পারমিতা, কিন্তু বোধ বা আদর্শের ব্যপারটাই এরকম, কারো কারো কাছে একটা মনে হয় অ্যাক্সেপ্টেবল, আরেকটা মনে হয় বাড়াবাড়ি। ধরা যাক কেউ যদি বন্ধুদের সাথে সিনেমা দেখতে গিয়ে দেখে, ব্ল্যাকে কাটা ছাড়া উপায় নেই, তখন সে ফিরে আসে, অন্যরা সবাই ঢুকে যায়, বাকিরা মনে করবে তার ঐ সিদ্ধান্তটা বাড়াবাড়ি। আমি নিজে কি করব জানিনা, তবে যে ঐটা করব, তার প্রতি সামান্য হলেও আমার শ্রদ্ধা থাকবে।
a x | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০০:০৯ | 143.111.109.1
আমার হাতে আমার ছোটবেলাটা ছেড়ে দিলে, এখনকার আমি তখনকার আমাকে ফাল্গুণীর স্কুলে পাঠাতাম।
আমি মডার্ণ হাইতে ভর্তি হয়ে গেছিলাম প্রায়, বাবা পাঠভবনে ঢোকায়, কেননা ওটা তেনার কমরেডদের স্কুল।
তখনও এবং এখনও আমি খুশি যে আমি মডার্ণ হাইতে পড়িনি।
m | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০০:০৭ | 173.26.17.106
সবার জন্যে সমান মানের শিক্ষা,কোনো দ্বিমত নেই। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে যখন সেই সুযোগ নেই তখন কি করবো? আর শিক্ষার শো কেসিং মানে কি?
Arpan | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০০:০৭ | 112.133.206.20
* জয়গান
Arpan | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০০:০৭ | 122.252.231.12
ঘুমুতে যাবার আগে চাট্টি ফুট কাটিঃ
দ্যাখেন অসভ্য অনেক কিছুই। এই দ্যাখেন পঃবঙ্গের সর্বহারা শ্রেণীর প্রতিনিধি যাঁরা প্রশাসনের পদে আছেন তাঁরা অনেকসময়ই অসভ্যের মত গণস্বাস্থ্য ব্যবস্থার জায়গান গান। কী, না দেশের মধ্যে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ নাকি এর সুযোগ নেন। নিজেদের দরকারে তাঁরা কিন্তু সেখানে ভুলেও পা মাড়ান না। * অসভ্যের মত লাখ-দশলাখি বেসরকারি হাসপাতালেই আশ্রয় খোঁজেন। অথবা পার্টি তাঁদের সেখানে ভর্তি করে।
কে কার বিচার করে!!
* ব্যতিক্রম থাকতেই পারে।
Paramita | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০০:০৬ | 122.167.82.56
আমার মনে হয় ঘুষ না নেওয়ার আদর্শ আর দামী ইশকুলে না পড়ানোর "আদর্শ"কে একজায়গায় বসানো একটু না, বেশ স্ট্রং। (যেখানে দামী ব্যাপারটা রিলেটিভ। ১৯৮৩ সালে একশো টাকা মাসমাইনে দিয়ে পাঠভবনে ভর্তি করার কথা শুনে আমাদের মফঃস্বলে অনেকেরই চোখ কপালে উঠেছিল। তারপর "বাবা মা দুজনে চাকরি করে তো, ঐজন্য"। ইতয়দি। তা সেই ইশকুলে তো তুইও পড়েছিস। ঐটা তোর এখনকার চোখে কি আদর্শে আঘাত আনা একটা ব্যাপার ছিল বলে মনে হয়? মানে তোর হাতে তোর ছোটবেলাটা ছেড়ে দেওয়া হলে করতিস না?)
d | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০০:০৩ | 117.195.39.185
এই সো-কলড হাইফাই স্কুল নিয়ে আমি কেসির সাথে সহমত। আমার এক পিসী একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল বানিয়েছিলেন। অনেকবছর ক্লাস ফোর পর্যন্ত রাখার পর আই সি এস ই'র অনুমোদন নিয়ে বারো ক্লাস অবধি বাড়ান। সেই স্কুলটির গড়ে ওথা, তার কর্তৃপক্ষের ধ্যানধারণা, তাতে পড়তে আসা বাচ্ছাদের অভিভাবকদের কথাবার্তা ইত্যাদি শুনেছি, দেখেছি খুব কাছে থেকে। এছাড়াও কিছু কিছু অভিজ্ঞতা আছে। কেসির সাথে সহমতেরও বেশী, যাকে বলে একেবারে ক'য়ে ক'য়ে ক।
a x | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২৩:৫৮ | 143.111.109.1
না, একটা বোধ/আদর্শর জায়গা থেকে কিছু না করা কে আর ঘুষ না দেওয়া কে এক জায়গায় রাখা হচ্ছে, সেটাকে (বোধ/আদর্শ ইত্যাদি) ইগো'র সাথে গুলিয়ে ফেলার বদলে।
Paramita | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২৩:৫৭ | 122.167.82.56
ঘুষ দেওয়া আর ইন্টারন্যাশনাল ইশকুলে পড়ানোকে আজকাল এক জায়গায় বসানো হচ্ছে?
a x | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২৩:৫৩ | 143.111.109.1
M, আসলে এগুলো খুবই ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত তাই কিছু বললে মনে হয় আপনার সিদ্ধান্তকেই প্রশ্ন করা হচ্ছে। কিন্তু এখানে যে আলোচনাটা হয়েছে আমার মনে হয় ঠিক এই ব্যক্তিগত পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে হয়নি। দুটো জিনিস বেস করে আমি বলেছি, আমার নিজের ধারণা কেসি এবং পাই'ও হয়ত সেই জায়গা থেকে বলেছে।
এক শিক্ষা এবং সমান স্তরের শিক্ষায় সব শিশুদের সমান অধিকার হওয়া উচিৎ।
দুই শিক্ষার পণ্যায়ন - যেখানে মূল শিক্ষার থেকে শিক্ষার শো-কেসিংটা মুখ্য হয়ে ওঠে।
আর জীবনদর্শন আর ইগো কি এক জিনিস? ঘুষ না দেওয়া, স্মাগলড গুড্স না কেনা, মিথ্যে না বলা এগুলো কি ইগো? যদি ইগো হয়, আশা করি আমার সন্তান যেন এই ইগো চিনে নিতে পারে।
lcm | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২৩:৪৯ | 128.48.7.162
হা, হা! পয়সা ওড়ানোর জন্য ইন্টারন্যাশনাল বা দামী স্কুল। ডাহা ভুল। অনেক পয়সা থাকলেই, এত টাকা নিয়ে কি করব বুঝতে পারছি না - চলো যাই ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে গিয়ে পয়সা উড়িয়ে আসি - তা নয়। পয়সা ওড়ানোর জায়গা কি কম পড়িয়াছে!
কিছু রিসেন্ট পোস্টে 'অসভ্য' বিশেষণটি দেখছি, সবসময় টাকা রোজগার সম্পর্কে। হয়তো এখানকার বামপন্থী চিন্তাধারায় বেশী টাকা রোজগার মানেই অসদুপায়ে অর্জন (দোষ দেওয়াও যায় না, ছোটবেলা থেকে এরা তাই দেখেই অভ্যস্ত - ঘুষের টাকায় বড়লোক সরকারী কর্মচারী বা ঘুষ দিয়ে বড়লোক ব্যবসাদার)।
কয়েক বছর হলো এখানে আছি, এখানকার লোকের আচরণ সম্বন্ধে রোজই কিছু শিখছি। প্রথম ও সবচেয়ে annoying হলো - আমার জীবনদর্শণই ঠিক, তুমি যদি অন্যকিছু করো, ডাল মে কুছ কালা হ্যায়। তুমি যদি একবেলা খেয়ে নিজের ছেলের শিক্ষার জন্যে খরচ করো, আর তা যদি আমার ফিলোসফি না হয়, তাহ'লে আমি বলে বেড়াবো, তোমরা ভিয়েতনামে অসভ্যের মতো রোজগার করেছো আর ছেলেকে ভালো স্কুলে দিয়েছো ফাঁট দেখাতে। এসব মানিয়ে নেওয়া ছাড়া কিছু করার নেই - আমি হাড়ে হাড়ে বুঝেছি।
খারাপ যে লাগে না তা নয়। আমার বউএর বাৎসরিকে বারোজন বামুনকে ট্রীট না করে পাড়ার রিস্কাওলাদের সোয়েটার আর কম্বল দিয়েছিলুম - শুনতে হলো, তোমার আর চিন্তা কী, ডলার ভাঙাচ্ছো আর ওড়াচ্ছো। সত্যি বলতে কী, আমার মতন লোকেরও এটা শুনে কষ্ট হয়েছিলো। কিন্তু কী করবো, এদের সঙ্গেই তো থাকতে হবে, আমাকেও, তোমাকেও।
তাই বলি, এ'কান দিয়ে শোনো, ও'কান দিয়ে বার করে দাও - সাধে ভগবান ওদু'টো একলাইনে দিয়েছেন ঃ)
Arpan | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২৩:৪৫ | 122.252.231.12
হ্যাঁ, পাঁচজন মারা গেছে মনে হয়।
samran | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২৩:৪৪ | 117.99.37.155
খুব বাজে একটা অ্যাকিডেন্ট হয়েছে সেকেন্ড ব্রিজে, টোলে। ছ'খানা ট্যাক্সি আর একটা সুমো ঢুকে গেছে এক ট্রেলারের তলায়। তোবড়ানো সব ট্যাক্সি শুধু দেখলাম সার দিয়ে দাঁড়িয়ে।
@অক্ষ, হ্যাঁ এফোর্ড বা অ্যাফোর্ড, ঐ অসভ্যের মতোন পয়সা না এলে পড়ানো যায় না, তার পরিপেক্ষিতে।
@ Kc আমি রেগে থাকতে মোটেই পারিনা, আর আমি ব্যতিক্রমী ও নই।বরং সাধারন ভাবনার মানুষরা আমার মতোই ভাবে, আপনাদের মতোন সাহসী মানুষেরা যারা ইগোকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেন তারা অন্যরকম ভাবেন আর তার ফল পাই আমাদের মতো অভাগা বাচ্চারা, যাদের প্রচুর অ্যাম্বিশন তৈরী করে দেওয়া হয় আর উপায় থাকতেও ডানা কেটে রেখে দেওয়া হয়।
আপনি বাচ্চাকে ভর্তি করার আগে দুবার ভাববেন বাচ্চাকে ঠিক কতটা মানসিক চাপ দেবেন, ওর বন্ধুরা, আপনার আত্মীয়রা তাদের বাচ্চাদের কিভাবে রাখে, আর তাদের সাথে যখন ও থাকবে তখন আপনার প্রতি গর্ব না ঘৃনা পুষে ও বড় হবে।
সুস্মিতা ও ঋজুকে মস্ত অভিনন্দন আর নবজাতকের জন্য অনেক শুভেচ্ছা রইল।
Arpan | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২৩:৩২ | 122.252.231.12
কাল সারাদিন আমিও ইন্টারভিউ নেবো। ভাল্লাগে?
aka | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২৩:৩১ | 168.26.215.13
সিমুলেশন??? প্রতিভার কদর পেলাম না এই যা। মনের দুঃখে ইন্টারভিউ নিতে যাই। ইন্টারভিউ নেবার এক্সপেরিয়েন্স শেয়ার করব। লোকজন কি ম্যাচিওর্ড।
Arpan | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২৩:২৯ | 122.252.231.12
আকা। খামখেয়াল দেয়াল লিখুন।
Arpan | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২৩:২৭ | 112.133.206.20
পামিদি, তোমরা তো হে হে করে আপ্যায়ন করবে। আবার কী!
a x | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২৩:২৭ | 143.111.109.1
আর্য কি কম্পু সিমুলেশন ইউজ করলে? ;-)
m | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২৩:২৭ | 173.26.17.106
সেতো ঠিক ই কেসি।ভর্তি করতে পারলে তবেই অভিনন্দন নেবেন- তবে আপনি লিখেছিলেন কিনা গুরুতে এমন 'নীরব পাঠক" হয়তো অনেকেই আছে, যাদের এই সাহস আছে, তারা বলেন না। আপনিও তাদের ই দলে।- তাই আপনার 'বলার' সাহস কে অভিনন্দন জানিয়েছি। ছেলেকে ভর্তি করলে অভিনন্দনের সঙ্গে সাধুবাদ জানাবো।
a x | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২৩:২৬ | 143.111.109.1
M'র শেষ লাইনে এফোর্ট করার সাহস মানে কি অ্যাফোর্ড করার সাহস? অ্যাফোর্ড করতে সাহস লাগে কেন বুঝলাম না।
Arpan | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২৩:২৬ | 112.133.206.20
কমরেড আকা। এতদিন কোথায় ছিলেন?
Tim | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২৩:২৫ | 71.62.121.158
আজ্জোদা কি লিখছে। জ্জিও! (বার খাওয়াচ্ছি না) :P
Arpan | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২৩:২৪ | 112.133.206.20
বম্মাকে আমিও ক দিলাম লাস্ট প্যারায়।
kc | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২৩:১৮ | 89.203.49.18
বম্মা গো, আফনারে কিসু কই নাই গো। আফনি হলেন গিয়া এক্ষেপশন। তাই রাইগ্যেন না। ল্যান পান খান। ৩০০ জর্দা দিয়্যা। আর হ্যাঁ, এই হাইফাই স্কুলগুলোর বাড়বাড়ন্ত নিয়ে আমার স্টেটমেন্ট থেকে আমি সরছিনা। মামী, যদি ভর্তি করতে পারি তবেই আপনার অভিনন্দনের যোগ্য বলা যাবে, তানা হলে এগুলো ভাটের কথা হয়ে যাবে,
a | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২৩:১২ | 115.117.152.121
বম্মা, পুরো ক, শেষ প্যারাটায়
aka | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২৩:১২ | 168.26.215.13
তালপুকুরে কাপড় কাচতে গিয়ে নিরমা কম পড়া, হলুদ জলের গ্লাসে এক ছটাক রোদ্দুর কিম্বা আলগোছে তুলে নেওয়া এক ইঞ্চি বেপরোয়া সন্ধ্যে, ঠোঁট উলটানো সামার সল্টে সবই বেবাক বাতাবী কিম্বা টপটপে কিসমিস। আপন পাজামা গিঁট্টু মলিন বৃষ্টিতে শুকিয়ে গেলে বুকের বাঁদিকে চোরাবালি খসে যায়, শুরু হয় হ্যালোজেন আহ্লাদ আর খসে পড়ে এক টুকরো নারকোল।
(ডিঃ ইহা একটি এক্সপেরিমেন্ট, কোথায় লিখব বুঝলাম না বলে এখানে লিখলাম)।
Paramita | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২৩:০৯ | 122.167.75.247
M, আপনার বাচ্চার জন্য আপনি ডিসিশন নেবেন তার যাতে ভালো হয় সেই ভেবে। ঐ যে সুচেতনা বলল, সবাই নিজের মত করে ভালো থাকতে চায়, বাচ্চাদের ভালো রাখতে চায়। পাঠ ভবনের নশো টাকাও কারুর কাছে ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের মাইনে। (পা ব প্লেস হোল্ডার কারণ অমন একটা স্কুল খুঁজে বেড়াচ্ছি)
লোকের কথা কান দেবেন না।
Paramita | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২২:৫৬ | 122.167.75.247
এখন আর বেশী ভাবছি না। এখানে নিয়ম মেনে কি সময় মেনে কিছু হয় না, কাজেই ভেবে কোন লাভ নেই। খুব বেশী প্ল্যান করেও লাভ নেই। প্রথম প্রথম যারা এই মধ্যস্থতা করছে তাদের ওপর খুব রাগ হত, মিথ্যে কথা বলে, সময় রাখে না(একদিন বলল আমি এই লিফটে, এক মিনিটের মধ্যে আসছি, পাঁচ মিনিট পরে চারতলার জানলা দিয়ে দেখি অফিসে ঢুকছে), তারপর দেখলাম এরা তো বটম মোস্ট নোড, কর্পোরেট ফিনান্স কি এইহ আর থেকে শুরু করে সব জায়গায় একই ব্যাপার। আজ স্কুলের ইন্টারভিউতে দেড়টা টাইম দিয়েছে, আমরা সবার আগে গেছি, দেখি পরপর মা আর বাবারা উঠে যাচ্ছে, রিসেপশনিস্টের সঙ্গে কথা বলছে আর ঢুকে যাচ্ছে। আমি একটু লেটে ব্যাপারটা বুঝলাম। তারপর জিগেস করলাম, দেখলাম আমাদেরটা সবার শেষে। আমি তখন ধমকানোর হ্যাটটা পরে নিলাম। কেন আমাদেরটা সবার শেষে, আমরা আগে এসে বসে আছি ইত্যাদি, সময় দিয়ে সময় রাখা হচ্ছে না ইত্যাদি। চোখের সামনে মেঘের ফর্মটা ওপরে তুলে আমাদের ঢুকিয়ে দিল। সাড়ে এগারোটা থেকে দুজনের আপিস নষ্ট।
. | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২২:৫৩ | 115.117.206.68
ন্যাড়াস্যারকে একটা কথা বলার ছিল- আমীর খানের উপর বইটা দেখলাম। ওনারই ছাত্র তেজপাল সিঙের লেখা বইয়ের বাংলায় অনুবাদ। বন্দিশ, স্বরলিপি ইত্যাদি মালমশলা আছে। কিন্তু প্রথম দর্শনে মনে হল না খুব উপাদেয় পাঠ্যবস্তু। আর একবার খুঁটিয়ে দেখে ঠিক করব কিনব কিনা।
M | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২২:৪৭ | 59.93.222.151
আমি কেসি-র একটা কথা বুঝলাম না, এই অসভ্যের মতো টাকা এসে যাচ্ছে আর তাতে ইন্টারন্যাশানাল স্কুলে পড়ানো,রিয়েলি খুব খারাপ দৃষ্টিভঙ্গী লাগছে,
আমার টাকা নেই, আমার ফ্ল্যাট রিসেল , সাত লাখ টাকা দাম,গাড়ী নেই।
আমার ছেলে মধ্যমেধার, কোথাও থেকে তেড়ে ফুঁড়ে কিছু করে ফেলতে পারবে না, অন্য স্কুলে সাইকিক হয়ে যাচ্ছিলো, আমি যদি ভালো ফল পাই তো লোকের ঝাঁট জ্বলবে কেন?
আর এমনি স্কুলের গল্প পোচ্চুর জানি, আমি প্রথমে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনে গেছিলাম, সেখনে অফিস থেকেই আমায় আরেক রুমে পাঠানো হলো, সেখানে একটা ভুঁড়ো অসভ্য চেহারার অসভ্য লোক(আমি ভুঁড়ি থাকলেই অসভ্য হবে এ বলতে চাই নে, কিন্তু কিছু লোকের স্বভাব চেহারাতে ফুটে বেরোয়, দেখলেই বমি পায়)কান খোঁচাতে খোঁচাতে আমায় জিগাসা করেছিলো বর কি করে? কত মাইনে? আমার সিমপ্লিসিটি লোকটিকে দ্বন্দে ফেলেছিলো আমি কত টাকা ওকে দিতে পারবো এই ভেবে,বর বাইরে থাকে শুনে জিব দিয়ে জল গড়ালো, বললো আমি গিয়েই পড়িয়ে আসবো, সপ্তাহে দুদিন, তখন ছেলে ক্লাস টু, আরো বললেন, মাসে তিনহাজার।
আমি জিগাসা করেছিলাম ঐ টুকু বাচ্চা , মোটে দুদিন, লোকটা ভনিতা ছাড়াই বলেছিলো, আমি খালি ম্যাটার দেবো,প্ড়াবেন তো আপনি, কষ্ট করবেন না অথচ ছেলে এখানে ঢুকবে যেখান থেকে সারা বিশ্বে ছেলেরা চলে যায়!
জিগাসা করেছিলাম তার পরেও না পেলে? বললো রাস্কেলটা, আমি প্রশ্ন দিয়ে দেবো, তারপর না পেলে বোক সভার সভাপতি হতে বলবেন।
আমি খুব অবাক হয়ে একজন যে এটা জানে তাকে জিগালাম,তাহলে স্কুলের এত ভালো রেজাল্ট হয় কি করে? বলে কিনা, কেন? ক্লাস এইট থেকে ছেঁটে দেবে।
খুব ঘেন্না লেগেছিলো।
এই স্কুল কিছু পারছেনা দেখেই নিয়েছিলো, বলেছিলো আমরা তৈরী করে নেবো।হিপোক্রিসি নেই।তথাকথিত পুরানো ভালো স্কুলের থেকে এ অনেক ভালো। আর যারা খুব লেকচার দিচ্ছেন যে কোন জায়গায় একই শিক্ষা তাদের জন্য,
আমি একটা পচা স্কুলে পড়তাম, কোনোদিন সেকেন্ড হয়নি,কিন্তু আমি পাস গ্রাজুয়েট। যেকোনো জায়গায় আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মেধা নয়, ছাপ লাগে। এখানে সবাই জানে।কিছু এক্সেপশন বাদে।
তাই এখন কেউ বাচ্চাদের বাঙলা মিডিয়ামে পড়ায় না। এখানে কেউ নয়, আমি সিওর। এভাবেই পড়ের জেনারেশন ইন্টারন্যাশানাল চাইবে, যারা এফোর্ট করার সাহস রাখবে। বাকী সব তর্কের জন্য বলা।
m | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২২:৪৪ | 173.26.17.106
কি সমস্যা!
Paramita | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২২:৪০ | 122.167.75.247
সকালবেলায় বাবার সঙ্গে আধ ঘন্টা এমন একটা পয়েন্টে যায় যেখানে স্কুল বাস আসে। তোলার সময় আবার দিদা ড্রাইভারের সঙ্গে ঐ পয়েন্টে যায় যেখানে স্কুল বাস ছেড়ে দিয়ে যায়।
আমাদের জিনিসপত্রের কোনো খোঁজ নেই। এই সপ্তাহে তাদের আসার কথা।
m | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২২:৩৮ | 173.26.17.106
আহারে,দু ঘন্টা! গাড়িতে! কে দিয়ে নিয়ে আসে?তোমাদের জিনিসপত্র এসে পৌঁছেছে?
Paramita | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২২:৩৮ | 122.167.75.247
শুধু ইভেন্ট ম্যানেজার হলেই হবে বলছো? আমাদের লাগবে না?
Paramita | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২২:৩৫ | 122.167.75.247
যায় হয়ত, কিন্তু পুরো লীজ ব্যাপারটা খুব পেইনফুল। আবার নতুন করে লাখ কথা শুরু করা, প্লাস মেয়ের এখনকার স্কুল খুব দূরে পড়ে যাচ্ছে। দু ঘন্টা কমিউট করছে। তাড়াতাড়ি বাড়ি নিলে ওর একটু সুবিধা হবে।
Arpan | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২২:৩৫ | 112.133.206.20
হ্যাঃ! এসব কিছু লাগে না। এতজন ইভেন্ট ম্যাঞ্জার আছে কী কত্তে?
Paramita | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২২:৩৩ | 122.167.75.247
Paramita | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২২:২৪ | 122.167.75.247
হ্যাঁ আমরা সময়ের দিক থেকে একটু টাইট কর্নারে পড়ে গেছি। দু সপ্তাহ পরে একই বাড়ি আরো দুখান বেরোবে মার্কেটে কিন্তু আমাদের এই বাড়ি ছেড়ে দিতে হবে বলে এর সঙ্গেই গাঁটছড়া বাঁধতে হচ্ছে।
বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে,
মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা,
কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
আমাদের কথা
আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের
কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি
জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
বুলবুলভাজা
এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ।
দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও
লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
হরিদাস পালেরা
এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে
পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান
নিজের চোখে...... আরও ...
টইপত্তর
নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান।
এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর।
... আরও ...
ভাটিয়া৯
যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই,
সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক
আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
টইপত্তর/ভাটিয়া৯/হরিদাসপালের লেখার বক্তব্য লেখকের নিজস্ব, গুরুচণ্ডা৯র কোন দায়িত্ব নেই
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক।
অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি।
যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।
মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি
বার পঠিত
সকলকে জানান
উপরে যে কোনো বোতাম টিপে পরিচিতদের সঙ্গে ভাগ করে নিন