১২ মার্চ, ২০০৭ মহাকরণের অলিন্দে দাঁড়িয়ে তৎকালীন রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব প্রসাদ রঞ্জন রায় জানিয়েছিলেন, নন্দীগ্রামে পুলিশ-প্রশাসন ঢুকবে। তবে তা গণহত্যা চালানোর জন্য হবে এমনটা তিনি বলেননি। বরং বলেছিলেন, পুলিশি অভিযানের আগে একবার সর্বদলীয় সভায় বসা হবে। স্বরাষ্ট্রসচিবের সেদিনের ওই ঘোষণার ওপর আস্থা ছিল মানুষের। তাঁদের মনে হয়েছিল, আর যাই হোক, পুলিশ ঢোকার আগে সর্বদলীয় সভায় আলোচনার একটা সুযোগ থাকছে। প্রশাসনিক সূত্রের খবর ছিল, ১৯ থেকে ২১ মার্চ পুলিশ অভিযান হবে। নন্দীগ্রাম অপারেশনের জন্য কোলাঘাটে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে প্রায় চার হাজার পুলিশ মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া পুলিশ ক্যাম্প করার জন্য চণ্ডীপুর হাইস্কুল, নন্দীগ্রামের স্কুল, কলেজ প্রশাসন তাদের হাতে নিয়ে নেয়। স্বরাষ্ট্র সচিবের মুখের ওই ঘোষণা মুখের কথা হয়েই থেকে গেল।
১২ মার্চ, ২০০৭ নন্দীগ্রামের তেখালিতে সিপিএম পার্টি অফিসে পুলিশের সঙ্গে সিপিএমের একটি গোপন বৈঠক হয়েছিল বলে জানা যায়। ১৩ মার্চ রাতে চণ্ডীপুর থানার ফুলনি মোড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা নেত্রীদের মারধোর করে সিপিএমের লোকজন। চণ্ডীপুরে ও হাঁসচড়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের ক্যাম্প ভেঙ্গে দেয় সিপিএম ক্যাডারবাহিনী। ওই দিন খেজুরি বটতলা, সাতখণ্ড মোড়, বটতলা ফরেস্ট বাংলো, বিদ্যামন্দির, ভাঙাবেড়া, শিবানী ইটভাটায় পুলিশ ক্যাম্প করে। তেখালি ও নন্দীগ্রামে পুলিশের সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে থাকে। ১৩ মার্চ, ২০০৭ দুপুর পর্যন্ত আমার থাকার ঠিকানা ছিল গড়চক্রবেড়িয়ায়। ওই দিন নানা এলাকা ঘুরে বিকেলে চলে যাই সোনাচূড়ায়। সেই দিন সোনাচূড়ার পাশের গ্রামে গাংড়ায় থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত কত সঠিক ও ভয়াবহ ঝুঁকির ছিল, সত্যি কথা বলতে কী তা কল্পনাও করতে পারিনি। পত্রিকার সম্পাদক ও চিফ রিপোর্টার নন্দীগ্রাম-খেজুরি সীমান্তে আমার থাকা বা যাতায়াতের ঝুঁকি নিতে নিষেধ করেছিলেন। সাংবাদিকতার দীর্ঘ জীবনে এই একবারই সিনিয়রদের নির্দেশ উপেক্ষা করে কাজ করেছিলাম।
১৩ মার্চ, ২০০৭ রাত দুটোর সময় শুরু হয় জোর শঙ্খধ্বনি। গাংড়ায় যে বাড়িতে সেই রাতে ছিলাম সেখান থেকে রওনা দিলাম। গৃহকর্তাকে জানালাম রাতেই ভাঙাবেড়া যেতে চাই। কারণ পাকা খবর ছিল, পুলিশ সকালে খেজুরি থেকে মুভ করবে। শীতের রেশ তখনও কাটেনি। গৃহকর্তা আপত্তি করলেন। আশ্বস্ত করে বললেন, এমন শঙ্খধ্বনি তো রোজ রাতেই হয়। মন সায় দেয় না। কারণ পুলিশি অভিযানের খবরটা ইতিমধ্যে একটা সূত্র মারফৎ চলে এসেছিল। গাংড়ার লালু সামন্তকে সঙ্গী করে আমি ও কলকাতা টিভির ক্যামেরাম্যান কাজল মাইতি চলে আসি ভাঙাবেড়ায়। রাত তখন আড়াইটে। গৌরাঙ্গপুজোর তোড়জোর শুরু করেছেন ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির আন্দোলনকারী পুরুষ ও মহিলা কর্মীরা। দূরে রাতপাহারা দেওয়া কর্মীদের বিশ্রামের তাঁবু। এরপর কীভাবে রাত কটে ভোর হয়েছে তা বলতে পারব না। মনে হয় নিমেষে কেটে গেল কয়েকটা ঘন্টা।
ভোর হতেই হাজার হাজার আন্দোলনকারী জড়ো হয়ে কীর্তন চালু করেছেন। অদূরেই মুসলিমরা ভূমি রক্ষা করতে আল্লাহর সাধনা করছেন। ভাঙাবেড়া ব্রিজের মুখে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির কর্মীদের কেটে দেওয়া গর্তের মধ্যেই চলছে গৌরাঙ্গ পুজো। এরকম পুজো সেই ভোরে চলছিল গোকুলনগর অধিকারীপাড়া সহ গোটা নন্দীগ্রামের বিভিন্ন গ্রামে। মুসলিমরা রাস্তায় নামাজ পড়ছিলেন। মাতৃভূমি রক্ষার জন্য অসহায় নিরস্ত্র গ্রামবাসীরা সেদিন আর কীইবা করবেন? এদিকে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ‘অপারেশন নন্দীগ্রাম’ কার্যকর করতে বন্দুকের নল উঁচিয়ে ১৩ মার্চ, ২০০৭ সন্ধের পর থেকে তালপাটি খালের দক্ষিণ প্রান্তে বারাতলায় খেজুরি কলেজে ও নন্দীগ্রাম থানায় পুলিশ জড়ো হতে শুরু করেছিল। গোটা রাজ্য থেকে কয়েক হাজার পুলিশ রাতারাতি রওনা দিল খেজুরি হয়ে নন্দীগ্রামের উদ্দেশে। অপারেশন নন্দীগ্রাম যে শেষ পর্যন্ত আরেকটা শাসক দলের সশস্ত্র ক্যাডারকুল(হার্মাদবাহিনী) ও পুলিশের যৌথ উদ্যোগে ভয়াবহ গণহত্যা ডেকে নিয়ে আসছে তা কে জানতে? তেভাগা আন্দোলন ও আগস্ট আন্দোলনের ঐতিহ্যবাহী নন্দীগ্রামের কৃষক বিশ্বাস করতে পারেননি, যে বামফ্রন্ট সরকারকে তাঁরা বুকের রক্তে ক্ষমতায় এনে বসিয়েছেন, তারাই তাঁদের বুক ঝাঁঝরা করতে হাজার হাজার পুলিশ ও সশস্ত্র হার্মাদবাহিনী দিয়ে এলাকা দখল নেবে। সর্বদলীয় সভা হবে এমনটাই সকলের বিশ্বাস ছিল।
এদিকে ১৪ মার্চ ভোরে গৌরাঙ্গপুজোর ছবি ক্যাসেটবন্দি করে কলকাতা টিভির ক্যামেরাম্যান কাজল মাইতি ভাঙাবেড়া থেকে ১৯ কিলোমিটার দূরে নন্দীগ্রাম হয়ে এলাকা ছেড়ে চলে গেল। নন্দীগ্রামে তালপাটি খালের ধারে ভাঙাবেড়া ব্রিজের পাশে সাংবাদিক বলতে আমি একা। এই পথেই পুলিশি আর সশস্ত্র হার্মাদবাহিনী ঢুকেছিল। আর ৬ কিলোমিটার দূরে তেখালির অদূরে গোকুলনগরে ছিল সাংবাদিক ভোলানাথ বিজলি ও বিটন চক্রবর্তী। পুলিশ আক্রমণাত্মক হয়ে ঢুকছে এই খবর নিশ্চিত হতেই প্রাণ হাতে নিয়ে ওরাও চলে যায় নন্দীগ্রামে।
সকাল ৯টার পর থেকে পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করে। বাতাসের গন্ধে অশুভ সংকেত যেন ভেসে আসছিল। সকাল ৯ টা থেকেই তালপাটি খালের দক্ষিণে খেজুরি প্রান্তে একে একে পুলিশের সাঁজোয়া গাড়ি ঢুকতে থাকে। বেলা সাড়ে নটার মধ্যে সারি সারি পুলিশের গাড়ির কনভয় খেজুরির বারাতলা কলেজ থেকে ভাঙাবেড়ায় ও তেখালি ব্রিজের ওপারে শেরখাঁচকে এসে হাজির হয়। ভাঙাবেড়ায় হাজার হাজার পুলিশের মাঝে সাদা পোশাকের গুটিকয়েক লোকের মধ্যে এপারের আন্দোলনকারীরা গোকুলনগরের সিপিএম নেতা শ্রীপতী জানাকে চিনিয়ে দিলেন। এছাড়া বাকিদের অচেনা ও বহিরাগত বলেই আন্দোলনকারীদের ধারণা হয়েছিল। পিছনে দূরে খেজুরি ও নন্দীগ্রামের সিপিএম নেতা ও কর্মীরা ছিলেন সে খবর পরে জানা গেল। তালপাটি খালের ধারে ঝোপের মাঝে বন্দুক উঁচিয়ে কিছু লোকের উপস্থিতি পরে পুলিশের ভিডিও ক্যামেরাতেও ধরা পড়েছে। বেলা ১০টার মধ্যে দুটি বড় ট্রাক নন্দীগ্রামের দিকে পিছন করে বালিমাটি ভর্তি বস্তা নিয়ে এসে খেজুরি প্রান্তে ভাঙাবেড়া ব্রিজের মুখে দাঁড়িয়ে। সোনাচূড়া জালপাইয়ে যে গর্ত কাটা হয়েছিল তা ভরাট করে লরিটি খেজুরি দিয়ে বেরিয়ে যাবে এমনটাই ছিল পরিকল্পনা। এসবই ভাঙাবেড়ায় নন্দীগ্রাম প্রান্তে তালপাটি খাল পাড়ে দাঁড়িয়ে প্রত্যক্ষ করেছি। এসব প্রস্তুতি যখন চলছে, সে সময়ে খেজুরির এদিকে মাইকে বক্তব্য রেখে চলে গেলেন নিশিকান্ত মণ্ডল, সুনীল মাইতি। স্কুলের কাজ আছে এই বলে সাত সকালে নন্দীগ্রামে চলে গিয়েছিলেন সবুজ প্রধান। ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির নেতা বলতে শ্রীকান্ত পাইককে সব সময়ে দেখেছি ভাঙাবেড়ায় দাঁড়িয়ে আন্দোলন পরিচালনা করতে।
এরপর প্রায় দশটা কুড়ি নাগাদ এগিয়ে এলো মাথায় মাইক বাঁধা একটা ট্রেকার। ট্রেকারে পুলিশের স্টিকার লাগানো ছিল। কিছুক্ষণের মধ্যে খেজুরি থানার ওসির ঘোষণা শুরু। পরপর দুবার বললেন, নন্দীগ্রামে রাস্তা সারাইয়ের কাজ শুরু হবে, পুলিশ প্রশাসনকে সাহায্য করুন, কোনও বাধা দেবেন না। ঘোষণা শুনেই এপার থেকে লাঠি উচিয়ে আন্দোলনকারীরা চেঁচাতে শুরু করেন- ‘জমি আমরা দিচ্ছি না দেব না’। এই দলে কিশোর, কিশোরী, শিশু ও নারীদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য। পুরুষরাও ছিলেন তবে নারীরাই ছিলেন প্রথম সারিতে। কা কস্য পরিবেদনা।
কোথায় সর্বদলীয় বৈঠক? একতরফাভাবে নিরীহ আন্দোলনকারীদের এপর শুরু হল শাসক দলের মদতে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস। গৌরাঙ্গপুজো আর নামাজ আদায়কারী মানুষদের উদ্দেশে কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেটের সঙ্গে গুলি ছোঁড়া শুরু হয়। সেই মুহূর্তের কথা মনে নেই। নিজের মধ্যে নিজেই হারিয়ে গিয়েছিলাম। বিশ্বাস করতে পারছিলাম না ওই বিশাল পুলিশ বাহিনী এপারের শান্তিপ্রিয় আন্দোলনকারীদের ব্যারিকেড ভেঙে শেষ পর্যন্ত ঢুকবে, তাও আবার নির্বিচারে গুলি চালিয়ে। হঠাৎ সম্বিৎ ফিরতে তাকিয়ে দেখি তালপাটি খালের পুবদিকে, যেদিকে আমি গাংড়ার বাসিন্দা লালু সামন্তকে নিয়ে দাঁড়িয়েছিলাম, সেদিকটাতেই দু’জন মানুষ গুলির আঘাতে লুটিয়ে পড়লেন। তাঁরা কে তা জানার মত পরিস্থিতি ছিল না। ওই দৃশ্য দেখার পর বুঝলাম টিয়ার গ্যাস বা রাবার বুলেট নয় এখন নির্বিচারে গুলি ছোড়া হচ্ছে। একে একে লুটিয়ে পড়ছেন নিরীহ আন্দোলনকারীরা। কখন খালের পাড়কে বাঙ্কার হিসেবে ব্যবহার করে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছিলাম তা আজ বলা সম্ভব না।
বেলা ১১টা নাগাদ ভাঙাবেড়ার প্রতিরোধ কমিটির নেতা শ্রীকান্ত পাইক এসে বললেন, ‘দাদা আপনি পালিয়ে যান। এলোপাথারি পুলিশের গুলিতে আপনার প্রাণ যাবে। আমরা মারা গেলে খুব ক্ষতি হবে না। কিন্তু আপনি যা দেখেছেন, তাই লিখলে দেশের লোক বিশ্বের লোক এই গণহত্যার বিবরণ জানতে পারবেন। ওপারে পুলিশের বাইনোকুলারে আপনিও ধরা পড়ছেন। একবার তাক করে কেউ গুলি চালালে মৃত্যু অনিবার্য।’ শ্রীকান্ত পাইকের কথা শোনার পর আর কোনও ঝুঁকি নেওয়ার কথা ভাবিনি। চোখে যা দেখেছি, কানে যা শুনেছি তা সম্বল করে প্রাণ নিয়ে পালানো। দেড়ঘন্টার পথ ছয় ঘন্টায় ফিরলাম গড়চক্রবেড়িয়ায়। জেলিংহামের জঙ্গল পেরিয়ে হলদি নদীর পার ধরে এগোনো। ফোনে চিফ রিপোর্টারকে ও এডিটরকে গুলির শব্দ শুনিয়েছি। শুনিয়েছি মহাশ্বেতা দেবীকে আর আমার জীবনের সহযোদ্ধা তহমীনা খাতুনকে। ফোনে ওঁরা গুলির শব্দ শুনে আতঙ্কিত হয়েছেন। এরপর আর পাঁচ ঘন্টা ফোনে যোগাযোগ নেই। জ্যামার লাগানো হয়েছিল। যাতে ভিতরের খবর দ্রুত না বেরোতে পারে। নন্দীগ্রামে ওইদিনও গণহত্যা চালানোর সময় এলাকার চারধারে ছিল সিপিএম ও পুলিশের কঠোর নাকাবন্দী। কাউকে এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এমনকী সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদেরও না। সিপিএম কর্মীদের বাধায় তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চণ্ডীপুর থেকে তমলুকে ফিরে যেতে হয়েছে। শ্রীকান্ত পাইকের নির্দেশ মেনে এবার স্বাধীন ভারতের জালিয়ানওয়ালাবাগ, ভাঙাবেড়ার বধ্যভূমি ছেড়ে ছেলেবেলা থেকে লালিত বিশ্বাসকে মাড়িয়ে প্রাণ নিয়ে পালানোর স্মৃতি কোনও দিন ভুলতে পারব না।
ঘন্টা পাঁচেক হেটে গড়চক্রবেড়িয়ায় বড়বাঁধের ওপর উঠি আমি আর গাংড়ার লালু। সেখান থেকে মুজিবর রহমানের বাড়ি। তখন বড় বাঁধ ধরে হাজার হাজার মানুষের গ্রাম ছেড়ে ত্রাণ শিবিরের উদ্দেশে যাওয়ার করুণ দৃশ্য। যার সঙ্গে দেশভাগের সময়কার ছবির তুলনা করা যায়। সদ্যোজাত শিশুকে নিয়ে মা চলে যাচ্ছেন গ্রাম ছেড়ে। সঙ্গে হাঁস, মুরগি, ছাগল, গরু, কুকুর, বেড়ালছানা কোলে, পাখির খাঁচা হাতে ঝুলিয়ে চলেছেন কৃষক পরিবার। নিজেরা তো নয়ই বাড়ির পশু, পাখিরাও যেন হার্মাদ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ না করে। এরই মধ্যে কেউ কেউ ভরসা জোগাতে গ্রামে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে যাঁরা নিয়েছিলেন, তাঁরা হেঁটে চলা মানুষদের তৃষ্ণার জল দিচ্ছেন। ওইসব জলসত্রে আমিও বেশ কয়েকবার জল পান করেছি। বিস্মিত হয়েছি মানুষগুলোর ভিতরের মানুষকে দেখে।
আগের দিন রাতের পর পেটে কিছুই পড়েনি। সেদিন খিদের অনুভূতিও ছিল না। কিন্তু গড়চক্রবেড়িয়ায় মুজিবর রহমানের বাড়িতে পৌঁছে গরম ভাত, ডাল, সবজি ও ডিমের তরকারি সামনে ধরতেই খিদে মাথাচাড়া দিয়ে উঠলো যেন। গোগ্রাসে গিলে ফেললাম। খাবার শেষ হতেই মুজিবর রহমান ছলছল চোখে বললেন, ‘সুকুমারদা, আমরাও গ্রাম ছেড়ে চলে যাচ্ছি। আপনাকে এখন থাকতে দিতে পারব না। এলাকা কিছুক্ষণের মধ্যে হার্মাদরা দখল নেবে। আপনিও পালিয়ে যান।’ এবার লালু আমার সঙ্গ ছাড়ল। ওর বাড়ির লোকেরা কেমন আছে বেচারা তাই নিয়ে চিন্তায়। আমি পথ হারিয়ে বিপদে পড়তে পারি তাই রাত থেকে পরদিন বিকেল পর্যন্ত ও আমার সঙ্গ ছাড়েনি। লালুকে ছেড়ে ঘরছাড়া মানুষের দলে ভিড়ে নন্দীগ্রাম হাসপাতালের দিকে পা বাড়ালাম। আবার হাঁটা। পা চলতে চাইছিল না। কিন্তু হাসপাতালে না গেলে মৃত, আহত, ধর্ষিতাদের হদিশ কোথায় পাব? খবর লিখে পাঠাতে হবে যে। সরস্বতীবাজার থেকে কে যেন মোটর সাইকেলের পিছনে তুলে নিল।
সোজা নন্দীগ্রাম হাসপাতাল। ঘরছাড়া মানুষের নিঃশব্দ মিছিল, হাসপাতালে আহত ও মৃত মানুষের সারি। নন্দীগ্রাম ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র, মহেশপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র, তমলুক জেলা হাসপাতাল থেকে কলকাতার এসএসকেএম আহতদের পাঠানো হচ্ছে। হাজার হাজার মানুষের ভিড় থাকলেও নন্দীগ্রাম হাসপাতালে ছিল নিঃস্তব্ধ। হাসপাতালে জড়ো হওয়া মানুষের চোখে ক্রোধের আগুন জ্বলছে, চোখের কোণে প্রিয়জন হারানোয় জল দাঁড়িয়ে পাথর। ১৪ জন শহিদ, ১৬৮ জন বুলেটবিদ্ধ, ১৬ জন ধর্ষিতা। আহতদের নিয়ে যাওয়া অ্যাম্বুলেন্সও রেয়াপাড়ায় আটাকানো হয়েছিল। এই পরিসংখ্যানের বাইরে, পরবর্তীকালে জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যাদের কাছে প্রায় ৫৫০ জন মহিলা শ্লীলতাহানি বা ধর্ষণের অভিযোগ গোপনে জানিয়েছিলেন। সেদিনের আন্দোলনের কৃতিত্ব নন্দীগ্রামের মানুষেরই। গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা কমিটির হয়ে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে ১৪ মার্চ, ২০০৭ কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে। পরের দিন ১৫ মার্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ পেয়ে ১৬ মার্চ সিবিআই-এর দল এলাকায় ঢুকতেই দখলদার ভাড়াটে হার্মাদবাহিনী কর্পুরের মত উবে গিয়েছিল।
তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিঙ্গুর আন্দোলন পরিচালনার পাশাপাশি নন্দীগ্রামে বারবার ছুটে গিয়েছেন। বাধাপ্রাপ্তও হয়েছেন। তাঁর কনভয় লক্ষ্য করে তেখালিতে গুলি ছোড়া হয়েছে। আমার সামনেই নন্দীগ্রাম হাসপাতালের ভিতরে তিনি অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন কাঁদানে গ্যাস ও হার্মাদবাহিনীর গুলির শব্দে। সেদিনের আন্দোলনে অবশ্যই ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি শেখ সুফিয়ান, নিশিকান্ত মণ্ডল সহ বাকি অনেকের সঙ্গে তৎকালীন দক্ষিণ কাঁথির তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। তবে নন্দীগ্রাম গণহত্যার ১৪ বছর পর সেদিনের স্মৃতিচারণায় নন্দীগ্রাম আন্দোলনের নেপথ্যে না-বলা জরুরি কিছু কথা থেকেই গেল। কোনও এক সময়ে লেখার চেষ্টা করব।
পিটি,
লেখাটিতে কিঞ্চিৎ তথ্যসূত্র রয়েছে। অবশ্যই ভেরিফাই করা উচিৎ। হাসপাতাল।
যেমনঃ
"সোজা নন্দীগ্রাম হাসপাতাল। ঘরছাড়া মানুষের নিঃশব্দ মিছিল, হাসপাতালে আহত ও মৃত মানুষের সারি। নন্দীগ্রাম ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র, মহেশপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র, তমলুক জেলা হাসপাতাল থেকে কলকাতার এসএসকেএম আহতদের পাঠানো হচ্ছে। হাজার হাজার মানুষের ভিড় থাকলেও নন্দীগ্রাম হাসপাতালে ছিল নিঃস্তব্ধ। হাসপাতালে জড়ো হওয়া মানুষের চোখে ক্রোধের আগুন জ্বলছে, চোখের কোণে প্রিয়জন হারানোয় জল দাঁড়িয়ে পাথর। ১৪ জন শহিদ, ১৬৮ জন বুলেটবিদ্ধ, ১৬ জন ধর্ষিতা। আহতদের নিয়ে যাওয়া অ্যাম্বুলেন্সও রেয়াপাড়ায় আটাকানো হয়েছিল। এই পরিসংখ্যানের বাইরে, পরবর্তীকালে জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যাদের কাছে প্রায় ৫৫০ জন মহিলা শ্লীলতাহানি বা ধর্ষণের অভিযোগ গোপনে জানিয়েছিলেন। "
ঘটনাস্থলে সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন, তিনি তাঁর অভিজ্ঞতা লিখেছেন। সর্বদেশে, সর্বকালে প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু মহাপণ্ডিতের মতানুসারে এই বিবৃতি গুরুত্বহীন! তা নন্দীগ্রামে গিয়ে সরেজমিন তদন্ত করলেই তো জানা যায়!
এতো সেই আতঙ্ক সিনেমার গল্প চলছে। কেউ কিছু জানেনা, কেউ কিছু দেখেনি!
মিশনের ছাগলটা এখানে এসে জুটেচে!
"তা নন্দীগ্রামে গিয়ে সরেজমিন তদন্ত করলেই তো জানা যায়!"
সিবিআইকে তদন্ত করতে না দিয়ে সেইসব পুলিশ কর্তাদের তিনোরা নিজেদের দলে সামিল করে নিলে আর কার কোমরের জোর আছে সেখানে গিয়ে তদন্ত করার? অন্ততঃ যতদিন তিনোরা ক্ষমতায় আছে।
কোনো কোনো প্রাণীর চামড়া গণ্ডারের চেয়েও মোটা!
সাংবাদিক নিজের প্রাণ বিপন্ন করে সেদিনের ভয়াবহ ঘটনার কথা পাঠকের সামনে তুলে ধরেছেন। আর একটি মনুষ্যেতর প্রাণী নির্লজ্জের মতো তাঁকে মিথ্যাবাদী রূপে প্রতিপন্ন করতে চাইছে!
বিবেকানন্দ মুখোপাধ্যায়ের মতো বলতে হয়, "জননীর গর্ভের লজ্জা"!
সাংবাদিক নিজের প্রাণ বিপন্ন করে সেদিনের ভয়াবহ ঘটনার কথা পাঠকের সামনে তুলে ধরেছেন। আর একটি মনুষ্যেতর প্রাণী নির্লজ্জের মতো তাঁকে মিথ্যাবাদী রূপে প্রতিপন্ন করতে চাইছে!
বিবেকানন্দ মুখোপাধ্যায়ের মতো বলতে হয়, "জননীর গর্ভের লজ্জা"!
বোঝো কান্ড! আর কোনো যুক্তি-তথ্য দিতে না পেরে শেষে মা-কে নিয়ে টানাটানি?
এরা কোথা থেকে এইসব শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছে?
দীপ
এটা কি হচ্ছে? কারও খোলাপাতায় কমেন্ট আপনার সঙ্গে না মিললে তাঁকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করবেন? মানে সবাইকে আপনার সঙ্গে সুর পোঁ ধরতে হবে? নইলে তার 'জননী' অব্দি টেনে আনবেন? একবার ভাবুন নিজের জাজমেন্টাল পোস্টের চোটে কোথায় নামছেন?
তখন আমাদের জন্ম হয়নি। খাদ্য আন্দোলনের মিছিলে পুলিশ নির্মম লাঠিচার্জ করেছিল। পরের দিন খবরের কাগজে বামপন্থী সাংবাদিক বিবেকানন্দ মুখোপাধ্যায় শাসকগোষ্ঠী ও তাদের অনুগত পুলিশবাহিনী উদ্দেশ্য ঠিক এই কথা লিখেছিলেন। আমি সেই শ্রদ্ধেয় সাংবাদিকের কথার প্রতিধ্বনি করেছি মাত্র!
উদ্ধত শাসক ও তার নির্লজ্জ স্তাবকের উদ্দেশ্যে এইকথা সর্বদেশে সর্বকালে প্রযোজ্য।
রঞ্জনবাবু বাবু ও পিটিস্যার, এই ভদ্রলোকের (?) কথায় কান দেবেন না। পাত্তাও দেবেন না। ব্যক্তি আক্রমণ এই লোকটির একমাত্র উদ্দেশ্য এবং উদ্দেশ্যহীন কথা বলা এর একমাত্র বিধেয়। কাজেই...
নিরপেক্ষতার মুখোশের আড়ালে কত কিসিমের তিনোমূলী দেখলাম গুরুতে।
যে সব আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাদের রেকর্ড হাসপাতালে আছে কিনা খোঁজ করা যায়। আর জাতীয় মহিলা কমিশন কমপ্লেনের রেকর্ড রাখে কি?
২০০৭ সালের মার্চে আমরা এই সংখ্যাটি প্রকাশ করেছিলাম। কৃষিজমি আর কৃষকের পক্ষে ছিলাম আমরা। প্রচ্ছদে ব্যবহৃত হয়েছে সেই সময়ের নন্দিগ্রামের একটি বাড়ির দেয়ালের ছবি। দেয়ালে গুলির দাগ। সিপিএমের সন্ত্রাসের চিহ্ন। ছবিটি অনেকেরই চেনা। অনেক জায়গায় তখন মুদ্রিত হয়েছিল। তুলেছিলেন চিত্রসাংবাদিক পার্থপ্রতিম দাস। এই সংখ্যায় আমরা মূলত কৃষির পক্ষে, ভূমির পক্ষে, কৃষকের পক্ষে আমাদের আর্তি রেখেছিলাম কবিতার ভাষায়। লিখেছিলেন আমাদের সময়ের অগ্রগণ্য কবিরা--- দেবীপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়, আলোক সরকার, দেবারতি মিত্র, শম্ভু রক্ষিত, মৃদুল দাশগুপ্ত, শ্যামলকান্তি দাশ, নির্মল হালদার, গৌতম চৌধুরী প্রমুখ।
এই কাজের জন্য সেদিন সিপিএমের রক্তচক্ষুর আক্রোশে পড়তে হয়েছিল। বেশ কিছু দিন বেশি রাত করে বাড়ি ফেরা বন্ধ রাখতে হয়েছিল। সিপিএম যদি মনে করে, এসব আমরা এত তাড়াতাড়ি ভুলে যাব, বড্ড ভুল করবে। ভুলে যেতে পারি না, বিরোধিতার ভাষাকে থামিয়ে দিতে সিপিএম যা খুশি করতে পারত। এবং সিপিএমের সে-স্বভাব এত সহজে শুধরোবার নয়। তাই দয়া করে, সিপিএম আর বামপন্থাকে সমার্থক হিসেবে পরিবেশন করবেন না।
অস্ট্রিক পত্রিকা
দীপ
একদম বাজে যুক্তি। বিবেকানন্দ মুখুজ্জে ওটা কংগ্রেস সরকার ও পুলিশ বাহিনীর উদ্দেশে বলেছিলেন, কংগ্রেস সমর্থকদের জন্য নয়। বিষয় নিয়ে কথা বলুন, বিপরীত মতের ব্যক্তি ও তাঁর মা বা জন্ম নিয়ে নয়।
পলিটিশিয়ান,
ঠিকই বলেছেন।
একজন সাংবাদিক নিজের জীবন বিপন্ন করে সেদিনের কথা লিখেছেন। কোনো প্রামাণ্য তথ্যসূত্র ছাড়াই তাঁকে মিথ্যাবাদী প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চলছে। সরকারি মতেই ১৪ জন নিহত। কতজন আহত, আক্রান্ত তা আমরা কেউই জানিনা! তৎকালীন রাজ্যসরকার প্রশাসন ব্যবহার করে পুরো জায়গা ঘিরে দিয়েছিল। সঠিক তথ্য আমাদের কাছে নেই। তাই সাংবাদিকের বয়ান আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মজার ব্যাপার তিনি সাংবাদিককে মিথ্যাবাদী প্রতিপন্ন করতে চাইছেন, তিনিও কিন্তু ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না! কিন্তু তিনি সত্যবাদী আর সাংবাদিক মিথ্যাবাদী!
গণতন্ত্রে বিরোধী মতকে আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্বীকার করি! কিন্তু যিনি দিনের পর দিন অন্যকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে চলেন, অসভ্যের মতো কুৎসিত কথা বলেন তিনি ভদ্র ব্যবহারের যোগ্য নন!
"রাজা সবারে দেন মান, সে মান আপনি ফিরে পান!"
গণতন্ত্রে বিরোধী মতকে আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্বীকার করি! কিন্তু যিনি দিনের পর দিন অন্যকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে চলেন, অসভ্যের মতো কুৎসিত কথা বলেন তিনি ভদ্র ব্যবহারের যোগ্য নন!
"রাজা সবারে দেন মান, সে মান আপনি ফিরে পান!"
আর বিবেকানন্দ মুখোপাধ্যায়ের এই উক্তি শাসক ও তার নির্লজ্জ স্তাবক, উভয়ের জন্যই প্রযোজ্য!
"অন্যায় যে করে, আর অন্যায় যে সহে তব ঘৃৃণা তারে যেন তৃণসম দহে।"
আর ইনি রাষ্ট্রীয় গণহত্যাকে নির্লজ্জ সমর্থন করে চলেন। ঋত্বিকের ভাষায় "অনাদ্যন্ত শুয়োরের বাচ্চা!"
দীপ, পিটিদার কাজ হলো সিপিএমকে ট্রোল করা। নানাভাবে খুঁচিয়ে বিরক্তি তৈরি করতে ভালোবাসেন। আর বুঝতেই পারছেন, পিটিদা একটু নির্লজ্জ টাইপের মানুষ। কাজেই এতো উত্তেজিত হবেন না :-)
যে পন্ডিত পিতৃদেবকে নিয়ে খিস্তি করেছিলেন তিনি মাতৃদেবীকে নিয়ে খিস্তি করা পন্ডিতের সহায়্তা করছেন দেখে পুনর্বার বোঝা গেল যে ঝাঁকের কৈ সত্যি ঝাঁকে মেশে।
ভাগ্যিস বিবেকানন্দ বা ঋত্বিককে তিনোমুলী কৃষি-বিপ্লব দেখতে হয়নি!!
ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে একদল যুক্তিবাদী মানুষ নিম্নলিখিত তথ্যও সংগ্রহ করেছিলেন। সেটি এখনো সযত্নে রক্ষিত আছে। এইজাতীয় অতি জরুরী তথ্য আলোচ্য নিবন্ধে কেন বাদ দেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে কেউ আলোকপাত করুন। তথ্যসূত্র পরে জানাচ্ছি। ততক্ষণ সকালের চা-বিস্কুটের সঙ্গে খবরটি উপভোগ করুন।
"Many small children of the K.G. school are missing in Bhangabera (another badly hit village). The villagers say that during the commotion they were released from the school. Many of them had been butchered by the attackers. Their throats were slit or heads chopped off, put in gunny bags, loaded in trucks and transported to unknown destinations. The locals feel that either the bodies had been burnt in brick-kilns, thrown to Haldi River / Bay of Bengal (not very far off) by tying with stones in fishing nets or dumped in marshy land or jungles. It may so happen that the bodies to the ditches and the overlying roads repaired. Some people said that they have either witnessed themselves or heard from other that the legs of a small child were torn apart. A breast-fed baby was reportedly thrown to a pond."
পিটিদা চালিয়ে যান :d
Asked about the "mistakes" committed by the Left-led governments, senior Politburo member and CITU president M K Pandhe said, "police firing in Nandigram was one. (West Bengal Chief Minister) Buddhadeb Bhattacharjee himself has admitted it."
Singur, Nandigram were our biggest mistakes: Buddhadeb
IndiaNDTV CorrespondentUpdated: April 18, 2011 3:04 pm IST
Kolkata: In the midst of what's being described as the toughest battle of his career, West Bengal chief minister Buddhadeb Bhattacharjee today said that Singur and Nandigram were his government's biggest mistakes.
Speaking to NDTV in Kolkata, Mr Bhattacharjee conceded that the shadow of violence in the two places over land acquisition and industrialisation loomed large over the ongoing Assembly elections.
The state is witnessing the first phase of polling today.
Dubbing the police firing in Nandigram as unfortunate, the chief minister admitted to mistakes made by his government and called for the need to rectify them.
Speaking further on the matter, Mr Bhattacharje said that there was confusion over the land acquisition policy which had triggered unrest among the villagers in the two areas.
https://www.ndtv.com/india-news/singur-nandigram-were-our-biggest-mistakes-buddhadeb-453328
যাক, এই সব খবর আমার সঙ্গে CPIM এর পার্থক্যটা সরাসরি দেখিয়ে দিল। আশাকরি এরপরে আমাকে পাবলিক "নির্লজ্জ স্তাবক" আখ্যা দেওয়া থেকে বিরাট হবে।
আমি এখনো মনে করি যে সিঙ্গুরে একটা বড় কারখানা (টাটা অথবা ঝাঁটা) ও নন্দীগ্রামে কেমিকাল হাব তৈরি করার সিদ্ধান্তটি এক্কেবারে সঠিক ছিল।
সিপিএমের চালাক আর হামবাগ সমর্থকরা দলটির বেশ বড় শত্রু, অনেক দিনেরই । আর পাঁচজন এখানে সেখানে তো তাদেরই দেখে। আশা করি নবপর্যায়ের সিপিএম এদেরকে একটু বোঝাবে।
সিপিএমের পক্ষে কি মমতাময় আবেদন! চোখে জল এসে গেল।
পিটির সাথে কেউ একমত নাই হতে পারেন। কিন্তু তার জন্য ওনার বাবা মাকে গালাগালি করার প্রয়োজন নেই।
আমার মনে হয়না পিটি গণহত্যার সমর্থক। উনি গণহত্যা হয়েছে কিনা সে সম্পর্কে সন্দিহান। তার জন্য ওনাকে গালাগালি করার দরকার নেই। গণহত্যার প্রমান এখনো জোগাড় করা যায়। যেমন হাসপাতালের রেকর্ড বা জাতীয় মহিলা কমিশনের রেকর্ড। গালাগালির বহর শুনলে সন্দেহ হয় সেসব প্রমান আসলে নেই। তাই অশালীন গালিগালাজ করে দুর্বলতা ঢাকার চেষ্টা।
অবশ্যই সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় কেন তৃণমূলে, অথবা শেখ সুফিয়ানের জাহাজ বাড়ি, সেসব নিয়ে একটু বললে কথাগুলো ব্যালান্সড লাগে।
"পিটির সাথে কেউ একমত নাই হতে পারেন। কিন্তু তার জন্য ওনার বাবা মাকে গালাগালি করার প্রয়োজন নেই।"
ক।