আনদ করতে জানতে হয়। আমি দিস্তা খাতার মধ্যে ছোটো আনন্দমেলা নিয়ে পড়তে বসতাম।
Bratin | ০৫ নভেম্বর ২০১১ ০০:০২ | 117.194.96.240
না সত্যি ইকবাল সিরিয়াস মুখ করে ঢপ মারতো। সি কে জাফর শরীফ যখন রেল মন্ত্রী র দায়িত্ব ছেড়ে দিল ( বা শেষ হল) সেদিন এসে হঠাৎ বলে একটু চাপ হয়ে গেল। আমরা বুঝতে পারছি না। তখন বলে 'ওনার কোটা থেকেই আমাদের রিসার্ভেসন গুলো হত কিনা'?
pi | ০৫ নভেম্বর ২০১১ ০০:০২ | 72.83.90.203
ব্যাংঅদি , ও নিয়ে আর কী বলবো ? ওরকম ডিসিপ্লিনের কড়াকড়ি তো আমাদের স্কুলেও ছিল। মারধোর করা হত না বটে। কিন্তু দেরি হলে একটা কি দুটো পিরিয়ড ক্লাসের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হত। এ শাস্তি পাওয়ার আমার আবার রেকর্ড ছিল। এটার সাথে পড়া , পরীক্ষা , নং পাওয়ার টেনশন , এসবের কী সম্পর্ক ?
Abhyu | ০৫ নভেম্বর ২০১১ ০০:০১ | 128.192.7.122
এই যে আমার প্রতিভায় লোকের অ্যাতো অবিশ্বাস - কি যে বলি - ওরে লোকে অভিনয় দ্যাখে - সেটাই আসল - আমি কি মডেল নাকি যে লোকে চেহারা দেখতে আসবে?
byaang | ০৫ নভেম্বর ২০১১ ০০:০১ | 122.167.229.192
আমার উপর কী নিয়ে প্রেশার দেওয়া হত না! ছুটির দিনে ঘুম থেকে উঠে একটু বসে আছি শান্ত হয়ে, মা খেঁকানি দিল - পড়তে বসবি কখন? বাবা বলল - কালকে যে ট্রানস্লেশনগুলো দিয়েছিলাম, হয়েছে? আর উৎপাদকে বিশ্লেষনগুলো আজকে চল্লিশটা করতে দিয়ে গেলাম এসে যেন দেখি শেষ হয়েছে। পড়াশুনা যদি বা কেঁদেককিয়ে শেষ করলাম, মার আবার চেঁচানি - গলা সাধার পাট কি একেবারে চুকিয়ে দিয়েছ। হার্মোনিয়াম তেনে আবার চিল্লানো জাগো ও মোহন অ প্যায়ারে! দুপুরবেলায় গল্পের বইয়ে হাত দিয়েছি কি দিই নি। অমনি -বামনদেবের ব্যকরণটা নিয়ে বসে পড়। আমি বাসনগুলো তুলে রেখে আসছি। উফফ দুদ্দুর! এরা আবার বলে ছোটবেলায় হেসেখেলে আনন্দ করে বেরিয়েছে!
nk | ০৫ নভেম্বর ২০১১ ০০:০০ | 151.141.84.194
এ হে। তবে? ব্রতীন??? এখন বিশ্বাস হলো ১৩? সেই থেকে আমার ১৩ তে অ্যালার্জী, ১২ এর পরে গুণি ১২এ, ১৩ এর প্লেসহোল্ডার আরকি, তারপরেই ১৪ তে এসে হাঁপ ছাড়ি। ঃ-)
nyara | ০৪ নভেম্বর ২০১১ ২৩:৫৮ | 122.167.170.118
ফড়িং-রা যদি কখনও নাটক করে, অভ্যু আরকাটারি ভীম হবে।
Bratin | ০৪ নভেম্বর ২০১১ ২৩:৫৭ | 117.194.96.240
nk ঃ-))
Abhyu | ০৪ নভেম্বর ২০১১ ২৩:৫৭ | 128.192.7.122
বাবা রে! একেবারে gun বাগিয়ে পাইকে প্রেশার দেওয়া হতো? বেঁচে আছে তাই অনেক - আমি হলে তো হার্টফেল করতাম।
Bratin | ০৪ নভেম্বর ২০১১ ২৩:৫৬ | 117.194.96.240
দেখ ব্যাঙ, আমার টেনসান ট বলি। যখন আশুতোষে পড়তাম তখন ভাবতাম এর পর আমার কী হবে। MSc পড়তে ঢুকলাম তখন মনে হত চাকরী পাবো তো? ISI যখন ঢুকলাম তখনের টেনসান কোথায় চাকরী পাবো? সব গুলো ই কিন্তু ভ্যলিড । সেই সময়ে। কাজেই ও ই সব নিয়ে বেশী চাপ নিস না।
pipi | ০৪ নভেম্বর ২০১১ ২৩:৫৬ | 129.74.191.152
অভু ভীম!!! খক খক কক খক খক খক
sayan | ০৪ নভেম্বর ২০১১ ২৩:৫৬ | 115.184.118.20
কলেজ মানে যেগুলো আই দিয়ে শুরু। আর চাকরি মানে যেগুলো সি দিয়ে শুরু।
তুমি তো জানোই, ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ডের বাইরে সর্বত্র ছেলেপুলে ধামা ধামা নাম্বার পায়, দেয়ারফোর মাধ্যমিক নিয়ে চাপ না। উমা'য় সিরিয়াসনেস থাকলে (যেটা নিজের থেকে আসে) আর কম্পিটিটিভ edge থাকলে (যেটা এখনকারের সব ছেলেপুলের মধ্যেই বাই ডিফল্ট থাকে) ভালো কলেজে পাবেই।
শুধু ওকে একটিবার জিজ্ঞেস কোরও, ও সত্যিই ক্রিকেটার হতে চায় কিনা।
আই রেস্ট মাই কেস। ঃ-)
siki | ০৪ নভেম্বর ২০১১ ২৩:৫৫ | 122.177.237.71
পিপি, আজ মনে হয় ভুল করেছি। অবিশ্যি দিল্লিতে থেকে এর বেশি ঠিক করাও যেত না, এখানকার ভালো অ্যাকাডেমিক রেকর্ডওয়ালা স্কুলগুলোর সমস্তই এই ধরণের কেস।
আমি ক্লাস টু তে পড়তাম, তখন ছিলাম মুর্শিদাবাদে, ক্যাবলার মত বসে থেকে পরীক্ষার তিনটি ঘণ্টা নষ্ট করেছিলাম, অথচ উত্তর জানতাম না এমন নয়, হেডস্যার শেষে কান ধরে ছুটির পরেও আমাকে বসিয়ে উত্তর লেখালেন, তারপরে সাইকেলে চাপিয়ে আমাকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে এলেন। ছোট্ট স্কুল, আমাকে হেডস্যার এত্ত ভালোবাসতেন এত্ত ভালোবাসতেন, যেদিন আমরা মুর্শিদাবাদ ছেড়ে চলে আসছি, বাক্স প্যাঁটরা গুছিয়ে লরিতে তোলা হয়েছে, সেই হেডস্যার দেখি সাইকেল নিয়ে এসে দাঁড়িয়ে আছেন আমাদের কোয়ার্টারের সামনে, চোখে জল। সেই প্রথম আমি বড় কোনও মানুষকে কাঁদতে দেখি। হাতে তুলে দিয়েছিলেন তখনকার নাম করা "আর্টেক্স' পেন আর ফেলুদার বই "কৈলাসে কেলেঙ্কারি'।
ছেড়ে আসার পর আর যোগাযোগ রাখা হয় নি। কী পেটানিটাই না পেটাতেন। পোচ্চুর ক্যাল খেয়েছি, তেমনি ভালোবাসা পেয়েছি।
ব্যাং, সুর বদলাচ্ছে আমার, সত্যি। স্কুলটার রিসেন্টলি প্রিন্সিপাল চেঞ্জ হয়েছে। এসেই একদিন তিনি লিফলেট পাঠালেন, তিনি নাকি রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেয়েছেন, সঙ্গে ছবি, প্রতিভা পাটিলের সঙ্গে। তারপরে এই দেওয়ালি মেলার গল্প। এইবারে উইন্টার ড্রেস পাল্টানো হয়েছে। দু সেট ইউনিফর্ম কিনতে খচ্চা প্রায় সাড়ে তিন হাজার টাকা। ডিপিএস নয়ডাতে পিটিএম মানে হল, পকেটে অন্তত সাতশো আটশো টাকা নিয়ে যাও। কিছু না কিছু বাহানা করে এরা পিটিএমের দিন টাকা চাইবেই। কোনও বাহানা না পেলে স্কুলের লনে বইমেলা লাগিয়ে দেয়। একটা কুড়ি পাতার বই, আড়াইশো টাকা। এই রকমের স্ট্যান্ডার্ড। এই তো, মে মাসের পিটিএমে চারশো টাকা নিল, সিলেবাস বুকলেটের জন্য। সিলেবাসের বুকলেত, ক্লাস ওয়ানের জন্য, দশ পাতা।
সাধে কি বলি, রিসেশনপ্রুফ বিজনেস? বাচ্চাদের সামনে রেখে এক ধরণের ইমোশনাল ব্ল্যাকমেলিং ছাড়া আর কিস্যু নয় এই সব স্কুল।
byaang | ০৪ নভেম্বর ২০১১ ২৩:৫৪ | 122.167.229.192
হ্যাঁ আমারও অভ্যুর মতন টেনশন আছে। বড় হয়ে কোন শহরে থাকবে, সেই শহরে জল পাওয়া যাবে কিনা। আমার বাপের বাড়ি টাকের বংশ, তার চুলের ধারা টা আমার বাপের বাড়ির মতন হবে, নাকি তার বাপের বাড়ির মতন হবে। তার বাপের বাড়ির লোকগুলোর দাঁতগুলো খুব উঁচুনিচু, অনেকের মুখে সব কটা দাঁতও নেই, দাঁতগুলো আবার আমার বাপের বাড়ির মতন পাবে কিনা। তার বৌ আমার মতন দজ্জাল হবে নাকি ব্রতীনের বৌয়ের মতন মিষ্টি-শান্তশিষ্ট হবে এইসব আর কি!
ppn | ০৪ নভেম্বর ২০১১ ২৩:৫৪ | 112.133.206.22
আরে একচোখোমির উল্টোটাই তো দ্বিচারিতা!
সে তো আরো কঠিন বন্ধুর পথ ইত্যাদি। ঃ)
pi | ০৪ নভেম্বর ২০১১ ২৩:৫৪ | 72.83.90.203
এই প্রেশার আমার উপরে দেওয়া হত গান নিয়ে। আর গানের রেওয়াজে বসা আমার কাছে এক বিভীষিকা হয়ে গেছিলো। তবে এটা নিয়ে আমি একটু ধন্দে থাকি। গান আমি ভীষণ ভালোবাসতে শুরু করি, অনেক পরে। যখন বাড়ি থেকে বেরোলাম। কিন্তু এটাও এখন মনে হয়, মা ওরকম না করলে, যেটুকু যা শিখেছি, তা হয়তো শেখা হতনা। এটাও ঠিক।
nk | ০৪ নভেম্বর ২০১১ ২৩:৫২ | 151.141.84.194
আরে ব্রতীন, সে তোমার ইকবালের ক্ষেত্রে হতে পারে। কিন্তু নেত্যাকালির ক্ষেত্রে তা নয়। আরে প্রাইমারিতে আমাদের ক খ গ এইসব ছিলো সাহেবদের মতন গ্রেডিং সিস্টেম, বাংলা ভার্সন। তাতে একবার তো আমি ঙ পেলাম। আবেগ অনুভূতির বিকাশ নামের সাবজেক্টে। কী করে যে ঐ সাবজেক্টের গ্রেডিং করলেন দিদিমণিরা, খোদায় মালুম। ঃ-)
Bratin | ০৪ নভেম্বর ২০১১ ২৩:৫২ | 117.194.96.240
আচ্ছা অপ্পন একচোখামি আর গেল না। শুনছো অভ্যু, ভীম করছে তার প্রতিবাদ না করে.... ( হয়ত অভ্যু র মনে ভীমের পার্ট করর ইচ্ছ ছিল। কিন্তু কাটিয়ে দিয়েছে)
ভাড়াটের ভূমিকায় হয়তো মানিয়ে যাবে তা বলে ভীম??
nyara | ০৪ নভেম্বর ২০১১ ২৩:৫২ | 122.167.170.118
আমার বাবারও চিন্তা ছিল, আমাকে চাকরি দেবার মতন কোন কোম্পানি তৈরি হবে কিনা!
kc | ০৪ নভেম্বর ২০১১ ২৩:৫২ | 178.61.96.29
আজ শুক্কুরবারের ভাটের হিরো ন্যাড়াদা। কোথায় লাগে চিংড়িভাজা আর রাম? ন্যাড়াদার এক একটা পোস্টই কাফি।
Abhyu | ০৪ নভেম্বর ২০১১ ২৩:৫০ | 128.192.7.122
ভবিষ্যৎ নিয়ে আমারো খুব টেনশন হয়। দুশো বছর পরে পৃথিবীতে তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যাবে। আর কলকাতা জলের তলায় চলে যাবে। আমার বাড়ি অবশ্য কল্যাণী, তবু...
byaang | ০৪ নভেম্বর ২০১১ ২৩:৫০ | 122.167.229.192
ভবিষ্যতে কলেজে পড়তে পাবে কিনা, চাকরিবাকরি পাবে কিনা এইসব টেনশন আর কী।
Bratin | ০৪ নভেম্বর ২০১১ ২৩:৫০ | 117.194.96.240
ওহো ইকবাল। আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তবে ওর সামনেই ঐ হিসেব করে বাদ দি। আর খুব বেশী ঢপ দিলে মনে করিয়ে দি । ওকে আমি ৯১ সাল থেকে চিনি।
sayan | ০৪ নভেম্বর ২০১১ ২৩:৪৮ | 115.184.118.20
দন্ডাদেশ নয়। ওক্কে, ফেয়ার এনাফ। "ভবিষ্যত নিয়ে আমার টেনশন হতে পারবে না' - ভবিষ্যতের কী নিয়ে টেনশন?
ppn | ০৪ নভেম্বর ২০১১ ২৩:৪৮ | 112.133.206.22
* ছা
ppn | ০৪ নভেম্বর ২০১১ ২৩:৪৮ | 112.133.206.22
বোতিন এইবার মমোদিদিকেও ছপিয়ে যাচ্ছে! ঃ P
byaang | ০৪ নভেম্বর ২০১১ ২৩:৪৮ | 122.167.229.192
দ্যাখ পাই, স্ববিরোধী হচ্ছে কিনা জানি না। স্কুলগুলো যারা চালাচ্ছে তারা মোটামুটি কমবেশি চল্লিশ পঞ্চাশবছর বয়সের লোকজন। তাদের যদি সুস্থ মানসিকতা থাকত তাহলে বারো বছরের ছেলেকে দেরি করে স্কুলে আসার জন্য দুশোবার ওঠবোস করাত না। বল্লম তো সেটা মোটেই কেতের স্কুল নয়, সেটা নিয়ে তো কিছু বললি না। এখন টিওআই ঘাঁটলে হয়তো খুব সাধারণ কিছু সরকারি স্কুলেরও এমনিধারার অত্যাচারের খবর খঁজে পাব। অতটা লোড নিতে ইচ্ছে করছে না।
pi | ০৪ নভেম্বর ২০১১ ২৩:৪৭ | 72.83.90.203
উফ্ফ !!
nk | ০৪ নভেম্বর ২০১১ ২৩:৪৭ | 151.141.84.194
ব্রতীন, সেই ছেলেটার নাম কি ইকবাল না ইআবাল? আশা করি টাইপো। নইলে এক্ষুন্নি ক্যালাতে এলো বলে। ঃ-)
Abhyu | ০৪ নভেম্বর ২০১১ ২৩:৪৭ | 128.192.7.122
ধ্যাত ব্রতীনদা ভুলভাল বকে যাচ্ছে। ওটা সত্যি একটা নামকরা নাটক। আরো নাটক করেছিলাম - ভাড়াটে চাই। লক্ষণের শক্তিশেল। ঋণশোধ। আরো কি কি যেন।
ppn | ০৪ নভেম্বর ২০১১ ২৩:৪৬ | 112.133.206.22
মাঝরাতে একটা বিলো দ্য বেল্ট ঝাড়লি, ভাবলি কী করে ছেড়ে দেবো?
piuphph ei s | ০৪ নভেম্বর ২০১১ ২৩:৪৬ | 72.83.90.203
ইরিয়াস পোস্টের চক্করে ন্যাড়াদার পোস্টগুলো পড়ে হাসারও সময় হচ্ছে না ঃ(
sayan | ০৪ নভেম্বর ২০১১ ২৩:৪৫ | 115.184.118.20
আরে ভালো বললাম আর ক্যালাতে চায়! ফেমিনাইন বলেছি কি? না। শুধু একটা ছুতো পেলেই হল।
Bratin | ০৪ নভেম্বর ২০১১ ২৩:৪৫ | 117.194.96.240
ওট ভীম নয় ' কীচক বধ'। নাটকের মাঝে হনুমান এসে গুছিয়ে চড় মারবে তো?
Abhyu | ০৪ নভেম্বর ২০১১ ২৩:৪৫ | 128.192.7.122
কিন্তু আমি যে সত্যি নাটকটা করেছিলাম সেই নিয়ে সন্দেহ দূর হয়েছে? না আরো বলতে হবে?
nyara | ০৪ নভেম্বর ২০১১ ২৩:৪৪ | 203.83.248.37
আমার পেরেন্ট টিচার হত আমাদের বাড়িতে। বাবা টিচারদের সময় বেঁধে দিতেন। আপনি অমুক সময় থেকে অমুক সময়, আপনি তউক থেকে তউক। টিচাররা সব সকাল থেকে এসে বারন্দায় বসে থাকতেন। তাদের সরবত আর সন্দেশ খাওয়ানো হত শ্রাদ্ধবাড়ির মতন।
pi | ০৪ নভেম্বর ২০১১ ২৩:৪৪ | 72.83.90.203
নিশি, সেটাই তো বলছি, পিয়ার প্রেশার। নইলে বৌদি কেন নিজের স্কুলে ( আমাদের একই স্কুল ছিল) মেয়েকে দিতে পারলো না ? সেটার মান তো কমেছে বলে শুনিনি। আর সেজন্যই মনে হয়, নিজেদের মধ্যে এই নিয়ে কথা বলা দরকার। দেখা যাবে, যে পিয়ারদের থেকে প্রেশারিত হচ্ছি, তাঁরাও হয়তো আমার দ্বারা সেই প্রেশার ফিল করছেন।
rimi | ০৪ নভেম্বর ২০১১ ২৩:৪৩ | 168.26.205.19
নিনাদির সঙ্গে একদম একমত। বাচ্চাকে তার নিজের মতন বড় হতে দাও। এইটা আমিও ঠেকেই শিখেছি। কি করে শিখলাম সেই গপ্প বলি।
আমাকে পড়াশুনো এবং রেজাল্ট নিয়ে একটা সময়ের পরে বেশ চাপ দেওয় হয়েছিল। বাবা মা চাপ দিয়েছিলেন নিজেদের টেনশনের জন্যে - মেয়ে নিজের পায়ে না দাঁড়ালে কি হবে এইসব ভেবে। যাই হোক, সেই অভিজ্ঞতা থেকে আমি ঠিক করেইছিলাম আমার ছেলেকে পড়াশুনো নিয়ে আমি একদম চাপ দেবো না। দিইও না। কিন্তু পিয়ানো নিয়ে খানিক চাপ দিয়েছিলাম। ঃ-( ও যখন বাড়িতে প্র্যাকটিস করত, ওর সঙ্গে আমি বসতাম। আর ভুল করলে বা দুষ্টুমি করলে অনেক সময়ে ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলে বকাবকি করতাম। এদিকে আম্রিকাতে স্টুডেন্টদের টিচিং ইভ্যালুয়েশনের রীতি আছে। আমার এক কলিগ একদিন আমাকে তার ক্লাসের জন্যে তৈরী একখানা সার্ভে দেখালো, তাতে একটা প্রশ্ন ছিলঃ তুমি টিচার হলে আমার পড়ানোর কোন কোন টেকনিকগুলো ব্যবহার করতে? কোনগুলো করতে না? এই প্রশ্নটা আমার বেশ ইন্টারেস্টিং মনে হল। এই নিয়ে ভাবতে গিয়ে ভাবলাম, ললিপপের থেকে আমার একটা ইভ্যালুয়েশন নিলে কেমন হয়? যেমন ভাবা, তেমনি কাজ। ওকে রাতে জিজ্ঞেস করলাম, " তুমি যদি মাম্মা হতিস, আর আমি তোর বেবি, তাহলে আমি তোর জন্যে যা যা করি, তার কোনগুলো তুই করতিস আমার জন্যে?" ললিপপ সঙ্গে সঙ্গে বল্ল, সব কাজে হেল্প করা, বই পড়ে শোনানো, স্কুলে নিয়ে যাওয়া, পাপেট শো দেখতে নিয়ে যাওয়া ইত্যাদি। অর্থাৎ আমি যা যা করি, সেগুলো সবই বলল মোটামুটি। তারপরে আমি জিগালাম, "আর আমি যেগুলো তোর জন্যে করি, তার কোনগুলো তুই তোর বেবির জন্যে করতিস না?" আমি ভেবেছিলাম পাঁচ বছরের ছেলে (তখন ও পাঁচ ছিল), এর উত্তর দিতে পারবে না, বা প্রশ্নটা হয়ত বুঝতেই পারবে না। কিন্তু ললিপপ এবারেও, একটুও না ভেবে উত্তর দিল, "আমাকে পিয়ানো প্র্যাকটিস করানো।" এই উত্তর আমি আশাই করি নি। তখন ভেবে দেখলাম, এই নিয়ে ওর সঙ্গে আলোচনা করা জরুরি। ওর সঙ্গে অনেক কথা হল। ওকে বল্লাম যে ও যদি পিয়ানো আর না ভালোবাসে বাজাতে তাহলে ওকে জোর করে শিখতে হবে না। কিন্তু ও বল্ল যে ও পিয়ানো বাজাতে, শুনতে অত্যন্ত ভালোবাসে। ওর পিয়ানো টিচারকেও ও খুব ভালোবাসে। শুধু ও চায় নিজে স্বাধীনভাবে প্র্যাকটিস করতে, আমার সাহায্য ছাড়াই (আমার বকাবকি ছাড়াও)। তখন থেকে ওর সঙ্গে আমার ডিল হয়েছে, ও প্রত্যেকদিন ৩০ মিনিট নিজে প্র্যাকটিস করবে ঘড়ি দেখে। আর টিচারের কাছে ভালো পারফর্ম করলে আমি ওকে পয়েন্ট দেব, পাঁচের মধ্যে। পয়েন্ট যোগ হবে, সব মিলিয়ে ৫০ পয়েন্ট হলে ওকে আমি একটা প্রাইজ দেবো। সেই থেকে এই নিয়ম চলছে। এখনো ৫০ পয়েন্ট হয় নি। একদম নিজে শিখছে বলে শিখতে সময় লাগছে অনেক বেশি। কিন্তু দুটো ব্যপার লক্ষ্য করলাম। প্রথমত, নিজের দায়িত্বে প্র্যাকটিস করছে, নিয়মিতই করছে। দ্বিতীয়ত, একদম নিজে নিজে শিখছে বলে সময় বেশি লাগছে, কিন্তু শেখাটা সলিড হচ্ছে। আর আমিও বিকেলে ৩০ মিনিট ফ্রি টাইম পেয়ে যাওয়াতে কলম্বাস রোড রানার ক্লাবে যোগ দিয়েছি। সপ্তাহে দুদিন ৬০-৭০ জন লোকের সঙ্গে রাস্তায় দৌড়ই ঃ-)
sayan | ০৪ নভেম্বর ২০১১ ২৩:৪৩ | 115.184.118.20
পিপি, জানতামই তো। ইউফোংটিকে সামলে রেখো, বাড়ন্ত বয়স ইত্যাদি। আর নিজেকে মিস স্পটি বলো ক্ষেতি নাই, তবে বোলতে ওয়াক্ত মিস আর স্পটি'র মাঝে ছোট্ট একটা পজ দেওয়া মাংতা। ;-)
byaang | ০৪ নভেম্বর ২০১১ ২৩:৪৩ | 122.167.229.192
কী মুশকিল সায়ন, এটা কেন ধরে নিচ্ছিস যে আমি চাপ দিই? আমি যত বলছি, পুরো জিনিসটা একটা বিচ্ছিরিদিকে চলে যাচ্ছে, সবাই মিলে আমাকে ভিলেন বানাতে উঠেপড়ে লেগেছিস কেন? আমি কি স্কুলকে বলেছি প্রাইমারি থেকে সিভিক্স পড়াতে অথবা জাভা পড়াতে? চাপ দেওয়ার ইচ্ছে থাকলে কী তাকে নিয়ে নিত্যনতুন সিনেমা দেখতে ছুটতাম? কিন্তু তাই বলে তার ভবিষ্যত নিয়ে আমার টেনশন হতে পারবে না, এরকম দন্ডাদেশ কেন রে বাপু আমার উপর?
একি কাণ্ড দুর্যোধন, এ কি ব্যবহার? কথা আছে ভীম ভাঙ্গিবে তব উরু, তুমি কেন ভাঙ্গিতেছ পিঠ তার? কহ, কোন অধিকার বলে হেন কার্য করিতেছ?
sayan | ০৪ নভেম্বর ২০১১ ২৩:৪১ | 115.184.118.20
অভ্যু ভীম সেজেছিল শোনার পর থেকে গলায় কী একটা আটকে গেছে!
প্পন্দা, সোংবার দায়িত্ব নিয়ে ছুটি। ঃ-)
nyara | ০৪ নভেম্বর ২০১১ ২৩:৪১ | 203.83.248.37
শেষ পর্যন্ত এমন হল আমাকে দেখলেই টিচাররা পপ্পড়িয়ে লাইব্রেরিতে ঢুকে বই নিয়ে বসে পড়তেন।
pi | ০৪ নভেম্বর ২০১১ ২৩:৪১ | 72.83.90.203
ব্যাংদি, তোমার পোস্টগুলো কিন্তু স্ববিরোধী হয়ে যাচ্ছে। এই বল্লে এটা এই প্রজন্মের সমস্যা। মানে, আমাদের ছোটে্বলায় এগুলো ফেস করতে হয়নি। কিন্তি তা সঙ্কেÄও লোকজন মোটামুটি কিছু শিখে টিখে করে কম্মে খাচ্ছে ( তোমার ই মতে ) .. তাহলে ? ঃ)
তুমি ঋভুর স্কুলের যেরকমের চাপের কথা বলো, সেটা আমাদের খুব কম জনকেই বোধহয় ফেস করতে হয়েছে।
Abhyu | ০৪ নভেম্বর ২০১১ ২৩:৪০ | 128.192.7.122
আজি লুকাইয়া হ্রদে - না না, এতো হ্রদ নয়, এ যে বনভূমি ! কালুদা বলিয়াছে মোরে -
nk | ০৪ নভেম্বর ২০১১ ২৩:৪০ | 151.141.84.194
ভীমকে কে বধ করেছিলো???? ঃ-)
r2h | ০৪ নভেম্বর ২০১১ ২৩:৪০ | 198.175.62.19
ভীমবধের ভীম রোগাপটকা আমি সেখানে কেষ্ট সেজেছিলাম। আর লামা সেজেছিল পরিচালক- কি দা যেন?
ppn | ০৪ নভেম্বর ২০১১ ২৩:৩৯ | 112.133.206.22
অভ্যুরা বোধহয় ভীমবধ নাটকটা নামিয়েছিল। ;-)
Abhyu | ০৪ নভেম্বর ২০১১ ২৩:৩৯ | 128.192.7.122
ঐ তো? পড়াশুনো না করলে ওরমই হয়, নাটকের নাম ভীম বধ। নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় বোধহয়।
বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে,
মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা,
কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
আমাদের কথা
আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের
কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি
জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
বুলবুলভাজা
এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ।
দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও
লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
হরিদাস পালেরা
এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে
পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান
নিজের চোখে...... আরও ...
টইপত্তর
নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান।
এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর।
... আরও ...
ভাটিয়া৯
যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই,
সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক
আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
টইপত্তর/ভাটিয়া৯/হরিদাসপালের লেখার বক্তব্য লেখকের নিজস্ব, গুরুচণ্ডা৯র কোন দায়িত্ব নেই
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক।
অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি।
যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।
মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি
বার পঠিত
সকলকে জানান
উপরে যে কোনো বোতাম টিপে পরিচিতদের সঙ্গে ভাগ করে নিন