এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • বর্ণমালা, আমার দুঃখিনী বর্ণমালা

    এবড়োখেবড়ো লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২০ মে ২০১৯ | ২৩২৯ বার পঠিত
  • ‘কেন? আমরা ভাষাটা, হেসে ছেড়ে দেবো?
    যে ভাষা চাপাবে, চাপে শিখে নেবো?
    আমি কি ময়না?
    যে ভাষা শেখাবে শিখে শোভা হবো পিঞ্জরের?’ — করুণারঞ্জন ভট্টাচার্য

    স্বাধীনতা-পূর্ব সরকারি লোকগণনা অনুযায়ী অসমের একক সংখ্যাগরিষ্ঠ ভাষাভাষী মানুষ ছিলেন বাঙালি। দেশভাগের পরেও অসমে বাঙালি ছিলেন মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ। স্বাভাবিক কারণেই সেই সময় অসমিয়া প্রধান সরকারি ভাষা ঘোষিত হলেও সমগ্র অসমে সরকারি স্তরে দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে চালু ছিল বাংলা। কিন্তু তার পর শুরু হয় ঠান্ডা মাথায় ছক কষার কাজ। অসমের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী গোপীনাথ বরদলৈ ঘোষণা করেন ‘Undoubtedly Assam is for Assamese’। তারই সুর ধরে অসম ট্রিবিউন পত্রিকা লেখে ‘Culturally, racially and linguistically every non-Assamese is a foreigner in Assam’.
    এই পরিবেশে ১৯৫১ সালের লোকগণনায় ঘটানো হয় বিরাট কারচুপি, অসমিয়ার সংখ্যা বেড়ে হয় শতকরা ৫৫ ভাগ আর বাঙালি শতকরা ১৭ জন। এই ব্যাপক সংখ্যক অসমিয়াভাষী মানুষের বৃদ্ধি ও বাংলাভাষী মানুষের হ্রাসকে তৎকালীন লোকগণনার অধীক্ষক আর বি ভাগাইওয়ালা চিহ্নিত করেন ‘Biological Miracle’ হিসাবে। এই ‘মির‍্যাকল’কে বাস্তবে রূপ দিতে ১৯৫১ সালের শেষ দিকে ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায় সংঘটিত হয় ব্যাপক ‘বঙাল খেদা আন্দোলন’, ভাষা বিদ্বেষ পৌঁছয় চূড়ান্ত পর্যায়ে। প্রাণ বাঁচাতে বাঙালি পালায় শিলং, উত্তরবঙ্গ, কলকাতা। ১০ অক্টোবর, ১৯৬০ সালে তৎকালীন অসমের মুখ্যমন্ত্রী বিমলাপ্রসাদ চালিহা অসমিয়াকে অসমের একমাত্র সরকারি ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব উত্থাপন করেন। উত্তর করিমগঞ্জ-এর বিধায়ক রণেন্দ্রমোহন দাস-এর তীব্র বিরোধিতাকে উপেক্ষা করে অসম বিধানসভায় ১৯৬০ এর ২৪ অক্টোবর পাস হয় রাজ্যভাষা বিল – অসমের একমাত্র সরকারি ভাষা হয় অসমিয়া।

    এই ঘোষণার বিরুদ্ধে বাংলা ও অন্যান্য স্থানীয় ভাষার স্বীকৃতির দাবিতে বরাক উপত্যকাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে এক প্রবল ভাষা আন্দোলন। ’৫২-র চেতনায় উদ্দীপ্ত হয়ে প্রথমে বাংলা ভাষাভাষীরা ১৯৬১ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি গঠন করেন ‘কাছাড় গণসংগ্রাম পরিষদ’। তার পর নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে দাবি আদায়ের জন্য ১৪ এপ্রিল শিলচর, করিমগঞ্জ এবং হাইলাকান্দিতে পালিত হয় ‘সংকল্প দিবস’। এই কর্মসূচীর ব্যাপক সাফল্যের পর পরিষদ উপত্যকা জুড়ে ২৪ এপ্রিল পক্ষকাল ব্যাপী এক পদযাত্রার সূচনা করে। পদযাত্রা শেষে ঘোষণা করা হয় ১৩ এপ্রিল, ১৯৬১ সালের মধ্যে বাংলাকে অন্যতম সরকারি ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি না দিলে ১৯ মে সমগ্র কাছাড়ে ধর্মঘট পালন করা হবে। অসম সরকার এই দাবির প্রতি কর্ণপাত না করে দমননীতি গ্রহণ করে। ১৮ মে আনন্দবাজারের শিলচর প্রতিনিধি লেখেন, “কাছাড় গণসংগ্রাম পরিষদ আহূত কাছাড়ে আসন্ন ভাষা আন্দোলন দমনের জন্য সরকার পক্ষের বিরাট ‘সমর প্রস্তুতি’ সম্পূর্ণ প্রায়।”

    পূর্ব সিদ্ধান্ত মতো ১৯৬১ সালের ১৯ মে বিভিন্ন বয়সের মানুষ শিলচর রেলস্টেশনে অহিংস অবস্থান ধর্মঘট করার জন্য সমবেত হতে থাকেন। ১৯ মে ভোর ৫ টা ৪০ মিনিটে শিলচর থেকে যে ট্রেনটি ছেড়ে যাবার কথা ছিল, একটি টিকিটও বিক্রি না হওয়ায় সেটি এবং পরবর্তী সব ক’টি ট্রেন বাতিল করা হয়। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করতে দুপুরের পর অসম রাইফেলস ও পুলিশ অবস্থান ধর্মঘট পালনকারীদের গ্রেফতার শুরু করলে চারদিকে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হতে শুরু করে।

    আনুমানিক দুপুর আড়াইটে নাগাদ পুলিশের একটি দল ট্রাকে করে ন’জন ধর্মঘটি বাঙালিকে কাটিগোড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করে স্টেশনের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় অজ্ঞাত কারণে স্টেশনের সন্নিকটে তারাপুর জনসমাবেশের পাশে হঠাৎ থেমে যায়। উৎসুক জনতা ট্রাকটির কাছে পৌঁছতেই ড্রাইভারের পাশে উপবিষ্ট জনৈক অসমিয়া পুলিশ কর্মচারী ট্রাকের পেট্রোল ট্যাঙ্কে জ্বলন্ত দেশলাই ছুঁড়ে দ্রুত ট্রাক থেকে নেমে যান। স্বেচ্ছাকৃত দুষ্কর্মকে আড়াল করা এবং সুযোগের অপেক্ষায় থাকা রাজকর্মচারীদের জিঘাংসা চরিতার্থ করার জন্য একে একটি অজুহাত হিসাবে ব্যবহার করা হয়। অতঃপর কোনও পূর্বঘোষণা ছাড়াই আধা সামরিক বাহিনীর সদস্যেরা নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করতে থাকে। ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান ভাষা-আন্দোলনের প্রথম নারী শহিদ কমলা ভট্টাচার্য সহ মোট ৯ জন ভাষাবিপ্লবী। রাতে হাসপাতালে মারা যান বীরেন্দ্র সূত্রধর। ২১মে ভোরে স্টেশনের পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয় সত্যেন্দ্রকুমার দেবের বুলেটবিক্ষত দেহ। মোট ভাষা শহিদের সংখ্যা দাঁড়ায় ১১ জন।

    ২০ মে সান্ধ্য আইন উপেক্ষা করে নিহতদের মৃতদেহ নিয়ে মিছিল বের হলে মিছিলে জনতার ঢল নামে। অসম সরকার উপলব্ধি করে যে, ন্যায়সঙ্গত দাবিকে কেন্দ্র করে বাঙালি জনগোষ্ঠীর মধ্যে যে ঐক্য ও উন্মাদনা তৈরি হয়েছে তা দমন করা সম্ভব নয়। সরকার বাঙালির প্রাণের দাবি মেনে নেয় এবং বরাক উপত্যকায় বাংলা সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।

    রবীন্দ্রনাথের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ ও বাংলা ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য জওহরলাল নেহরু সেদিন অসমেই ছিলেন। পরিহাস এই যে, সেদিনের সভায় নেহরু রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে বহু কথা বললেও বাংলা ভাষার অধিকার রক্ষার জন্য যাঁরা প্রাণ দিলেন তাঁদের নিমিত্তে তাঁর পঁচাত্তর মিনিটের দীর্ঘ ভাষণে একটি শব্দও ব্যয় করেননি।

    বাংলা ভাষার জন্য শিলচরের বাঙালিদের এই অপরিসীম আত্মত্যাগ তার প্রাপ্য মর্যাদা আজও পায়নি। সমকালে বনফুল এবং মনীশ ঘটক ছাড়া বাংলা সাহিত্যের আর কোনও নামজাদা লেখকের লেখায় এ ঘটনার উল্লেখ পর্যন্ত মেলেনি। পশ্চিমবঙ্গের আবেগজর্জর বাঙালি একুশে ফেব্রুয়ারির স্মরণে সভা সমিতি করেন, রবীন্দ্র সদনের সামনে ঢাকার শহিদদের স্মরণে ফলক ব্সান, অথচ শিলচরের শহিদদের নামোচ্চারণ করার প্রয়োজনটুকুও বোধ করেন না! হয়তো আমরা ভুলতে চাই

    ‘একুশের ফুল বাসি হয় না কখনো
    মাতৃগর্ভে জন্ম নেয় নিয়ত উনিশ
    বিশ্বাস না হয় যদি, তো জিজ্ঞেস করো
    বলবে, ভারত, বাংলাদেশের পুলিশ’ — বিজয় ভট্টাচার্য

    ঋণ : ১. সুকুমার বিশ্বাস, ‘আসামে ভাষা আন্দোলন ও বাঙালি-প্রসঙ্গ ১৯৪৭-১৯৬১’
    ২. অতীন দাশ সম্পাদিত ‘উনিশের কবিতা’
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২০ মে ২০১৯ | ২৩২৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • এবড়োখেবড়ো | ***:*** | ২০ মে ২০১৯ ০৩:৫৫48286
  • টেকনিক্যাল ব্যাপারে অপরিসীম অজ্ঞতার কারণে লেখাটি আরও একবার পোস্ট করতে বাধ্য হলাম। আলোচনার সূত্রে যে সব কথা উঠে এসেছে সেই সবও কপি-পেস্ট করে একত্রিত করে দিলাম এখানে। এই ধৃষ্টতা ক্ষমা করবেন গুরুজনেরা।

  • এবড়োখেবড়ো | ***:*** | ২০ মে ২০১৯ ০৩:৫৭48287
  • Comment from ~L~ on 19 May 2019 20:45:17 IST 781212.194.120123.250 (*) #

    এই উনিশে মে কে ভুলে থাকা বা একুশে ফেব্রুয়ারির পাশে জায়গা দেওয়া বা না দেওয়া একটা স্বতন্ত্র রাজনীতি, সম্ভবত শুধু শহীদ সংখ্যার গোনাগুনতিটা ফ্যাক্টর নয়। এই জায়গাটা আমার ইন্টারেস্টের। সুকুমার বিশ্বাস বাবুর বইটা পড়তে হবে।

    বাংলা উইকিতে ( https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%
    A6%BE_%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A6%BE_%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%8D
    %E0%A6%A6%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A6%A8_(%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A
    6%95_%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%95%E0%A6%BE )

    লিখেছে - বিকেল প্রায় ২:৩০র সময় ন'জন সত্যাগ্রহীকে কাটিগোরা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের একটি ট্রাক তারাপুর স্টেশনের (বর্তমানের শিলচর রেলওয়ে স্টেশন) কাছ থেকে পার হয়ে যাচ্ছিল । পিকেটিংকারী সকলে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যেতে দেখে তীব্র প্রতিবাদ করেন। ভয় পেয়ে ট্রাকচালক সহ পুলিশরা বন্দীদের নিয়ে পালিয়ে যায়। এর পর কোনো অসনাক্ত লোক ট্রাকটি জ্বালিয়ে দেয়, যদিও দমকল বাহিনী এসে তৎপরতার সাথে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তারপর প্রায় ২:৩৫ নাগাদ স্টেশনের সুরক্ষায় থাকা প্যারামিলিটারী বাহিনী আন্দোলনকারীদেরকে বন্দুক ও লাঠি দিয়ে মারতে শুরু করে। এরপর সাত মিনিটের ভিতর তাঁরা ১৭ রাউণ্ড গুলি আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে চালায়।[৪] ১২ জন লোকের দেহে গুলি লেগেছিল। তাঁদের মধ্যে ন'জন সেদিনই নিহত হয়েছিলেন; দু'জন পরে মারা যান। ২০ মে তে শিলচরের জনগণ শহীদদের শবদেহ নিয়ে শোকমিছিল করে প্রতিবাদ সাব্যস্ত করেছিলেন।

    সুতরাং ঘটনার পারম্পর্য নিয়ে ভিন্নমত রয়েইছে। উইকির ( https://en.wikipedia.org/wiki/Bengali_Language_Movement_(Barak_Valley) ) মতটির উৎস এইটে - https://www.wethepeople-barakvalley.in/bhasha-shahid-divas-language-ma
    rtyrs%E2%80%99-day/843

    http://joutho.wikidot.com/19th-may-matribhasha এ কয়েকজনের ছবি রয়েছে। (ছবিগুলোর অথেনটিসিটিও চেক করা দরকার। ছবিগুলো সব উইকিতেও নেই)
  • এবড়োখেবড়ো | ***:*** | ২০ মে ২০১৯ ০৩:৫৯48288
  • Comment from এবড়োখেবড়ো on 19 May 2019 22:59:05 IST 230123.142.9001212.170 (*) #

    @~L~, আপনাকে ধন্যবাদ। একজিট পোলের উত্তেজনার আঁচ এড়িয়ে লেখাটি পড়ার এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ কিঙ্ক দেওয়ার জন্য।
    ১. বাংলা উইকিতে এ ব্যাপারে অজস্র ভুল আছে। প্রথমত শিলচর স্টেশন কোনও কালেই তারাপুর স্টেশন হিসাবে পরিচিত ছিল না।
    https://en.wikipedia.org/wiki/Silchar_railway_station
    ২. কোনও 'অসনাক্ত' লোক ট্রাকটিতে আগুন দেয়নি, বরং নির্দিষ্ট অভিযোগ ছিল অসম পুলিশের দিকেই। সে আগুন সত্যাগ্রহীরাই বালি, জল ও কচুরিপানা দিয়ে নিভিয়ে ফেলেন। কিন্তু এই ঘটনাটাকে রাষ্ট্র গুলি চালানোর অজুহাত হিসাবে খাড়া করে। আগের দিন থেকে সশস্ত্র প্রস্তুতি তারই ইঙ্গিত দেয়।
    ৩. শহিদদের মারা যাওয়ার ডিটেলটা এই রকম --- হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে কমলা ভট্টাচার্য, শচীন্দ্র পাল, সুকোমল পুরকায়স্থ, কানাই নিয়োগী, কুমুদ দাস, সুনীল সরকার, হিতেশ বিশ্বাস, চণ্ডীচরণ সূত্রধর ও তরণী দেবনাথ সহ মোট ন'জনকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। গুরুতর আহত বীরেন্দ্র সূত্রধর ওই দিন রাতে হাসপাতালে মারা যান। ২১মে ভোরে স্টেশনের পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয় সত্যেন্দ্রকুমার দেবের বুলেটবিক্ষত দেহ।

    আপনি দ্বিতীয় যে লিঙ্কটি দিয়েছেন অর্থাৎ wethepeople সেখানেও বীরেন্দ্র সূত্রধর এবং সত্যেন্দ্রকুমার দেবের মৃত্যুর বিষয়টিকে গুলিয়ে ফেলা হয়েছে।

    তৃতীয় লিঙ্কে দেওয়া শহিদদের ছবি অবশ্য ঠিকই আছে।

    আনন্দবাজারের শিলচর প্রতিনিধির সংবাদ মারফত জানা যায় যে মৃত অবস্থায় আনা হয় ৪ জনকে, হাসপাতালে আনার সঙ্গে সঙ্গে মারা যান ৪ জন এবং হাসপাতালে ভর্তির পর একজন। এছাড়াও শিলচর সদর হাসপাতালের অন্তর্বিভাগে ভর্তি হন ৭৭ জন (পুরুষ ৭০ জন) এবং বহির্বিভাগে ভর্তি হন ২৪ জন (পুরুষ ২২ জন)।
  • এবড়োখেবড়ো | ***:*** | ২০ মে ২০১৯ ০৩:৫৯48289
  • Comment from এবড়োখেবড়ো on 20 May 2019 00:00:32 IST 230123.142.9001212.170 (*) #

    @~L~, তখন একটা কথা বলতে ভুলে গিয়েছিলাম। আপনার প্রথম লিঙ্কটি দেখলেও দ্বিতীয় ও তৃতীয় লিঙ্কটি কোনও দিন দেখিনি। সে হিসাবে দ্বিতীয় লিঙ্কটি বেশ ভালো মানের।
  • এবড়োখেবড়ো | ***:*** | ২০ মে ২০১৯ ০৪:০০48290
  • Comment from ~L~ on 20 May 2019 10:58:22 IST 90056.160.011223.3 (*) #

    আমি প্রাথমিকভাবে উইকি র রেফারেন্সের লিংকগুলো দেখি। কিছু লিংক ডাউন থাকলে সেগুলো আলাদাভাবে গুগুল করে দেখি। এই দ্বিতীয় লিংকটা https://www.wethepeople-barakvalley.in উইকিতে .com হিসেবে রয়েছে, যা বর্তমানে ডাউন। তাই লিংক এ ক্লিক করে না খুললে বিরক্তি বা হতাশায় ওটা এড়িয়ে যাওয়াই দস্তুর। সেইজন্যেই নিশ্চয়ই আগে দেখেন নি। আমি আলাদা করে গুগুল করে পালটানো ডোমেইনটা পেয়ে গেলাম সৌভাগ্যবশত।

    আসলে উইকির বেশিরভাগ লিংকই বর্তমানে ডাউন। কিছু উদ্ধার করা গেল। রইল একত্রে।

    ১) http://www.epaper.eisamay.com/Details.aspx?id=3850&boxid=32416359 -- এটায় ইমেজটা খুলবে না। তাতে ঘাবড়াবেন না। এইটে খুলে টেকস্ট ভিউ তে ক্লিক করলে তবে পড়া যাবে। এটা হল Chowdhury, Ranajit (19 May 2013). "বিস্মৃত বলিদান". Ei Samay (in Bengali).

    ২) Choudhuri, Arjun. "Bhasha Shahid Divas". We The People, Barak Valley. Retrieved 23 May 2013 --- এইটে আগের পোস্টে দিয়েছি। ডোমেইন টা .com থেকে ।in করতে হত।

    3) এই সময় ১৯ মে ২০১৩ Mukhopadhyay, Baidyanath (19 May 2013). "বাঙালির চেতনায় শুধু একুশে, স্থান নেই উনিশের শহীদদের". লিংক উদ্ধার করতে পারলাম না

    ৪) "Report of Non-Official Enquiry Commission on Cachar" (PDF). Silchar: A. K. Das Memorial Trust - এই লিংকটা অয়েব আর্কাইভ থেকে কাজ করছে উইকিতেও https://web.archive.org/web/20131229042659/http://www.unishemay.org/en
    glish-pages/lang-content/NCChatterjee.pdf

    ৫) Laskar, Dilip Kanti (4 March 2012). "উনিশের সংগ্রাম অনন্য, অতুলনীয়". The Sunday Indian (in Bengali). Retrieved 23 May 2013. -- সানডে ইন্ডিয়ানের আর্কাইভ পেলাম না। মূল লেখাটা পাওয়া যাবে এখানে -- https://irabotee.com/unishersangram/

    ৬) "No alliance with BJP, says AGP chief". The Telegraph, Calcutta. 27 December 2003. -- এতার উইকি লিংক কাজ করছে। https://www.telegraphindia.com/states/north-east/no-alliance-with-bjp-
    says-agp-chief/cid/784565

    ৭) "Silchar rly station to be renamed soon". The Times of India. 9 Jun 2009. -- এটাও কাজ করছে --- https://timesofindia.indiatimes.com/city/guwahati/Silchar-rly-station-
    to-be-renamed-soon/articleshow/4633120.cms?referral=PM

    ৮) https://silcharnews.wordpress.com/2013/07/24/compulsory-use-of-bengali
    -language-in-cachar/

    ৯) International Mother Language Day - উইকির নিজের লিংক কাজ করছে।- https://en.wikipedia.org/wiki/International_Mother_Language_Day

    ১০) "Gogoi draws flak over official language circular for Barak Valley". The Indian Express. 2014-09-10. Retrieved 2018-01-06. কাজ করছে। https://indianexpress.com/article/india/india-others/gogoi-draws-flak-
    over-official-language-circular-for-barak-valley/

    ১১) "Learn A Little About Silchar". The Cachar Club লিংক কাজ করছে না। ওয়েব আর্কাইভ থেকে খুঁজে পেলাম https://web.archive.org/web/20111006025017/http://www.cacharclub.com/s
    ilchar.asp

    ১২) খুঁজে দিচ্ছি।

    বোনাস https://muktangon.blog/sumon/5866
  • এবড়োখেবড়ো | ***:*** | ২০ মে ২০১৯ ০৪:০১48291
  • Comment from ~L~ on 20 May 2019 12:38:19 IST 90056.160.011223.3 (*) #

    ১২) "Bronze bust of martyr Kamala Bhattacharya installed". The Sentinel. May 18, 2011. এটা ওয়েব আর্কাইভে খুঁজেও পেলাম না। অবশেষে একটা ব্লগ এ পেলাম -- https://banglabanchao.wordpress.com/2011/05/19/unishe-may-bronze-bust-
    of-martyr-kamala-bhattacharya-installed/

    তবে এই ব্লগটির Home এ ক্লিক করে পুরো ব্লগটা ব্রাউস করলে ভালো নিউজপেপার আর্কাইভ পাবেন।
  • এবড়োখেবড়ো | ***:*** | ২০ মে ২০১৯ ০৪:০২48292
  • Comment from এবড়োখেবড়ো on 20 May 2019 13:04:18 IST 230123.142.67900.95 (*) #

    @~L~, আপনাকে আরও একবার ধন্যবাদ। রীতিমতো ভূরিভোজের বন্দোবস্ত। আমি, সত্যি বলতে, উইকির রেফারেন্সগুলো একটাও খোলার চেষ্টা করিনি। তার একমাত্র কারণ হল এ বিষয়ে আমার সীমাহীন অজ্ঞতা। প্রতিটা লিঙ্ক খুঁটিয়ে পড়লাম। নতুন সংযোজন বলতে তেমন কিছু পেলাম না। তবে আসল জিনিস পেলাম 'বোনাস'টায়। আপনার প্রদর্শিত পথে লেখার নীচে মন্তব্যগুলোতে চোখ বুলিয়ে পেলাম এই দুই অমূল্য রতন। তার একটা গুরুচণ্ডা৯তেই প্রকাশিত হয়েছিল। এবং সেখানে মন্তব্যের স্বল্পতা চোখকে পীড়া দেয়।

    যাই হোক আমি লিঙ্কদুটো গুরুর পাঠকদের জন্য এখানে রাখলাম।

    http://www.guruchandali.com/default/2012/05/21/1337615640000.html

    https://krishticulture.wordpress.com/2017/04/14/%E0%A7%A7%E0%A7%AF-%E0
    %A6%B6%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A7%87-%E0%A7%A7%E0%A7%AF%E0%A7%AC%E0%A7%A
    7%E0%A6%83-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%AD%E0%
    A6%BE%E0%A6%B7%E0%A6%BE-%E0%A6%B8/
  • এবড়োখেবড়ো | ***:*** | ২০ মে ২০১৯ ০৪:০২48293
  • Comment from ~L~ on 20 May 2019 13:44:56 IST 90056.160.011223.3 (*) #

    সুশান্ত কর এর লেখাটির প্রথম টই রূপ - http://www.guruchandali.com/guruchandali.Controller?portletId=8&po
    rletPage=2&contentType=content&uri=content1337398234685

    এখানে সুশান্ত-এর শেষ মন্তব্যটিই সব আলোচনা থামিয়ে দেয়।

    গুরুতে প্রকাশিত অন্য লেখাটি -- http://www.guruchandali.com/default/2011/05/20/1305867300000.html

    গোপাল মেহেরতরা কমিশনের রিপোর্ট কি সত্যই পাওয়া যায় না?
    https://www.prothomalo.com/international/article/863329/%E0%A6%AC%E0%A
    6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%95-%E0%A6%89%E0%A6%AA%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E
    0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A6%BE-%E0%A6%
    86%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%A8

    https://www.bbc.com/bengali/news-38263374

    আজকাল এর সাংবাদিক দেবাশিস চন্দ এ বিষয়ে অনেক কাজ করেছেন, অনেক কাজের সাক্ষীও। উনিশে মে নামে একটা পত্রিকাই করতেন। আদতে আসামের লোক।

    http://shodhganga.inflibnet.ac.in আর https://www.academia.edu/ তে কিছু অ্যাকাডেমিক পেপার নিশ্চয়ই পাবেন এ নিয়ে। https://archive.org এ বাকি সমসাময়িক লেখা ও এ বিষয়ে বই পেতে পারেন। আর এখানে https://ndl.iitkgp.ac.in/ একটা লগ ইন তৈরি করে ঢুকলে সমসাময়িক যুগান্তরের রিপোর্টিং পাবেন এখানে যুগান্তর পুরো তারিখ ধরে ধরে আর্কাইভ করে রাখা আছে। আর অমৃতবাজার পত্রিকা।

    গুগুলের সাহায্যে স্পেসিফিক সাইট খুঁজতে নিশ্চয়ই জানেন। সার্চ স্ট্রিং এর পরে site: লিখে যে সাইটে খুঁজবেন সেতার url লিখতে হয়। যেমন -- কাছাড় site:
  • এবড়োখেবড়ো | ***:*** | ২০ মে ২০১৯ ০৪:০৪48294
  • যাঁরা আলোচনায় আগ্রহী তাঁরা দয়া করে এখানে আলোচনা করুন। অনিচ্ছাকৃত এই ত্রুটির জন্য দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী।
  • dd | ***:*** | ২০ মে ২০১৯ ০৫:১৬48295
  • "এই পরিবেশে ১৯৫১ সালের লোকগণনায় ঘটানো হয় বিরাট কারচুপি, অসমিয়ার সংখ্যা বেড়ে হয় শতকরা ৫৫ ভাগ আর বাঙালি শতকরা ১৭ জন" - লেখককে প্রশ্ন, এই "কারচুপি"টা কীভাবে হোলো? কে ঘটালো?

    লোকগণনার অধীক্ষক আর বি ভাগাইওয়ালা ঘটালেন? কেন্দ্রীয় সরকার ? এরকম বিশাল মাপে ভুল রিপোর্টিং সম্ভব? উদ্দেশ্যই বা কি ছিলো - সরকারের বা সেন্সাস বোর্ডের?
  • dd | ***:*** | ২০ মে ২০১৯ ০৫:৪৬48297
  • নাঃ, ভাগাইওয়ালা বা সেন্সাস বোর্ডের কোনো "কারচুপি"র কথা আপনার দেওয়া লিংকে নেই। বরং পড় মনে হয় ভাগাইওয়ালার কাছেও এটাও অবিশ্বাস্য লেগেছিলো -"Biological Miracle"।

    ১৯৩১ থেকে ৫১'র মধ্যে অসমীয়াভাষীর সংখ্যা ১০ লক্ষ থেকে বেড়ে হয়ে গেলো ৪৮ লক্ষ আর হুড়হুড় করে বাঙলাভাষীর সংখ্যা কমলো ৪০ লক্ষ থেকে ১৭ লক্ষ।

    অহমীয়া বেড়ে গেলো তিরিশ লক্ষ আর বাঙালী কমলো ২৩ লক্ষ।

    আমার প্রশ্ন আবার করি, কীভাবে ঘটলো এই কারচুপি ? কে ঘটালো? কোন মোটিভে?

    উত্তরগুলো জানলে, লিখবেন। এটাই অনুরোধ।
  • এবড়োখেবড়ো | ***:*** | ২০ মে ২০১৯ ০৫:৫৪48298
  • @dd আমি লিঙ্কটা দিয়েছিলাম ওই 'Biological Miracle' কথাটা তিনি বলেছিলেন তার প্রেক্ষিতে। মোটিভ খুব পরিষ্কার। মুসলমানদের জোর করে অসমিয়াভাষী হতে বাধ্য করা হয় অসমে থাকার কথা বলে। যে 'বঙাল খেদা' আন্দোলন হয়েছিল তার শিকার হয়েছিলেন হিন্দু উদ্বাস্তুরা। অনেক হিন্দুও প্রাণরক্ষার তাগিদে অসমিয়াভাষী হয়েছিলেন রাষ্ট্রের নির্দেশে। অথচ এই বিমলাপ্রসাদ চালিহাই নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষার। এই জিনিস অসমে পরেও হয়েছে যেখানে একজোট হয়েছিল অগপ এবং বিজেপি।
  • ~L~ | ***:*** | ২০ মে ২০১৯ ০৫:৫৮48299
  • শোধগঙ্গায় পুরো পেপারটা পেতে গেলে, প্রথম সার্চ রেজাল্টে পাওয়া যে পিডিএফ টা ব্রাউজারে খুলেছেন, তার url থেকে দ্বিতীয় সংখ্যাটা কপি করবেন, অর্থাৎ https://shodhganga.inflibnet.ac.in/bitstream/10603/96123/6/06_introduction.pdf এর থেকে কপি করবেন 96123 এবং সেটা শোধগঙ্গার প্রথম পাতায় অর্থাৎ https://shodhganga.inflibnet.ac.in/ এ গিয়ে, বদলে যেতে থাকা ছবিগুলোর ঠিক নিচে হাউ টু সাইট লেখার নিচের বক্সে পেস্ট করে সার্চ বাটন টিপে দেবেন।
  • dd | ***:*** | ২০ মে ২০১৯ ০৬:১২48300
  • ১৯৩১ সালেও অহমিয়ারা ছিলো ১০ লক্ষ, তুলনায় বাঙালীরা ছিলো তাদের চারগুন - চল্লিশ লক্ষ। বাঙালীদের মধ্যে হিন্দু মুসলমান প্রায় ৫০ঃ৫০।

    এ এক অদ্ভুত ঘটনা যে সংখ্যালঘু অহমিয়ারা প্রায় তাদের দুগুন বেশী সংখ্যক মুসলমানকে "জোর করে অসমিয়াভাষী হতে বাধ্য " করতে পেরেছিলো।

    এ তো সংখ্যাগুরুর উপর অত্যাচার !
  • ~ | ***:*** | ২০ মে ২০১৯ ০৬:১৯48301
  • আরেকটু আগে থেকে শুরু হোক? স্বাধীনতার তিন দিন বাদে জিন্নার সাথে কথা বলে নেহরুর সেই তিনটে জেলাকে পূর্ব পাকিস্থান থেকে আসামভুক্ত করে নেওয়ার থেকে, নইলে ত্রিপুরার পৌঁছনো সমস্যা হয়ে যাচ্ছিল? (এরকমটাই বোধহয় কোথায় যেন পড়লাম!)

    আর ২১শে ফেব্রুয়ারির ভাষা দিবসের "বাংলাদেশের মুসলিম" শহীদ দের সম্মান ভালোবাসা উদযাপনের পাশে হিন্দু স্বাদেশিকতার ভাষাভিত্তিক উদযাপনের প্রয়োজনে ১৯শে মে কে তুলে ধরার অ্যাঙ্গেল ও কোথায় পড়লাম যেন ।
  • এবড়োখেবড়ো | ***:*** | ২০ মে ২০১৯ ০৬:২১48302
  • @dd, আপনি ১৯৩১ ধরলে সামান্য ভুল হবে। তখন দেশভাগ হয়নি। দেশভাগের পর অসমে বাঙালি ছিল মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ, অসমিয়াও তাই, বাকি এক তৃতীয়াংশ পাহাড় কিংবা সমতলের নানা জাতি উপজাতি। ১৯৫১তে অসমিয়া বেড়ে ৫৫% আর বাঙালি কমে ১৭%। এই বেড়ে যাওয়ার মধ্যে সবাই মানে অসমিয়া, বাঙালি এবং উপজাতি সবাই আছেন। মুখ্যমন্ত্রীর হুকুমপালন আর কি।
  • dd | ***:*** | ২১ মে ২০১৯ ০৩:৩৪48303
  • আরে, আমি কিছুই "ধরি নি"। আপনার লেখা ও দেওয়া দেড় পাতার ছোটো লিংক ছাড়া আর কোনো তথ্য আমার কাছে নেই।সেখান থেকেই টোকা।

    আপনি লিখলেন "কারচুপি"। তা তো নয়, অসমের বাঙলী মুসলমানেরা en masse নিজেদের অসমীয়া declare করেন। সেই নিয়েই বিভ্রাট।

    কেনো এই বাংলা ভাষা আন্দোলনের মানুষেরা ও শহীদেরা সকলেই হিন্দু বাঙালী সেটা পরিষ্কার হল।
  • dd | ***:*** | ২১ মে ২০১৯ ০৪:৪০48306
  • নাঃ, কারচুপি কথাটার অর্থ নিয়ে আর টানা হ্যাঁচড়া করছি না।

    আমি যা কমেন্ট করেছি তা শুধুমাত্র আপনার লেখা ও তার সমর্থনের আপনারই দেওয়া লিংক নিয়ে। এই পর্যন্ত্য।

    আজকে যা quote করেছেন "We were told that all the Muslim Bengalees of the Brahmaputra Valley, who had formerly registered themselves as Bengali-speaking had in 1951 voluntarily declared themselves as Assamese-speaking. We are not altogether satisfied with this explanation."

    আর কোনো তথ্য নেই। কনক্লুসন আপনা আপনা।
  • এবড়োখেবড়ো | ***:*** | ২১ মে ২০১৯ ০৫:২৭48307
  • যা ব্বাবা! তবে যে লিখেছিলেন 'কেনো এই বাংলা ভাষা আন্দোলনের মানুষেরা ও শহীদেরা সকলেই হিন্দু বাঙালী সেটা পরিষ্কার হল'। সেটা এই কোটের পরে না আগে?

    এটাও কি এড়িয়ে গেল "After 1950 Riots the Nehru-Liaquat Pact brought back the Muslim evacuees to Assam shortly before the Census enumerated in 1951. The Bengali-Muslims in reply to question No 13 relating to size of land-holding were made to declare their mother-tongue as Assamese, otherwise they ran the risk of losing their lands which were settled annually."?

    তাতেও যখন হিসেব মিলছে না তখন 'কারচুপি' না করে উপায় কী? সেটা হয়েছে ১৯৫১তে, ধরা পড়েছে ১৯৬০এ। ততদিনে যা হওয়ার হওয়া শেষ! ওই যে অভিযোগ "Their contention is that these figures were inflated to provide justification for the introduction of the Assamese as the State language." সেটা সারা। আর এই 'কারচুপি' শুধু ব্রহ্মপুত্র উপত্যকাতেই হয়নি, বরাক উপত্যকাতেও হয়েছিল।
  • এবড়োখেবড়ো | ***:*** | ২১ মে ২০১৯ ০৭:৩৮48304
  • @dd, আপনি কিছুই না 'ধরলেও' শেষ বাক্যে যেটি 'ধরেছেন' সেটি আদপেই ঠিক নয়। বাংলা ভাষা আন্দোলনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন হাইলাকান্দির আব্দুর রহমান চৌধুরী। এ ছাড়াও আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন শিলচরের গোলাম সাবির খান ও মৌলানা রফিক রহমান এবং হাইলাকান্দির মাহমুদ আলি বারোভুঁইয়া। আন্দোলন নিছকই হিন্দু বাঙালির ছিল না, তাতে মুসলমান বাঙালিও সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলেন। শুধু তাই নয়, ১৯ মে শিলচর স্টেশনে প্রচুর মুসলমান বাঙালি সত্যাগ্রহীকে গ্রেফতারও করা হয়। মজার কথা এই যে, গ্রেফতারের পর বেছে বেছে তাঁদের এবং অন্য জনজাতি-উপজাতির মানুষদের ছেড়ে দেওয়াও হয়। সবটাই ঘটেছিল রাষ্ট্রের পরিকল্পনামাফিক।

    এবার 'কারচুপি' প্রসঙ্গ। ওই ব্যাপারটিও অত সহজে ঘটেনি। ১৯০১ থেকে ১৯৩১ পর্যন্ত চারটি লোকগণনায় অসমিয়াভাষী মানুষ ছিলেন যথাক্রমে ২২, ২১.৭, ২১.৬ ও ২১.৬ শতাংশ। After 1950 Riots the Nehru-Liaquat Pact brought back the Muslim evacuees to Assam shortly before the Census enumerated in 1951. The Bengali-Muslims in reply to question No 13 relating to size of land-holding were made to declare their mother-tongue as Assamese, otherwise they ran the risk of losing their lands which were settled annually.

    এই প্রেক্ষিতে ১৯৬০ সালে পার্লামেন্টারি ডেলিগেশন-এর সদস্যরা অসম ঘুরে যাওয়ার পর যে রিপোর্ট দেন তা এই রকম --- ''The Bengali-speaking people question the accuracy of the 1951 census figures in so far as they relate to the Assamese-speaking population numbered only 19.8 lakhs, which during the 20 years from 1931 to 1951 jumped to over 49 lakhs or by 150% against an increase of about 4 lakhs during the preceding 50 years beginning from 1881. The Bengalees had questioned these figures before the States Re-organisation Commission. Their contention is that these figures were inflated to provide justification for the introduction of the Assamese as the State language. We have tried to seek an explanation for this extra-ordinary increase, which is not warranted by trends of natural growth of population from the Assam Government. We were told that all the Muslim Bengalees of the Brahmaputra Valley, who had formerly registered themselves as Bengali-speaking had in 1951 voluntarily declared themselves as Assamese-speaking. We are not altogether satisfied with this explanation. এই ঘটনাকে কারচুপি ছাড়া আর কী বলা যেতে পারে?
  • এবড়োখেবড়ো | ***:*** | ২২ মে ২০১৯ ০৩:৩৩48309
  • @~, বড্ড মুশকিলে ফেললেন দেখছি!

    ১) হ্যাঁ, মূল লেখাটায় 'ট্রাকের পেট্রোল ট্যাঙ্কে জ্বলন্ত দেশলাই ছুঁড়ে' আগুন লাগানোর কথা বলা হলেও টেকনিক্যালি তা হয়নি। এ ব্যাপারে মাননীয় বিচারপতি এন সি চ্যাটার্জির অধীনে বেসরকারি কমিশন যে রিপোর্ট দেন তা হুবহু এইরকম - The incident in connection with the truck is curious. Numerous trucks had passed before this particular truck, carrying arrested Satyagrahis, from the early hours of the morning, but no such incident had occurred before. We find it difficult to believe that the Satyagrahis or members of the public supporting the Satyagrahis should suddenly set fire to a truck when for all intent and purposes the Satyagraha had succeeded and the Hartal was about to become a complete success. Furthermore, the fact that the fire to the truck was put out by the Satyagrahis and members of the public themselves, even before the Fire Brigade had arrived lends support to the theory that the fire had not in any way been caused by the Satyagrahis or their supporters, but, as stated by witnesses Nos. 21 to 23, had been caused at the instance of AGENT-PROVOCATEURS. We wanted particularly to know the nature of the damage caused to this truck which was lying in the Silchar Police Station. Witness No 13 thereupon went to the police station with the permission of the officials there personally inspected the truck. Thereafter he deposed before us to the effect that the damage to the truck was slight and the pipe leading from the petrol tank to the carburetor seemed to have been broken. We are satisfied, therefore, that no Satyagrahi or member of the public supporting the Satyagrahis had set fire to the truck or was responsible therefore in any way.

    ২) এবারে দ্বাদশ শহীদের কথা। এটা খুব একটা পরিচিত তথ্য নয়। তবুও ওই একই দিনে গুলিবিদ্ধ কৃষ্ণকান্ত বিশ্বাস বুকে গুলি নিয়ে অসুস্থ থাকার ২৪ বছর পরে মারা যান। সে হিসাবে তাঁরও শহিদের মর্যাদা প্রাপ্য।

    ৩) ১৯শে মে পত্রিকা সম্পাদকদের সাথে আদানপ্রদানের মাধ্যমে আরো তথ্য সংগৃহীত হলে এবং নতুন পাওয়া নানা তথ্যসূত্রের নিরিখে লেখাটিকে আরও একবার নতুন করে লেখার ইচ্ছে রইল। ততদিন গুরুর পাঠকরা এটিকে প্রাথমিক খসড়া হিসাবে বিবেচনা করতে পারেন। আমি লেখার আগে যদি অন্য কেউ এই বিষয়ে লিখতে আগ্রহী হন তো সর্বদা তাঁকে স্বাগত জানাব।

    ৪) 'অন্য নানা সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের তুলনায় সুকুমারবাবুর লেখা বইটিকে বেশি প্রামাণ্য' বিবেচনা করেছি এই কারণে যে এন সি চ্যাটার্জি কমিশনে বিবৃত ঘটনাগুলির সঙ্গে তার তথ্যগত মিল এবং গ্রন্থটিতে রেফারেন্সের প্রাচুর্য।

    ৫) এই প্রসঙ্গে এখানে যেটা একেবারেই দিতে ভুলে গিয়েছিলাম সেটা হল এন সি চ্যাটার্জি কমিশনের রিপোর্ট। ইন্টারনেটে সহজলভ্য, তবুও এইখানে রাখলাম যাতে পাঠক তা দেখতে পারেন। @dd কে জনগণনার যে হিসেব আমি দাখিল করেছিলাম তাও এখানে বিস্তৃতভাবে পাবেন।
    https://www.scribd.com/document/67071298/NC-Chatterjee-Commission-Report

    ৬) 'লেখাটি আনন্দবাজার পত্রিকার নদীয়া এডিশনে ছাপা হয়েছে সে উল্লেখ আর সেখানের সম্পাদনার নমুনাও এখানেই রাখা থাক' ব্যাপারটা আমার কাছে তীব্র অস্বস্তিকর। তবুও পাঠকের অনুরোধে সেটাও থাকল এখানে যদিও লেখকের নাম ও পরিচয় ইচ্ছা করেই মুছে দিলাম। মূল লেখাটা দেখলে সম্পাদনার নমুনাও দেখা যাবে!
  • ~ | ***:*** | ২২ মে ২০১৯ ১০:২৫48308
  • "ট্রাকের পেট্রোল ট্যাঙ্কে জ্বলন্ত দেশলাই ছুঁড়ে" যে আগুন লাগানো হয় নি, কারবুরেটর এর পাইপ ভাঙা অবস্থায় পাওয়া গেছিল, ফেসবুক বাদানুবাদের ফলে নিবিড় পাঠলব্ধ সেই নির্যাসটুকু এখানেও রাখা থাকলে ভাল হয়। এমনকি নতুন পাওয়া নানা তথ্যসূত্রের নিরিখে আরেকটু বাড়িয়ে এই লেখাটিকে আরেকটু সম্পূর্ণতা দেওয়ার কাজ শুরু করলেও ভালো হয়। এই সূত্রে ১৯শে মে পত্রিকা সম্পাদকদের সাথে আদানপ্রদানের মাধ্যমে আরো তথ্য ও লিংক ব্রিদ্ধির আশায় থাকলাম। দ্বাদশ শহীদটির নাম ও প্রেক্ষিত এর উল্লেখও এখানেই থাকলে ভালো হয়। আর অন্য নানা সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের তুলনায় সুকুমারবাবুর লেখা বইটিকে বেশি প্রামাণ্য কেন ধরা হচ্ছে সেটাও জানার আগ্রহ রইল।

    লেখাটি আনন্দবাজার পত্রিকার নদীয়া এডিশনে ছাপা হয়েছে সে উল্লেখ আর সেখানের সম্পাদনার নমুনাও এখানেই রাখা থাক।
  • অর্জুন অভিষেক | ***:*** | ৩০ মে ২০১৯ ০৪:৫১48310
  • @এবড়োখেবড়ো’র এই সুলখিত প্রবন্ধে বরাক উপত্যকায় ১৯ মে ১৯৬১'র এক সেনানীর নিজের কলম থেকে থেকে তুলে দিলাম কিয়দংশ। ঢাকা পড়ে যাওয়া , চাপা দিয়ে দেওয়া এই সংগ্রামের স্মৃতিপটে, প্রতুল প্রচেষ্টায় ইতিহাসে থেকে যাওয়ার কাহিনী। সেই সংগ্রাম এখনও চলছে।

    " সত্যি বলতে কি, সেই সময় ১৯মে-কে কেন্দ্র করে কোন কিছু ছিল না বা থাকলেও সেখানে কোন প্রচার ছিল না। আমি শিলচর ভাষা শহীদ স্মরণে সুরারোপে করার জন্য প্রথম কবিতা সংগ্রহ করি যুগান্তর সংবাদপত্রের ১মে ১৯৭২ সংখ্যায় প্রকাশিত সাংবাদিক কবি দক্ষিণারঞ্জন বসুর কবিতা “বাংলা ভাষা দিবসের কবিতা (১৯শে মে)”। যার প্রথম সারি “সংগ্রাম, সংগ্রাম বাংলা ভাষার দাবি সংগ্রামই তারি নাম"।
    এরপর সংগ্রহ করলাম ভাতৃপ্রতিম কবি এস আবুল হোসেনের কবিতা “শিলচর ১৯মে ১৯৬১”। যার প্রথম সারি “একাদশ আলোর পাখি মেলে দিল সুন্দরের ডানা”।

    "১৯৭৮ সালে লিটল ম্যাগাজিনের সঙ্গে জড়িত পাঁচজন ভাতৃপ্রতিম কবি সাহিত্যিক বন্ধুদের সাথে কথা হয় ঘরোয়াভাবে ১৯মে পালন প্রসঙ্গে। ১৯৭৮ সালে ১৯মে ভাষা- শহিদ স্মরণে সভার আমন্ত্রণপত্রে আহ্বায়ক হহিসাবে নাম ছিল ঋষিণ মিত্র, অভিজিৎ ঘোষ, আবু আতাহার, জীবন সরকার, সুভাষ গঙ্গোপাধ্যায় ও প্রদীপ রায় চৌধুরী প্রমুখ। অনুষ্ঠান কেন্দ্র ছিল ১২, বসন্ত বোস রোড, কলকাতা- ২৬, ডাঃ গোরাচাঁদ নন্দীর বাসভবনের দোতলার বড় ম্যাজিনো ফ্লোরে। অনুষ্ঠান চলার মাঝে আমার গান করার সময়, দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর থানার অফিসার- ইন- চার্জ এর নির্দেশে একজন সাব- ইনস্পেক্টর ও দু-জন কনস্টেবল আসেন আমাদের ১৯ মে স্মরণ সভা বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে জানতে। আমি, অভিজিৎ ঘোষ, আবু আতাহার একতলার গেটের কাছে নেমে বললাম, ‘আপনারা দোতলায় অনুষ্ঠান কেন্দ্রে চলুন, ওখানে বসে অনুষ্ঠান শুনবেন- দেখবেন। একজন কনস্টেবলকে সঙ্গে নিয়ে সাব- ইনস্পেক্টরটি আমাদের অনুষ্ঠান শুনলেন প্রায় ৪৫ মিনিট। যাবার সময় বললেন, আমি যাচ্ছি ফিরে গিয়ে বড় বাবুকে রিপোর্ট দেব। যতদূর মনে হয়, সাব- ইনস্পেক্টরটি বধ হয় কিছুটা হতাশ হলেন, শিলচর একাদশ শহিদের হত্যার প্রতিবাদে মারামারি- কাটাকাটির গরম- গরম বক্তৃতা ইত্যাদি শুনতে না পাওয়ার জন্য”।

    “১৯৭৮ সালে ১৯মে পালন করার পর ওই সময়ের আর কোন শিল্পকর্মী এগিয়ে আসেনি ১৯৮২ সালের ১৯মে পর্যন্ত। আমাকে একটা যন্ত্রণা বোধ কুরে খাচ্ছিল। আসলে ামি কোন কাজ করলে সাধারণত তা থেকে পিছপা হইনা। যতদূর মনে হয়, বিশেষ পরিচিত কবি- সাহিত্যিকরা সম্ভবত পুলিশের ঝামেলায় জড়াতে চায়নি। এই ভাবে পাঁচ বছর কেটে যাবার পর ১৯৮৩ সাএ ‘ত্রিসপ্তক’ সংস্থার পক্ষ থেকে আহ্বায়ক হিসাবে ১৯মে স্মরণ সভার আয়োজন করি”।

    ১৯৮৩- তে ১৯ মে পালনের পর থেকে আমার পিছনে পুলিশের টিকটিকি লেগে আছে। এ বিষয়ে শ্রী সন্তোষ চন্দ তার সম্পাদিত “সাপ্তাহিক বরাককণ্ঠ” পত্রিকায় আমার ছবি সহ হেডলাইনে প্রকাশ করেছেন, -“আকণ্ঠ ঋণগ্রস্থ ঋষিণের পিছনে টিকটিকি” শিরোনামে। প্রতিটি অনুষ্ঠানে নিয়মিত পুলিশের আনাগোনার জন্য সরকারি নথিভুক্ত ‘ত্রিসপ্তক’ সংস্থার বিলুপ্তি ঘটে”।

    কলকাতা দূরদর্শনে ডি ডি বাংলার পক্ষ থেকে ২০০৫ সালে আমার ও আরো তিন জনের পৃথক পৃথক ভাবে ১৯মে প্রসঙ্গে সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়। সাক্ষাৎকারে আমি বলেছিলাম (যা দূরদর্শনে এখনো রেকর্ড আছে) ১৯মে পালন করার জন্য আমার পিছনে পুলিশ ঘুরছে (সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়, জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য’র সময় থেকে (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখনও ক্ষমতায় আসেননি)। চার বছর প্রচারিত হবার পর ২০০৯ থেকে সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

    “উনিশে মে’র সংগ্রাম দীর্ঘতর। তবে সবচেয়ে আশার কথা ‘উনিশে মে’ নাম নিয়ে একটি বাৎসরিক পত্রিকা ২০০৮ সাল থেকে নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে এই কলকাতা শহরে। তার মানে এবছর পত্রিকাটি প্রকাশের এক যুগ। পত্রিকাটির সম্পাদক- শান্তনু গঙ্গারিডি, প্রকাশক- সম্প্রীতি গুপ্ত। শান্তনু ও তার বন্ধুবান্ধব- যারা এই পত্রিকা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁদের সবার জন্য রইল এও ভাষা সেনানীর হিয়া ভরা শুভেচ্ছা”।

    তথ্যসূত্রঃ 'আত্মকথায় উনিশে মে'- ঋষিণ মিত্র, 'উনিশে মে' পত্রিকার দ্বাদশ বর্ষ, ২০১৯ সংখ্যা।
  • এবড়োখেবড়ো | ***:*** | ০২ জুন ২০১৯ ০৫:৪৪48311
  • @অর্জুন অভিষেক, আপনার তথ্যসমৃদ্ধ প্রতিবেদনটির জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ঋষিণ মিত্রর পিছনে সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়, জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য’র সময় থেকে পুলিশ ঘুরছিল - এই তথ্যটি আমার জানা ছিল না। উনিশে মে পত্রিকাটি সংগ্রহ করার ইচ্ছে আছে। ইচ্ছে আছে পরবর্তীতে এই লেখাটিকেই আরেকটু বিস্তারে লেখার।
  • ১৯ মে | 2402:3a80:a41:dc33:0:5b:ad07:***:*** | ১৯ মে ২০২০ ০৭:৩৪93457
  • আরেকটি ১৯ মে চলে এল।
    তর্কগুলির সমাধান হল?
  • ১৯ মে | 2402:3a80:a41:dc33:0:5b:ad07:***:*** | ১৯ মে ২০২০ ০৮:২৬93458
  • এখানে দেওয়া গুরুচণ্ডালির লিনকগুলি তো কাজ করছেনা। সুশান্ত করের লেখা কি এইটি ছিল? টই কই?
    https://go.shr.lc/2z9HQYi
  • একলহমা | ১৯ মে ২০২০ ২৩:৩০93488
  • কত স্বার্থের চাপে কত আত্মদান বিস্মৃত হয়ে যায়!

  • এবড়োখেবড়ো | ১৯ মে ২০২০ ২৩:৫১93489
  • এ বাবা। এই পুরনো লেখাটা আবার উঠে এসেছে! যাই হোক, ১৯মে-কে অসংখ্য ধন্যবাদ লেখাটিকে ফের খুঁচিয়ে তোলার জন্য। না, লেখাটি আজও সম্পূর্ণ করা হয়ে ওঠেনি। তবে আশা করব, পরের ১৯মে-র আগে এটাকে সম্পূর্ণ করার। আসলে লেখাটার লিঙ্কই হারিয়ে গিয়েছিল। এই সূত্রে খুঁজে পেলাম ফের। ১৯ মে নিকের আড়ালে যিনি আছেন, তাঁকে আরও একবার ধন্যবাদ জানাই।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে প্রতিক্রিয়া দিন