এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • siki | ০২ নভেম্বর ২০১১ ১১:৪৯ | 122.177.237.71
  • কী?!! আমার লিভারে কিছু নেই। আমার বউয়ের লিভারে প্রবলেম। অত জল খাবার পরেও।
  • Jhiki | ০২ নভেম্বর ২০১১ ১১:৪৭ | 182.253.0.99
  • খাওয়ার অভ্যাস বদল করে কিচ্ছু লাভ হয় না এটা ১০০% ভুল কথা, হ্যাঁ খাওয়ার অভ্যেস বদলেও সব অসুখ সারে না সেটা ঠিক।

    আর জন্ডিস তো খুব ভালোভাবে ক®¾ট্রাল করা যায়।
  • pi | ০২ নভেম্বর ২০১১ ১১:৪৫ | 72.83.90.203
  • আরে ওজন এক হওয়া মানেই সব এক নাকি ? ঃ)

    আর মেটাবলিক রেটের উপর তি নির্ভর করেই , সবার জন্য সব কিছুর এফেক্ট তো এক হয় না।

    জল না খাবার ফল তো লিভার দিয়েই টের পাচ্ছো। তবে ভেবে দেখলুম, আমার জল খাওয়াও ঐ এক ই রকম ঃ) ।

    কিন্তু তুমি ঘুগনির মত দেবভোগ্য জিনিস খাওনা ?
    আমার মনে হয় তোমার ডায়েট দেখেই কুড়ি ভাগলওয়া হয়েচে।
  • siki | ০২ নভেম্বর ২০১১ ১১:৩৮ | 122.177.237.71
  • ভেবে দেখব। আরেকটু এগোক ঃ-))

    কদিন আগেই এখানে একটা অলোচনা হচ্ছিল, জল খাওয়া নিয়ে। রাতের বেলায় হয়েছিল বলে লিখতে পারি নি। এখন মনে পড়ল।

    আমরা গ্যাঁড়া গেঁড়ি দুই পারফেক্ট জুটি। জলের ব্যাপারে অপোজিট পোল। আমি নিজেকে বলি উট, আর ওকে বলি মাছ। এবং সত্যিই আমি একটানা জল না খেয়ে দু তিনদিন পর্যন্ত আরামসে থেকে যেতে পারি, যদি না এমন কিছু আমাকে খেতে বাধ্য করা হয় যার পরে জল খেতেই হয়, মিষ্টি টিস্টি টাইপের। নোনতা খেয়েও আমি জল না খেয়ে থাকতে পারি, কিন্তু মিষ্টি খেলে জল খেতেই হয়। এবং সত্যিই আজও এমন দিনও যায়, যেখানে আমি সারাদিনে খুব বেশি হলে এক লিটার জল খাই। অফিসে তো সারাদিনে খাইই না, লাঞ্চের সময়ে ছোট্ট এক গ্লাস ছাড়া। জলের কমতিজনিত কোনও সমস্যা আজ পর্যন্ত আমার হয় নি। জলবাহিত রোগ হয় নি।

    আমি গ্রীন ভেজিটেব্‌লও প্রায় খাই না। আমি সত্যিই স্ট্রংলি নন ভেজ। ভেজের মধ্যে মূলত আলু খাই, এর বাইরে ভালোবেসে খাই ফুলকপি, ... আর কিছু মনে করতে পারছি না। উদাসীনভাবে অবশ্য অনেক কিছু খেয়ে নিই, যেমন বাঁধাকপি, কুমড়ো, উচ্ছে, বেগুন, সীম, ঝিঙে। শাক প্রায় খাই না, মোচা লাস্ট খেয়েছিলাম চার বছর আগে, আর ছোটোবেলায় মোচা দেখলেই বমি আসত। মূলো বীট গাজর লাউ বীন একেবারে টাচ করি না। মাখন বা ঘি দিয়ে প্রায়ই একথালা ভাত সাবড়ে দি। ডাল পারতপক্ষে খাই না। মুগ মুসুর কলাই, কিচ্ছু না। মাছের মাথা দিয়ে হলে মুগ ডাল খাই। ঘুগনি চার চামচের বেশি মুখে রোচে না। ছোলার ডাল জাতীয় ডেলিকেসিও খুব বেশিক্ষণ নিতে পারি না।

    এ হেন স্যাম্পলকে বিয়ে হয়ে ইস্তক সহ্য করে গেঁড়ি, যে বিয়ের আগে মাছ প্রায় খেতই না, সব্জিনির্ভর জীব, এবং জল। জল বিষয়ে গেঁড়ির অবসেশন আছে। বাইরে বেরনোর হলে, এই ধরো বাড়ি থেকে নয়ডা যাচ্ছি কিংবা পাড়ার মার্কেটে যাচ্ছি, সঙ্গে জলের বোতল নিয়ে না বেরোলে ও রাস্তাতেই অসুস্থ হয়ে পড়ে, নট নেসেসারি যে ঐটুকু সময়ের মধ্যেই জল খাবে। রাতে দু-বোতল জল নিয়ে ঘুমোতে যায়, সকালে দেখি একটা বোতল ফাঁকা। একদুবার ও ঘুমিয়ে পড়ার পড়ে ফক্কুড়ি করে জলের বোতল সরিয়ে দিয়েছিলাম, সে রাত দুটোর সময়ে আমায় ঠেলে তুলে দিয়েছিল জলের বোতল ঘরের ভেতর থেকে কে নিয়ে গেল বলে। ঘরের মধ্যেও আড্ডা মারলেও হাতে একটা জলের বোতল মাস্ট। ভাট বকছে আর ঢুকঢুক করে জল খাচ্ছে।

    ফলাফল? আমাদের দুজনকারই ফিজিক একরকম। আমি পঁয়ষট্টি কেজি, ও আটষট্টি কেজি। একবার জন্ডিস হয়ে গেছে, লিভারের প্রবলেম হামেশা কে লিয়ে রয়ে গেছে, আর ডাক্তার দেখালেই ডাক্তার বলে, প্রচুর পরিমাণে জল খাও ঃ-))

    তো, মোদ্দা ব্যাপার এই, খাদ্যাভ্যাস দিয়ে আমি বুঝেছি, ঐ ভাবে খাওয়া ক®¾ট্রাল করে কিসুই হয় না। যার হবে তার জল খেলেও হবে, যার হবে না তার কিছুতেই হবে না।

    একটাই জীবন। না খেয়ে নষ্ট করব কেন?
  • pi | ০২ নভেম্বর ২০১১ ১১:১৭ | 72.83.90.203
  • ঐ টইটাতে লেখোনা।
  • siki | ০২ নভেম্বর ২০১১ ১১:১৬ | 122.177.237.71
  • আমিও কিছু লিখব কিনা ভাবছি। কলকাতা আর দিল্লি, দু জায়গারই হাসপাতালের কিছুকিঞ্চিৎ অভিজ্ঞতা তো হয়ে গেল ঃ-)
  • siki | ০২ নভেম্বর ২০১১ ১১:১৩ | 122.177.237.71
  • বাপ্‌!!
  • pi | ০২ নভেম্বর ২০১১ ১১:১২ | 72.83.90.203
  • হ্যাঁ, নিনাদি, ওগুলো লিখো।
  • m | ০২ নভেম্বর ২০১১ ১০:৩৭ | 117.194.39.172
  • গত একাদশীর দিন আমার বাঁহাতের বুড়ো আঙুল কেটে যায়-হাসপাতালে গিয়ে সেলাই করার সে গপ্পো আগেই লিখেছিলাম- তারপরের ঘটনাটুকু নথিবদ্ধ করা হয় নি।

    সেই হাতের ড্রেসিং করাতে হয়েছে দুবার। তৃতীয়দিন সেলাই কাটার দিন নার্সের খুব হাসিমুখ দেখে আমিও খুব খুশি,যাক আর আসতে হবে না।সেলাই কাটামাত্র সেলাইয়ের হাঁমুখ থেকে তাজা রক্ত বেরিয়ে এলো- আমি অবাক,নার্স ও- সে গিয়ে ডাক্তারকে ডেকে নিয়ে এলো- ডাক্তার দেখে টেখে গম্ভীর ভাবে জানালেন, আরেকবার ড্রেসিং করাতে হবে,এদিকে আঙুল ভাঁজ করতে পারছি না, প্রচন্ড কষ্ট হচ্ছে।উনি জানালেন,আঙুলটা অনেকদিন সোজা হয়ে আছে,তাই নাকি ঐরকম লাগছে।-সন্দেহকুটিল মনে বাড়ি ফিরে এলাম।চারদিন বাদে আবার গেলাম- ঘা শুকিয়েছে কিন্তু আর সব আছে।সেদিন অন্য ডাক্তার-তিনি আবার আগে হাসপাতালে নাম রেজিস্টার না করিয়ে রোগী দেখেন না। বল্লাম আমি নথিভুক্ত পেশেন্ট। আমাকে পাত্তা না দিয়ে ফোন করে আমার হালহকিকত জেনে তারপর উনি আমাকে দেখলেন।
    এইবার প্রেস্ক্রিপশান নিয়ে বাড়ি চলে এলাম। আঙুল ভাঁজ করতে পারছি না,যন্ত্রণাও আছে।
    কদিন বাদেই একমাস হবে। আপাতত বুড়ো আঙুলের কর্মক্ষমতা হারানোর শোকে কাতর।
    এরপর আর চিকিৎসা বাকি আছে।শেষপর্যন্ত কি হবে ভগাই জানেন।আমি কোলকাতার চিকিৎসাব্যবস্থার ক্ষুরে ক্ষুরে পেন্নাম জানাই।
  • siki | ০২ নভেম্বর ২০১১ ১০:৩৭ | 122.177.237.71
  • মানুষজনও কিছু ইনার্ট হয়ে গেছে। ঃ( কেউ রাস্তায় নামে না এখানে।
  • kc | ০২ নভেম্বর ২০১১ ১০:২৪ | 194.126.37.78
  • কার সেঞ্চুরি আগে হবে? পেট্রলের দামের নাকি শচীনের?

    অহলুওয়ালিয়া নামটা বেশ মজাদার বানিয়েছে।
  • Nina | ০২ নভেম্বর ২০১১ ০৭:১০ | 69.141.168.183
  • হ্যারে পাই
    এদেশেও আছে সব আজব কাহানী --হেল্‌থ ইন্সিওরেন্সে কাজ করি আর দেখি---ভাবি মানুষের হার্ট বলে কি আর কিছু নেই--শুধুই ব্রেন? আর টাকার হিসেব--যাকগে---ঘুমিয়ে পড়ি---
    একদিন বসে গুছি য়ে অনেক লেখার ইচ্ছে রইল।
  • pi | ০২ নভেম্বর ২০১১ ০৭:০৫ | 128.231.22.133
  • নামকরা বেসরকারি হাসপাতালে একজন ডাক্তারের রক্ত পরীক্ষা না করানোর গাফিলতিকে সিস্টেমের দোষ বলে মনে হয়নি বলে এই নিয়ে সিস্টেমকে গালি দেওয়াতে পাল্টা উদাহরণ দিয়েছি।

    আমার আর কিছু বলার নেই আকাদা।
    বাই।
  • pi | ০২ নভেম্বর ২০১১ ০৭:০৩ | 128.231.22.133
  • বেসরকারি হাসপাতাল প্রচুর টাকা ন্যায়, কিন্তু ইনএফিশিয়েন্ট , তুমি বললে এ নিয়ে আমি তর্ক করবো।
    এনিয়ে তো একমত। কীসের কী তক্কো করবো ! এটা ভাল ই বা কেন বলবো ? ঃ)
    (প্রসঙ্গত জানাই, এই উডল্যান্ডস ও আরো কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালে কয়েকজন আত্মীয়কে আই সি উ আর ভেন্টিলেশনে রাখা নিয়ে খুবই তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে। আর একটি ক্ষেত্রেও রোগী ফেরেননি।)

    বরং আমার মনে তো এটা অরো খারাপ , কারণ সরকারি ব্যবস্থায় এটাও দেওয়া যাচ্ছে না। বা যেখানে দেওয়া যায়, বা কিছু চিকিৎসক এখনো নানাভাবে অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও চেষ্টা করে যাচ্ছেন, সেটার থেকেও মানুষের আস্থা উঠে গেছে। মানুষ আরো সরে যাচ্ছে, তো সিস্টেম আরো ভেংএ পড়ছে।

    এনিয়ে ভালো করে লিখবো ভেবেছিলাম। যাইহোক, এখানেই লিখি । দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা মানুষদের জন্য দেশে স্বাস্থ্য বিমা চালু হয়েছে। ভালো কথা। এটাতে সরকারি বেসরকারি হাসপাতাল দুই আসার কথা। কেন্দ্রের নির্দেশ তাই। বেশিরভাগ রাজ্যেই তাই। কিন্তু কোন এক আশ্চর্য কারণে পঃবঙ্গে কোন সরকারি হাসপাতাল এই লিস্টে নেই। যদিও সরকারি ডকুমেন্টে লেখা আছে যে থাকার কথা। মানে, সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা, পরিকাঠামো কিছুর প্রতি সরকার নজর্‌র দেবেনা, সেটা কীকরে ভালো করা যায়, যাতে বেসরকারি তে যেতেই না হয়। উল্টে বেসরকারি ব্যবস্থাটাকেই এন্ডর্স করা হচ্ছে।
    সরকারি গাইডলাইন এও বলে, যে বেসরকারি ব্যবস্থা কে রেগুলেট করতে হবে। কিন্তু কার্যতঃ কিচ্ছু হয়না।

    দুটো সিস্টেমের তুলনা চিকিৎসকের ভুল দিয়ে বোঝানো যায়না, সেটাই বলেছি।

    দেশের ডেটা নেই। আম্রিগার ডেটা বলছে, যত দেশের ডেটা আছে, তার মধ্যে আম্রিগার অবস্থা বেশ খারাপ। আম্রিগার নিজের দেশের মৃত্যুর কারণ হিসেবেই এটা টপ তিনে।

    মেডিক্যাল অতি-নির্ভরতা, ওভার টেস্টিং ও একটা সমস্যা, সেটা আম্রিগায় তো দেশের থেকে বেশি ই। ভারত যদিও ঐ পথেই হাঁটা।
  • Nina | ০২ নভেম্বর ২০১১ ০৭:০৩ | 69.141.168.183
  • NRI এর পেরেন্ট ই ছিল মার সবচেয়ে বড় অসুখ--তায় আবার only child মেয়ে --পারফেক্ট মুর্গী---
  • aka | ০২ নভেম্বর ২০১১ ০৭:০৩ | 75.76.118.96
  • ডাক্তারদের ওপর দোষ দেওয়া যায় না। সারা পূর্বাঞ্চলে একটাই শহর কলকাতা। তাই কলকাতা এবং শহরতলীর ডাক্তাররা প্রচণ্ড চাপে, ওভারওয়ার্কড। আর কোন সিস্টেম না থাকায় লোকে ছুটির দিনেও সামান্য গলা জ্বালা নিয়েও ডাক্তারদের জ্বালাতে ছাড়ে না। এটুকু বোঝা যায়, কিন্তু অন্যদিকে শয়তানের বাচ্ছাও কম নেই, অসুবিধা হয় তাদের ইনকম্পিটেন্সি এবং শয়তানীতে।
  • Nina | ০২ নভেম্বর ২০১১ ০৬:৫৭ | 69.141.168.183
  • হ্যাঁ আছে এরই মধ্যে আছে দেবতূল্য মানুষ-ডাক্তার---নাম ডাক্তার মনিরুজ্জমান---অ্যানেসথিসিস্ট---কিন্তু মার কেন জানিনা তার ওপর এক অগাধ টান হল---ছেলেমানুষ ডাক্তার। তাকে মা খলিবলে মনি, তুই রোজ একবার আমাকে দেখে যাবি--এই ডাক্তারের কথা আমি বলে শেষ করতে পারবনা---সারাজীবন আমি এঁর কাছে কৃতজ্ঞ থাকব---যেমন চমৎকার মানুষ এমন ভাল ডাক্তার---আমি এনার হেল্প না পেলে কি করতাম জানিনা!
  • aka | ০২ নভেম্বর ২০১১ ০৬:৫৭ | 75.76.118.96
  • তালে কলকাতার সিস্টেমকে গালি দিলে সাথে সাথে এদেশের একটা করে অ্যাবারেশনের উদাহরণ দাও কেন?
  • aka | ০২ নভেম্বর ২০১১ ০৬:৫৫ | 75.76.118.96
  • ওষুধ নিয়ে বিশেষত ক্রিটিকাল কেয়ার ম্যানেজমেন্ট এবং ক্যান্সার কেয়ার ওষুধ নিয়ে মাফিয়া রাজ চলেছে। মার একটা ওষুধ চলছিল নাম অ্যাম্বিসোম বা ফাংগিসোম দিনে একটা দাম ৬০০০ টাকা যদি অ্যাপোলোর ফার্মেসি থেকে নেন। আর যদি পাঁচু বাবুর নাম্বার পান, যদি শিয়ালদা স্টেশনে গোলাপ ফুল পকেটে গুঁজে দাঁড়িয়ে থাকেন তাহলে সেই ওষুধ ৩০০০ টাকা। কারণ স্টকিস্টদের কাছ থেকে সরাসরি নিচ্ছেন তাদের বক্তব্য তারা ঐ ৩০০০ টাকাতেই দোকানে দিচ্ছে কিন্তু দোকানীরা লাভ করছে এমাঅরপি ধরে। কি হচ্ছে বলা খুব মুশকিল। আমার মনে হল টু মেনি মিডলম্যান। নীনাদি ভাউচার দেয় নি বোধহয় লাভের গুড় পিঁপড়েয় খাবে বলে।
  • pi | ০২ নভেম্বর ২০১১ ০৬:৫৩ | 128.231.22.133
  • না, এবার আর আমি একটা কথাও বলবো না।
    যেটা নিএ আমি তর্ক করিনি , যেটা নিয়ে আমি ভিন্নমত নই, সেটা নিয়ে খামোখা কী তর্ক করবো ! ঃ)
    পঃবঙ্গের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে কোন অভিযোগ করি নাই, তাকে ভাল বলেছি এমনি কোনোরকম অভিযোগ আমার অতি বড় শত্তুরেও, মানে এই যেমন ধরো সিপিএম এও কোনোদিন করবে না ঃ))

    মাঝরাতে এমারজেন্সি হলে অ্যামুলেন্স ডাকা নিয়ে আমি তর্ক করবো ভাবছো টা কেন ? আমার তো আপত্তি এত দূরে কেন যেতে হবে, সেখানেই। মাস খানেক আগে আমার পিসেমশায় মারা গেছেন। স্বাসকষ্ট উঠেছিল মধ্যমগ্রামের সরকারি হাসপাতাল আর জি করে রেফার করে দিয়েছিল। অ্যাম্বুলেন্স পেতে দেরি হয়নি। রাস্তার জ্যামেও না। তাও যেটুকু সময় লেগেছে, সেটাই যথেষ্ট দেরি। রাস্তায় মারা গেছেন।

    ঠাকুমা, কাকুর বেলায় সুবিধে ছিল মেডিক্যাল কলেজ কাছেই। রাস্তায় তাঁরা মারা যাননি। কিন্তু ওখানে না থাকলে হয়ত বেঁচে যেতেন।
  • Nina | ০২ নভেম্বর ২০১১ ০৬:৪৯ | 69.141.168.183
  • NRI আর তার ওপর মেয়ে ---তাকে যে কি নাচ নাচায় ---সে আমি জানি---সাহারা সমস্ত কভার করছে --হঠাৎ বলে অমুক ইনে্‌জকশন লাগবে---এখন যদি আমাদের এখানে কেনেন তাহলে এখন একটা ডিসকাউন্ট পাবেন ---আর ওষুধটাও তাড়াতাড়ি পড়ে যাবে---সাহারার অ্যাপ্রুভালের জন্য দেরী করবেন?আপনার ডলারে কতটুকু? তবু সাহারা বলেছিল ম্যাডাম ভাউচার দিতে বলুন--আমরা কভার করব--কেন জানিনা ভাউচার কিছুতেই বার করতে পরলামনা----
    গতবছর থেকে সাহারার এই পেরেন্ট কেয়ার কভারেজটা তুলেই দিয়েছে---
    ধ্যুস মনটা তেতো হয়ে গেল!
  • aka | ০২ নভেম্বর ২০১১ ০৬:৪৫ | 75.76.118.96
  • নীনাদি ICU দা ম্যাজিক টার্ম। উফফ, ভয়ংকর। এগুলো আমি গুছিয়ে লিখব। দিনে মিনিমাম পঞ্চাশ হাজার টাকা। আমেরিকা শুনলেই লক্ষ্য হল ICU
  • aka | ০২ নভেম্বর ২০১১ ০৬:৪৩ | 75.76.118.96
  • খানিকটা ব্যাখ্যা করলাম তো, চিকিৎসকরা ওভারওয়ার্কড। আমার বন্ধুরা রাত একটা দেড়টা অবধি রোগী দেখে। কারণ একটু মফস্বলের দিকেই ঐ ইন্ডিভিজুয়াল ডাক্তাররাই ভরসা, কোনো হাসপাতাল বা ক্লিনিক নেই।

    তুমি যে এই কথাটা মনে করো না তার পিছনে কি কোন স্ট্যাট বা যুক্তি আছে? নাকি যাস্ট মনে হয়। আমার বক্তব্যের পিছনে আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা আছে।

    আমার বোনের গলস্টোন নামী দামী ডাক্তারেরা মাস দুয়েকের চেষ্টার ধরতে পারে নি। ব্যাঙ্গালোরে কয়েক ঘন্টায় ধরা পড়েছে।

    মার ক্যান্সার ধরা পড়তে অন্তত মাস ছয়েক দেরি হয়েছে শুধুমাত্র ব্লাড টেস্ট না করানোয়।

    বাবা নিজে গিয়ে ডাক্তারকে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করাতে বললেও ডাক্তার কাটিয়ে দিয়েছে কোনো টেস্ট ছাড়াই (সেদিন নাকি ডাক্তার ঘুমিয়ে পড়েছিল), তার দুইমাসের মধ্যে বাবার হার্ট অ্যাটাক হয়।
  • Nina | ০২ নভেম্বর ২০১১ ০৬:৪০ | 69.141.168.183
  • আকা,
    আমি তোমার অবস্থাটা মনে প্রাণে বুঝতে পারছি---আমার ওপর দিয়েও তো এই সেদিনই এই ঝড় বয়ে গেছে।
    সাহারা ইন্সিওরেন্স নিয়েছিলাম মায়ের জন্য। দিল্লীতে তাদের অফিস---অত্যন্ত ভদ্র ব্যবহার পেয়েছি তাদের কাছে ---তাদের কলকাতার ব্রাঞ্চ অলংকিত---তারাও খুবই ভাল । কিন্তু ডাক্তার হাসপাতাল পাগোল করে ছেড়ে দিয়েছে ।
    প্রতিবারের মতন বছরের শেষে মার সঙ্গে সময় কাটাতে গিয়েছিলাম--বেশ ভাল ছিল--হঠাৎ বমি জ্বর ইত্যাদি----নামি ডাক্তার --বেলহিউএর--বল্লেন বেলভিউ এর পাশে আমাদের নিজেদের নার্সিং হোম ওখানে আনুন--আরও ভাল কেয়ার নিতে পারব--সাহারাও কভর করে----দিশেহারা আমি--তাই করলাম।
    সোজা ICU তে রাখল--মা অচৈতন্য--খালি বলে পটাশিয়াম লেভেল নেমে গেছে --তি কি তি কি---দিন যায় মা সেই একইরকম---কি হয়েছে--বলে সি্‌প্‌টসিমিয়ার মতন---এই করে দশদিন ধরে ICU তাকার অঙ্ক চিচিং চিচিং --
    আমার মেয়ের বন্ধুর মা ডাক্তার--তিনি ওহোন করে বল্লেন ---কটা প্রশ্ন লিখুন আর উত্তর্গুলো আপনাদের ডাক্তার যা বলেন আমাকে কাল বলবেন--এতদিন কেন ICU তে---ডাক্তার প্রশ্নগুলো দেখে বল্লেন---ইনি কি ডাক্তার?
    আচ্ছা আমি উত্তর গুলো কাল দেব, সেদিন সন্ধ্যেবেলা থেকে মার মিরাক্যুলাস রিকাভরি--icu থেকে প্রাইভেট রুমে ট্রান্সফার---উফ! এ যে কি মহাভারত---এখনও মনে পড়লেই বড় কষ্ট হয়!
  • pi | ০২ নভেম্বর ২০১১ ০৬:৩৮ | 128.231.22.133
  • দেশের ডেটা এখনো who র সাইটে নেই। কিন্তু বিদেশে এটা বেশ বেশি হয় সেটা স্বীকৃত।
    uk তেও বেশি হয়। এবার uk র চিকিৎসা ব্যবস্থা আমেরিকার থেকে ভাল , অন্তত বেশিরভাগ ইন্ডিকেটর অনুযায়ী তাই। তো, সেখানেও তালে এটাকে সিস্টেমের দোষ বলা হোক।

    http://articles.timesofindia.indiatimes.com/2011-04-20/india/29450526_1_medical-errors-patient-safety-negligence
  • aka | ০২ নভেম্বর ২০১১ ০৬:৩৭ | 75.76.118.96
  • পাই দুই সিস্টেমের আজকের দিনে দাঁড়িয়ে কোন তুলনা হয় না। আমেরিকার হেলথকেয়ারের শত সমস্যা নিয়েও তা যেকোন দিন স্বর্গ হলে ভারত যেকোন দিন নরক। দু একটি এক্সেপশন এদিকে ওদিকে দুই দিকেই আছে কিন্তু তা অ্যাবারেশনই।

    যাস্ট এই প্রশ্নটার উত্তর খোঁজ।

    কলকাতা শহর থেকে ত্রিশ কিমি দুরে মধ্যরাতে এমার্জেন্সি হলে কি করবে?
  • pi | ০২ নভেম্বর ২০১১ ০৬:৩৪ | 128.231.22.133
  • ঐ মেয়েটির কেসে রক পরীক্ষা না কারানোর মত গ্রস মেডিক্যাল ভুল কোলকাতা ছাড়া আর কোথাও হয়না, কোলকাতায় ভাল কোন চিকিৎসক নেই , আমি এই স্টেটমেন্ট গুলোর সাথে সহমত নই, আর চিকিৎসকদের এই ভুল গুলো সিস্টেমের দোষ, এই টা কেন কীভাবে বলছো সেটা বুঝতে পারছিনা, এটুকুই বলেছিলাম।
  • aka | ০২ নভেম্বর ২০১১ ০৬:৩৪ | 75.76.118.96
  • তাতো বলি নি।
  • pi | ০২ নভেম্বর ২০১১ ০৬:৩১ | 128.231.22.133
  • কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালের এফিসিয়েন্সি নিয়ে আমি তর্ক করছি ।
  • aka | ০২ নভেম্বর ২০১১ ০৬:৩০ | 75.76.118.96
  • কোন কথাটা মুখে বসালাম?
  • aka | ০২ নভেম্বর ২০১১ ০৬:২৯ | 75.76.118.96
  • তিন নং ঘটনাটি আমার মনে হয়েছে আমার ওপর চাপ সৃষ্টি করা যাতে মাকে নিয়ে আমি আলাদা কেবিনে চলে যাই। এই একমাত্র এটাই NRI বলে ডিসক্রিমিনেশন কারণ আমেরিকায় থাকলে ব্যাক ইয়ার্ডে ডলার গাছ আছে এই ধারণা সবার।
  • pi | ০২ নভেম্বর ২০১১ ০৬:২৭ | 128.231.22.133
  • কী জ্বালা ! আকাদা আঅমার কোন পোস্ট না পড়ে আমার মুখে যা নয় তাই বসিয়ে দেবে ঃ(
    সরকারি হাসপাতাল ব্যবস্থা পুরো ভেংগে পড়া , বেসরকারি হাসপাতালগুলোর সেটার সুযোগ নেওয়া আর তাদের উপর কোন রেগুলেশন না থাকা, ফলে তাদের যা ইচ্ছে তাই করা, এটা যে সিস্টেমের বড় সমস্যা তা তো আগেই লিখলাম !!
  • aka | ০২ নভেম্বর ২০১১ ০৬:২৭ | 75.76.118.96
  • ও ঘটনা ৪ঃ নার্স সুপারিন্টেডেড ওয়ার্ড থেকে ফোনে প্রচণ্ড চিল্লে যাচ্ছে কেন কেমো ইনডেন্ট করা হয় নি। সাথে সেন্টু লাগানো কথা আমার মেয়ে গুলো (মানে পেশেন্টরা) আজকে কেমো পেল না তোমাদের জন্য। সে চিল্লানো ট্রেনের লেডিজ কামরার ঝগড়াকেও হার মানায়। ভগমান এদের মাথা এবং অন্য অংগ প্রত্যঙ্গ বোধহয় উল্টে পাল্টে দিয়েছেন।

    ঘটনা পাঁচঃ পেশেন্ট পার্টি হলে চটি, জুতো খুলতে হবে কিন্তু হাসপাতাল কর্মী মানে ভগমান হলে চটি জুতো খুলতে হবে না। কে না জানে ভগমানের পায়ের থেকে ইনফেকশন হয় না।

    এই হচ্ছে শহরের সেরা বেসরকারী হাসপাতালের লক্ষ লক্ষ টাকার কেয়ার। যেখানে চাপ আরও বেশি, টাকা আরও কম সেখানে কি হয় এক্সট্রাপোলেশনটা করলেও ভয় লাগে।
  • aka | ০২ নভেম্বর ২০১১ ০৬:২০ | 75.76.118.96
  • আচ্ছা এটাকে সাপ, ব্যাং, লাঠি, কিংবা একশ তিন যাই বলো না কেন এই টু এর্‌র ইজ হিউম্যান এই ফ্যাক্টরে দেশে কত লোক মারা যায় তার সংখ্যা চাইছি। আছে কি?
  • aka | ০২ নভেম্বর ২০১১ ০৬:১৯ | 75.76.118.96
  • নীনা দি আমার সেরকম কিছু মনে হয় নি। পাতি ইনএফিসিয়েন্সি, কেয়ারলেসনেস, তারসাথে বদামো।

    অ্যাপোলোর ক্যান্সার ফিমেল ওয়ার্ড

    ঘটনা ১ঃ মার তখন প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট। বেডপ্যানের প্রয়োজন কিন্তু আয়াদের ডাকতে সংকোচ বোধ কারণ তারা এক তো দেরিতে আসে দুই মুখ চোখ এমন করে যাতে যেকোন সেন্সিটিভ লোকের দুইবার ডাকতে সংকোচ বোধ হবে। পরে জানলাম যে এদের শ খানেক বা দুয়েক করে টাকা দিতে হত। রাতে অ্যাটেন্ডেড রাখলে এদের মুখ ভার হয় কারণ মনে করে এদের টাকা মারা যাচ্ছে। পুরো ওয়ার্ডের ২০ জন মতন পেশেন্টের জন্য দেড় জন আয়া।

    ঘটনা ২ঃ ক্যান্সার ওয়ার্ডের (জনা দুয়েকের সার্জারি হয়েছে, অন্য দুজন বেশ ক্রিটিকাল) মধ্যে বিভিন্ন সুরে মোবাইল বেজে চলেছে, কখনো কিশোর কুমার, কখনো রবীন্দ্র সংগীত, কখনো ধুম মচা দে। ফোন না হলে চলে না কারণ কে কখন কোথায় আছে রিয়েল টাইম না জানলে অপারেশন চলবে কেমন করে। তারপর সেই ফোন তুলে যখন কেউ কথা বলে তখন মনে হয় ফোন রেখে এমনি কথা বললেও অন্য জন শুনতে পেত। অন্তত বার পাঁচেক মায়ের অল্প একটু রিলিফে ঘুম আসার পরে সেই ঘুম চটকে গেছে। অফিসিয়ালি জানাবার সময়ে আমাকে জানানো হল রুট কজ অ্যানালিসিস কি, স্ট্র্যাটেজী কিভাবে হয় ইত্যাদি ইত্যাদি।

    ঘটনা ৩ঃ মা ফিমেল ওয়ার্ডে ছিল আমাদের একটা ২৪ ঘন্টার পাশ ছিল সেখানে রাত আটটা অবধি যেকেউ থাকতে পারত কিন্তু রাত আটটার পরে একজন মহিলা থাকতে পারত। আমি সকাল আটটা থেকে সেখানে থাকতাম রাত আটটা অবধি, তখন যখন ধরেই নিয়েছিলাম মাকে রাখা যাচ্ছে না, তখন অবজেক্টিভ ছিল যত সময় পারা যায় মার সাথে কাটানো। তৃতীয় দিনে আমাকে জানালো হল ফিমেল ওয়ার্ডে নাকি কোন মেল থাকতে পারে না। আমি প্রায় হাতে পায়ে ধরার মতন করেছি। তাতেও কিছু কাজ হয় নি। পরের দিন দেখা গেল সেই ফিমেল ওয়ার্ডে দুজন পুরুষ অ্যাডমিটেড হল, বলাই বাহুল্য ফিমেল ওয়ার্ডের অন্যান্য কর্মচারীরাও পুরুষ।

    এই গুলো ঘটনামাত্র কিন্তু পুরো সিস্টেমের ইনএফিশিয়েন্সি, বদামো চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়। সে পাই যতই তক্কো করুক এমন জিনিশ কোথাও খুঁজে পাবে নাকো আর। পাই ভুলে যাচ্ছে অনুভব করেছি তাই বলছি গুগুল খুঁজে পেপার দেখে নয়। ডাক্তাররা তাদের সমস্যার কথা বলুন, কিন্তু পেশেন্টদের অবস্থা তাতে বদলে যায় না।
  • pi | ০২ নভেম্বর ২০১১ ০৬:০৯ | 128.231.22.133
  • আর এইটা কী দেখবো ? এই নিয়ে তো আমিও অনেক রিসেন্ট অনেক লিং দিলাম। এটা তো বারো বছরের পুরানো। সংখ্যাটা এখন অনেক বেশি।
  • pi | ০২ নভেম্বর ২০১১ ০৬:০৭ | 128.231.22.133
  • এটাকে প্রিভেন্টেবল ডেথ বলেনা।
  • aka | ০২ নভেম্বর ২০১১ ০৬:০২ | 75.76.118.96
  • পাই এইটা দেখতে পারো।

    http://www.iom.edu/]/media/Files/Report%20Files/1999/To-Err-is-Human/To%20Err%20is%20Human%201999%20%20report%20brief.pdf

    সংখ্যাটা একটু ভুল বলেছিলাম ৯৮০০০ প্রিভেন্টেবল ডেথ। এর সাথে প্রিভেন্টেবল ডিসিজের সম্পর্ক নেই। এই সংখ্যাটা মানুষের ভুল।

    একটাই প্রশ্ন দেশে এই সংখ্যাটা কত? তারপর কথা এগনো যাবে।
  • pi | ০২ নভেম্বর ২০১১ ০৫:২৫ | 128.231.22.133
  • অতি অবশ্যই, সরকারী স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়া আর বেসরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রায় কোন রেগুলেশন না থাকা সবচেয়ে বড় বেসিক সমস্যাগুলোর মধ্যে একটা ( অন্যটা , প্রিভেনশান , হেল্‌থ প্রোমোশান , মানে পাবলিক হেল্‌থ এর উপর জোর না দিয়ে মেডিক্যাল মডেলের উপর বেশি জোর দেওয়া। মানে, অসুখ যাতে না ই হয়, সেই চেষ্টা নেই, অসুখ হবার মত কন্ডিশনগুলোকে রেখে দেওয়া আর তারপর সেগুলো সারানোর চেষ্টা, এই বেসিক মনোভাবেই গণ্ডগোল আছে ) , কিন্তু তাতে তো বেসরকারি প্র্যাকটিসে লাভ ই বেশি, সেটাই তো তাঁরা চাইবেন ঃ)
    সেই যুক্তিতে এই ভুলগুলো জাস্টিফাই করা যায় কি ?
    বেসরকারি হাসপাতালের ডাক্তারের এই ধরণের নেগলিজেন্সকে সিস্টেমের দোষের সাথে ইক্যুয়েট করার চেষ্টাটাকে আবারো অতিসরলীকরণ ই বলবো।

    যেটা দরকার, কনজিউমার ফোরাম আরো সক্রিয় হওয়া। সেইটা এখানে আছে।
    যদিও তার একটা কুফল ও আছে। এই স্যু এর ভয়ে ( তবে শুধু সেটাই কারণ নয়, ব্যবসায়িক স্বার্থটাও অনেক ক্ষেত্রে একটা বড় কারণ) ডিফেন্সিভ মেডিসিন। এর স্ট্যাটটা হল এইরকমঃ

    Each year approximately 2.2 million US hospital patients experience adverse drug reactions (ADRs) to prescribed medications.(1) In 1995, Dr. Richard Besser of the federal Centers for Disease Control and Prevention (CDC) estimated the number of unnecessary antibiotics prescribed annually for viral infections to be 20 million; in 2003, Dr. Besser spoke in terms of tens of millions of unnecessary antibiotics prescribed annually.(2, 2a) Approximately 7.5 million unnecessary medical and surgical procedures are performed annually in the US,(3) while approximately 8.9 million Americans are hospitalized unnecessarily.(4)

    http://www.silvergen.com/Death%20by%20Medicine.htm


    দেশেও এইদিকে প্রবণতা বাড়ছে। এই নিয়ে সরকারি হাসপাতালের এক ডাক্তারের লেখা আছে। দিয়ে দিচ্ছি।

    আরো কিছু তথ্য । জাস্ট দিয়ে রাখলাম। কারণ এদেশে যে এগুলো হয়, সেটা অনেকের কাছেই বিস্ময়। Leape acknowledged that the literature on medical errors is sparse and represents only the tip of the iceberg, noting that when errors are specifically sought out, reported rates are "distressingly high." He cited several autopsy studies with rates as high as 35-40% of missed diagnoses causing death. He also noted that an intensive care unit reported an average of 1.7 errors per day per patient, and 29% of those errors were potentially serious or fatal.
  • Nina | ০২ নভেম্বর ২০১১ ০৪:৪০ | 69.141.168.183
  • আমার একটা প্রশ্চেন আছে---কলকাতায় NRI দেখলেই কি একটা অ্যান্টি-ভাব কাজ করে---মানে হাসপাতালে কর্মীদের মধ্যে, এমনকি ব্যাঙ্কেও --নাকি এটা আমার মনে ভুল?

    আকা একটা আলাদা টইতে যদি সবাই নিজেদের অভিজ্ঞতাগুলো লেখে তাহলে বোধহ্য সুবিধে হয়--কোনো ডেটা নয় জাস্ট নিজের নিজের ভাল/খারাপ সবরকম অভিজ্ঞতা!
  • pi | ০২ নভেম্বর ২০১১ ০৪:৩৩ | 128.231.22.133
  • আরে প্রিভেন্টেবল ডেথ এর সংজ্ঞাটা ই তো তুমি বোধহয় গুলিয়েছো ।

    প্রিভেন্টেবল ডেথ বলতে সাধারণতঃ সেগুলোকেই বলা হয়, মডিফায়েবল যেসব ফ্যাক্টরের দিয়ে ডেথ প্রিভেন্ট করা যেত। সেগুলো হল এই ঃ dietary, lifestyle, and metabolic risk factors : Hypertension , Smoking tobacco ,High cholesterol , malnutrinutrition Sexually transmitted diseases Poor diet Overweight and obesity Physical inactivity Alcohol Indoor air pollution from solid fuels Unsafe water and poor sanitation । এগুলোতে তো ভারর অনেক পিছিয়েই আছে।
    আমেরিকাও সব ডেভেলপড দেশগুলোর মধ্যে সব থেকে পিছিয়ে। কিন্তু ভারত অনেক পিছিয়ে। সেটা অবশ্যই সিস্টেমের সমস্যা। আর সেই সমস্যাটাও জাস্ট দরিদ্র দেশ বলে সমস্যা এমন নয়। অর্থনৈতিকভাবে অনুন্নত অনেক দেশই ভারতের থেকে অনেক এগিয়ে। তাই এটা অতো অবশ্য সিস্টেমের একটা বড় সমস্যা।

    আমেরিকাও যে পরিমাণে টাকা খরচ করে ( পৃবীতে সবচেয়ে বেশি), আর যা আউটপুট ( উন্নত দেশগুলোর মধ্য লাস্ট) , সেটা আমেরিকার সিস্টেমের সমস্যা।

    আর আমি যেটা বলেছিলাম, সেটা হল Iatrogenesisআগেও দিয়েছিলাম। আবার দিলাম।
    http://en.wikipedia.org/wiki/Iatrogenesis

    এটার মানে হল এই, an inadvertent adverse effect or complication resulting from medical treatment or advice, যেটা এখানে আলোচ্য বিষয়।

    এর স্ট্যাট টা একটু দেখে নাওঃ
    http://www.yourmedicaldetective.com/public/335.cfm, http://civilisationis.com/medicine/usamed.htm

    বছরে এক লাখ থেকে আড়াই লাখ । তাও এটা আন্ডাররিপোর্টিং।

    ভালো কথা, তুমি ঐ 'প্রিভেন্টেবল ডেথ' এর ৫৫০০০ সংখ্যাটা কোথা থেকে পেলে ?

    এখানে আম্রিগার প্রিভেন্টেবল ডেথ এর লিস্টি আছে ঃ

    http://en.wikipedia.org/wiki/List_of_preventable_causes_of_death দেখে নিও।
  • aka | ০২ নভেম্বর ২০১১ ০৪:০৪ | 75.76.118.96
  • পাই ডাক্তারদের ভুলটা কোন ইন্ডিভিজুয়ালের দোষ নয় বরং সিস্টেমের দোষ। সেটাকে এড়াতেই সিস্টেমের দরকার, প্রসেসের দরকার যেমন http://www.aap.org/nrp/instructors/science/science_evidenceguide.html

    সুইপিং স্টেটমেন্ট কে ভুল প্রমাণ করতে গেলে উদাহরণ দিয়ে হয় না। পারলে স্ট্যাট দাও অথবা যুক্তি দাও।

    কলকাতায় সিস্টেমের অভাবের সাথে যা জুড়েছে তা হচ্ছে

    ১। প্রশাসনের অভাব, তারফলে যে যা পারে করে। যেমন ক্রিটিকাল কেয়ার ম্যানেজমেন্টের ওষুধের মাঅফিয়া রাজ।

    ২। কলকাতার অন্যান্য ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ার জন্য যারা পার্সোনাল চয়েজে কলকাতায় আছে তারা ছাড়া বাকি ভালো ডাক্তারেরা কলকাতা ছেড়ে চলে যাওয়া। যেমন সুমিত করে লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট। তো কলকাতায় এখনও তার কোন ইনফ্রাস্ট্রাকচার নেই। হয়ত কলকাতায় ফিরবে কিন্তু কাজ না করতে পেরে কদিনেই ভেগে যাবে।

    ৩। সরকারী ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ার জন্য বেসরকারী এবং যে কটা সরকারী হাসপাতাল আছে তার ওপর অসম্ভব চাপ। ডাক্তাররা ওভারওয়ার্কড।

    ৪। কোয়ালিটি ক®¾ট্রাল না হলে কারুর কিছু করার নেই।

    সুইপিং স্টেটমেন্টটা অবশ্যই নিজের অভিজ্ঞতা থেকে কারণ এমনই খাজা সিস্টেম যে জেনারাল স্ট্যাটও পাওয়ার উপায় নেই।

    এরকম গ্রস ভুল কলকাতাতেই বেশি হয় যে কারণে লোকে একটু ক্রিটিকাল কিছু হলেই সেন্নাই, ব্যাঙ্গালোর, ভেলোর যায়। এগুলো হল সারকমস্টেনি্‌শয়াল এভিডেন্স।
  • pi | ০২ নভেম্বর ২০১১ ০৩:৫০ | 128.231.22.133
  • ওঃ, টিম ও দেখি লিখেছে। টিমের নিচের পোস্টটার সাথে পুরো ক্কঃ।
  • pi | ০২ নভেম্বর ২০১১ ০৩:৪৯ | 128.231.22.133
  • নাঃ, সেরকম কোন তুলনা তো করিনি।
    বরং ডাক্তারের এই উদাঃ কে সিস্টেমে নিয়ে যাওয়ায় আপত্তি করেছি।

    এরকম গ্রস ভুল মাস স্কেলে একমাত্র বালের কোলকাতাতেই হয়, এই স্টেটমেন্টে আপত্তি করেছি। আর সেটা কোন ভেষজ দেশীয় সেন্টিমেন্টে গদগদ হয়ে নয়, এটা অতিসরলীকরণ দোষে দুষ্ট বলে ঃ)
    এরকম খারাপ ডাক্তারের উদাঃ দিয়ে এরকম সুইপিং স্টেটে্‌মন্ট দিলে অন্য জায়গার খারাপ ডাক্তারের পাল্টা উদাঃ ও আসবে কি কোলকাতার ভালো ডাক্তারেরও।
    ঐ সুমিতদা কি উনি যে হেমাটোলজিস্টের কাছে তোমাকে নিয়ে গেছিলেন, তাঁরাও কোলকাতারই , এইসব কথা বলতে ইচ্ছে করবে ঃ)

    হ্যাঁ, এই খারাপ ঘটনা দিয়ে গোটা সিস্টেমকে বোঝার চেষ্টা করাতেও আপত্তি করেছি। এটাকে এককথায় সিস্টেমের এরর বলে দিলেও আপত্তি করবো।সিস্টেমের সমস্যা অবশ্যই আছে, কিন্তু সেটা মূলত এই জায়গায় আছে , বা এই জায়গাটার জন্য অন্য সব সিস্টেমের চেয়ে খারাপ সেটা মনে করিনা। বিশেষ করে সেই ঘটনা যখন এখানেও বেশ বেশি মাত্রায় হয়।
    এখানকার সিস্টেমের অনেক ভালো ব্যাপারও আছে ( র‌্যাদার আনার চেষ্টা করা হচ্ছে) , সেগুলোর থেকে অনেক কিছু শেখারও আছে।
  • Tim | ০২ নভেম্বর ২০১১ ০৩:৩৪ | 173.163.204.9
  • আরে খারাপ ডাক্তারের কোন দেশ হয়না, তারা সর্বত্র আছে। খারাপ সিস্টেমের হয়। দেশের সাথে বিদেশের তুলনা হয়না। মানেই হয়না সেটার। কলকাতার সাথে অন্য রাজ্যের তুলনা করলেই গলদটা পরিষ্কার ধরা পড়বে।
  • aka | ০২ নভেম্বর ২০১১ ০৩:৩২ | 75.76.118.96
  • হ্যাঁ করুন না আমেরিকার সিস্টেমের সাথে কানাডা, স্ক্যান্দানেভিয়ান দেশের হেলথকেয়ারের তাহলে মেনে নিই।
  • Nina | ০২ নভেম্বর ২০১১ ০৩:২৫ | 12.149.39.84
  • আমাদের দেশের ভুল ও গাফিলতিগুলো জাস্ট ভাবা যায়না----এ দেশ সেদিক দিয়ে অনেক ভাল--সিস্টেমএ লুফোলস আছে--কিন্তু দেশেরটা একেবারে ছিঁড়ে ফর্দাফাঁই!
  • Nina | ০২ নভেম্বর ২০১১ ০৩:২৩ | 12.149.39.84
  • চাপে য়াপ্টা আছি---একটু ঢঁউ মেরে গেলুম---কেলান্ত--বাড়ী যই--
    সাইন করে দিলুম পিটিশনে।
    ডাক্তার আজকাল দেশে ও এ দেশ সবজায়গাতেই এক ভয় পাওয়ার বস্তু। বেশি কম --এই যা।
    প্রফেশনটাই তো প্র্যাকটিশনার--মানে প্র্যাকটিশ করে চিকিৎসা---আর কাউকে মেরে কাউকে জিইয়ে শিখতে থাকে বোধহয়!
    চিকিৎসার ভুল এক কথা কিন্তু গাফিলতি কিম্বা টাকা রোজগারের জন্য ভুলভাল কাজ--সেটার কোনও ক্ষমা নেই।
    আমার ছেলে দেশে হয়েছে---ডাক্তারের প্রিয় টি ভি শো ছিল বলে আমাকে কি এক অষুধ দিয়ে ফেলে রেখেছিল---ভুলে গেছিঃ-((
    পরের দিন এসে সীজার করল।
  • aka | ০২ নভেম্বর ২০১১ ০৩:১৯ | 75.76.118.96
  • পাই কি এখানকার সাথে সিস্টেম ওয়াইড কলকাতার বা দেশের সিস্টেমের তুলনা চাইছে? যাস্ট হয় না। দেশীয় ভেষজ সেন্টিমেন্ট থাকা ভালো কিন্তু চোখ বন্ধ করে সত্যকে অস্বীকার করে নয়।

    একটাই মেট্রিক আপাতত (বহুবার দিয়েছি) এখানে প্রিভেন্টেবল ডেথ বছরে ৫৫০০০। দেশে এই সংখ্যাটা চাই পাই কি?
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত