এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ইস্পেশাল  পুজো ২০১০

  • অল্ফ বাঘের গল্ফ

    আবু মুস্তাফিজ
    ইস্পেশাল | পুজো ২০১০ | ০১ অক্টোবর ২০১০ | ৭৯৪ বার পঠিত


  • একটা ঘাসখাইকা বাঘ এবং ভুদাই ঘুড়া

    একটা ঘুড়া আপন মনে ঘাস চাবাইবার নুইছিল। হঠাশ একটা বাঘ আইসা কইল, মামা আমি আফনের কান্দে চড়ি এট্টু? ঘুড়া ঘাস খাউয়া বাদ দিয়া বুবা হইয়া রইল কতক্ষণ। তাহাদে কইল, ধেইশ হারামজাদা। তরে কান্দে চড়াই আর তুমি আমার ঘাড়ের মইদ্যে কামুড় দিয়া জানডা কবজ করো আর কি! আমারে ভুদাই পাইছো?
    বাঘ কয়, কী যে কন না মামা? এইন্না এট্টা কতা কইলান? আফনে জানেন না যে আমাগো হদা গুষ্টিতে কেউ আর মান্সো খায় না। আমরা বইদ্য ধর্ম গ্রহণ নিছি তিন পুরুষ আগে।
    -হু কইছে! তর বড্ডাই না গতবছর এট্টা কুত্তা ধইরা খাইছিল দিক্যা মাইনষ্যে তারে বাইড়িয়া মাইরা হালাইছে। ঘুড়া জুয়াব দেয়।
    কিন্তু বাঘ দমে না। কয়, তাইলে আফনেই কন, আমি কি মিছা কতা কইছি। আমাগো হদা গুষ্টিতে আমি আর আমার বড় ভাইই বাইচা আছিলাম। হ্যারে তো মাইষ্যেই মাইরা হালাইছে। আর যে বিধবা পিসি আছিল হ্যা তো মাইষ্যের জেলখানায়ই তিনকাল পার কইরা মরার পহর গুনতাছে। তাইলে থাহনের মইদ্যে আছি খালি আমিই। আফনে আমারে কুনো দিন দ্যাকছেন ঘাস ছাড়া অন্য কিছু খাইতে?
    ঘুড়া জুয়াব দেয়, না। তা অবিশ্যি দেহি নাই।
    এইবার বাঘ তার অপমানের জ্বালা লাঘবে গলায় কান্না কান্না ভাব ফুটিয়া তুইলা কয়, খালি এট্টা কতা কইলেই অইল? আফনে কি জানেন, আমাগো দাদা আমাগো আব্বারে আর আমাগো আব্বা আমাগো দুই ভাইরে কইয়া গেছিলো, বাবা পশু পক্কি দূরস্থান, একটা পুকা মাকড়ের বডিতেউ কামুড় দিউ না। দিলে পাপ হইব। ঘুরতর পাপ। আর পাপের শাস্তি বনের মইদ্যেই পাউন নাগব। হেই থিক্যাই তো আমরা ঘাস খাইয়া জীবন যাপন করি। কিন্তু আমার বড্ডা আছিল তেজাইরা। একদিন মাইষ্যের গিরামে যাইয়া, কুত্ত্যার বডিতে কামুড় দিয়া বইল। আর অমনেই তার পাপ হইল। যেজুন্যে শাস্তিস্বরূপ মাইষ্যের গুতা খাইয়া তার মরণ নাগল।
    ঘুড়া এইবার ধন্দে পইড়া কয়, হ..বুঝজি। তা তর মতলবডা কীরে?
    বাঘ কয়: মতলব তো মামা আফনেরে কইলামই। আফনের কান্দে চইড়া সারাডা বন এট্টু ঘুইরা বেড়ামু।
    ঘুড়া কয়, তাইলেই তর শান্তি মিটপো?
    বাঘ শরমায়। কয়, কী যে কন না মামা! খালি হাসুইনা কতা কন! আফনের কান্দে একবার চড়বার পারলে জীবন যৌবন পরযৌবন মরযৌবন সব ধন্য হইয়া যাইব গা। মুনে হইব আমি য্যান এট্টা পাকির বাচ্চা এট্টা সোন্দর পজাপতির বাচ্চা। খালি ঘুইরা ঘুইরা উইড়া বেড়ামু সারাজীন।
    ঘুড়া কয়, যা হারামজাদা উইটা বয় তাইলে। দেহি তরে নিয়া এট্টা চক্কর দিয়াই আহি।
    বাঘ বাক বাক্কুম পায়রা মাথায় দিয়ে টায়রা হয়ে ঘুড়া কান্দে বইয়া পড়ে। আর ঘুড়া শুরু করে জোরে জোরে দৌড়। বাঘ আনন্দে ডগোমগো হয়। হাহা হাহা করে হাসে। কাহাহাহাহহা করে কাঁদে। বাঘের আনন্দ ঘুড়ার প্যাটের মইদ্যেউ ছড়াইয়া যায়। যেজুন্য ঘুড়া বাঘরে আরো বেশি আনন্দ দিবার নিমিত্তে যেনে এট্টা ছোট লাফেই খাল পার হউয়া যায় হেনে একটা বিরাট লাফ দিয়া বহে। আর তাই দেইখা বাঘ আনন্দে গড়াগড়ি যায়, খলখল কইরা হাসে ফলফল কইরা পাদে। ঘাড় থিক্যা পইড়া যাউয়ার ভান করে। এইভাবে তারা বনময় ঘুইরা বেড়াইতে থাহে।
    সকাল ফুরিয়া দুফুর হয়, দুফুর ফুরিয়া হয় বিহাল। ঘুড়াউ জুরে জুরে দৌড়িয়া ক্লান্ত হইয়া পড়ে। বাঘের কিন্তু ক্লান্তি নাই। হঠাশ ঘুড়া কয়, কীরে ভাইগনা, ঘাড়ের মইদ্যে ব্যাদনা নাগে ক্যা?
    বাঘ কয়: মামা ভয় পাইয়েন না। ছুট্ট এট্টা কামুড় দিছি।
    ঘুড়া তব্দা লাইগা যায়। কয়, তুই না আমারে কইলি ঘাস ছাড়া আর কিছুই খাস না তুই?
    বাঘ খলখল কইরা হাসে। কয়, মামা আফনে দেহি ভুদাই। কত ধুনফুন বুজিয়া এইহানে আফনেগোরে নিয়া আহন নাগে বুজেন? হেইদিন এট্টা পাঁঠা নিয়া আইলাম। প্রথম প্রথম তো তারে কুনোভাবে বুজানই গেল না কিছু। শালার শইল বুজাই ভুটকা গুন্দ। তারপরো কইলাম, নু যাই তরে কুলে কইরা বন ঘুরিয়া নিয়া আহি। শালায় রাজি তো অইলই না, উফুরন্ত শিং দিয়া গুতাইবার আইল। বুজলাম ছিন অন্য। শালারে আনা যাইব না। তারফর শালারে অন্য ফাইন্দে ফালাইলাম। কইলাম, ভাই পাটা। নু যাই আমার বিধবা পিসি মাইষ্যের জেলখানা থিকা মুক্তি পাইছে। আফনের নগে বিয়া দিয়া আফনেরে আমি দুলাভাই বানামু। তারফরেই শালায় কাইৎ হইল।
    এদিকে বাঘের কতা কিছুই শুনছিল না ঘুড়া। পাঁয়তারা করতাছিল পলানের। কিন্তু ঘাড়ের ব্যাদনা যেইভাবে উত্তরোত্তর বাইড়া চলতাছে, তাতে কইরা চোখেমুখে অন্দকার দেহা শুরু করল সে। তার অবস্থা দেখে বাঘ কয়, মামা তব্দা নাগলেন ক্যা? কতা কন। কিন্তু ঘুড়া কুনো কথা বলে না। ফলে বাঘ ঘুড়ার কান্দে থেকে নেমে প্রথমে যৌন নির্যাতন চালায়। তারফর মাস ভইরা ঘুড়ার কইলজা মাইটা ফ্যাপড়া খাইতে থাহে।
    অতএব হে নমশূদ্রগণ দাঁতালা লোকের কুনো কথাই ভবিষ্যতে আর বিশ্বাস করন চুদাইউ না। নইলে ভুদাই ঘুড়ার মতোই তুমাদের পরিস্থিতি হইবেক।
    সুভদ্র বাঘ এবং বেলেহাজ বিড়াল

    একটা সুভদ্র বাঘ বাটিতে বসিয়া বাল কাটিবার নুইছিল। চানের আগে সাফ সুতরো হওয়ার লগে। কিন্তু একটা বেলেহাজ বিড়াল কতা নাই বার্তা নাই হঠাশ বাটিতে ঢুকিয়া বাল কাটিবার পাটিতে বসিয়া গেল।
    সুভদ্র বাঘ প্রথমে ভুদাই হইলেও পর মুহূর্তেই থাপথুপ দিয়া কর্তিত বাল সামলাইয়া ফেলিল গামছায়। এবং লুঙ্গিতে লিঙ্গ ঢুকাইয়া কোনওক্রমে উঠিয়া দাঁড়াইয়া বলিল, হাহা হাহা হাহা কখন এলে বিড়াল ভায়া?
    বেলেহাজ বিড়াল অতশত বুঝে না। তাই ঠাশ করিয়া বলিয়া ফেলিল, স্যার আফনে যহন বাল কাটপার নুইছিলেন তহন আইছি।
    কছ কি খানকির পুলা...জাতীয় ডাইলক বাঘের গলা দিয়া প্রায় বাইরিয়াই গেছিল। কিন্তুক শেষমুহূর্তের চেস্টায় বাঘের আলা জিবল্যা তারে তা বলা থিক্যা ঠেকিয়া দিল। ফলে বাঘ গরগর করিল কতক্ষণ। তারপর বলিল, ইহা তুমি কী ধরনের কথা বলিলা?
    বিড়াল কহিল, ক্যা স্যার? সত্য কথা বলিলাম।
    বাঘ বলিল, সব সময় কি সত্য বলা ঠিক?
    বিড়াল কহিল, কন কি স্যার! আপনেই তো কইছেন সব সময় সত্য কতা চুদবা। কখনো মিথ্যার পুটকিও মারবা না।
    বাঘ বলিল, কেন আমি ইহা বলি নাই যে অবশ্যই তা ভদ্রতা সহযোগে?
    এইরম কতা কইছিলেন নিহি, বলিয়া সন্দিগ্‌ধ হয় বিড়াল।
    বাঘ বলে, বলেছিলাম তো বটেই। শুধু কি তাই? এও বলেছিলাম যে কখনো অপ্রিয় সত্যও বলবে না। এই যেমন ধরো কানাকে কানা বলিবে না, খোঁড়াকে খোঁড়া...
    বিড়াল বলিল, হ বুজজি স্যার। আফনে যহন বাল কাটপার নুইছিলেন...তহন যুদি আফনে আমারে জিগাশ করেন কহন আইলা? তহন আমি কমু, স্যার আফনে যহন মধুরশা খাইবার নুইছিলেন তহন আইসি। তাইতো?
    না। তা নয়। বাঘ বলিল।
    বিড়াল বলিল, তাইলে কী কমু স্যার।
    কিছুই কহিবে না। বাঘ বলিল। তিনি আরো বলিল, তবে তুমি যুদি কোনো ভর্দলুকের গৃহে প্রবেশ করিতে চাও, তবে অতি অবশ্যই উত্তমরূপে কড়া নাড়িয়া আর যুদি কড়া না থাকে তবে অধমরূপে গলা খাকারি দিয়া গৃহে প্রবেশ করিবে। নচেৎ তুমাকে হয়তো নানারূপ অস্বস্তির শিকার হইতে হইতে পারে।
    বিড়াল কহিল, মানে?
    বাঘ কহিল, এই যেমন ধরো তুমি এরূপ বিনা কোনো বাটিতে ঢুকিলে আর দেখিলে কোনো নারী তার দুগ্‌ধপোষ্য শিশুটাকে দিয়া বুনি টানাইতেছেন। কিম্বা ধরো গরমের গুমোট দশা হইতে পরিত্রাণ আশায় একদল নারী উদোম গতরে তাদের বুনিগুনিকে বাতাস খিলাইতাছে। ব্যাপারটি তুমার জন্য অস্বস্তির নয় কি?
    কী যে কন স্যার। আমার তো ঐ ধিরিশ্য দেইকা খুবৈ আমোদ লাগিব।
    মনে মনে কছ কি খানকির পুলা বলিতে বাঘ এবার ছাড়িল না। কিন্তু মুখে বলিল, তুমার হয়তো তাহা দেখিয়া আমোদ লাগিবে..কিন্তু ঐসব নারীদের তাহা নাও লাগিতে পারে। বলিয়াই বাঘ আবার নিজেকে শুদ্ধ করে নিল, নাও লাগিতে পারে কি, অবশ্যই লাগবে না।
    বিড়াল এইবার বুজল, হু বুজজি স্যার। থাইক ইয়ার পর থিকা আমনের বাড়িতে গলা খাকাড়ি দিয়াই ঢুকুমনি। তবে স্যার আমি সত্যি সত্যিই আফনেরে ছাড়া আফনের বাড়ির আর কিচ্চু দেহি নাই কুনোদিন।
    বাঘ রাগে রাঙা হইল আবার। কিন্তু তাহা দেখিবার মতো চোখ ছিল না বিড়ালের। তাই বিড়াল আরো কহিল, গুস্বা করিবেন না স্যার। এট্টা কতা কইতাম। জরুলি।
    বাঘ বলিল, বলো।
    স্যার আমনের কি বাল কাটা শ্যাষ হইছিল? না হৈলে স্যার আমি দশ মিনিটের নিগ্যা বারিন্দায় গিয়া বহি। আমনে বাল কাটিয়া লন? পরে নীতিজ্ঞান বিষয়ে আমনের কাছথন পাঠ লইবনি ক্ষণ।
    এইরূপ অধম ছাত্রের কাছে বাঘের সকল ভাঙ্গিয়া যাওয়ায় বাঘ খোলসমুক্ত কিছুটা। তাই এইবার সেও বলিয়া উঠিল, বাল কাটিবার পর আমি চানেও ঢুকব। অতএব তুমি দশ মিনিট নয়, অর্ধঘণ্টা অপেক্ষা করো। এই বলিয়া বাঘ যে গামছায় বাল সামলিয়ে ছিল, তাহা সপাটে ঝাড়া দিয়া কাঁধে লইয়া নিল। ফলে মুক্ত পাখির ন্যায় বাল গুলি উড়িয়া গিয়া ছড়াইয়া পড়িল ঘরময়। তার খানকতক আশ্রয় নিল বেলেহাজ বিড়ালের চোখেমুখেও। তা থেকে বাঁচার লেযই কি-না বিড়াল হাড়াহাড়ি করেই বারিন্দাভিমুখী হইতে ছিল। কিন্তু বাঘ ডাকিয়া উঠিল, খবর্দার বিড়াল। আমি কিন্তুক বিলাত হইতে কতিপয় বিলাতি ইঁন্দুর ক্রয় করিয়া লইয়া আসিয়াছি। অতএব তুমি যেন উহাদের কোনোরূপ বিঘ্নের কারণ না হও। বিড়াল বলিল, জ্বি আচ্ছা স্যার।

    বিড়াল বাহিরে যাইবামাত্র পাটিতে ন্যাটা দিয়া বসিয়া বাঘ ফের বাল কাটিতে লাগিল। কর্ম মনমতো হওয়ার আনন্দে বাঘ গানও গাহিতে লাগিল প্যারালালি, হাসি হাসি পড়বেন ফাঁসি
    দেহন চুদাইবেন ভারতবাসী ...
    একবার বিদ্যায় দেন মা
    ঘুইরা মুইরা আহি...
    বিরাট লাটকে মারবেন বলিয়ে
    মারলেন ইংলন্ডনবাসী
    একবার বিদ্যায় দেন মা
    ঘুইরা মুইরা আহিরে...'
    এদিকে বেলেহাজ বিড়াল বারিন্দায় আসিয়া ফাঁসিয়া গেল। বারিন্দার মাটিতে কোথাও পাটি পাতা না থাকায় বেলেহাজ বিড়াল ভুদাই হইয়্যা গেলগা। অহন সে কনে বহে? এট্টা ফিঁড়া থাকলেও চলতো। টুল বেঞ্চি নাইলে নাই থাইক। কিন্তু হারাম বলতে.. সুভদ্র বাঘের বাড়ির বারিন্দায় এইসব কুনো ধুনও আছিল না। ফলে বেলেহাজ বিড়াল বুদ্ধি খাটিয়া মাটিতে গুয়া না ঠেকিয়া দুই ঠ্যাঙ্গের উপরে ভর দিয়া বসিয়া রইল। হগ্নিপাতের স্টাইলে। কিন্তু কতক্ষণ? বেলেহাজ বিড়ালের আবার উপরের বডি বড় এবং ওজনদার থাকায় তার নীচের দুই ঠ্যাং বেশিক্ষণ ভার বহন করিতে স্বীকার গেল না।
    দুই মিনিট বইতে না বইতেই দুই ঠ্যাঙ্গই কুহান ধরল, আর পারতাছিনা গো..এইবার ক্ষ্যামা দেন.. এইবার আফনে আফনের পুটকি দোফে নামান। কিন্তু বেলেহাজ বিড়াল তা নামায় না সহসা। কারণ বউ কাইলক্যাই বাঘের বাইত্তে আইবার কতা শুইন্যা সবচেয়ে ভালো পুশাকটা সাবান দিয়া ঘইষা ঘইষা ধুইয়া দিছে। তাহাদে শুকানের পর সুন্দর কইরা ভাজ দিয়্যা বালিশের তলায় রাকছিল হারা রাইত। তাহাতে বাটির মইদ্যে গরম কয়লা দিয়্যা ডইল্যা ডইল্যা কইয়্যা দিছে,আইড়াকাইড়া কিছু খাইবান ন্যা য্যান। যেনে হেনে বইবান না কইলাম। এই সাট আগামী সাত দিন পড়ন নাগবো কিন্তুক।
    তাই বিড়াল গুয়া দোফে নামায় না। অথচ দুই ঠ্যাঙ্গের কুহানি অস্তে অস্তে বাড়তেই থাহে। ঠ্যাঙ্গে ঝিঞ্জি ধরে পয়লা, তাহাদে জিলকায়। ক্ষণে ক্ষণে চিলিকও মারে। কিন্তু বিড়াল গুহা দোফে নামায় না। বরং পাত্তা না দিয়া ভাবতে থাকে অন্য কথা। আর তখনই তার চোখের সামনে ভাইস্যা ওঠে বাল কাটতে থাকা সুভদ্র বাঘের বিরাট বড় ডাস ক্যাপিটাডা। বিড়াল মনে মনেই অবাক হয়..ওরে বাপরে বাপ! শালায় ঘগ্গ গুইনা না যানি কেমুন কইরা মারে! বাঘিনী নিশ্চয়ই আরামে সারা দিন কতা কইতে হারে না।
    কিন্তু বিড়াল বেশিক্ষণ ভাবতে পারে না। একদল বিলাতী ইঁন্দুর তার তন্ময়তা ভাইঙ্গা খানচুর কইরা দেয়। বিলাতী ইঁন্দুর জর্মেরপর অবধি কুনো বিড়াল দেহে নাই, সঙ্গতকারণেই তাদের কুনো ধারণাই নাই বিড়াল কি জিনিস। তাই তারা বিড়ালকে তাদের আদরের খেলনা মনে করিয়া আনন্দে খেলতে থাহে।
    পান্তরে আশেপাশে দেশি ইন্দুরের চেহারা দেখলেই যেইখানে বিড়ালের আমোদ আর ধরে না, সেইখানে নিজ গতরের উফর বিলাতী ইন্ধুরের নাচানাচি দেখিয়া তার মাথাখারাপ হইয়া যায়। মুহূর্তের মইদ্যে থাফা দিয়া চাইর পাঁচটা ধইরা হালায়। আর তহনই তার চোকের সামনে ভাইসা ওঠে বাঘের বিরাট বড় ডাস ক্যাপিটা। তাই ধইরাই আবর আদর কইরা বিলাতী ইন্দুরগুনিরে দোফে নামিয়া থোয়। কিন্তু বিলাতী ইঁন্দুর তো আর এত কিছু জানে না। তাই তারে দোফে নামিয়া থুইলেই কি আর সে দোফে থাকে? থাকে না। বরং নতুন উদ্যম আর উত্তেজনা নিয়া নতুন পাওনা খেলনার নগে খেলায় মাতিয়া ওঠে যারপরনাই।
    বিড়াল প্রথমে হেইশ...হৈৎ হৈৎ ধেইশ ধুৎ ধুৎ বলিয়া গায়ে চড়িয়া বসা বিলাতী ইন্দুরগুলোকে দমনের চেষ্টা নেয়। কিন্তু বিড়ালের কোনও চেষ্টায় কামে আসিল না। বরং বিলাতী ইঁন্দুর দল ব্যাপক জোশে ঝাপিয়া পড়ল বেলেহাজ বিড়ালের উপর। কেউ চড়িল বিড়াল মাথায়, কেউ কানে কেউ বিড়ালের ছুট্ট পক্কুতে পর্যন্ত কামুড় গছাইয়া দিল। তখন আর বিড়াল সহ্য করিতে পারিল না। এমনিতেই বাঘের বিরাট বড় ডাস ক্যাপিটা দেইখ্য ব্যাপক শরমিন্দা হওয়া বিড়ালের লেস ক্যাপিটা পক্কু যহন আক্রান্ত হৈল তহন আর ধৈর্য ধরিয়া বইস্যা থাহার মাল না বিড়াল। তাই সে লেস ক্যাপিটার মুণ্ডি আর হুলের পুতা কামড়িয়া ধরা বিলাতী ইন্দুর দুইডার নেজ ধইরা এমুন আছাড় মারল, যে আছাড়ের চোটে বিষদাঁত ফুটে গুয়া দিয়া ফুছ কইরা দম বাইরিয়া গেল ইন্দুঁর দুইডার। এই দেখিয়া অন্য বিলাতী ইন্দুরগুনি ব্যাপক ভয়ে পিচু হটে গেল। আর তহনই বিড়ালের চোকে ভাসিয়া উঠিল বাঘের ডাস ক্যাপিটাডা। উপায় অন্তর না দেখিয়া বিড়াল বারিন্দার মাটিতেই গর্ত খুঁড়িয়া মৃত ইন্দুরগুনিকে মাটি চাপা দিয়া থাপথুপ দিতে লাগিল। আর তখনই বিড়াল টের পাইল তার পেছন হাজির হয়েছে সত্যিকারের বিরাট ডাস ক্যাপিটা।
    বিড়াল ঘুরিয়া বলিল, স্যার কহন আইসলাইন?
    বাঘ বলিল, তুমি যখন আমার বিলাতী ইঁন্দুরগুনিকে মারিয়া গাড়িয়া ফেলিবার উপক্রম করিতেছিলে, তখনই আসিয়াছি।
    হতভম্ব বিড়াল বলিল, স্যার এইডা কী কইলান?
    বাঘ বলিল, কেন, যাহা সত্য তাহাই বলিলাম।
    এইবার বিড়াল বলে, স্যার আমনে না এট্টু আগেই আমারে কইলান অপ্রিয় সত্য বলতে নাই।
    সেইডা তো তর ক্ষেত্রে হারামজাদা, বইলা বাঘ মিচকি মিচকি হাসে। কিন্তু কেউ এট্টু ভালো কইরা খিয়াল করলেই দেখতে পাইত তার দাঁত আসলে হাসতাছে না। সুফ্‌ফ কিড়মিড়ানি দিতাছে।
    বিড়াল আরও অবাক হয়, স্যার এইডা কি কইলান? এক বাজারে কি কুনোদিন দুই ভাউ হইতারে?
    বাঘ কয়, তরে ক্যারা কইল তর আর আমার বাজার এক?
    বিড়াল কয়, তাইলে স্যার আফনে কইবার চাইতাছেন এক বাজার না?
    কইবার চাইতাছি না..কইতাছি, বইলা বাঘ দাঁত কিড়মিড়ানি বাড়িয়া দেয়।
    বিড়াল থুম ধইরা থাহে। কী যানি ভাবার চেষ্টা করবার যায়।
    কিন্তু তার আগেই বাঘ তারে জিগায়, আইসক্যা তুই কী দিয়া ভাত খাইছত?
    বিড়াল এইবার খুব সপ্রতিভ হয়, নিজের বিষয় পাইয়া। কয়, ক্যা ভালো কইরা পিয়াজ কাছামইচ মাইরা দুই পেলেট পান্তা ভাত খাইয়া আইসি।
    -আর আমি কী দিয়া খাইছি জানোস? বাঘ কয়।
    বিড়াল কয়, না স্যার.. জানি না। কী দিয়া?
    বাঘ কয়, বাইত্তে পচুর ফল ফ্রুট গড়াগড়ি পাড়তাছে...ভাত পুলাউ মুরগী গরু শুয়ার কোনডার মাংসরই অভাব নাই...রি সেমাই অমুক তমুক কুনডার কতা কমু তরে..শেষমেশ এইন্যা কুনোডা না ধইরা একটা বাডগাডে কামুড় দিয়া থু কইরা ফালিয়া দিছি-এইডাই হৈল আমার আইজ সকালের নাস্তা।
    বিড়াল আবারও অবাক হয়। কয়, তাই নিহি। তা বাডগাডটা কনে ফালাইছেন?
    বাঘ চতুর চোকে বিড়ালরে দেহে। এইবার সত্যিই মিচকি মিচকি হাসে আর কয়, ক্যা? তা দিয়া তুই কী করবি?
    -না, মানে কুনদিন খাই নাই তো? তাই?
    বাঘ কয়, ধূর ব্যাটা এহনও ঐ জিনিস থাকে। কুত্তায় খাইয়া ফালাইছে কবে।
    বিড়াল কয়, তাইলে স্যার..আফনের বাসা থিক্যাই একটা দেন।
    বাঘ কয়, ধুশ ব্যাটা.তুই কতাই বুজস না। সারাজীবন ধইরা কচু ঘেচু খাইয়া তর অভ্যাস..হঠাশ কইরা বাডগাড খাইলে তর প্যাট কাটপো না?
    বিড়াল কয়, কাটুক। একদিন প্যাট কাটলে কিছু অইব না।
    বাঘ কয়, এই জুইন্যেই তরে কইছিলাম। তর বাজার আর আমার বাজার এক না। তা তুই আমারে এহন ক, এই যে আমার বিলাতী ইঁন্দুর দুইডা তুই মারলি..যার একটা কিনতেই আমার খরচ হইছে সাড়ে পাচশো ট্যাহা..এই এগারোশো ট্যাহা তুই আইজক্যা কন থিক্যা দিবি?
    বিড়াল ভুদাই হয়, মানে? স্যার আফনে এইন্না কী কন। একটা ভুল হইয়া গেছেগা..তাই বইলা আফনের মতো এট্টা মান্নিগুন্নি নোক আমার কাছে জরিপানা চাইব..এইডা আমি ভাবতেই পারি না।
    বাঘ কয়, তরে তো কিছু ভাববার কই নাই? ট্যাহা ফালিবার কইছি। বাইনচোদের বাচ্চা.. বাডগাড চুদাও..ট্যাহা ফালা। বইলা বাঘ ধমক কষায়।
    বিড়াল সত্যি সত্যিই ভাবতে পারে নাই সুভদ্র বাঘের আচরণ এই রকম হইতে পারে কোনও কালে। তাই সে চমকায়। তার চোখ ছল ছল হয়। যে একশ' ট্যাকা তার পকটের তলে পইড়া আছিল অন্ধকারে, তারে আলোয় টাইন্যা আইন্যা কয়, আসলেও আফনের বাজার আর আমাগো বাজার এক না। এই নেন।
    বাঘ একশ' ট্যাকা পাইয়া মুনে মুনে খুব খুশি হয়। কারণ এই একশ' ট্যাকা দিয়াই সে সব কয়ডা ইঁন্দুরের বাচ্চা ঢাকা শহর থিক্যা কিন্যা আনছিল। কিন্তু মুখে কয়, এই একশ' ট্যাহা দিয়া কী হইব? আর এক আজার ট্যাকা কো?
    বিড়াল কয়, স্যার আমার কাছে আর নাই। বইলা কান্দে।
    বাঘ এইবার এট্টু নরম হয়। কয়, ঠিকাছে পরের বার পুরা ট্যাকা নিয়া আইবি। মুনে থাকপো?
    বিড়াল কয়, থাকপো স্যার।
    বাঘ কয়, চল তাইলে ভিতরে যাইয়া বসি। আমরা আইজক্যা পড়ুম..উন্নত নৈতিকতার পাঠ।
    বিড়াল কয়, না..স্যার। আমি আইজক্যা আর কিছু পড়ুম না। বাইত্তে যামু গা।
    বাঘ কয়, ক্যা..? এহনই যাবি ক্যা? আমি কত খাটাখাটনি কইরা সব যোগাড়যন্তর কইরা রাকছি। আর তুই কস এহন যাবিগা..ক্যা?
    বিড়াল কয়, শইলডা ভাল্লাগতাছে না।
    বাঘ কয়, ঠিকাছে যাগা।
    বিড়াল রিক্ত নি:স্বের মতো চইলা যাইতে থাহে। বাঘ পিছন থিক্যা ডাকে..এই এই শোন শোন..বিড়াল অনিচ্ছা সঙ্কেÄও পেছন ফিরে। বাঘ কয়, বাডগাড নিয়া যাবি না?
    বিড়াল কয়, না।

    বাঘ মানাগুয়া দৌড়াচ্ছে

    বস্তুত ফালতু বকে লাভ নাই।
    কারণ ভর্দলোকেরা ফালতু বকা ভালবাসে না।
    অথচ কী মুশকিল, ভর্দলোক ছাড়া ফালতু বকে মজাউ নাই খুব এট্টা
    এই যখন দশা, তখন নিকারাগুয়া এক পিলে চমকানো
    সম্বাদ দিল, উহাদের দেশে নাকি সুন্দরী মেয়েরা
    ফালতু খেলতে ভালবাসে। ডাল তরকারি খেয়ে দিনরাত বসে থাকে ফালতু খেলবে বলে।
    এই সম্বাদ পেয়ে চলে গেলাম নিকারাগুয়ার ঘন জঙ্গলে।
    জঙ্গলে বানরেরা ধরল পরথম। কীরে ফালতু খেলতে এয়েছিস?
    বললাম, জ্বি হা। ফালতু খেলতেই এয়েছি। বানরেরা পোদ ফাটিয়ে হাসল, সেই শব্দে বাঘ আসল। এসেই বানরদের উদ্দেশ করে বলল, কীরে মাল পেয়েছিস ফালতু খেলার?
    বানরেরা উত্তর করল, জ্বি হা জনাব, মাল পেয়েছি বৈকি। সামনেই দণ্ডায়মান। এরপর কিছু বুঝার আগেই বাঘ আমাকে ডাল তরকারি ছাড়াই ফালতু মেরে দিল। এবং তার পেটের ভিতর ঘুমিয়ে পড়তে পড়তেই টের পেলাম, বাঘ মানাগুয়া দৌড়াচ্ছে ফালতু খেলবে বলে।

    বিড়াল আর বনবিড়ালির ধাওয়া খেয়ে

    নিরীহ বাঘ কিংবা বুড়ো বিড়ালের কাছে আমি পিছু হটি
    হাঁটি পুরনো খানাখন্দে ভর্তিপ্রেমিকাদের বাড়ির রাস্তায়
    যদিও রিস্কি এইসব শট খেলা, তারপরও খোলাখুলি বলি
    আমার চরিত্রের ঐসব দোষ আজও গেল না
    হে পিতামহ, নিহত পিতৃব্য ডাইনোশুয়োরদের মেলায়
    ঘাস আর বিচালিতে ঠাঁসা, ডাঁশা পেয়ারার বুক নিয়ে হেঁটে যায় মেয়েরা, আমিও হাঁটি বুক তদারকিতে পিছু পিছু
    ভালো লাগে না, তবুভালো লাগাই হাঁটি আর হেঁটে যাওয়া দেখায়
    পৃথুলা রমণীর নিতম্বের রমণ পেট ভরে খাওয়ার ইচ্ছা প্রতি মুহূর্তে হেঁটে হেঁটে মারি
    হে ডাইনোশুয়োর পাপিষ্ঠ ধমনী
    বিউগলের চুমুতে সুর বাজে অবিরত, মিঠাই আর মণ্ডা খাওয়ার ঝাল মেটাই নিয়ত অন্ধকারে
    ভাগীরথীর তীরে ভগ্নমনোরথে
    তাল তমালের বনঘেরা জঙ্গলে
    চিরিক চিরিক করে মুতি
    মুতি আর পিছু হটি
    বিড়াল আর বনবিড়ালির ধাওয়া খেয়ে

    বাঘ

    একদিন নিকারাগুয়ার পথে একটা বাঘ দেখেছিলাম
    শান্তিপূর্ণ স্বচ্ছল। আমি বাঘের কাছে গিয়ে
    বললাম, ভাই বাঘ..নুনুটা দেখাও তো?
    তিনি আমাকে নুনুটা দেখাতে পারলেন না।
    অতএব মনে রাখবে নুনু ছাড়া কোনো বাঘ হয় না।
    যদি ভাঙচুরের রাজত্বে তুমার মতি থাকে
    তবে তাঁতি সেজে বসে থাকলে মানুষ তুমার নিকারাগুয়া দূরে থাক, মানাগুয়াও মারবে না।

    ছবি- সায়ন কর ভৌমিক
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ইস্পেশাল | ০১ অক্টোবর ২০১০ | ৭৯৪ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    কবিতা - Aminul Islam
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন