“For I know the plans I have for you,” declares the Lord, “plans to prosper you and not to harm you, plans to give you hope and a future.” Jeremiah 29:11
সাল ১৯৫০, জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টর কার্ট রিখটার জল, বিশেষ ধরনের জলের জার এবং পোষা ইঁদুর ও জংলি ইঁদুর ব্যবহার করে ধারাবাহিকভাবে কিছু এক্সপেরিমেন্ট করেছিলেন, যার ফল হয়েছিল চমকপ্রদ, ‘আশা’-ব্যঞ্জক। ডক্টর কার্ট যেসব ভ্যারিয়েবল ব্যাবহার করে পরীক্ষা করেছিলেন, আমি সেগুলি বাদ দিয়ে খুব সংক্ষেপে মূল বিষয়টা এখানে লিখছি।
পরীক্ষা এক: অর্ধেক জল-ভর্তি পাত্রগুলিতে জংলি ইঁদুর ছেড়ে দিলে, যদিও এই ইঁদুরগুলি খুব ভালো জাতের সাঁতারু, বড় জোর ২-৩ মিনিট ( খুব বেশি হলে ১০/১৫ মিনিট ) সাঁতার কাটতে পারে। তারপর হাল ছেড়ে দেয় এবং জলে ডুবে মরে যায়।
পরীক্ষা দুই: এবারে ডক্টর রিখটার একটা কৌশল অবলম্বন করলেন। ক্লান্তি ও দমের ঘাটতির জন্য খাবি খেতে থাকা ইঁদুরগুলি যে সময়ে হাল ছেড়ে দেয়, তার ঠিক সামান্য আগে রিখটারের সহযোগী গবেষকরা ইঁদুরগুলিকে জল থেকে বের করে এনে তাদের গা মুছিয়ে শুকনো করে, কিছুক্ষণ রেস্ট করিয়ে, আবার জলে ছেড়ে দিলেন—
এই দ্বিতীয়বারে কতক্ষণ ইঁদুরগুলি এই দুর্ভাগ্যের সঙ্গে, জল-মানে-জীবনযুদ্ধ করল?
৫ মিনিট? ১০ মিনিট? ৩০ মিনিট?
না!
দু’দিন এক রাত!
হ্যাঁ, ৬০ ঘণ্টা!
কেননা ইঁদুরগুলি ভেবেছে একবার যখন মিরাকল হয়েছে, আবারও নিশ্চয়ই নিশ্চিত-মৃত্যুর হাত থেকে উদ্ধার পাওয়া যাবে। কোনো এক অলৌকিক বা ঐশ্বরিক হাত এসে জল থেকে তুলে নিয়ে যাবে। তাই এক একটি ইঁদুর, শরীরের শেষ শক্তিবিন্দুটুকু ব্যাবহার করেছে, মৃত্যুকে দূরে সরিয়ে রাখতে।
মানুষ এবং ইঁদুরের মধ্যে স্পষ্টতই অনেক পার্থক্য রয়েছে। তবে একটা মিল খুঁজে পাওয়া যায়: সাঁতার কেটে-যাওয়ার জন্য ইঁদুর বা মানুষ, দুয়েরই একটা কারণ দরকার!
পরিশেষে, তবে কী কবিতাই জীবনে সেই মিরাকল, না বুঝেই যার জন্য মুখ দিয়ে বুড়বুড়ি কাটতে কাটতে এতকাল ভেসে থাকতে পারলাম!
ছোট্ট সুন্দর লেখা । বিজ্ঞান ও সাহিত্যের বুদ্ধিযুক্ত মেলবন্ধন।