এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • ফেক খবর বিষয়ে এই মুহূর্তে সচেতনতা বিশেষ দরকার...

    Subrata Ghosh Roy লেখকের গ্রাহক হোন
    ১০ মে ২০২৫ | ৪১ বার পঠিত
  • ফেক খবর ও ছবির বিরুদ্ধে চাই আমাদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ

    সুব্রতা ঘোষ রায়
    রাখালের গল্প ও বীভৎস মজা!
    সেই রাখাল ও গরুর গল্পটা! গরুরা তৃণভূমিতে মনের আনন্দে ঘাস খাচ্ছে। রাখাল ভাবলো - আমার তো এখন কোন কাজ নেই, একটু মজা করি । ওমনি সে ‘বাঘ এসেছে, বাঘ এসেছে' বলে চীৎকার জুড়ে দিল। তক্ষুনি গ্রামবাসীরা লাঠি-সড়কি নিয়ে দৌড়ে এলো, যাতে রাখালের কোনো ক্ষতি না হয়। কিন্তু এসে দেখল সব ভোঁ-ভাঁ, বাঘের চিহ্ন নেই! রাখাল মিথ্যে কথায় এত মানুষকে প্রভাবিত হতে দেখে মনে মনে আনন্দিত হল, এবং খুব হাসতে থাকলো! বাহ! গ্রামের পরিজনদের তো বেশ বোকা বানানো গেছে ! এর কিছুদিন বাদে আবার রাখাল - 'বাঘ এসেছে...’ বলে গ্রামবাসীদের ডাক দিল, সেদিনও গ্রামবাসীরা এল রাখালকে বাঁচাতে, কিন্তু এসে দেখল যে সেদিনও মিথ্যাভাষণ। গ্রামবাসীরা মনে মনে বিরক্ত হয়ে ফিরে গেল । এরপর তৃতীয় দিন রাখাল ডাক দিল - বাঘ এসেছে, সবাই এসো … আমার গোরুদের খেয়ে ফেলবে, আমাকে খেয়ে ফেলবে …। সেদিন কেউ এলো না। ইশপের গল্পের নানা বিশ্লেষণ ও নানা পরিবর্তিত ভার্সন মেলে। এই সব গল্প লোকমুখে পরিবর্তিত হতে থাকে । কিন্তু ছোটবেলায় মায়ের মুখে বা স্কুল পাঠ্যে থাকা সেই ইশপের গল্পে যখন শুনতাম যে এবার সত্যি বাঘ এসেছে কিন্তু রাখালের ডাকে কেউ সেবার সাড়া দেয়নি - তখনি বুঝে যেতাম যে এসব তুচ্ছ মিথ্যে মজা কত বীভৎস হতে পারে …
    মিথ্যাচার এবং হিটলার ও গোয়েবেলস 

    মিথ্যেকে সত্যি বলে পেশ করা - যাকে বলে ‘মিথ্যাচার’ রাজনৈতিকভাবে  চিহ্নিত হয়েছিল প্রথম জার্মাণিতে। হিটলারের সময়ে । গোয়েবেলস, হিটলারের প্রচারমন্ত্রী খুব নিপুণভাবে এই কাজটি করতেন। মিথ্যেকে বারবার বলতে থাকলে একটা সময় সেই মিথ্যেকেই মনে হয় সত্যি। হিটলারের ইহুদী-বিদ্বেষ ছিল স্পষ্ট । ইহুদী গণহত্যা নানা মিথ্যাচার দিয়ে পেশ করা হয়েছিল। এই মিথ্যাচারে বেশ কিছু মানুষ বিশ্বাস করতে শুরু করেছিল যে ইহুদী নিধন কোন অপরাধমূলক কাজ নয় । বরং ভালো কাজ এবং তাতে যদি হিটলারের সমর্থন থাকে তবে হিটলার যা করছেন তা ভালোর জন্যই করছেন, অতএব এতে সহমত পোষণ করাই ভালো। মিথ্যেকে সত্যি হিসেবে বিশ্বাস করানোয় মিথ্যেটা কখনো সত্যি হয়ে যায় না । কিন্তু কালের নিয়মে বিশ্বাসের গলদটা তৈরী করে এক মহা সংকট! সেই ধারাবাহিকতার রেশ চলতে থাকে ইতিহাসের পথ বেয়ে ... মিথ্যে বলা আর  মিথ্যে বিশ্বাসকে  আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকা একটি ব্যাধি । আর  কখনো কখনো এই ব্যাধিকে উপলক্ষ্য করে স্বজ্ঞানে বা অজ্ঞানে মাঠে নেমে পড়েন কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী, ব্যধি দ্রুত পরিণত হয় মহামারিতে!

    ফেক খবরের বিভিন্ন ধরণ …

    সম্প্রতি চলে গেলেন মনোজ মিত্র। কিন্তু তাঁর চলে যাবার আগে সামাজিক মাধ্যমে তাঁর মৃত্যু সংবাদ পরিবেশিত হল ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার। কিছু মানুষ রহস্য ও  ভয়, মৃত্যুর  খবর, হত্যার খবর, নির্যাতনের খবর… এই সব  বিষয়কে তাদের জীবনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চর্চার  বিষয় মনে করেন। এবং তা ক্রস চেক না করেই বিশ্বাসের বশবর্তী হয়ে বা বিশেষ উদ্দেশ্যে নিমেষে শেয়ার করে ফেলেন । বিভিন্ন বিখ্যাত ব্যক্তিদের মিথ্যে মৃত্যুর খবর, হামেশাই মৃত্যুর আগেই ঢাক ঢোল পিটিয়ে কারা যেন পোস্ট করেন । এতে ফ্যান ফলোয়ার্স বিচলিত হবেন, লিঙ্কে ক্লিক করবেন, কেউ কেউ ক্রস চেক করবেন, কেউ কেউ আবার ঝপ করে শেয়ার করে বসবেন । প্রচণ্ড গরম পড়লে বিভিন্ন লিঙ্কে আন্দাজে খবর হয় - কবে বৃষ্টি নামবে… একনাগাড়ে বৃষ্টি হচ্ছে বিভিন্ন লিঙ্ক জানাতে থাকে কবে রোদের দেখা মিলবে… মাঝে মাঝে লিঙ্কে আসে পৃথিবী ধ্বংস কবে হবে - নাশার ফেক ছবি দিয়ে। অথচ তখন নাশার সাইট চেক করে দেখা যায় সে রকম খবর নেই। আকাশ থেকে লাল-নীল বিদ্যুৎ পড়ার খবর দেখা যায় মাঝে মাঝে… মিথ্যে চোর বলে ডাইনি বলে খবর রটিয়ে দেওয়া হয় … সবই ফেক! সব।

    খবর কিনলে ভয় ফ্রি !

    আমরা এখন নানা অফার দেখে জিনিস কিনি। একটা কিনলে একটা ফ্রি। পিৎজা কিনলে কোকাকোলা ফ্রি । ফিসফ্রাই কিনলে আলুভাজা ফ্রি। কিছু কিছু সংবাদপত্রে বা চ্যানেলে অনভিপ্রেত খুন জখমের খবর, নানা রকম কাল্পনিক হরর গপ্পে এমন ভাবে ক্রমাগত পরিবেশিত হতে থাকে ধারাবাহিক ভাবে - আমরা ভাবি একেবারে বাস্তবিক ঘটনা।  আমরা উত্তেজিত হই, রোমাঞ্চিত হই, প্রতিবাদী হই, রাস্তায় নামি, সংগঠন তৈরি করি, সেই সংগঠন দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে শুধু পড়ে না - বিদেশেও ছড়ায়, পাবলিক রিলেশন্স করতে নেমে পড়েন বা ভেসে ওঠেন বিভিন্ন পেশার মানুষজন, কয়েকজনের নামে ফাঁক তালে গড়ে ওঠে কয়েক কোটি টাকার তহবিল । আস্তে আস্তে প্রতিবাদ ও পিকনিক এক হয়ে যায় । রাস্তা আটকে, নানা রকম বিশৃঙ্খলায় চলে প্রতিবাদের নানা লাগাতার কর্মসূচি - যদি কোন গোপন অ্যাজেন্ডা  পূরণ হয় । এই ফেক নিউজকে ভিত্তি করে কিছু মানুষ বিভিন্ন দিক থেকে যখন ময়দানে নেমে যান – অ্যাজেণ্ডা তখন গোপন থাকে না। কৌটোর মুখ খুলে ছিটকে ছিটকে বেরিয়ে পড়ে - যাতে নির্দিষ্ট ঘটনাটির প্রতিবাদ বাদে বাকি সব পাওনাগণ্ডা ও বিভিন্ন কমিটিতে চেয়ার পাওয়ার হিসেব পরিষ্কার হয়ে যায় ।

    ফেক নিউজ, ভুল তথ্য ও অপ-তথ্য 

     নিউজ বা সংবাদ । এই সংবাদ-মাধ্যম সৃষ্টির ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে যে এই মাধ্যম গণ-সমাজকে খবরাখবর দিয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্যই মূলত সৃষ্টি হলেও, গণতন্ত্রের একটি শক্তিশালী স্তম্ভ হয়ে উঠেছে সংবাদ পরিবেশনে এর স্বতন্ত্র নিরপেক্ষতার জন্য । যাতে জনমত সুগঠিত হয় সঠিক ব্যক্তিগত আপেক্ষিকতায়, চাহিদায় ও সিদ্ধান্তে । কিন্তু রাজনৈতিক, ব্যবসায়িক বা অন্য কোন নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য সাধনে মুল সংবাদকে নানা রকম রং চড়িয়ে, কখনো কখনো মূল খবরকে উল্টে দিয়ে বা অর্ধ সত্য বলে, বা অন্য অর্থ করে সংবাদ প্রকাশ হল ফেক নিউজ । মিথ্যে এআই দিয়ে বানানো অডিও, রগরগে ছবির খবর দিয়ে চলে মানুষের সেনসেশন বাড়ানোর খিদে ।

    সাম্প্রতিক বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ

    বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ কোটা সংস্কার আন্দোলনে প্রথম আলো, কালবেলা প্রভৃতি সংবাদ মাধ্যমের বরাত নকল করে নানা ধরনের ফেক খবর ছড়িয়ে পড়েছিল । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ও রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৭ জন মহিলাকে ধর্ষণ, শহীদের সংখ্যা ৯০০ ছাড়িয়ে যাওয়া, হাতিরঝিলে ১০০ ছাত্রের মৃত লাশ উদ্ধার – এই সব নানা খবর যাচাই না করে মানুষ  উত্তেজিত হয়েছেন । চেয়ার থেকে নেত্রীকে নামানো গিয়েছে ঠিকই। কিন্তু সেনাদের উপস্থিতিতে যেভাবে সরকারি সম্পত্তি লুঠ হতে দেখলাম তাতে বুঝতে বাকি থাকলো না আর কিছু ! বাংলাদেশ, তুমি কি এখন শান্তিতে আছো? বরং প্রকট হয়েছে তাদের মিথ্যাচার । অস্থিরতা প্রশমিত হয়েছে কতটা? দ্রব্যমূল্য লাগামছাড়া বৃদ্ধি, অনেক  জায়গায় কাজ বন্ধ, ভিসায় অনুমতি না পাওয়া – এসব তো চলছেই । আর বাংলাদেশকে দেখে আর-জি-করের হৃদয়-বিদারক ঘটনাকে মূলধন করে চলেছে ফটোশপে করা নানা অতি রঞ্জিত ছবি, ‘আমি সোমা বলছি’ অডিও, টিএমসি নেতার ডাক্তার ছেলে জড়িত, পোষ্ট মর্টেমে কারচুপি, ক্রাইম প্লেস অল্টার, ১৫০ গ্রাম সিমেন - তাই একাধিক ধর্ষক, ভাঙা পেল্ভিস বোন, মৃতার চোখ দিয়ে রক্তধারা, কিছু সেলিব্রিটির পুজো বয়কটের সিদ্ধান্ত, গ্লাভসে রক্ত … এসব  নানা ফেক গল্পের ক্যানভাস । যার সত্যতার দায় কেউ নেয়নি! 

    আমরা আজ বড় বেআব্রুভাবে উন্মোচিত!

    এত গুরুতর যে ঘটনা, যা ঘটনার নিরিখেই এত মর্মান্তিক, বেদনার, প্রতিবাদের – সে ঘটনাকে আরো গুরুত্বপূর্ণ করতে বোধহয় স্যোশাল মিডিয়ায় কোনো রগরগে ছবি সহ ফেক নিউজের দরকার ছিল না ! প্রতিবাদে ঢুকে গেল বড্ড বেশি বেনোজল। আর তারাই হয়ে গেল প্রতিবাদের মুখ্য মুখ। এরা কারা? এদের মধ্যে খুঁজে পাওয়া গেল ধর্ষককে, এদের মধ্যে চলে এল সেলেবদের বাজার দখল ও পুজোয় খেলবো না বলার চিত্র, এদের মধ্যে চলে এল এখন প্রতিবাদী অতীতে খুনের অভিযোগে অভিযুক্তদের নাম, প্রতিবাদী যখন - তখন এক বাবা, জামিন পাবার সময় বাবার নাম বদলে যাওয়া, প্রতিবাদের মুখ্য নেত্রী অথচ তার ফেক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, ‘মিডিয়া’য় গণ ইস্তফার পালা, এদিকে কর্মবিরতি, গরিব মানুষদের চিকিৎসা পরিষেবা লাটে তুলে ওদিকে প্রাইভেট নার্সিংহোমে হাজিরা ! এরা কী চাইছে প্রকাশ্যে বা প্রচ্ছন্নে ?? রাতারাতি এক গণতান্ত্রিক সরকারকে উল্টে যদি দেওয়া যায় ? সরকারে বিভিন্ন সঙ্গত বা অসঙ্গত কারণে কিছু মানুষের অনাস্থা থাকতেই পারে । কিন্তু ফেক নিউজ তার মূলধন হতে পারে না।  সামাজিক বাতাবরণে কিছু মানুষ যদি প্রতিবাদের এই হঠকারী পন্থায় আপত্তি প্রকাশ করেছেন, তো সে হয়ে গেল খুনিদের মদতকারী বা স্পেসিফিক কারুর পাদুকা-লেহনকারী !  বিভাজনের মূল কিন্তু এই ফেক নিউজ । এরা কে কে খুনী - ফেক নিউজের দৌলতে জানে সব । কিন্তু কোনো প্রমাণ নেই! ফলে এদের অনুমান বা সন্দেহে যদি তোমার মত না থাকে তাহলে সরলীকরণ - তুমি ধর্ষকের দলে… । এখানে প্রশ্ন একটাই – তোমার কাছে প্রমান নেই, অথচ তুমি জানো যে খুনি কে বা কারা ? তাহলে হয় তুমি তদন্ত সংস্থাকে তথ্য দিয়ে সহায়তা কর। না হলে বুঝে নিতে হবে এই পরিকল্পনায় তুমিও একজন – নাহলে তুমি জানো কীভাবে?

    বিচার, সেটিং, কেন্দ্র-রাজ্য হাত মেলানো…

    বিচার যদি সত্যি চাই, তাহলে এখন রুদ্ধদ্বার কক্ষে বিচার হচ্ছে কেন? এখন অনেক কিছু পাব্লিক জেনে যাবে তাই? সেই দাবী নেই কেন? আসলে আমরা সত্যি বিচার চাই না “আমি সোমা বলছি…” অডিওই আমাদের সার বস্তু? সেটিং বা কেন্দ্র রাজ্য হাত মেলানো, মেয়েটা বিচার পেল না – এই সব তত্ত্বে এখন অনেকে চলে গেছেন । এখানেও জিজ্ঞাসা – রাজ্যের দোষ পেলে কেন্দ্রীয় সংস্থার হাত ধরে কেন্দ্র কি রাজ্যকে চেপে ধরতো না? যেখানে সূঁচ হয়ে ঢুকে ফাল হয়ে বের হবার সুযোগ, তা কেন্দ্রীয় সরকার নেবে না? তাহলে কে বড় দোষী যে সেটিং করছে? 
      
    নোবেলজয়ী  ক্যান্সার গবেষক হ্যারল্ড এলিয়ট ভারমাস ও ট্যুইটারেরর সিইও জ্যাক ডরসি কী বললেন?

    হ্যারল্ড এলিয়টকে একজন জীবনের শেষ প্রান্তে এসে দাঁড়ানো রোগী জিজ্ঞেস করেছিলেন – বিজ্ঞান এই রোগের বিরুদ্ধে কতটা এগোলো? এই রোগকে কী সব ক্ষেত্রে হারাতে পারবো আমরা? আর সেই একই দিনে দিল্লীতে ট্যুইটারের সিইও জ্যাক ডরসিকে রাহুল গান্ধী প্রশ্ন করেন ফেক নিউজের বিরুদ্ধে কি  জিতব আমরা? দু-জনই মোটামুটি এক উত্তর দিয়েছেন – যে এমন কোনো ওষুধ নেই যাতে সব অস্ত্রেই এই রোগকে সারানো যাবে। তবু চেষ্টা চলছে । ভারমাস বলেছেন – যেহেতু এই অসুখ নির্দিষ্ট পথে চলে না ফলে চিকিৎসায় সব গোত্রের এই অসুখ থেকে সেরে ওঠা মুশকিল । ডরসি বলেছেন – ফেক নিউজের সমস্যা একটি মাল্টি ভেরিয়েবল, তার বহু রূপ । ফলে এক অস্ত্রে এই সমস্যাকে সমাধান করা যাবে না । তবু চেষ্টা করতে হবে। 

    বন্ধুরা, আমাদের একত্রে চেষ্টা করতেই হবে… 

    ফেক খবরের বিরুদ্ধে তাই এই মুহূর্তে সমস্ত ভুল বোঝাবুঝি ভুলে সামগ্রিক সচেতনতা যেমন জরুরি, তেমনি জরুরী অন্যায়ের বিরুদ্ধে সব ক্ষেত্রেই প্রশাসনিক তৎপরতা । সমাজের সার্বিক সুস্থিতি রক্ষায় যেকোনো রকমের ভেসে আসা খবর বিষয়ে আমরা যেন একটু ক্রশ চেক করি। ফেক নিউজের ফাঁদে যেন পা না দিই । ফেক নিউজকে সঙ্গী করলে দীর্ঘকালীন লাভ কিছু হবে না । হাতে থাকবে কেবলই ফেক পেন্সিল!
                                          সুব্রতা

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে প্রতিক্রিয়া দিন