এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  স্মৃতিচারণ  নস্টালজিয়া

  • তিন দশকের প্রাচীন টি

    সমরেশ মুখার্জী লেখকের গ্রাহক হোন
    স্মৃতিচারণ | নস্টালজিয়া | ২৭ মে ২০২৪ | ৪০৬ বার পঠিত

  •  
    সেদিন আলমারিতে ঘরে পরার জামাকাপড়ের  তাকে হাঁটকাতে গিয়ে চোখে পড়লো একটি তুঁতে রঙের টি-শার্ট‌। সেটা ১৯৯৪ সালে সুন্দরগড়ে সরকারি বাস‌স্ট‍্যান্ডের কাছে সুজাতা স্টোর্স থেকে কেনা। এটুকুই এই স্মৃতি‌চারণার সাবান। সেটা‌‌ই স্মৃতি‌র জলে পড়ে, রোমন্থনের হাতে ঘুলে, নস্টালজিয়ার শ্বাসে ফুলে হয়ে দাঁড়ালো নিম্নোক্ত শব্দ-ফেনা। 

      অক্টোবর ১৯৯২ থেকে মার্চ ১৯৯৭ কর্মসূত্রে ছিলাম সুন্দরগড়ে। ওটি ওড়িশার দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলা। ছোট্ট সুন্দরগড় শহর জেলা সদর হলেও তখন‌ তা ছিল এক শান্ত জনপদ। বহিরাগতের রাত্রিবাসের একমাত্র জায়গা দেবাশীষ হোটেল। ভোজনের একমাত্র ভদ্রস্থ ঠিকানা উৎসব হোটেল। একমাত্র সিনেমা হল বিজয়া টকিজ, যেখানে চার বছরে মাত্র একবার, একা গিয়ে দেখেছিলাম একটিমাত্র সিনেমা - মূখ‍্য ভূমিকা‌য় সানি দেওল, পূজা ভাটের 'অঙ্গরক্ষক'। 

    ব্রিটিশ আমলের সদর হাসপাতালটি টালির চালের। বাইক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে তাতে একবার ভর্তি‌ও ছিলাম একরাত।  ছিল হেড পোষ্ট অফিস, ও দুটি ব্রাঞ্চ পোষ্ট অফিস। একটি মাত্র ব‍্যাঙ্ক - স্টেট ব‍্যাঙ্কের একটি বড় শাখা, একটি পেট্রল পাম্প, সার্কিট হাউস, সেশন কোর্ট, কালেক্টর অফিস, এস.পি বাংলো, জেল, কেন্দ্রীয় বিদ‍্যালয় ইত‍্যাদি‌। অর্থাৎ একটি জেলা সদরের ন‍্যূন‍্যতম যেটুকু প্রশাসনিক পরিকাঠামোর প্রয়োজন হয়, সেটুকু‌ই। এইসব নিয়ে তখন সুন্দরগড় যা ছিল তাকে শহর বলতে এখনকার প্রজন্ম হয়তো নাক সিঁটকোবে। আমাদের পুঁচকে ১৪” BPL কালার টিভিতে তখন কেবলে আসতো দুটি মাত্র চ‍্যানেল - DD ও Zee.

    তবু, দীর্ঘ তিরিশ বছর পরে‌ও, সেদিন এই টি-শার্ট‌টি দেখে মনে পড়ে গেল সদ‍্যবিবাহিত জীবনের চারটি বছর কী সুন্দর‌ই না কেটেছিল সুন্দর‌গড়ে! 
     
    তখন L&T ওখানে ১৬৩ কিমি দীর্ঘ সম্বলপুর - রৌরকেলা (SH-10) হাইওয়ে‌ পূনঃনির্মাণ  প্রকল্পের কাজ করছি‌ল। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব‍্যাঙ্ক ফান্ডেভ সেই প্রোজেক্ট তিনটে প‍্যাকেজে বিভক্ত ছিল। S2= সম্বলপুর থেকে ঝাড়সুগুদা। S3= ঝাড়সুগুদা থেকে বারগাঁ‌ও। S4= বারগাঁ‌ও থেকে রৌরকেলা। আমার পোষ্টিং ছিল মাঝে ৫৭ কিমি দীর্ঘ S3 প‍্যাকেজে। পেশাগত জীবনে ছিল নানান বৈচিত্র্যময় চ‍্যালেঞ্জ। নিরিবিলি জনপদে আটপৌরে জীবনযাত্রা‌‌ও কিছু আকর্ষণীয় মানুষের সাহচর্যে কেটেছিল বেশ আনন্দে। চিরকাল স্বল্পে সন্তুষ্ট বলে ঘরে বাইরে বস্তুগত উপকরণে‌র অভাবে বিশেষ কোনো মনোকষ্ট তখন টের পাইনি। আজ‌ও পাইনা।

     সুন্দরগড়ে কোনো রেল স্টেশন নেই। কারণ সুন্দরগড়ে‌র তৎকালীন রাজা  তা চাননি। তাঁর মনে হয়েছিল রেল যোগাযোগ হলে যেসব অনুষঙ্গের আমদানি হবে - বহুল জনসমাগম, তুমুল কোলাহল, চুরি-ছ‍্যাঁচরামি - তা উৎপাত বিশেষ। ফলে ১৮৯৯ সালে খড়্গপুর স্টেশন তৈরি হবার পর ১৯০০ সালে বেঙ্গল-নাগপুর রেল‌ওয়ের বোম্বে হাওড়া রেললাইন ঝাড়সুগুদা থেকে ডাইনে বেঁকে বামরা, রাজগঞ্জ‌পুর ছুঁয়ে রৌরকেলা, জামশেদ‌পুর হয়ে চলে গেল হাওড়া। সুন্দরগড় বাঁদিকে, একান্তে পড়ে র‌ইলো অচ্ছুত কন‍্যার মতো। আমরা‌ও হাওড়া আসতে ট্রেন ধরতাম  তিরিশ কিমি দুরে ঝাড়সুগুদা স্টেশন থেকে। 

      তবে সেখানে তখন ছিল না একটিও কারখানার চিমনি। ছিল শহরের মধ‍্যে‌ই একটি বড় আয়তকার লেক ও সংলগ্ন উদ‍্যান। পাশেই একটি অনুচ্চ টিলা। অদুরে সর্পিল পথে প্রবাহিত ইব নদী। তার তীরে প্রাচীন সম্বলেশ্বরী, মহাদেব, জগন্নাথ ও আরো কয়েকটি  মন্দির। নদীর কাছেই অতীতের রাজবাড়ী। অদুরে রাজার আমলে তৈরি রিজেন্ট মার্কেট। ছিল একটা বড় খেলার মাঠ ও স্টেডিয়াম। 
     
    জনপদে রাস্তার দু পাশে ছিল অনেক গাছ, কারণ অতীতে সুন্দর‌গড়ের রাজা ছিলেন বৃক্ষপ্রেমী। তার অনেকগুলি ছিল শতাব্দী প্রাচীন মহীরুহ। প্রখর গ্ৰীষ্মে‌র দুপুরে‌ও সেইসব গাছের ঘন ছায়াময় পথ ধরে হাঁটতে বেশ লাগতো। এইসব সামান্য আয়োজন নিয়ে সাকুল্যে দুই বাই দুই কিমি‌ এলাকায় বিস্তৃত ছিল ওড়িশার দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলার সদর শহর সুন্দর‌গড়। সে তুলনায় স্টীল প্ল‍্যান্ট, রিজিওনাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এসবের দৌলতে ঐ জেলার‌ই অন্তর্গত শ খানেক কিমি দুরে রৌরকেলা তখনই ছিল বেশ জমজমাট।
      
      দেশে বা সমাজজীবনে দীর্ঘ সময়ের ব‍্যবধানেও অনেক কিছু‌ই বিশেষ বদলায়‌ না। তা যেন শালগ্ৰাম শিলার মতোই অনড়, অক্ষয়। তাই স্বাধীনতা‌র প্রায় ৭৭ বছর পরেও দেশের অধিকাংশ সম্পদ কুক্ষিগত হয়ে থাকে মুষ্টিমেয় ধনীদের কাছে। এখনও প্রতি বছর বহু কৃষক নিদারুণ অভাবে আত্মহত্যা করেন। এই লজ্জায় যাঁদের মাথা নত হ‌ওয়ায় কথা তাঁরা কথার ফুলঝুরিতে নির্বাচনী জনসভায়  প্রতিশ্রুতির ফানুস ওড়ান।

        ব‍্যক্তির জীবনে তিন দশক বড় কম সময় নয়। এই দীর্ঘ সময়ে ঘরে বাইরে তার নিজস্ব পরিসরে অনেক কিছু বদলায়। পুরানো গাড়ি বাতিল হয়, নতুন গৃহে প্রবেশ হয়, পুরানো সম্পর্কে শ‍্যাওলা ধরে, নতুন অহং পুষ্ট হয়, পুরানো স্মৃতি‌ ধূসর হয়, নতুন মানে খুঁজতে হয়। এমন নানা পরিবর্তনের প্রভাবে কখনো জীবনের কিছু সরল সমীকরণ ক্রমশ বিবর্তিত হয় জটিল অসমীকরণে। 

    এসবের মাঝে তিন দশক ধরে একটি সামান্য টি-শার্ট নীরবে সার্ভিস দিয়ে যায়! ভেবে অবাক লাগে। এখনো তা কোথাও এতটুকু ছেঁড়েনি, সেলাই খোলেনি। তবে তার উজ্বল রঙ বহু ব‍্যবহারে কিঞ্চিৎ বিবর্ণ হয়ে গেছে। তবে পুরোনো হলে‌ও ব‍্যবহারে‌র উপযোগী পোশাক বা অন‍্য কোনো বস্তু‌ও প্রাণে ধরে বাতিল করতে পারি না আমি। এই টি-টা বহু কাচাকাচিতে হয়ে গেছে কিছুটা ঢিলেঢালা, মোলায়েম‌। তাই পরলে খুব আরাম হয়, যেন গায়ে বোলানো মা, ঠাকুমার স্নেহময় হাত। তাই ওটা দেখে উথলে উঠলো কিছু প্রাচীন স্মৃতির ঢেউ! অলস ভাবনা ভাজলো কিছু পেঁজা কথা‌র খ‌‌ই!  

    অনেকের‌ই সঙ্গত কারণে নামী, বিদেশী brandএর প্রতি দূর্বল‌তা আছে। এটি লুধিয়ানা‌র একটি দেশী brand - Duke. এহেন সার্ভিস দেওয়ার জন‍্য আমি এই দেশী পণ‍্যটির গুণমানের প্রশংসা না করে পারলাম না।

    খুব ইচ্ছে করে সুন্দর‌গড়ের নানা সুন্দর স্মৃতি শব্দের মোড়কে ধরি। সময়ের সাথে স্মৃতি ক্রমশ ধূসর হয়ে আসছে। জানি না সেসব কখনো লিখে উঠতে পারবো কিনা। 

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • স্মৃতিচারণ | ২৭ মে ২০২৪ | ৪০৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাপাঙ্গুল | ২৭ মে ২০২৪ ১২:০৩532372
  • সুন্দর‌গড় নিয়ে আরো লিখলে পড়তে ইচ্ছুক। 
  • সমরেশ মুখার্জী | ২৭ মে ২০২৪ ২০:৫৫532400
  • @ পাপাঙ্গুল
    ধন‍্যবাদ।
     
    সুন্দরগড়ে সাড়ে চারটি বছর কাটানোর সময়কালে নানা আকর্ষণীয় অভিজ্ঞতা হয়েছিল। সেখানকার নানা ঘটনা, বৈচিত্র্যময় মানুষ, আমাদের ব‍্যক্তি জীবনের কিছু আনন্দ, ক্রাইসিস, আশপাশে ভ্রমণ এসব নিয়ে বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন সময়ে অনেক‍কিছু লিখেছি‌লাম। সেসব গুছিয়ে একটা সিরিজ লেখার ইচ্ছা আছে। 
     
    তাতে আসবে চিকিৎসা, বায়োলজি, রাস্তা নির্মাণ প্রকল্প সংক্রান্ত সামান্য কিছু টেকনিক্যাল - কিছু সাধারণের আগ্ৰহের বিষয়, অতীতের সুন্দর‌গড় রাজ‍্যের বৃত্তান্ত, রামায়ন - মহাভারতের খণ্ডাংশ এমন নানা পার্শ্বপ্রসঙ্গ। প্রতি পর্বে নানা প্রসঙ্গে‌র উপশিরোণাম দেওয়া থাকবে যাতে যেসব অংশে পাঠকের আগ্ৰহ নেই সে তা স্কিপ করে যেতে পারে। 
     
    যোষিতার "এল ডোরাডো" লেখাটি‌ও বেশ লাগছিল। আগ্ৰহ নিয়ে পড়ছি‌লাম। ৩ রা মার্চ থেকে বন্ধ হয়ে গেল।ভাটে, ট‌ই‌তে অনুরোধ করলাম ওটা চালু করতে। কিন্তু তিনি ভাটে কিছুদিন এ্যান্ডরের সাথে ট্রোল নিয়ে কুটকচা৯তে ব‍্যতিব‍্যস্ত হয়ে র‌ইলেন। তারপর নীরব হয়ে গেলেন। এল ডোরাডো ওখানেই রয়ে গেল, আর আগে বাড়লো না। 
     
    আমার অন‍্য সিরিজ "দোলজ‍্যোৎস্নায় শুশুনিয়ায়"  লেখাটি‌ও আমি খেটে, প‍্যাশনেটলি লিখেছি‌লাম। এখানে তা বিশেষ কেউ না পড়লেও আমি কিন্তু নিয়মিত পোষ্ট করে যাচ্ছি। কারণ যে কজন পড়ছেন, তাদের মাঝপথে ঝুলিয়ে রাখতে পারি না।  
     
    দেখি কবে নামাতে পারি সুন্দর‌গড় সিরিজ। কিন্তু একবার শুরু করলে মাঝপথে দীর্ঘ গ‍্যাপ দেবো না। কারণ সেটা কাম‍্য নয়।
     
    ভালো থাকবেন।
  • যোষিতা | ২৭ মে ২০২৪ ২১:০২532401
  • গোল্ডিদির পুত্রের অসুস্থতা, পরে মৃত্যু, এইগুলো আমাকে এতটা প্রভাবিত করছে যে এল ডোরাডো নিয়ে ভাবলেই শরীর খারাপ লাগে। বিশ্বাস করুন।
  • সমরেশ মুখার্জী | ২৭ মে ২০২৪ ২১:৫৩532409
  • @ যোষিতা 

    এল ডোরাডো বন্ধ হোলো ৩রা মার্চ। তার  ২২ দিন পরে ২৫শে মার্চ শুরু করলেন অন‍্য একটা ট‌ই "পূজা‌র জানলা"। চললো ৪ঠা এপ্রিল অবধি।

    আমি (২৫/৩) এই পূ-জা ট‌ই‌তে‌ই অনুরোধ করেছিলাম থমকে যাওয়া এল ডোরাডো আবার চালু করতে। আপনি কোনো জবাব দেননি।

    আপনি ভাটে ১৪/৪ গোল্ডিজির অসুস্থ পূত্রের জন‍্য ক্রাউড ফান্ডিং‌য়ের খোঁজ করেছি‌লেন। ভাটে‌ই ৮/৫ জানালেন শ্রেয়স মারা গেছে।
     
    এটা আপনার পক্ষে এল ডোরাডো নিয়ে না লেখা‌র কারণ হতে‌ পারে। আমি বুঝতে পারি‌নি। দুঃখিত।
     
    তবে কেন মনে হয়নি ওটা এল ডোরাডো বন্ধ  করে দেওয়ার কারণ হতে পারে, সেটা বলি: 
     
    ১. এল ডোরাডো লেখায় বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতি‌তে লড়াই করে এগিয়ে যাওয়া চরিত্র হিসেবে যোষিতা উপস্থাপিত হয়েছে। এমন সব কঠিন পরিস্থিতি সামাল দিতে অনেক শক্ত চরিত্রে‌র পুরুষ‌কেও যথেষ্ট বেগ পেতে হতো। সেই চরিত্রের সাথে শ্রেয়সের মৃত্যুর জন‍্য এল ডোরাডো লিখতে না পারার ভাবাবেগ আমি কোরিলেট করতে পারিনি।
     
    ২. শ্রেয়সের অসুস্থ‌তা ও মৃত্যুর আগে / মাঝে / পরে যেভাবে আপনি ভাটে নানা বিষয়ে এবং মূলতঃ ট্রোল নিয়ে  লাগাতর Interact & Strongly React করেছেন তার থেকে শোক বিহ্বল যোষিতাকে আমি উপলব্ধি করতে পারিনি। 
     
    এখন বললেন বলে এল ডোরাডো বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ জানলাম। আর কখনো তা চালু করার জন‍্য বলবো না। এটা কোনো মান অভিমানের কথা নয়। A dispassionate open submission হিসেবে নেবেন।
     
    ভালো থাকবেন।
     


     
  • যোষিতা | ২৭ মে ২০২৪ ২১:৫৯532410
  • ওরে বাবারে! 
    একটু ধৈর্য ধরুন। মন ভাল হলেই লিখব।
  • সমরেশ মুখার্জী | ২৭ মে ২০২৪ ২২:১১532411
  • মুড ঠিক করার ভাগলপুরী টোটকা হচ্ছে কোমরে শাড়ি জড়িয়ে ভাটে তেড়ে ঝগড়া করা cheeky
     
    অবশ‍্য শাড়ি না পরলে, বিকল্প পন্থা হিসেবে কোমরে কষে বেল্ট বাঁধলেও চলবে wink
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে প্রতিক্রিয়া দিন