এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  রাজনীতি

  • জনবিস্ফোরণ নামক ঢপের চপ ও একালীন দেশীয় সমাজ

    রৌহিন লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | রাজনীতি | ২৩ এপ্রিল ২০২২ | ৩৫৪৭ বার পঠিত | রেটিং ৪.৩ (৩ জন)
  • দিল্লীতে যা চলছে, তা স্রেফ ট্রেলার মাত্র - এমন আশঙ্কার কারণ আছে। কাশ্মীর ফাইলস এর মত সিনেমা টিনেমা বানানোই হয় এইসবের প্রেক্ষাপট তৈরী করতে। ২০২৪ যত এগিয়ে আসবে, মেরুকরণের উদ্দেশে এই ধরণের ভাঙাভাঙি, সাজানো দাঙ্গা, পাকিস্তানে গিয়ে কাক মেরে আসা, নিজের সেনাদের কনভয়ে সাবোতাজ করে জঙ্গী সন্ত্রাসের প্রমাণ দেওয়া - এসব ক্রমশঃ বাড়বে। টাইম টেস্টেড ছক। উত্তরপ্রদেশ, আসাম ইতিমধ্যেই জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য আইন প্রণয়নের দিকে এগোচ্ছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি মানে অবশ্য "ওদের" জনসংখ্যা বৃদ্ধি।

    এখন এই "জনবিস্ফোরণ" ব্যপারটা আমাদের ভদ্রবিত্তদের খুব প্রিয় লব্জ। আমাদের সকল দুর্দশার জন্য দায়ী আসল ভিলেন হল এই "জনবিস্ফোরণ" - এত লোক না থাকলে সবাই কী সুন্দর দিব্যি থাকা যেত, পৃথিবীরও এত্ত ক্ষতি হয়ে যেত না - সব কিছু সুন্দর হত - মানে মোদ্দা কথা আচ্ছে দিন এসেই যেত, এই এত এত মানুষ পিলপিল করে না জন্মালে। ছোটলোক আর মোল্লারা গাদাগাদা বাচ্চা দেয়, হিন্দুদের খৎরে মে ফেলে দিচ্ছে, এদের জন্যই দেশ রামরাজ্য হতে পারছে না।

    তো এই "জনবিস্ফোরণে"র ব্যপারটা একটু খতিয়ে দেখা যাক। দেখি যে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এর প্রভাব কিরকম। জিডিপি শব্দবন্ধটার সঙ্গে আমরা সকলেই মোটামুটি পরিচিত - তাই তো? দেশের জিডিপি গ্রোথ কত হল, তাই নিয়ে আমাদের চিন্তার অন্ত নেই। তা এই জিডিপি বা গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট ব্যপারটা ঠিক কি? না একটা দেশের মোট উৎপাদিত সম্পদের পরিমাণ – অর্থাৎ আমার, আপনার, শিয়ালদা স্টেশনের ভিখিরিটার, গৌতম আদানি আর মুকেশ আম্বানির, অভিষেক ব্যানার্জীর আর বিমান বসুর – সবার সম্মিলিত উপার্জন এবং উৎপন্ন সম্পদের সমষ্টি হল দেশের গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট – জিডিপি। তো ভারতের জনসংখ্যা যেহেতু বিপুল, তার জিডিপিও বিপুলই হবার কথা। কতটা? গুগলবাবা বলছে, ২০২০ সালে ভারতের জিডিপির মোট পরিমাণ ছিল কমবেশী দুই লক্ষ বাষট্টি হাজার কোটি ডলার। ভারতের মোট জনসংখ্যা সেই সময়ে ১২০ কোটি ছাড়িয়েছে। তাহলে, গুচ্ছ গুচ্ছ শুন্যের হিসাব ক্যালকুলেটারকে করতে দিন – মাথাপিছু আয় (জিডিপি পার ক্যাপিটা) কত দাঁড়াল বলুন দেখি? সরল পাটিগণিতের হিসাবে, অর্থাৎ যদি ধরে নিই এই ১২৫ কোটির সকলেই – দশ দিনের শিশু থেকে নব্বই বছরের বৃদ্ধ – সবাই কাজ করে, তাতেও মাথাপিছু আয় দাঁড়ায় প্রায় ১৩০০ ডলারের মত – মানে ২০২০ র হিসাবেই মোটামুটি বছরে প্রায় আশি হাজার টাকা – মাসে সাত হাজার টাকার মত। একটা চারজনের পরিবারের মাসিক গড় আয় ২৫ হাজার টাকা। ভারতের বর্তমান জনসংখ্যায়। মাসিক পঁচিশ হাজার টাকা খুব বেশী নয় বটে, কিন্তু একটা পরিবারের ন্যুনতম প্রয়োজনগুলি শুধু নয়, সেই সঙ্গে ছোটখাটো শখ আহ্লাদও এই বাজারেও মেটানো এই টাকায় সম্ভব বই কি।

    এবং সেই কারণেই, আজ যদি আপনি বলেন, নিয়োগ করার জন্য মাসিক পঁচিশ হাজার টাকা মাইনের একটি কি দুটি চাকরি আপনার কাছে আছে, দেখবেন আপনার দরজার বাইরে এক মাইল লম্বা লাইন পড়ে গেছে – কিন্তু কেন? কারণটা আমরা সবাই জানি। ভারতবর্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের কাছে মাথাপিছু সাত হাজার টাকা মাসিক রোজগার এখনো অলীক স্বপ্ন। অথচ পাটিগণিত অন্য কথা বলছে – কেন? হিসাবের কড়ি তো বাঘে খায় না – তাহলে খেলো কে? বলার জন্য কোনো প্রাইজ নেই, বুঝতেই পারছেন কে বা কারা খেলো? সাত হাজার একটি গড় মাত্র। সেই গড়ের মধ্যে যেমন টেনেটুনে সপ্তাহে সাতশো টাকা রোজগেরে আছেন, বিন্দুমাত্র রোজগার না করা মানুষ আছেন, তেমনি আছেন ঘন্টায় সাত কোটি রোজগার করা লোকও। প্রথম দলকে আপনি রোজ চোখে দেখেন, মুখ চেনেন, কিন্তু প্রায় কারোরই নাম জানেন না। দ্বিতীয় দলকে আপনি প্রায় কখনোই দেখতে পান না, জীবনে কখনো পাবেনও না – কিন্তু তাদের নাম আমি, আপনি সবাই জানি। কারণ, এই এক শতাংশ দেশবাসীর হাতে আছে দেশের মোট সম্পদের ৭০ শতাংশ। আর তার পরের ধাপের কুড়ি শতাংশ ভাগ্যবানের হাতে আছে প্রায় উনিশ শতাংশ সম্পদ। তাহলে হাতে রইল কি? পেনসিল? না দাদা – এগারো শতাংশ। ভাগীদার কজন? দেশের প্রায় আশি শতাংশ মানুষ।
     
    খুব জটিল অঙ্ক? তাহলে বরং অ্যাবসোলিউট ফিগারে কিছু কষে দেখা যাক। ২০২০ সালের হিসেবটাই ধরি – যদিও তারপরে অবস্থা আরও জটিল হয়েছে, তবুও। মোট সম্পদ – দুই লক্ষ বাষট্টি হাজার কোটি মার্কিন ডলার (২৬২০০০০০০০০০০০) – আর দেশের মোট জনসংখ্যা – একশো পঁচিশ কোটি আনুমানিক (১২৫০০০০০০০০)। তাহলে মোট সম্পদের ৭০ শতাংশ – কত হয়? ২৬২০০০০০০০০০০০ x ৭০% = ১৮৩৪০০০০০০০০০০ (এক লক্ষ তিরাশি হাজার চারশো কোটি) মার্কিন ডলার। এই টাকা ভাগ করে নিচ্ছে কারা? দেশের এক শতাংশ জনতা – ১২৫০০০০০০০০ x ১% = ১২৫০০০০০ (এক কোটি পঁচিশ লক্ষ)। প্রত্যেকের ভাগে কত পড়ছে? ১৮৩৪০০০০০০০০০০ / ১২৫০০০০০ = ১৪,৬৭,২০০০০ (চোদ্দ কোটি সাতষট্টি লক্ষ কুড়ি হাজার) মার্কিন ডলার – আরে দাঁড়ান মশাই – গল্প এখানেই শেষ নয়। এবার যদি বলি – এটাও নেহাৎই একটা গড় – মানবেন তো? দাদা – এই এক লক্ষ তিরাশি হাজার চারশো কোটি ডলারের মধ্যে কুড়ি হাজার কোটি ডলারের মালিক শুধুমাত্র দেশের প্রথম দশ জন – হেহে। আবার এই প্রথম দশের মধ্যে প্রথম দুজনের ভাগে দশ হাজার কোটি – হেহেহেহেহেহেহেহে। আচ্ছা যাকগে – বড়লোকেদের ব্যপার স্যাপার থাক। বাকিদের ভাগ্যে কী রইল? দেশের আশি শতাংশ মানুষ – যার মধ্যে আমি, আপনিও পড়ি – আমাদের ভাগে কি রইল? এগারো শতাংশ – ২৬২০০০০০০০০০০০ x ১১% = ২৮৮২০০০০০০০০০ (আঠাশ হাজার আটশো কুড়ি কোটি) মার্কিন ডলার। এই টাকা কাদের মধ্যে ভাগ হচ্ছে? দেশের আশি শতাংশ মানুষ – ১২৫০০০০০০০০ x ৮০% = ১০০০০০০০০০০ (একশো কোটি)। প্রত্যেকের ভাগ কত? ২৮৮২০০০০০০০০০ / ১০০০০০০০০০০ = ২৮৮.২০ (দুশো অষ্টাশি ডলার) – মাসিক আয় – মেরেকেটে ২৪ ডলার – ২০২০সালের হিসাবে যা কম বেশী দেড় হাজার টাকার মত। দাদা, ওপর তলার মত নীচতলাতেও যথেষ্টই হেহেহেহে আছে, ভুলে যাবেন না।

    আচ্ছা এত মাথা ঘোরানো অঙ্ক থেকে মোদ্দা কথাটা তাহলে কী বুঝলেন? সম্পদের বন্টনের অসাম্য – আমাদের এই দারিদ্রের জন্য প্রধান দায়ী – এবং দেশের জনসংখ্যা কোনোভাবেই দায়ী নয়। কারণ এখনো, সম্পদের ঠিকঠাক বন্টন হলে, এই দেশের জনসংখ্যা তার মোট সম্পদের তুলনায় এমন কিছু বেশী নয়। কিন্তু তা হতে গেলে যেটা সর্বাগ্রে প্রয়োজন, তা হল রাষ্ট্রের সদিচ্ছা – যেটা অন্তত এই মুহুর্তে সোনার পাথরবাটির চাইতে বেশী কিছু মনে হচ্ছে না কারোরই। কারণ রাষ্ট্র কখনোই সম্পদের সুষম বন্টন চায় না – তার শাসনের সুবিধার্থে। সে সবসময়েই চাইবে এই এক শতাংশ মানুষের হাতেই থাক দেশের সম্পদ – তাহলে তা ক্ষমতাকে আরও মদত দেবে। কেন্দ্রীভূত সম্পদ = কেন্দ্রীভূত ক্ষমতা – তাই এই জনবিস্ফোরণের মিথ। একে ওকে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে দিতে পারলেই ব্যাস – আমি, আপনি ব্যস্ত হয়ে পড়ব সেই দোষীরা কতটা বদমাশ, তার হিসাব নিতে – রাষ্ট্র বগল বাজাবে। ক্ষমতা বগল বাজাবে। মুষ্টিমেয় মানুষ ধনী থেকে ধনীতর হবে। ঠিক যেমন হয়েছে কোভিডের সময়ে – আমরা যখন প্যান্ডেমিকের প্রকোপে হাঁসফাস করেছি, রোজগার, জীবিকা খুইয়েছি, পেটে গামছা বেধে দেশসেবার নিমিত্ত থালা বাজিয়েছি, তখন দেশের প্রথম দশজন মাল্টি বিলিয়নেয়ারের উপার্জন বেড়েছে প্রায় ৭৫% (সারা পৃথিবীতে এই হার ২৫%)। একেই আমরা গোদা বাংলায় আচ্ছে দিন বলে অভিহিত করে থাকি।
     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ২৩ এপ্রিল ২০২২ | ৩৫৪৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • ছবিওলা | 2601:5c0:c280:4020:899e:2e09:b887:***:*** | ২৮ এপ্রিল ২০২২ ১৮:১১506986
  • আচ্ছা, একটা ফুটনোট মিস করেছিলাম, দিয়ে যাইঃ এন-এফ-এইচ-এসের ডেটার প্রভেন্যান্স (সত্যতা?) নিয়ে কিছু লোকের সন্দেহ আছে। আমার নিজস্ব পজিশন বেড়ার উপর, যদিও যাচাই করা এমন কিছুই কঠিন নয়, কিন্তু ঐ জীবনে কিছুর-ই আর সময় নেই। এই একটা লিংকঃ https://www.bbc.com/news/world-asia-india-59428011

    ডিসিঃ ট্যাবলো করে কিছু ভালো পেলে পোস্টাবেন। আমিও দেবো। 

    রঞ্জন-দা, ইন্ডিয়া ইন পিক্সেলের সব ছবি ইন্সটা অথবা টুইটারে পাওয়া যায়ঃ https://www.instagram.com/india.in.pixels/ অথবা https://twitter.com/indiainpixels (যে ছেলেটি করে তার নাম প্রতাপ বর্ধন। ভালো ছেলে কিন্তু একদিন সকালে দেখি থ্যাঙ্কিউ উনিজি বলে পোস্টেছে। তাপ্পর থেকে ভালোবাসা কমে গেছে।) 
  • রৌহিন | ৩০ এপ্রিল ২০২২ ১২:৫৪507030
  • পোস্ট করে আমি নিজেই হাওয়া হয়ে গেছিলাম বলে দুঃখিত। এসে দেখছি দুর্দান্ত কিছু ডেটা এসেছে - আলোচনাও খুব ইন্টারেস্টিং খাতে এগোচ্ছে। রঞ্জনদা, "রঞ্জনদা যা বললেন তার ছপি" (যিনিই দিয়ে থাকুন) দুজনকেই অনেক অনেক থ্যাঙ্কু। এই ছবিগুলো সেদিন পোস্টের সঙ্গেই দিতে পারলে ভালো হত - কিন্তু তখন খুঁজে পাইনি। 
  • যদুবাবু | ০১ মে ২০২২ ০৮:৩৪507051
  • সব দেশের decadewise TFR ডেটা এখানে পেলাম https://population.un.org/wpp/Download/Standard/Fertility/
    তারপর মনে হলো আশেপাশের দেশে কি অবস্থা দেখি। এই ইউ-এনের সাইট-টা একটা ট্রেজার ট্রোভ কিন্তু।
    অনেক ডেটা তো আছেই, প্রোবাবিলিস্টিক প্রোজেকশন-ও দেখছি। (পৃথিবীতে কতো ইন্টারেস্টিং ডেটা, কিন্তু সময় বড়ো কম! :( ) 
     
  • রৌহিন | ০১ মে ২০২২ ১১:৫৯507055
  • @যদুবাবু - এবার তো থ্যাঙ্কিউ বলতে বলতেও ক্লান্ত হয়ে পড়ব দেখছি - এ তো সত্যিই খনি! এই মর্টালিটি রেট ডেটাগুলোর খোঁজে ছিলাম
  • যদুবাবু | ০১ মে ২০২২ ১৯:১৪507076
  • আরে রৌহিন-দা, ধুর থ্যাঙ্কিউ ইত্যাদি ফর্ম্যালিটি কোরো না।ঐজন্য লগিন না করে নিক থেকে ছপি পোস্ট করেছিলাম। তারপর দেখলাম ঐ অতোবড়ো নামকেও থ্যাঙ্কিউ দিতেছো। 

    তার থেকে আলোচনাটা এগোক। এই গ্রাফটায় আমার যেটা ইন্টারেস্টিং লেগেছে সেটা হলো পাকিস্তান আর বাংলাদেশের ট্র্যাজেকটরি। আলাদা করে দিলাম। 



    (ফুটনোটঃ রৌহিন-দা-ই একমাত্র গুরুর লোক যাকে আমি সামনাসামনি দেখেছি, ২০২০-র জানুয়ারীতে (?), কলেজ স্কোয়ার লিটল ম্যাগ মেলায়। তবে ওঁর তা মনে থাকার কথা নয়।) 

     
  • Indra Mukherjee | ০২ মে ২০২২ ০৭:০২507094
  • Income/ wealth distribution নিয়ে আরো লেখা আসুক । Industrialisation ও তার জন্য employment ও poverty elimination  এর ওপর লেখা চাই 
    । ভালো লাগছে 
     
  • রৌহিন | ০৩ মে ২০২২ ০১:৫৯507139
  • এই ট্র্যাজেক্টরিটা দেখেছি - আমি ইন্ডিয়ার সাথে পাকিস্তান,বাংলাদেশের কম্প্যারিজনটা দেখছিলাম। সত্যিই খুব ইন্টারেস্টিং। বিশেষ করে বাংলাদেশ - ১৯৭০ এর পর কী প্রমিনেন্ট চেঞ্জ অফ ডিরেকশন - আর নতুন মিলেনিয়ামের শুরুতেই ইন্ডিয়ার থেকেও কম। শুধু চেয়ে চেয়ে দেখার মত - এইজন্যই ডেটা ইজ বিউটিফুল
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন