রাত দশটা পাঁচে ট্রেন - মেঘ পারলে পাঁচটাতেই ট্যাক্সি ডাকে। এদিকে সেদিন শুক্রবার - কাজের দিন। প্রচুর ফাঁকি, সাড়ে ছটার জুম মীটিং স্কিপ করেও কিছু কাজ তো থেকেই যায়, সেসব সেরে শেষে সোয়া সাতটা নাগাদ উবার বুক করলাম। উবার গো এমনিতে বেশীরভাগ সময়েই দেখি সুইফট ডিজায়ার বা টাটা জেস্ট - এ যাত্রায় লাগবি তো লাগ, অল্টো। কান্নার ইমোজি। নো পান ইন্টেন্ডেড, অল্টোর পিছনে জায়গা এত কম যে মাল ঢোকেই না। ডাবল কান্নার ইমোজি। কোনমতে একটা বাক্স ঢোকানো গেল, আরেকটা সামনের সীটে। পিছনে আমরা তিনমূর্তি। আমি একটা গান ধরেছিলাম - "আমরা তিন মূর্তি / মনে খুব ফুর্তি / চলেছি দাজ্জিলিং পাহাড় / বাবাইএর বুদ্ধি / যেন মুখশুদ্ধি / সাবাশ লীডার" - তা গানটা কেন জানি মেঘের ঠিক পছন্দ হল না। মেঘের মা ও খুব একটা সাপোর্ট দিলনি। সেড লাইফ। তিনটে কান্না ইমোজি।
আমাদের ড্রাইভার বাবু এদিকে মহা ফোনবাজ। প্রায় গোটা রাস্তাটাই তিনি ফোনে বকবক করতে করতে চলে এলেন। আমরা টেনশন করতে করতেই দেখি শিয়ালদা এসে গেছে। অতএব মালপত্র নিয়ে ঠেলতে ঠেলতে স্টেশন। কফি, প্যাটিস। তারপর দেখি ট্রেনে উঠতে হেব্বি কেত - মালপত্তর স্ক্যান হচ্ছে এয়ারপোর্টের মতন। তারজন্য লাইন পড়েছে। সেসব পেরিয়ে দেখা গেল গাড়ি ঢুকিয়ে দিয়েছে একঘন্টা আগেই। দরজা খুলে দিল, আমরাও চড়ে বসলাম। আরও বেশ খানিক্ষণ পরে গাড়িও ছাড়ল। তারপর আমাদের প্রথম ছড়ানোর কেস ধরা পড়ল।
জেনেশুনেও ভুলে মেরেছি যে কোভিডকালের পর গাড়িতে বেডরোল দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা কম্বল, চাদর, বালিশ কিছুই আনিনি। এদিকে তিনজনেরই আপার বার্থ। কান্নার অজস্র ইমোজি। যত রাত বাড়ছে, তত কাঁপুনি বাড়ছে। ব্যাগ থেকে শীতের জ্যাকেট, মোজা, সব বের করে পরে ফেলেও সারারাত থরহরি কম্প। তিনজনেরই প্রায় নির্ঘুম রাত। ভোর পাঁচটা না বাজতেই সব উঠে পড়েছি। দাঁত ফাত মেজে চাতকের অপেক্ষা, কখন লোয়ার বার্থের ঘুম ভাঙবে, একটু নীচে গিয়ে বসা যাবে।
তাদের তিনজনের মধ্যে দুজন অবশ্য ছটা সোয়া ছটাতেই উঠে পড়লেন, আমরাও নীচে গিয়ে একটু আরাম করে বসতে পেলাম। আরেক দফা ব্যাগ গোছানোও হল, যা কিছু বেরিয়েছিল, তবে এবারে সবার একটা করে জ্যাকেট হাতেই রাখলাম। দাঁত কেলানো ইমোজি। গাড়ি যথা সময়েই নিউ জলপাইগুড়ি ঢুকে গেল। রেফ্রিজারেটর থেকে বেরিয়ে সকালের নরম রোদে হাত পা সেঁকে একটু চা পান। দেবার সাথে টুকিটাকি গল্প। তারপর আবার রওনা।
ভাই রৌহিন,
সেরাম কুড়মুড়ে লেখা, জোশিলা! ভালোর চায়া ভালো হইতেছে!
গুরুতে ইমোজি নাই, তাই এতোদিন এই চণ্ডাল কথায় ইমোজি দিতো, আর এখন তুমিও একই কাণ্ড করতেছ দেইখা আমোদিত হইলাম। পরের পর্ব দ্রুত নামাও, লাল গালের ঈষৎ পুলকিত ইমো।
কিন্তু লেখার শুরুতে আর শেষে এইসব কি হাবিজাবি লিংক আসে, দেখছো? কলিকাল ইমো।
পরসমাচার, এই লেখার সন্ধান দেওয়ায় মরিয়ম বিবি, উর্ফে মারিয়াকে ধইন্যা। কালা চশমার কুল ইমো~
পুনশ্চঃ লেখায় ছবি দিবা কইসিলা যে! ছবি কই? ব্যোমকেশ ইমো