে সেপ্টেম্বর প্রেস রিলিজ দেখুন। https://www.cdc.gov/media/releases/2021/p0924-booster-recommendations-.html
    আপনার বন্ধুরা কি এই ওয়েবসাইট দেখতে পারত না। অবশ্যই পারত। শুধু শুধু বুডো রুগীটাকে খাটালেন।
    ৫) এবার টুইস্টটা দেখুন। দুমাস পরে নতুন এভিডেন্সের ওপর ভিত্তি করে ১৯ শে নভেম্বর FDAসবার জন্য বুস্টার অ্যাপ্রুভ করল।
    আপনার বন্ধুরা বলবেন বাইডেন চাপ দিয়েFDAকে বদলে দিয়েছে। আমি বলবেন তোরা থাম সবেতেই কনস্পিরেসি দেখিস।CDCকি বলছে। ২৯শে নভেম্বর ১৮ বছরের ওপরে সবার জন্য বুস্টার অ্যাপ্রুভ করল।
     
    দেখুন  আমার কোন দায় নেই FDA/CDC/ বাইডেন কি বলল না বলল- যতই না ওদের লো লেভেল দালাল হই। শুধু দেখালাম আপনার বন্ধুরা যে লিঙ্ক ফরোয়ার্ড করেছে তাতে তারা পুরো সত্যিটা বলেনি। 
    যুক্তি বাদ বাবু ভালো থাকবেন। সাবধানে থাকবেন।
     
     
  • Cockroaches | 89.36.***.*** | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০২:৪৫503395
  • "বোঝা যাচ্ছে যে ভ্যাকসিন নেওয়ার মানে এই নয় যে ভাইরাস শরীরে আসবে না বা ছড়াবে না, ভাইরাস আসতে পারে, কিন্তু শরীরকে সাংঘাতিক রকমের কাবু করতে পারবে না। যেমন ফ্লু ভ্যাকসিন এর ক্ষেত্রে বা অন্যান্য ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে হয়।"

    আপনারা যুক্তিবাদী তো, তাই উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপানোর একটা সহজাত ক্ষমতা আছে, কারণ তাতে তর্কে জিততে সুবিধে হয়।

    শুনুন, ছোট ছোট করে ভেঙে ভেঙে বলছি, তাতে যদি বুঝতে একটু সুবিধে হয়।

    "জয়" এর বক্তব্য ছিল vaccinated রা virus ছড়ায় না, unvaccinated রা virus ছড়ায়।

    "জয়" এর বক্তব্য, সেইজন্য সবার vaccine নেওয়া উচিত।

    Lancet এর article টা এই দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছে।

    Vaccinated রা hospitalised হবে কিনা তা নিয়ে কোন কিছু বলা হয় নি। কারুর যদি hospitalised হওয়ার ভয় থাকে, তিনি গিয়ে 10 টা vaccine নিতে পারেন, তার সঙ্গে অন্য কে vaccine নিচ্ছে বা না নিচ্ছে তার কোন সম্পর্ক নেই।
  • lcm | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৩:০২503396
  • কিন্তু, ভ্যাকসিন নিলে যে ভাইরাস কম ছড়ায় সেটা তো বটেই, এবং খুবই সহজ ব্যাপার, ঠিক মেডিক্যাল সায়েন্সের জটিল ব্যাপারও নয়, স্বাভাবিক বুদ্ধি দিয়ে দেখলেও সহজবোধ্য। এ নিয়ে কোভিডের শুরুর দিকে অনেক প্রোগ্রাম হয়েছে, টিভিতে দেখিয়েছে, মিডিয়ায় এসেছে।

    তো দেখুন ব্যাপারটা এরকম।

    ধরুন, দুজন মানুষ। একজন ভ্যাকসিন নিয়েছেন, আর একজন নেন নি। কাজকর্মের সূত্রে দুজনেই ঠিক আইসোলেটেড নন, বিভিন্ন কাজে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে মেশেন।

    এবার ধরা যাক, দুজনেরই শরীরে ভাইরাস এল, শুরুর কিছু দিন তেমন কোনো সিমপ্টম নেই, যেটা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হয়।

    এবার, যিনি ভ্যাকসিন নিয়েছেন তিনি জানেনও না যে তার শরীরে ভাইরাস এসেছে, তিনি অনেক মানুষের সঙ্গে মিশছেন এবং ভাইরাস ছড়াচ্ছেন। কিন্তু ভ্যাকসিন নিয়ে থাকার দরুন দেড় দিনের বেশি তার শরীরে ভাইরাস বাসা বাঁধতে পারে নি।

    এবার, যিনি ভ্যাকসিন নেন নি, তিনিও জানেনও না যে তার শরীরে ভাইরাস এসেছে, তিনিও অনেক মানুষের সঙ্গে মিশছেন এবং ভাইরাস ছড়াচ্ছেন। এবং ভ্যাকসিন না নিয়ে থাকার দরুন তার শরীরে ভাইরাস ভালো করে জাঁকিয়ে বসল। এক দেড় সপ্তাহ পরে যখন তিনি বুঝলেন যে তার শরীরে ভাইরাস এসেছে বা টেস্ট করে পজিটিভ দেখলেন, ততক্ষনে তিনি অনেক অনেক মানুষকে ছড়িয়ে দিয়েছেন (অন্য জনের তুলনায়)।

    একেই বলে কম্যুনিটি স্প্রেড। খুব বেসিক ব্যাপার কিন্তু। তেমন জটিল সায়েন্স কিছু নয়।

    তো এই বেসিক ব্যাপারগুলোতে গুলিয়ে গেলে তো চলবে না।

    মন দিয়ে ব্যাপারগুলো বুঝতে হবে।
     
  • Abhyu | 47.39.***.*** | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৩:০৫503397
  • আপনি ভ্যাকসিন নিলে আপনি হাসপাতালে যাবেন না, আমি ভ্যাকসিন না নিলে আমি হাসপাতালে যাব তাতে আপনার বলার কী আছে - এই যুক্তিটা চলবে না কারণ আনভ্যাকসিনেটেড লোক হাসপাতাল ভরে দিলে অন্য লোকের চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হয়। আমেরিয়ায় এখন এটাই হচ্ছে।

    এই জন্যেই সবার ভ্যাকসিন নেওয়া দরকার।
  • Cockroaches | 80.189.***.*** | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৩:১৩503398
  • "একেই বলে কম্যুনিটি স্প্রেড। খুব বেসিক ব্যাপার কিন্তু। তেমন জটিল সায়েন্স কিছু নয়।
    তো এই বেসিক ব্যাপারগুলোতে গুলিয়ে গেলে তো চলবে না।"
     
    আপনি এত জানেন, এত বোঝেন, এত গোলান, তাহলে এবার ওই paper টাও পড়ে ফেলুন। তাহলে মনে হয় বুঝতে পারবেন যে ওই researcher রা দেখিয়ে দিয়েছেন যে community spread এ vaccinated আর unvaccinated এর কোন তফাত নেই।
     
    আরে এটা vaccine হলে তো তফাত থাকবে।
  • s | 100.36.***.*** | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৩:১৬503399
  • গৌতম ১৮ঃ২৪,
    এই যে দেখুন এইডসের ভ্যাক্সিন ট্রায়ালের খবর - প্রথম mRNA টেকনোলজি ইউজ হচ্ছে।
    https://www.cnn.com/2022/01/31/health/moderna-mrna-hiv-vaccine/index.html
    কিন্তু হায়, এই ট্রায়লেও বিল গেট্স।
  • Cockroaches | 80.189.***.*** | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৩:১৭503400
  • "আপনি ভ্যাকসিন নিলে আপনি হাসপাতালে যাবেন না, আমি ভ্যাকসিন না নিলে আমি হাসপাতালে যাব তাতে আপনার বলার কী আছে - এই যুক্তিটা চলবে না কারণ আনভ্যাকসিনেটেড লোক হাসপাতাল ভরে দিলে অন্য লোকের চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হয়। আমেরিয়ায় এখন এটাই হচ্ছে।

    এই জন্যেই সবার ভ্যাকসিন নেওয়া দরকার"
     
    Smoker, যারা exercise করে না, drug addicts, obese, এদের আগে healthcare refuse করুন, তারপর আপনার fake argument শুনবো। Covid আসার আগে এরা আপনার hospital bed নিচ্ছেল না? তখন ক বার আন্দোলন করতে পথে নেমেছিলেন?
  • Abhyu | 47.39.***.*** | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৩:২৩503401
  • কোভিডের কারণে কতো নর্ম্যাল প্রসিডিওর বন্ধ আছে হাসপাতালে, লোকে বেড পাচ্ছে না - এটা তো খুবই কমন। এই পরিস্থিতি কোভিডের আগে ছিল না।
  • s | 100.36.***.*** | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৩:২৪503402
  • যুক্তি বাদ,
    আপনি নিজে কখনো FDA অ্যাড্ভাইসারি কমিটি মিটিং পুরো ফলো করেছেন? এগুলো সব পাবালিক, মানে যে কেউ ইচ্ছে করলেই দেখতে পারে। পরের মুখে ঝাল না খেয়ে একবার দেখবেন নাকি? এই যে ১৭ সেপ্টেম্বরের মিটিং লিংক -
    https://www.fda.gov/advisory-committees/advisory-committee-calendar/vaccines-and-related-biological-products-advisory-committee-september-17-2021-meeting-announcement
    পুরোটা মন দিয়ে দেখুন তো কি সিদ্ধান্তে আসা যায়?
    একটা কথা আগেই বলে রাখছি - এই মিটিং গুলো কিন্তু প্রচন্ড বোরিং। পয়সা না পেলে আমি অন্তত দেখবো না।
  • s | 100.36.***.*** | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৩:৩০503403
  • কয়েকদিন আগে বস্টনে এক হাসপাতালে ভ্যাকসিন না নেওয়ায় এক্জন হার্ট ট্রান্সপ্লান্ট পেশেন্টকে প্রায়োরিটি লিস্ট থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্মোকারদের যেমন হার্ট বা লাং ট্রান্স্প্লান্টের তালিকায় রাখা হয় না। তবে ৪১ বছরের সেই পেশেন্ট অবশ্য জানিয়েছেন তিনি যতদিন বেঁচেছেন নিজের ইচ্ছেয় আর মরবেন ও নিজের ইচ্ছেয়। কিন্তু ভ্যাকসিন নেবেন না।
    এখানে ডাক্তারদের নার্সদের মধ্যে আস্তে আস্তে কমপ্যাশনেট ফ্যাটিগ আসছে। কতদিন আর কমপ্যাশনেট থাকা যায়!
  • জয় | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৩:৫৫503404
  • @cockroachesবাবু
    আপনি কোন কারণে খুব রেগে আছেন। আমি স্বীকার করছি ল্যানসেটের এই আর্টিকেলটা পড়িনি। ধন্যবাদ রেফার করার জন্য। তবে এই আর্টিকেলটা যার স্টাডির ওপর সেই ডঃ আনিকা সিঙগানায়াগমের ইম্পিরিয়াল কলেজের গতবছরের একটা স্টাডি পড়েছিলাম। তাতে কিন্তু হাউসহোল্ড কনট্যাক্ট ইনফেকসন রেট ভ্যাকসিনেটেড গ্রুপে কম ছিল। দুটো পেপার পড়ে কাল লিখব। ডেল্টা ইনফেকসন রিসার্চ ডেটাকে স্কিউ করছে কিনা, আনভ্যাকসিনেটেড গ্রুপ কম বয়েসী- রিসার্চে ওরা এজটাকে দেখেছে কিনা ইত্যাদি।
     
    তবে এটা নিশ্চিত কোন পেপারই বলবে না - এটা ভ্যাকসিনই না। একই পেপার সিলেক্টিভলি ইন্টারপ্রিট করছেন!
     
    ভালো থাকবেন।
  • lcm | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৩:৫৬503405
  • ঐ ল্যান্সেট আর্টিকলের সারাংশটির শেষে কি লিখেছে একটু ঠান্ডা মাথায় দেখা যাক,

    "Thus, the current evidence suggests that current mandatory vaccination policies might need to be reconsidered, and that vaccination status should not replace mitigation practices such as mask wearing, physical distancing, and contact-tracing investigations, even within highly vaccinated populations."

    তাহলে, এই ল্যান্সেট আর্টিকলে মোদ্দা কথা কি বলছে?

    সত্যিই কি এখানে বলছে যে ভ্যাকসিন নেবেন না - একবারের জন্য সেকথা লেখে নি।

    বলছে যে, শুধু ম্যান্ডেটরি ভ্যাকসিনেশন পলিসি দিয়ে স্প্রেড থামানো যাবে না, তার সঙ্গে অন্যান্য জিনিস যেমন, মাস্ক পরে থাকা, ফিজিক্যাল ডিস্ট্যান্সিং, কনট্যাক্ট ট্রেসিং - এগুলোও চালিয়ে যেতে হবে।

    ভ্যাকিসন নিলেই সেই স্ট্যাটাস দিয়ে মাস্ক পরা বা ফিজিক্যাল ডিস্ট্যান্সিং এর মতন মেজারগুলো রিপ্লেস কর ঠিক হবে না।

    তো, এ কথাটা - বহু জায়গায় বহু বিজ্ঞানী এবং মেডিক্যাল স্যান্টিস্টরা বলে আসছেন। নতুন কিছু নয়।

    (দ্রঃ পুরো আর্টিকলটা পাচ্ছি না, মোট বোধহয় ১৮ পাতার )
  • lcm | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৪:০০503406
  • ওহ! জিও !! ককরোচ শেষে লিখেছেন ---
    "... আরে এটা vaccine হলে তো তফাত থাকবে।.. "

    অর্থাৎ, প্রাকারান্তরে উনি মেনে নিচ্ছেন যে ভ্যাক্সিনেটেড হলে তফাৎ থাকবে। ব্যস! ককরোচ এইটুকু মেনে নিয়েছেন! এতেই হবে। এতটা টাইপিং মাঠে মারা যায় নি। যাই, এবার একটু আপিসের কাজ করি গিয়ে।
  • জয় | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৪:০৮503407
  • আরে আপনি নরইচে? দারুন শহর। আমি নরফোক অ্যান্ড নরইচ হসপিটালে বহু বছর আগে কাজ করেছিলাম। দ্য প্লান্টেশনে থাকতাম। থাকতে  থাকতে ক্যানারীদের সাপোর্ট করতে শুরু করেছিলাম। প্যান্ডেমিকটা কমুক- নরফোক ব্রডসে যাব ভাবছি।
  • S | 2a0b:f4c0:16c:16::***:*** | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৪:২১503408
  • ওবেসিটি আর ড্রাগ অ্যাডিকশান তো ইটসেল্ফ রোগ। সেগুলোর সাথে এক্সেরসাইজ না করা বা স্মোকিং এর পার্থক্য আছে। ইনফ্যাক্ট বহু ইন্সিওরেন্স কোম্পানি স্মোকিং , অ্যালকোহল কনজিউম করলে, বা বোধয় ড্রাগস নিলে প্রিমিয়াম বাড়িয়ে দেয়। আমাকেই বোধয় একবার ডিসক্লোজ করতে হয়েছিল কোথায় একটা।

    ওবেসিটি, ড্রাগ অ্যাডিকশান, স্মোকিং এগুলোর বিরুদ্ধে রেগুলার ক্যাম্পেইনিং এবং কাজ চলছে। ফেডারাল ফান্ডিং এ।
  • Amit | 121.2.***.*** | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৪:৪২503409
  • আরে ভাই যারা এক্সারসাইজ করেনা তাদের নিয়ে আবার টানাটানি কেন ? তারা আবার কার পাকা ধানে মই দিল ? বলে গিয়ে এতদিন ধরে অনেক যত্নে ভুঁড়িটা বানিয়েছি। 
  • dc | 122.164.***.*** | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৭:৫১503412
  • আচ্ছা বিল গেটসের দালালি কিভাবে করা যায়? বছরে যদি মাত্র এক কোটি টাকা দিতো তো মনের সুখে লো লেভেলের দালালি করতাম। 
  • &/ | 151.14.***.*** | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৭:৫৩503413
  • বলা যায় না, হাই লেভেলের দালালি করলে বছরে ত্রিশ কোটি দেয় হয়তো। হাই লেভেলটাই ট্রাই করুন। ঃ-)
  • বিশ্ব | 2001:4ba0:fffe:5::***:*** | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৮:০৩503414
  • কনস্পিবাজেরা সবকিছুতেই ঘাপলা খুঁজে বেড়ায়। এরা গুজরাট দাঙ্গার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে দায়ি করে, কোর্টে উলটো প্রমাণ হলেও মানবে না। নোটবন্দি, পিএম কেয়ার্স ফান্ড এগুলোর পেছনেও অসাধু উদ্দেশ্য দেখে বেড়ায় এই আরবান নকশালগুলো।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে প্রতিক্রিয়া দিন