অবশেষে সেই বহু প্রতীক্ষিত নির্বাচনের ফল বাহির হইল। কোভিডাক্রান্ত বঙ্গ জনগণ সবুজ আবিরে মাতিয়া উঠিলেন। আমরা তৃতীয় তৃণমূল জমানায় প্রবেশ করিলাম। আকাশ হইতে পুষ্পবৃষ্টি হইল। দেবগণের শঙখনাদ দিগ্বিদিকে নিনাদিত হইল এবং নোভোট্টুগণের বুকের ছাতি দশ হইতে পঞ্চান্ন ইঞ্চি হইল। সিপিয়েমের শেষ সূর্যও অস্তমিত হইল। হাতে রহিল পেনসিল।
অতএব পেনসিল কী বলে দেখা যাক। পেনসিলের কাজ হিসাব করা - সেই কারণে সাট্টার হিসাবরক্ষককে পেনসিলার বলা হয়। তা পশ্চিমবঙ্গে যে সাট্টা খেলাটা হল, তার হিসাব তাহলে কী দাঁড়াল? নাটশেলে - ১। তৃণমূল কংগ্রেস সমস্ত অ্যান্টি ইনকাম্বেন্সির প্রেডিকশন তুচ্ছ করে বিপুল ভোটে জয়ী; ২। বিজেপি প্রবলভাবে পরাজিত হয়েও প্রধান বিরোধী শক্তি, বস্তুত একমাত্র বিরোধী শক্তি (বিধানসভায়); ৩। বামেরা, সিপিএম এবং জোটসঙ্গীরা আরও একবার প্রত্যাখ্যাত - এবারে সম্পূর্ণভাবে। অঙ্ক সহজ এবং ম্যান্ডেট এতটাই স্পষ্ট যে মেনে না নিয়ে আমার মত ঘোর সিপিএম সমর্থকেরও উপায় নেই।
এখন যদি এর ফলাফল, কনসিকোয়েন্সেস নিয়ে আলোচনা করি, তাহলে ৩ এর বিশ্লেষণ সবার শেষে রাখব - কারণ অ্যাপারেন্টলি ওটাই সবথেকে কম গুরুত্বপূর্ণ। অ্যাপারেন্টলি। ২ দিয়ে শুরু করি।
বিজেপি বাজেভাবে হারার একটা অর্থ হল, মোদী শাহ জুটি এবার এদিক থেকে অন্তত কিছুদিনের জন্য উৎসাহ হারাবে। ফলে করোনাও একটু কম ছড়াবে। গ্রাফ নামবে। একই সঙ্গে কেন্দ্রের একচোখামিও বাড়বে। বিহার পেলেও, বাংলা বিনা পয়সার ভ্যাক্সিন পাবে না। জি এস টি র প্রাপ্য টাকা পাবে না। ডিজাস্টারে সাহায্য পাবে না। তবুও, সব অপ্রাপ্তি নিয়েও যদি আমরা আমাদের মত থাকতে পারি কটা দিন - উই ক্যান ম্যানেজ। দুষ্ট গোরুর চেয়ে শুন্য গোয়াল ভাল - আমাদের বাংলারই কথা। এই হার বিজেপির পতনের সূচনাবিন্দু নয়, সেটা আগেই হয়েছে মনে হয় - তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হারগুলোর মধ্যে একটা হয়ে থাকবে। কিন্তু, আসল কথাটা সবসময়েই এই কিন্তু র পরেই শুরু হয় - বাজেভাবে হেরেও বিধানসভায় বিজেপির ৭২ জন, জোটের একজন - সেও তথাকথিত বামদলের নয়, আই এস এফ। নৌশাদ সিদ্দিকি একেবারেই বাচ্চা ছেলে - যদি ধরেও নিই তার কন্ঠ বামেদেরই প্রতিনিধিত্ব করবে শেষ পর্যন্ত, তবুও সেই কন্ঠ চেপে দিতে বাকিদের কোন সমস্যা হবে বলে মনে হয় না। অর্থাৎ যতই বিজেপি হারুক, বিরোধী কন্ঠস্বর তাদেরই থাকছে। হয়তো বাংলার মানুষ এটাও চেয়েছিলেন, বা এটাই চেয়েছিলেন, হয়তো। আমার কাছে এর অর্থ, বিধানসভায় বিরোধিতার ছকটা এবার একেবারেই অন্যরকম হয়ে যাবে, যেটা শাসকের কাছে খুব একটা অনভিপ্রেত বলে মনে হয় না।
এবার ১ নম্বর। তৃণমূল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ। গত দশ বছরে রাজ্যে কর্মসংস্থান হয়নি, শিল্প বিনিয়োগ তেমনভাবে হয়নি, সারদা, নারদার মত নোংরা স্ক্যাম, স্বাস্থ্যব্যবস্থার শোচনীয় অবস্থা - এসব সত্ত্বেও মানুষ তৃণমূলকেই ঢেলে ভোট দিয়েছেন। কেন দিয়েছেন তার একাধিক কারণ বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যমান - কিন্তু কমন যে কারণটা সবার আগে চোখে পড়ছে, সেটা হল বাংলার মানুষ এবারে বিজেপিকে হারাতে ভোটটা দিয়েছেন, এবং সেখানে বাম জোটের তুলনায় তৃণমূলকেই তারা বেশী ভরসাযোগ্য মনে করেছেন। কিন্তু উল্টোদিকের ভোটটাও বিজেপিতেই গেছে - যেটা আগেই আলোচনা করলাম। ২০১১ তে ক্ষমতায় আসার সময় থেকেই মমতা এবং তাঁর সহনেতারা (যারা গেছেন এবং যারা আছেন) কখনো সরাসরি, কখনো ঠারেঠোরে বুঝিয়েছেন, তাঁরা বিরোধীশুন্য পশ্চিমবঙ্গ চান। এত কাজ করছেন, তবুও বিরোধী কেউ থাকবে কেন, এই হল তাঁদের ভাবনা এবং দাবী। দুটো টার্ম পার করে তৃতীয় দফায় মমতার সেই স্বপ্ন অবশেষে পুরণ হতে চলেছে। অন্ততঃ স্বাস্থ্য নিয়ে, কর্মসংস্থান নিয়ে বিরোধিতা যে বিজেপি করবে না, এটা বুঝতে বোধ হয় পণ্ডিত আনতে হবে না।
এবারে ৩। বামেরা কেন প্রত্যাখ্যাত, সে বিশ্লেষণ প্যারাগ্রাফের পর প্যারাগ্রাফ নেমে গেছে, নামছে এবং আগামী তিন চার মাস নামতেই থাকবে - যার কিছু ঠিক, কিছু আধা ঠিক, কিছু পুরোই ভুল - কিন্তু কথা হল নতুন কিছু বলার মত জ্ঞানগম্যি আমার নেই। আমি, আমার মত যারা বাম সমর্থক, আমরা সবাই নিজের নিজের মত করে বিশ্লেষণ করছি - সেসবও ওই, ঠিক, আধা ঠিক বা ভুল - সে নিয়ে পরবর্তীতে আলোচনা করা যাবে। কিন্তু এটা অ্যাপারেন্টলি সবচেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ ফল হলেও, একটু দীর্ঘমেয়াদে, হয়তো আজ থেকে বছর কুড়ি বাদে, এই ফলাফল পশ্চিমবঙ্গের বাম আন্দোলনের ইতিহাসে একটা মাইলফলক হয়ে থাকবে বলেই আমার মনে হয়। কারণ শুন্যের একটা সুবিধা হল, তার নীচে আর কিছু হয় না (ঋণাত্মক ফক কথার জাগলারিতে গিয়ে লাভ নেই, বিধানসভার আসন শুন্য হতে পারে, -৪ খানা জাস্ট হয় না)। দা ওয়ারস্ট অফ দা টাইমস আর অফেন দা বেস্ট অফ দা টাইমস
.
ভালো বিশ্লেষণ। তবে একটু ওপর ওপর দিয়ে। কোনটাকেই খুব গভীর থেকে দেখা হ'ল না। পপরবর্তীতে আশা করবো আরো সদর্থক বিশ্লেষণের।
ভালো বিশ্লেষণ তবে শুধু বিজেপি বিরোধিতা র জন্য বামেরা শূন্য তা বোধয় নয়।বিশেষ করে গ্রামে TMC র আসন পাবার অন্য কারণ ও আছে ।
পশ্চিমবাংলার প্রান্তিক প্রতিটা হাউজহোল্ডে এই মুহূর্তে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকারের আনা কোনো না কোনো, বহু ক্ষেত্রে একাধিক, সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের ডায়রেক্ট বেনিফিশিয়ারি রয়েছে। দুয়ারে সরকার প্রকল্পে প্রায় তিনকোটি পেন্ডিং কেস রিজল্ভ করা হয়েছে যাতে এসসি এসটি সার্টিফিকেট থেকে শুরু করে আরও নানা প্রকল্পের প্রায়োগিক গ্যাপগুলো মেটানো হয়েছে। এইটা গ্রামের দিকের অ্যান্টি ইনকামবেন্সিকে নিউট্রালাইজ করেছে। শহুরে বামেরা তাদের ফেসবুকভিত্তিক সমাজদর্শন দিয়ে এই বিষয়টা দেখতেই পায়নি। তাই ভেবেছিল একটা ধাক্কা মারলেই বুঝি তৃণমূল তাসের ঘরের মত ভেঙে যাবে। এছাড়াও সেল্ফ হেল্প গ্রুপ এবং এমএসএমই সেক্টরে যথেষ্ট কর্মসংস্থান হয়েছে। কৃষিতে আয় বেড়েছে। বৃহৎ শিল্পায়ন ছাড়া কর্মসংস্থান দেখতে না পওয়ার সমস্যাটা নিওলিবারাল দৃষ্টিভঙ্গিজাত। সরকারের প্রায় প্রতিটা প্রকল্প মহিলাদের এমপাওয়ার করেছে। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প পরিবারের মহিলার নামে করা বা এর আগের কন্যাশ্রী রূপশ্রী ইত্যাদি প্রকল্পগুলো গ্রামীণ মহিলারা প্রচণ্ড এপ্রিশিয়েট করেছেন। এবারের ভোটে তৃণমূল ভোট চেয়েছে তাদের সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পগুলির সাফল্যকে সামনে রেখে। এবং তার সাথে আগামীদিনের দুয়ারে রেশন আর ছাত্রছাত্রীদের জন্য ক্রেডিট কার্ডের প্রকল্পকে সামনে রেখে। তৃণমূলের বিরোধিতা করতে গেলে আগে তৃণমূল কংগ্রেসকে আর একটু ভালো করে জানা আর তার সাথে তার ভোট বেসের রসায়ণকে অবজেক্টিভলি বোঝার মনে হয় চেষ্টা করা উচিৎ। শুধু বিজেপিকে হারাতে মানুষ তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন - এটা অতিসরলীকরণ। সেটা একটা কারণ হয়ত। একমাত্র নয়। মানুষ সার্ভিস পেয়েছেন, খাদ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা, সামাজিক সুরক্ষার বেটার প্রমিস পেয়েছেন এবং সেজন্যও ঢেলে ভোট দিয়েছেন।
আরও একটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা হল - 'অন্ততঃ স্বাস্থ্য নিয়ে, কর্মসংস্থান নিয়ে বিরোধিতা যে বিজেপি করবে না, এটা বুঝতে বোধ হয় পণ্ডিত আনতে হবে না।' বিজেপিকেও আপনারা কিছুই চেনেননি। বিজেপি যতক্ষণ বিরোধী থাকবে ততক্ষণ সে আন্ডার দ্য সান সমস্ত কিছু নিয়েই সরকার বিরোধিতা করবে। অন্য সবার চাইতে অনেক বেশি লাউডলি করবে। সে কি বিরোধী স্পেসটা আপনকে ছেড়ে দেবে? ইন ফ্যাক্ট এবারের ভোটে বিজেপির অন্যতম মূল ইস্যুই ছিল কর্মসংস্থান। এবং আরও ইন্টারেস্টিং হল আপনারা, মানে সিপিএম, ঠিক যেরকম শিল্পায়ন চান, বিজেপিও ঠিক এগজ্যাক্টলি সেইরকম শিল্পায়ন চায়। ক্ষমতায় আসলে বড় পুঁজিভিত্তিক শিল্পায়ন আপনাদের চেয়ে অনেক বেশি এফিশিয়েন্টলি বিজেপি করতে পারে। ফলে, মেক নো মিস্টেক, আপনাদের শিল্পায়নের দাবী এসেন্সিয়ালি একটি রাইট উইং দাবি। এবং সেখানে বিজেপি আপনাদের বলে বলে গোল দেবে।
এই কথাটা বললেই বিদ্রূপ শুনতে হত। আসলে অফিশিয়াল বামের ইকনমিক প্রগতির ব্লু-প্রিন্ট ইউরোপের শিল্পায়নের ক্লাসিক মডেল থেকে টোকা। ফলে 'কৃষি আমাদের ভিত্তি' বললেও কয়েক দশক আগের ভাগচাষিদের পাট্টা দেওয়া ছাড়া কিছুই করেননি। সেই পদক্ষেপ প্রশংসনীয় হলেও তিনদশক পরে কৃষিতে অসংখ্য 'আন-ইকনমিক' ক্ষুদ্র জোত তৈরি হওয়ায় বাংলার কৃষিতে যে স্ট্রাকচারাল প্রবলেম তৈরি হয়েছে তা স্বীকার করতেই চাননি। ভাবটা আগে কৃষি নিয়ে বড় কাজ করেছি, এবার শিল্প গড়তে হবে।
বিজেপি সরকার সমস্যাটা দেখেছে, কিন্তু সমাধান করেছে নিও-লিবারাল মডেলে-- খোলা বাজারে চাষিদের নেকড়ের সামনে অসহায় করে ছেড়ে দিয়ে। ফলে বঙ্গে বামেরা পাঞ্জাব হরিয়ানায় কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে দাঁড়ান , হান্নান মোল্লার সংগঠন সেখানে ভাগীদার। কিন্তু বাংলার কৃষক সমস্যাও যে ঐ স্ট্রাকচারাল সংকটের শিকার সেটা দেখতে চান না। এই এলিটিস্ট দৃষ্টিভঙ্গী আসলে বিজেপির উন্নয়ন মডেলের সংগে মেলে। তাই এঁদের মুখ্য আফশোস-- ন্যানো গুজরাতে চলে গেল!
"বিধানসভায় বিরোধিতার ছকটা এবার একেবারেই অন্যরকম হয়ে যাবে, যেটা শাসকের কাছে খুব একটা অনভিপ্রেত বলে মনে হয় না।"
শিক্ষা, স্বাস্থ্যখাতে সরকারের দায়বৃদ্ধি নিয়ে কেউ কাউকে ঘাঁটাবে না। আর কেন্দ্রীয় সরকারের বেকার সৃষ্টির অর্থনীতির বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে ছেলেপুলেরা রাজ্যের পুলিশের লাঠিপেটা খেয়েছে আগেই। অতএব ওসব নিয়েও কেন্দ্রের দুশ্চিন্তার কিছু নেই। মাঝে মাঝে শুধু কেন্দ্রবিরোধী চিল-চিৎকার শোনা যাবে। শব্দ-দূষণ কমানোর জন্য তখন নাহয় আবার কিছু সময়ের জন্য ইডি বা সিবিআই একটু তৎপরতা দেখাবে।
বাকিটা শিক্ষিত মানুষের কনফিউশনঃ
"বৃহৎ শিল্পায়ন ছাড়া কর্মসংস্থান দেখতে না পওয়ার সমস্যাটা নিওলিবারাল দৃষ্টিভঙ্গিজাত।"
"ক্ষমতায় আসলে বড় পুঁজিভিত্তিক শিল্পায়ন আপনাদের চেয়ে অনেক বেশি এফিশিয়েন্টলি বিজেপি করতে পারে। ...... এবং সেখানে বিজেপি আপনাদের বলে বলে গোল দেবে।"
এবং কেউ কেউ বিজেপি ও সিপিএমকে মিলিয়ে দেওয়ার জন্য সদাই তৎপরঃ "বিজেপি সরকার সমস্যাটা দেখেছে, কিন্তু সমাধান করেছে নিও-লিবারাল মডেলে-- ....বঙ্গে বামেরা ......বাংলার কৃষক সমস্যাও যে ঐ স্ট্রাকচারাল সংকটের শিকার সেটা দেখতে চান না। এই এলিটিস্ট দৃষ্টিভঙ্গী আসলে বিজেপির উন্নয়ন মডেলের সংগে মেলে। "
অর্থাৎ কিনা হাতে রইল ২ টাকা কিলোর চাল, বেড না পাওয়া স্বাস্থ্যসাথী, নিরাকার ৫ টাকার ডিম্ভাতের কাউনটার ও প্রায় এক দশক ধরে (প্রকৃত) শিক্ষক বিহীন ক্লাশঘর। বড় শিল্পের দাবী তো "নিও-লিবারাল"- দের দৃষ্টিভঙ্গীর সমস্যা-কাজেই ওটা বাদ।
যাঁরা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে বিস্তর লাফাচ্ছেন তাঁদের জানাই যে National Insurance Company Limited সমমূল্যের স্বাস্থ্যবীমার দাম গত একবছরে ৪৭ হাজার থেকে একলাফে বাড়িয়ে ৭৯ হাজার করেছে (৪ জনের জন্য)।
কিছুদিন আগে এক বাম্তিনোমুলী নাট্যকার সাক্ষাৎকারে জানালেন যে তিনোমুল হুগো চাভেজের দলের সঙ্গে তুলনীয় এবং এটাই আপাততঃ নিও-কমিউনিজম (সুবোধও এমন নামেই ডেকেছিলেন)। পব-র অর্থনীতিও নাকি সেই পথেই চলেছে।
চাভেজ ১৪ বছর ক্ষমতায় ছিলেন। পব তে এসে বাম আমলে কুমড়ো মাথায় ছবি তুলেছিলেন। ভেনেজুয়েলার বর্তমান অর্থনীতির খবর রাখেন কেউ?
হুঁ। বাংলাতেও খনিজ তেলের বিপুল ভাণ্ডার পাওয়া গেছে তো। হাবড়া অশোকনগরে।
আর সেই বীরভূমের কয়লাখনির খবর কী?
দুটো-ই তো বৃহৎ শিল্পায়ন। তাতে তো বৌদ্ধিক আপত্তি। তারপরে তো পরিবেশবাদীরা আসবেন।
ওদিকে তেল থাকলে তো তার downstream-এ কেমিকাল হাব করতে হবে। তখন জমি লাগবে। ওদিকের জমি কত ফসলী? তখন আবার কৃষি-বিপ্লবীরা মাথাচাড়া দেবেন।
সেই সাপ-লুডোর পরিচিত খেলা। ৯৮ এর ঘর থেকে বোঁ করে নেমে আসতে হবে তিনের ঘরে!!
ওরে তন্ময়, ওরে পাগল রে - তুই এই বছরের পর বছর ধরে লেবু কচলে যাচ্ছিস, এই নিয়ে লোকজন যে তোকে এত আওয়াজ মারে, দেখলে পালিয়ে যায় - ঐ আসছে মমতাফোবিক সুইডিশফ্যান লাল্লু - ওরে এসব বন্ধ কর, একটু রেস্ট নে রে, একটু রেস্ট নে, বয়েস তো হচ্ছে - - বরং, এই নে, এটা শোন --
তা বটে।
বীরভূমে জমি খুব বেশি ফসলী নয় বোধ হয়। তবে হাবড়া অঞ্চল তো মারাত্মক ফসলী।
এইও সাবধান। আমার বাপ যেখানে সেখানে খাপ খোলে আর সাপ লুডো খেলে।