এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • উইন্ডটকার্স

    Sudeep Chatterjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৯ মার্চ ২০২৫ | ৯৭ বার পঠিত
  • নেজ জন্মেছিল নিউ মেক্সিকোর চেকারবোর্ড অঞ্চলে। ইন্ডিয়ান নেটিভদের পরিবার, বাবা মা দুজনেই মেষপালক, দিন চলে কষ্টেসৃষ্টে। কিন্তু দারিদ্র‍্য নিয়েও দিন কাটানো যায়, যদি বাবা মায়ের হাত থাকে মাথার ওপর। দু মুঠো চাল থুড়ি ব্রেড মাংস জুটেই যাবে কোনওক্রমে৷ কিন্তু সে যুগে ওইটুকু সৌভাগ্যও অধিকাংশ নেটিভ ছেলেদের হত না। কড়া নিয়ম মেনে ইন্ডিয়ান দম্পতিদের ছেলেদের প্রায় জোর করেই বাড়ির লোকের চেয়ে দূরে সরিয়ে ইংরেজি শিক্ষাব্যবস্থায় দীক্ষিত করার জন্য বোর্ডিংয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হত। উদ্দেশ্য সহজ, ইন্ডিয়ানদের তাদের শিকড় থেকে আলাদা করে দেওয়া, তাদের সংস্কৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন করে আধা মার্কিনি সাহেবে বদলে দেওয়া, যাতে অতীতের মতো ইন্ডিয়ানরা কখনও তাদের অধিকার নিয়ে লড়তে না আসে, মুখ বুজে সাদা চামড়ার কথা মেনে নেয়। তবে এই বদল শুধু খাতায় কলমেই ছিল বলাবাহুল্য। প্রত্যেক নেটিভ ইন্ডিয়ানকেই ভালোরকম বুলিং আর নিষ্ঠুরতার মুখোমুখি হতে হত, তাদের ভাষা আর সংস্কৃতি নিয়ে খোঁটা শুনতে হত দিনরাত, মারও খেতে হত আকছার৷ মুখ বুজে সহ্য করা ছাড়া উপায় নেই! অনেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করত, কিন্তু ধরা পড়লে কঠিন শাস্তি, আর সেক্ষেত্রে পড়াশোনার সুযোগও আর পাওয়া যাবে না। নেজ দাঁতে দাঁত চেপে ঠিক করল, সে সব সহ্য করে পড়াশোনা চালিয়ে যাবে, কিছুতেই হার মানবে না।

    সময় কাটে। নেজ শত বাধাবিপত্তি বৈষম্যকে অতিক্রম করে পড়াশোনা শেষ করে। তার মন সংকীর্ণ ছিল না। তার উপজাতির মানুষের সঙ্গে কত অন্যায় অবিচার হয়েছে সে কথা মনে না রেখে সে দেশের কথা ভেবে ইউ এস ম্যারিনে জয়েন করে।

    তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামা বেজে উঠেছে। পার্ল হার্বারে জাপানি আক্রমণের পর মার্কিনি সেনায় সাজো সাজো রব। আটলান্টিকের তীরে মিত্রশক্তির সৈন্য আর প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে মার্কিন নৌবহর— সর্বত্র যুদ্ধের আঁচ। একদিকে জার্মানির হিটলারের নাৎসি বাহিনী, অন্যদিকে জাপানের সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন। মিত্রশক্তির কাছে তখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল নিজেদের মধ্যে সুরক্ষিত যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি করা। কারণ, রেডিও কমিউনিকেশন ইন্টারসেপ্ট করায় জাপানিদের সমকক্ষ কেউ ছিল না। যতই এনক্রিপ্টেড মেসেজ হোক না কেন, যতই গোপন সংকেত ব্যবহার করা হোক না কেন, জাপানিরা ঠিক বুঝে ফেলত, তাই যুদ্ধক্ষেত্রে অ্যালাইড পাওয়াররা মোটেও সুবিধা করতে পারছিল না। সব স্ট্র‍্যাটেজির কাট জার্মান আর জাপানিরা আগে থেকেই ভেবে রেখেছে। ঠিক এমন সময় একদল ছেলের আগমন হল, যারা বদলে দিল যুদ্ধের গতিপথ। তাঁরা হলেন নাভাজো কোড টকার (Navajo Code Talkers)।

    তখন ১৯৪২ সাল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পুরোদমে চলছে। মার্কিন নৌ-বাহিনীর একের পর এক সামরিক পরিকল্পনা ভেস্তে যাচ্ছে। এমন সময় ফিলিপ জনস্টন নামের এক ব্যক্তি মার্কিন মেরিন কোরের কাছে একটি প্রস্তাব নিয়ে এলেন। জনস্টন ছিলেন মিশনারির সন্তান। তিনি ইন্ডিয়ান নাভাজোদের মধ্যে বড় হয়েছেন এবং তাদের ভাষা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে অবগত ছিলেন। তিনি প্রস্তাব দিলেন, নাভাজো ভাষায় একটি কোড তৈরি করা হোক, যা ব্যবহার করে ইউ এস ম্যারিনরা নিজেদের মধ্যে নিরাপদে যোগাযোগ বজায় রাখতে পারবে।

    নাভাজোদের কথা উঠতে নেভি কর্তাদের মনে পড়ল, তাদের ইউনেটেই তো এমন বেশ কিছু ছেলেমেয়ে আছে। নেজ বলে যে ছেলেটাকে পরিবারের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে বোর্ডিংয়ে পাঠানো হয়েছিল, সে খুবই দক্ষ ম্যারিন। নাভাজো ভাষা তো জানেই, ইংরেজিতেও বলতে পারে গড়গড় করে। প্রযুক্তিগত জ্ঞানও চমৎকার। ফিলিপ জোরাজুরি করলে তাকে সঙ্গে করে ব্যাপারটা নিয়ে আলোচনা করাই যায়। কিন্তু সেই নিয়ে খুব একটা ভরসা কারোরই ছিল না। নেটিভ ইন্ডিয়ানদের ওপর এমনিতেও সেকালে কেউ বিশেষ ভরসা করত না।

    ফিলিপ অবশ্য জানতেম, এই ছেলেগুলোর জবাব নেই। তারা সাহসী, বুদ্ধিমান, ডেডিকেটেড। নাভাজোদের ভাষাও অত্যন্ত জটিল, তার কোনও লিখিত রূপও নেই। এই ভাষার জটিলতা এবং সীমিত ব্যবহারই সেটাকে কোড হিসেবে ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত করে তুলবে। কারণ, জাপানিদের পক্ষে এই ভাষা বোঝা প্রায় অসম্ভব।

    মার্কিন ম্যারিন কোর প্রথমে বিষয়টি নিয়ে সন্দিহান ছিল, কিন্তু ক্ষিদে পেলে বাঘে ঘাস খায়। বিপাকে পড়ে তারা জনস্টনের প্রস্তাবে রাজি হয়। শুরু হয় এক নতুন অধ্যায়। নেজ এবং উনত্রিশজন নাভাজো তরুণকে নির্বাচন করা হল, যাদের কাজ ছিল ম্যারিন কোরের জন্য একটি নতুন কোড তৈরি করা। এই উনত্রিশজন যোদ্ধা ছিল নাভাজো কোড টকারের প্রথম প্রজন্ম।

    নেজ ও অন্যান্য নাভাজো ম্যারিন তরুণ মিলে এমন একটি জটিল কোড তৈরি করল, যেখানে দৈনন্দিন ব্যবহৃত শব্দগুলোর বদলে সামরিক পরিভাষা ব্যবহার করা হত। উদাহরণস্বরূপ, 'বোমা' বোঝাতে নাভাজো ভাষায় 'ডাহে-ডী-টিন-ডী' (da-he-di-tih-hi) শব্দটি ব্যবহার করা হতো, যার অর্থ 'ডিমের মতো'। একইভাবে, 'সাবমেরিন'-এর জন্য ব্যবহার করা হতো 'বে-লো-হানা' (besh-lo-cha-ah), অর্থাৎ 'লোহার মাছ'।

    এই কোড এতটাই জটিল ছিল যে খোদ নাভাজোরাও, যারা এই কোড তৈরির সঙ্গে যুক্ত ছিল না, এর কিছুই বুঝতে পারত না।

    কাজ সেখানেই শেষ নয়। ফ্রন্টে পাঠানোর আগে এই কোড টকারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হল নানাভাবে। নেজ যোগ দিল প্যাসিফিক ওয়ারে মোতায়েন গুয়াদালকানাল ইউনিটে। এতদিন শুধুই ক্রিপ্টোগ্রাফি নিয়ে কাজ হচ্ছিল, এইবার হাতেকলমে তার ব্যবহার শুরু হল, নাভাজো কোড টকাররা সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে শুরু করল। তাদের কাজ ছিল যুদ্ধক্ষেত্রে সংকেত ট্রান্সমিট এবং রিসিভ করা। নাভাজো কোড টকাররা এতটাই দ্রুত এবং নির্ভুলভাবে কাজ করত যে, খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তাদের ইউনিটটা ম্যারিনদের কাছে অপরিহার্য হয়ে উঠল।

    সামগ্রিকভাবে দেখতে গেলে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাভাজো কোড টকারদের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা প্রশান্ত মহাসাগরের একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। গুয়াদালক্যানাল, তারাওয়া, ইওজিমা এবং ওকিনাওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধগুলোতে তাদের পাঠানো সংকেতের ওপর নির্ভর করেই মার্কিন সেনারা কৌশল নির্ধারণ করত।

    ইওজিমার যুদ্ধ ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। এই যুদ্ধে নাভাজো কোড টকাররা আটশোর বেশি বার্তা পাঠিয়েছিল, যার একটিও ভুল ছিল না। এই নির্ভুল যোগাযোগ ব্যবস্থা ম্যারিন সেনাদের দ্রুত যুদ্ধ জিততে সাহায্য করেছিল।

    মেজর হাওয়ার্ড কনর, যিনি ইওজিমার যুদ্ধে নাভাজো কোড টকারদের সিগন্যাল অফিসার ছিলেন, বলেছিলেন, "যদি নাভাজোরা না থাকত, তাহলে ম্যারিন সেনারা কখনোই ইওজিমা দখল করতে পারত না।" জাপানি সামরিক বিশেষজ্ঞরা সব ধরনের চেষ্টা করেও এই কোড ভাঙতে ব্যর্থ হন।

    বলাবাহুল্য, নেজ এই সমস্ত কিছুর সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে ছিল। এনক্রিপশন আর ডিক্রিপশনে তার মতো দক্ষ বিশেষ কেউ ছিল না, কিন্তু এর পাশাপাশি নেজের অবজার্ভেশনাল পাওয়ারও ছিল সাংঘাতিক। একবার সে যা দেখত, সে তার মাথায় ছাপা হয়ে যেত। ভাগ্যিস, কারণ যুদ্ধের বহুবছর পর নেজ 'কোড ব্রেকার' বলে একটা বই লিখবে, যা পড়ে নাভাজো সংস্কৃতি আর যুদ্ধে নাভাজো কোড টকারদের  ভূমিকা সম্পর্কে বিশদে জানা যাবে৷ জাপানি সৈনিকদের ডু অর ডাই অ্যাটিটিউড নিয়েও তিনি ডিটেলে লিখেছেন।

    "The Japanese who held Guadalcanal were trained not to surrender. Their war strategy revolved around the Bushido code, an ancient way of the warrior first developed by the Samurai. This code of conduct extolled loyalty and obedience. Soldiers were required to fight to the death and take as many of their enemy with them as they could. Even facing impossible odds, Japanese soldiers chose to blow themselves up hoping to blow American soldiers up rather than surrender. They would die for their Emperor."

    যুদ্ধের পর বহু বছর পর্যন্ত নাভাজো কোড টকারদের প্রোগ্রামের ইনফর্মেশন গোপন রাখা হয়েছিল। কারণ, মার্কিন সরকার মনে করত, ভবিষ্যতে আবারও এই কোডের প্রয়োজন হতে পারে। দীর্ঘকাল তাঁরা ছিলেন বিস্মৃতির অন্তরালে। যে সমস্ত নাভাজো ইন্ডিয়ান নীরবে দুনিয়ার ইতিহাস বদলানোর জন্য জীবনের তোয়াক্কা করেনি, তাদের কথা কেউ জানল না। যুদ্ধ শেষ হল, নেটিভ ইন্ডিয়ানদের প্রতি মনোভাবে বদল এল না। নেজের মতো সবাইকেই সারাজীবন কটাক্ষ শুনে যেতে হয়েছে।

    অবশেষে, ১৯৮২ সালে প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগান নাভাজো কোড টকারদের স্বীকৃতি দেন এবং ১৪ই আগস্টকে 'নাভাজো কোড টকার দিবস' হিসেবে ঘোষণা করেন। ২০০০ সালে প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন মূল উনত্রিশজন নাভাজো কোড টকারকে 'কংগ্রেসনাল গোল্ড মেডেল' দিয়ে সম্মানিত করেন। ক্রিপ্টোগ্রাফির ইতিহাসে এমন সব কাহিনি আছে শুনলে গায়ে কাঁটা দেয়। নাভাজো কোড টকারদের কাহিনি তাদের মধ্যে অন্যতম।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৯ মার্চ ২০২৫ | ৯৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aranya | 2601:84:4600:5410:b06b:8090:cbb3:***:*** | ৩১ মার্চ ২০২৫ ০৯:৩৮542014
  • ভাল লাগল 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি প্রতিক্রিয়া দিন