স্বপ্নে বন্ধু রাসেলের লগে দেখা। কী যানি কইতেছিলাম। উ কইল, কথা সংক্ষেপ কর। মেয়েরে আনতে স্কুলে যাইতে হইব।
আমি কইলাম, চল..আমিও যামু…আমারও যাইতে হইব।
আমরা একটা মাঠের মধ্যে দিয়া হাঁটতে ছিলাম। মাঠে পানি জমছে। বৃষ্টির পানি। আমরা একটা সরু আলপথ দিয়া হাঁটতে ছিলাম। বৃষ্টির পানিতে মাছেরা সাঁতার কাটতেছে। মাছগুলারে চিনতে পারতে ছিলাম। খইলস্যা মাছ।
আমি আমার বউর অফিসে আসছি। তারে কইলাম, চলো। সে কইল, দাঁড়াও আমার একটু দেরি হইব।
আমি তারে নিয়া একটা কাঁচের দরোজার পাশে দাঁড়াইছিলাম। এই সময়ে তার এক কলিগ আসতেছিল। অন্য পাশের দরোজা দিয়া বাইর হইয়া যাইব। তার আগেই আমার বউ ওই দরোজা দিয়া বাইর হইয়া গেল।
আমি তার জন্য অপেক্ষা করতে করতে ঘুমাই পড়ছিলাম কিনা জানি না। কিন্তু জাইগা উইঠা দেখি আমি আমার মোবাইল ফোন খুঁইজা পাইতাছি না। মানিব্যাগও নাই। চাবি নাই, ডেবিট কার্ড খোলার! আমি সমানে চাবি খুঁজতাছি, কিন্তু পাচ্ছি না কোনও জামা কাপড় কিম্বা জুতা। আমার সব কিছু হারাইয়া গেছে।
আমি অফিসের ভিতরেই তোষক বালিশ হাতা পাতা করে খুঁজে চলছি। কিন্তু কোনও কিছুই খুঁজে পাচ্ছি না। কেবল পকেটে একটা না দুইটা পাঁচ টাকার কয়েন। ওটা পাইতেই মনে হইল খালায় বাসায় যাওয়া যাবে। পারুল খালার বাসা।
আর তখনই ওই সুদর্শন লোকটা এল। শ্যামলা বরণ, মুখে হাসি লেগেই আছে। যাকে দেখলে সকলের মন ভালো হয়ে যায়। কিন্তু আমার মন ভাল হলো না। সে আমাকে বলল, আপনি এখনও যান নাই!
আরও বলল, আমাদের অফিস বন্ধ হয়ে গেছে অনেক আগেই। শুধু আপনার কারণে অফিস খোলা রেখেছি।
আমি তাকে বললাম কিম্বা বলতে চাইলাম, জ্বি কালকে আমার খালার বাসা থেকে এসে বেডিঙ পত্র নিয়ে যাই?
সে শুনল কি শুনল না, আমাকে বলতে লাগল, ওহ দাঁড়ান দাঁড়ান…আপনার একটা চিঠি আছে।
আমি দাঁড়ালাম, সে আমাকে একটা চিঠি এনে দিল। একটা খোলা সাদা কাগজের টুকরা। আমার বউর লেখা। সেখানে ইঙরেজিতে টাইপ করা, আই স্টার্ট সিক্সটিন তারপর কোনও এক মাসের নাম সেপ্টেম্বর কিম্বা আগস্ট… তারপর সিওইউপি… ক্যু হবে নাকি কাপলের সংক্ষিপ্ত রূপ? বোঝা যাচ্ছে না। তবে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে সে একটা নতুন সম্পর্ক তৈরি করেছে…অমুক মাসের তমুক তারিখে।
এর পাশেই কিছু ছবি। তাদের ছবি। যদিও কারো চেহারা বুঝা যায় না। তবে বোঝা যায় ছবিগুলা খুব সুখের। নতুন কাপলেরা যেসব ছবি ফেসবুকে দেয়।
এর নিচেই লেখা আছে, আক্রান্ত এই গৃহপালিত জীবন আর ভাল্লাগছে না।
ঘুম ভেঙে গেল। বুঝলাম, স্বপ্ন দেখছিলাম। ফলে যা ঘটেছে তার কোনও কিছুই সত্যি না। কিন্তু তারপরও একটা সত্যিকারের হাহাকার আমাকে পীড়া দিচ্ছিল।