এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • কেডা বানাইব রাজহংসের মুখ? --নাটক

    Manali Moulik লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৪ আগস্ট ২০২৫ | ১৬ বার পঠিত
  • পর্ব ২
                                      ||২||
    [মুক্তবার্তা প্রেসের অফিস। গৌতম একমনে টেবিলে কাজ করছেন। একটু দূরের দুটি চেয়ারে বসে রয়েছে সত‍্যকাম ও চৈতালী ]
     
    চৈতালী  :   স‍্যার, মি. বসাক বলছিলেন যে এবারের শারদীয়া মুক্তবার্তায় নাকি একটা চমক থাকতে চলেছে।
     
    গৌতম :  তাই নাকি? কই, জানি না এখনো পর্যন্ত। 
     
    সত‍্যকাম :  আমিও সেটাই ভাবছি।  সাধারণত,  আমাদের শারদীয়া সংখ‍্যায় একটা বড়ো প্রাপ্তি থাকে আপনার লেখা। এবার দেখা যাক, কী ব‍্যাপার! 
     
    গৌতম :    'সম্পাদকের কথা '  তো প্রতি সংখ‍্যাতেই বাধ‍্যতামূলক। এতে আবার প্রাপ্তির কী হলো? 
     
    সত‍্যকাম :  স‍্যার, বসাকবাবু জানেন যে আজকাল কোনো পত্রিকা চালাতে গেলে সবধরনের পাঠকের কথা মাথায় রাখতে হয়। নজরটা তাই থাকে সেলিব্রিটিদের খুটিনাটির উপর।  সেরকমভাবে চললে -- কিছুই না, প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকা যায় আর কি! 
     
    গৌতম : অর্থাৎ বলতে চাও, পত্রিকা হলো আলু-পটল, ইলেক্ট্রনিকস্ বা রিয়েল এস্টেটের মতো ব‍্যবসা? সেজন‍্য বাণীকে বানরী হতে হবে? 
     
    চৈতালী  :  এ বাবা, রাগ করছেন কেন স‍্যার? যেটা সত‍্যি সেটা তো মানতেই হবে। In fact, এখন সেলিব্রিটিরা কী খেতে ভালোবাসেন, কোন্ ভঙ্গীতে আবীর ছড়িয়ে দেন, দুপুরে খাওয়ার পর মৌরী নাকি জোয়ান খান -- এগুলোও পত্রিকার মাইলেজ বাড়াতে পারে  ।             (হাসি) 
     
    [হন্তদন্ত হয়ে বরেন্দ্র বসাক ঢোকেন। ঈষৎ মেদবহুল চেহারা, পরণে দামী পোশাক]   
     
    বরেন্দ্র  : সুপ্রভাত, প্রাতঃপ্রণাম, গুড মর্ণিং। 
     
    গৌতম :  গুড মর্ণিং। বসুন। 
     
    বরেন্দ্র  : আর বসা ! বসাক বাড়ির ছেলেরা কোনোদিন বসে না। বুঝলেন?  বিজ্নেসগুলো সামলাতে গিয়ে জান কয়লা হচ্ছে। দম নেব একটু?  
     
    গৌতম  :  Sure.  নিন।    ( উঁচুস্বরে  :  হরি, চা নিয়ে এসো)
     
    বরেন্দ্র : হ‍্যাঁ, মানতে হবে মশাই, মুক্তবার্তা আপনার হাতে দৌড়চ্ছে। কাগজ একটা চালাতে গেলে এ মার্কেটে, বুঝলেন, সবরকম পাবলিকের কথা মনে রাখতে হয়। যা হোক, শারদীয়া মুক্তবার্তার কাজ এগোচ্ছে তো? 
     
    গৌতম : হ‍্যাঁ সবই চলছে ঠিকঠাক। 
     
     
    [ হরি ট্রে ও চায়ের কাপ হাতে নিয়ে ঢোকে। চৈতালী উঠে টেবিল থেক‍ে কিছু আনতে যায়।]
     
    বরেন্দ্র :  লেখা selection তবে সব তৈরী? দেখুন মশাই, রেপুটেড লেখকদের উপর..বুঝলেন, ভরসাটাই আলাদা। মধুছন্দবাবুর এবারের উপন‍্যাসটা পড়েছেন?
     
    গৌতম :  তুরঙ্গমীর প্রতিশোধ? 
     
    বরেন্দ্র  :  অ‍্যাই...ঠিক ধরেছেন। এরকম সাহসী লেখক কতোজন হয় বলুন দেখি? যেমন গল্প, তেমন বর্ণনা...আহা! 
     
    [   চেয়ারে ঠেস দিয়ে বসেন]
     
           [বিশেষ গুরুত্ব না দিয়ে গৌতম আবার কাজে ডুবে যান] 
     
    বুঝলেন, অত‍্যাচারী রাজা যেমন হিংস্র তেমনই দুশ্চরিত্র। ভিনরাজ‍্যের কন‍্যাকে অপহরণ করে আনলেন আর মেরে ফেললেন তার প্রিয় সাদা ঘোড়টাকে।
     
    গৌতম : (বিরক্তভাবে)      পড়েছি, পড়েছি।
     
    বরেন্দ্র : শুনুন তো! এবার সেই কন‍্যাকে বলপ্রয়োগকালে ওই ঘোড়াটির প্রেতাত্মার পদাঘাতে রাজার মৃত‍্যু। বর্ণনা, শব্দচয়ন-- মানে যাকে বলে প্রাচীনত্ব, আদিক্রিয়া গুলে খাওয়া ভদ্রলোকের। বুঝলেন?
     
    [ গৌতম হঠাৎ প্রচন্ড কাশতে শুরু করেন] 
     
    সত‍্যকাম :  স‍্যার...ঠিক আছেন?  
                                [পিঠে হাত রেখে সাহায‍্যের চেষ্টা করে]
    [  কাশি থামাতে জলের গ্লাস টেনে নেন গৌতম] 
     
    গৌতম :  Sorry, খুব বমি পেয়ে যাচ্ছিলো হঠাৎ। 
     
    বরেন্দ্র :  অ‍্যাই মরেছে! জন্ডিস হচ্ছে শুনছি আজকাল। জল খান বেশী করে, বুঝলেন?   আপনি পড়লেই এখন হয়েছে আর কি ! 
     
    গৌতম (স্বগত)  : জল? 
                  এখানে জল নেই, শুধু পাথর! 
    কালো পাথর, জল নেই, অনাবৃত মরুপথ।
      পাহাড়ের বুক চিরে আঁকাবাঁকা পথ।
       পাথর -- ঢাকা পাহাড়ে একফোঁটাও জল নেই।
                     জল যদি থাকতো, 
          আমরা দাঁড়াতাম।.... 
     
    বরেন্দ্র :  কী বিড়বিড় করছেন? বলি, শরীর ঠিক আছে তো? 
     
    গৌতম : হ‍্যাঁ? না, ওই মাথার যন্ত্রণা কেবল। যাই হোক, পুজোসংখ‍্যার ব‍্যাপারে কী বলছিলেন? 
     
    বরেন্দ্র : যেটা হলো, চিত্রাভিনেত্রী মধুলাবী ম‍্যাডামের সাক্ষাৎকার। এখন তো বলে শাড়ির অ‍্যাড, মোবাইলের অ‍্যাড, পারফিউমের অ‍্যাড --আরো কতোকিছুতে রয়েছেন শুধুই মধুলাবী। তা ওনার সাক্ষাৎকার পত্রিকায় থাকা মানে আমাদের পোয়া বারো। বুঝলেন তো? 
     
    গৌতম :  হুম। তাহলে একজন ফ্রিল‍্যান্সারকে পাঠাতে হবে ওনার ইন্টারভিউ নিতে। শোভন যাবে নাহয়-- যাইহোক, আপনার টোস্ট বিস্কুট চলবে তো? 
     
    বরেন্দ্র  :  দৌড়বে। এই রে!  (ঘড়ি দেখে লাফিয়ে ওঠেন)   
            সাড়ে-এগারোটা বেজে গেলো মশাই!  ( বিস্কুটে কামড় দিতে দিতে উঠে দাঁড়ান।)
    চললাম আমি। বসাক বাড়ির ছেলেরা এতোক্ষণ বসে না।   ওটাই ধরে নিন, বুঝলেন? শারদীয়া সংখ‍্যার সারপ্রাইজ। 
                                                                 (প্রস্থান)
    গৌতম : সব প্রাইজের সার। 
     
    (হরি দৌড়ে ঢোকে)
     
    হরি : ছ‍্যার, কেমন মুশকিল বলুন দিকি  ! একটা গেঁয়ো মেয়েলোক এয়েচে। পিচনে আরো দুটো ছেলেমেয়ে ঢুকতেচে। তাইড়ে দিচ্ছি, তবু যাবেনি।      (বাইরে সামান‍্য হইচই)
     
    ( প্রথমে বৈভবী ও পিছনে নীলাক্ষী এবং সুশোভন প্রবেশ করে । তারা উভয়েই নিকটস্থ চেয়ার বা বেঞ্চে আড়ষ্ট হয়ে বসবে। এখনই তাদের মূল দৃশ‍্যে কোনো কাজ নেই। আগমন দৃশ‍্যটা গুরুত্বপূর্ণ। বৈভবী এগিয়ে যাবে] 
     
    গৌতম :  কী ব‍্যাপার, হচ্ছেটা কী? 
    বৈভবী : উ মুখপোড়া ঢুকতে দেবেনি ! মরণ আর কী !  মোর ছাওয়াল কইচে মোকে...এ কাগজিতে.. ( হাঁপাতে থাকে) 
     
    সত‍্যকাম : কী চাই এনার? হঠাৎ এরকমই বা করছে কেন? 
     
    গৌতম (উঠে দাঁড়িয়ে):   চৈতালী, ওঁকে বসাও তো। জল দাও একটু। হ‍্যাঁ, এখান থেকেই দাও। 
     
    ( চৈতালী গৌতমের চেয়ারে তাকে বসায়। জলের গ্লাস এগিয়ে দেয়। গৌতম ব‍্যস্তভাবে পায়চারি করেন। নীলাক্ষী ও সুশোভন এককোণে বসে থাকে] 
     
    গৌতম :  শোভন, অ‍্যাকট্রেস মধুলাবী ম‍্যামের একটা ইন্টারভিউ নিতে হবে। ভালোই করেছো এসে, কাজটা বুঝে যাবে আজকে।
                    [হঠাৎ নীলাক্ষীকে দেখতে পান ]
     
    আপনার কী চাই? চিনলাম না ঠিক। মানে এটা কি প্রেস না  উত্তর কলকাতার মেস? যে পারছে ঢুকে পড়ছে? 
     
    নীলাক্ষী :  আমার কথা আছে। অল্পসময়ে হবে না। আর আমাকে প্লিজ 'আপনি' বলবেন না। কলেজে পা দিয়েছি মাত্র।
     
    গৌতম : ভালো। নাম কী? 
     
    নীলাক্ষী :  নীলাক্ষী । ডাকনাম নিমকি। 
    গৌতম : ওয়েল, তাহলে অপেক্ষা করো। এখানে কাজ শেষ হোক আগে।
     
    সুশোভন (চাপাস্বরে) : আচ্ছা, নিমকি কীকরে নীলাক্ষী হয়? মানে নিমকি বাঙালীরা খায় বটে, কিন্তু নীল চোখ তো বিদেশীদের সম্পত্তি? 
     
    নীলাক্ষী : Rubbish! 
     
    চৈতালী (উঁচুস্বরে) : স‍্যার, ওনার জ্ঞান ফিরেছে।
     
    গৌতম : ওয়েল, ঠিক আছেন এখন? বলুন কী বলতে চান।
     
    [  বৈভবী বেশবাস ঠিক করে ও চোখ মোছে] 
     
    বৈভবী : এজ্ঞে, আপনার কাগজিতে নাকি গরীবের কথা নেকা হয়? 
     
    গৌতম (স্বগত): আমার কাগজ নয়,  আমার নয়। 
      (প্রকাশ‍্যে) কেন? কীজন‍্যে এসেছেন? নাম বলুন।
     
    বৈভবী : এজ্ঞে শ্রীমতি বৈভবী মন্ডল। সোয়ামী স্বর্গত গৌরনাথ মন্ডল। নিবাস ইলাপুর। 
                (গৌতম চমকে ওঠেন) 
    গৌতম : ক্-কী বললেন? গৌরনাথ মন্ডল-- ইলাপুরের বাসিন্দা? অর্থাৎ বেআইনি পুকুর ভরাটের বিরুদ্ধে 'জনমত' বিভাগে যে লিখেছিল গতমাসে? 
     
    বৈভবী : হ‍্‍। আপনের কাগজেই তো ছেপেছিলো সে চিঠি। তা মাতব্বররা যে সেজন‍্যি মানুষটাকে মেরে ফেললে, তার বিচার পেতে যাবো কোতায়, কইতে পারেন?  (কেঁদে ওঠে)
     
    সত‍্যকাম : পুলিশ কী বলছে? 
    বৈভবী : যেতে মোকে দূর করি দিলো। ছেলেটা ঘরে বসে আচে গায়ে জ্বর লিয়ে, আপনেরা ল‍্যাকাপড়া করা মানুষ। তা লিকবেননি প্রেথম পাতায় এ জুলুমের কথা? আমার সোয়ামী আর ব‍্যাটার বিচার চাইবেননি? 
     
    গৌতম : দেখবো। আমি অবশ‍্যই দেখবো। 
     
    বৈভবী :  ভুলবেননি য‍্যান কথাটা ! ভগমান আপনারে দয়া করেন ।                                  ( ধীরে ধীরে প্রস্থান) 
     
     
    [টেবিলের কোণা ধরে গৌতম যেন স্বপ্নের মধ‍্যে ডুবে যান। কথা বলতে থাকেন নিজের মনে]
     
    গৌতম :  ছেঁড়া কাপড়, জট চুল আর রাগ !  স্বামীহত‍্যার বিচার চাইতে হতভাগিনী শেষপর্যন্ত পত্রিকার অফিসে এলো ! ক্ষিদের দু ঃখ, মৃত‍্যুর দুঃখ, ছেলেকে নিয়ে দুশ্চিন্তা।  কই, কাব‍্যের নারীর কোনো লক্ষণ তো ওর মধ‍্যে দেখলাম না। তবে কি বাস্তবের বৈভবীরা কোনোদিন ছাপার অক্ষরে আসবে না? তাদের দারিদ্র্যের গন্ধ আর  গনগনে রাগ নিয়ে?  তবে -- তবে কীসের এসব কষ্টকল্পনা? 
     
    [ টেবিল থেকে একটা কাগজ হাতে নিয়ে ছিঁড়তে থাকেন]
     
    সত‍্যকাম :  স‍্যার...ও কি করছেন? 
     
    গৌতম:  মুক্তবার্তা একদিন সত‍্যিই মুক্ত হবে। দেখে নিও তোমরা।  
    আমার হাত সেদিন শিকলে বাঁধা থাকবে না।
                                                          (চলবে)
     
     
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    পর্ব ২
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি প্রতিক্রিয়া দিন