এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • দ্য সেলিস্ট অফ সারাজেভো

    Sudeep Chatterjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৩ মার্চ ২০২৫ | ১৭ বার পঠিত
  • শিল্পের দুনিয়ায় কালচারাল রেজিস্ট্যান্স বলে একটা কথা আছে। তেমন কোনও বিপর্যয় হলে, ফ্যাসিবাদী সরকারের জোরজুলুম বাড়লে, যুদ্ধ লাগলে শিল্পীরা নিজের মতো করে বিরোধ করে। কেউ কবিতা লেখে, কেউ গান বাঁধে, কেউ ছবি আঁকে। কিন্তু আসলে একজন মানুষের ক্ষমটা ঠিক কতটা? তাঁর এই প্রতিবাদী স্বর কতটা প্রভাব ফেলতে পারে মানুষের মনে? বাস্তবে এই রেজিস্ট্যান্সের কোনও মূল্য আছে? 

    এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য আমরা বরং পঁয়তাল্লিশ বছর পিছিয়ে যাই। এই সেই সময় যখন পৃথিবীর বুকে একটা রাজনৈতিক বদলের সূত্রপাত ঘটেছিল। ১৯৮০ সালে ইউগোস্লোভিয়ার রাষ্ট্রপতি জোসিপ ব্রজ টিটো মারা গেলেন। এখন টিটো যত বড় ক্রিমিনালই হোক না কেন, তিনি প্রায় জোর করেই ইউগোস্লোভিয়ার সোশালিস্ট সাম্রাজ্যকে সামলে রেখেছিলেন, ফলে বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের ন্যাশনালিস্ট সেন্টিমেন্টও সুপ্ত আগ্নেয়গিরির মতোই ভিতরে ভিতরে ফুটছিল ঠিকই, কিন্তু সেভাবে বিষ্ফোরণ হয়নি। টিটোর মৃত্যু সেই আগলকে আলগা করে দিল। কোসোভো থেকে সার্বিয়া, নানা জায়গায় লোকজন বিদ্রোহ করতে শুরু করল। এর কয়েক বছর পরেই সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে পড়তে লাগল, আর বালকানের একাধিক দেশ স্বাধীনতার জন্য লড়াই শুরু করে দিল। এদের মধ্যে, বলাবাহুল্য, বোসনিয়া-হার্জেগোভিনা অন্যতম ছিল। বোসনিয়ার কথা আলাদা করে বলার কারণ, এই গল্পের প্রেক্ষাপট বোসনিয়ার রাজধানী সারাজেভো। 

    সারাজেভো আসলে একটা উপত্যকা নগরী। পাশ দিয়ে মিলয়াকা নদী বয়ে গিয়েছে। ১৯১৪ সালে অস্ট্রিয়ার আর্চডিউককে এখানেই হত্যা করা হয়েছিল, যার ফলে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সূচনা হয়। বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর সারাজেভো ইউগোস্লোভিয়ার অংশীভুক্ত হয়ে পড়ে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানরা শহরটাকে অধিকার করে, তারপর দেখা যায় ক্রোয়েশিয়ার আল্ট্রান্যাশনালিস্ট-ফ্যাসিস্ট বিপ্লবী দল উস্তাসের (Ustaše) হাতে পড়ে সারাজেভো ক্রোয়েশিয়ার অংশ হয়ে গেল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হতে হতে সারাজেভো আবার ইউগোস্লোভিয়ার অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়ে আর সোস্যালিস্ট রিপাবলিক অফ বোসনিয়া আর হার্জেগোভিনার রাজধানী হয়ে আত্মপ্রকাশ করে। এই শহরে তখন বোসনিয়ানরা তো থাকতই, সার্ব আর ক্রোটসরাও থাকত মিলেমিশে। একটু আধটু ঝামেলা থাকলেও কোনোদিন  জাতি নিয়ে রেসিয়াল টেনশন বা দাঙ্গা হাঙ্গামা শোনা যায়নি। 

    গোল বাধল তখন, যখন ৬ মার্চ ১৯৯২ সালে বোসনিয়া হার্জেগোভিনা স্বাধীনতার ঘোষণা করে ফেলল। সার্বদের একাংশ এই ঘোষণাকে মোটেও আমল দিল না, তারা Republika Srpska বলে একটা নতুন স্টেট বানিয়ে স্বাধীন দেশের মতো কাজ শুরু করে দিল। এইবার এই Srpska-তে বোসনিয়ার কিছু অঞ্চলও ঢুকে গিয়েছিল। রাষ্ট্রপতি রাদোভান কারাদজিক নিজে সার্ব, তিনি বোসনিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে অন্য অঞ্চলগুলোও এই নবনির্মিত 'দেশ'-এ নেওয়ার চেষ্টা করতে লাগলেন।

    এইবার এই যুদ্ধে কী হয়েছিল না হয়েছিল সে অন্য বিষয় এবং অনেক জটিল বিষয়, কিন্তু এই যুদ্ধের ফলে সবচেয়ে বেশি কোপ পড়ল সারজেভোর সাধারণ মানুষের ওপর। একে তো ইউগোস্লোভিয়ান ওয়ার চলছে, স্বাধীনতা ঘোষণার পর থেকেই ইউগোস্লোভিয়ার সেনাবাহিনী সারাজেভোকে ঘিরে আক্রমণ করছে, তারপর এসে জুটেছে এই শ্রপ্সকা (Srpska) ট্রুপরা। সাঁড়াশি আক্রমণে সারাজেভোর নাজেহাল অবস্থা। সেখানে বোসনিয়ার মানুষ বেশি, তাই সার্বদের রাগ আরো বেশি করে গিয়ে পড়ল রাজধানীর ওপর। প্রথমে ইউগোস্লোভিয়ার সেনা শহরকে ঘেরাও করে রেখেছিল, তারপর শ্রপ্সকা বাহিনী এসে সারাজেভোকে ঘিরে ফেলল। একদিন নয়, এক সপ্তাহ নয়, এক মাস নয়, প্রায় চার বছর ধরে এই সিজ চলল। তেরো হাজার সৈনিক শহরটাকে ঘিরে রেখেছে, আর্টিলারি ফায়ার করছে, ট্যাঙ্ক নিয়ে শহরে ঢুকছে, মর্টার চার্জ করে শহরের নিদর্শনগুলোকে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে, আনতাবড়ি গুলি চালাচ্ছে নিরপরাধ সিভিলিয়ানদের ওপর। 

    একটা শহরকে 'সিজ' করলে কী হয়? একটু ভেবে দেখুন। একটা শহরের খাবার বা পানীয় জল, সবই অধিকাংশ ক্ষেত্রে সরবরাহ হয় বাইরে থেকে। বিদ্যুৎ, ওষুধপত্র, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র... জীবনধারনের জন্য সব কিছুই আসে গ্রাম বা গঞ্জ থেকে। এখন কেউ শহরকে ঘিরে যদি এই সাপ্লাই লাইন কেটে দেয়, তাহলে কী হবে? মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠবে৷ তারপর যদি কেউ রাস্তায় নেমে আপনার ওপর গুলি চালায়, বোমা ফেলে... তাহলে? সোনায় সোহাগা! একদিন দুদিন নয়, দীর্ঘ চার বছর ধরে এমন হয়েছে। আধুনিক যুগে এমন নজির আর নেই। স্টালিনগ্রাড আর লেনিনগ্রাডে যে ভয়াবহ অবস্থা হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, সারাজেভোর অবস্থা হয়েছিল তার চেয়েও শোচনীয়। একের পর এক ম্যাসাকার, একের পর এক নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডে হাজার হাজার মানুষ মরেছে, বিল্ডিংগুলো ধ্বসে গেছে, স্কুল, হাসপাতাল, কমিউনিটি সেন্টার ধুলোয় মিশে গেছে, শিশুদের লাশ ধুলোয় লুটিয়েছে দিনের পর দিন। বোসনিয়ার ৭০০০০ ট্রুপ এই শহরে মোতায়েন, কিন্তু সাপ্লাই লাইন কেটে দেওয়ার ফলে তাদের কিছু করার ছিল না।
    খাবার নেই, জল নেই, যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই, কাজকর্ম নেই, আছে শুধু অন্তহীন অপেক্ষা। অন্ধকারে মোমবাতি জ্বেলে বসে থাকত লোকে। কখন মর্টার চার্জ হয়ে মরতে হবে ঠিক নেই। ১৯৯২ সালে সারাজেভোর জনসংখ্যা ছিল ৫ লাখ, চার বছর বাদে যখন সিজ তোলা হয়, তাদের মধ্যে অনকেই আর নেই। যারা আছে, তারা কঙ্কালসার হয়ে বেঁচে রয়েছে।
    শুধু বোসনিয়ান নয়, এই যুদ্ধে মূল্য চুকিয়েছে সার্ব জনতাও। যুদ্ধের পর তাদের কাছে ঘরদোর ছেড়ে শ্রপ্সকা রাজ্যে চলে যাওয়া ছাড়া আর কোনও বিকল্প ছিল না।

    কিন্তু এই ভীষণ হতাশাজনক সময়েও একজন মানুষ ছিল, লোকজন যাকে দেখে ভরসা পেয়েছে, আশায় বুক বেঁধেছে, সাহস পেয়েছে আগামীর স্বপ্ন দেখার। না, তিনি কোনও রাজনেতা নন, কোনও সেলেব নন, কোনও শক্তিশালী সুপারহিরো নন, তিনি একজন সাধারণ মানুষ। একজন শিল্পী। 

    মে ২৭, ১৯৯২। দুপুরের দিকে একদল লোক বাজারে পাউরুটি কিনতে গিয়েছিল। এমন সময় প্রচণ্ড শব্দ করে একটা বোমা এসে পড়ে সেখানে। বাইশজন মারা যায়, সত্তরজন আহত হয় ভয়ানক ভাবে। কারো হাত উড়ে গেছে, কারো পা নেই, জনশুন্য বাজারে শুধু রক্ত আর বারুদের গন্ধ। রক্তমাখা পাউরুটির টুকরো পড়ে আছে ধ্বংসাবশেষের ভিতর।

    অনেকেই দেখতে এসেছিল, ফিরেও গিয়েছিল। কী আর করার আছে তাদের? কিন্তু, একজন ফিরে আসেনি। সে দীর্ঘ সময় ধরে তাকিয়ে ছিল রক্তাক্ত দেহগুলোর দিকে, তার চোখ বেয়ে নামছিল জলের ধারা।

    লোকটার নাম ভেদ্রান স্মেলোভিক। পেশায় একজন সেলো প্লেয়ার। আর কিছুই সে পারে না। এখন যুদ্ধের মধ্যে কে আর সেলো শুনবে, কে আর সঙ্গীতানুষ্ঠান করবে? তাই তাঁরও কিছু করার ছিল না। 

    কিন্তু, এক একটা মুহুর্ত অনেকের মনে অনেক কিছু  বদলে ফেলতে পারে। পরদিন স্মেলোভিক আবার সেই বাজারে এল, পরনে একটা ময়লা সাদা শার্ট আর একটা কালো টেল কোট, হাতে সেলোর বাক্স। এক হাতে ফুলের গোছা। বাজারে এসে সে ধ্বংসাবশেষের ওপর ফুল ছড়িয়ে দিয়ে মৃতদের উদ্দেশ্য করে প্রার্থনা করল, তারপর একটা ভাঙা পাথরের ওপর বসে সেলো বাজাতে শুরু করল।

    কেউ কোথাও নেই। নিঃশব্দ শহর, বাতাসে বারুদের গন্ধ। ভাঙা বিল্ডিংয়ের টুকরো ছড়িয়ে আছে সর্বত্র, ধুলো উড়ছে। অনেক দূর থেকে টেলি লেন্স দিয়ে সার্ব সৈনিকরা তাকে দেখতে পাচ্ছে, এক্ষুনি স্নাইপারের গুলিতে তার বুক ছিন্নভিন্ন হয়ে যেতে পারে। কিন্তু মানুষটার সে সব খেয়াল নেই। সে একমনে সেলো বাজিয়ে চলল। আলবিনোনি আডাজিওর জি মাইনারের সুর গুঞ্জরিত হতে লাগল সারাজেভোর অলিগলি। যারা শুনল, ভাবল লোকটার মাথা খারাপ হয়ে গেছে। এখনও যে গুলি খেয়ে বা বোমা ফেটে মরেনি এই আশ্চর্য! এমন পাগলামি কেউ করে?

    হ্যাঁ, কেউ কেউ করে। একবার নয়, বারবার করে। পরদিন স্মেলোভিক আবার ফিরে এল সেখানে। আবার বাজাতে লাগল সেই সুর। একই জায়গা, একই সুর, একই দরদ দিয়ে। তাঁর চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়ছে। তারপর দিন সে আবার ফিরে এল। তারপর দিন আবার এল।

    বাইশ দিন ধরে, ক্রমাগত, একই জায়গায় এসে সে সেলো বাজিয়ে গেল। বাইশজন অকালমৃত মানুষের স্মৃতির উদ্দেশে। শেষের কয়েকদিন কেউ আর তাকে পাগল বলেনি, বরং ক্রমে একে একে আরো মানুষ এসে জড় হয়েছেন সেখানে। চুপ করে দাঁড়িয়ে বাজনা শুনেছেন, প্রার্থনা করেছেন, ফুল চড়িয়েছেন। সকলেই ভীত, সন্ত্রস্ত, আশঙ্কিত। সবাই জানে শত্রুরা তাদের দেখতে পাচ্ছে। একটা মর্টার চার্জ করলে সবাই মরবে। কিন্তু তবু তারা এসেছেন। প্রথমে দুজন, তারপর চারজন, তারপর পনেরোজন... একজন মানুষ যখন নিজের জীবনের চিন্তা না করে সেলো বাজাতে পারছে, তারা একটু সঙ্গও দিতে পারবে না? যারা চলে গিয়েছে, তাদের একটু শ্রদ্ধাও জানাতে পারবে না মৃত্যুর ভয়ে? তাহলে মানুষ হয়ে জন্মে আর লাভ কী?

    বাইশদিন পর সবাই ভাবল, সেলিস্ট মহাশয় এইবার ক্ষান্ত দেবেন। কিন্তু কোথায় কী? দেখা গেল ভেদ্রান স্মেলোভিক তার টেল কোট পরে অন্য এক জায়গায় উপস্থিত হয়েছেন, অন্য কোনও ধ্বংসস্তুপের মধ্যে বসে তিনি বাজিয়ে চলেছেন তাঁর বাজনা! এই তাঁর প্রতিবাদ! এই তাঁর শ্রদ্ধাজ্ঞাপন।

    দু একদিন নয়, দীর্ঘ দু বছর ধরে এই মানুষটি সেলো বাজিয়েছেন যুদ্ধের পরোয়া না করে। সেরাজেভোর বুকে রোজ সকালে বেজে উঠত তাঁর সেলোর সুর। কোনোদিন ধ্বংসপ্রাপ্ত স্কুল, কোনোদিন হাসপাতাল, কোনোদিন ভেঙে পড়া কবরখানার ভিতর থেকে। একদিনের জন্যও থামেননি। সবাই ভাবত, আজই বুঝি শেষ দিন। সেলিস্টটার ছিন্নভিন্ন দেহ নিয়ে আসতে হবে তাদের। কিন্তু, স্মেলোভিক মরেননি। হয়তো শত্রুরাও তাঁকে দেখে আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিল। ধীরে ধীরে এই মানুষের কথা লোকে জানতে শুরু করে।  হোয়ান বায়েজ সারাজেভোতে এসে তাঁর সঙ্গে যোগ দেন, চলে আসেন সুসান সোনটাগ। শিল্পীমহলে তখন স্মেলোভিক এক কিংবদন্তিতে পরিণত হয়েছেন৷ সারা দুনিয়া থেকে শিল্পী, লেখক, গায়করা তাঁকে সমর্থন জানাচ্ছেন, তাঁকে নিয়ে বই, নাটক, গান লেখা হচ্ছে, শয়ে শয়ে শিল্পী এসে যুদ্ধবিরোধী মিছিল করছেন সারাজেভোতে। উইনাইটেড নেশনসের টনক নড়েছে, শিল্পীদের বিবৃতি আর অনুরোধের ফলে সাহায্য আসছে একটু একটু করে। সেই ধ্বংসপ্রাপ্ত শহরে তখন একদিকে গুলির শব্দ, অন্যদিকে সঙ্গীত অনুষ্ঠান হচ্ছে। 'সেলিস্ট অফ সারাজেভো' নিয়ে সারা দুনিয়ায় লেখালিখি হচ্ছে, চাপ পড়ছে যুদ্ধবিরতির জন্য। 

    ১৯৯৬ সালে সারাজেভোর সিজ তুলে নেওয়া হয়। শান্তিও আসে একসময়। তার অনেক আগেই স্মেলোভিক নর্দার্ন আইল্যান্ডে চলে গেছেন, এখনও ওখানেই থাকেন। প্রচারমাধ্যম থেকে নিজেকে যথাসম্ভব সরিয়ে রেখেছেন। বলেছেন, "আমি শিল্পী, সেলেব নই। সারাজেভোর মানুষ হয়ে যেটুকু করা জরুরি মনে হয়েছিল, ততটুকুই করেছি। আমাকে হিরো বানাবেন না।"

    স্মেলোভিক এর কাহিনি অবশ্য থেমে থাকেনি, তা ছড়িয়ে গিয়েছে সারা দুনিয়ায়। এক প্রজন্ম থেকে পরের প্রজন্মে। কারিম ওয়াস্ফি বাগদাদের বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া বাজারে দাঁড়িয়ে তাঁর মতো সেলো বাজিয়েছেন, পারফর্ম্যান্স আর্টিস্টরা নিজের নিজের মতো করে যুদ্ধ আর অবিচারের জন্য প্রতিবাদ করার অনুপ্রেরণা পেয়েছেন এই কাহিনি থেকে। স্মেলোভিক নায়ক হতে চাননি, কিন্তু 'সেলিস্ট অফ সারাজেভো' নামটা চিরকালের জন্য কালচারাল রেজিস্ট্যান্সের প্রতীক হয়ে রইল।

    কালচারাল রেজিস্ট্যান্স কথাটা শুধুই কথা নয়। এবং, একজন মানুষের ক্ষমতাও কিছু কম নয়।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৩ মার্চ ২০২৫ | ১৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে মতামত দিন