পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন (২০২১) পর্বে নাগরিকদের করের পয়সায় নাগরিকদের ভোটদানে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে সমস্ত সংবাদপত্রে বড় বড় বিজ্ঞাপন দিচ্ছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। তার মধ্যে একটা বিজ্ঞাপনের আবেদন অদ্ভুত হলেও তাৎপর্যপূর্ণ ছিল: "তাঁরা দেশের জন্য প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন, আপনি কি দেশের জন্য ভোট দিতে পারবেন না?", এবং এই আবেদনের সঙ্গে নাগরিকদের নির্ভয়ে ভোটদানের উদাত্ত আহ্বান রাখা হয়েছিল। এই বিজ্ঞাপনবাণী চরম হৃদয়বিদারক ঘটনায় পরিণত হলো; গণতন্ত্রের উৎসব রাষ্ট্রীয় বুলেটতন্ত্রের চেহারায় হাজির হলো। স্বাধীন দেশের স্বাধীন কমিশন নিয়ন্ত্রিত কেন্দ্রীয়বাহিনীর গুলিতেই দেশের জন্য ব্রিটিশের হাতে নিহত পূর্বসূরিদের মতই ৪ জন পরিযায়ী শ্রমিক ভোটার শহিদ হলেন। পাশাপাশি, নির্বাচনী হিংসার ঘটনায় প্রথমবারের ভোটার আনন্দ বর্মন নিহত হলেন। নন্দীগ্রাম, শীতলকুচি সহ তিনটি ক্ষেত্রেই কমিশনের নিরাপত্তা প্রদানের অভয়বাণী ব্যর্থ হল।তিনজন প্রাণ হারালেন। বিজ্ঞাপনটি যেন দুঃস্বপ্ন হিসাবে আমাদের বিবেককে তাড়া করে বেড়াচ্ছে।
নাগরিক সমাজ, নানা সংগঠনের প্রতিবাদ, মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রতিবাদ, বিক্ষোভ, নিহতদের,আহতদের ক্ষতিপূরণ প্রদান ইত্যাদি সব কিছুকে কলঙ্কিত করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় শাসক দলের বঙ্গীয় নেতাদের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জল্লাদসদৃশ উল্লাস এবং কমিশনের ন্যায়বিচার বোধ রহিত পদক্ষেপ ; ফলে পরিস্থিতি আরো বিষিয়ে উঠেছে।
যে কোনো সভ্য, সংবেদনশীল মানুষ, দল, মানুষের, সহ নাগরিকের এহেন মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ হবেন, মর্মাহত হবেন, সন্তানহারা মায়ের সমব্যথী হবেন, প্রতিবাদ করবেন, শাস্তির দাবি তুলবেন, এবং সর্বোপরি, ১০ এপ্রিলের শীতলকুচির জোড়াপাটকির মত ঘটনা যাতে আর কখনই না ঘটে তার জন্য আবেদন করবেন, শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠার কামনা করবেন।
তার বদলে আমরা কী দেখলাম? শিউরে উঠলাম বিজেপির বঙ্গীয় পাষণ্ড, হৃদয়হীন নেতাদের থেকে নির্গত ‘প্রতিক্রিয়া’ শুনে - "জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি বানিয়ে দেব", "৪ জন কেন, ৮ জনকে হত্যা করা উচিত ছিল" ইত্যাদি। সঙ্গে সঙ্গে মিডিয়ার একাংশে তরজা অনুষ্ঠিত হতে শুরু করলো, এহেন (মানবতা বিরোধী) মন্তব্যগুলো কতদূর মেরুকরণের রাজনীতিকে শক্তিশালী করবে অথবা করবে না! তীব্র নিন্দার বদলে 'আলোচনা'-র মধ্য দিয়ে আমরাই সচেতন ভাবে আমাদের সমাজকে আরো আরো বেশি বেশি করে dehumanised, অমানবিক করে তুলছি । বিশেষ সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষের মৃত্যুতে উল্লাস, কেন্দ্রীয় বাহিনী মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হয়েছিল (আসলে সেগুলো হয় মণিপুর, নয় ঝাড়খণ্ডের পুরাতন ভিডিও) বলে ফেক নিউজ প্রচার করা, রাজনৈতিক লাভক্ষতির তুল্যমূল্য বিচার, এবং হয়তো নিজেদের অজান্তেই 'varieties of blood" ধারণাকে লালন করা, পুষ্ট করা আমাদেরকে চরম লজ্জায় ফেলে দিয়েছে।
কী ঘটেছিল সেই অভিশপ্ত ১০ এপ্রিল শীতলকুচির জোড়াপাটকি র ১২৬ নং বুথের সামনে?মানবাধিকার সংগঠন মাসুমের সদ্য প্রকাশিত প্রতিবেদন এবং দ্য টেলিগ্রাফ পত্রিকায় (১২ এপ্রিল) প্রকাশিত CISF জওয়ানদের হাতে চূড়ান্ত নিগৃহীত বালক মৃণাল হকের মর্মস্পর্শী বিবরণ স্পষ্টভাবে দেখিয়ে দিচ্ছে, কমিশনের নিয়ন্ত্রণাধীন কেন্দ্রীয় বাহিনী ঠান্ডা মাথায় চারজনকে হত্যা করছে, কয়েকজনকে আহত করেছে। আজ অবধি কমিশন বন্দুক কাড়ার কোনও তথ্য প্রমাণ হাজির করতে পারেনি। বিপরীতে, সেই গুলিচালনার মুহূর্তের কিছু গ্রামবাসীর মোবাইলে তোলা ছবি বাহিনী জোর করে কেড়ে নিয়েছে। তথ্যপ্রমাণ লোপাট করে দিয়েছে।
এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে কমিশনের ভূমিকা (এখনও পর্যন্ত) অপ্রত্যাশিত। কী প্রত্যাশিত ছিল? কী হওয়া উচিত ছিল? কমিশনের অধীনে কেন্দ্রীয় বাহিনী যেহেতু হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, কমিশনের নির্ভয়ে ভোট দানের অভয়বাণীকে নির্মম পরিহাসে নিজেরাই পরিণত করেছে, সেহেতু কমিশনের তরফে প্রথমেই হত্যাকাণ্ডের জন্য অন্ততপক্ষে দুঃখপ্রকাশ করা যেতে পারত। নোটিশ তো পরের ধাপ; প্রথমেই কড়া ভাষায় জানানো যেতে পারতো যে "শীতলকুচি জায়গায় জায়গায় হবে যারা বলছে," তারা কমিশনের মুখপাত্র নয়। দ্ব্যর্থহীনভাবে নাগরিক ভোটারদের অভয় দিয়ে বলা যেতে পারতো, এই দুঃখজনক ঘটনা যাতে আর না ঘটে সে ব্যাপারে কমিশন সতর্ক থাকবে। নোটিশ জারির আগেই বঙ্গীয় বিজেপি নেতাদের উল্লাসকে তীব্র নিন্দা করে বলা যেতে পারতো, এই ঘটনা মোটেই বিশেষ সম্প্রদায়ের প্রতি সতর্কীকরণ নয়, মোটেই ভবিষ্যতের উদাহরণ নয়। ভারতবাসীকে বিবৃতি দিয়ে বলা যেতে পারতো, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পুরাতন বাধ্যতামূলক নির্দেশিকা মেনে অভিযুক্ত জওয়ানদের বিরুদ্ধে ভারতের দণ্ডসংহিতার ৩০২ ধারা মোতাবেক খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্তদের আদালতে প্রমাণ করার দায় থাকবে যে তারা আত্মরক্ষার কারণে গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছিল।
হায়! কমিশন কমিশনের প্রতি মানুষের ক্রম অপসৃয়মাণ বিশ্বাস, আস্থাকে ফিরিয়ে আনার পথেই হাঁটলো না। এমনকি নিজেদের তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই আত্মরক্ষার তত্ত্ব হাজির করে দিলো। কেন non lethal পদক্ষেপগুলো করা হয়নি তার কোনও ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজনবোধ পর্যন্ত করা হল না। কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেন না; কমিশনের সদ্যনিযুক্ত পুলিশ সুপারের পেশ করা রিপোর্ট দিল্লিতে পাঠিয়ে দিলেন। শহিদদের নামগুলো পর্যন্ত ভুল পাঠান হলো। এখন আবার তাঁর রিপোর্ট চরম প্রশ্নের মুখে পড়েছে জেনে হম্বিতম্বি করছেন বলে সংবাদে প্রকাশ। সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হলো, ওই বুথের প্রিসাইডিং অফিসারের রিপোর্ট দিল্লিতে পাঠানো হয়নি। ঘটনার সময় সিসিটিভি চালু ছিল কিনা তা নিয়েও রহস্য দানা বাঁধছে [দ্র. দ্য টেলিগ্রাফ, ১৩ এপ্রিল,২০২১]। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে যখন বিজেপির দুজন কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটে, তখন কিন্তু কমিশন নিজস্ব তদন্ত টিম পাঠিয়েছিল। এটাও উল্লেখের দাবি রাখে যে, নির্বাচন শুরুর প্রাক মুহূর্তে সমস্ত দলের সঙ্গে কথা না বলেই কমিশন বুথে দলীয় এজেন্ট নিয়োগের বিধি পরিবর্তন করেছে, যা নজিরবিহীন। গোটা নির্বাচনপর্ব জুড়ে কমিশন বিভিন্ন জেলার পুলিশ আধিকারিক, জেলাশাসক, এমনকি রাজ্য ডি জি কে বদলি করে দিচ্ছে। কারণ অনুমেয়: সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন সম্পাদন করার জন্য। এই ক্ষমতা কমিশনের আছে। ফলে তর্ক তা নিয়ে নয়। প্রশ্ টা হলো: এই ক্ষমতা কতখানি দায়বদ্ধহীন? বদলির কারণ দর্শাতে কমিশন বাধ্য কিনা? ন্যায়বিচারের প্রাথমিক শর্ত হল, যেকোনো আদশের পশ্চাতে যে কারণগুলো আছে তা ব্যাখ্যা করা। সকলকে জানানো। কারণ কমিশন নাগরিকের সমক্ষে দাঁড়িয়ে, মানুষের নজরদারির মধ্যে দাঁড়িয়ে কাজ করার অন্যতম স্বাধীন সংস্থা। কাজের স্বচ্ছতা তাই আবশ্যিক শর্ত। তা অনুসৃত হওয়ার মধ্য দিয়েই কমিশনের মত স্বাধীন সংস্থার জনগ্রাহ্যতা, বিশ্বাস, আস্থা গড়ে ওঠে। দায়বদ্ধতাহীন ক্ষমতা স্বেচ্ছাচারের জন্ম দেয়।
মানবাধিকারের বিচারে শীতলকুচির হত্যাকাণ্ড ভারতের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২১ শুধু লঙ্ঘন নয়, ভারত দেশ কর্তৃক স্বাক্ষরিত রাষ্ট্রসঙ্ঘের সমস্ত মানবাধিকার সংক্রান্ত ঘোষণা, নির্দেশিকার নগ্ন লঙ্ঘন। কমিশনের কি অবহিত উত্তেজনাপূর্ণ বা সম্ভাবনাময় উত্তেজনাপূর্ণ অঞ্চলে নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে পরিচালনা করতে হলে প্রাক নির্বাচনপর্বে, নিবার্চনের দিনগুলোতে এবং নির্বাচন - পরবর্তী পর্বে আন্তর্জাতিক স্তরে স্বীকৃত শ্রেষ্ঠ (বেস্ট) নিয়ম ও প্রক্রিয়াগুলো কি কি? যদি উত্তর হ্যাঁ হয়, তাহলে সেগুলো অনুশীলন করার কোনও নির্দিষ্ট নীতি, কর্মসূচি আছে? প্রয়োগ করা হয়েছে শীতল কুচি সহ অন্যত্র?
১৯৮৯ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত টানা ২৬ বছর ধরে কমিশনের বিশ্বাসযোগ্যতা কীভাবে জনমানসে গড়ে উঠেছিল সে নিয়ে চমৎকার আলোচনা করেছেন অমিত আহুজা ও সুসান অস্টার্মান (২০২০)। এই স্বাধীনচেতা মনোভাব ছিল বলেই ২০০২ সালে গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী, অধুনা প্রধানমন্ত্রী, কমিশনকে দিনরাত গাল পেড়েও কমিশনকে তার যুক্তিগ্রাহ্য সিদ্ধান্ত থেকে নড়াতে পারেননি। গোধরা পরবর্তী গণহত্যায় রক্তস্নাত গুজরাতের অবস্থা নির্বাচনের অনুকূল নয় বিবেচনা করে লিংডো পরিচালিত কমিশন বিধানসভার নির্বাচন ছয়মাসের জন্য পিছিয়ে দিয়েছিল, এবং মধ্যবর্তী সময়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সহ অন্যান্য সংগঠনের সাম্প্রদায়িক জন জাগৃতি যাত্রা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। ক্রোধে মোদী প্রতিটি জনসভায় লিংডোকে গালমন্দ করতেন কংগ্রেসকে জড়িয়ে; "দিদি" কে যেভাবে বিকৃত কুৎসিত কায়দায় ডাকছেন, সেই ভাবে তিনি লিংডো র পুরো নাম --- জেমস মাইকেল লিংডো -- চিবিয়ে চিবিয়ে উচ্চারণ করে একটি গল্প শ্রোতাদের শোনাতেন: সাংবাদিকরা মোদিকে প্রায়শই (নাকি) জিজ্ঞেস করছেন, লিংডো কি ইটালি থেকে এসেছেন? মোদী জবাব দিতেন তাঁদের, কী জানি। জন্মসূত্র জানি না। রাজীব গান্ধী বলতে পারবেন। তবে সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে একই গির্জায় যান। এই জাতীয় কদর্য আক্রমণ যে খুবই নিন্দাজনক তা বিবৃতি দিয়ে বাজপেয়ী জানিয়েছিলেন [ দ্র. 'Secular Intervention', ফ্রন্টলাইন, ডিসেম্বর ৬, ২০০২; দি টেলিগ্রাফ, আগস্ট ২৪,২০০২]। উক্ত দুজন গবেষক বহু উদাহরণের সাহায্যে প্রমাণ করেছেন যে, ২০১৪ সাল থেকেই কমিশন আস্তে আস্তে তার স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ করেছে। প্রাক্তন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কুরেশী, যিনি কমিশনকে 'undocumented wonder' বলে তাঁর গ্রন্থে অভিহিত করেছিলেন, ২০২০ সালে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের "গোলি মারো..." বিদ্বেষপ্রসূত স্লোগানের প্রেক্ষিতে কমিশনের শুধুমাত্র নোটিশ জারিতে থেমে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে রীতিমত বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন। বলেছিলেন, যেহেতু সংবিধানের ৩২৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিপুল ক্ষমতার অধিকারী এবং বিচারপতির মতই প্রধান কমিশনার সুরক্ষিত, সেহেতু একদলীয় প্রাধান্য উপেক্ষা করে কমিশন সহজেই উক্ত অভিযুক্ত মন্ত্রী সহ অন্য আরও দুজন, কপিল মিশ্র, পারভেশ ভার্মা সাহিবের বিরুদ্ধে এফ আই আর দায়ের করতে পারত [দ্রঃ. দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস,ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২০]। সাম্প্রতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এ কথা বলাই যায় যে শীতলকুচির ক্ষেত্রেও বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে নোটিশ জারি টুকুই হবে।
আপনাদের মনে আছে ২০১৯ সালে সাংবাদিক রাজদীপ সরদেশাই, জুলিও রিবেরো সহ ১৫০ জন প্রাক্তন আমলা রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিয়েছিলেন? তাঁরা নির্বাচন কমিশনের ক্রমবর্ধমান বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট হাওয়ার প্রবণতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন ও শেসানের সময় থেকে ধীরে ধীরে স্বাধীন সংস্থা হিসাবে গড়ে ওঠা কমিশনের চরিত্র বজায় রাখার আকুল আবেদন করেছিলেন।সুনীল অরোরাকেও একই আবেদন করা হয়েছিল। বোঝাই যাচ্ছে খুব কিছু লাভ হয়নি। ক্ষমতাসীন একটি পার্টির আধিপত্যের কাছে কমিশনের স্বাধীন সত্তা হেরে যাচ্ছে; ক্ষমতার কাছে পুরাতন, চিরপরিচিত প্রশ্নহীন আমলাতান্ত্রিক আনুগত্য ফিরে আসছে। তাই ক্ষমতাসীন দল আজ খুবই ভক্তিভরে কমিশনকে সাধুবাদ জানাচ্ছে! চলিষ্ণু পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে কমিশনের গতিপ্রকৃতি সেই অশনিবার্তাকে যেন নিশ্চিত করে তুলেছে।
লিংডোর বিষয়ে মোদীর মুখনিসৃত বিষবাষ্প এখনো বাতাসে অনুভূত। এই অনুভব যদি নির্বাচন-অধ্যক্ষকে স্পর্শ না করে থাকে, তাহলে লজ্জার সঙ্গে এ-কথা মানতেই হয় যে এই অধ্যক্ষ ভদ্রলোক স্বাভাবিক মানবসংবেদ বঞ্চিত। মস্তিষ্ক ও অনুভূতির এই অভাব থাকা সত্ত্বেও তিনি এই পদাধিকারী কীভাবে হলেন সে কথা ভাবলেও শিউরে উঠতে হয়।
এখনো চার দফা ভোটদান বাকি আছে। অধুনানিযুক্ত অধ্যক্ষের কাছ থেকে আমরা কি আশা করতে পারি যে তিনি "দাগী" মোদির ওপর বিশেষ নজর রাখবেন?
সুজাতদার এই লেখা দিকে দিকে ছড়িয়ে দেওয়া উচিত। এই লেখাটিকে শুধুমাত্র বিভিন্ন বিশেষণে ভূষিত করাই যথেষ্ট নয়, এটা অনুধাবন করা আবশ্যক যে নির্বাচন কমিশন আজ শাসকের তল্পিবাহক ছাড়া আর কিছু নয়।
আমাদের দুর্ভাগ্য যে আমরা একটা বদমাশ খুনী দাঙ্গাবাজ লোক কে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পেয়েছি !! এটা চরম সত্য !!কেউ মানুন বা না মানুন !!কিছু আসে যায় না!! এর সঙ্গে যোগ হয়েছে আরেক টা বদমাশ ।..যেটা আবার এনকাউন্টার করে ।..গোপনে হত্যা করে মানুষ কে , সে আবার হোম মিনিস্টার !!!দুটোই শুওরের বাচ্চা!! এদের গালাগাল দিচ্ছি এই জন্য যে এরা মনুষ্য পদ বাচ্য প্রাণী নয় !!! তো ... এদের সঙ্গে ওই আইন আদালত , মানবতা ইত্যাদি দিয়ে কিছু করা যাবেনা !!!প্যাদানি স্রেফ রাম প্যাদানি !! ওরা লাঠি , বন্দুক , কোর্ট , এইসব দেখালে আমরাও সেই মতো করবো !!যেখানেই দেখো ।..পেদাও !! মারো সালা দের
সন্তোষবাবু
আপনার কথা গুলো গুন্ডার যুক্তি। সন্দেহ হচ্ছে আপনি এজেন্ট প্রোভোকেচার বা পেইড খোচর কিনা। খালি মারো কাটো! অ্যাডমিনদের দেখতে বলছি।
সন্তোষবাবু,
শুয়োরদের কোন অধিকার রক্ষা কমিশন নেই বলে ওদের গালাগালি দেবেন? তারা তো তাদের জৈবিক প্রয়োজনের বাইরে কিছু করেনা। তাদের তো ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য কাউকে মারতে হয়না।
অত্যন্ত জরুরি লেখা। ক্রমশ আমরা অসহায় হয়ে পড়ছি এই আগ্রাসী দলটির সামনে। ভয় করে।
ক্ষমতাসীন একটা পার্টি-আধিপত্যের কাছে নির্বাচন কমিশনের স্বাধীন সত্তা বিকিয়ে যাওয়ার উল্লেখিত প্রবনতাগুলো খুবই দুঃখজনক! লেখাটি খুব গুরুত্বপূর্ণ!
ভারতে এখন আক্ষরিক অর্থেই ফ্যাসিবাদ কায়েম হয়েছে।