সুচেতনা, চিন্তা করবেন না। এটা যখন বলেছে সব ঠিকই আছে। বড় হয়ে ঠিক হয়ে যাবে। ঃ))
a x | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১০:১৪ | 75.53.204.181
হয় সিমুলেশন চালিয়েছে নয়ত সুমেরুর চটি থেকে টুকছে!
a x | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১০:১৩ | 75.53.204.181
এইরে আবার সিমুলেশন প্রোগ্রাম চালিয়ে দিয়েছে!
aka | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১০:১২ | 24.42.203.194
আমি কনফিউজড। জটাচুলের এদিকে যদি থাকে ভলগা তো অন্যদিকে একরাশ বালি। দিনশেষে পাঁচের নামতা বলব না স্ট্রেট ড্রাইভের টেকনিক? হিক হিক, ভেটকি সুলভ হেউতে গড়িয়ে গেল বেলা, মূল মানে কাণ্ড আর সব কাণ্ড ই-তে। তিনটে ট্রাপিজের পরেই নেমে আসে পর্দার আঁধার, চায়ে চায়ে গরম চায়ে।
suchetana | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১০:১২ | 122.172.56.249
গণশক্তিই জানেন ।
a x | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১০:১০ | 75.53.204.181
বাবাহ্ এগুলো শেখে কি করে এই খুদে গুলো!
suchetana | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১০:০৫ | 122.172.56.249
কিন্তু ও আকা, আমার ষষ্ঠবর্ষীয় ছানা যে এখন থেকেই রাশান রাশান কথা কয়, তাতে কমুনিজমের গন্ধ ছাড়ে। কাল ব্যাগ থেকে এক্শ টাকার নোট টানাটানি করে বার করতে গিয়ে দুই টুকরো করে ছিঁড়ে ফেললাম। ব্যাটা পাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে চোখ গোল গোল করে দেখে আমার কাটা ঘায়ে নুন ছিটিয়ে বললো, ""টাকাটা তুমি ছিঁড়ে দিলে?'' দাঁত কিড়মিড় করে বললাম, "ঠিক আছে, ঠিক আছে, তোকে অত টেন্শন করতে হবে না, ওটা আমার টাকা ছিলো।'' (জানি আমি নরাধম, কিন্তু ঐ নরাধমের বাচ্চাকে চুপ করানোর আর কোনো রাস্তা তখন ভেবে পেলাম না) কিন্তু নবীন কমুনিস্ট আমাকেই চুপ করিয়ে দিলো। ""টাকা কখনো কারুর একার হয় না। ওটা সব্বার টাকা ছিলো, তোমার আগে আরো অনেকে ঐ টাকাটা দিয়ে তাদের কাজ করেছে''।
aka | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৯:৫৬ | 24.42.203.194
ধুলো ওড়ানো রেলগাড়ি আর স্যাকড়ার ঠুকঠুক আনি খাই দিন আদতে শুক্কুরবার, চকচকে কুয়াশায় কাতিল রাম চেখে নিন
Abhyu | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৯:৩৮ | 97.81.105.204
তাইলে ওটার নাম কিউট দেশ।
aka | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৯:৩২ | 24.42.203.194
কিটি যে কি বলে! কিটি যে দেশে আছে সেই দেশই অমন।
Tim | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৭:৩৫ | 71.62.121.158
আছে, আছে, ZIনতি পারো না!
kity | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৬:৫৮ | 131.95.30.233
ভাবছি দত্তক নেবো। যদি নিই তাইলে একটা ফুটফুটে ফরসা আর একটা কুচকুচে কালো দত্তক নেবো। খোলা হাওয়ার দেশে যেখানে কিনা সব ইস্কুলই ভালো আর মারধোর নেই কোনো, পরিষ্কার হাওয়া আর টলটলে জল আর ভালো ভালো মানুষ থাকে, সেখানে মিলেমিশে বাড়বে। এমন কোনো দেশ আছে কি?
kity | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৬:৫৩ | 131.95.30.233
সেখেনে দিলাম। কিন্তু ইস্কুল নিয়ে শেষে কী সাব্যস্ত হলো?
Tim | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৬:৫০ | 71.62.121.158
টইতে লিখে দ্যাও আরেকবার কষ্ট করে। ঃ)
kity | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৬:৪৯ | 131.95.30.233
হ্যাঁ তো হয় তো। কিন্তু এডিট করা যে যায় না! :-(
Tim | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৬:৪৯ | 71.62.121.158
কবিতার টইতে এসব মণিমুক্তো জমা হোক।
Tim | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৬:৪৭ | 71.62.121.158
তিন্নং লাইনে সেকেন তবু'র পরে একটা "তো" হয় না?
kity | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৬:৪৪ | 131.95.30.233
পিঁপড়েপাতাগুলো ঝিঁঝিঁরা ধার নিলো সময় টেনে নিলো অসময় পুরানো বইগুলোর বেবাট চাপধুলো উড়িয়ে পাখা মেলে নয়ছয়- তবু তো পথ আছে তবু আছে ঘোড়া অন্ধরাতে নদী তবু বয় মেঘেরা ছেয়ে আছে চাতক পথ চেয়ে পাথর ফিসফিস কথা কয়!
Tim | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৬:৩৬ | 71.62.121.158
ট্যান এরম একতলা-দোতলায় লাফ কেটে কেটে কবিতা আর সময় নিয়ে টানাটানি করছে ক্যানো? ঃ-))
kity | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৬:৩২ | 131.95.30.233
সময়
kity | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৬:৩১ | 131.95.30.233
এটা মনে হয় ইউনিকোড প্রবলেম, তাই না? সম নুবর্তিতা
kity | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৬:৩০ | 131.95.30.233
সমনুবর্তিতা
kity | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৬:২৯ | 131.95.30.233
সমনুবর্তিতা নিয়ে এক পয়সা-ঠেলায় পড়লে তখন সব বাবাজী সুড়সুড় করে ঠিক হয়ে যায়। বাঙালি যারা দেখবেন নেমন্তন্নে ফন্নে কি ফাংশানে টাংশানে কি গ্রুপে বেড়াতে দেরি করে যায় আর দাঁত কেলিয়ে হাসতে হাসতে বলে বাঙালি টাইম, তারাই সাহেব হুজুরের কাজে একেবারে ঘড়ির কাঁটায় কাঁটায় হাজির থাকে, " ব্যাটা ঠিক সময়ে যদি না আসিস চাকরি নট" কথাটা খাড়া হয়ে থাকে তো!
kity | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৬:২২ | 131.95.30.233
কাবলিদা, দাড়োয়ান নয় নাই রাখলেন, দারোয়ান বা পালোয়ান তো রাখবেন! যদি রাখেন, তবে এখানেই নাহয় একটা অ্যাড দিয়েন। :-)
kity | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৬:০৯ | 131.95.30.233
এত অমৃতি খেলে তো অমর হয়ে যাবেন!!!!!!!
lcm | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৫:১৩ | 128.48.7.162
এত তো খেতে পারব না। তখন টিনের কোটোয় অমৃতি এক্সপোর্ট করব।
Binary | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৫:০৯ | 66.94.87.210
প্রতি মাসে চল্লিশ হাজার অম্তি ? উঃ !!!
lcm | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৪:৫৫ | 128.48.7.162
মাসে আড়াই লাখ... ট্যাক্স, এসেট্রা বাদ দিয়ে যদি লাখ দেড়েক-ও হাতে থাকে.... মাসে হাজার চল্লিশেক অমৃতি ( চার টাকা পিস ধরলাম)... হরিশ মুখার্জি রোড আর বলরাম বোস রোডের জাংশনে অমৃতির দোকান ছিল.... গরম অমৃতি গুলো সাজিয়ে গোল করে রোমের কলোসিয়ামের মতন বানাতো... বেশ কয়েকটা এরকম কলোসিয়াম কেনা যেত।
Binary | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৪:৪৭ | 66.94.87.210
আমি আমার স্কুলের কতা কিছুতেই বলব না, এখানে অনেক স্কুলভাই আছে, তাই ঢপমারা চলবে না।
Binary | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৪:৩০ | 66.94.87.210
আরে কাবলি-দা, দাড়োয়ানের চাকরি-তো কেসি-র কাছে চেয়েছিলাম, মাসে আড়াই লাখ টাকা মাইনে পায় যখন। আপনার বাড়ীতে দাড়োয়ানি কত্তে হলে তো বিনে পয়সায় করে দেব ঃ)))))
aka | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৪:০৫ | 168.26.215.13
হ্যাঁ আমিও ক। অনেক কিছুই শিখেছি। যাক বাব্বাই, হ্যাপি উইকেন্ড।
Du | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৩:৫৮ | 65.124.26.7
আমিও।
pi | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৩:৫৫ | 72.83.210.50
হ্যাঁ,টিমের এই কথাটায় ক। সিলেবাসের বাইরেও জীবনের অনেক কিছু শেখা, কিছু টিচারের কাছেই।
Tim | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৩:৪৫ | 71.62.121.158
একটা কথা কেউ বল্লো না। আমিই বলি। দুটো আলাদা আলাদা বাংলা বয়েজ স্কুলে পড়ে একটা তফাৎ খুব টের পেয়েছি। যেখানে শুরুর দুবছর পড়তাম, আর যেখানে পরের দশ বছর, এই দুটো স্কুলের সব এক। খালি একটা জায়গায় পার্থক্য ছিলো। পরেরটায় এমন কিছু মাষ্টারমশাই ছিলেন যাঁরা শুধুই পড়াতেন না। ছাত্র গড়তেন। নিজেরাই উদাহরণ হতেন। আজ্জোদা যেরকম বল্লো, মারুন বা না মারুন- ভালোবাসতেন ঠিকই। তো, আমার নিজের কাছে এইটা খুব দরকারি মনে হয়েছে বড়ো হয়ে। যখন বুঝতে শিখেছি ঐ ঐ জিনিসগুলো চরিত্রে না থাকলে তাঁদের শিক্ষক বলেনা।
স্কুল কালেজে আমার নাম ছিল লাস্ট ট্রেন। কানপুরে আমাকে দেখতে পেয়ে গেলে সারেরা পরীক্ষার খাতা দিতে শুরু করে দিতেন ( আমাদের বেশ কিছু প্রফেসর ছিলেন, যাঁরা) , কারণ জানতেন আর কেউ আসার বাকি থাকা না-মুমকিন!
ক্লাশে ঢুকে বেঞ্চে আমাকে বসে থাকতে দেখতে পেলে বন্ধুবান্ধব, স্যার সবার রিঅ্যাকশন দেখার মত হত। ভূত দেখছে য্যানো।
তো,এত কথা বলা কেন? আমার এই স্বভাব তো প্রায় জ্ঞান হওয়া ইস্তক এরকম ই। এনিয়ে তো কম মার ও ঝাড় খেলুম না। ইস্কুলের দিদিমণির শাস্তি , মা র বকাঝকা মারধোর, এমনকি দাদার কাছেও একবার পিটুনি খেয়েছিলুম, জীবনে ঐ একবার ই , আড়াই ঘণ্টা ধরে খাবার নিয়ে বসে থেকে চল্লিশ মিনিট বাদে গুপি বাঘা ফিরে এলো দেখতে ঢোকার জন্য। ঐ রিমিদির দশা ছিল আমার মায়ের। আমার স্কুলের দেরি আর মায়ের আপিস দেরিটা রুটিন ছিলো।
কিন্তু তাতে লাভের লাভ কী হল ? আমার বরের অবস্থা কি আমার মায়ের থেকে ভালো কিছু হয়েছে ?
এক ই ব্যাপার, জিনিশপত্র গুছিয়ে রাখা নিয়ে।
এমন ও না, যে আমার সদিচ্ছার অভাব।স্বীকার করেই নি, জিনিশটা ভালোনা। আমার বদ্ধমূল ধারণা, ব্যাপারটা জিনে কোথাও আছে। তাই আর বিশেষ চেষ্টা করিনা। বরং বোঝানোর চেষ্টা করেছি অনেকবার, মা কে। বোঝেনি। বলেছে, মা বাবার বাপের জন্মে এমন কেউ ছিলো না নাকি। আরে বাবা, রিসিসিভ অ্যালীল বলেও তো কিছু হয়। সে আর কে বোঝায়।
টেক হোম মেসেজ ঃ সব কিছু শেখানো যায় না। যার বারোতে হয়না, তার বাহান্নতেও না, এটা ঠিক সেটেঅমেন্ট না। বারোটাকে পাঁচ দিয়ে রিপ্লেস করা উচিত। বুইলে রিমিদি ? ঃ)
aka | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৩:৩৭ | 168.26.215.13
কি হওয়া উচিত
সারা ভারতের সর্বত্র মোটামুটি একই মানের স্কুল সবাই অ্যাকসেস করতে পারবে। কিন্তু সে তো ভারত সরকারের কাছে বা রাজ্য সরকারের কাছে দাবী তার সাথে আমার ছেলের পড়াশুনোর কোন সম্পর্ক নেই।
aka | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৩:৩৬ | 168.26.215.13
এবার ছেলেকে কোথায় পড়াবো
১। যেখানে মারধোর করবে না।
২। মিনিমাম পড়াশুনো হবে কিন্তু অধিক চাপ দেবে না।
৩। জায়গার জিনিষ, জায়গায় রয়েছে। মানে মাথার ওপর ফ্যান, ক্লিন বাথরুম ইত্যাদি।
৪। ইংরিজি মিডিয়াম
৫। একটু নাম ধাম রয়েছে। এক্সপেরিমেন্ট করার সময় নেই। পাঁচ বছর পরে যদি দেখি ভুল এক্সপেরিমেন্ট, রোলব্যাক করার সময় নাই। আল্টিমেটলি ছেলের জীবন তার, তার জীবন নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করার আমি কে?
৬। সাধ্যে কুলোবে
এই একটা অপ্টিমাইজেশন প্রবলেম কিন্তু কোন মডেল নেই। তাই সবাই সাবজেক্টিভ ডিসিশন নেয়। এর সাথে বিলিয়ার্ড খেলালো না ক্যারাম খেলালো হু কেয়ার্স?
Du | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৩:৩০ | 65.124.26.7
না না সবাই তো এরম নয় - কয়েকটা ঃ(
aka | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৩:২৮ | 168.26.215.13
আমার তিন পয়সা।
১। জেলা স্কুল পরিবেশ - আমি পড়েছি। অপশন ছিল ট্রেনে করে রামকৃষ্ণ মিশন বা অন্য কোন বেটার জায়গায় যাওয়ার, কিন্তু দাদু যেতে দেন নি। ঠিকই করেছিলেন, আমাদের সাথে যারা যার গিয়েছিল তারা কেউই আর পরবর্তী কালে একটাও ক্রিকেট ম্যাচ খেলতে আসে নি, সময়ই পেত না। সে যাই হোক। আমি যখন ভর্তি হলাম তখন প্রাইমারি স্কুল পাকা হয় নি। মাথায় টিনের চাল, দড়মার বেড়া, মাথায় ফ্যান নেই। গরম কালে প্রতি ক্লাসে একটা করে টেবিল ফ্যান থাকত। প্রতি ক্লাসে ৬০-৭০ জন ছেলেপুলে। ঘামতাম, ক্লাসে স্যার পড়াতেন অন্যদিকে পেছন দিকে বেড়া গলে অন্য ক্লাসে গিয়ে ছেলেপুলে মারামারি করত। বাথরুম যা ছিল তা প্রয়োজনেও যাওয়া যেত না। আজকের কলকাতার সুলভ কমপ্লেক্স ওর থেকে বেটার। যাইহোক একটুও অসুবিধা হয় নি, সেকথা পরে বলছি।
২। জেলা স্কুল মারধোর - স্যারেরা মাঝেমাঝেই পেটাতেন। কখনো কারণে, কখনো অকারণে। একবার সোমনাথদের বাড়ির বিরাট গেটে চড়ে জামরুল পাড়ছিলাম (তার সাথে একটু দোলও খাচ্ছিলাম) বলে স্যার পিটেছিলেন। আর একবার আমার এক মামাত ভাই পড়া পারেনি বলে স্যার আমাকে একটা চিমটি দিয়েছিলেন। আর একবার একটু বড় বয়সে অংক পারি নি বলে স্যার প্রচূর কেলালো, কেলিয়ে টেলিয়ে নিজেই কেঁদে ফেলল। কেলাকেলি ছিল আবার ভালোবাসার সম্পর্কও ছিল। স্যারেরা ছোটবেলায় মার খেয়েছেন, সারা জীবন মার দেওয়াই জেনেছেন কিন্তু বিদ্বেষ বলে কিছু ছিল না। অনেক স্যারই অনেক ছেলেকে বিনা পয়সায় পড়াতেন, পড়ার খরচ দিতেন, এমনকি পুজোর জামাকাপড়ও দিতেন। মাঝে মাঝে কেলালেও আল্টিমেটলি ভালোবাসতেন। সে স্যারও জানতেন আমরাও জানতাম। কখনো কিছু মনে হয় নি। বাবা মাও বিশেষ কিছু মনে করতেন না। যদিও বাড়িতে আমি যতদূর মনে পড়ে দিন তিনেক মার খেয়েছি।
৩। জেলা স্কুল পড়াশোনা - পড়াশোনা হয়, আর চার পাঁচটা স্কুলে যা হয় ঠিক ততটাই। রামকৃষ্ণ মিশন আর আমাদের স্কুলের পড়াশোনার মানে খুব বেশি তফাত নেই, অন্তত কারিকুলামের দিক দিয়ে দেখলে। কিন্তু কনফিডেন্স লেভেলে আছে। বিশ্বাসই করতাম না হায়ার সেকেন্ডারি সায়েন্সে ফার্স্ট ডিভিসন কেউ পায়। কেউ বিশ্বাসই করত না যে পরবর্তী কালে প্রেসিডেন্সি কলেজ, বিই কলেজ, যদুপুরে যাওয়া যায়। জানতামই না যে ম্যাথ অলিম্পিয়াড কি জিনিষ। রেসনিক হ্যালিডে, ইরোডফ (এই তো নাকি?) খায়ে না মাথায় দেয়। এই নিজের ওপর বিশ্বাস না থাকা আর সঠিক তথ্য সঠিক সময়ে না পাওয়া খুব ক্ষতিকর।
আর একটা ব্যপার আছে। নামী স্কুলে পড়লে মাধ্যমিক, উচ্চ-মাধ্যমিকের নম্বর নাকি ৫০-১০০ বেশি হয়। এটা কোন গড়পেটা নয় আসলে বায়াস। স্কুলের নাম দেখে বায়াস তৈরি হয়। শুনেছি, বেশ একজন বড় সড় লোকের কাছে শুনেছি। সত্য, মিথ্যা জানি না।
সে যাই হোকে। আমার খুব একটা অসুবিধা হয় নি। এখনো স্কুলের সম্বন্ধে আমি সমান নস্টালজিক। একই রকমের ভালোবাসা সবই আছে। বেড়ার ঘরে বসে পড়াশুনো করেছি একথা ভাবতেও অসুবিধা হচ্ছে না। কারণ ছোট থেকে ওটাই আমার নর্মাল। আমার দাদারা, বন্ধুরা সবাই ঐ স্কুলেই গেছে। কিন্তু আমার ছেলের কাছে এটা অ্যাবনর্মাল। আমি আমার স্কুলে ছেলেকে দিতে পারব না। অবস্থা কুড়ি-পঁচিশ বছরে অনেক বদলেছে কিন্তু তাও আমার ছেলের নর্মালের সাথে মিলবে না। তাই জেলার স্কুল যারা বলছেন তাদের কাছে বলছি বেসিক স্টাডিটা করে নিতে ভুলবেন না।
rimi | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৩:১৫ | 168.26.215.135
সব্বোনাশ দুদি, তোমার ছেলে এখোনো করে? আমার ছেলের স্কুলের টিচার যে বল্ল পাঁচ বছর বয়স হলেই এগুলো ঠিক হয়ে যাবে! আমি তো সেই আশাতেই বসে আছি ঃ-(((
Du | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৩:১১ | 65.124.26.7
রিমি ঃ)) । আমিও তোমার দুখে দুখী গো। চান করতে যাও বললে শুরু হবে খেলা - আমাকে দৌড়ে ধর , তার পরে চান করবো। এই টাইট জীবনে এত প্লেফুলনেস বিশাল চাপ হয়ে যায়।
rimi | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০২:৫৫ | 168.26.215.135
পাই, ঃ-))))
নিজে সময় না মানলে নিজের কোনো অসুবিধা নেই, কিন্তু অন্যের প্রচুর অসুবিধা। সেইটা ছেলে যত বড় হচ্ছে তত টের পাচ্ছি। স্কুলে যাবার ঠিক আগে, খাওয়া থেকে শুরু করে জুতো পরা, সব কাজের আগেই তার অন্যান্য সব দরকারি কাজ মনে পড়ে যায়, যেমন কার্ড বানাতে হবে, কালিতানকে (কুকুর) খেতে দিতে হবে কিম্বা কাউকে চিঠি পোস্ট করতে হবে ইত্যাদি। ওদিকে আমাকে তো সময়মতন পৌঁছতে হবে! নইলে চাকরিটি যাইবে। টেনশন চরমে ওঠে। ইচ্ছে করে কানটি মুলে লাল করে দি।
অতএব ছেলের স্কুলে সময়ানুবর্তিতা বা নির্দিষ্ট সময় না থাকলে আমার কপালে বাঁশ।
Tim | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০২:৪৬ | 71.62.121.158
আমি এইটা ট্রেন আর প্লেন ধরার সময় করি। খুবই বাজে ব্যাপার। রেলস্টেশন তো বন্ধ হয়না। কিন্তু আমাদের ছোটো এয়ারপোর্টটা ভোররাতে খোলে না। প্রথমে খানিক্ষণ বাইরে বসে থাকতে হয়। তারপর ভেতরে অফিশিয়াল অপেক্ষা করার পালা শুরু হয়।ঃ-(
Paramita | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০২:৪২ | 122.167.82.56
আমি একটু বেশী সময়ে পৌঁছই। যেমন দশটা কুড়িতে ক্লাস টেস্ট থাকলে আমি ডিপার্টমেন্টের সিঁড়িতে বসে থাকতাম সাড়ে সাতটা থেকে(ট্রেন, রিকশ, পা, কখন কি বিগড়োয় তো ঠিক নেই)। একজনের বেবি শাওয়ারের গিফট নিয়ে পৌঁছে যাচ্ছিলাম প্রায় এক সপ্তাহ আগে।
Du | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০২:৪০ | 65.124.26.7
ইপিস্তা নামটা তো খুব সুইট। আমার ছোট্ট একটা গাদাভুলু ভাইকে ডাকতাম পিস্টাচিও বলে সেইটা মনে পড়লো।
kd | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০২:৪০ | 59.93.214.19
বাইনারী, আমার যে দাড়ি নেই, দাড়োয়ান রেখে কী করবো?
অক্ষ, আমি মিস্টিখোর মানুষ, গায়ে একদম ঝাল নেই। 'আর কিছু লিখবো না' এইজন্যেই লিখেছিলুম যে আর কিছু লেখার চেষ্টা করলে একই কথা রিপিট করবো। এর আর কোনো মানে কোরো না। আমি যা ভাবি বা লিখি, এতদিন বেঁচে থেকে দুনিয়া যা শিখিয়েছে, তার ভিত্তিতে, বইপড়া বিদ্যে আমার খুবই কম (এদ্দিনে তা নিশ্চয়ই বুঝে গেছো)।
রিসেন্ট টপিকে আমার ইন্টারেস্ট পুরো অ্যাকাডেমিক - আমার ছেলে বড় হয়ে গেছে, মানুষ হয়েছে কিনা অন্যেরা বিচার করবে। m, ঠিক বলেছো, তোমাদের অনেকের কাছে এটা ইমিডিয়েট ইস্যু, আর পাই,টিম, তনুর কাছে ভবিষ্যতের। তোমাদের ভাবনা তোমাদের ছেলেমেয়ের ভবিষ্যত ঠিক করবে - বিরাট রেসপন্সিবিলিটি।
আমি যা দেখেছি, আর যা বুঝেছি - দেশে যদি ফিরতে চাও, ছেলেমেয়েদের খুব কম বয়সে নিয়ে এসো - এলিমেন্টারি ক্লাস শেষ হওয়ার আগে (অনেকে তাই করছো)/ আমার এক বন্ধু ফিরে এসেছিলো, তার মেয়ে তখন ক্লাস ৭এ - এখানে যতদিন ছিলো, খুব কষ্ট পেয়েছে - বিএ পাশ পরেই পালিয়েছে নিজের দেশ, সেটা আমেরিকা। জানি এ'সব তোমরা ভালোই জানো, তবুও লিখলুম (ঈশানের সার্ভারে কয়েকটা বাইট না হয় গেলোই)।
তবে একটা জিনিস মনে রেখো, তোমাদের নিজেদের যাই আদর্শ থাক, সেগুলো ছেলেমেয়েদের ঘাড়ে চাপিও না, ওরা দারুণ প্রেশারে থাক্বে (তোমাদের চেনা জায়গা কিন্তু ওদের তো না), যতদূর সম্ভব চেষ্টা কোরো যেখানে ওরা সহজে মানিয়ে নিতে পারে।
যদি এটা একটা বুড়োর বক্ওয়াস মনে করো, ঠিক আছে, কিছুই মনে করবো না, আমার তো কিছু যাবে আসবে না।
Tim | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০২:৩৪ | 71.62.121.158
সময়ে পৌঁছনো শেখানোর জন্যই শুধু একটা আলাদা ইশকুল থাকা উচিত। এই ইপিস্তার মতদের ধরে ধরে সেখানে ভত্তি করে দিলে বেশ হয়। ওদের জন্য সময়ে পৌঁছে যাওয়া লোকেদের হেব্বি চাপ হয়।
pi | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০২:২৯ | 72.83.210.50
তবে আমি যখন ছোট ছিলুম, তখন এই টাইম ছাড়া একটা ইস্কুল পেলে বর্তে যেতুম। মানে সারা জীবনে কোথাও ই কোনো সময় মতো না যেতে হলে বেঁচে যেতুম। খুব যে যাই ও , তা নয়। স্কুলে কম শাস্তি পেয়েছি দেরি করে ঢোকার জন্য ! ঃ( ঐ স্কুলটার ঐটাই তো আমার সবচে পছন্দ হল, রিমিদি।
বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে,
মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা,
কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
আমাদের কথা
আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের
কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি
জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
বুলবুলভাজা
এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ।
দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও
লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
হরিদাস পালেরা
এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে
পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান
নিজের চোখে...... আরও ...
টইপত্তর
নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান।
এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর।
... আরও ...
ভাটিয়া৯
যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই,
সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক
আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
টইপত্তর/ভাটিয়া৯/হরিদাসপালের লেখার বক্তব্য লেখকের নিজস্ব, গুরুচণ্ডা৯র কোন দায়িত্ব নেই
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক।
অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি।
যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।
মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি
বার পঠিত
সকলকে জানান
উপরে যে কোনো বোতাম টিপে পরিচিতদের সঙ্গে ভাগ করে নিন