মিথ্যাবাদী ফেটিশের কারণেই সম্ভবত এই দুটো বাক্য নজর এড়িয়ে গেছে -
১. স্বামী বিরজানন্দ, শ্রী রামসুব্বা আইয়ার, শ্রী সদাশিভম পিল্লাই, কে এস রামস্বামী শাস্ত্রী, স্বামী শ্রদ্ধানন্দ, স্বামী গম্ভীরানন্দ
সবাইকে RSS-এর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যাবাদী বলা হয়নি।
২. তেমনই দুই প্রত্যক্ষদর্শী ও এক প্রত্যক্ষ শ্রোতা
আরেসেসের সুবিধা হবে বলে জেনেশুনে মিথ্যাচার করেছিলেন, এমনটা নয়।
মিথ্যাবাদী কোনও ব্যক্তি নন, একটি আদ্যোপান্ত হিন্দুত্ববাদী সংগঠন যারা সমস্ত বিতর্ক সত্ত্বেও এটার সঙ্গে জড়িয়েছে। বাণী ও রচনার কে সম্পাদক তা আমার জানা নেই (আদৌ কেউ আছেন?) কিন্তু সেখানে যে বিস্তর কাঁচি চলেছে এবং ইংরেজি ভার্সনের বেশ কিছু বস্তু বাংলা ভার্সন থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে সেটা অজানা নয়। একই কথা কথামৃত সম্পর্কেও। একটি অত্যন্ত সুগঠিত সংগঠন ধীরে অথচ অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এই নির্মাণ প্রক্রিয়া চালিয়েছে ও চালাচ্ছে।
আমি তো তবু টার্শিয়ারি রেফারেন্স দিয়েছি যেটা প্রামাণ্য রেফারেন্সের অন্তর্গত, কিন্তু দুই প্রত্যক্ষদর্শী ও এক প্রত্যক্ষ শ্রোতার রেফারেন্স পুরোটাই হিয়ারসে এভিডেন্স। তার ভিত্তিতে বইয়ের পঞ্চম সংস্করণে ব্যাপক কাটছাঁট হয়েছে।
হ্যাঁ, প্রথম কুড়ি বছর কাঁচা মিথ্যেই চলেছে। কারণ লেখকরা কন্যাকুমারীর মন্দিরটির অবস্থান সম্পর্কে না জেনে এহেন কথা লেখেন। তারপর ১৯১৯ সালে বিরজানন্দ ও রামসুব্বা আয়ারের সাক্ষাৎ। অতি অবশ্যই সে কথা সংযোজন করে এবং আগের লেখা সংশোধন করে নতুন সংস্করণ প্রকাশ করা উচিত ছিল। কিন্তু সেই সংশোধন হল ১৯৩৩ সালে অথচ আয়ারের কথা বিন্দুমাত্র গুরুত্ব পেল না। সম্পাদক হিসেবে স্বামী অমুকানন্দরা এর দায়িত্ব অস্বীকার করতে পারেন না।
একই কথা প্রযোজ্য সদাশিবম পিল্লাইয়ের ক্ষেত্রেও। ১৯৪৯-এ বইটির ফের অখণ্ড সংস্করণ হল কিন্তু এবারেও না আয়ার না পিল্লাইয়ের সাক্ষ্য প্রামাণ্য তথ্য হিসেবে হাজির হল। তাহলে কি সম্পাদকরা তাঁদের কথা বিশ্বাস করেননি? এদিকে একজনের বয়ানের সঙ্গে অন্যজনের বয়ান মিলল না। প্রথমজন তিন দিন ধ্যানের উল্লেখ করলেন, দ্বিতীয়জন সঙ্গে আবার সেখানে দুধ-ফলও দিয়ে এলেন। তবুও সেসব ছাপার অক্ষরে পাওয়া গেল না।
এবারে রামস্বামী শাস্ত্রীর প্রথম পোবোন্দে সাঁতারের প্রসঙ্গ আসল কিন্তু তিনি তো তখন ত্রিবান্দ্রমে। কোন সূত্রে তিনি কন্যাকুমারীর সাঁতারের কথা জানলেন সেসব নিয়ে কিচ্ছু নেই। সেটাকে কী বলা হবে? নির্ভেজাল? যাই হোক, অবশেষে মূল ঘটনার (বিবেকানন্দের মুখে শোনা কথা) ৬৮ বছর পরে শাস্ত্রীর চিঠি মিলল। কিন্তু তারপরেও সে কথা ওই বইয়ে ঢুকতে ১৪ বছর সময় নেয় কেন? মিশনের বইপত্তরের বিশাল বিক্রি। প্লাস এত বড় একটা প্রমাণ হাজির। তবুও সম্পাদকদের এই উদাসীনতা কেন? তাঁদেরকে দায়ী করা নাজায়েজ?
কিন্তু শাস্ত্রীমশাই বললেন এক দিন ধ্যানের কথা। প্রথম দুটো বয়ানের সঙ্গে তৃতীয় বয়ানের মিল হয় কীভাবে? তাতে স্বয়ং বিবেকানন্দ মিথ্যাবাদী হয়ে যান না? ১৯৭৯-র সম্পাদকরা সেসব খেয়াল করেছেন? এ ব্যাপারে তাঁদের দায়ী করা যাবে?
এবারে একদম শেষ কথা। আমি যদিও বেশ কয়েকবার হাঙরে ভর্তি সমুদ্রে সাঁতার কাটার কথা উল্লেখ করেছি, কিন্তু কীভাবে যেন সেটা নিছকই সমুদ্রে সাঁতার কাটা হয়ে গেছে। হাঙরের প্রসঙ্গটা উবে যায় কেন? এর ব্যাখ্যা হিসেবে মিশনের সাইট swamivivekananda.guru-তে লেখা হয়েছে It is natural for the biographers to assume that Swamiji plunged into the ocean because he could not afford a boat ride, but there could have been a more compelling reason why he took to swimming that stretch of water, which was only about 400 meters (two furlongs) wide and could have been even less during a low tide depending on the bottom topography. He was probably in a liminal state, on the verge of transitioning from the real to the ephemeral, looking for answers through meditation in solitude on the rock. He meant to honor that spiritual journey to the rock, ‘sanctified by the blessed feet of the Divine Mother,’ through the hard slog of self-denial to refresh his soul, sharks or no sharks. (The Batuk Bhairavas would have protected him from any kind of danger.)
আর কী। ওই বটুক ভৈরবরাই এবার দাপিয়ে বেড়ান!