আমরা মোচ্ছব করি বইমেলায়। আনন্দে নাচি শরতে। মঙ্গলযাত্রা করি বৈশাখে। রঙ মাখাই বসন্তে। কিন্তু ক্রমশ সে সবই লাটে। এফএমএ হিন্দির অত্যাচার। পুজোয় ভাইরাসের। এপারে এন-আর-সির উপদ্রব ওপারে মুন্ডু-কাটা মৌলবাদের। বইমেলা কবে-কোথায় গিল্ডও জানেনা। শীতকাল কবে আসবে, উত্তর চাইলে সুপর্ণাও থতমত। অবস্থা যা, তাতে বিপ্লব কি নভেম্বরে? জিজ্ঞাসা করলে লেনিনও হকচকিয়ে যেতেন। ডি-ডে টা কবে, জানতে চাইলে চার্চিল নির্ঘাত বলতেন, আগে তো কোভিডটা মিটুক রে বাবা।
কিন্তু তাতে আমাদের থামিয়ে রাখা যাচ্ছে কই। জুতোর দোকানে ভিড়ে-ভিড়াক্কার। হাতিবাগান জমজমাট। লকডাউনে আপিস খোলা কিন্তু ট্রেন বন্ধ, তাই ভাড়া বাসেই গাদাগাদি। আর আছে ইন্টারনেট। সেখানে তো ভিড়ের কখনই কোনো কমতি নেই। কেউ ডিগবাজি দিচ্ছে, কেউ শাস্ত্রীয় সঙ্গীত। আর আছে অন্তহীন ওয়েবিনার, ব্যান্ডউইডথের চচ্চড়ি। দলবেঁধে আলোচনা, বাঙালির ভার্চুয়াল ফুটবল প্রতিযোগিতা।
আমরা অবশ্য লাথালাথিতে নেই। ইন্টারনেটে অবশ্যই আছি। মানে সাতে আছি কিন্তু পাঁচে নয়। তাই এই শরতে আমাদেরও মোচ্ছব ইন্টারনেটেই। আসিতেছে নতুন শারদ সংখ্যা। কিস্তিতে কিস্তিতে। এফ-এম মাল্টিপ্লেক্স মেট্রো আর সর্বভারতীয় মাধ্যম থেকে বাংলা উঠে গেলে কী হবে, এবার আমাদের বিষয় বাংলা। পড়া যাবে ইন্টারনেটেই। কাল থেকেই নজর রাখুন গুরুর পাতায়।
হ্যাঁ, ভুলে যাবেননা ইন্টারনেট মানেই কিন্তু ফেসবুক নয়। ফেসবুকে আপনি যা লিখছেন, তা শেষমেশ বাজারকর্পোরাষ্ট্রের উপকারেই লাগবে। এই বাজারে গুরু নিয়ে এসেছে সম্পূর্ণ এক সামাজিক মাধ্যম। শারদ সংখ্যা পড়তে ঢুকে পড়ুন গুরুতে। আর বেরোবেননা। শরৎ থেকে বসন্ত, বইমেলা থেকে নববর্ষ, জমে উঠুক মোচ্ছব, নজরদারির বাইরে। গুরুর পাতায় পাতায়।
নিতান্ত কঠিন সময়ে শরৎ টোয়েন্টি টোয়েন্টি প্রকাশের জন্য গুরুচন্ডালিকে ধন্যবাদ।
এই যে ছবি- আলো ছায়া সোনা রোদ গাছ আর এক ঠ্যাঙে বক দাঁড়িয়ে নাকি নিঃসঙ্গ কাশ - আশ্চর্য ব্যঞ্জনা। ছবিটি নিজেই একটি লেখা। লেখার অধিক কিছু।
অন্যান্য লেখার সঙ্গে ঈপ্সিতার তোলা আলোকচিত্র এই সংকলনের সম্পদ।
ধীরে ধীরে পড়ছি।
আবারও ধন্যবাদ।
ছবির শারদ আবেশ। আহা!
আমাদের শারদ মোচ্ছবের প্রথম দিনে প্রকাশিত ঃ
কবিতা
গল্প
একবার দাঁড়াও বন্ধু এবং: মুরাদুল ইসলাম
কূটকচা৯
"আমি বাঙালী হচ্ছি": ডিডি
কুণাল বিশ্বাসের লেখাটা গদ্য কেন , পদ্য নয় কেন ?
শারদ মোচ্ছবের দ্বিতীয় দিনে প্রকাশিত
নভেলা
শারদীয়. পড়াশোনা
শারদ মোচ্ছবের তৃতীয় দিনে প্রকাশিত
শারদ মোচ্ছবের চতুর্থ দিনে প্রকাশিত
গল্প
ডিসেম্বর: অনিরুদ্ধ চক্রবর্তী
কবিতা
শারদ মোচ্ছবের পঞ্চম দিনে প্রকাশিত
গল্প
একটি ত্রেতাযুগের ইশকুলের গল্প: জয়ন্তী অধিকারী
প্রবন্ধ
আয়ুর্বেদের সংক্ষিপ্ত চারিত্র্য-কাহিনী এবং বাংলার আধুনিক আয়ুর্বেদ-চর্চা: ডাঃ জয়ন্ত ভট্টাচার্য
শারদ মোচ্ছবের ষষ্ঠ দিনে প্রকাশিত
গল্প
মানচিত্র: যশোধরা রায়চৌধুরী
কবিতা
প্লাজমা বিকেল, কিছু প্রতিপ্রভ গরলের কথা: সায়ন্তন চৌধুরী
প্রবন্ধ
শারদ মোচ্ছবের সপ্তম দিনে প্রকাশিত
গল্প
হরিণের কাছাকাছি: ইন্দ্রাণী
কবিতা
গারদের এপার ওপার: অমিতাভ মুখোপাধ্যায়
প্রবন্ধ
লেখার সাথে ছবিগুলোর সঙ্গত অসাধারণ হচ্ছে। পাইদিদি আর তার টীমকে কুর্নিশ।
শারদ মোচ্ছবের অষ্টম দিনে প্রকাশিত
কবিতা
থিমপুজো: সোমনাথ রায়
প্রবন্ধ
মহিষমর্দিনী থেকে সিংহবাহিনী ও মহিষাসুরমর্দিনীর বিবর্তন: সুদীপ্ত পাল
শারদ মোচ্ছবের নবম দিনে প্রকাশিত
পুজোর কথা
বিনায়করুকুর পুজোর ডাইরি: বিনায়ক রুকু
গোয়েন্দা জিমি ব্যান্ডো: সুস্মিতা কুণ্ডু
প্রবন্ধ
শিশিরকুমার মিত্রঃ বিস্মৃতপ্রায় বাঙালি বিজ্ঞানীর ১৩০ তম জন্মদিবসেঃ সহস্রলোচন শর্মা
শারদ মোচ্ছবের দশম দিন, নবমীতে প্রকাশিত
পুজোর কথা
বাড়ির পুজো – পুজোর বাড়ি - নবমী কথা: সুকান্ত ঘোষ
প্রবন্ধ
গুগাবাবার গান:সম্বিৎ বসু
ভিস্যুয়াল কোটেশন এবং সত্যজিতের ছবি:দেবরাজ গোস্বামী
এই কঠিন সময়ের মধ্যেও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ এবং অসাধারণ কিছু কাজ করে চলেছেন 'গুরু'রা। সাধারণ পাঠক হিসাবে আন্তরিক ধন্যবাদ, শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানাই।
গুরুচন্ডালীতে অসাধারণ পাঠের খোরাক পেয়ে এই পুজোতে বেঁচে গেছি। নাহলে তো শুধু ব্যাজার মুখ আর আতঙ্ক।
ঈপ্সিতা পালভৌমিকের ছবি অনবদ্য। সমস্ত লেখার সঙ্গে সাথসঙ্গতে সেরা !
শারদ মোচ্ছবের একাদশ দিন, দশমীতে প্রকাশিত
গল্প
কবিতা
যখন সময় বৃষ্টিহীন: চিরশ্রী দেবনাথ
শারদ মোচ্ছবের দ্বাদশ দিনে প্রকাশিত
তিনটি গল্প
আশ্রয়: অনিন্দিতা গোস্বামী
কালকূট: স্মৃতি ভদ্র
গল্পের আগে, পরে এবং কেন্দ্রবিন্দুতে: বিশ্বদীপ চক্রবর্তী
এবং, পদ্য
শারদ মোচ্ছবের ত্রয়োদশ দিনে প্রকাশিত
গল্প
উত্তমকুমার, চন্দ্রমুখী এবং ... : স্বাতী রায়
কবিতা
ছায়াপথের পরিযায়ী: বেবী সাউ
প্রবন্ধ
এই লেখাটি আপডেট হওন লাগে যে! আমি ত এইটে থেকেই লিস্ট ধরে পড়তে থাকি। :)
শারদ মোচ্ছবের চতুর্দশ দিনে প্রকাশিত
গল্প
দাঁড়িয়ে আছ তুমি আমার গানের ও পারে: ঐন্দ্রিল ভৌমিক
কবিতা
অন্ধকার প্রজাপতি: মণিশংকর বিশ্বাস
শারদ মোচ্ছবের পঞ্চদশ দিনে প্রকাশিত
নভেলা
হে অতীত, কথা কও:অমিতাভ চক্রবর্ত্তী
কবিতা
রাধা ও শহরের পেট: বহতা অংশুমালী
প্রবন্ধ
তপন সিংহ – যে জন আছেন মাঝখানে ...!: শুভময় সরকার
শারদ মোচ্ছবের ষোড়শ দিনে প্রকাশিত
গল্প
এই স্বপ্ন, এই গন্তব্য!: শাক্যজিৎ ভট্টাচার্য
বিড়াল-পোস্টমর্টেম: মোজাফ্ফর হোসেন
কবিতা
নোস্টোস, অথবা এক দুর্বহ ভার: শৌভ চট্টোপাধ্যায়
প্রবন্ধ
শারদ মোচ্ছবের সপ্তদশ দিনে প্রকাশিত
গল্প
একটি দুম্বা কেঁদে যাচ্ছে: রুখসানা কাজল
নারীপক্ষ: অনুরাধা কুন্ডা
তিমিরের বেদীতে উৎসব: দময়ন্তী
কবিতা
প্রবন্ধ
শারদ মোচ্ছবের অষ্টাদশ দিনে প্রকাশিত
গল্প
বাঘ: আহমেদ খান হীরক
সোঁদালের ফুল: সাদিক হোসেন
কবিতা
চারটি সনেট: বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়
প্রবন্ধ
শারদ মোচ্ছবের ঊনবিংশতিতম দিনে প্রকাশিত
নভেলা
কবিতা
স্তব্ধতার লেখা: চিরঞ্জিৎ সামন্ত
শারদ মোচ্ছবের বিংশতিতম দিনে প্রকাশিত
গল্প
কবিতা
এইভাবে শরতঋতু ও অন্যান্য কবিতা: সুদীপ্ত বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রবন্ধ
নানা মাত্রায় ছেলে ভুলানো ছড়াঃ প্রসঙ্গ পুরুলিয়া: বিশ্বনাথ কুইরী
মত্ত মাদল বাজিয়ে ...: প্রবুদ্ধ মিত্র
শারদ মোচ্ছবের একবিংশতিতম দিনে প্রকাশিত
প্রবন্ধ
আজলাত: জারিফা জাহান
বাস্তুহারা প্রজন্মের লেখকের স্বগত সংলাপ..: দেবর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়
যা হারিয়ে যায় - পুরনো কোলকাতার গল্প: রঞ্জন রায়
শারদ মোচ্ছবের দ্বাবিংশতিতম দিনে প্রকাশিত
নভেলা
কুয়াশা ও লালিগুরাস: বিপুল দাস
কবিতা