এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  বই

  • আলোক পাঠ - পর্ব এক

    হীরেন সিংহরায়
    আলোচনা | বই | ০৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৪৭৪ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • পর্ব ১ | পর্ব ২
    কিছু কিছু বই থাকে যার আলোয় চারিদিক আলোকিত হয়ে ওঠে, কিছু কিছু বই থেকে যায় আড়ালে, পাঠক যখন তাদের খুঁজে নেয়, সেই নিবিড় পাঠে আলো ছড়িয়ে যায় পাতায় পাতায়, জানা হয়ে যায় ইতিহাসের অচেনা কিছু বাঁক, কিছু অল্প চেনা ভাবনা। সেরকম কিছু বইয়ের ওপরেই আলোকপাত থাকবে এই ধারাবাহিকে।
    মোজেস ও একেশ্বরবাদ : জিগমুণ্ড ফ্রয়েড



    বছর বিশেক আগে লন্ডনের দক্ষিণে নিউ মলডেনে এক পরিচিত জনের বাড়িতে আমি এই বইটি প্রথম দেখি । কয়েক পাতা উলটে চমকাতে হয়েছিল । সেখানে বসে পড়া যায় না, বই ধার নিতে লজ্জা করে। আমাজন তখন অনেক দূরে। তারপর অনেকদিন কেটে গেছে, সময় জোটেনি । এখন আমার হাতে কাল অন্তহীন , আমাজন দু দিনে বই পাঠিয়ে দেয় ।

    ভূমিকা

    ১৯১২ সালে অটো র‍্যাঙ্ক ও হানস সাখসের সঙ্গে জিগমুণ্ড ফ্রয়েড ভিয়েনাতে ইমাগো ( গ্রিক, ইমেজ ) নামের একটি জার্নাল প্রতিষ্ঠা করেন। তার বিষয় শিল্প , কলা এবং সকল প্রকার মানবিক ক্ষেত্রে সাইকো অ্যানালিসিসের প্রয়োগ ।

    ১৯৩৭ সালে ইমাগোর তেইশ নম্বর ভলিউমে ফ্রয়েড একটি প্রবন্ধ লেখেন তার নাম “মোজেস মিশরের মানুষ ”। দুটি সংখ্যা বাদে তিনি লেখেন , “ মোজেস যদি মিশরীয় হতেন” ।

    মার্চ ১৯৩৮ সালে নাৎসিরা অস্ট্রিয়ার দখল (আনশ্লুস) নিলেন। মাস খানেকের মধ্যেই কোন কারণ ব্যতীত ফ্রয়েডের বাড়ি ও অফিসের খানা তল্লাশি হয় , মেয়ে আনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ দফতরে ডাক পড়ে । আসন্ন ইহুদি নির্যাতনের সম্ভাবনায় শঙ্কিত হয়ে ফ্রয়েডের এক অনুগত শিষ্য আরনেসট জোনস তাঁকে লন্ডনে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করেন । সাবাথের দিন, শনিবার ৪ জুন ১৯৩৮ তিনি শেষ বারের মতন ভিয়েনা ত্যাগ করলেন । লেখক বন্ধু স্টেফান তসোয়াইগকে এক লাইনের চিঠি লেখেন – “চলে যাচ্ছি , নতুন ঠিকানা ৩৯ এলসওয়ারদি রোড , লন্ডন এন ডব্লিউ ৩”।
    এই সময়ে তিনি তৃতীয় প্রবন্ধ লিখেছিলেন “ মোজেস, তাঁর অনুগতজন এবং একেশ্বরবাদ “। ফ্রয়েডের শেষ লেখা। ।তাঁর জীবদ্দশায় এটি ছাপা হয় নি।

    মোজেসকে নিয়ে লেখা তিনটি প্রবন্ধ অনুবাদ ও একত্রিত করে এক মলাটের মধ্যে আনেন ক্যাথারিন জোনস। ‘ মোজেস অ্যান্ড মনোথেইজম’ বইটি প্রকাশিত হয় সেপ্টেম্বর ১৯৩৯ । এক বছর আগে , ২৩শে সেপ্টেম্বর ১৯৩৮ ফ্রয়েড তাঁর হ্যাম্পস্টেডের বাড়িতে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন।

    প্রথম অধ্যায়

    মোজেস মিশরের মানুষ

    যে শিশুটিকে গঙ্গার জলে ভেলায় ভাসিয়ে দিয়েছিলেন মাতা কুন্তী , সে হারিয়ে যায় নি । বাকিটা আমাদের সবার জানা । অধিরথের সংসারে লালিত হয়ে কর্ণ একদিন বীর যোদ্ধা পরিগণিত হবেন ।

    রাজা প্রিয়াম স্বপ্ন দেখলেন তাঁর আসন প্রসবা স্ত্রী হেকুবা যে সন্তানের জন্ম দিতে যাচ্ছেন সে একদিন ট্রয় রাজ্যের বিনাশ করবে । পুত্র ভূমিষ্ঠ হলে রাজা তাকে তাঁর প্রধান পশুপালক আগেলাউসের হাতে তুলে দিয়ে তার নিধনের আদেশ দিলেন । আগেলাউস সেটি করতে পারলেন না , শিশুটিকে দূর পাহাড়ে রেখে এলেন । রাজাকে বললেন কর্ম সম্পন্ন । ন দিন বাদে সেখানে গিয়ে আগেলাউস দেখেন শিশুটি জীবিত , মায়া হলো। পিঠে বাঁধা একটি ব্যাগে ( গ্রিক পেরা ) তাকে বাড়ি নিয়ে এলেন, পেরায় আনা শিশুর নাম দিলেন পারিস । একদিন পারিস স্পারটার রানি হেলেনকে অপহরণ করবেন । স্পারটার রাজা মেনেলাউসের প্রতিহিংসার আগুনে ট্রয় বিধ্বস্ত হবে।

    শিশু একদিন পিতৃহন্তা হবে , মাতাকে বিবাহ করবে এমনি দৈববাণী শুনে রাজা লাইউস তাঁর পশুপালককে বললেন এই শিশুকে পাহাড়ের ওপরে রেখে এসো , সেখানেই সে মারা যাবে । অয়েদিপাউস বাঁচলেন, সকল ভবিষ্যতবাণী ফলে গেল ।

    মিথোলজিতে এহেন উদাহরণ অনেক।

    নাতি একদিন তাঁর রাজত্ব দখল করবে এই দৈববাণী শুনে মেসোপটেমিয়ায় উড়ুকের রাজা অয়কোরোস শিশু গিলগামেশকে প্রাসাদের দেওয়াল থেকে ছুড়ে ফেলেন। এক ঈগল পাখি শিশুকে রক্ষা করে। কালক্রমে ব্যাবিলনের রাজা হলেন গিলগামেস।

    শিশু হেরাকলেসকে ( হারকিউলিস ) মারবার জন্য তার বিছানায় সাপ ছেড়ে দেওয়া হয় হেরাকলেস তাকে বধ করেন।

    ফ্রয়েড এখানে একটি প্যাটার্ন খুঁজে পান –

    এই সব গল্পে দেখা যায় নায়ক উচ্চ বংশীয় অথবা রাজপুত্র , পরিবারের কেউ একটা স্বপ্ন দেখবেন বা ডেলফির ভবিষ্যতবাণী শুনবেন – এই ছেলে বাঁচলে রাজ্যের কলঙ্ক বা অমঙ্গল অথবা ধ্বংস অনিবার্য । রাজা সেই শিশুকে হত্যার নির্দেশ দেবেন কিন্তু সে বাঁচবে হয় ছিন্ন পাতার তরণীতে ভেসে , কোন প্রাণীর কল্যাণে অথবা দরিদ্র কোন মানুষের সেবায় । কালক্রমে আমাদের নায়ক তার প্রকৃত পরিচয় খুঁজে পাবেন, ব্যক্তিগত সফলতা যেমন অর্জন করবে তেমনি দৈববাণীকে সত্য প্রমাণিত করবে।

    নায়ক জন্মাবে ধনী সংসারে , বড়ো হবে দরিদ্র পরিবারে অথবা অরণ্যে ( অয়দিপাউস ব্যতিক্রম , তিনি লালিত হবেন এক রাজ পরিবারে)। সেই দারিদ্র্য থেকে নায়কের ঊর্ধ্বে আরোহণ ।

    মোজেসের যে কাহিনি আমাদের শোনানো হয় সেখানে তিনি জন্মেছিলেন দরিদ্র ইহুদি লেভাইট সংসারে, তারা শিশুটির কল্যাণের বাসনায় তাকে ভেলায় তুলে দেন, যদি কোন সহৃদয় পরিবার তাঁর দেখাশোনা করে – সেই ভেলা পৌঁছুল মিশরের রাজ পরিবারে, সে পেল ঘর সম্মান আদর যত্ন। রাজ পরিবার জানতেন না সে ইহুদি।
    ফ্রয়েড বলছেন এই শিশু কোন হিব্রু বংশজাত নয় । প্রচলিত পৌরাণিক গল্পটি মানতে তিনি নারাজ। এখানে তিনি জার্মান ঐতিহাসিক এডুয়ার্ড মায়ারের দ্বারস্থ হয়েছেন – মায়ার লিখেছেন ফারাও একদিন স্বপ্ন দেখেন তাঁর নাতি ( কন্যার সন্তান ) বড় হয়ে ফারাওয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করবে , সাম্রাজ্যের পতন ঘটাবে; তাই সে শিশু জন্মালে তাকে পাপিরাসের ভেলা বেঁধে নীল নদের জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। কোন হিব্রু মহিলা তাকে জল থেকে উদ্ধার করেন আরও এক ধাপ এগিয়ে ফ্রয়েড বলেন এ যে নীল নদ তাও মেনে নেওয়া শক্ত। এটা হিব্রু বাইবেলের গ্রহণযোগ্য নয় – তোরা বলে এক ইহুদি মহিলা মোজেসকে জলে ভাসিয়েছিলেন , জল থেকে তুলে আনেন নি। তর্জনী তুলে তাই বলা হয়-খামোশ।

    তাহলে এখানে দুটো গল্প পাওয়া গেলো - একটি ইহুদি অ্যাংগল থেকে অন্যটি মিশরীয় । মিশরীয় গল্পে শিশুটিকে বড়ো রোল দেওয়া যায় না, তিনি তাদের কোন কীর্তি বর্ধন করেন নি। কিন্তু ইহুদিদের গল্পে প্রয়োজন ছিল এক মহানায়কের , উদ্ধার কর্তার।

    আমরা দেখেছি মিথোলজির শিশু পরিত্যক্ত হয়ে সাধারণ ঘরে বড়ো হন, পরে নিজ শক্তিতে প্রতিকূলতাকে জয় করেন, তাঁর যোগ্য মর্যাদায় পৌঁছান, কোন রাজাকে হত্যা করেন বা রাজ্য জয় করেন। তাঁর স্টেটাস ক্রমশ বাড়তে থাকে। আমাদের কাহিনিতে মোজেসের কেস উলটো – বাইবেলের বর্ণনা অনুযায়ী মোজেস যখন আবিষ্কার করলেন তিনি ইহুদি , তৎক্ষণাৎ রাজসুখ পরিত্যাগ করে ইহুদিদের সঙ্গে দারিদ্র্য ও কঠিন জীবন বেছে নিলেন। তাই প্রশ্ন ওঠে - নীল নদে একটি পাপিরাসের ভেলায় চড়ে যে শিশুটি মিশরীয় রাজকুমারীর কাছে পৌঁছুল সেটাও কি এমনি কোন পূর্ব নির্দিষ্ট চিত্রনাট্যের প্রথম দৃশ্য ?

    নাম মোশে (হিব্রুতে Mosheh; বাইবেলের গ্রিক অনুবাদে S যোগ হয়; সেই ভার্শন জনপ্রিয় হয়েছে তাই তাই আমরা জানি মোজেস )। হিব্রু বাইবেলে এই নাম করণের ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে : হিব্রুতে মোশে মানে ‘ যাকে তোলা হয়েছে বা টেনে আনা হয়েছে’ । এক্ষেত্রে সীমিত অর্থে জল থেকে যাকে তোলা হয়েছে। গল্প অনুযায়ী ভেলা থেকে সেই শিশুকে টেনে তুললেন এক মিশরীয় রাজকুমারী । হিব্রু তিনি শিখলেন কোথায় ? বাইবেল নিশ্চুপ।

    কিন্তু বাইবেলের দাপটকে অস্বীকার করে কে ? তাই মোজেসকে হতে হলো হিব্রু বংশোদ্ভূত, প্রতিপালিত হলেন মিশরের রাজ অন্তঃপুরে , একদিন হিব্রু জাতির পাশে দাঁড়ালেন, তাদের বন্দি দশা থেকে মুক্তি দিয়ে লোহিত সাগর পেরিয়ে সিনাই পর্বতে ঈশ্বরের বাণী শোনালেন। হিব্রু বাইবেল যে তাই বলে।

    মিশরীয় ভাষায় মোসে শব্দের অর্থ শিশু । কার শিশু বা কেমন শিশু বোঝাতে একটি উপসর্গ যোগ হয় যেমন আমোন-মোসে, রা-মোসে , টুট -মোসে । এখানে সেই উপসর্গটি অনুপস্থিত – ইনি শুধুই মোসে ।

    ফ্রয়েডের মতে বাইবেল কিছুতেই মানতে পারে না মোজেস আদতে মিশরীয় রাজকুমার , হিব্রু রক্ত তাঁর ধমনিতে নেই। তাহলে একসোডাসের গল্পটা ধোপে টেকে না । প্রাচীন গল্পের হিরো যেমন কর্ণ হারকিউলিস গিলগামেশ রোমুলাস যাদের কথাই আমরা ভাবি না কেন , সেখানে দুটি পরিবার জুড়ে আছে, এক পরিবার শিশুকে ত্যাগ করে , আরেক পরিবার জ্ঞানে অজ্ঞানে তার প্রতিপালন করে । সেই মানুষটির খ্যাতি প্রতাপ ক্ষয় অবক্ষয় দেখা দেয় সেই দ্বিতীয় পরিবারে । সূত পুত্র কর্ণ মহাভারতের যোদ্ধা।

    ফ্রয়েড এই সিদ্ধান্তে এলেন - মোজেস মিশরের উচ্চবংশে জন্মেছেন , তিনি মিশরীয় । ভাসমান ভেলা মাতৃগর্ভের প্রতীক, , জলে ভেসে চলেন নতুন জীবনের সন্ধানে। যে শিশুর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ছিল শূন্য, সে এগিয়ে চলে স্বনির্বাচিত কোন মহৎ উদ্দেশ্য সাধনের পথে।

    কি সেই উদ্দেশ্য ?



    1939 Moses and Monotheism (German: Der Mann Moses und die monotheistische Religion)

    এরপর আগামী পর্বে

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
    পর্ব ১ | পর্ব ২
  • আলোচনা | ০৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৪৭৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ranjan Roy | ০৩ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:১৭539075
  • পড়ছি। 
  • হীরেন সিংহরায় | ০৩ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:৪৫539077
  • রঞ্জন 
     
    ভাগ্যি সিকি শতাব্দী উত্তর পশ্চিম লন্ডনের যে পাড়ায় বাস ছিল সেটি ছেড়ে এসেছি !  আমার স্থানীয় রাব্বি বাংলা পড়তে পারেন না জানি তবু যদি লোকমুখে আমার দুষ্কর্ম প্রচারিত হলে  আমার ডাক পড়তো তাঁর দপ্তরে । বিশ্বাস করবে কি না জানি না , আমাদের লেটার বক্সে লোকাল খবরা খবরের  রাব্বি সিংহরায়ের নামে ঠিকানা লেখা খামেচিঠি পেয়েছি এককালে!  
  • | ০৩ নভেম্বর ২০২৪ ১৮:১০539079
  • আরেব্বাস! ইন্টারেস্টিং তো।
  • হীরেন সিংহরায় | ০৩ নভেম্বর ২০২৪ ১৯:১৫539081
  • রহস্য গভীরতর হতে পারে।  ফ্রয়েড জীবনের শেষ সময়ে ইহুদি ধর্মের গোঁড়া ধরে টান দিয়েছিলেন!  
  • বিপ্লব রহমান | ০৪ নভেম্বর ২০২৪ ০৬:৪২539089
  • দুর্ধর্ষ অনুসন্ধান! ফ্রয়েড এক অপূর্ব বিস্ময়! 
  • # | 2001:67c:2660:425:26::***:*** | ০৪ নভেম্বর ২০২৪ ০৭:৪৯539093
  • ওঃ বাঙালির ফ্রয়েড প্রীতি আর গেল না। আরে বিব্লিক্যাল মনোথিইজমের উৎপত্তি বিষয়ে এখনকার স্কলারদের মত সম্পূর্ণ আলাদা তো! মার্ক স্মিথের অরিজিন অব বিব্লিক্যাল মনোথেইজম বইটা রেফার কল্লুম। 

    "Within the Bible, monotheism is not a separate “stage” of religion in ancient Israel, as it is customarily regarded. It was in fact a kind of ancient rhetoric reinforcing Israel's exclusive relationship with its deity... in the face of a world where political boundaries or institutions no longer offered sufficiently intelligible lines of religious identity.
     
    In its political and social reduction in the world (first because of the rise of foreign empires in the seventh century followed by its exile in 587–538), Israel elevated the terms of its understanding of its deity's mastery of the world.

    Put summarily: Israel was now no nation, but the gods of other nations, including the greatest powers, were not really gods; and Yahweh was the sole force over both."
     
    আমেরিকান স্কলার ডাবলু এফ আলব্রেইট, যিনি ডেড সি স্ক্রল আবিষ্কার করেন, উনি বলেছিলেন ফ্রয়েডের বইটা প্লেন গাঁজা (totally devoid of serious historical method).

    ফ্রয়েডের অনেক তত্ত্বের মতন এই আজগুবি তত্ত্বও আধুনিক স্কলাররা বাতিল করে দিয়েছে।
     
    অন্য প্রসংগে, হানুবাবু এককালে দিশি মনোথিইজম নিয়ে চাট্টি আলোচনা করেছিলেন বলে মনে পড়ছে। টইটা পাওয়া যায়? 
  • Debanjan Banerjee | 2409:4060:393:21d3:4c23:ce49:65f0:***:*** | ০৪ নভেম্বর ২০২৪ ০৯:২২539096
  • ভালো লিখছেন হিরেনদা l আরো লিখতে থাকুন l 
  • হীরেন সিংহরায় | ০৪ নভেম্বর ২০২৪ ২০:৩৮539113
  • #

    ফ্রয়েডের শেষ লেখাটি নিয়ে একটি পাঠ প্রতিক্রিয়া  বাঙালি পাঠকের কাছে হাজির করেছি , এটি  আমার মতামত নয়। এ বই আপনার পঠিত কিন্তু অনেকের কাছে হয়তো নয়। এ নিয়ে কিছু আলোচনা হবে আশা করি। 

    মার্ক স্মিথের বইয়ের বিষয়ে কিছু লিখুন। সেটা আমি পডি নি
  • kk | 172.58.***.*** | ০৪ নভেম্বর ২০২৪ ২১:০৫539114
  • খুব ইন্টারেস্টিং লাগছে। চলুক, পড়ছি। অন্য বইয়ের আলোচনা এলেও (আলাদা টইও খোলা যেতে পারে)ভালো লাগবে।
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ০৪ নভেম্বর ২০২৪ ২৩:৪৮539118
  • ফ্রয়েড একটা আলাদা ভাবনা ধরে টান দিয়েছেন, সেটা ঠিক হতে পারে, ভুলও হতে পারে। ইতিহাসের আধুনিক গবেষণা হয়তো অন্য কথা বলবে কিন্তু এই ভাবনাটা বেশ ইন্টারেস্টিং এটা অনস্বীকার্য। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কোন দিকে ব্যাপারটা মোড় নেয়। অপেক্ষায় রইলাম, নতুন সিরিজ খুব ভালো লাগছে।
  • সিএস | 2405:201:802c:7858:68c7:54b6:aaa8:***:*** | ০৫ নভেম্বর ২০২৪ ০১:২৩539120
  • পরে মানুষের জ্ঞান বেড়েছে, ফ্রয়েডের তত্ত্বর সমালোচনা হয়েছে, শুধু পরেই না, সেই সময়ের হয়েছে, স্বপ্নতত্ত্ব বেরোবার পরেই হয়েছে। কিন্তু ব্যক্তির অন্তর্মনকে খুঁড়ে দেখা থেকে শুরু করে ১৯২০ - ১৯৩০ এর সময় জুড়ে ফ্রয়েড গোষ্ঠী বা গ্রুপের অন্তর্মন খুঁজে দেখেছেন। ওঁর তত্ত্বের মূল দিকগুলোকে ব্যবহার করেই, ড্রাইভ, রিপ্রেশন, আনকনশাস ইত্যাদি। তো এই লেখাটিও সেরকম, জীবনের শেষ লেখা হয়েও, একটি গোষ্ঠীর ধর্মবিশ্বাসের পেছনে খুন - রিপ্রেশন - রিয়াকশন ফর্মেশন, যতদূর মনে পড়ে এইগুলি ব্যবহার করে ইহুদী ধর্মের গড়ে ওঠাকে বিশ্লেষণ করেছিলেন। ফ্রয়েড এখানেও টিপিকাল ফ্রয়েডই।

    ১৯২০ - ৩০ এর উল্লেখ করলাম কারণ ১৯২০ র দশকের প্রথম দিকে লিখছিলেন, 'দ্য ফিউচার অফ ইলিউশন', সংগঠিত ধর্ম বা রিলিজিয়ন কীভাবে বা কেন তৈরী হয় সেই নিয়ে। হ্যাঁ, মূলতঃ পশ্চিমের খ্রীস্টান ধর্ম ও সভ্যতাই ছিল বিষয়। রিলিজিয়নকে ইলিউশনের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন কিন্তু বোঝা ভাল ইলেক্শন মানে মিথ্যে বা ভুল নয়। এই ইলিউশঅন wish fulfillment থেকে আসে, এই wish fulfillment ও ফ্রয়েডের স্ব্প্ন বিশ্লেষণের গোড়ার কথা। লেখাটি বিতর্ক এড়াতে পারেনি, ইয়ুং ক্রিটিক করেছিলেন যে ধর্মসংক্রান্ত ফ্রয়েডের ধারণা উনিশ শতকীয় ধারণা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।

    মনে আছে, মোজেসকে নিয়ে লেখাটি আর ইলিউশন লেখাটির সঙ্গে একঈ সাথে একই বইতে (পেঙ্গুইনের একটা কালেক্শন) পড়েছিলাম 'গ্রুপ সাইকোলজি অ্যাণ্ড দ্য অ্যানালিসিস অফ ইগো', প্রতিপাদ্য ছিল একটি গ্রুপের বা জনসমষ্টি কেন, কোন বড় শক্তি দ্বারা চালিত হয়, যেমন রিলিজিয়ন বা মিলিটারি। প্রতিটি ব্যক্তি একে অপরের সঙ্গে লিবিডো বা ড্রাইভ দ্বারা যুক্ত এবং এই কমন যোগের দ্বারাই বড় শক্তিটির সঙ্গে যুক্ত, মূল যুক্তি মনে হয় এটাই ছিল।

    তো এইসব লেখাগুলো ইমপর্ট্যান্ট মনে হয়, ফ্রয়েডের লেখার প্রোগ্রেশন বোঝার জন্য, আগে যা লিখলাম, ব্যক্তি থেকে সমষ্টিতে যাওয়া, civilization and it's discontents, সেও এই পর্যায়েরই লেখা মনে হয়।
     
     
  • কনক | 103.192.***.*** | ০৫ নভেম্বর ২০২৪ ২০:৪১539143
  • পড়ছি।
     
    ফ্রয়েডের লেখা অল্প যা পড়েছি - বাংলা অনুবাদে এবং ওনার লেখা নিয়ে বাংলায় লেখা প্রবন্ধে উদ্ধৃতির মধ্য থেকে। তাই ওনার লেখা নিয়ে কোন গভীর ধারণা নেই। হয়ত সেই কারণেই মনে হয়েছে - কিছু তথ্যের বিশ্লেষণের ভিত্তিতে নিজের কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর পর সেই সিদ্ধান্তর সমর্থনে আরও তথ‍্য কাজে লাগানোর ব‍্যাপারেটায় ওনার লেখায় কিছুটা জোর করে মেলানোর প্রয়াস আছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন