বছর পাঁচেক আগে একদিন কলকাতার চাঁদনি মার্কেটে গেছি একটা কাজে। এক পথচারী এক দোকানীকে জিজ্ঞাসা করলেন, দাদা মদন স্ট্রীটটা কোন দিকে? দোকানী হাত ইশারায় দেখালেন। প্রশ্নটা স্মৃতিতে দুভাবে নাড়া দিল। ১৯৭৫ সালে দাদার সাথে কয়েকবার ঐ পথের ঘুপচি দোকানগুলোতে ঘুরেছি রেডিও পার্টসের সন্ধানে। দাদা বই পড়ে, সার্কিট দেখে দু তিনটে রেডিও বানিয়েছিল। তার একটায় গমগমে মহালয়া শুনে বাড়ির সবার সে কি খুশি! দাদার মুখেও সাফল্যের আনন্দ। তার দশবছর পরে, ১৯৮৫ থেকে ৮৯, আমার এক সহপাঠীর সাথে দেখা করতে চাঁদনী চক মেট্রো রেলের সাইট অফিসে অনেকবার গেছি। ও মেট্রো রেল নির্মাণ প্রকল্পে চাকরি করতো। সাইট ইঞ্জিনিয়ার। অনেকবার দুজনে ম্যাডান স্ট্রীটের ফুটপাথে লাঞ্চ করেছি। রাজভবনের কাছে ডেকার্স লেন, ইন্দোরের ‘খাউ গলি’ বা ফুড স্ট্রীটের মতোই ম্যাডান স্ট্রীটও একই কারণে বিখ্যাত। এতকাল আমি ঐ রাস্তাটা ম্যাডান স্ট্রীট বলেই জানতাম। ইনি সেটা পাতি বাংলায় মদন স্ট্রীট বললেন কেন?
নড়ে উঠলো মাথায় কৌতূহলের পোকা। গুগলদার হাত ধরে আন্তর্জালের গলিতে হেঁটে দেখলাম আমেরিকাতেও আছে ম্যাডান স্ট্রিটে একটি বাড়ির ঠিকানা - 6200, Madan Street, Bakersfield, California 93307, USA. অতীতে কলকাতার অনেক পার্ক, ঘাট, রাস্তার নাম ছিল ইংরেজদের নামে, যেমন কার্জন পার্ক, মিন্টো পার্ক, এলিয়ট পার্ক, ম্যাডক্স স্কোয়ার, ওয়েলিংটন স্কোয়ার, আমহার্স্ট স্ট্রিট, মেয়ো রোড, প্রিন্সেপ ঘাট ইত্যাদি। তাই এতদিন ভেবেছি ঐ রাস্তার নামটাও ম্যাডান স্ট্রীট, মানে কোনো ইংরেজি নাম। কিন্তু পাতি বাংলায় মদন শুনে মনে হোলো হতেও তো পারে কোনো ভারতীয় মদনের নামেই ঐ রাস্তা? তবে রাস্তার নাম তো আর ‘সঙ্গে যে যায় ভাগ্নে মদন’ এর মতো কোনো মামুলী মদনের নামে হতে পারে না। তাই কিঞ্চিৎ খোঁজাখুঁজি করে প্রাকস্বাধীনতা যুগের তিন বিখ্যাত মদনের খোঁজ পেলাম।
এক, মদনলাল ধিংড়া (১৮৮৩-১৯০৯)। অমৃতসরের এই মদন ইংল্যান্ডে পড়াশোনা করার সময় ১৯০৯ সালের পয়লা জুলাই পয়েন্ট ব্ল্যাক রেঞ্জে গুলি করে খুলি উড়িয়ে দেন কার্জনের। না তিনি ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের প্রস্তাব করা ভারতীয়দের কাছে, বিশেষ করে বাঙালীদের কাছে খলনায়কে পর্যবসিত ভাইসরয় লর্ড কার্জন নন। অবশ্য মদনলাল প্রথমে তাঁকেই হত্যার ছক কষেছিল। মদনের গুলিতে নিহত কার্জন ছিলেন Sir William Hutt Curzon Wyllie - এক উচ্চপদস্থ ব্রিটিশ সামরিক অফিসার, যিনি পরে Secretary of State, India মনোনীত হয়েছিলেন। ফলে মদনলাল ধিংড়া ভারতীয় সশস্ত্র স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রথম পর্যায়ের শহীদের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং তাঁর নামে রাস্তাটি হতে পারে।
দুই, পন্ডিত মদনমোহন মালব্য (১৮৬১-১৯৪৬)। এলাহাবাদ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাপ্রাপ্ত এই কৃতী শিক্ষাবিদ ১৯১৬ সালে স্থাপনা করেন বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের যা সম্পূর্ণ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এশিয়ার মধ্যে বৃহত্তম। এই প্রসঙ্গে একটি জনশ্রুতি হয়তো অপ্রাসঙ্গিক হবে না। এই বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনার জন্য দান সংগ্রহের অভিলাষে মদনমোহন অনেকের কাছে গেছিলেন। হায়দ্রাবাদের নিজামের সাথে দেখা করে অনুদানের আর্জি পেশ করায় তিনি ক্রুদ্ধ হয়ে তাঁকে একপাটি জুতো ছুঁড়ে বলেছিলেন, আপনার স্পর্ধা তো কম নয়! হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় বানাবেন আর সেজন্য আমার কাছে এসেছেন দান চাইতে? মদনমোহন ধরেই নিয়েছিলেন বড়কাজের জন্য দান খয়রাত অনুগ্ৰহ ভিক্ষায় বেরোলে ছোটোখাটো ব্যক্তিগত অপমান গায়ে মাখলে চলে না। তাই শীতল মেজাজ ও তীক্ষ্ম মগজের মদনমোহন জুতোটা লুফে নিয়ে দরবারের বাইরে প্রতীক্ষালয়ে গিয়ে ঘোষনা করেন, এই জুতোটি নিজাম নীলাম করবেন। অপেক্ষমাণ ধনীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় নিজামের ব্যাক্তিগত সামগ্ৰী স্মারক হিসেবে সংগ্ৰহের উৎসাহে। নিজামও মদনমোহনের উপস্থিত বুদ্ধিতে মুগ্ধ হয়ে ও নিজের আচরণের জন্য লজ্জিত হয়ে মোটা অঙ্কের দান দেন। দৃঢ়সংকল্পকারী মহামানবেরা বৃহৎ উদ্দেশ্যসাধনে ব্যক্তিগত অপমানবোধ অগ্ৰাহ্য করে প্রতিকূল অবস্থাও অনুকুলে আনতে সক্ষম। সুতরাং তাঁর নামেও রাস্তাটি হতে পারে।
তিন, এক পার্সী ব্যবসায়ী, Jamshedji Framji Madan (১৮৫৬-১৯২৩)। তাঁর ছিল বিবিধ ব্যাবসা। কিন্তু তার মধ্যে সর্বাধিক সফল ও উল্লেখযোগ্য ছিল সিনেমা, থিয়েটারের। তাঁর উজ্জ্বল তারকা - Madan Theater Company. বোম্বেতে অনেকদিন ব্যবসা করে ১৯০২ সালে মদনজী কলকাতায় তাঁর ব্যবসা পরিচালন কেন্দ্র সরিয়ে আনেন। শুরু হয় এখানে তাঁর ব্যবসা বিস্তার। বিখ্যাত Regal Cinema (তখন Electric Theatre), Globe Cinema (তখন Grand Opera House) বা উত্তরা সিনেমা (তখন Crown Cinema) ছিল মদন থিয়েটার কোম্পানির অন্তর্গত। সাফল্যের শিখরে ভারত, বর্মা ও শ্রীলঙ্কা মিলিয়ে মদন থিয়েটারের অন্তর্ভুক্ত ছিল ১২৭ টি সিনেমা ও থিয়েটার হল।
J.R.D.Tata র মতো তিনিও J.F.Madan নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন। কলকাতায় শ্যুটিং হওয়া প্রথম নির্বাক চলচ্চিত্র ‘সত্যবাদী রাজা হরিশচন্দ্র’ প্রযোজনা করেন মদনজী যার পরিচালকও ছিলেন এক পার্সী - রুস্তমজী ধোতিওয়ালা। পদবী শুনে কিঞ্চিৎ অদ্ভুত লাগলও পার্সী পদবী এরকমই হয়ে থাকে - গাঞ্জাওয়ালা, দারুওয়ালা, ফার্নিচারওয়ালা। হয়তো ঐ বিশেষ ব্যবসায়ে তাঁদের বংশানুক্রমিক বুৎপত্তিতে এরকম উপাধিভূক্ত হয়ে গেছেন সেইসব পার্সী বাণিজ্য পরিবার গোষ্ঠী।
এই মদনজী আবার ভূষিত হয়েছিলেন C.B.E বা Order of Chivalry উপাধিতেও যা ছিল Most Excellent Order of British Empire. অসামরিক ক্ষেত্রে ব্রিটিশ খেতাব প্রদানের পরম্পরায় কলা, শিল্প, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান, সমাজসেবার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য C.B.E খেতাব পাওয়া ছিল একটি সম্মানজনক স্বীকৃতি। সুতরাং তাঁর নামেও রাস্তাটি হতে পারে।
কলকাতার রাজপথের ইতিহাস আমার জানা নেই। তবু এই রাস্তার নামকরণের উৎস সংক্রান্ত খোঁজাখুঁজির পর মনে হোলো, এতদিন আমি যা ভেবেছি - ম্যাডান স্ট্রীট - তা হয়তো ঠিক নয় - হয়তো ওটি মদন-ই হবে। আর তা যদি হয় তাহলে তিনটি সম্ভাব্য নামের মধ্যে আমার বিবেচনায় মনে হোলো, হয়তো জামসেদজী ফ্রামজী মদন মহাশয়ের স্মৃতিতেই ঐ রাস্তাটির নামকরণ হয়েছে। কারণ ঐ এলাকাটিই ছিল তাঁর কর্মভূমি। তবে এ বিষয়ে কোনো নিশ্চিত তথ্য খুঁজে না পাওয়ায় আমি স্থির সিদ্ধান্তে আসতে পারলাম না।
দিন দশেক পর আর একবার চাঁদনি চকে গেছিলাম। Madan Street এর গোটা তিনেক প্রাচীন দোকানে জিজ্ঞাসা করলাম, তারা কি রাস্তাটির নামের উৎপত্তিগত সুত্র জানে? কেউ কিছু বলতে পারলো না। অতীত নিয়ে বর্তমানে কারুর আগ্ৰহ নেই। হঠাৎ চোখে পড়লো একটি প্রাচীন বাড়ি। দেখে মনে হোলো ওটি কারুর বাসগৃহ বা অফিস হতে পারে না। উপাসনাগৃহ বা সামূদায়িক ভবনের (community hall) মতো লাগলো। গেট খোলা দেখে ঢুকে গেলাম ভিতরে। পরিস্কার, শান্ত পরিসর। চাঁদনি চকের কোলাহলময় ঘিঞ্জি পরিবেশে যেন এক টুকরো মরুদ্যান।
শার্ট প্যান্ট পরিহিতা, বয়কাট চুলের এক দীর্ঘাঙ্গী সৌম্যদর্শনা মহিলা গাড়ির কাঁচ মুছছিলেন। হয়তো বেরোবেন কোথাও। বয়স হবে আন্দাজ পঞ্চান্নর কোঠায়। বাড়ির ওপরে একটি মার্বেল ফলকে ধূসর অক্ষরে লেখা - Jamshedji Rustomji Saklat Ravangah. দেখেই মনে হোলো ওটি পার্সী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত। আমায় ইতি উতি চাইতে দেখে তিনি আমার দিকে কিঞ্চিৎ কৌতূহলী দৃষ্টিতে তাকালেন। মুখে অমায়িক হাসি মাখিয়ে মোলায়েম স্বরে বলি, Excuse me Mam, may I ask you something?
আমেরিকান অভিনেত্রী ও স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান Phyllis Diller বলেছিলেন “A smile is a curve that sets everything straight” কথাটি প্রবাদ হয়ে গেছে। এক্ষেত্রেও তা প্রমাণিত হোলো। কাঁচ মোছা থামিয়ে তিনি আমার দিকে হাসিমুখে এগিয়ে এলেন। কথাবার্তা সাবলীলভাবে ইংরেজিতে হোলো। উনি আমার শৌখিন অনুসন্ধানের কথা শুনে বললেন, আপনার অনুমান সঠিক। রাস্তাটি ওনার নামেই। তবে যদি প্রমাণ সংগ্ৰহ করতে চান তো K.M.C তে যেতে পারেন। ওখানে প্রতিটি রাস্তার নামকরণ ও তা বদলের নথি, ইতিহাস সব পেয়ে যাবেন। এ কথাটা আমার আগে মাথায় আসে নি। বললাম, না, না তার কোনো দরকার নেই কারণ এ আমার নিতান্তই শখের কৌতূহল। আমি কলকাতার রাস্তার নামকরণের ইতিহাস নিয়ে কোনো প্রবন্ধ লিখছি না। উনি বললেন, নামটির উচ্চারণ কিন্তু মদন নয়, মাদান। এও বললেন, মাদানজীর প্রপৌত্র এখনও কলকাতাতেই বাস করেন।
আমার অন্য প্রশ্নের জবাবে বললেন, এই বাড়ির ফলকে লেখা প্রথম তিনটি শব্দ পার্সী নাম বা পদবী সূচক কিন্তু অন্তিম শব্দটির (Ravangah) অর্থ হোলো এটি সেই জায়গা যেখানে পার্সী ধর্মের মানুষকে মৃত্যুর পর স্নান করিয়ে, পরিস্কার করে অন্তিম যাত্রার জন্য প্রস্তুত করা হয়। জানতে চাইলাম, এখনো কি কলকাতার পার্সী সম্প্রদায় Tower of Silence প্রথা মেনে চলেন? তাহলে সেটি কোথায়? উনি বললেন নানান দেশে ছড়িয়ে থাকা পার্সীরা তাদের এই বহুশতাব্দী প্রাচীন প্রথা মেনে চলতে চায়। কারণ পার্সীরা তাদের ধর্মীয় ও সামাজিক আচার পালনের ব্যাপারে খুব নিষ্ঠাবান। অনেকের কাছে সেটা গোঁড়ামি বলে মনে হতে পারে। মৃত্যুর পর Tower of Silence এ অনাবৃত মৃতদেহ রেখে এসে তা পাখিদের ভক্ষ্যবস্তু হিসেবে উৎসর্গ করাটাও সেরকম এক প্রাচীন পার্সী প্রথার অঙ্গ। তবে যেখানে তা পরিবেশ দূষনের কারণ দেখিয়ে নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেখানে মৃতদেহ কবর দেওয়া হয়। কলকাতায় বেলিয়াঘাটাতে আছে একটি Tower of Silence. তবে সেখানেও ইদানিং বেশিরভাগ মৃতদেহ কবর দেওয়া হয়।
এইসব কথাবার্তার পর উনি আমার নাম ও কিছু ব্যক্তিগত তথ্য জানতে চাইলেন। নিরীহ কৌতূহল। বললাম। খুব আনন্দ পেলেন। আমায় করমর্দন করে খুব আন্তরিক ভাবে বললেন, আমি আপনার জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি আপনি যেন এরকম মনের আনন্দে ঘুরে বেড়িয়ে হালকাভাবে বাকি জীবনটা কাটিয়ে দিতে পারেন। বলি, আপনার শুভকামনার জন্য ধন্যবাদ।
জানতে চাই - আপনার নাম? বলেন, গুলনার চোকশি। বলি পদবীটা আগে শুনেছি কিন্তু আপনার নামটা আগে কখনো শুনিনি। এর কী অর্থ? উনি লাজুক হেসে বলেন - ফুলের মতো সুন্দর। সুন্দরী, সপ্রতিভ মহিলাদের তারিফ করায় আমি চিরকাল দরাজ হৃদয়। বলি, আপনার নাম সার্থক। মনে হয় যৌবনে অনেকেই আপনার প্রতি ফিদা হয়ে গেছিলেন?
সদ্য আলাপে কোনো অপরিচিত মহিলাকে, হলেই বা পঞ্চাশোর্ধ্ব, এভাবে বলা যায় না। কিন্তু ওনার সাবলীল সপ্রতিভ ব্যবহারে - মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেল। পৃথিবীতে অধিকাংশ মানুষই আন্তরিক প্রশংসায় খুশী হন। উনিও তার ব্যতিক্রম নন। তাই আমার কথায় পুনরায় ওনার লাজুক হাসিতে মাখা মুখভঙ্গিতে যেন অনুক্ত লিপি দেখতে পাই - সে আর নিজমুখে কী করে বলি বলুন।
বলি, এই বাড়িটির সামনে আপনার একটা ছবি নেব? আপনার সাথে আলাপের একটা সুন্দর স্মৃতি থাকবে আমার কাছে। তিনি সানন্দে রাজি হলেন তবে অনুরোধ করলেন ছবিটা ফেসবুক বা কোনো পাবলিক ফোরামে পোষ্ট না করতে। আশ্বস্ত করলাম ওনাকে। সাবলীলভাবে পোজ দিয়ে দাঁড়ালেন গুলনার। সুন্দর মূহুর্তটি বন্দী হয়ে গেল মোবাইল ক্যামেরায়।
একটি চেনা রাস্তার নামের উৎস সন্ধানের অলস কৌতূহল মেটাতে গিয়ে ফাউ হিসেবে জানা গেল কিছু কথা। ক্ষণিকের আলাপ হোলো সুন্দর স্বভাবের এক সুন্দরী - গুলনার ম্যামের সাথে। করমর্দন করে বেরিয়ে এলাম চাঁদনি চকের ঘিঞ্জি বাজারে। ওনাকে দেয় প্রতিশ্রুতির জন্য তাঁর ছবিটি এখানে রাখলাম না। সেটা জরুরীও নয়। তবে কিছু সুন্দর স্মৃতি কারুর সাথে শেয়ার করতে ইচ্ছে হয়। তাই এই লেখাটি যখন মুষ্টিমেয় ক’জন বন্ধু ও এক প্রাক্তন বান্ধবীকে হোয়াতে পাঠিয়েছিলাম, তাতে ছিল ওনার ছবিটি। সাথে ছিল সনির্বন্ধ অনুরোধ - লেখাটি যেন অন্য কাউকে ফরোয়ার্ড না করা হয়।
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।