আমি ইয়ে বলি। সেই রেসপেক্টে আমি ঘটি। কোনোদিন ইসে বলি নাই। বন্ধুরা কেউ ইসে বললে তাদের খিল্লি করেছি।
siki | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১০:২৫ | 123.242.248.130
ব্রতীন,
আগেও বলেছি। খুব ঝাল খেতে পারতাম না। এখনো তেমন পারি না। আসলে আমার টেস্ট বাডে পবলেম হ্যাজ। মাঝারি ঝাল হলে আমার খুব ঝাল লাগে। কিন্তু তীব্র ঝাল হলে আমি সেটা অনুভবই করতে পারি না। আমার ঝাল লাগে না।
শুঁটকি। জীবনে একবারই খেয়েছি। আজও জিভে স্বাদ লেগে আছে। তেমন বাঙালবাড়ি পেলাম না যে আরেকবার খাই। এখানে বিক্রি হয় প্রচুর, কিন্তু রাঁধতে জানি না বলে আনি না। কচুর লতির শাক। ইয়েস, ইয়েস, ইয়েস। খাই। পেলে চেটেপুটে খাই।
তাইলে কি আমি বাঙাল হয়ে গেলাম? আমি কিন্তু আলুপোস্তও খাই। আলু আমার প্রধান খাদ্য, ভেজের মধ্যে, কারণ আমি লাউ খাই না, কুমড়ো খুব একটা খাই না, পুঁইশাক খাই না, ধনেপাতার গন্ধ সহ্য করতে পারি না, মূলো খাই না, বীট খাই না, গাজর খাই না, বাঁধাকপি কষ্ট করে খেয়ে নিই। ইত্যাদি।
Bratin | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১০:২৩ | 122.248.183.1
আর হ্যাঁ
৩। 'ইয়ে' বলো নাকি 'ইসে'?
siki | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১০:২১ | 123.242.248.130
ও হ্যাঁ, আজ তো সরস্বতী পুজো। গেলবছর আমাদের সোসাইটিতে পুজো হয় নি। এবারেও হবে কিনা কে জানে।
কিছুক্ষণের জন্যে দিল্লি পুরো মুসৌরি-ল্যান্সডাউন হয়ে গেছিল। কাল রাতে বিষ্টি হল। সকালে হাল্কা ঠাণ্ডা ভিজে ভিজে হাওয়া, তার মাঝখান দিয়ে মিষ্টি রোদ্দুর। ঠান্ডা অথচ ঠান্ডা নেই। আজ বেরোবার সময়ে জ্যাকেটটি নিতে ভুলেছি, শুধু একখানি সোয়েটার পরে, তো, তাতেও দেখলাম কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। সরোজিনী নগর ছাড়াতেই দেখলাম ঝট করে কুয়াশা শুরু হয়ে গেল। আর সে কী কুয়াশা! চোখের সামনে মটরসাইকেলের হেডলাইটের লেভেলে পাক খেয়ে খেয়ে নাচছে রাশি রাশি কুয়াশা, সামনের গাড়িটা ঝাপসা লাগছে, পরের গাড়িটা আর দেখাই যাচ্ছে না। হেলমেটের কাঁচ ঝাপসা হয়ে গেল, কাঁচ তুলে নিলাম, তারপরে দেখি চোখের পাতা ভারি ভারি। ভিজে।
এই রকম কুয়াশায় বাইক চালানোর মস্তিই আলাদা। ডিসেম্বর জানুয়ারিতে তো আমি চেন্নাইতে ছিলাম, এই সিজনে প্রথম কুয়াশা পেলাম আজ। ...আপিস পৌঁছলাম যখন, সোয়েটার প্যান্টুল, সব হাল্কা জলে ভেজা।
এখন আবার সোনালি রোদ্দুর উঠে গেছে। কোত্থাও কুয়াশা নেই।
Bratin | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১০:১৯ | 122.248.183.1
হ্যাঁ । কালকে দারুন ঝগড়া হয়েছে। বোন রা কম্প্যু ঘরে শুয়েছিল বলে আমি বেশীক্ষন থাকতে পারে নি। তবে ঝগড়া পুরো জমে ক্ষীর। 'যেমন বুনো ওল তেমন বাঘা তেঁতুল' ঃ-))
ক্ষী ক্ষান্ড! সারারাত ধরে তিরিশ না চল্লিশ পাতা ধরে সেই রেটরিক ঘটি বাঙালের ঝগড়া। নিজেদের মধ্যে আমরা ওরা বিভাজন ঘটিয়ে এদের শান্তি হয় নি, এরপরে এরা নিরীহ মাছেদের মধ্যে ঘটিবাঙালের বিভেদ ঢুকিয়ে ফেলেছে। মাছেরও নাকি ঘটি বাঙাল! এর পরের দিনে তক্কো হবে ঘটি পাখি আর বাঙাল পাখি, লোকে সত্যেন দত্তের কবিতার রেফারেন্স দেবে, তারপরদিন হবে ঘটি গাছ আর বাঙাল গাছ, তারপরে ঘটিফুল আর বাঙালফুল।
আমি পাঁপড়ের তরকারি খেয়েছি, রসুন দিয়ে খিচুড়ি খেয়েছি, ওমলেটের গা-মাখা ঝোল তো আমার খুব খুব প্রিয়, আলু দিয়ে এবং আলু ছাড়া মাংসের ঝোল খেয়েছি, এদিকে রেগে গেলে আমার আবার মাথার ঠিক থাকে না। কনফিউশন রহিয়াই গেল। আমি ঘটি না বাঙ্গাল।
Bratin | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১০:০৮ | 122.248.183.1
সব জনগন কি সরস্বতী পুজোর বাজারে ডুব মারলো নাকি??
i | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ০৮:২৭ | 137.157.8.253
অভ্যু তো পদ্যখানি লিখে দিয়েছে ( ১৯৫৪য় লিখেছিলেন বু ব, নাম ঃ সরস্বতী পুজোর পদ্য), সোমনাথের সংশোধনীও দেখলাম। মনে হচ্ছে ঠিক এমনটিই আগে ঘটেছিল এই পাতায়-সেই কবিতা-সেই ২য় লাইনে মিসটেক , পিঠে পিঠেই সোমনাথের সংশোধনী। ডেজা ভ্যু...
aka | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ০৭:৩২ | 24.42.203.194
ব্ল্যাংকো বাউরে বলি, ব্যথা হলে নেটওয়ার্কিং ভালো করে করলে চিরকালের মতন নিরাময় হইবে। নেটওয়ার্কিংয়ে হয় না এমন কাজ নেই।
আর বাঙালদের জন্য রইল
aka | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ০৬:৫৮ | 24.42.203.194
বাঙাল হলে আজ আমি ইলিশ খেতাম,প্যাঁজ রসুন দিয়ে নয়, খানিক ভেজে, খানিক ভাপে, খানিক কালোজিরে , কাঁচালংকা দিয়ে।
বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে,
মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা,
কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
আমাদের কথা
আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের
কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি
জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
বুলবুলভাজা
এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ।
দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও
লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
হরিদাস পালেরা
এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে
পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান
নিজের চোখে...... আরও ...
টইপত্তর
নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান।
এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর।
... আরও ...
ভাটিয়া৯
যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই,
সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক
আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
টইপত্তর/ভাটিয়া৯/হরিদাসপালের লেখার বক্তব্য লেখকের নিজস্ব, গুরুচণ্ডা৯র কোন দায়িত্ব নেই
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক।
অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি।
যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।
মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি
বার পঠিত
সকলকে জানান
উপরে যে কোনো বোতাম টিপে পরিচিতদের সঙ্গে ভাগ করে নিন