এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  ইতিহাস

  • ইসকন ও রাকৃমি— দুই সঙ্ঘীর ইতিহাস বিকৃতি 

    এলেবেলে লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | ইতিহাস | ১৭ জুলাই ২০২৩ | ৭৭২৭ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • আজ থেকে প্রায় একশো বছর আগে নদীয়ার তদানীন্তন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট কেদারনাথ দত্ত নিজস্ব প্রভাব খাটিয়ে এবং সরকারি নথিপত্রে বদল ঘটিয়ে নবদ্বীপের গঙ্গার অন্য পারে বাঙালি মুসলমান অধ্যুষিত মিঞাপুরকে ‘মায়াপুর’-এ বদলে ফেলেন। শুধু তাই নয়, সুচতুরভাবে ওই মায়াপুরকে চৈতন্য জন্মস্থান বলে প্রচার করার প্রামাণ্য নথি হিসেবে তিনি বৃন্দাবনবাসী নরহরি চক্রবর্তীর ‘ভক্তিরত্নাকর’ গ্রন্থটিকে তুলে ধরেন।

    অথচ যে সময় নরহরি চক্রবর্তী তাঁর গ্রন্থটি রচনা করছেন, তার বহু আগেই চৈতন্যের জন্মভিটে গঙ্গাগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এই অবস্থায় তিনি চৈতন্যকালীন নবদ্বীপের একটি কাল্পনিক চিত্র আঁকেন, চৈতন্য জন্মস্থানের নামকরণ করেন ‘মায়াপুর’ এবং তার চারিদিকে নয়টি দ্বীপের কল্পনা করে ‘নবদ্বীপ’ নামের নতুন ব্যাখ্যা দেন।

    ইতিমধ্যে চাকরি ছেড়ে কেদারনাথ দত্ত ভক্তিবিনোদ ঠাকুর নামে সন্ন্যাসী হন। ১৯১৮ সালে, অর্থাৎ তাঁর মৃত্যুর চার বছর পরে, তাঁর পুত্র ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী মায়াপুরে ‘শ্রীচৈতন্য মঠ’ স্থাপন করলে কেদারনাথের প্রচারে ভক্তিবাদের সরকারি সিলমোহর পড়ে। এঁর শিষ্য অভয়চরণ দে ওরফে প্রভুপাদ এসি ভক্তিবেদান্ত স্বামী মায়াপুরে চন্দ্রোদয় মন্দির নামে ইসকনের হেড অফিস বানান, একই সঙ্গে চৈতন্য জন্মভূমির প্রচার তুঙ্গে ওঠে।

    মায়াপুরে প্রথম জমি কেনা হয় ১৯৭২ সালে এবং সেই প্রক্রিয়া আজও অব্যাহত আছে। সে হিসেবে সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়, জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার হয় নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়েছে নতুবা জেগে ড্যাবড্যাব চোখে তাকিয়ে থেকেছে। আর মায়াপুরের মুসলমানদের বাস্তুচ্যুত করে ইসকনের জমি কেনার পরিমাণ ক্রমশ বেড়েছে।

    ধীরে অথচ অত্যন্ত সুকৌশলে চৈতন্য জন্মভূমির ইতিহাস হাতিয়ে নিয়েছে ইসকন, তবুও ‘ভদ্রলোক’ বাঙালির ঘুম ভাঙেনি। দিনের পর দিন ইসকনের জমি মাফিয়াদের অত্যাচারের শিকার স্থানীয় মুসলমান বাসিন্দারা বাধ্য হয়ে মায়াপুরের উলটো দিকে মুসলমান-প্রধান তিওরখালিতে মাথা গোঁজার ঠাই খুঁজতে বাধ্য হয়েছেন, তবুও ‘ভদ্রলোক’ বাঙালির ঘুম ভাঙেনি। কারণ চৈতন্যের জন্মভূমির প্রকৃত ইতিহাস কিংবা গ্রামের গরিব মুসলমানদের উদ্বাস্তু হওয়ার বাস্তব ঘটনায় ভদ্রলোক বাঙালিদের সুখনিদ্রায় ব্যাঘাত ঘটে না।

    এই পরিস্থিতিতে ইসকনের এক হিন্দিভাষী শ্বেতাঙ্গ ‘প্রভু’ বাঙালির পরমপ্রিয় আইকন আর তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত শিষ্যকে গালাগাল দিতেই ভদ্রলোক বাঙালির কাঁচা ঘুম ভেঙেছে। তারা সদলবলে রে রে করে আক্রমণে নেমেছে। এত দিনের স্থিতাবস্থা হঠাৎই টলমল। এক সঙ্ঘীর হাত থেকে অন্য সঙ্ঘীকে রক্ষা করার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টায় বাঙালি আজ নিবেদিতপ্রাণ! অথচ ইসকন যেমন চৈতন্য জন্মভূমির প্রকৃত ইতিহাস নির্বিবাদে আত্মসাৎ করতে মরিয়া, ঠিক তেমনই রাকৃমিও কন্যাকুমারিকায় বিবেকানন্দ শিলার অস্তিত্বের বিষয়ে নির্বিকল্প উদাসীন।

    রাকৃমির সঙ্গে সঙ্ঘের মাখামাখির ইতিহাস অনেক দিনের পুরনো। তবে সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা কে বি হেড়গেওয়ার বিবেকানন্দ বিষয়ে শ্রদ্ধাবান হলেও খুব বেশি আগ্রহী ছিলেন না। কিন্তু তাঁর উত্তরসূরী এম এস গোলওয়ালকর ছিলেন বিবেকানন্দে আপ্লুত। ১৯৩৬ সালে তিনি মিশনের তৃতীয় অধ্যক্ষ স্বামী অখণ্ডানন্দের কাছে দীক্ষা নিতে চান। যদিও অখণ্ডানন্দ তাঁকে রাকৃমি-তে যোগ না দিয়ে আর এস এস-এর কাজেই আত্মনিয়োগ করার পরামর্শ দেন।

    এই ঘটনার বেশ কিছু বছর আগে ১৯১২ সালে প্রকাশিত হয় বিবেকানন্দের প্রথম ইংরেজি জীবনী ‘The Life of the Swami Vivekananda’। বইটির প্রথম সংস্করণে লেখা হয়, “…He [Vivekananda] plunged into the ocean and in spite of numerous sharks swam across to the temple, his mind eager as a child to see the Mother. And reaching the shrine he fell prostrate in ecstasy before the Image of the Goddess…।” প্রসঙ্গত, পরিব্রাজক বিবেকানন্দ ১৮৯২ সালের একেবারে শেষভাগে কন্যাকুমারিকায় হাজির হন। এবং প্রকৃত ঘটনা হল, ১৮৮৯ থেকে কোমরের বাতের জন্য তিনি খুব একটা হাঁটতেই পারতেন না, সাঁতরানো তো দূরের কথা। এমনকি বইটির লেখকরা এটাও জানতেন না যে, কন্যাকুমারী দেবীর মন্দির সমুদ্র-মধ্যস্থ দ্বীপে নয়, বরং প্রধান ভূখণ্ডে অবস্থিত!

    এ বিষয়ে ১৮৯৪-এর ৯ মার্চ শিকাগো থেকে স্বামী রামকৃষ্ণানন্দকে লিখিত পত্রে স্বয়ং বিবেকানন্দ লেখেন, “Cape Comorin (কুমারিকা অন্তরীপে) মা কুমারীর মন্দিরে বসে, ভারতবর্ষের শেষ পাথর-টুকরার উপর বসে— এই যে আমরা এতজন সন্ন্যাসী আছি, ঘুরে ঘুরে বেড়াচ্ছি, লোককে metaphysics (দর্শন) শিক্ষা দিচ্ছি, এ সব পাগলামি। ‘খালি পেটে ধর্ম হয় না’—গুরুদেব বলতেন না? ঐ যে গরীবগুলো পশুর মত জীবন যাপন করছে, তার কারণ মূর্খতা; পাজি বেটারা চার যুগ ওদের চুষে খেয়েছে, আর দু পা দিয়ে দলেছে।” অর্থাৎ তাঁর চিঠি থেকে স্পষ্ট, তিনি কন্যাকুমারীর মন্দিরে বসে এ কথা উপলব্ধি করছেন, হাঙরে ভর্তি সমুদ্র সাঁতরে দ্বীপে ওঠেননি।

    কিন্তু তার পরেও ওই একই গ্রন্থের ১৯৭৯ সালের সংস্করণে প্রথম সংস্করণটির ভাষ্য সামান্য সংশোধন করে লেখা হয়, “After worshipping the Mother in the temple, it was to this holy rock that the Swami wanted to go for meditation.  But how could he go? He had not a single pice for the boatman. Without more ado he plunged into those shark-infested waters and swam across.” আজ অবধি বিবেকানন্দ শিলার এহেন জোচ্চুরির বিষয়ে মিশন উচ্চবাচ্য করেনি।

    ইতিমধ্যে জীবনী গ্রন্থটির এই কাল্পনিক ঘটনাকে অবলম্বন করে বিবেকানন্দ শতবর্ষে অর্থাৎ ১৯৬৩ সালে, আর এস এস কন্যাকুমারীর এই বিবেকানন্দ শিলামন্দিরকে হিন্দু জাতীয়তাবাদের এক পবিত্র তীর্থে রূপান্তরিত করে। এই ঘটনাকে ঘিরে নানা রাজনৈতিক বিতর্ক ওঠায় মিশন শিলামন্দির প্রতিষ্ঠার প্রয়াস থেকে বাহ্যত নিজেদের সরিয়ে রাখলেও মিশনের তৎকালীন অধ্যক্ষ এর আনুষ্ঠানিক ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’র শাস্ত্রীয় আচারক্রিয়া সম্পন্ন করেন।

    আর ইসকন ও রাকৃমির দৌলতে এভাবেই নির্মিত হয় নয়া ইতিহাস।
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ১৭ জুলাই ২০২৩ | ৭৭২৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ইয়ে | 65.49.***.*** | ২৫ জুলাই ২০২৩ ২২:০৮521750
  • বিবুদার গানের গলা কেমন ছেল? কিশোর কুমার না মান্না দে?
  • এলেবেলে | ২৫ জুলাই ২০২৩ ২৩:৪৪521752
  • সব মন্তব্য একত্রে রাখার জন্য ধন্যবাদ। বারবার পাতা উল্টে দেখা ও লেখা বড্ড বিরক্তিকর। যাক গে, মূল বিষয়ে আসি। প্রথমত পালটি খাওয়ার প্রশ্ন নেই। প্রথমেও এটাকে ঢপ বলেছি, এখনও এটাকে ঢপ বলছি। 
     
    মিথ্যাবাদী ফেটিশের কারণেই সম্ভবত এই দুটো বাক্য নজর এড়িয়ে গেছে -
    ১. স্বামী বিরজানন্দ, শ্রী রামসুব্বা আইয়ার, শ্রী সদাশিভম পিল্লাই, কে এস রামস্বামী শাস্ত্রী, স্বামী শ্রদ্ধানন্দ, স্বামী গম্ভীরানন্দ সবাইকে RSS-এর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যাবাদী বলা হয়নি
    ২. তেমনই দুই প্রত্যক্ষদর্শী ও এক প্রত্যক্ষ শ্রোতা আরেসেসের সুবিধা হবে বলে জেনেশুনে মিথ্যাচার করেছিলেন, এমনটা নয়
     
    মিথ্যাবাদী কোনও ব্যক্তি নন, একটি আদ্যোপান্ত হিন্দুত্ববাদী সংগঠন যারা সমস্ত বিতর্ক সত্ত্বেও এটার সঙ্গে জড়িয়েছে। বাণী ও রচনার কে সম্পাদক তা আমার জানা নেই (আদৌ কেউ আছেন?) কিন্তু সেখানে যে বিস্তর কাঁচি চলেছে এবং ইংরেজি ভার্সনের বেশ কিছু বস্তু বাংলা ভার্সন থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে সেটা অজানা নয়। একই কথা কথামৃত সম্পর্কেও। একটি অত্যন্ত সুগঠিত সংগঠন ধীরে অথচ অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এই নির্মাণ প্রক্রিয়া চালিয়েছে ও চালাচ্ছে।
     
    আমি তো তবু টার্শিয়ারি রেফারেন্স দিয়েছি যেটা প্রামাণ্য রেফারেন্সের অন্তর্গত, কিন্তু দুই প্রত্যক্ষদর্শী ও এক প্রত্যক্ষ শ্রোতার রেফারেন্স পুরোটাই হিয়ারসে এভিডেন্স। তার ভিত্তিতে বইয়ের পঞ্চম সংস্করণে ব্যাপক কাটছাঁট হয়েছে।
     
    হ্যাঁ, প্রথম কুড়ি বছর কাঁচা মিথ্যেই চলেছে। কারণ লেখকরা কন্যাকুমারীর মন্দিরটির অবস্থান সম্পর্কে না জেনে এহেন কথা লেখেন। তারপর ১৯১৯ সালে বিরজানন্দ ও রামসুব্বা আয়ারের সাক্ষাৎ। অতি অবশ্যই সে কথা সংযোজন করে এবং আগের লেখা সংশোধন করে নতুন সংস্করণ প্রকাশ করা উচিত ছিল। কিন্তু সেই সংশোধন হল ১৯৩৩ সালে অথচ আয়ারের কথা বিন্দুমাত্র গুরুত্ব পেল না। সম্পাদক হিসেবে স্বামী অমুকানন্দরা এর দায়িত্ব অস্বীকার করতে পারেন না। 
     
    একই কথা প্রযোজ্য সদাশিবম পিল্লাইয়ের ক্ষেত্রেও। ১৯৪৯-এ বইটির ফের অখণ্ড সংস্করণ হল কিন্তু এবারেও না আয়ার না পিল্লাইয়ের সাক্ষ্য প্রামাণ্য তথ্য হিসেবে হাজির হল। তাহলে কি সম্পাদকরা তাঁদের কথা বিশ্বাস করেননি? এদিকে একজনের বয়ানের সঙ্গে অন্যজনের বয়ান মিলল না। প্রথমজন তিন দিন ধ্যানের উল্লেখ করলেন, দ্বিতীয়জন সঙ্গে আবার সেখানে দুধ-ফলও দিয়ে এলেন। তবুও সেসব ছাপার অক্ষরে পাওয়া গেল না।
     
    এবারে রামস্বামী শাস্ত্রীর প্রথম পোবোন্দে সাঁতারের প্রসঙ্গ আসল কিন্তু তিনি তো তখন ত্রিবান্দ্রমে। কোন সূত্রে তিনি কন্যাকুমারীর সাঁতারের কথা জানলেন সেসব নিয়ে কিচ্ছু নেই। সেটাকে কী বলা হবে? নির্ভেজাল? যাই হোক, অবশেষে মূল ঘটনার (বিবেকানন্দের মুখে শোনা কথা) ৬৮ বছর পরে শাস্ত্রীর চিঠি মিলল। কিন্তু তারপরেও সে কথা ওই বইয়ে ঢুকতে ১৪ বছর সময় নেয় কেন? মিশনের বইপত্তরের বিশাল বিক্রি। প্লাস এত বড় একটা প্রমাণ হাজির। তবুও সম্পাদকদের এই উদাসীনতা কেন? তাঁদেরকে দায়ী করা নাজায়েজ?
     
    কিন্তু শাস্ত্রীমশাই বললেন এক দিন ধ্যানের কথা। প্রথম দুটো বয়ানের সঙ্গে তৃতীয় বয়ানের মিল হয় কীভাবে? তাতে স্বয়ং বিবেকানন্দ মিথ্যাবাদী হয়ে যান না? ১৯৭৯-র সম্পাদকরা সেসব খেয়াল করেছেন? এ ব্যাপারে তাঁদের দায়ী করা যাবে? 
     
    এবারে একদম শেষ কথা। আমি যদিও বেশ কয়েকবার হাঙরে ভর্তি সমুদ্রে সাঁতার কাটার কথা উল্লেখ করেছি, কিন্তু কীভাবে যেন সেটা নিছকই সমুদ্রে সাঁতার কাটা হয়ে গেছে। হাঙরের প্রসঙ্গটা উবে যায় কেন? এর ব্যাখ্যা হিসেবে মিশনের সাইট swamivivekananda.guru-তে লেখা হয়েছে It is natural for the biographers to assume that Swamiji plunged into the ocean because he could not afford a boat ride, but there could have been a more compelling reason why he took to swimming that stretch of water, which was only about 400 meters (two furlongs) wide and could have been even less during a low tide depending on the bottom topography. He was probably in a liminal state, on the verge of transitioning from the real to the ephemeral, looking for answers through meditation in solitude on the rock. He meant to honor that spiritual journey to the rock, ‘sanctified by the blessed feet of the Divine Mother,’ through the hard slog of self-denial to refresh his soul, sharks or no sharks. (The Batuk Bhairavas would have protected him from any kind of danger.)
     
    আর কী। ওই বটুক ভৈরবরাই এবার দাপিয়ে বেড়ান!
  • ওহো | 2405:8100:8000:5ca1::82:***:*** | ২৬ জুলাই ২০২৩ ০০:০৫521754
  • এলবো তো বটুক ভৈরব মানেও জানে না।
    কত থুতু যে চেটে যাচ্ছে বেচারা।
  • এলেবেলে | ২৬ জুলাই ২০২৩ ০০:০৯521755
  • There is a story that once Swami Shivananda woke up in the middle of the night at Baranagore Math and saw the space surrounding Swamiji’s sleeping body being lit up due to the presence of miniature Shiva-like images. He woke Swamiji up and told him what he had seen. Swamiji asked him not to bother about that and go to sleep. When he asked him again about it the next morning, Swamiji said, ‘They were Batuk Bhairavas [a child form of Lord Shiva that people invoke for protection against evil spirits], they have been protecting me since my childhood.’(Swami Purnatmananda (Editor), Smritir Aloi Swamiji (Udbodhan Karyalaya, Calcutta, 2009), p. 91.) Shivananda was uniquely privileged to see that because both he and Swamiji were born following their mothers’ special prayers to Lord Shiva.
     
    এসব কথা লেখা হচ্ছে ২০১৯ সালে বসে। কার থুতু কে চাটে!
  • লজিক | 198.16.***.*** | ২৬ জুলাই ২০২৩ ০০:৩৫521757
  • আরে মোলো যা, স্বামী বিরজানন্দ, শ্রী রামসুব্বা আইয়ার, শ্রী সদাশিভম পিল্লাই, কে এস রামস্বামী শাস্ত্রী, স্বামী শ্রদ্ধানন্দ, স্বামী গম্ভীরানন্দ সত্যবাদী হলে বিবেকানন্দের সাঁতরে শিলায় গিয়ে ধ্যান করা ঢপ হতে পারে না।  দুই প্রত্যক্ষদর্শী ও এক প্রত্যক্ষ শ্রোতা মিথ্যাচার না করলে বিবেকানন্দের সাঁতরে শিলায় গিয়ে ধ্যান করা ঢপ হতে পারে না। 

    সহজ লজিক। আবোল তাবোল বকে গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে লাভ নেই। ঘোমটা দিতে গিয়ে ... ...
  • এলেবেলে | ২৬ জুলাই ২০২৩ ০০:৪৫521758
  • আজ্ঞে, লজিকবাবু ওই ধ্যানটা কদিনের? তিনদিন না একদিন? বইতে কী আছে? ভক্তরা তো বিবেকানন্দকেই ঢপবাজ প্রমাণ করে ছেড়েছেন। আর হাঙরগুলোকে গিলে নিচ্ছেন কেন?
  • uff | 177.54.***.*** | ২৬ জুলাই ২০২৩ ০১:০৯521762
  • মানে কোনো ভ্যারিয়েশন থাকলেই ধরতে হবে ঠকবাজ। ওরাল হিস্টরীতে ভ্যারিয়েশন পার্ট এন্ড পার্সেল বলে জান্তুম। কেনেডি হত্যায় সাক্ষীদের বক্তব্যে কত ফাঁকফোকর আছে জানেন? আমেরিকানরা আজও অফিশিয়াল ন্যারেটিভ মানতে চায়না। অজস্র কন্সপি থিউরি। এলেবেলেও দেখা যাচ্ছে ঐরকম পাবলিক।
  • খেয়াঘটের মাঝি  | 165.225.***.*** | ২৬ জুলাই ২০২৩ ০৪:২৬521763
  • ঐ সাঁতার কাটাটা মোটেও অবিশ্বাস্য কিছু নয়, ওরকম ট্রান্সে অনেকেই থাকে, বড়সড় ফোকাস হলে তো আরৈ থাকে। আমি নিশ্চিত এখানে অনেকেই থেকেছেন! 
    বরং আমার পছন্দ হল সেই মানুষটির কাহিনী যাঁকে দেবার জন্যে এক আনা বিবেকানন্দের ছিল না বলে সাঁতারটা কাটা হল। 
    ঐ রকে লোকে যেতই বা কেনযে একজন পাকাপাকি খেয়ামাঝি ছিলেন? সেই খেয়ামাঝির না জানি কতই গল্প! সে সব বরং জানতে ইচ্ছে করে! 
  • :-)) | 2405:8100:8000:5ca1::10d:***:*** | ২৬ জুলাই ২০২৩ ১২:১১521783
  • রাকৃমির কৃমিগুলো এখুনো কিলবিলুচ্চে।
  • Reference | 103.76.***.*** | ১২ আগস্ট ২০২৩ ১৫:২৮522362
  • ১৯৫৬ সালের প্রথম সংস্করণ বই
     
     
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন